মাসিক আদর্শ নারী

মাসিক আদর্শ নারী বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামী মাসিক পত্রিকা
Most Popular Islamic magazine of BD
The Monthly Adarsha Nari
(260)

রুচি ও প্রগতির সমন্বয়ে এ যুগের মেয়েদের দ্বীনি মাসিক পত্রিকা।

ঘুমেই ছিলাম। হঠাৎ শুনি আর্তনাদ!  বাচ্চার কান্না, যাত্রীদের হা-হুতাশ। আমি আমাকে আবিষ্কার করি, সিটের নিচে বসে আছি সামনের স...
11/07/2025

ঘুমেই ছিলাম। হঠাৎ শুনি আর্তনাদ! বাচ্চার কান্না, যাত্রীদের হা-হুতাশ। আমি আমাকে আবিষ্কার করি, সিটের নিচে বসে আছি সামনের সিটে হাত দেওয়া অবস্থায়। বাসের সব যাত্রীই সামনের দিকে ছিটকে গেছে। কারো হাটুর চামড়া ছিলেন গিয়ে গেছে, কারো নাক থেকে রক্ত ঝরছে। ২ বছর বাচ্চারা কান্না। বাচ্চার বাবার গালাগালি, "ড্রাইভারের গুষ্টি উদ্ধার করা গালাগালি"। আমাদের বাস রোড ডিভাইডারের উপরে উঠে গেছে। বাসের গেট খুলছে না। এদিকে বাসের ভিতর এসির গ্যাসও লিক হয়েছে। কি এক ভয়ানক অবস্থা। কয়েক জন মিলে দরজা খুলে বের হলাম বাস থেকে। বাইরে আসতে না আসতে বৃষ্টি শুরু ভেজা গায়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে অন্য বাসে করে চলে আসলাম। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। আমি অক্ষত আছি।

আজকে নাটোরে এক্সিডেন্ট করা শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস এর একজন যাত্রীর স্বীকারোক্তি।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।

©Asaduzzaman Rifat

জীবনঘনিষ্ঠ সব প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাপ্তাহিক ইসলামী লাইভ অনুষ্ঠান সুওয়াল জাওয়াব এর ১৬৭তম পর্ব ।সবাই শেয়ার করতে পারি ইনশাআ...
07/07/2025

জীবনঘনিষ্ঠ সব প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাপ্তাহিক ইসলামী লাইভ অনুষ্ঠান সুওয়াল জাওয়াব এর ১৬৭তম পর্ব ।

সবাই শেয়ার করতে পারি ইনশাআল্লাহ।

লিংক
https://www.facebook.com/Adarsha.Nari/videos/1122558756353318

প্রতি সোমবার, রাত ৯টা। শুধুমাত্র মাসিক আদর্শ নারীর ফেসবুক পেইজে।
পেজ লিংক https://www.facebook.com/Adarsha.Nari/

সুওয়াল জাওয়াব মেসেঞ্জার চ্যানেলে জয়েন করুন
https://m.me/j/Abb5AhyWphznBQ-3/

07/07/2025

সরাসরি ইসলামী লাইভ প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান সুওয়াল জাওয়াব - পর্ব ১৬৭
জনপ্রিয় ইসলামী পত্রিকা 'মাসিক আদর্শ নারী' ও জামিয়া মারকাযুদ দুরুসের যৌথ আয়োজনে সাপ্তাহিক ইসলামী লাইভ প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান সুওয়াল জাওয়াব । পর্ব ১৬৭

উত্তর প্রদানে, মাসিক আদর্শ নারী সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী
https://www.facebook.com/mahasan.shamsabadi

সঞ্চালনায় মাসিক আদর্শ নারী সহযোগী সম্পাদক মুফতি সাঈদ আল হাসান।
https://www.facebook.com/said.al.hasan

প্রচারিত হয় প্রতি সোমবার রাত ৯টায়।
মাসিক আদর্শ নারী ফেসবুক পেইজে - https://www.facebook.com/Adarsha.Nari/

মারকাযুদ দুরুসের ওয়েবসাইট durus.us

07/07/2025

সরাসরি প্রশ্নোত্তর নিয়ে রাত ৯.০০টায় লাইভে আসছি ইনশাআল্লাহ।
আপনার প্রশ্নটি রেডি তো?
Like, Comment, Share🤲

