Shahabul Aayan

Shahabul Aayan Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Shahabul Aayan, Digital creator, Dhaka.

Traverse through life with shukr and sabr 🌸

Aesthetic Quotes || Nature Captures 📷 ||
Islamic Reminders || Teacher || Traveller 🧳||

📍Bangladeshi 🇧🇩

28/07/2025

“যুগটাই এমন...
আপনি যত নরম হবেন,
মানুষ তত বেশি আপনাকে ব্যবহার করবে।
ভদ্রতা এখন দুর্বলতা হিসেবে গণ্য হয়!”

23/07/2025

কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া এক কয়েদীকে জিজ্ঞেস করা হলো:
"আপনারা কী খেতেন? কীভাবে কাটিয়েছেন?"

তিনি শান্ত কণ্ঠে উত্তর দিলেন:
"শুধু দোয়া। দোয়াই ছিল আমাদের খাবার।"
তিনি বলেন,
"আমরা আল্লাহর নিকট দোয়া করতাম, আর তাতেই পরিতৃপ্ত হতাম।
কারাগারে থাকাকালীন আমি বারবার বলতাম:
‘হে আল্লাহ! আপনি যেভাবে মারয়াম বিনতে ইমরানকে অদৃশ্য রিযিক দিতেন,
আপনিও আমাকে সেভাবে রিযিক দিন।’
এই দোয়া করার পরই অন্তর প্রশান্ত হয়ে যেত, মনে হতো আমি তৃপ্ত। ক্ষুধা আর থাকত না।"

তিনি আরও বলেন,
"আমি একটি হাদীস স্মরণ করতাম, যেখানে
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
‘শেষ জামানায় আমার উম্মতের একটি দল এমন হবে,
যাদের খাবার হবে তাসবীহ, তাহলীল ও দোয়া।’
এই কথা স্মরণ করে যখনই দোয়া করতাম,
পরিপূর্ণ তৃপ্তি অনুভব করতাম।
দুনিয়ার খাবারের প্রয়োজনই যেন থাকত না!"

আল্লাহু আকবার কাবীরা!
Copyright
نصرٌ من الله وفتحٌ قريب 🖤🖤

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (মতিঝিল ব্রাঞ্চ) ছেলেরা বৃষ্টির সময় নিজ কক্ষে বেঞ্চ সাজিয়ে নামাজ আদায় করছে।এমন প্রজন্ম গড়ে ...
15/07/2025

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (মতিঝিল ব্রাঞ্চ) ছেলেরা বৃষ্টির সময় নিজ কক্ষে বেঞ্চ সাজিয়ে নামাজ আদায় করছে।

এমন প্রজন্ম গড়ে উঠুক! 🥰🔥

30/06/2025

মা তার বাচ্চা‌কে বুঝা‌চ্ছেন- য‌দি তু‌মি সুরা ইখলাস ১০ বার পড়, তাহ‌লে তোমার জন‌্য জান্না‌তে এক‌টি অট্টা‌লিকা নির্মাণ করা হ‌বে।

শিশু‌টি সূরা ইখলাস পড়‌তে আরম্ভ করলো। মা-ও তার বাচ্চার সা‌থে পড়‌তে থাকলেন।

শিশু‌টি তার মা‌কে বললো: মা! তোমা‌র পড়ার প্রয়োজন নেই। আমি তোমা‌কেও আমার সা‌থে অট্টা‌লিকায় রাখবো।

অর্থাৎ, শিশুটি তার বুঝ অনুযায়ী বলছে, জান্নাতে অট্টালিকা থাকলে আমি আর তুমি তো আলাদা থাকবো না। আমার বাসায়ই তোমাকে রাখবো!

