21/06/2023
'পাতাদের সংসার'-এর নতুন সংখ্যা। এ এঙ্গেলে করা প্রথম কাজ। এরপর থেকে এ ধরনের সংখ্যাগুলো প্রকাশিত হবে 'তিস্তা প্রকাশ'-এর ব্যানারে।
গাজী মোঃ সাইফুজ্জামানের অবদান বিশ্লেষণ প্রথম ও পরীক্ষামূলক কাজ হলেও আমরা এখানে সফলতা লাভের লক্ষ্যে বিমূর্ত বিষয়কে সরেজমিন মাঠ-পর্যায়ে তথ্য-উপাত্ত ও মানুষের অভিব্যক্তি সংগ্রহের মধ্য দিয়ে মূর্ত করে তোলার প্রয়াস গ্রহণ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসক হিসেবে একজন সরকারি কর্মকর্তা সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেন। মানুষের কল্যাণের জন্য সরাসরি কাজ করতে পারেন। এ সংখ্যায় আমরা এই দুই অবস্থাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।
গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসক থাকাকালীন দেশ, সমাজ ও মানুষের জন্য কী কী অবদান রেখেছেন তা মাঠ-পর্যায়ে কাজের মধ্য দিয়ে আমরা তুলে আনার চেষ্টা করেছি।
এছাড়াও বরিশাল কালেক্টরেট স্কুল প্রতিষ্ঠা, প্রধান নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বপালন, বেজা ও আইএমইডিতে ভূমিকা, তাঁর সাহিত্যকর্ম ও সম্পাদনা, ব্যক্তিগত জীবন এবং অন্যান্য অবদানের নানাদিক এ সংখ্যার মধ্য দিয়ে পাঠক জানতে পারবেন। যা, জনসেবার মাধ্যমে দেশ ও জনগণের উন্নয়ন এবং কল্যাণকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।
মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি, গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান
একজন জনবান্ধব’ প্রশাসক। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় দায়িত্বপালন করেছেন। আর জেলা প্রশাসক হিসেবে বরিশাল জেলায় দায়িত্বপালন করেছেন। দুই জায়গাতেই মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে দেশ, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে তাঁর নানামাত্রিক অবদানের কথা আমরা জেনেছি।
প্রশাসনের কাজ অনেকটা শাসনমূলক হলেও গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান শাসনকে সেবায় রূপান্তর করে কাজ করেছেন। তিনি বিচারিক, তদন্ত ও উচ্ছেদ কার্যক্রম, পাবলিক পরীক্ষায় ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বপালনসহ যাবতীয় প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সততা, দায়িত্বশীলতা, ন্যায়পরায়ণতা, আইনের বিধান ও সময়ানুবর্তিতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
কম্পিউটার সেন্টার প্রতিষ্ঠা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ আর অন্যান্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে বেশ কিছু ইনোভেটিভ কাজ করেছেন।
বরিশালে জেলা প্রশাসকের দায়িত্বপালনকালে সবচেয়ে বেশি উন্নয়নমূলক কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। একজন নেতা যে কাজগুলো করতে পারেন, গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান বরিশালে সেই কাজগুলো সম্পন্ন করেছেন। বরিশাল জেলার মধ্যে থাকা উপজেলাগুলোতেও আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক আর প্রশাসনিক উন্নয়নে নানা ধরনের কাজ করেছেন।
বরিশালে জেল খাল উদ্ধার, ফুল সরণি নির্মাণ, দুর্গাসাগর দীঘির সংস্কার, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বাঙ্কার ও টর্চার সেল উদ্ধার, চরমেঘায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা, আন্তঃউপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন, বরিশাল কালেক্টরেট স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ আরও বেশ কিছু উন্নয়নমূলক ও মানুষের জন্য কল্যাণময় কাজ করেছেন। বরিশালে থাকাকালীন মাত্র চল্লিশ দিনে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বরিশাল কালেক্টরেট স্কুল’।
তরুণদের জন্য তিনি উদ্দীপনামূলক ভালো ভালো কাজ করেছেন। তারা যাতে মাদকাসক্ত না হয় সেজন্য নানা ধরনের সভা-সেমিনার আর প্রচারণা করেছেন। তরুণদের খেলাধুলা, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা ও একসাথে মিলে সমাজ উন্নয়নে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করেছেন।
বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিকশিত করা, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান কাজ করেছেন সচিব হিসেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষে (বেজা) দায়িত্বপালনের সময়।
‘আইএমইডি পনি’ নামক একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্ভাবন ও তৈরি করে জনগণরে দোরগোড়ায় তথ্য-সেবা পৌঁছে দিয়েছেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তিনি কর্মজীবনের প্রতিটি পর্যায়ে প্রযুক্তি ও
ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করেছেন। মোবাইল ফোন, ফেসবুক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশাসনকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে গিয়েছেন। তিনি পেশাদারিত্বের সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন।
পেশাগত দায়িত্বপালনের পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাতেও তিনি উৎসাহী ও মনোযোগী।‘বাংলাদেশের উপন্যাসে ভূমি ও মানুষ’ শিরোনামে গবেষণামূলক চমৎকার একটি বই তাঁর রয়েছে। গবেষণার পাশাপাশি কবিতাও লিখেছেন। এখন গল্প ও উপন্যাস লেখায় মগ্ন আছেন। গদ্য হলো তাঁর শ্রেয়তর সামর্থ্যের জায়গা।
এ সংখ্যা পাঠের মধ্য দিয়ে গাজী মোঃ সাইফুজ্জামানের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে একটি কাঠামোগত ধারণা পাওয়া যাবে।
পৃষ্ঠা : ৬২৪
মুল্য : ২৫০ টাকা
পাঠক সমাবেশ, বাতিঘর ও অন্যান্য বুকশপে খোঁজ রাখুন।
ঘরে বসে পেতে যোগাযোগ নম্বর : ০১৯২৫২৫৫৭৯৬