Defence Research Forum DRF

Defence Research Forum DRF Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Defence Research Forum DRF, Media/News Company, Dhaka.

26/10/2025

দীর্ঘ গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আগত বনলতা এক্সপ্রেস এ ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে অভিযান চালায় ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড। অভিযানে ৮ টি বিদেশি পিস্তল, ১৪ টি ম্যাগাজিন, ২৬ রাউন্ড গুলি, ২.৫ কেজি গান পাউডার এবং ২.৫ কেজি প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ উদ্ধার করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে বিশেষ একটি গোষ্ঠি ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচন বানচাল করতেই এধরনের নাশকতার সরঞ্জাম দেশে নিয়ে এসেছে।

প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দুষ্কৃতিকারী, পলাতক স্বৈরাচার রেজিমের সহযোগী বা যারাই এসবের সাথে জড়িত তাদের পক্ষে কখনোই এসব কর্মকাণ্ডে সফলতা অর্জন সম্ভব হবেনা।

সংগৃহীত

আজ বাংলাদেশের সুন্দরবন সীমান্তের ঠিক ওপাড়ে ভারতের অংশে তাদের একটি মিলিটারি ড্রোনের এক্টিভিটি দেখা গেছে। এর আগে বাংলাদেশ ...
26/10/2025

আজ বাংলাদেশের সুন্দরবন সীমান্তের ঠিক ওপাড়ে ভারতের অংশে তাদের একটি মিলিটারি ড্রোনের এক্টিভিটি দেখা গেছে। এর আগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ওই অঞলের বাংলাদেশ সীমানা হতে টহল দিয়ে এসেছিল।এর পরপরই আসে ভারতীয় ড্রোনটি।

ভারতীয় ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার বিমানের পাকিস্তান সীমান্তে রহস্যজনক কার্যক্রম ও PAF-এর প্রতিক্রিয়া।গত ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ,...
26/10/2025

ভারতীয় ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার বিমানের পাকিস্তান সীমান্তে রহস্যজনক কার্যক্রম ও PAF-এর প্রতিক্রিয়া।

গত ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ, ভারতের বিমানবাহিনীর একটি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার (Electronic Warfare) বিমান আবু ধাবি থেকে ভারতে ফেরার পথে ছিল। তবে ফেরার পথে বিমানের গতিপথ করাচির আকাশসীমার নিকটবর্তী অঞ্চলের উপর দিয়ে অতিক্রম করার সময়, সেটি গোয়েন্দা (Intelligence), নজরদারি (Surveillance) ও রিকনাইসান্স (Reconnaissance) বা ISR যন্ত্রপাতি সক্রিয় করার চেষ্টা করে বলে জানা যায়।

ঘটনাটি শনাক্ত হওয়ার পর, পাকিস্তান বিমানবাহিনী (PAF) দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। তাদের আধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে যায় এবং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভারতীয় বিমানের ট্রান্সপন্ডার সিগন্যাল স্পুফ করে দেয়, অর্থাৎ বিমানের আসল অবস্থান গোপন রেখে বিভ্রান্তিকর সংকেত পাঠাতে বাধ্য করে। পাশাপাশি, বিমানের অনবোর্ড ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিও জ্যাম (অচল) করে দেয় পাকিস্তানি সিস্টেমগুলো।

ফলে, ভারতীয় বিমানটি, যা মূলত গুজরাটের ভূজ এলাকা হয়ে ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশের পরিকল্পনা করেছিল, তা আমরেলির দক্ষিণ অংশে পৌঁছেই বাধ্য হয়ে পথ পরিবর্তন করে ফিরে যেতে থাকে। পাকিস্তানের আরও জ্যামিং ও ইলেকট্রনিক ইন্টারসেপ্ট অপারেশন থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই ঘটনাটি পাকিস্তানের ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সক্ষমতা ও প্রতিরোধ দক্ষতার এক সুস্পষ্ট উদাহরণ, যা প্রমাণ করে যে, আকাশপথে কোনো গোপন নজরদারি প্রচেষ্টা পাকিস্তানের চোখ এড়িয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।

আজ সকাল ১১১৫ ঘটিকায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গোয়েন্দা সংস্থা ও রেলওয়ে পুলিশের সহায়ত...
26/10/2025