আরবী থে‌কে সংগৃ‌হিত

বাংলাদেশের আকাশে মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে৷ #একটি_পরীক্ষিত_আমল। শেয়ার করে দিলে অপরজন আমলের সুযোগ পেয়ে যাবে৷শুরু ...
26/06/2025

বাংলাদেশের আকাশে মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে৷
#একটি_পরীক্ষিত_আমল। শেয়ার করে দিলে অপরজন আমলের সুযোগ পেয়ে যাবে৷
শুরু হলো ১৪৪৭ হিজরী সনের প্রথম মাস, তাৎপর্যপূর্ণ মাস, আল্লাহর মাস, মুহাররম মাস৷
পহেলা মুহাররম তথা আজকের দিনের বিশেষ একটি পরীক্ষিত আমল হল এই-
হযরত মুফতি মুহাম্মদ শফি রহ. জাওয়াহিরুল ফিকহ কিতাবের ২য় খণ্ডের ১৮৭ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন, যদি কোন ব্যক্তি মুহাররমের ১ তারিখে (আরবী নববর্ষের প্রথম দিনে) ১১৩ বার পুরো
"بسم الله الرحمن الرحیم"
কাগজে লিখে নিজের কাছে রাখে আল্লাহ তাআলা তাকে সর্বপ্রকারের বালা-মুসিবত থেকে হিফাযত করবেন। ইনশাআল্লাহ!
(জাওয়াহিরুল ফিকহ, ২/১৮৭)

বিঃ দ্রঃ এই আমলটি আগামীকাল শুক্রবার সূর্য ডুবার আগেই করতে হবে৷
আর এটি কোনো সুন্নাত, মুস্তাহাব বা ওয়াজিব, ফরজ আমল নয় যে করাটা জরুরী৷
যাস্ট বুযুর্গগণের একটি মুজাররাব তথা পরীক্ষিত আমল যার মন চায় সে করবে৷

26/06/2025

“হতাশার সময় ইস্তেগফার কে আবশ্যক করে নিন। কারণ, ইস্তেগফার অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়।”
— ইবনু উসাইমিন। (রাহিমাহুল্লাহ)
শাহরুল কাফিয়া- ৩/১৮৯

19/06/2025

ঘুম আসছেনা! একটা কথা বার বার মনে আসছে...
ইস/রায়েল থেকে আমেরিকার দূরত্ব হল ১১,২৭৪ (এগারো হাজার দুইশত চুয়াত্তর) কিলোমিটার৷
এত দূর হওয়া সত্ত্বেও আমেরিকা নিয়মিত ইস-রায়েলে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সর্বপ্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছে৷

অপরদিকে মিশর, জর্দান, সৌদী আরব ফিলি-স্তীনের সাথে একেবারে পাশবর্তী লাগোয়া দেশ হওয়ার পরেও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করবে দূরের কথা খাবার সহযোগিতাও পাঠাতে ব্যর্থ৷

এটা কেন?? জর্দান, মিশর, সৌদীর কাছে কি অস্ত্র নেই? আধুনিক প্রযুক্তি নেই?
সবই আছে, কিন্তু কুফফারদের বিরোদ্ধে ব্যবহার করছেনা বা করতে পারবে না৷

এর কারণ কী? আসুন জেনে নেই!
আজ থেকে সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বে এর কারণ নবীজী বলে গেছেন, সুনানে আবু দাউদের ৪২৯৭ নং হাদিসের বর্ণনায় এসেছে,
عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يُوشِكُ الأُمَمُ أَنْ تَدَاعَى عَلَيْكُمْ كَمَا تَدَاعَى الأَكَلَةُ إِلَى قَصْعَتِهَا ‏"‏ ‏.‏
অর্থঃ হযরত সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ খাদ্য গ্রহণকারীরা যেভাবে খাবারের পাত্রের চতুর্দিকে একত্র হয়, অচিরেই বিজাতিরা তোমাদের বিরুদ্ধে সেভাবেই একত্রিত হবে।
فَقَالَ قَائِلٌ وَمِنْ قِلَّةٍ نَحْنُ يَوْمَئِذٍ قَالَ ‏"‏ بَلْ أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ كَثِيرٌ وَلَكِنَّكُمْ غُثَاءٌ كَغُثَاءِ السَّيْلِ وَلَيَنْزِعَنَّ اللَّهُ مِنْ صُدُورِ عَدُوِّكُمُ الْمَهَابَةَ مِنْكُمْ وَلَيَقْذِفَنَّ اللَّهُ فِي قُلُوبِكُمُ الْوَهَنَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْوَهَنُ قَالَ ‏"‏ حُبُّ الدُّنْيَا وَكَرَاهِيَةُ الْمَوْتِ ‏"‏ ‏.‏
একথা শুনে এক ব্যক্তি বললো, সেদিন আমাদের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে কি এরূপ হবে? তিনি বললেনঃ তোমরা বরং সেদিন সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে; কিন্তু তোমরা হবে প্লাবনের স্রোতে ভেসে যাওয়া আবর্জনার মত। আর আল্লাহ তোমাদের শত্রুদের অন্তর হতে তোমাদের পক্ষ হতে আতঙ্ক দূর করে দিবেন, তিনি তোমাদের অন্তরে ভীরুতা ভরে দিবেন। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! ‘আল-ওয়াহ্‌ন’ কি? তিনি বললেনঃ দুনিয়ার মোহ এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪২৯৭)

