মাসিক আদর্শ নারী

মাসিক আদর্শ নারী বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামী মাসিক পত্রিকা
Most Popular Islamic magazine of BD
The Monthly Adarsha Nari
(260)

রুচি ও প্রগতির সমন্বয়ে এ যুগের মেয়েদের দ্বীনি মাসিক পত্রিকা।

06/08/2025

"তারা তোমাদের জন্য পোশাক এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাক।" ( সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৭)

এই আয়াতাংশটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের একটা সামারি। এই একটা বাক্যই দুনিয়ার জীবনে তাদের সম্পর্কের পুরো পিকচার ও বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছে।

পোশাক:

১। মানুষের সবচেয়ে ঘনিষ্টে থাকে
২। মানুষকে ঢেকে রাখে
৩। মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে
৪। মানুষের শরীরের মাপে খাপ খায়
৫। মানুষকে আরাম ও শান্তি দেয়

ঠিক স্বামী-স্ত্রী পরস্পরে:

১। সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন হবে
২। একে অপরের ত্রুটি- দূর্বলতা গোপন রাখবে

৩। একে অপরের চারিত্রিক, আদর্শিক ও সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে

৪। একে অপরের জন্য কম্প্রোমাইজ করে খাপ খেয়ে উঠবে

৫। সুকুন ও প্রাশান্তির আশ্রয়স্থল হবে

- ইফতেখার সিফাত

04/08/2025

ইমাম আবূ হানীফা রহঃ মৃত্যুর আগে তার সন্তান হযরত হাম্মাদ রহঃ কে যে বিশটি নসীহত করেছিলেন।

এর মাঝে ১৯ নং নসীহত ছিল পাঁচ লাখ হাদীস থেকে নির্বাচিত করা পাঁচটি হাদীসের উপর আমলের জন্য সন্তানকে উদ্ধুদ্ধ করা।

সেই পাঁচটি হাদীস হলো:


إنَّما الأَعمالُ بالنِّيَّات
আমলের সওয়াব নিয়তের উপর নির্ভরশীল। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১]


مِنْ حُسْنِ إِسْلاَمِ الْمَرْءِ تَرْكُهُ مَا لاَ يَعْنِيهِ
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক জনের ইসলামী সুন্দর গুনের অন্যতম হল অনর্থক বিষয় পরিত্যাগ করা। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৩১৭, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৯৭৬]


لا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
তোমাদের কেউ প্রকৃত মু‘মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৩, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৫১৫]


الْحَلاَلُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ، وَبَيْنَهُمَا مُشَبَّهَاتٌ لاَ يَعْلَمُهَا كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الْمُشَبَّهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِيِنِهِ وَعِرْضِهِ، وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ كَرَاعٍ يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى، يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَهُ‏.‏ أَلاَ وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى، أَلاَ إِنَّ حِمَى اللَّهِ فِي أَرْضِهِ مَحَارِمُهُ، أَلاَ وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ‏.‏ أَلاَ وَهِيَ الْقَلْبُ
হযরত নু’মান ইবনু বশীর রাঃ হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, ‘হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দেহজনক বিষয়- যা অনেকেই জানে না। যে ব্যক্তি সেই সন্দেহজনক বিষয়সমূহ হতে বেঁচে থাকবে, সে তার দ্বীন ও মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে। আর যে সন্দেহজনক বিষয়সমূহে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তার উদাহরণ সে রাখালের ন্যায়, যে তার পশু বাদশাহ্ সংরক্ষিত চারণভূমির আশেপাশে চরায়, অচিরেই সেগুলোর সেখানে ঢুকে পড়ার আশংকা রয়েছে। জেনে রাখ যে, প্রত্যেক বাদশাহরই একটি সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে। আরো জেনে রাখ যে, আল্লাহর যমীনে তাঁর সংরক্ষিত এলাকা হলো তাঁর নিষিদ্ধ কাজসমূহ। জেনে রাখ, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরো আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ, সে গোশতের টুকরোটি হল অন্তর। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৫৯৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৯৮৪]


عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ وَالْمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ مَا نَهَى اللهُ عَنْهُ
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সে-ই প্রকৃত মুসলিম, যার জিহবা ও হাত হতে সকল মুসলিম নিরাপদ এবং সে-ই প্রকৃত মুহাজির, আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তা যে ত্যাগ করে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১০, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪০]

দ্রষ্টব্য:
জামিউল উসূল ফীল আউলিয়া, শায়েখ জিয়াউদ্দীন আহমাদ বিন মুস্তাফাকৃত, পৃষ্ঠা-৩১২-৩১৩।
ওসিয়্যাতুল ইমাম আবী হানীফা লিইবনিহী হাম্মাদ-৭-৮।
বুস্তানুল মুহাদ্দিসীন, শাহ আব্দুল আজীজ দেহলবী রহঃ কৃত, পৃষ্ঠা-৮০-৮১।

- লুৎফর রহমান ফরায়েজী হাফিজাহুল্লাহ

01/08/2025

তুমি কি নবীজি ﷺ-কে স্বপ্নে দেখতে চাও?
তাহলে একটা উপদেশ বলছি, যা তোমার জীবনের ধারা পাল্টে দিতে পারে...