আজ সকাল ১১১৫ ঘটিকায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গোয়েন্দা সংস্থা ও রেলওয়ে পুলিশের সহায়তায় রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি নির্দিষ্ট বগি তল্লাশি করে ০৮টি বিদেশী পিস্তল, ১৬টি ম্যাগাজিন, ২৬ রাউন্ড অ্যামুনিশন, ২.৩৯ কেজি গান পাউডার এবং ২.২৩ কেজি প্লাস্টিক বিস্ফোরক উদ্ধার করে। উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে চারজন ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। সন্ত্রাস, নাশকতা ও অপরাধ দমনে এ ধরনের সমন্বিত অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সফরে আসা পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামসাদ মির্জা বাংলাদেশের ...
26/10/2025

বাংলাদেশ সফরে আসা পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামসাদ মির্জা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন উভয়ই

বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে চীনসহ ৩ দেশের বিশেষজ্ঞ টিমকে আমন্ত্রণ।বাংলাদেশের  হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ...
26/10/2025

বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে চীনসহ ৩ দেশের বিশেষজ্ঞ টিমকে আমন্ত্রণ।

বাংলাদেশের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য চীন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কার্গো ভিলেজের আগুনের ঘটনা তদন্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করতে এই ৪ দেশের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগুনের ঘটনায় নাশকতা বা অবহেলা থাকলে সেটি তদন্ত করে বের করা হবে।

তিনি জানান, আগুন লাগার পর বিমানবন্দরের নিজস্ব অগ্নি নির্বাপনে ৪টি ইউনিট ও ফায়ার সার্ভিস দ্রুত পৌঁছালেও কার্গো ভিলেজে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নেভাতে সময় লেগেছিলো।

সূত্রঃসিএমজি।

বর্মাছড়ির দুর্গম পাহাড়ে কেন সেনা ক্যাম্প প্রয়োজন?পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে থাকা বর্মাছড়ি, যেন এক অজানা রহস্যের আড়ালে আবৃত। খাগ...
26/10/2025

বর্মাছড়ির দুর্গম পাহাড়ে কেন সেনা ক্যাম্প প্রয়োজন?

পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে থাকা বর্মাছড়ি, যেন এক অজানা রহস্যের আড়ালে আবৃত। খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ৩ নম্বর ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত এই এলাকাটি মাত্র ৬০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুসারে, এখানকার জনসংখ্যা মাত্র ৬,৮৩১ জন যার মধ্যে ৬,৬৫৩ জন বৌদ্ধ, ৯৯ জন হিন্দু, ৬১ জন মুসলিম এবং ১৮ জন খ্রিস্টান।

এই ইউনিয়নটি একটি চরম দুর্গম অঞ্চল, যেখানে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ, ঝিরি-ঝর্ণা এবং ঘন জঙ্গল পেরিয়ে যেতে হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার খিরাম ইউনিয়নে অবস্থিত সেনা ক্যাম্পের কার্যকরী সীমা এখানে পৌঁছায় না। শুকনাছড়িতে একটি ক্যাম্প থাকলেও, বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকা কভার করা তার পক্ষে অসম্ভব। বর্মাছড়ির কিছু অংশ খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে এবং কিছু রাঙ্গামাটির কাউখালীতে পড়েছে, যা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর প্রভাবাধীন অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।

এখানে ইউপিডিএফ-এর সশস্ত্র গ্রুপের হেডকোয়ার্টার রয়েছে, যা পার্বত্য চট্টগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম। এই হেডকোয়ার্টারের অধীনে কয়েকটি সার্কেল, কোম্পানি, প্লাটুন এবং সেকশন রয়েছে, যা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঘাঁটিগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। সশস্ত্র সদস্যদের প্রকাশ্য বিচরণ স্থানীয়দের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেন এক অদৃশ্য শাসনের ছায়ায় তারা বাঁচতে শিখেছে।

ইউপিডিএফ-এর এই প্রভাবের ফলে, স্থানীয় জনজীবন ভয়ের ছায়ায় আবৃত। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুল্ল্যাছড়ি, বর্মাছড়ি এবং কাউখালী উপজেলার ফটিকছড়ি ইউনিয়নের অংশে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের প্রায় ৭০০-৮০০ জন সশস্ত্র সদস্যের উপস্থিতি রয়েছে। এখানে কেন্দ্রীয় নেতা জয় বসু, চীফ কালেক্টর রবি চন্দ্র অকির্ড এবং অন্যান্য নেতারা অবস্থান করেন।