সহীহুল বুখারীর ৩১৫৮ নং হাদীসের বর্ণনায় এসেছে,
فَوَاللَّهِ لاَ الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ، وَلَكِنْ أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ ‏"‏‏.‏
রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! আমি তোমাদের ব্যাপারে দারিদ্রের ভয় করি না। কিন্তু তোমাদের ব্যাপারে এ আশঙ্কা করি যে, তোমাদের উপর দুনিয়া এরূপ প্রসারিত হয়ে পড়বে যেমন তোমাদের অগ্রবর্তীদের উপর প্রসারিত হয়েছিল। আর তোমরাও দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে, যেমন তারা আকৃষ্ট হয়েছিল। আর তা তোমাদেরকে ধ্বংস করবে, যেমন তাদের ধ্বংস করেছিল।’ (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩১৫৮)

আমরা দারুল উলুম দেওবন্দে পড়াকালীন একদিন আসরের পর শাইখুল হাদীস আল্লামা সাঈদ আহমাদ পালপুরী রহঃ বলেছিলেন, আরব হল মুসলিম উম্মাহর কলব বা রূহ৷
আর কলব দূর্বল বা নষ্ট হয়ে গেলে পুরো দেহ যত সুন্দরই হোক না কেন সেই দেহে কোনো শক্তি থাকে না৷

ঠিক তেমনি আরবরা জাগ্রত না হলে, সিপাহসালারের ভূমিকা গ্রহণ না করলে পুরো মুসলিম জাতি মিছিল মিটিং আর বিক্ষোভ সমাবেশ যতই করুক তেমন লাভজনক হবে না৷

এই কথাটি অধম নিজ কানে হুজুরের যবান থেকে শুনেছি৷
আরেকবার আরবদের কয়েকজন লোক পালনপুরী রহিমাহিল্লার কাছে আসরের পর আসছিল, হুজুর সালাম মুসাফাহা করে আর তাদেরকে বসতে বলেননি, হুজুর তাদেরকে বলেন: যখন থেকে তোমরা মহিলাদের মত টাখনুর নিচে জুব্বা পরিধান শুরু করেছো তখন থেকে তোমাদের মাঝে জুবুন তথা কাপুরুষতা গালেব হয়ে গেছে৷
আরবরা এখন সারা বিশ্বের কাফের বেঈমানদের গোলামে পরিণত হয়েছে৷

আল্লামা ইকবাল মারহুমের এই কবিতাটি মনে পড়ছে,
يا رب! دل مسلم کو وہ زندہ تمنا دے
جو قلب کو گرما دے ، جو روح کو تڑپا دے

আল্লাহ তাআলা আমাদের দূর্বলতা ও নেফাকীকে দূর করে দিন, সাহাবাওয়ালা ঈমান দান করুন, আমীন৷

18/06/2025

জীবনে কাজে লাগবে এমন ১৫টি বাস্তব স্কিল
(Life- Changing Skills):

১/ ড্রাইভিং শেখা (গাড়ি/বাইক)

২/ সাঁতার শেখা

৩/ টাকা জমানো ও খরচের বাজেট করা শেখা

৪/ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, চেক লেখা, এটিএম চালানো শেখা

৫/ মোবাইল ব্যাংকিং (নগদ, বিকাশ, রকেট) ঠিকভাবে ব্যবহার শেখা

৬/ সঠিকভাবে রাস্তা পার হওয়া ও ট্রাফিক রুল জানা

৭/ সাইকেল ঠিক করা বা চেইন লাগানো শেখা

৮/ বেসিক কুকিং শেখা (নিজে রান্না করা)।

৯/ টেকনোলজিতে দক্ষতা (Google Tools, Zoom, Canva ইত্যাদি)