একজন ভালো মানুষ আমাকে একবার এই কথাগুলো বলেছিলেন। আমি তাঁকে জীবনে মাত্র একবারই দেখেছিলাম, কিন্তু তাঁর এই কথাগুলো আমার জীবনে অনেক বড় প্রভাব ফেলেছিল।

আমি একদিন বিদেশের এক মাসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। মাসজিদটি প্রায় খালি ছিলো, শুধু আমি আর এক তাজিক (তাজিকিস্তানের) লোক ছিলাম। লোকটির চেহারা ছিল সাধারণ, কিন্তু তাঁর মুখে এক ধরনের অদ্ভুত নূর (আলোকোজ্জ্বলতা) ছিলো।

আমি ইমাম হয়ে নামাজ পড়ালাম। নামাজ শেষে লোকটি ভাঙ্গা আরবিতে বললেন:
"তোমাকে একটা উপদেশ দিবো, এটি পালন করো।"
আমি বললাম, "বলুন।"
তিনি বললেন:
"তুমি প্রতিদিন এক হাজারবার নাবী ﷺ-র প্রতি দুরূদ পাঠ করো। এটি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ভাগ করে নিতে পারো। তুমি অবাক হবে যে কীভাবে তোমার জীবনে পরিবর্তন আসবে।"

তিনি আরও বললেন: "দেখো, তখন আর কোনো চিন্তা তোমাকে দমন করতে পারবে না, কোনো ঋণ তোমাকে কষ্ট দেবে না, আর প্রতিটি কষ্ট থেকে তুমি মুক্তি পাবে।
নবীজি ﷺ তোমাকে কিয়ামাতের দিনে চিনে ফেলবেন। কারণ, তোমার দুরূদ তাঁর কাছে পৌঁছাবে।"

চলে যাওয়ার আগে তিনি হেসে বললেন:
"তুমি তাঁকে স্বপ্নে দেখবে, 'কখনো তোমাকে শান্তনা দিতে, আবার কখনো সতর্ক করতে'।"

আর সবচেয়ে সুন্দর কথা হলো, আল্লাহ তাআলা যখন মু'মিনদেরকে নাবীর প্রতি দুরূদ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন, তার আগেই তিনি নিজে দুরূদ পাঠিয়েছেন:
"নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নাবী (সা.)-এর প্রতি দুরূদ পাঠান। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দুরূদ ও সালাম পাঠাও।" [সূরা আল-আহযাব, আয়াত-৫৬]

আমি সত্যিই সেই উপদেশ মানতে শুরু করলাম। প্রথম তিন বছর কিছুই দেখিনি। তবে আমার জীবন বদলে গেলো, সব কাজ সহজ হয়ে গেলো, আল্লাহর রহমাত ও নিরাপত্তা পেয়ে গেলাম।

এরপর ধীরে ধীরে নবীজি ﷺ-কে স্বপ্নে দেখতে শুরু করলাম। প্রতিটি স্বপ্নে ছিলো বিশেষ বার্তা, 'হয়তো কোনো গুনাহ থেকে সাবধান করা অথবা কোনো ভালো খবর দেয়া'।

আল্লাহর কসম:
আমি যাকে-ই এই উপদেশ দিয়েছি, সবাই-ই নবীজি ﷺ-কে স্বপ্নে দেখেছেন। কখনো সুসংবাদ নিয়ে, কখনো সতর্কবার্তা নিয়ে।

আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি:
যেকেউ প্রতিদিন ১০০০ বার দুরূদ শরীফ পড়বে, সে নিশ্চয়ই নবীজি ﷺ-কে স্বপ্নে দেখবে।

—শাইখ আহমাদ যায়দান (হাফিজাহুল্লাহ),মিশর।
—ভাষান্তর : ইয়াছিন আরাফাত, আল-আযহার ইউনিভার্সিটি,কায়রো ©

অনলাইনে নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সময় শেষ পর্যায়ে----------------------------------------------------------...
01/08/2025

