Sabekun Nahar

Sabekun Nahar To teach the Nation Ethical culture and Humanity to sustained a co-operative society.

স্বাধীনতা মানে শুধু বিজয় নয়, একটি জাতিসত্তার পূর্ণ প্রতিষ্ঠাI.১৯৭১ সালে বাংলাদেশ দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের ...
19/05/2025

স্বাধীনতা মানে শুধু বিজয় নয়, একটি জাতিসত্তার পূর্ণ প্রতিষ্ঠা

I.

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। এই যুদ্ধ ছিল শুধু ভূখণ্ডের নয়, ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার জন্য অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
এই মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের সহায়তা ছিল বাস্তব ও কৌশলগত। বিশেষত, পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যা থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো এবং প্রায় ১ কোটিরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে ভারত মানবিকতার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

বাংলা‌দেশ স্বাধীনতা পেয়েও পূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়নি? —কারণ বিভাজন ছিল অন্তর্নিহিত

স্বাধীনতার পর, যে রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল, তা ছিল একটি ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক এবং জাতীয়তাবাদ-ভিত্তিক রাষ্ট্র। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই রাষ্ট্র কাঠামোতে যে সামাজিক ও রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজন ছিল, তা গড়ে ওঠেনি। বরং সেই সময় থেকেই দুটি বিপরীতধর্মী রাজনৈতিক ধারা বিকাশ পেতে থাকে:

‍১. মুক্তিযুদ্ধ-সমর্থিত গোষ্ঠী

যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতকে একজন মুক্তিদাতা ও বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে। এ গোষ্ঠী ধর্মনিরপেক্ষতা ও প্রগতিশীল চিন্তার পক্ষে অবস্থান নেয়।

২. মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী গোষ্ঠী

এই গোষ্ঠী পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গণহত্যার সহযোগী ছিল। তারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছিল। মসজিদ-মাদ্রাসা ধ্বংস ক‌রেও মিথ্যাচার করে তারা ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়। তারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে চলেছে এবং ভারতবিরোধিতা ও 'ধর্মপ্রাণ মুসলমান' বিরোধিতার নামে রাজনৈতিক চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে।

৫৪ বছর পরও বিভাজন??
ভারত বনাম পাকিস্তান প্রসঙ্গ আজও বাংলাদেশের রাজনীতিতে কার্যকর

আজকের বাংলাদেশে দেখা যায়:

একদল ভারতকে আজও কৃতজ্ঞতার চোখে দেখে, আরেকদল ভারতকে চিরশত্রু হিসেবে গালি দেয়।

একদল ইসলামের নামে পাকিস্তানি ভাবধারাকে পুনরুজ্জীবিত করতে চায়, আরেকদল ধর্মকে অরাজনৈতিক রাখতে চায়।

একদিকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মবিশ্বাসকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে বিভাজন তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ভারতবিরোধী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হচ্ছে।

প্রশ্ন হলো, তাহলে বাংলাদেশ কি সত্যিই স্বাধীন?

স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ তখনই বাস্তবায়িত হয় যখন:

‍রাষ্ট্র নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন দূর করতে পারে,

‍ধর্ম, ভাষা বা গোষ্ঠীগত পরিচয়কে ব্যবহার করে কেউ রাজনীতি করতে না পারে,

‍একটি পূর্ণাঙ্গ “স্বাধীন চেতা জাতীয় চরিত্র” গড়ে ওঠে।

বাংলাদেশ সেই জায়গায় এখনো পৌঁছাতে পারেনি। এখনো পাকিস্তানি ভাবধারা ও ভারতবিরোধিতার নামে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে ধর্মব্যবসা ও রাজনৈতিক মেরুকরণ চলছে। আর এর মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রকৃত ইসলামের মানসিকতা কোণঠাসা।

II. স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব বাতিল একমাত্র সমাথান স্কাধীনতার ফল‌ভোগ করাঃ

১. সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ নয়। বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা ও ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলে:

“এই সংবিধানই হবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন, এবং বাংলাদেশের মালিক হবে জনগণ।”

এবং ৮(২) ধারায় বলা হয়েছে:

“মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি।

অর্থাৎ, স্বাধীনতার বিরোধিতা করা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা বা সংবিধান বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করা।

২. মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার অতীতে পদক্ষেপ নিয়েছে

(ক) রাজাকার/আলবদর চিহ্নিতকরণ ও বিচার

২০০৯ সালে “আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩” এর আওতায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়।