১০/ টাইপিং শেখা (বাংলা/ইংরেজিতে দ্রুত টাইপিং)

১১/ ছবি/ভিডিও এডিট করতে শেখা (CapCut, VN, Canva ইত্যাদি)

১২/ পাবলিক স্পিকিং বা হাজারখানেক মানুষের সামনে কথা বলার সাহস

১৩/ নেগোশিয়েশন বা দর কষাকষি শেখা

১৪/ মাইন্ডফুলনেস বা স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট শেখা।

১৫/ প্রাথমিক চিকিৎসা বা First Aid শেখা

মনে রাখবেন, আজকে আপনি যে স্কিল শিখলেন, আগামীকাল সেটা আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে।

(বি:দ্র: এই স্কিলগুলোর মধ্যে আপনার কয়টা জানা আছে? কমেন্টে সেটা জানান।)

17/06/2025

বিশ্বের মুসলিমদের ইতিহাস জানা জরুরী:
পড়ে আপনার টাইম লাইনে রেখে দিন----

ইহুদী ধর্মের জাতির পিতা এবং ইসলাম ধর্মের জাতির পিতা একজন ই, হযরত ইবরাহীম(আঃ)।
ইবরাহীম(আঃ) এর দুই পুত্র, ইসহাক(আঃ) আর ইসমাইল(আঃ)।

হয়রত ইসহাক(আঃ) এর পুত্র ছিলেন হযরত ইয়াকুব(আঃ), উনার আরেক নাম ইস/রা/ইল। এই ইয়াকুব(আঃ) এর বংশকে আল্লাহ্ তা'আলা বনি-ই/সরা/ইল নামে সম্বোধন করেছেন।

হযরত ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১জনের নাম ছিলো ইয়াহুদা। এই ইয়াহুদা এর বংশই পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করে।
তাই, বনি-ই/সরা/ইল এর আরেক নাম ই/হু/দী।

ই/হু/দী ধর্ম আর বংশ দুটো আলাদা।
সব ইহুদী বংশের লোক ইহুদী ধর্মের হলেও সব ইহুদী ধর্মের লোক ই ইয়াহুদার বংশ নয়।
এই ইয়াহুদা ই কিন্তু তার আপন ভাই ইউসুফ(আঃ) কে কূপে ফেলে হত্যা করতে চেয়েছিল!

৪ হাজার বছর আগে ইসহাক(আঃ) এর মৃত্যুর পর ইয়াকুব(আঃ) আল্লাহ্‌'র নির্দেশে শামনগরী (সিরিয়া) থেকে কেনানে হিজরত করেন। এই কেনান ই বর্তমানের ফিলিস্তিন।

এরপর কেনানে (ফিলিস্তিন) দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে ইয়াহুদা তার সব ভাই এর সাথে মিশরে চলে যায় এবং মিশরে বসবাস শুরু করে।

মিশরের তখনকার রাজা ছিলেন ইউসুফ(আঃ), যিনি ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১১তম। সেই কারণে ইয়াহুদা ও তার বংশ মিশরে অনেক দাপটের সাথে থাকতে শুরু করে।

তারপর কালের পরিক্রমায় ক্ষমতা যায় ফারাও রাজাদের হাতে। ফেরাউন এসে বনি-ই/সরা/ইলদের এত অত্যাচার শুরু করে যে এরা সারাদিন 'ইয়া নাফসী' 'ইয়া নফসী' করতো।
তখন আল্লাহ্ তাদের কাছে পাঠালেন মূসা(আঃ) আর তাওরাত কিতাব। মুসা(আঃ) ফেরাউনকে নীলনদে ডুবানোর মাধ্যমে বনি-ই/সরা/ইল মুক্তি পায়।

তারপর মূসা(আঃ) সবাইকে নিয়ে কেনানে (ফিলিস্তিন) ফিরে যান। পরে তারা সেখানে গিয়ে আল্লাহ্‌'র অশেষ রহমত পাওয়া সত্ত্বেও মুসা(আঃ) এর ওফাতের পর আবার আল্লাহ্‌ কে ভুলে যায়, গরুপূজা সহ নানা রকম অনাচার শুরু করে।