অনলাইনে নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সময় শেষ পর্যায়ে
---------------------------------------------------------------------

নূরানী শিশু ট্রেনিং, নূরানী বয়স্ক ট্রেনিং ও নূরানী কুরআন শিক্ষা কোর্স পরিচালনায় পবিত্র কুরআন ও দ্বীনী আহকাম শিক্ষাদানের যোগ্যতা অর্জনের জন্য নূরানী মুয়াল্লিম ট্রেনিং গ্রহণ করা আবশ্যক। নূরানী পদ্ধতিতে পবিত্র কুরআনের খিদমতে আগ্রহী প্রত্যেক আলিমে দ্বীনের জন্য এই যোগ্যতা অর্জন অত্যন্ত জরুরী।

কিন্তু ব্যস্ততার কারণে মাদরাসায় গিয়ে সশরীরে নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং কোর্স করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। আবার মাদরাসায় যেতে পারলেও অনেকের খরচ বহনের সামর্থ নেই।

সবকিছু বিবেচনা করে ঘরে বসেই অনলাইনে উলামায়ে কিরামকে যোগ্য ও দক্ষ নূরানী শিক্ষক রূপে গড়ে তুলতে কওমী ইয়ুথ ক্লাব “অনলাইনে নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং” (আরবী-বাংলা-ইংরেজীসহ কম্পিট নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং) কোর্স ব্যবস্থাপনার বিশেষ এই আয়োজন করেছে সম্পূর্ণ ফ্রিতে--শুধু রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদানের মাধ্যম।

নূরানী তা‘লীমুল কুরআন ইনস্টিটিউটের পরিচালনায় এটা কওমী ইয়ূথ ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং-এর ৭ম ব্যাচ। এর আগে ৬টি ব্যাচ সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

উক্ত নুরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং পরিচালনা করবেন প্রবীণ প্রশিক্ষক-মুরুব্বী উস্তায, নুরানী তা‘লীমুল কুরআন ওয়াক্ফ এস্টেটের প্রবীণ প্রশিক্ষক এবং নূরানী তা‘লীমুল কুরআন ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক, মাসিক আদর্শ নারী সম্পাদক, উস্তাযুল আসাতিযা মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী (মুদ্দা জিল্লুহ)। হুজুরের কাছে নুরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং- শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার এটা সুবর্ণ সুযোগ ...

সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন :
মুফতী সাঈদ আল হাসান।

উক্ত নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিংয়ের এ ৭ম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস ইতোমধ্যে হয়ে গিয়েছে। উক্ত ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের ভিডিও-লিঙ্ক নিম্নে দেয়া হলো--

https://www.youtube.com/watch?v=odqTZyVOE50&t=17s

নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিংয়ের ৭ম ব্যাচের নিয়মিত ক্লাস শুরু হবে ৩ আগস্ট-২০২৫ ইং রবিবার থেকে ইনশাআল্লাহ। সপ্তাহে চারদিন ক্লাস হবে--শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার। ক্লাসের সময় : প্রতিদিন রাত ৯-৩০ থেকে ১১-০০ টা। মোট কোর্স ২ মাস ব্যাপী।

এ নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে পূর্বের শিক্ষার্থীদের ফিডব্যাক জানুন--

✅ ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিমত--
https://cutt.ly/RrUxnzCK

✅ ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিমত--
https://cutt.ly/jrUxnGHq

🛑 অন্যান্য তথ্য--

👉 কোর্সটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ! তবে রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবদ ৩৫০ টাকা প্রযোজ্য। যা আপনার সাথে যোগাযোগ, জুম খরচ, নেট বিল ইত্যাদি বাবদ ব্যয় হবে। আর কোর্স শেষে কওমী ইয়ূথ ক্লাবের পক্ষ থেকে জাতীয় তরুণ প্রজন্ম সম্মেলনে ফ্রি সনদ প্রদান করা হবে ইনশাআল্লাহ।

👉 কোটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ভর্তি হওয়ার জন্য এখনই ফরম পূরণ করে ফেলুন। আরো বিস্তারিত তথ্য ফরমে রয়েছে।

👉 নুরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিংয়ের ভর্তি ফরম লিংক নিম্নে দেয়া হলো :--

(রেফারেন্সের ঘরে 'মুফতি সাঈদ আল হাসান' লিখবেন।)

https://forms.gle/yKHkJdvKYT3xZSjE9
--মুফতী সাঈদ আল হাসান

জীবনঘনিষ্ঠ সব প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাপ্তাহিক ইসলামী লাইভ অনুষ্ঠান সুওয়াল জাওয়াব এর ১৬৮তম পর্ব ।সবাই শেয়ার করতে পারি ইনশাআ...
28/07/2025

