ADHD Care & Awareness

ADHD Care & Awareness Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from ADHD Care & Awareness, Digital creator, Dhaka.
(2)

ADHD Care & Awareness পেজটি ADHD নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সহায়ক তথ্য প্রদানের একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি ADHD শিশুদের যত্ন, শিক্ষার পদ্ধতি, এবং তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক টিপস ও নির্দেশনা পাবেন।

আলোচনা করার পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।

ADHD শিশুকে কীভাবে সম্পদে পরিণত করা যায়?অনেক সময় আমরা ADHD শিশুকে “সমস্যা” হিসেবে দেখি, কিন্তু আসলে তাদের ভেতরেও প্রচুর ...
26/08/2025

ADHD শিশুকে কীভাবে সম্পদে পরিণত করা যায়?

অনেক সময় আমরা ADHD শিশুকে “সমস্যা” হিসেবে দেখি, কিন্তু আসলে তাদের ভেতরেও প্রচুর সম্ভাবনা (Potential) থাকে। সঠিক দিকনির্দেশনা দিলে সেই শিশুই ভবিষ্যতে পরিবারের, সমাজের এবং দেশের জন্য এক অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠতে পারে।

ADHD শিশুকে সম্পদে পরিণত করার কিছু উপায় যা মিলিয়ে দেখতে পারেন আপনার শিশুর সাথে মিলে কিনা?

১. তাদের শক্তি খুঁজে বের করা

ADHD শিশুরা সাধারণত সৃজনশীল, কল্পনাশক্তিতে প্রবল, সাহসী এবং নতুন কিছু করতে আগ্রহী হয়ে থাকে। তারা অনেক সময় এক কাজে গভীর মনোযোগ (Hyperfocus) দিতে পারে—যদি সেটি তাদের পছন্দের বিষয় হয়। তাই তার কোন কাজে আগ্রহ বেশি (যেমন আঁকাআঁকি, গল্প বানানো, খেলাধুলা, প্রযুক্তি, গান) তা খুঁজে বের করে ওই বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ ও উৎসাহ দিন।

২. শিখন প্রক্রিয়াকে ভিন্নভাবে সাজান

ADHD শিশুরা শুধু বই পড়ে নয়, বরং খেলা, ভিজ্যুয়াল, ভিডিও, হাতে-কলমে কাজ থেকে দ্রুত শেখে। তারা কীভাবে শিখছে, বা কীভাবে শিখতে পছ্ন্দ করছে তা পর্যবেক্ষণ করুন এবং সেইভাবে তাকে শিখতে সাহায্য করুন।

৩. পজিটিভ শক্তি ব্যবহার করুন

এরা সাধারণত অনেক এনার্জেটিক হয়। সেই এনার্জি যদি খেলাধুলা, নাচ, গান বা অন্য যেকোন সৃজনশীল কাজে ব্যবহার হয়, তবে তারা দক্ষতা অর্জন করে সমাজে অবশ্যি এগিয়ে যেতে পারবে।

৪. আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন

অনেক ADHD শিশু শুনে থাকে, “তুমি ঠিকমতো পারো না, তুমি অন্যরকম।” এতে তাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়। তাই তাদের সুন্দর মনটাকে ভেঙ্গে না দিয়ে সব সময় সাহস ও সহযোগীতার মাঝে রাখুন।

৫. সামাজিক ও জীবনদক্ষতা শেখান

ধৈর্য ধরা, অন্যকে অপেক্ষা করতে দেওয়া, নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা – এসব ছোট ছোট অনুশীলন ধীরে ধীরে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ বাড়ায়। তাই সব সময় এই বিষয়গুলোর উপর প্র্যাক্টিস চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন।

৬. পরিবারের মানসিকতা পরিবর্তন করুন

শিশুকে “সমস্যা” নয়, বরং সম্ভাবনার উৎস হিসেবে দেখুন। বাবা-মা এবং শিক্ষকরা ধৈর্যশীল হলে শিশুটির জন্য সব কিছু শেখা সহজ হবে।