তারপর তাদের মধ্যে ক্ষমতার লোভে নিজেদের একতা ভেঙ্গে যায়, ভিনদেশীরা তাদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের আবার গোলাম বানিয়ে অত্যাচার করতে থাকে।
এর ১০০বছর পরে দাউদ(আঃ) আর উনার ছেলে সুলাইমান(আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা আবারও এই অত্যাচার থেকে তাদেরকে মুক্তি দেন।

কিন্তু সুলাইমান(আঃ) এর মৃত্যুর পর ই/হু/দীরা আবার শয়তানের পূজা শুরু করে। তাদের ভিতরে থাকা ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাওরাত কিতাবের মধ্যে নিজেদের সুবিধামত সংযোজন-বিয়োজন করার মতন ধৃষ্টতা দেখায়।
তারা তাওরাতে সংযোজন করে যে, "আল্লাহ্ তায়ালা ইসহাক(আঃ) এর স্বপ্নে কেনানকে ইহুদীদের জন্য প্রমিজ ল্যান্ড হিসেবে দিয়েছেন, এটা তাদের জয় করে নিতে হবে।"
এটাকে তারা 'জেকব লেডার ড্রিম' বলে।

তাদের এমন নির্লজ্জতা ও ধৃষ্টতার কারণে তারা বারবার আল্লাহ্‌'র শা/স্তির মুখে পড়েছে। যেমনঃ
কখনো গৃহহীন হয়ে যাযাবরের মতো ঘুরেছে,
ব্যবিলনীয় সাম্রাজ্যের দ্বারা গণহ/ত্যার শিকার হয়েছে,
রোমান সাম্রাজ্যের দ্বারা সিরিয়া থেকে আরব দেশে বিতাড়িত হয়েছে।
মহানবী(সাঃ) এর সময় তারা আরব দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে চলে যায় ইউরোপে।
আর উমার(রা:) ফিলিস্তিন ও আল-আকসা বিজয় করেন।
আজ ইস/রা/য়েলের এতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইউরোপও তখন তাদেরকে আশ্রয় দেয়নি।

বনি-ইস/রা/ইলের এমন পরিণতির কারণ আল্লাহ তায়ালা এর শা/স্তির পাশাপাশি তাদের ব্যবহার!
তখনকার লোকদের ভাষ্যমতে, তারা অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির মানুষ ছিল।
তাদেরকে যে জায়গায় আশ্রয় দেয়া হতো সেই জায়গাতেই তারা তাদের প্রতিবেশীর জমি দখল করতো!

ই/হু/দীরা বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ছিল আর তাদের ব্যবসা অন্যদের থেকে কৌশলগতভাবে আলাদা ছিলো, যার কারণে যাযাবরের মতো ঘুরলেও তাদের অর্থ-সম্পদ ভালোই ছিল। সেই অর্থ-সম্পদ এর দাপট দেখিয়ে তারা সেইসব এলাকার স্থানীয় লোকদের উপরই ছড়ি ঘুরাতো।
তাই তারা সেইসব এলাকার রাজা ও বাসিন্দাদের দ্বারা বার বার বিতাড়িত হতো।

বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করার পর তারা একসময় বুঝতে পারে যে, যেকোনো সমাজকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে শিক্ষা ও অর্থের বিকল্প নেই।
তাই তারা শিক্ষা অর্জন ও অর্থ উপার্জনের উপর গুরুত্ব দেয়।
তারা বিশ্বাস করে, কেনান তাদের জন্য সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভূমি।
তারা এটাও বিশ্বাস করে যে, একসময় তাদের একজন মসিয়াহ্‌(দাজ্জাল) এসে তাদের এই ভূমিকে উদ্ধার করে দিবে।

১৮ শতাব্দীতে ই/হু/দীরা তাদের ধর্ম-পরিচয় গোপন করে ইউরোপে বসবাস শুরু করে।
তখন থিওডোর হার্জেল নামে তাদেরই একজন ব্যবসায়ী ফিলিস্তিনকে নিজেদের দখলে আনার লক্ষ্যে ১৮৯৭ সালে জিওনিজম আন্দোলন শুরু করে ই/হু/দীদেরকে আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখানো শুরু করে।
এই আন্দোলনকে যারা সমর্থন করে, তাদেরকে জিওনিস্ট বলে।