04/07/2025

ইসলাম কি ধর্মনিরপেক্ষতা সাপোর্ট করে?
একটি বিভ্রান্তি ও তার জবাব ....
------------------------------------------

ধার্মিকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা পরস্পর বিপরীত বিষয়। তাই ইসলাম কখনো ধর্মনিরপেক্ষতাকে সাপোর্ট করতে পারে না। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা ধার্মিকতার নির্দেশ দিয়েছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার নয়।

বলা বাহুল্য, মহান আল্লাহর নিকট একমাত্র ইসলামই গ্রহণীয়, অন্যকোন ধর্ম গ্রহণীয় নয়। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের সূরাহ আলে ইমরান-এর ১৯নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন--

اِنَّ الدِّیۡنَ عِنۡدَ اللّٰهِ الۡاِسۡلَامُ

“নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।”

তেমনি পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে--ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যসব ধর্মের অনুসারীরা পরকালে নিষ্ফল হবে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের সূরাহ আলে ইমরানের ৮৫নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ--

وَ مَنۡ یَّبۡتَغِ غَیۡرَ الۡاِسۡلَامِ دِیۡنًا فَلَنۡ یُّقۡبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ

“যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম অবলম্বন করবে, কস্মিণকালেও তার থেকে তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”
কুরআনের আয়াত “লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন” নিয়ে
কতিপয় মানুষের বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও তার জবাব
---------------------------------------------------

কিছু মানুষ কুরআনের আয়াত “লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন” নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বলে থাকেন--“লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন” অর্থ : তোমাদের দ্বীন তোমাদের জন্য এবং আমার দ্বীন আমার জন্য। অর্থাৎ যে যার মতো নিজের ধর্ম পালন করবে। সুতরাং এ আয়াতে ধর্মনিরপেক্ষতার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তারা দাবী করে থাকেন।

বস্তুত এটা তাদের বুঝার ভুল। প্রকৃত পক্ষে উক্ত আয়াতে দ্বীন দ্বারা প্রতিফল বা প্রতিদান বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ বলা হয়েছে--“তোমরা যা পালন করবে, তার প্রতিফল তোমরা পাবে এবং আমি যা পালন করবো, তার প্রতিদান আমি পাবো।”

মূলত এ কথা বলার দ্বারা ইসলাম ছাড়া অন্য সকল ধর্ম পালনের বৈধতা প্রমাণিত হয় না। কেননা, “লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন”-এর মধ্যে ইসলাম ছাড়া অন্য-ধর্ম মানার প্রসঙ্গটি “বিড়ি খাবি খা--মারা যাবি যা”-এর মতো করে বলা হয়েছে। অর্থাৎ পরকালে শান্তি ও জান্নাত পেতে চাইলে ইসলাম মানতে হবে। আর পরকালে শাস্তি ও জাহান্নাম পেতে চাইলে অন্য ধর্ম মানো গিয়ে। প্রকৃত কথা এটাই। তাই এক্ষেত্রে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই।

- মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী হাফিজাহুল্লাহ

04/07/2025

১.
মানুষের জীবন ও কর্মের শুরু ও শেষ ইসলামে অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে শুরুর চেয়ে শেষের গুরুত্ব বেশি। নেক আমল দিয়ে যার জীবনের সমাপ্তি ঘটবে তার ঠিকানা হবে জান্নাত। আর বদ আমল দিয়ে যে তার জীবনের ইতি টানবে তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। সূরা নাহলে (২৭-২৮ ও ৩০-৩২) আল্লাহ তা'আলা এমনটাই বলেছেন। এই আয়াতগুলোর ব্যাখ্যাতেই যেন প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إنما الأعمال بالخواتيم. (مسند الإمام أحمد برقم: ٢٢٨٣٥)
হাদীসের পুরো অংশ দেখলে এই ধারণা আরও মজবুত হবে। পূর্ণ হাদীসটি হল—
إنّ الرجل ليعمل بعمل أهل النار، وإنه من أهل الجنة، وإن الرجل ليعمل بعمل أهل الجنة، وإنه من أهل النار، وإنما الأعمال بالخواتيم.
একজন মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহ ও আখেরাতমুখিতা সৃষ্টি করার জন্য এই একটি হাদীসই যথেষ্ট। কারণ, হাদীসটি খুবই ভীতি সঞ্চারক। মুমিন হৃদয়ে ভীতি সঞ্চারে অসংখ্য হাদীসের মধ্যে এটি অন্যতম হাদীস।
২.
রাতের ঘুম আমাদের একটি দিনের শেষ এবং অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যু সদৃশ। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
﴿الله يتوفى الأنفس حين موتها والتي لم تمت في منامها فيمسك التي قضى عليها الموت ويرسل الأخرى إلى أجل مسمى﴾. الزمر: ٤٢
আমাদের এই শেষটা যেন খুব সুরভিত হয়, সেজন্য আমাদের দয়ার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমের পূর্বে অনেক ধরনের আমল করার নির্দেশনা দান করেছেন। বিভিন্ন সূরা, আয়াত ও দু'আর আমল আমরা অনেকেই জানি। সেগুলো উল্লেখ করা এখানে উদ্দেশ্য না। উদ্দেশ্য শুধু একথাটুকু বলা—
৩.
মোবাইল মানুষের মাঝে দ্বীন ও আখেরাত-বিমুখতা তৈরি করে। তাই মোবাইলের ব্যাপারে আমাদের সাবধান থাকা উচিত। আমরা الهداية গ্ৰন্থে পড়ে এসেছি,
الثابت عادةً كالمتيقَّن به. ٣٠٢/١
ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে মোবাইল ব্যবহার আরও বেশি উদাসীনতা তৈরি করে। তাই শ্রদ্ধেয় ভাইয়েরা, ঘুমানোর পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শেখানো আয়াত ও দু'আ পড়ে ঘুমান। মোবাইল চালানোটাই যেন আমাদের দিনের ও জীবনের শেষ কর্ম না হয়। একটু ভাবুন, আল্লাহ তা'আলা যদি জিজ্ঞেস করেন, বান্দা, তোমার এ জীবন আমার দান। তুমি আমাকে ভুলে কিভাবে আমার কাছে চলে আসলে?! আমরা যদি এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হই (আল্লাহ না করুন), আক্ষেপে হৃদয়টা তখন ফেটে যাবে নিশ্চয়। আল্লাহ তা'আলা আমাকে ও আমাদেরকে হেফাযত করুন এবং আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

২৬ যিলহজ ১৪৪৫

- মুহাম্মাদ মুস্তফা আবু আব্দুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

04/07/2025

اللَّهُــمَّ صَلِّ وَسَـــلِّمْ علٰى نَبِيِّنَـــا مُحمَّد ﷺ

04/07/2025

এটি হাদীস নয় : আশুরার রোযা: ষাট বছর ইবাদতের সওয়াব
গত ১৪ নভেম্বর (২০১৩) দৈনিক ইনকিলাবে ধর্ম-দর্শন পাতায় ‘পথ নির্দেশ: মুহররম ও শহীদানে কারবালা’ শিরোনামে একটি লেখা পড়লাম। সেখানে আশুরার রোযার ফযীলত বর্ণনা করতে গিয়ে লেখা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আশুরার রোযা রাখে সে ষাট বছর দিনে রোযা রাতে ইবাদত করার সওয়াব লাভ করে।’ হাদীস হিসেবে লেখা হলেও এটি হাদীস নয়। এটি একটি জাল বর্ণনা যা হাবীব ইবনে আবী হাবীব নামক এক হাদীস জালকারী থেকে বর্ণিত। ইবনুল জাওযী রাহ. বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে মওযূ বর্ণনা।’ (আলমাউযূআত ২:২০৩) আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রাহ. বলেন, এটি একটি বাতিল ও ভিত্তিহীন বর্ণনা। এটা হাবীব ইবনে আবী হাবীব বর্ণনা করে। আর সে হাদীস জাল করত। (আলমানারুল মুনীফ ১:৪৭, বর্ণনা নং ৪৪) হাফেয সুয়ূতী রাহ. ও আল্লামা ইবনু আররাক রাহ. এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়েছেন। আল্লামা আবদুল হাই লখনবী রাহ. আশুরার রোযার ফযীলত বিষয়ে জাল বর্ণনার আলোচনা করতে গিয়ে শুরুতেই এই বর্ণনাটি এনেছেন। (আললাআলিল মাসনূআ ১:১৩৫; তানযীহুশ শরীআহ ২:১৪৮; আলআসারুল মারফূআ ১:৯৪)