জীবনঘনিষ্ঠ সব প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাপ্তাহিক ইসলামী লাইভ অনুষ্ঠান সুওয়াল জাওয়াব এর ১৬৮তম পর্ব ।

সবাই শেয়ার করতে পারি ইনশাআল্লাহ।

লিংক
https://www.facebook.com/Adarsha.Nari/videos/739604305484386

প্রতি সোমবার, রাত ৯টা। শুধুমাত্র মাসিক আদর্শ নারীর ফেসবুক পেইজে।
পেজ লিংক https://www.facebook.com/Adarsha.Nari/

সুওয়াল জাওয়াব মেসেঞ্জার চ্যানেলে জয়েন করুন
https://m.me/j/Abb5AhyWphznBQ-3/

28/07/2025

সরাসরি ইসলামী লাইভ প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান সুওয়াল জাওয়াব - পর্ব ১৬৮
জনপ্রিয় ইসলামী পত্রিকা 'মাসিক আদর্শ নারী' ও জামিয়া মারকাযুদ দুরুসের যৌথ আয়োজনে সাপ্তাহিক ইসলামী লাইভ প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান সুওয়াল জাওয়াব । পর্ব ১৬৮

উত্তর প্রদানে, মাসিক আদর্শ নারী সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী
https://www.facebook.com/mahasan.shamsabadi

সঞ্চালনায় মাসিক আদর্শ নারী সহযোগী সম্পাদক মুফতি সাঈদ আল হাসান।
https://www.facebook.com/said.al.hasan

প্রচারিত হয় প্রতি সোমবার রাত ৯টায়।
মাসিক আদর্শ নারী ফেসবুক পেইজে - https://www.facebook.com/Adarsha.Nari/

মারকাযুদ দুরুসের ওয়েবসাইট durus.us

28/07/2025

সরাসরি প্রশ্নোত্তর নিয়ে রাত ৯.৩০টায় লাইভে আসছি ইনশাআল্লাহ।
আপনার প্রশ্নটি রেডি তো?
Like, Comment, Share🤲

গতকাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটে) মুফতি তারেক মাসুদের দেওয়া বক্তব্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশঃ১। ইসলাম...
25/07/2025

গতকাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটে) মুফতি তারেক মাসুদের দেওয়া বক্তব্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশঃ

১। ইসলাম জাতি-রাষ্ট্র বোঝে না, ধর্মের ওপর সম্প্রীতি ইসলামে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

২। তোমরা নেশাজাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাক।

৩। মদের মতো একটা বস্তু মুসলমানরা ১৪০০ বছর ধরে বর্জন করেছে শুধুমাত্র আল্লাহ ও তার রাসুলের নির্দেশনা মেনেই। আর কোনো আদর্শ মানুষকে এটা থেকে বিরত রাখতে পারে না।

৪। নামাযকে খুব গুরুত্বের সাথে আদায় করতে হবে।

৫। বাবা-মায়ের মতো সন্তানকে কেউ ভালোবাসে না। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাবা- মায়ের দায়িত্ব তোমাদের ওপরেই।

৬। দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জনে ইসলাম কখনোই বাঁধা দেয় না। উদাহরণস্বরূপ ইসলামে মানুষের জীবন রক্ষা করা অনেক বড় সওয়াব। শুধু আল্লাহকে সন্তুষ্টির নিয়তে সব করতে হবে। সেই হিসেবে ডাক্তাররা অনেক বেশি নেকি হাসিল করে।

৭। গুনাহের চিন্তা মাথায় আসা খারাপ না, বরং যারা আল্লাহকে সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নফসের ইচ্ছা কে নিয়ন্ত্রণ করে তারাই সর্বোত্তম। নাচ-গান, কনসার্টের প্রসঙ্গে এ কথা বলেন।

৮। তোমরা বিবাহ-বর্হিভূত অবৈধ সম্পর্ক (যেনা) এর ধারে কাছেও যেও না। বরং কম বয়সে বিবাহ করাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম। আল্লাহ নিজে বলেছেন তোমরা বিবাহ করো, যদি তোমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপও হয়, আমি আল্লাহ আমার রহমত দ্বারা তোমাদেরকে ধনী বানায়ে দেব। আর বিবাহ ব্যতীত এই হারাম থেকে বাঁচার আর কোনো উপায়ও নাই। এপ্রসঙ্গে উনি রসিকতা করে বলেন মুফতি সাহেবের কাছে অবিবাহিত অবসরপ্রাপ্ত একজন বয়স্ক ব্যক্তি পাত্রীর জন্য এসেছিলেন। তখন উনি মজা করে বলেছিলেন আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করেন আর বিয়ে করা লাগবেনা।