যেহেতু ই/হু/দীরা অনেক শিক্ষা অর্জন আর অর্থ উপার্জন করেছিলো, তাই তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষ ইউরোপে ধর্ম গোপন করে থাকলেও কেউ কেউ মেধার জোরে ইউরোপে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করতে, বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে শুরু করে।
তখন তারা শুধুমাত্র পদ দখল করেই থেমে থাকেনি, সেই সাথে নিজেদের একটা রাষ্ট্র গঠনেও প্রচুর সমর্থন সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে থাকে।

তখন ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো, তাদেরকে আফ্রিকার উগান্ডায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
ঠিক এমন সময় শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে যুক্তরাজ্য নিজেদের অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য এক ধরনের গ্লিসারিন ইউজ করতো, যেটা আসতো জার্মানি থেকে।
কিন্তু যুদ্ধের সময় জার্মানি যুক্তরাজ্যের বিপক্ষে থাকায় গ্লিসারিন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

তখন যুক্তরাজ্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে চাইম ওয়াইজম্যান নামক একজন ই/হু/দী গবেষক ও ব্যবসায়ী। তিনি গ্লিসারিন এর বদলে এসিটোন দিয়ে অস্ত্র সংরক্ষণের পদ্ধতি শিখিয়ে দেন এবং যুদ্ধে প্রচুর অর্থ সহায়তা দেন।
তার এমন অভুতপূর্ব অবদানের জন্য যুদ্ধের পর যুক্তরাজ্য যখন তাকে পুরস্কৃত করতে চায়, তখন সে জানায় যে তার একমাত্র পুরস্কার হবে তাদের প্রমিজল্যান্ড মানে ফিলিস্তিনে তাদের বসবাসের সুযোগ করে দেয়া!
এখানে উল্লেখ্য, চাইম ছিলেন জিওনিজম আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

ফিলিস্তিন তখন ছিল উসমানী সালতানাতের দখলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর তুরস্কের ক্ষমতা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়। সেই সুযোগে ধাপে ধাপে ই/হু/দীরা ফিলিস্তিনে প্রবেশ করতে থাকে।
প্রথমে তারা ফিলিস্তিনিদের কাছে ঘর ভাড়া করে থাকতে শুরু করে, তারপর বেশি দামের লোভ দেখিয়ে সেগুলো কিনতে থাকে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি পরাজয়ের পর পুরো বিশ্বের ক্ষমতা ইউরোপের হাতে চলে যায়।
ই/হু/দীরা তখন স্থানীয় ফিলিস্তিনিদেরকে অত্যাচার-জোর-জবরদস্তি করা শুরু করলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদ করে।

তখনই ইউরোপ থেকে ঘোষণা আসে, পুরো ফিলিস্তিনের ৫৫ ভাগ থাকবে ফিলিস্তিনিদের দখলে আর বাকি ৪৫ ভাগ হবে ই/হু/দীদের।
৬লাখ ই/হু/দীর জন্য ৪৫% আর ১২কোটি ফিলিস্তিনির জন্য ৫৫% জায়গা!

জাতিসংঘ থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার পর ই/হু/দীরা ইজ/রা/য়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।নবগঠিত এই রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয় চাইম ওয়াইজম্যান।

ইজ/রায়ে/ল রাষ্ট্র গঠন হওয়ার ঠিক ৬ মিনিটের মধ্যে আমেরিকা তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়!

আর এভাবেই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে তারা ইয়াকুব(আঃ) এর সাথে কেনানে আসা যাযাবর থেকে আজকে গাজাকে ধ্বংসকারী দানবে পরিণত হয়েছে!

আর বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানেরা মুখে কুলুপ এঁটে চুপ করে বসে আছেন আর চোখে ঠুঁলি পরে সবকিছুকে না দেখার ভান করছেন!