আশুরার রোযার ফযীলত তো সহীহ হাদীসেই বর্ণিত হয়েছে। হযরত আবু কাতাদা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোযার কারণে আল্লাহ তাআলা অতীতের এক বছরের (সগীরাহ) গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। (সহীহ মুসলিম ১:৩৬৭; জামে তিরমিযী ১:১৫৮) সুতরাং সহীহ হাদীসে যে ফযীলত বর্ণিত হয়েছে শুধু তা-ই বলা উচিত।

আর আশুরা-কেন্দ্রিক বিভিন্ন ভিত্তিহীন বর্ণনা ও ঘটনা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে মাসিক আল কাউসারে (মুহাররম-ফেব্রুয়ারি ২০০৫) বিস্তারিত লেখা হয়েছে।
- মাসিক আলকাউসার

04/07/2025

মুহাররম ও আশুরা প্রসঙ্গ-----

১. মুহাররম মাস সম্মানিত চারটি মাসের একটি। (সূরা তাওবা)

২. রমযানের পর পুরা মুহাররমের মাসের রোজা ফযীলতপূর্ণ।
أفضل الصيام بعد رمضان شهر الله المحرم. أخرجه مسلم.

৩. আশুরার দিনের রোজায় বিগত এক বছরের গুনাহ মাফ হয়।
صيام يوم عاشوراء أحتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله. رواه مسلم.

৪. তবে ইয়া*হুদীদের সাথে সাদৃশ্যতা বর্জনের জন্য এর সাথে পূর্বে বা পরের দিন আরেকটি রোজা মিলিয়ে রাখা উত্তম।

৪. আশুরার দিন হযরত মুসা আঃ ও তার কওমকে ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
৫. ফেরাউন ও তার অনুসারীদেরকে এই দিনে লোহিত সাগরে (Red sea) ডুবিয়ে মারা হয়।
عن ابن عباس: أن رسول الله ﷺ قدم المدينة، فوجد اليهود صياما يوم عاشوراء، فقال لهم ﷺ:(ما هذا اليوم الذي تصومونه؟) فقالوا: هذا يوم عظيم أنجى الله فيه موسى وقومه، وغرق فرعون وقومه، فصامه موسى شكرا فنحن نصومه، فقال رسول الله ﷺ: (فنحن أحق وأولى بموسى منكم) فصامه رسول الله ﷺ وأمر بصيامه. مسلم.

৬. মুহাররমের গুরুত্বপূর্ণ একটি ফযীলত হলো, এর সঙ্গে তওবা কবুলের ইতিহাস যুক্ত। হাদীসে এসেছে, এতে একটি দিনে এক জাতির তওবা কবুল হয়েছে এবং এতে অন্য জাতির তওবা কবুল হবে।
أخرج الترمذي عن علي قال: سأله رجل فقال: أي شهر تأمرني أن أصوم بعد شهر رمضان؟ قال له: ما سمعت أحدا يسأل عن هذا إلا رجلا سمعته يسأل رسول الله صلى الله عليه وسلم وأنا قاعد عنده فقال يا رسول الله: أي شهر تأمرني أن أصوم بعد شهر رمضان؟ قال: إن كنت صائما بعد شهر رمضان فصم المحرم فإنه شهر الله،
فيه يوم تاب فيه على قوم، ويتوب فيه على قوم آخرين. قال أبو عيسى: حديث حسن.

৭. সূরা ইউনূসের ৯২ নং আয়াতের আলোকে ফেরাউনের লাশ এখনো মিশরের জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকা কুরআনে কারীমের সত্যতার অন্যতম দলিল।

৮. আশুরার দিনে পরিবারের জন্য ওসাআত বা একটু ভালোভাবে খানার আয়োজন করা।
من وسع على عياله يوم عاشوراء وسع الله عليه في سائر سنته. رواه البيهقي، وقد اختلف في صحته.