৯। কুরআনে অনেক কিছু সরাসরি বলা নাই, কিন্ত উদাহরণ হিসেবে দেওয়া। সেখান থেকেই আমাদের জন্য হাদিসে বিস্তারিতভাবে নিয়ম প্রণয়ন করে। যেমন, কুরআনে বলা নাই সরাসরি বাবা- মায়ের সাথে ভালো ব্যবহার করো, কিন্তু এটা বলা তারা যেন উহু শব্দটুকুও না করে বিরক্ত হয়ে। এখান থেকেই হাদিসে পিতামাতার প্রতি কেমন আচরণ হবে তার ওপর বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা।

১০। একটা মাসআলা সেটা হলো অভিভাবক ছাড়া মেয়েদের বিবাহ। মুফতি সাহেব বলেন, তিন ইমাম এটার বিরুদ্ধে। কিন্তু ইমাম আবু হানিফা এটার পক্ষে কারণ তিনি কোনো মাসআলা দেওয়ার আগে একাধিক হাদিস যাচাই বাছাই করতেন। রেফারেন্সঃ একজন নারী আল্লাহর রাসুল(স:) এর নিকট বিবাহের উদ্দেশ্যে গেলে আল্লাহর রাসুল (সঃ) তাকে একজন সাহাবির সাথে বিয়ে দিয়ে দেন এবং এক্ষেত্রে তিনি অভিভাবকের মতামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন নি। মেয়েদের জানের মালিক মেয়ে নিজে। সে নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তবে মুফতি সাহেব এটাকে পছন্দনীয় না এবং এটা প্রমোট না করাকেই উত্তম হিসেবে অভিহিত করেছেন।

১১। মুফতি সাহবে বললেন এদেশের উপর তো আল্লাহর অনেক রহমত আছে। গতকাল রাতে যে পরিমাণ বৃষ্টি দেখলাম, আমি আমার জীবনে এত বৃষ্টি দেখিনি। রসিকতা করে বললেন করাচিতে একরাত এমন বৃষ্টি হলে পরেরদিন নিউজ আসবে তারেক মাসুদ সাহেব আর দুনিয়াতে নাই।

১২। তোমরা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়ো, গতকাল বুয়েট সম্পর্কে শুনলাম , তোমাদেরকে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে, তোমরা বুঝলে এই জাতি বুঝবে, না হলে সাধারণ মানুষের কাছে ইসলাম কখনোই ভালোভাবে পৌঁছাবে না৷

১২। সবসময় মনে রাখবা, সাহায্যকারী একমাত্র আল্লাহ্। আল্লাহ্ ছাড়া কখনোই কারো কাছে সাহায্য চাইবা না। এই মর্মে উর্দুতে একটা স্লোগান(নারা) দিয়েছিলেন।

১৩। আল্লাহর রাসুল (স:) এর দেওয়া মোটিভেশনই আমাদের জন্য সর্বোত্তম।

সংগহ: আব্দুল্লাহ আল মারূফ

অনলাইনে বিনামূল্যে নুরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং কোর্স এবং বিনামূল্যে সনদ----------------------------------------------------...
24/07/2025

অনলাইনে বিনামূল্যে নুরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং কোর্স এবং বিনামূল্যে সনদ
-------------------------------------------------------------------------

নুরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং-এর প্রবীণ প্রশিক্ষক-মুরুব্বী উস্তায, নুরানী তা‘লীমুল কুরআন ওয়াক্ফ এস্টেটের প্রবীণ প্রশিক্ষক এবং নূরানী তা‘লীমুল কুরআন ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক, মাসিক আদর্শ নারী সম্পাদক, উস্তাযুল আসাতিযা মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী (মুদ্দা জিল্লুহ) হুজুরের কাছে নুরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং- শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার সুবর্ণ সুযোগ ...