অনেক বিশ্বখ্যাত মানুষ ADHD নিয়ে বড় হয়েছেন—কিন্তু আজ তারা উদ্ভাবক, শিল্পী, উদ্যোক্তা। ADHD নিয়ে বড় হয়েছেন এমন কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিঃ

শিল্পী ও বিনোদন জগত

জিম ক্যারি (Jim Carrey) – হলিউড অভিনেতা, কমেডিয়ান।

উইল স্মিথ (Will Smith) – অভিনেতা ও গায়ক।

জাস্টিন টিম্বারলেক (Justin Timberlake) – গায়ক ও অভিনেতা।

অ্যাডাম লেভিন (Adam Levine) – Maroon 5 ব্যান্ডের ভোকাল।

লেখক ও সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব

ডেভিড নীলম্যান (David Neeleman) – JetBlue Airways-এর প্রতিষ্ঠাতা।

স্টিফেন টুটল (Stephen Tonti) – লেখক, পরিচালক (তিনি ADHD নিয়ে TEDx টক দিয়েছেন)।

উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা

রিচার্ড ব্র্যানসন (Richard Branson) – Virgin Group-এর প্রতিষ্ঠাতা।

ইনগ্রাম মার্শাল (Ingram Marshall) – সুরকার, ADHD নিয়ে সৃজনশীলতা দেখিয়েছেন।

খেলাধুলা

মাইকেল ফেল্পস (Michael Phelps) – অলিম্পিক সাঁতারু, ২৩টি স্বর্ণপদক বিজয়ী।

সিমোন বাইলস (Simone Biles) – অলিম্পিক জিমন্যাস্ট, ADHD নিয়েও সর্বকালের সেরা জিমন্যাস্টদের একজন।

আমরাও আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি। তাদের মতো বিখ্যাত না হলেও নিজের উপর নির্ভরশীল যেন হতে পারে সেই চেষ্টাই হোক আমাদের অঙ্গীকার। শিশুর আগ্রহমতো শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিলে তার ভেতরের প্রতিভাই তাকে সম্পদে রূপান্তর করবে ইনশাআল্লাহ।

একজন ADHD মায়ের অন্তর্দহনপ্রতিদিন ADHD মায়েদের সকালটা অন্য ১০ টা স্বাভাবিক মায়ের মতো সহজ হয়না। কারও ঘরে হয়তো বাচ্চারা সহ...
23/08/2025

একজন ADHD মায়ের অন্তর্দহন

প্রতিদিন ADHD মায়েদের সকালটা অন্য ১০ টা স্বাভাবিক মায়ের মতো সহজ হয়না। কারও ঘরে হয়তো বাচ্চারা সহজেই ঘুম থেকে ওঠে, দাঁত মাজার ব্রাশ হাতে নেয়, নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নেয়। কিন্তু ADHD সন্তানগুলো?

ওদের দিন শুরু হয় এক যুদ্ধ দিয়ে। ওষুধ খাওয়ানোটা যেন প্রতিদিনের যুদ্ধক্ষেত্র। এই কান্না, চিৎকার আর রাগের মাঝে এই মায়ের বুক শক্ত করে রাখা, দাঁতে দাঁত চেপে চোখের কোনের পানিটাকে মুছে নেয়া, কাউকে বুঝতে না দেয়া, পাশাপাশি পরিবারের সবার প্রতি দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া এবং কোথাও একটু দ্বায়িত্বপালনে অবহেলা হলো কিনা তার এক চাপা কষ্ট নিয়ে একজন মা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন যা আর ১০ টা স্বাভাবিক মায়ের চেয়ে নি:সন্দেহে অনেকগুণে বেশি।

তারপর শুরু হয় ব্যাগ গুছানোর যুদ্ধ। খাতা পাওয়া যায় না, বই হারিয়ে যায়, পেন্সিল উধাও। অন্য বাচ্চারা ৫ মিনিটেই ব্যাগ রেডি করে ফেলে, আর এই সন্তানগুলো আধা ঘন্টা কেঁদে কেঁদে, চিৎকার করে, অর্ধেক সময় নষ্ট করে শেষে হাল ছেড়ে দেয়। তখনও তাদের মায়েরা আবার বুকের ভেতর কান্না চেপে সব গুছিয়ে দেয়,আবার ওকে বুকে টেনে নেয়, আদর করে, সাহস দেয়।