কারবালার ঘটনা ও শিক্ষা
------------------------------------
১. হাররা ও কারবালার ঘটনায় ইয়াজিদ নিঃসন্দেহে ফাসেক, জালেম ও ঘৃণিত। তবে অনেক ইমাম তাকে লানত করতে নিষেধ করেছেন।

২. কারবালার প্রধান শিক্ষা হলো, কুরআন-সুন্নাহর সংবিধান সমাজ, রাষ্ট্র ও জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা।

৩. কারো ক্ষমতার দাপটের মুখেও সত্যের পথে অবিচল থাকা।

কিছু অসত্য ধারণা ও ভুল কাজ
----------------------------------------
১. কারবালার কারণে আশুরা সম্মানিত হয়নি। কেননা, কারবালার ঘটনা ৬১ হিজরীতে সংঘটিত হয়েছে, যা শরীয়ত পূর্ণ হওয়ার অর্ধশতাব্দী পর।
তবে হ্যাঁ, এই মহিমান্বিত দিনে কারবালা সংঘটিত হওয়ার কারণে হযরত হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাতের মর্যাদায় মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।

২. এই দিনে আদমের তওবা কবুল হওয়া, ইব্রাহিমের অগ্নিকুণ্ড থেকে মুক্তি লাভ করা, নূহের নৌকা জূদী পাহাড়ে গিয়ে স্থির হওয়া, ইউসুফ কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ইত্যাদি ঘটনা বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত নয়।
এছাড়া আশুরার দিন কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার হাদীসও প্রমাণিত নয়।

৩. ফেরাউন নীল নদে ডুবেনি, বরং লোহিত সাগরে।

৪. কারবালার ঘটনার কারণে মুহাররমে বিবাহ অশুভ মনে করা।

৫. আশুরার দিনে ওসাআত মানে মুরগি খাওয়া নয়। বরং যে কোনভাবেই একটু ভালোভাবে খেলেই হয়।

৬. ইয়াজিদের সমালোচনা করতে গিয়ে বা আহলে বাইতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে গিয়ে হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহুর সম্মানে আঘাত করা।

৭. হযরত হোসাইন রাদিয়াল্লাহুর নামের শুরুতে "ইমাম" শব্দ বলার প্রথা সম্ভবত শিয়াদের 12 ইমাম কনসেপ্ট থেকে এসেছে।

৮. আশুরার দিন তাজিয়া মিছিল বের করা।

৯. বুকে বা পিঠে আঘাত করা।
কারবালার ঘটনা পর থেকে ৩০০ বছর পর্যন্ত আশুরার দিন কান্নাকাটি, আহাজারি, চিৎকার ও বুক চাপড়ানোর প্রথার কোন অস্তিত্ব ছিল না। সর্বপ্রথম 352 হিজরীতে মুঈযুদ দাওলা দাইলামি নামক শিয়া আশুরার দিন শুধু বাগদাদে মাতম করার জন্য হুকুম জারি করে।

- সাঈদ আহমাদ হাফিজাহুল্লাহ

04/07/2025

বেশ কিছু বর্জনীয় বাক্য যা আমরা নিয়মিত বলে থাকি:
কিছু কিছু বাক্য ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক।

১. উপরে আল্লাহ নিচে আপনি ।
(নাউজুবিল্লাহ)

২. তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। (ফুল চন্দন হিন্দুদের পূজা করার সামগ্রী)।

৩. কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে (কেষ্ট হিন্দু দেবির নাম, তাকে পাবার জন্য কষ্ট করছেন?)

৪. মহাভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেলো?
(মহাভারত একটি উপন্যাস, যা সবসময় অশুদ্ধ)।

৫. মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
(এটি ইসলামের নামে কটুক্তি করা
নাউজুবিল্লাহ )।

৬. লক্ষী ছেলে, লক্ষী মেয়ে লক্ষী স্ত্রী বলা। (হিন্দুদের দেব-দেবির নাম লক্ষী তাই ইসলামে এটি বুঝে শুনে বলা মহা ভুল )।

৭. কোন ওষুধকে জীবন রক্ষাকারী বলা। (কারণ জন্ম-মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে)।