অনেকেই ফাঁসির দণ্ড পেয়েছেন; কারও কারও নাগরিক মর্যাদা কার্যত বাতিল হয়েছে (যেমন: একাধিক রাজনীতিবিদের রাষ্ট্রীয় পদবি বাতিল)।

(খ) স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা

২০২০ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০,৭৮৯ জন রাজাকারের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে।

যদিও এটি চূড়ান্ত নয়, তবে এটি একটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃত প্রক্রিয়া—যা আইন ও প্রশাসনের দিক থেকে বড় পদক্ষেপ।

৩. আন্তর্জাতিক নজির: রাষ্ট্রবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের নাগরিকত্ব বাতিল

বিশ্বের বহু রাষ্ট্রে স্বাধীনতা বা সংবিধানবিরোধী কার্যকলাপে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ক) ভারত:

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন “মুসলিম লীগ” নিষিদ্ধ হয়।

পাকিস্তানপন্থী বা কাশ্মীর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত নাগরিক অধিকার সীমিত করা হয়।

(খ) জার্মানি:

নাৎসি আদর্শকে সমর্থনকারী সংগঠন বা ব্যক্তি চিহ্নিত হলে নাগরিকত্ব ও রাজনৈতিক অধিকার বাতিল হয়।

(গ) রুয়ান্ডা:

গণহত্যা বিরোধী আইন অনুযায়ী যারা তুৎসি জনগণের বিরুদ্ধে ১৯৯৪ সালের হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয়, তারা আজীবন রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে গণ্য হয়।

৪. বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী সমাধান কী হতে পারে?

The Bangladesh Citizenship Act, 1951 (with amendments) অনুসারে—

ধারা ১৬(২):
“যে ব্যক্তি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা স্বার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কাজ করে, তার নাগরিকত্ব সরকার বাতিল করতে পারে।”

প্রস্তাবযোগ্য আইনি ব্যবস্থা:

১. "স্বাধীনতাবিরোধী নাগরিকত্ব বাতিল আইন" (প্রস্তাবিত)

যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত বা রাষ্ট্র স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের নাগরিকত্ব বাতিল।

কেউ বসবাস করলে তাঁকে "রাষ্ট্রবিহীন ব্যক্তি (Stateless Resident)" হিসেবে অস্থায়ী ভিসা বা নিয়ন্ত্রিত অধিকার দিয়ে রাখার বিধান।

২. "গণপরিচয় যাচাই আইন"

জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা ও সরকারি চাকরিতে স্বাধীনতাবিরোধীদের অন্তর্ভুক্তি নিষিদ্ধ করা।

৫. মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ক ভারসাম্য

কিছু আন্তর্জাতিক কনভেনশন (যেমন: UN Convention on Statelessness) রাষ্ট্রকে নাগরিকত্বহীন করে ফেলা থেকে বিরত থাকতে বলে। তবে ব্যতিক্রম রয়েছে—

রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকিতে থাকলে রাষ্ট্র এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে।

দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব বাতিল আন্তর্জাতিক আইনেও বৈধ বলে গণ্য।

সুতরাং, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে রাষ্ট্রীয় অবস্থান সুদৃঢ় করতে হলে—

১. স্বাধীনতাবিরোধীদের নাগরিকত্ব ও অধিকার হরণ একটি ন্যায্য ও আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা
২. এর মাধ্যমে জাতিকে বিভাজন ও সংঘাত থেকে বাঁচানো সম্ভব
৩. রাষ্ট্র, সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের সম্মান রক্ষার জন্য এটিই সময়োপযোগী নীতিগত পদক্ষেপ

স্লোগান হিসেবে বলা যায়:

“যে এই দেশের জন্মের বিরোধিতা করেছে, সে এই দেশের মালিক হতে পারে না।”
“বাংলাদেশ হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাষ্ট্র, বিভাজনের নয়।”

আরও পড়ুন: https://www.news24bd.tv/details/222011

07/05/2025
07/05/2025

বাংলাদেশে সুন্নী কমিউনিটি হিসেবে পরিচিত পীর, খানকা ও তরিকতপন্থি একটি অংশ আজ ঢাকায় "আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্যমঞ্চ"-এর ব্যানারে বিশাল সমাবেশ করেছে।

আমি তাদের ঘোষণাপত্রও পড়েছি। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হলো, সুন্নী কমিউনিটির তরুণ প্রজন্ম তাদের ঘোষণা পত্রে স্পষ্ট "জুলাই" ধারণ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।