এখানে সাম্প্রতিক সময়েও ইউপিডিএফ নতুন সদস্য নিয়োজিত করতে একাধিক গোপন সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করেছে। যেখানে অছাত্র, হতদরিদ্র, বেকার যুবকদের ভর্তি করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের সশস্ত্র তৎপরতা শক্তিশালী করার কার্যক্রম এই এলাকায় থেকে করে থাকে। তাদের এই ‘নিরাপদ আবাসন’ রক্ষার জন্যই সেনা ক্যাম্প স্থাপনের বিরোধিতা করা হচ্ছে – কারণ এটি স্থাপিত হলে ইউপিডিএফ-এর সশস্ত্র তৎপরতা, চাঁদাবাজি এবং নির্যাতনের উৎস শুকিয়ে যাবে।

স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, নির্যাতন, অপহরণ, গুম-খুন, এবং অস্ত্রের ভয় থেকে মুক্তির জন্য সেনা ক্যাম্পের দাবি জানিয়ে আসছেন। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, সন্ত্রাসবাদ দমনের অংশ হিসেবে গত ২২ অক্টোবর ২০২৫ সালে খিরাম ক্যাম্প থেকে সেনা দল রওনা হয়। সেখানে খাস জমিতে অস্থায়ী সেনা শিবিরের জন্য তাঁবু স্থাপন করে এবং হেলিপ্যাড নির্মাণের কাজ শুরু করে।

কিন্তু ইউপিডিএফ এবং তাদের সমর্থক জনপ্রতিনিধিরা এটিকে বাধাগ্রস্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা আর্য কল্যাণ বনবিহার এবং স্থানীয়দের জমি দখলের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করে, সড়কে বাঁশ-গাছ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে কাজে বাধা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, এই বিরোধিতায় ভয়ভীতি এবং জরিমানার হুমকি দিয়ে সাধারণ মানুষকে জড়ানো হয়েছে। ক্যাম্প নির্মাণের স্থান বিহারের দূরত্ব প্রায় ৬০০ মিটার, কিন্তু তারা এটিকে বিহারের জায়গা দাবি করে। উপজাতি সম্প্রদায়ের দাবি সত্ত্বেও, কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তারা। দেশের প্রচলিত ভূমি আইন অনুসারে, খাস জমির মালিক সরকার (১ নম্বর খতিয়ান)। অতীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পের জায়গায় বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করে দখল করা হয়েছে, যেমন কতুকছড়ি, লংগদু, বাঘাইছড়ি, পানছড়ি এবং নানিয়ারচরে। এসব জায়গা আজ সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বর্মাছড়িতে আর্য কল্যাণ বনবিহারকে ব্যবহার করে সেখানে একধরণের ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে ইউপিডিএফ।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে খিরাম ক্যাম্প থেকে সেনা সদস্যরা ক্যাম্প নির্মাণে রওনা হলে, ইউপিডিএফ-সমর্থকরা উপজাতি জনসাধারণকে ভয় দেখিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয় এবং ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি-র কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।

এই স্মারকলিপির প্রত্যেক পয়েন্ট বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয় যে, এটি ইউপিডিএফ-এর স্বার্থ রক্ষার একটি ছলনাময় দলিল। প্রথম পয়েন্টে ধর্ম পালনে বাধার অভিযোগ তোলা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বত্র হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসবে নিরাপত্তা প্রদান করে, কখনো বাধা দেয়নি। এটি ধর্মকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহারের একটি উদাহরণ, যা উগ্র চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ।

দ্বিতীয় পয়েন্টে এলাকায় শান্তি এবং কোনো অপরাধ না থাকার দাবি করা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে উপজাতি জনগোষ্ঠী ইউপিডিএফ-এর সন্ত্রাসের শিকার। দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি ক্রয়-বিক্রয়ে চাঁদা দিতে হয়, অস্ত্রের ভয়ে মানুষ মুখ খোলে না। বাঙালি সংখ্যালঘু হওয়ায় ভেদাভেদের প্রশ্নই ওঠে না, কিন্তু এটি শান্তির ছদ্মবেশ।