কষ্টটা তাদের জন্য তখনই আরও বেশি হয় যখন তারা দেখেন - যা অন্য বাচ্চারা সহজেই পারছে অথচ এই সন্তানগুলো সেটা করতে গিয়ে ভেঙে পড়ে।

কিন্তু আমাদের কখনো বলা ঠিক হবে না—“তুমি পারো না।” বরং ওর চোখে চোখ রেখে বলতে হবে। “ADHD মানে তোমার ব্যর্থতা নয়, এটা তোমার আলাদা লড়াই।”

হ্যাঁ, আর এই লড়াইয়ে আমাদের হেরে যাওয়া যাবেনা। আমরা হয়তো কখনো ক্লান্ত হই, নিঃশব্দে ভেঙে পড়ি, তবুও আবার জেগে উঠতে হবে আমাদেরই। কেউ আমাদের জাগিয়ে দেবেনা।

আমাদের সন্তানগুলোকে আমাদের শক্তিতে পরিণত করতে হবে। দরকার নাই আমার সন্তানের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার, ভালো ভাবে সুস্থভাবে অন্যের উপর ডিপেন্ডেট না হয়ে সে যেন তার যোগ্যতা দিয়ে করে খেতে পারে আমাদের সেই চেষ্টা চালাতে হবে সদা সর্বদা।

ADHD শিশু দুষ্ট নয়, তারা অলস নয়, তারা বোকা নয়।
তারা শুধু পৃথিবীকে একটু ভিন্নভাবে দেখে। তাই সন্তানের এই ভিন্নতাকে দোষ না দিয়ে তার ট্যালেন্ট কে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। তার প্রতিদিনের লড়াইকে সম্মান করতে হবে।

আমি জানি, এই কথাগুলো বলা অনেক সহজ, করা অনেক কঠিন, তারপরও হালটা আমাদের ই ধর‍তে হবে। কারণ আমরা যে বাবা মা। আমাদের চেয়ে ওর ভালো চিন্তা আর কে করবে???

আর ADHD মানে ব্যর্থতা নয়—
বরং প্রতিদিন নতুন করে জিতে ওঠার এক অপর নাম ADHD.

"ADHD আছে আমার সন্তানের, কিন্তু আমি তো বাবা — আমাকেই সাহসী হতে হবে"আমাদের সমাজ বাবাকে শক্ত, দৃঢ় এবং “দুঃখহীন” একজন মানুষ...
04/08/2025

"ADHD আছে আমার সন্তানের, কিন্তু আমি তো বাবা — আমাকেই সাহসী হতে হবে"

আমাদের সমাজ বাবাকে শক্ত, দৃঢ় এবং “দুঃখহীন” একজন মানুষ হিসেবে দেখতে চায়। তাই সন্তান ADHD-সহ বিশেষ চাহিদার হলে বাবারা নিজের দুঃখ, দুর্বলতা বা অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে পারেন না। কাঁদলেও সেটা লুকিয়ে রাখেন। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়, অন্যদিকে সংসারের দায়িত্ব। এই দুইয়ের ভারে তাঁরা অনেক সময় নিজের আবেগকে চেপে ফেলেন। কেউ জানতে পারেন না, রাতে বিছানায় শুয়ে তিনি হয়তো ভাবেন:
"আমি ভালো বাবা হতে পারছি তো?"

অনেক বাবা মনে করেন, তাঁরা কারো কাছে নিজের কষ্ট খুলে বললে সেটা দুর্বলতা হিসেবে দেখা হবে। এমনকি স্ত্রী বা বন্ধুদের সাথেও তাঁরা সব কথা ভাগ করে নিতে পারেন না। ADHD সন্তানের বাবা হিসেবে চাপ আরও বেশি: সন্তানকে বুঝতে না পারার হতাশা, আচরণগত সমস্যার জন্য বাইরে দোষারোপ, আর্থিক ও মানসিক চাপে একা একা জর্জরিত হয়ে পড়া, সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা...