হ্যাঁ এই কমিউনিটির চট্টগ্রাম-কেন্দ্রিক কিছু অংশের নেতারা ফ্যাসিবাদী লীগের দালালি করেছিল৷ বিশেষ করে চট্টগ্রামের জামেয়া মাদ্রাসা, মাইজভাণ্ডার শরীফ এবং ফরিদপুরের আটরশি দরবারের অনেকের সাথে আগে থেকেই লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল।

সমাজের কিছু বাস্তবতা আমাদের মানতে হয়— সবাই ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। যেমন কওমি অঙ্গনে সবাই তো জুনায়েদ বাবুনগরী হতে পারেনি, অনেকেই আনাস মাদানির মতো পথও বেছে নিয়েছিল।

তবে সুন্নী কমিউনিটির আজকের এই অবস্থানকে আমরা স্বাগত জানাই। তারা গাজা, ভারতীয় আধিপত্য ও রাখাইনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে— এটা বিশাল অর্জন।

আমি বলেছিলাম বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সব ফ্রন্টে জয়-বাংলা হয়ে যাবে। দেখুন লীগ তাদের দীর্ঘদিনের অনেক মিত্র হারিয়ে ফেলছে। সবাই জুলাইকে ওন করছে এবং রেন্ডিয়াকে না করে দিচ্ছে।

আমাদের অনুরোধ থাকবে, দেশমাতৃকা এবং জুলাই নিয়ে সুন্নী কমিউনিটি যেন এভাবেই জাতির পাশে থাকেন। জুলাই সবার, আর আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামও সবার।

ফ্রম দ্য রিভার
টু দ্য সি
ফালিস্তিন উইল ব্রি ফ্রী

ইনকিলাব জিন্দাবাদ

07/05/2025

অবিভক্ত পাকিস্তানের দুই অংশের- দুই গোয়েবলস!
নির্লজ্জ মিথ্যাচার কাকে বলে এদের কাছ থেকে শিখতে পারবেন!
আশা করি একজনের কথা বলার প্রয়োজন নেই, তার মিথ্যাচার রাত দিন ২৪ ঘণ্টায় চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু অপরজন বিমান চলাচল বন্ধ থাকলেও মিসাইল মে'রে বিমান ধ্বং'স করে ফেলেন, যুদ্ধবিমান সীমান্তে না ঢুকলেও তা কল্পনায় বিধ্বস্ত করে ফেলেন!😃

২০২১-এর মার্চে চট্টগ্রাম, যখন শান্তির ধর্মকে লাঞ্ছিত করা হলোতারিখ: ২৬-২৭ মার্চ, ২০২১স্থান: চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক, হা...
07/05/2025

২০২১-এর মার্চে চট্টগ্রাম, যখন শান্তির ধর্মকে লাঞ্ছিত করা হলো

তারিখ: ২৬-২৭ মার্চ, ২০২১
স্থান: চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক, হাটহাজারী
ঘটনা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলাম ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ঘটে যায় বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ও বর্বর সড়ক তাণ্ডব।

প্রতিবাদ নয়, পরিকল্পিত পৈশাচিকতা

হেফাজতের ডাকা দুই দিনের অবরোধ এক পর্যায়ে রূপ নেয় জনদুর্ভোগ ও সহিংসতার উৎসবের।

মহাসড়ক নয়, যেন যুদ্ধক্ষেত্র: রাস্তায় ১ ফুট ড্রেন কেটে ৫ ফুট উঁচু দেয়াল তুলে দেয়া হয়েছিল যাতে অ্যাম্বুলেন্স, খাদ্যবাহী ট্রাক, ফায়ার সার্ভিস—কোনও কিছু চলতে না পারে।

অসুস্থ রোগী, শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী মানুষের জন্য এই অবরোধ ছিল এক অভিশাপ। দুই দিনে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অসহনীয় দুর্ভোগে পড়ে।

দোকানপাট ভাঙচুর, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষদের ওপর হামলা— এসব যেন ঈমানের বাহাদুরি হয়ে উঠেছিল!

এই কি ইসলাম? এই কি রাসুলের (সা.) পথে হাঁটা?

এই সন্ত্রাসীরা দাবি করে তারা "ধর্মপ্রাণ মুসলমান", অথচ ইসলাম স্পষ্ট বলে:

> "আল্লাহ ভালোবাসেন না ফাসাদকারীদের।"
(সূরা কাসাস, ২৮:৭৭)

রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কায় ছিলেন নির্যাতিত, কিন্তু কখনো কোনো পথ কেটে, কারও জানমাল হুমকির মুখে ফেলে প্রতিবাদ করেননি। বরং তিনি সহনশীলতা ও শান্তির পথ দেখিয়েছেন।

কিন্তু হেফাজত কী করল?