তৃতীয় পয়েন্টে খিরাম এবং শুকনাছড়ি ক্যাম্পের উল্লেখ করে নতুন ক্যাম্পকে পার্বত্য চুক্তির লঙ্ঘন বলা হয়েছে। কিন্তু খিরাম বর্মাছড়ির বাইরে, এবং শুকনাছড়ি একা বিস্তীর্ণ এলাকা কভার করতে পারে না। চুক্তিতে অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহারের কথা আছে, কিন্তু ইউপিডিএফ নিজেই ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রসিত বিকাশ খীসা এবং রবি শংকর চাকমার নেতৃত্বে চুক্তির বিরোধিতা করে গঠিত। চুক্তি মানেন না, অথচ এখন তার দোহাই দিয়ে স্বার্থ রক্ষা করছে – এটি তাদের স্বার্থপরতার প্রমাণ।

চতুর্থ পয়েন্টে জনগণের মতামতের দোহাই দিয়ে ক্যাম্পের বিরোধিতা করা হয়েছে, কিন্তু ইউপিডিএফ অস্ত্র এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে শাসন চালায়। সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই; যারা বিক্ষোভে জড়িত, তারা নিয়ন্ত্রিত। অনেকে গোপনে সেনা ক্যাম্পের দাবি জানান, কারণ তারা চাঁদাবাজি এবং অস্ত্র থেকে মুক্তি চান।

পঞ্চম পয়েন্টে সেনাবাহিনীর কারণে মেয়েরা অনিরাপদ হবে বলা হয়েছে, যা একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ১৯৬০-এর কাপ্তাই বাঁধ প্রকল্প থেকে শুরু হয়েছে। ১৯৭২ সালে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) গঠন, ১৯৭৫-৭৭ সালে রাষ্ট্রীয় সম্পদে আক্রমণ এবং ১৯৭৯ সালে বাঙালি পুনর্বাসনের পর সেনা নিয়োজিত হয়। যদি সেনা নারীদের প্রতি অপরাধ করতো, তাহলে চেহারায় পরিবর্তন দেখা যেত, কিন্তু তা হয়নি। এটি নারীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করে সেনা এবং বাঙালিদের বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র।

ষষ্ঠ পয়েন্টে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজির অস্তিত্ব অস্বীকার করা হয়েছে, কিন্তু এটি ভয়ের প্রকাশ। সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, চিকিৎসা, শীতকালীন সহায়তা প্রদান করে। যদি কোনো সন্ত্রাস না থাকে, তাহলে সেনা ক্যাম্পে ভয় কেন? এটি ইউপিডিএফ-এর সন্ত্রাসী তৎপরতা লুকানোর চেষ্টা।

সপ্তম পয়েন্টে জনগণের অমতের দোহাই দিয়ে ক্যাম্প না দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাপ্রধান অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করতে পারেন। এজন্য জনগণের অনুমতি লাগে না; এটি অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ।
সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা এখানে অপরিহার্য, কারণ ইউপিডিএফ একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী, যারা স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রাম চালাচ্ছে। তারা ভারত এবং মিয়ানমার থেকে ভারী অস্ত্র সংগ্রহ করে, দেশের সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী এবং বাম দলগুলোর সমর্থন নিয়ে যুবকদের বিপথগামী করছে। সেনা ক্যাম্প স্থাপিত হলে সন্ত্রাস বন্ধ হবে, চাঁদাবাজির উৎস শুকাবে, এবং শান্তির সুবাতাস বইবে। বিরোধিতা করা হচ্ছে কারণ এটি ইউপিডিএফ-এর অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে – তাদের হত্যা, অপহরণ এবং অর্থনৈতিক নির্যাতনের চক্র ভেঙে পড়বে। চুক্তিপক্ষ জেএসএস এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলো ইউপিডিএফ-এর বিরুদ্ধে, কারণ তারা জাতিগত বিভক্তি তৈরি করে।

এই বিরোধিতায় ইউপিডিএফ-মদদপুষ্ট জনপ্রতিনিধিরা জড়িত, যেমন বর্মাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুইচালা চৌধুরী, ফটিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উষাতন চাকমা, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি মারমা, আর্য কল্যাণ বনবিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল চাকমা এবং সমাজকর্মী পাইচিউ মারমা। স্থানীয় সূত্র জানায়, তারা ইউপিডিএফ-এর নির্দেশে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছে। এদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে।