তাঁরা চুপচাপ দায়িত্ব পালন করে যান…কারণ, তাঁরা "বাবা" – পরিবার তাদের কাঁধে ভরসা রাখে। সমাজে বাবারা সবসময় "দায়িত্বের প্রতীক", কিন্তু তাঁরাও মানুষ — তাঁরাও কাঁদেন, ভয় পান, হতাশ হন....বাবারা কাঁদলে ছেলেমানুষ হয় না। বাবারাও মানুষ — তাঁদেরও মন আছে, অনুভব আছে। সেই মনটাকে বোঝার চেষ্টা করলেই পরিবার হয় এক নিবিড় আশ্রয়।”

আমরা কি কখনো একজন বাবাকে জিজ্ঞেস করি, “তুমি কেমন আছো?” তাঁর মনটা কতটা ক্লান্ত?

ভেতরের কষ্ট, ভয়, দুশ্চিন্তা কথা বলে প্রকাশ করতে পারলে তা মানসিকভাবে সবাইকে হালকা করে। এতে হতাশা বা রাগ কমে যায়। যখন বাবা মনের কথা স্ত্রী বা সন্তানের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন, তখন সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক হয়। ADHD শিশুরা যখন দেখে বাবা নিজের আবেগ বোঝে ও শেয়ার করে, তখন তারাও আবেগ নিয়ে খোলামেলা হতে শেখে। এমনকি অনুভূতি প্রকাশ করলে একা থাকার ভয় কমে, অন্যদের সহানুভূতিপূর্ণ পরামর্শ গ্রহণ করা সহজ হয়।

একজন বাবা যখন কষ্ট চেপে রাখেন, তিনি ভেঙে পড়েন না — বরং তিনি নীরবে লড়াই করেন। এই লড়াইয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার দায়িত্ব.....

একজন সম্মানিত বিদেশি গ্রুপ মেম্বার আমাদের গ্রুপে উল্লেখ করেছেন - তিনি কিভাবে তার ADHD বাচ্চাকে ম্যানেজ করেন। কথাগুলো খুব...
03/08/2025

একজন সম্মানিত বিদেশি গ্রুপ মেম্বার আমাদের গ্রুপে উল্লেখ করেছেন - তিনি কিভাবে তার ADHD বাচ্চাকে ম্যানেজ করেন। কথাগুলো খুব ভালো লাগলো বিধায় সবার সুবাদার্থে আমি উনার কথাগুলো বাংলায় ট্রান্সলেট করে দিলাম।

স্ক্রিন বা চিৎকার ছাড়াই কীভাবে আমার ADHD সন্তানের মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে শিখেছি – ৫টি কাজ যা সত্যিই বদলে দিয়েছে সব কিছু

আমি সম্প্রতি একটি ৭ দিনের ADHD গাইড (নাম ছিল CALM পদ্ধতি) অনুসরণ করি। সেখান থেকে শেখা ৫টি ছোট ছোট পরিবর্তন আমাদের সংসারে বড় শান্তির পরিবর্তন এনেছে।

১. মুখে বারবার বলা নয়, বরং চোখে দেখা যায় এমন টাইমার

"তাড়াতাড়ি করো", "সময় হয়ে গেছে" — এসব না বলে আমরা এখন বালি ঘড়ি বা YouTube কাউন্টডাউন ব্যবহার করি। স্ক্রিন বন্ধ, স্কুলে তৈরি হওয়া বা গোসল — সব ট্রানজিশনে ঝামেলা ৯০% কমে গেছে।

২. শাস্তির কোণা নয়, শান্তির কোণা

Time-out বা শাস্তি না দিয়ে একটা ছোট "Calm Corner" বানিয়েছি — নরম খেলনা, সেন্সরি বল, কুশন দিয়ে সাজানো। ওর রাগ বা কষ্টের সময় এটা ওর নিজের জায়গা, শাস্তি নয় — যেন ও নিজেই নিজেকে শান্ত করতে শেখে।