----------------------------------------------------------

নূরানী শিশু ট্রেনিং, নূরানী বয়স্ক ট্রেনিং ও নূরানী কুরআন শিক্ষা কোর্স পরিচালনায় পবিত্র কুরআন ও দ্বীনী আহকাম শিক্ষাদানের যোগ্যতা অর্জনের জন্য নূরানী মুয়াল্লিম ট্রেনিং গ্রহণ করা আবশ্যক। নূরানী পদ্ধতিতে কুরআন খিদমতে আগ্রহী প্রত্যেক আলিমে দ্বীনের জন্য এই যোগ্যতা অর্জন অত্যন্ত জরুরী।

কিন্তু ব্যস্ততার কারণে মাদরাসায় গিয়ে সশরীরে নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং কোর্স করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। আবার মাদরাসায় যেতে পারলেও অনেকের খরচ বহনের সামর্থ নেই।

সবকিছু বিবেচনা করে ঘরে বসেই অনলাইনে উলামায়ে কিরামকে যোগ্য ও দক্ষ নূরানী শিক্ষক রূপে গড়ে তুলতে কওমী ইয়ুথ ক্লাব “অনলাইনে নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং” (আরবী-বাংলা-ইংরেজীসহ কম্পিট নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং) কোর্স ব্যবস্থাপনার বিশেষ এই আয়োজন করেছে।

নূরানী তা‘লীমুল কুরআন ইনস্টিটিউটের পরিচালনায় এটা কওমী ইয়ূথ ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং-এর ৭ম ব্যাচ। এর আগে ৬টি ব্যাচ সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিংয়ের এই ৭ম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস ইতোমধ্যে হয়ে গিয়েছে। উক্ত ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের ভিডিও-লিঙ্ক নিম্নে দেয়া হলো--

https://www.youtube.com/watch?v=odqTZyVOE50&t=17s

নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিংয়ের ৭ম ব্যাচের নিয়মিত ক্লাস শুরু হবে ৩ আগস্ট-২০২৫ ইং রবিবার থেকে ইনশাআল্লাহ। সপ্তাহে চারদিন ক্লাস হবে--শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার। ক্লাসের সময় : প্রতিদিন রাত ৯-৩০ থেকে ১১-০০ টা। মোট কোর্স ২ মাস ব্যাপী।

নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং ক্লাস পরিচালনা করবেন :
মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী

সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন :
মুফতী সাঈদ আল হাসান।

অত্র নূরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে পূর্বের শিক্ষার্থীদের ফিডব্যাক জানুন--

✅ ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিমত--
https://cutt.ly/RrUxnzCK

✅ ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিমত--
https://cutt.ly/jrUxnGHq

🛑 অন্যান্য তথ্য--

👉 কোর্সটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ! তবে রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবদ ৩৫০ টাকা প্রযোজ্য। যা আপনার সাথে যোগাযোগ, জুম খরচ, নেট বিল ইত্যাদি বাবদ ব্যয় হবে। আর কোর্স শেষে কওমী ইয়ূথ ক্লাবের পক্ষ থেকে জাতীয় তরুণ প্রজন্ম সম্মেলনে ফ্রি সনদ প্রদান করা হবে ইনশাআল্লাহ।

👉 কোটা খুবই সীমিত। ভর্তি হওয়ার জন্য এখনই ফরম পূরণ করে ফেলুন। আরো বিস্তারিত তথ্য ফরমে রয়েছে।

👉 নুরানী মু‘আল্লিম ট্রেনিংয়ের ভর্তি ফরম লিংক নিম্নে দেয়া হলো :--

(রেফারেন্সের ঘরে 'মুফতি সাঈদ আল হাসান' লিখবেন।)

https://forms.gle/yKHkJdvKYT3xZSjE9
--মুফতী সাঈদ আল হাসান

24/07/2025

নবিজির তিন ছেলেই শৈশবে মৃত্যু বরণ করেন। প্রথম দুই ছেলের জন্ম হয়েছিল মক্কায় হজরত খাদিজার (রা.) গর্ভে। নবিজির (সা.) প্রথম ছেলের নাম ছিল কাসেম। তিনি নবিজির (সা.) প্রথম সন্তান। তার নামেই নবিজির কুনিয়ত হয় ‘আবুল কাসেম।’ কাসেম শিশু অবস্থায় মারা যান। অনেকের মতে মৃত্যুর আগে তিনি বাহনে চড়ার বয়সে পৌঁছেছিলেন।

নবিজির দ্বিতীয় ছেলে আব্দুল্লাহর জন্ম অনেকের মতে রাসুলের (সা.) নবুয়ত লাভের পরে, অনেকের মতে নবুয়ত লাভের আগেই তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার লকব বা উপাধি/ উপনাম ছিলো তাইয়িব ও তাহির। তিনিও শিশু অবস্থায় মক্কায় মৃত্যুবরণ করেন।