ইসলামের নামে চরমপন্থা ছড়িয়ে দিল

শিশু-কিশোরদের হাতে ইট-পাটকেল তুলে দিল

আর যাদের ভিন্নমত, তাদের নাস্তিক, মুরতাদ, তাগুত ট্যাগ দিয়ে হত্যার মতলব করল

আরও দ্বিচারিতা: মোদিকে গালি, পরে তালি?

যে মোদির বিরোধিতায় ৩০ লাখ মানুষ কষ্ট পেল, ১০০-র বেশি মানুষ হাসপাতালে গেল, সেই মোদির সঙ্গে দেখা করে হেফাজতের মূখ্যপাত্ররা আবার হাসিমুখে তালিও দিল। ইসলাম কি এভাবে দ্বিমুখী নীতি শেখায়?

হেফাজতের মতো জঙ্গিবাদী চেতনার বিরুদ্ধে আমাদের কী করা উচিত?

১. সত্যিকারের ইসলামী শিক্ষা ছড়াতে হবে

— ইসলামের মূল বার্তা হলো রহমত ও সহনশীলতা। কোরআন ও রাসুলের (সা.) জীবনের আলোকে সমাজে উদার ইসলাম প্রচার করতে হবে।
— কিশোর-তরুণদের মাদ্রাসায় আবদ্ধ রেখে শুধুই বিদ্বেষমূলক বয়ান শোনালে তারা ধর্ম নয়, শত্রুতা শেখে।

২. রাষ্ট্রীয়ভাবে সহিংসতাকে ‘ধর্ম’ নামে বৈধতা না দেওয়া

— কোনও গোষ্ঠী যদি "ধর্ম" ব্যবহার করে সহিংসতা ছড়ায়, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
— মৌলবাদী শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা রাষ্ট্র ও জাতির জন্য আত্মঘাতী।

৩. জনগণকে সচেতন করতে হবে

— ধর্ম ও জঙ্গিবাদের পার্থক্য বোঝাতে হবে। ইসলাম মানে শান্তি—সেটা প্রতিটি নাগরিককে জানাতে হবে।

শেষ কথা:
ইসলাম কোনো গোষ্ঠী বা দলের সম্পত্তি নয়। ইসলাম হলো আল্লাহর দীন, যেখানে প্রেম, যুক্তি, মানবতা ও সহানুভূতি—এগুলোই মূল বার্তা। যারা ইসলামের নামে আগুন ছড়ায়, তারা যেন কখনোই ইসলামের প্রতিনিধিত্ব না করতে পারে—এই চেতনা সমাজে ছড়িয়ে দিন।

এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও মানবিক বোধ থেকে উঠে এসেছে। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, যেগুলো চিন্তাভাবনার দাবিদার:১. ...
05/05/2025

এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও মানবিক বোধ থেকে উঠে এসেছে। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, যেগুলো চিন্তাভাবনার দাবিদার:

১. মানবিকতা কোনো জাতি বা ধর্মের একক সম্পত্তি নয়

একজন ইহুদি বা মুসলমান ভালো কাজ করলে সেটা তার ব্যক্তিগত চারিত্রিক গুণ, তেমনি কেউ অপরাধ করলে সেটাও তার ব্যক্তিগত বিকার। এক ইহুদি ধর্ষণ করেছে বলে সব ইহুদির মানবিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয় না, যেমন একজন মুসলমান যদি অন্যায় করে, তা পুরো মুসলিম জাতির দায় নয়।

২. হামাসের আচরণ ও ইসরায়েলের আচরণ পার্থক্য তৈরি করেছে

– হামাস যখন যুদ্ধের মাঝেও জিম্মিদের চিকিৎসা দিয়েছে, খাবার দিয়েছে, এবং মুক্ত করেছে—তখন অনেকেই বলেছে: "এই তো মানবিকতা"।
– পক্ষান্তরে, ইসরায়েলের ভেতরেই যখন একজন মুক্ত হওয়া জিম্মিকে ধর্ষণ করা হয়—তখন সেটি একটি রাষ্ট্রের নৈতিক ভরাডুবি হিসেবে দেখা হয়, কারণ তারা নিজেদের "সভ্য" দাবী করে।

৩. মুসলমানদের মানবিকতার পরিচয় তখনই বেশি উজ্জ্বল, যখন তারা প্রতিপক্ষের ক্ষেত্রেও সীমালঙ্ঘন করে না।

হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন: "তোমার প্রতিপক্ষও মানুষ, তাকেও সম্মান দাও।"
আর কোরআনে আল্লাহ বলেন:
"ولا يجرمنكم شنآن قوم على ألا تعدلوا، اعدلوا هو أقرب للتقوى"
"কোনো জাতির প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদেরকে ন্যায়পরায়ণতা থেকে ফিরিয়ে না দেয়। ন্যায়পরায়ণ হও—এটাই তাকওয়ার সবচেয়ে কাছের পথ।" (সূরা মায়েদা: ৮)

৪. এই ঘটনা পার্থক্য তুলে ধরে—কিন্তু পুরো জাতি নয়

ইহুদি, খ্রিস্টান, হিন্দু, মুসলিম—সব জাতিতেই কিছু মানুষ অন্যায় করে, আবার অনেকেই মহান উদাহরণ তৈরি করে।
তাই পার্থক্যটা একেকটা 'নৈতিক কাঠামো'র মধ্যে স্পষ্ট হয়, যেমন—
– ইসলামী নৈতিকতা: যুদ্ধেও শিশু, নারী, বৃদ্ধ, গাছ, পশু হত্যা নিষেধ।
– আধুনিক ইসরায়েলি নীতি:হাসপাতা‌লে বোমা মারা যা‌বে

নাম তার মিয়া শেম। বয়স ২৩। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইস*রায়েলে নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে অনেকের সঙ্গে তাকেও জি*ম্মি করেছিল ফি*লিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হা*মাসের যো*দ্ধারা।

এরপর দীর্ঘ যু*দ্ধের মাঝে আন্তর্জাতিক দেনদরবারের পর হা*মাসের হাত থেকে মুক্তি পান মিয়া শেম।

কিন্তু দেশে ফেরার পর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, তাকে ধ/র্ষণ করেছে ই/সরায়েলের সুপরিচিত একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার।

05/05/2025

জনগণের পক্ষ থেকে প্রশ্নপত্র

বিষয়ঃ শাসনব্যবস্থা ও সমাজের বর্তমান বাস্তবতা
পূর্ণমানঃ বিবেক
সময়ঃ অনির্দিষ্টকাল
(উত্তরদাতা: যারা ক্ষমতায় আছেন বা চান)

১. নির্বাচন ও প্রশাসন

১. নির্বাচন কি আদৌ হবে, না তা শুধুই একটি রাজনৈতিক মিথ?
২. যারা উপদেষ্টা হয়ে দেশের ক্ষতি করছেন, তারা কবে ‘যোগ্য’ হয়ে উঠবেন?
৩. ‘সংস্কার’ নামক ধারাবাহিক পরীক্ষার শেষ কোথায়?
৪. বারবার ঘোষণা দেওয়া ৩ লক্ষ ৭০ হাজার নিয়োগের বাস্তবায়ন কবে হবে?
৫. Tractical উন্নয়ন বুঝি না, চাকরি ও ন্যায্য অধিকারই আমাদের মৌলিক চাহিদা—এটা বুঝাতে আর কতদিন লাগবে?

---

২. নারী ও সমাজ

৬. ধর্মীয় আলেমরা নারীদের বিরুদ্ধে এত প্রচারণা চালাচ্ছেন কেন?

উপদেশ দিলে শ্রদ্ধা পাবেন, অপমান করলে নয়।

“বস্তা ছুড়ে ফেলা”—এই ভাষা ও মনোভাব কোথা থেকে আসে?

---

৩. চাকরি ও বয়সসীমা

৭. চাকরির অবসরের বয়স কি ৯০ বছর করা হচ্ছে, যাতে তরুণরা সারাজীবন অপেক্ষায় থাকে?
৮. বিসিএস-এর বয়সসীমা কি ৬৫ বছরে গিয়ে ঠেকবে?
৯. দীর্ঘদিন ধরে চাকরি-লুণ্ঠনে ব্যস্ত ‘চোর’ কর্মকর্তারা কবে অবসরে যাবেন?

---

৪. শিক্ষা

১০. রাস্তায় আন্দোলনরত ছাত্ররা কবে প্রকৃত শিক্ষাঙ্গনে ফিরতে পারবে?

নাকি শিক্ষা মানেই এখন শুধুই রাজপথে মিছিল ও লাঠিপেটা?