৩. First/Then বোর্ড
"আগে এটা করো, তারপর এটা পাবে" — কথায় নয়, বোর্ডে ছবি দিয়ে লিখে রাখি: “আগে হোমওয়ার্ক → তারপর ১০ মিনিট Roblox”. চোখে দেখা গেলেই ঝগড়া অনেক কমে যায়।

৪. চিৎকার নয়, ফিসফিস করে বলা

একটা টিপস শিখেছিলাম:
"যদি তুমি চাও বাচ্চা শান্ত হোক, তাহলে তোমাকেও তার ঝড়ের চেয়ে শান্ত হতে হবে।" ফিসফিস করে বললে শুধু ও না, আমার নিজের রাগও কমে যায়।

৫. আবেগ বোঝার ভাষা শেখানো

একটা ছোট “মনের অনুভূতির চার্ট” প্রিন্ট করে দিয়েছি ওকে জিজ্ঞেস করি: “তোমার মাথা এখন কেমন লাগছে?” ওর ব্যবহার বুঝে নেওয়ার চাবিকাঠি হয়ে গেছে এটা।

আমি কোনো পারফেক্ট মা না। কিন্তু এই ৫টা অভ্যাস আমার সন্তান ও আমাকে দুজনকেই অনেক শান্ত করে দিয়েছে।

01/08/2025

"আমি কি খারাপ মা?" – এই প্রশ্নটা আমরা নিজেকে কতবার করেছি?

ADHD সম্পর্কে জানার আগে আমিও করেছি।

আমার সন্তানকে নিয়ে অনেক কিছু ভেবেছি —
• বারবার চিৎকার করে ফেলা
• প্লেডেট এড়িয়ে চলা, লজ্জায় পড়ি না আবার
• অন্য বাচ্চারা শান্ত, আর আমারটা দেয়ালে লাফায়
• নিজের বাড়িতেই হাঁটতে ভয় পেতাম, কখন আবার রাগ করবে
• রাত ২টায় গুগলে খুঁজতাম –

ভাবতাম আমি-ই ভুল করছি। আমি ভালো মা নই।

কিন্তু পরে জানলাম —
এটা খারাপ মায়ের গল্প না, এটা এক অন্যরকম মস্তিষ্কের গল্প, যার জন্য দরকার এক অন্যরকম সহায়তা।

আপনি খারাপ মা না।
আপনি সেই সাহসী মা — যে এমন এক পথ ধরে এগোচ্ছেন, যার কোনো ম্যাপ ছিল না।

আপনার বাচ্চা "খারাপ" না।
সে নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করছে — আর আপ্নিও।

- আপনি একা নন
- আপনি ব্যর্থ নন
- আপনি সেই মা, যে প্রতিদিন যুদ্ধ করে ভালোবাসায় জয়ী হচ্ছেন।

এই যাত্রায় আমরা যে যা শিখেছি, আমরা সবার সঙ্গে শেয়ার করবো —
কারণ এই পথ একসাথে চললে, আরও সহজ হয়।
আমরা একে অপরের সন্তানের জন্য একাকার হয়ে কাজ করবো। তাহলেই আমাদের বিজয় আসবে ইনশাআল্লাহ।

22/07/2025

আমি ছোট, আমি ডানপিটে,
তবু স্বপ্ন আমার অনেক রঙিন।
সবাই ভাবে আমি পারি না,
কিন্তু আমি তো লড়ি প্রতিদিন।

15/07/2025

ADHD কেন হয়?

ADHD হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে।

১. জেনেটিক (Genetic বা বংশগত) কারণ:

ADHD অনেক সময় পরিবারে একাধিক সদস্যের মধ্যেই দেখা যায়, মানে যদি বাবা/মা/ভাইবোনের কারো ADHD থাকে, তাহলে শিশুর মধ্যেও এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

২. মস্তিষ্কের গঠন ও কার্যকারিতায় পার্থক্য:

ADHD শিশুর মস্তিষ্কে কিছু অংশ (যেমন prefrontal cortex) ঠিকভাবে কাজ করে না, যেগুলো মনোযোগ, পরিকল্পনা, আর আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে।