26/10/2025

ভারত থেকে মাদক নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে চোরাকারবারিরা, এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযাা চালিয়ে একজনকে ধরে ফেলে আরেকজন ঝাঁপ দেয় নদীতে। সীমান্তের উপাড় থেকে টর্চের আলো ফেলে বিএসএফ দেখার চেষ্টা করছিল কিভাবে তাদের চোখের সামনে দিয়ে চোরাকারবারিরা সীমান্ত পারাপার করেও এপাড়ে এসে পুলিশের হাতে আটক হচ্ছে।

জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে তুরস্কে ২০০+ বিদেশি খ্রিষ্টান বহিষ্কৃত।২০২০ সাল থেকে তুরস্ক সরকার জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে ২০...
25/10/2025

জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে তুরস্কে ২০০+ বিদেশি খ্রিষ্টান বহিষ্কৃত।

২০২০ সাল থেকে তুরস্ক সরকার জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে ২০০-রও বেশি বিদেশি খ্রিষ্টান নাগরিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে। কর্তৃপক্ষ তাদের “জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি” হিসেবে চিহ্নিত করলেও, এদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

সরকার বিশেষ N-82 ও G-87 কোড ব্যবহার করে এসব নাগরিকের বহিষ্কারের নির্দেশ জারি করেছে। এই কোডগুলো সাধারণত এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, যাদেরকে তুরস্কে প্রবেশ বা বসবাস জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী বলে মনে করা হয়।

ফলস্বরূপ, দেশটির প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক চার্চ কার্যক্রম বন্ধ বা সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে, কারণ বহিষ্কৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন চার্চ প্রশাসক, মিশনারি বা স্থানীয় সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে ইতিমধ্যেই একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর চাপ সৃষ্টির একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টা।

অন্যদিকে, তুরস্কের এলিট গোয়েন্দা সংস্থা MIT (Millî İstihbarat Teşkilatı)-এর বরাতে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশি কিছু সংস্থা ও রাষ্ট্র তুরস্কের অভ্যন্তরে “ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের আড়ালে গোয়েন্দা তৎপরতা ও সম্ভাব্য নাশকতার পরিকল্পনা” চালাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এই কারণেই নির্দিষ্ট কিছু বিদেশি নাগরিককে পর্যবেক্ষণ ও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ তুরস্কে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়াবে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আঙ্কারার কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ এলাকার সীমান্তে আবারও মিয়ানমারের গুলি এসে পড়েছে। গুলি এসে কয়ে...
25/10/2025

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ এলাকার সীমান্তে আবারও মিয়ানমারের গুলি এসে পড়েছে। গুলি এসে কয়েকটি স্থানে পড়লে এক নারী আহত হয়ে বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এবং আরেকটি ঘটনায় কম্পিউটার দোকান ও একটি বাড়ির টিনের ছাউনি ছিদ্র হয়ে যায়।

সীমান্তের উপাড়ে মায়ানমারের দুই বিদ্রোহী গোষ্টির সংঘাতের জের সরাসরি এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভূখন্ডে। এতে আহত হচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিকরা। এই ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্হিতি বিরাজ করছে। বিজিবি জানিয়েছে তারা সীমান্তে সুরক্ষায় সজাগ রয়েছেন।

বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা। আজ বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চীফ ...
25/10/2025

বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা।

আজ বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামসাদ মির্জা। গত সপ্তাহে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে যাওয়ার পরপরই চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশে এসেছেন পাকিস্তানি এই সেনা কর্মকর্তা।

যদিও এই সফরটি যথাসম্ভব গোপনীয়তা বজায় রেখে করার কথা থাকলেও ইতোমধ্যেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সফর সংক্রান্ত বিস্তারিত ধারণা পেয়েছে ফ্লাইট ডিটেইলস সহ।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৪ই জানুয়ারী পাকিস্তানে সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান পাকিস্তান সফরকালে পাকিস্তানি এই সেনা কর্মকর্তার সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয়পক্ষই জোর দেন।

25/10/2025

পার্শ্ববর্তী কোন দেশ বাংলাদেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার হুশিয়ারী দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার এস এম সাজ্জাদ আলী।

© DBC NEWS

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Defence Research Forum DRF posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share