৮.নির্মল চরিত্র বোঝাতে ধোয়া তুলসি পাতা বলা (এটি অনইসলামিক পরিভাষা যা নিষেধ )।

৯. বিসমিল্লায় গলদ বলা
(এটি সরাসরি ঈমান বিরোধী বাক্য )।

১০. মৃত্যুর সাথে পান্জালড়া বলা
(কুফরি বাক্য,সতর্কতা জরুরী )।

১১. মধ্যযুগ বর্বরতা বলা
(মধ্যযুগ ছিল ইসলামের স্বর্ণযুগ)।

১২ . মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না
( ইসলাম ধ্বংসকারি কুফুরী কথা)।

১৩ . নামাজ না পড়লেও ঈমান ঠিক আছে বলা। (ইসলাম থেকে বের করার মূলনীতি) @

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার সঙ্গেই রয়েছে।’ -সূরা কাফ: ১৮। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, মানুষের সকল কথাই লিপিবদ্ধ করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা তা রেকর্ড করে নেয়। তাতে কোনো গোনাহ থাকুক বা না থাকুক।

আর হাদিসে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে সতর্ক করে বলেছেন, মুখের কথা খুবই বিপদজনক। এ বিষয়ে আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘বান্দা অনেক সময় এমন কথা বলে যাতে সে গুরুত্ব দেয়না অথচ সে কথা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে। ফলে আল্লাহতায়ালা এর দ্বারা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। পক্ষান্তরে, বান্দা অনেক সময় এমন কথাও বলে যাতে সে গুরুত্ব দেয়না অথচ সে কথা আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে। ফলে সে কথাই তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে।’ -সহিহ বোখারি: ৪৮৫

কাজেই কথা বলার সময় অত্যন্ত হিসাব করে, জেনে-বুঝে কথা বলতে হবে। মুখ আছে বলেই সব কথা বলা যাবে না। সর্বদা চেষ্টা করতে হবে উত্তম ও কল্যাণকর কথা বলার। যদি উত্তম কথা বলার উদ্দেশ্য বজায় রাখা সম্ভব না হয়, তবে চুপ থাকা ভালো এবং চুপ থাকাটাও একটি উত্তম কাজ। এ বিষয়ে হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং কিয়ামত দিবসে বিশ্বাস রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে, নয়তো চুপ থাকে। -সহিহ বোখারি: ৪৮২

জবান খুব সাবধানে ও সতর্কতার সাথে চালানোর চেষ্টা করি যদি তা খুব বেশি কষ্টকর মনে হয় তবে চুপ থাকি।

আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সঠিক বুঝদান করুন।
হিদায়াতের উপরে অটল রাখুন।

- সাইফ উদ্দীন হাফিজাহুল্লাহ

জীবনঘনিষ্ঠ সব প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাপ্তাহিক ইসলামী লাইভ অনুষ্ঠান সুওয়াল জাওয়াব এর ১৬৬তম পর্ব ।সবাই শেয়ার করতে পারি ইনশাআ...
30/06/2025

জীবনঘনিষ্ঠ সব প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাপ্তাহিক ইসলামী লাইভ অনুষ্ঠান সুওয়াল জাওয়াব এর ১৬৬তম পর্ব ।

সবাই শেয়ার করতে পারি ইনশাআল্লাহ।

লিংক
https://www.facebook.com/Adarsha.Nari/videos/1258710428973002

প্রতি সোমবার, রাত ৯টা। শুধুমাত্র মাসিক আদর্শ নারীর ফেসবুক পেইজে।
পেজ লিংক https://www.facebook.com/Adarsha.Nari/

সুওয়াল জাওয়াব মেসেঞ্জার চ্যানেলে জয়েন করুন
https://m.me/j/Abb5AhyWphznBQ-3/

30/06/2025

সরাসরি প্রশ্নোত্তর নিয়ে রাত ৯.১৫ এ লাইভে আসছি ইনশাআল্লাহ।
আপনার প্রশ্নটি রেডি তো?
🤲

Address

Rajarbag

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মাসিক আদর্শ নারী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মাসিক আদর্শ নারী:

Share

Category

মাসিক আদর্শ নারী

❇️ রুচি ও প্রগতির সমন্বয়ে এ যুগের মেয়েদের দ্বীনি মাসিক পত্রিকা। মাসিক আদর্শ নারী পড়ুন, লিখুন, প্রিয়জনদের উপহার দিন।

প্রতিষ্ঠাকাল : ১৯৯৪

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক : মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী

🏠 অফিস :