এরা কখনো সমাজে মাথা উঁচু করে দাড়াতে ও কথা বলতে  পারবে না: মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী (রহ.)❝চল্লিশ বছরে আমি কখনোই হিন্দুস...
11/06/2025

এরা কখনো সমাজে মাথা উঁচু করে দাড়াতে ও কথা বলতে পারবে না: মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী (রহ.)
❝চল্লিশ বছরে আমি কখনোই হিন্দুস্থান ও পাকিস্তানে চামড়া কালেকশন এর অপমানজনক পদ্ধতি দেখিনি❞
❝.. কুরবানির মৌসুমেও পশুর চামড়া গ্রহণের যে পদ্ধতি এখানে চালু রয়েছে, সেটিও অত্যন্ত অপমানজনক বলে মনে করি। পাকিস্তান ও হিন্দুস্থানে এই চামড়া গ্রহণ কীভাবে হয়ে থাকে তা আমি পূর্বে কোনো এক সময় বলেছিলাম। আমি জানি না দেওবন্দি ধারার প্রতিষ্ঠান হয়েও আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকরা কীভাবে এরকম অপমানজনক পদ্ধতি প্রবর্তন করলেন।.. বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখবেন, ছাত্ররা নানাধরনের নিম্নরুচির খেদমত আনজাম দেওয়ার কারণে হীনম্মন্যতার শিকার হয়ে থাকেন। শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও একই কথা। মাদরাসার প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফাসিক, এবং স্পষ্ট কবিরা গুনাহে লিপ্ত মানুষদের থেকে তোষামোদের মাধ্যমে চাঁদা আদায়ের কারণে তলাবায়ে কেরাম সমাজে হীনম্মন্য হয়ে চলাফেরা করেন।
আপনি যদি আদর্শ প্রতিষ্ঠানের প্রধান এই দুই স্তম্ভকে (ছাত্র - শিক্ষক) নিজেদের কাছে হীনম্মন্য করে দেন, তাহলে তারা কখনোই সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে ও কথা বলতে পারবে না। ঠিক এই চিত্রটিই আমি গত ২০ বছর ধরে আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে দেখে আসছি, যা গত চল্লিশ বছরে আমি কখনোই হিন্দুস্থান ও পাকিস্তানে লক্ষ করিনি।❞
আত্মজীবনী, মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী (রহ.), সাবেক প্রধান মুফতী, হাটহাজারী মাদরাসা

আনোয়ার আব্দুল্লাহ সাহেবের টাইমলাইন থেকে কপি করা।

09/06/2025

কিয়ামতের দিন রসুলুল্লাহ (স:)এর সুপারিশ লাভ
দশবার বলবে,

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ

হে আল্লাহ! আপনি সালাত ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।

আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ

‘যে কেউ সকাল বেলা আমার উপর দশবার দরুদ পাঠ করবে এবং বিকাল বেলা দশবার দরুদ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ দ্বারা সৌভাগ্যবান হবে।’

তাবরানী হাদীসটি দু’ সনদে সংকলন করেন, যার একটি উত্তম। দেখুন, মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ ১০/১২০; সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব ১/২৭৩

03/06/2025

শেষ জামানার একটা নিদর্শন হলো রিদ্দা বা দ্বীন থেকে বের হয়ে যাওয়া এইটা মহামারি আকার ধারণ করবে। মানুষ জানতেও পারবে না যে সে আর মুসলিম নেই, অথচ সে নিজেকে মুসলিম দাবি করবে। আমাদের চারপাশেই এরা ঘুরবে, ফিরবে, একই টেবিলে বসে খাবে, আমাদের মেয়ে, বোনেদের সাথে এদের বিয়ে হবে। অথচ এরা মুসলিম নয়!

আবু মূসা আশআরি (রাদিআল্লাহু তা‘আলা আনহু) বলেন —

‘নিশ্চয় তোমাদের পরবর্তী যুগে ফিতনা হবে গভীর অন্ধকার রাতের ন্যায়। মানুষ সে সময় সকালে মুমিন থাকবে, সন্ধ্যায় কা’ফির হয়ে যাবে। সন্ধ্যায় মুমিন থাকবে, সকালে কা’ফির হয়ে যাবে।’

[মুসান্নাফে ইবনু আবি শাইবাহ, ১৩/৩৮৫; যুহদ লি ইমাম আহমাদ, ১৯৯]

আল্লাহ তা‘আলা এই ফিতনার জামানায় আমাদেরকে মু’রতা’দের মিছিলে শামিল হওয়া থেকে হিফাযত করুন। দিনশেষে যে ঈমানটুকু হারিয়ে গেলে সবকিছুই অর্থহীন হয়ে যাবে, অন্তত সেটুকু ঈমান নিয়ে আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হওয়ার তাওফিক দান করুন, আমিন।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shahabul Aayan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share