নবিজির তৃতীয় ছেলে ইবরাহিমের জন্ম হয় মদিনায় ৮ম হিজরীতে। নবিজির (সা.) দাসী মারিয়া আল-কিবতিয়ার গর্ভে তার জন্ম হয়েছিল। আল্লাহর সম্মানিত নবি ও খলিল হজরত ইবরাহিমের নামে নবিজি (সা.) তার নাম রাখেন ‘ইবরাহিম’। হাদিসে এসেছে, ছেলে ইবরাহিমের (আ.) জন্মের প্রথম দিনই তিনি তার নাম রেখেছিলেন। ইবরাহিমের জন্মের দিনই রাসুল (সা.) সাহাবিদের বলেছিলেন, গত রাতে আমার একটি ছেলে হয়েছে, আমি তার নাম আমার বাবা ইবরাহিমের নামে রেখেছি। (সহিহ মুসলিম)

ইবরাহিমও খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়েন। ইবরাহিমকে উম্মে সাইফ নামের একজন ধাত্রীর কাছে রাখা হয়েছিল, যিনি ছিলেন লৌহকার আবু সাইফের স্ত্রী। নবিজি (সা.) প্রায়ই অনেক পথ হেঁটে মদিনার শহরতলিতে অবস্থিত আবু সাইফের বাড়িতে ইবরাহিমকে দেখতে যেতেন। তাকে কিছুক্ষণ কোলে রেখে আদর করতেন।

ইবরাহিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। নবিজিকে (সা.) খবর দেওয়া হয় ইবরাহিম সম্ভবত আর বেশিক্ষণ বাঁচবেন না। এই সংবাদে তিনি অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়েন। আবদুর রহমান ইবনে আউফের হাত ধরে তিনি ইবরাহিমকে দেখতে যান।

ইবরাহিমকে যখন তার কোলে দেওয়া হয়, তখন ইবরাহিম শেষ কিছু নিশ্বাস নিচ্ছিলেন। নবিজি (সা.) ইবরাহিমকে নিজের কোলে নিয়ে তার হাত ধরে নাড়তে থাকলেন। তার চেহারা কষ্টে বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কান্নারুদ্ধ গলায় তিনি শুধু বললেন, ইবরাহিম! আল্লাহর ফয়সালার বিরুদ্ধে আমরা কিছুই করতে পারি না।

নবিজির (সা.) চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো। তার মা ও খালাও কাঁদতে লাগলেন। নবিজি (সা.) তাদের কান্না থামাতে বললেন না।

ইবরাহিম যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন, তখন নবিজি (সা.) চোখে অশ্রু নিয়ে মৃত শিশুটিকে বললেন, ইবরাহিম! যদি এটা সত্য না হত যে আমরা সবাই একদিন একে অপরের সাথে মিলিত হবো, তাহলে আমরা তোমার জন্য আরো বেশি শোক করতাম!

এরপর তিনি বললেন, চোখ অশ্রু ঝরায়, হৃদয় শোকাহত হয়, কিন্তু আমরা শুধু তাই বলি যা আমাদের রব পছন্দ করেন। হে ইবরাহিম! তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত!

- ফারুক ফেরদৌস

22/07/2025

মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ আমার বাসার পাশেই। এখান থেকেই আমার ছেলে ইন্টার পাশ করেছে। সারেজমিনে যেয়ে যা দেখলাম, যা বুঝলাম:

১. এটা শ্রেফ একটা দূর্ঘটনা। এখানে বিমান বাহিনী কিংবা স্কুল কতৃপক্ষের কোন দোষ নাই। তবে ঢাকার মত একটা জনবহুল রাজধানীতে কেন বিমান চালানো প্রশিক্ষণ নিতে হবে, সে ব্যাপারে কতৃপক্ষের সুস্পষ্ট জবাব দিতে হবে। এবং স্কুলটি যদি সত্যিই বিমান উড্ডয়নের পথে হয়ে থাকে তবে ভবনটি অতি দ্রুত ভেঙ্গে দিতে হবে।

২. উৎসুক জনতার ভিড়ে চিকিৎসা সেবা এবং পরিবহন ব্যাবস্থা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে সাহায্যেও এগিয়ে এসেছে প্রচুর মানুষ। রক্ত দেওয়ার জন্যও অনেকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে ছিল।

৩. ঘটনা ঘটার খুব অল্প সময়ের মধ্যে সেখানে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীর রেসকিউ টিম সহ প্রশাসনের সব বিভাগ একযোগে উদ্ধার কাজে ঝাপিয়ে পড়ে। সবার আন্তরিকতা ছিল প্রশ্নাতীত।