৩. গর্ভাবস্থার সময় কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়:

গর্ভকালীন ধূমপান বা মায়ের শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন, অকাল জন্ম (premature birth), গর্ভাবস্থায় অপুষ্টি, মায়ের অতিরিক্ত মানসিক চাপ l

৪. পরিবেশগত কিছু কারণ

শিশুর খুব ছোটবেলায় অতিরিক্ত screen time, খেলার সুযোগ না পাওয়া, অতিরিক্ত অনিয়মিত জীবনযাপন l (N.B: এসব ADHD তৈরি করে না, তবে লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে দিতে পারে।)

ADHD, আসলে কেন হয় তা সুনির্দিষ্টভাবে এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারেন নি। তবে ADHD হলে শিশুকে বোঝা দরকার, সঠিক সহায়তা দরকার, ভালোবাসা আর ধৈর্যই পারে তার ভবিষ্যৎ গড়তে l

14/07/2025

ইনক্লুসিভ স্কুল বনাম স্পেশাল স্কুল:
কী, কেন, কখন?

ইনক্লুসিভ স্কুল কী?

ইনক্লুসিভ স্কুল হলো এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে সাধারণ শিশুর পাশাপাশি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (Special Needs) শিশুরাও একসাথে পড়াশোনা করে। এখানে সবাইকে সমান সুযোগ ও মর্যাদা দিয়ে শেখানো হয়। যেমন:

একজন ADHD, অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, দৃষ্টি বা শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু, সাধারণ শ্রেণিকক্ষে অন্যদের সঙ্গে থাকলেও—শিক্ষক তার প্রয়োজন অনুযায়ী পদ্ধতি পরিবর্তন করে শেখাতে পারেন।

কেন দরকার ইনক্লুসিভ স্কুল?

১। বিশেষ চাহিদার শিশুরা আর "আলাদা" নয়। তারাও সমাজের অংশ।

২। অন্য শিশুরাও ছোট থেকেই সহানুভূতি ও সহযোগিতা যেন করতে পারে এই শিশুদের প্রতি।

৩। আত্মবিশ্বাস বাড়াতে

৪। সুশিক্ষিত, সহানুভূতিশীল সমাজ গড়তে – সকল শিশুর পার্থক্যকে সম্মান করা শেখাতে

কখন ইনক্লুসিভ স্কুল শুরু করবেন?

আপনার শিশু যদি ৩-৫ বছর বয়স হয়, প্লে বা নার্সারিতে যেতে চায় এবং স্বল্প থেকে মাঝারি মাত্রার সমস্যা থাকে (যেমন ADHD, হালকা অটিজম, ভাষার জড়তা), তবে ইনক্লুসিভ স্কুলে ছোটবেলা থেকেই যুক্ত করা ভালো।

কখন স্পেশাল স্কুলে নেওয়া দরকার?

১৷ যদি শিশুটি গভীর বা তীব্র সমস্যার কারণে সাধারণ শ্রেণিতে বসে থাকা বা শেখা অসম্ভব হয়

২। ভাষা নেই, সহনশীলতা খুব কম

৩। হাইপারঅ্যাকটিভিটি খুব বেশি

৪। দৈনন্দিন কাজে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হয়

৫। অথবা, চিকিৎসক / বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন,
সেক্ষেত্রে প্রথমে স্পেশাল স্কুলে ভর্তি করে দিন –
পরে সে ধীরে ধীরে ইনক্লুসিভ স্কুলে যেতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

স্পেশাল স্কুল কতদিন চলবে?

এটি শিশুর উন্নতির ওপর নির্ভর করে। অনেকে ১-৩ বছর পর ইনক্লুসিভ স্কুলে যেতে পারে। কেউ কেউ দীর্ঘদিনই থেকে যায়। তবে লক্ষ্য থাকতে হবে যতটা সম্ভব শিশুকে স্বাবলম্বী করে তোলা, এবং ধাপে ধাপে সাধারণ পরিবেশে মানিয়ে নিতে শেখানো।

তাই আপনার সন্তানের সমস্যাকে লুকাবেন না। তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। একজন শিশুর জীবন বদলে দিতে পারে সঠিক সময়ে সঠিক স্কুল নির্বাচন।

ধন্যবাদ।

08/07/2025
08/07/2025
07/07/2025

ফিজেট ব্রাম এবং তারে জমিন পার-- এই দুইটা মুভি আমি কেন দেখতে বলি??