৫. নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি

১১. “দিল্লির লাড্ডু” না

উগ্রবাদী সংগঠন জামায়াতে ইসলামের ছাত্রসংগঠনের বিবর্তনঃ সময়ের ধারায় রূপান্তরের রক্তাক্ত ইতিহাসজামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশের রা...
05/05/2025

উগ্রবাদী সংগঠন জামায়াতে ইসলামের ছাত্রসংগঠনের বিবর্তনঃ সময়ের ধারায় রূপান্তরের রক্তাক্ত ইতিহাস

জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশের রাজনীতিতে উগ্রপন্থার জনক হিসেবে পরিচিত। তাদের ছাত্রসংগঠন সময়ের পরিক্রমায় নানা নামে, নানা মুখোশে আবির্ভূত হলেও মূল চরিত্র, কৌশল ও উদ্দেশ্য ছিল এক – রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংস উত্থান ও ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার।

১। শৈশবকালঃ ছাত্রসংঘ (১৯৭১ সাল)

পূর্ব পাকিস্তানে জামায়াতের ছাত্রসংগঠন "ছাত্রসংঘ" স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে পরিচিত হয়।

অপরাধসমূহ:

প্রায় ৪ লক্ষ নিরীহ বাঙালি হত্যার সহায়ক ভূমিকা,

প্রায় ২ লক্ষ নারীর উপর যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণের পৃষ্ঠপোষকতা।

বিভীষিকা: রাজাকার, আলবদর, আলশামসের মতো মানবতাবিরোধী বাহিনীর নেতৃত্বে ছাত্রসংঘ ছিল অগ্রভাগে।

২। কৈশোরকালঃ ইসলামী ছাত্রশিবির (১৯৭৭ সাল)

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে জামায়াত পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে "ইসলামী ছাত্রশিবির" নামে এ সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে।

অপরাধসমূহ:

প্রায় দুই দশক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রগকাটা, গুপ্ত হত্যা, অস্ত্রের মহড়া,

চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ঢাবি সহ দেশের সব বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসের ছায়া বিস্তার।

কৌশল: 'আদর্শিক ছাত্র রাজনীতি'র নামে সহিংস সংগঠন গড়ে তোলা।

৩। যৌবনকালঃ হেলমেট লীগ (২০০৮ সাল)

২০০৮ সালের পর থেকে ছাত্রশিবির অনেক জায়গায় ছাত্রলীগের ছদ্মবেশ নেয়।

নতুন পরিচয়: ‘হেলমেট লীগ’ – যেখানে মুখে ছাত্রলীগ, ভেতরে জামায়াতি সন্ত্রাস।

অপরাধসমূহ:

রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে গুম-খুন,

বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারে সহিংসতার নতুন ধরন তৈরি।

৪। ভরা যৌবনকালঃ সমন্বয়ক লীগ (২০২৪ সাল)

২০২৪ সালের জুলাই মাসে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সুযোগে জামায়াতের এ নতুন রূপ আত্মপ্রকাশ করে।

কৌশল: বিএনপি-ছাত্রদল-হেফাজত-শিবিরের সম্মিলিত ‘মোব অ্যানার্কি’ চালনা।

অপরাধসমূহ:

প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্য আহত/নিহত,

ন্যাট ও বিদেশি প্ররোচনায় গণহত্যার পরিকল্পিত বাস্তবায়ন।

৫। পরিণত যৌবনকালঃ শিবির লীগ (২০২৫ সাল)

নতুন মোড়কে পুরাতন খেলায় মেতে ওঠে ‘শিবির লীগ’।

মূল বৈশিষ্ট্য: মুখে জাতীয়তাবাদ, কাজে জঙ্গিবাদ।

অপরাধসমূহ:

গাজীপুরে ইমাম রঈস উদ্দিনকে নির্মমভাবে হত্যা,

বিচার দাবিতে চলা অবরোধে অংশগ্রহণকারীদের উপরই হামলা,

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের দমন।

উপসংহার

জামায়াতি ছাত্ররাজনীতি বারবার রূপ পাল্টালেও তাদের উদ্দেশ্য কখনো পাল্টায়নি। আজ ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ কিংবা ‘রাজনৈতিক কর্মী’ সেজে যারা সহিংসতা ছড়াচ্ছে, তারা মূলত জামায়াত-শিবিরের পুরনো চেহারার আধুনিক রূপ। সময় এসেছে জাতিকে সচেতন করার, ছাত্রসমাজকে রক্ষা করার এবং এদের মুখোশ চিরতরে উন্মোচন করার।

-

Address

Dhaka
1000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sabekun Nahar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share