৪. ৫০ টাকার রিক্সা ভাড়া ২০০ টাকা কিংবা ২০ টাকার পানি ৪০০ টাকা বলে যে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে তা মিথ্যা। দু-এক জন এমন করলেও করতে পারে, তবে বেশিরভাগ রিক্সা এবং ভ্যান চালক বিনা পয়সায় আহত নিহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে। আশেপাশের অনেক দোকান এবং প্রতিষ্ঠান ট্রাকে করে ভ্যানে করে প্রচুর পানির বোতল পৌঁছে দিয়েছে।

৫. পুরো ঘটনার বিশালতা এতই ব্যাপক যে স্কুল কতৃপক্ষ, অভিভাবক এবং উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিরা শুরুতে কি করতে হবে সেটা বুঝে উঠতেই কিছুটা সময় লেগে যায়। যার জন্য শুরুতে কিছুটা এলোমেলো হলেও পরে তা ঠিক হয়ে যায়।

৬. মৃতের সংখ্যা নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সংখ্যা গোপন করার কোন চেষ্টা করা হচ্ছে না। এটা দূর্ঘটনা, কোন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড না। দূর্ঘটনার পরপরই যে যেভাবে পারে আহতদের আশেপাশের হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে যাদের অবস্থা সিরিয়াস তাদের ঢাকা মেডিকেল এবং এর পাশেই অবস্থিত বার্ণ ইন্সটিটিউটে নেওয়া হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করায় প্রাথমিকভাবে তাদের নাম ঠিকানা যোগাড় করা সম্ভব হয়ে উঠেনি, এছাড়া পরিচয় পত্র পুড়ে যাওয়ায়ও শুরুতে তাদের শনাক্ত করা যায়নি। আজ দুপুরের মধ্যে এটার সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।

৭. এই ঘটনার সাথে ডা. সামন্ত লাল কে টেনে আনা অপ্রাসঙ্গিক। বার্ণ ইন্সটিটিউট একটা বিশেষায়িত হাসপাতাল। আগুনে পোড়া রোগীদের জন্য এশিয়ার সবচেয়ে ওয়েল ইকুইপ্টড হাসপাতাল। তবে সামন্ত লালের অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে কাজে লাগানোর সুযোগ থাকলে সেটা নেওয়া যেতে পারে।

৮. আজ সকালে দেখলাম স্কুলের সামনে কিছু ছাত্র এবং কিছু জনসাধারণ লাশ গোপন নিয়ে নানা ধরনের উত্তেজক শ্লোগান দিচ্ছে। তাতে মনে হচ্ছে অচিরেই এটি রাজনৈতিক দিকে ধাবিত হচ্ছে। সুযোগ সন্ধানীদের লাশ নিয়ে রাজনীতি এদেশে নতুন নয়। এটাকে রুখতে হবে।

৯. যেহেতু এই দূর্ঘটনার সাথে বিমান বাহিনী সরাসরি জড়িত, তাই আশা করা যায়, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে। এবং সেটাই উত্তরাবাসীর চাওয়া।

১০. উত্তরার জামাত এবং বিএনপির অনেক নেতা কর্মীকে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে উদ্ধার কাজে সহয়াতা এবং হাসপাতাল গুলোতে রক্ত দেওয়ার কাজে সহায়তা করতে দেখেছি। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশও ছিল।

১১. কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশংকাজনক। নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে। আর যারা বেচে আছে, তাদের সারাজীবন এর ভার বইতে হবে।

১২. আগুনে পোড়া বাচ্চাদের দেখলে কোন মানুষের পক্ষেই স্বাভাবিক থাকা সম্ভব না। খালি কল্পনা করুন আপনার একটা আঙ্গুলের অগ্রভাগ পুড়ে গেছে, যা সমস্ত শরীরের আধা পারসেন্টও না। অথচ ওদের অনেকের শরীর ৭০ ভাগেরও বেশি পুড়ে গেছে। ওদের কষ্ট আপনার কল্পনার চেয়েও ভয়ংকর।

- ওয়াকিল রহমান

Address

১১/১, পুরানা পল্টন লাইন (এরিস্টো ফার্মার পাশে), ঢাকা-১০০০
Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মাসিক আদর্শ নারী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মাসিক আদর্শ নারী:

Share

Category

মাসিক আদর্শ নারী

❇️ রুচি ও প্রগতির সমন্বয়ে এ যুগের মেয়েদের দ্বীনি মাসিক পত্রিকা। মাসিক আদর্শ নারী পড়ুন, লিখুন, প্রিয়জনদের উপহার দিন।

প্রতিষ্ঠাকাল : ১৯৯৪

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক : মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী

🏠 অফিস :