দুইটা মুভিতেই দেখানো হয়েছে দুই ধরনের ভিন্ন টিচার কে।

ফিজেট ব্রাম- প্রথম টিচার, উনার চাইল্ড সাইকোলজি, চাইল্ড ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট, কমিউনিকেশন উইথ চিল্ড্রেন.......এইসবের উপর উনার তেমন কোন প্রশিক্ষণ ছিলনা।

উনি শিক্ষক হিসেবে ভালো, কিন্তু প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত না হওয়ায় বাচ্চাদের সাইকোলজিটা বুঝতেন না। আর না বোঝার কারণে উনি একটু ভিন্নতা মানতে পারতেন না
। উনার মতে, ব্রাম ( মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্র) কেন এমন, সবাই তো তাকে ফলো করছে, সে কেন করছেনা, ক্লাসে ডিস্টার্ব করছে...... সে আর পারছেনা ব্রামের সাথে, এবং উনি ব্রামকে শাস্তি স্বরুপ বারান্দায় একা একা বসায়ে রাখেন, ক্লাস টাইম শেষ হলে বা টিফিন পিরিয়ডে যখন অন্য সবাই বাইরে যায়, তখন ব্রামের CW শেষ করতে হবে বলে ক্লাসে একা লক করে রাখেন যা খুব প্যাথেটিক।
ইত্যাদি, ইত্যাদি নানান কম্পলেইন স্কুলের প্রিন্সিপাল থেকে শুরু করে সবার কাছে বলেন এমনকি বাবা মাকেও ডেকে এনে বলেন।

বাবা মা, ওই টিচার কে বিভিন্নভাবে বোঝাতে চেয়েও ব্যর্থ হন। ব্রামও এই টিচারের কারণে স্কুলে যেতে চাইতোনা, এই নিয়ে বাবা মার মাঝেও সবসময় ঝগড়া লেগেই থাকতো।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে মায়েরা তার সন্তানদের সাইকোলজি কিছুটা বুঝলেও বাবারা সত্যি অনেক কিছু বুঝতে চান না। সৃষ্টিকর্তাই হয়তো আমাদের এইভাবেই তৈরি করেছেন।

এক পর্যায়ে ব্রামের কারণে ওই টিচারের পা ভেংগে যায় যদিও সেখানে টিচারের দোষই বেশি ছিল। এর ফলে নতুন টিচার আসেন স্কুলে এবং উনি ছিলেন trained. উনি প্রথম থেকেই ব্রামকে বুঝতে পারেন এবং তার নিড অনুযায়ী উনি ক্লাসের বিভিন্ন ভিন্নতা আনেন। এতে ব্রামের জন্য অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়। ক্লাসে মনোযোগ দিতে শুরু করে, বাবা মাও অনেক হ্যাপি।

তারে জমিন পার, একই টাইপের একটা মুভি। মীনা কার্টুনেও কিছুটা এই রকম একটা পর্ব ছিল।

আসলে বাস্তবতা কী, এইরকম টিচার শুধু মুভিতেই দেখা যায়, বাস্তবে খুব কম। কিন্তু আমাদের জীবনটাতো আর মুভির মতো ৩ ঘন্টায় শেষ হয়ে যায় না??!!!

তাই আমাদের সাফার টা অন্যরকম। তবে আমরা এইসব থেকে শিক্ষা নিয়ে কিছু একটা করতে পারি। টিচারদের এই বিষয় এ প্রশিক্ষণ খুবই দরকার। আমরা যার যার পক্ষ থেকে যেভাবে সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি।

তাহলে হয়তো আমরাও এমন টিচার, স্কুল বা অন্য হেল্পফুল মাইন্ডের লোকজন পাবো ইনশাআল্লাহ।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ADHD Care & Awareness posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share