Khobor Dhara - খবর ধারা

Khobor Dhara - খবর ধারা খবরের ধারায় সর্বদা সত্যের পথে।

বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিলনারী শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি ও সাইবার বুলিংয়ের প্র...
02/09/2025

বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল
নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি ও সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে জোরালো অবস্থান

বড়লেখা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির প্রার্থীতার বিরুদ্ধে রিটকারী এক নারী শিক্ষার্থীকে শিবির নেতা কর্তৃক প্রকাশ্যে গণধর্ষ/ণের হুম/কি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেত্রীদের হেন/স্তা এবং সারাদেশে নারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে শিবির কর্মীদের অব্যাহত সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বড়লেখা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এম আরিফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল শাহরিয়ার এবং সিনিয়র ছাত্রনেতা হাসান মোঃ শাহীন, মোঃ সালাউদ্দিন শুভ, শামিমুল ইসলাম, ফয়ছল আহমদ, আব্দুস সামাদ তারেক, মারওয়ান বিন রহমান ও মারওয়ান আলম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ফয়জুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ তুহিন, ফরহাদ হোসেন; কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম; সিনিয়র ছাত্রনেতা তানভীর আহমদ, তৌফিকুর রহমান ফাহিম, সাহিব আহমদ, হিমেল আহমেদ, তারেকুর রহমান, কামিল আহমদ, আবু সালেহ মুছা মোঃ রায়হান, সালমান আহমদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি যেকোনো হুমকি, হেনস্তা বা সাইবার আক্রম/ণের বিরুদ্ধে ছাত্রদল কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। তারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তা/র ও দৃষ্টান্তমূলক শা/স্তির দাবি জানান।

বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নেতারা আরও জানান, নারী শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ছাত্রদলের প্রতিটি কর্মী সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে এবং সন্ত্রা/সী শক্তির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বড়লেখায় জামায়াতের আমির অপসারণ বিতর্ক থামছে না, সাবেক আমির এমাদুল ইসলামের প্রতিক্রিয়া।বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ● বড়ল...
27/08/2025

বড়লেখায় জামায়াতের আমির অপসারণ বিতর্ক থামছে না, সাবেক আমির এমাদুল ইসলামের প্রতিক্রিয়া।

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ● বড়লেখা উপজেলা জামায়াতে ইসলামের নেতৃত্বে পরিবর্তনের খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মী ফেসবুক পোস্ট ও কমেন্টের মাধ্যমে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। আমাদের নির্ভরযোগ্য সূত্রের ভিত্তিতে সেই প্রশ্নগুলোর জবাব দিতে আমরা আবারও তথ্য যাচাই করেছি।

প্রথমত, জামায়াতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনো নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ না থাকলে সাধারণত তাঁকে অপসারণ বা বহিষ্কার করা হয় না। দলীয় ফোরামে অভিযোগ উঠলে শুরা সদস্যরা গোপন বৈঠকে তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। এসব প্রক্রিয়া সাধারণত থানা বা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের জানা থাকে না।

উদাহরণ হিসেবে চট্টগ্রামের সাবেক আমির শাহজাহান চৌধুরীর ঘটনা উল্লেখ করা যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে অপসারণ করা হলেও আজ পর্যন্ত কোনো নেতাকর্মী প্রকাশ্যে জানেন না কেন তাঁকে সরানো হয়েছিল। তবে সেক্ষেত্রে দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে নায়েবে আমির নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু বড়লেখা উপজেলার ক্ষেত্রে চিত্রটি কিছুটা ভিন্ন। স্থানীয় নায়েবে আমির ফয়ছল আহমদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকায় তাঁকে দায়িত্ব না দিয়ে জেলার কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা ইসলাম উদ্দিনকে উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় কি এমাদুল ইসলামকে ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অনেকে প্রশ্ন রাখেন তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশজুড়ে শত শত উপজেলা আমির স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত থেকেছেন, কিন্তু শুধুমাত্র এই কারণে কাউকে আমির পদ থেকে অপসারণ করার উদাহরণ নেই।

জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে উপজেলা নির্বাচনের জন্য ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে এমাদুল ইসলাম কে এটি কতটা যৌক্তিক?
সাবেক আমির এমাদুল ইসলাম আমাদের কাছে দাবি করেছেন, দল তাঁকে যেখানে প্রয়োজন মনে করবে, সেখানেই দায়িত্ব দেবেন, এবং তিনি সেখান থেকেই দলের জন্য কাজ করবেন। তবে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এদিকে, জামায়াতে ইসলামি বর্তমানে পি আর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন চেয়ে আসছে। তাই শুধুমাত্র উপজেলা নির্বাচনের জন্য তাঁকে ফ্রি করার যুক্তি অনেকের কাছে অসঙ্গত মনে হচ্ছে।

অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন ইসলাম উদ্দিনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে, উল্লেখ করেছেন যে জেলা পর্যায়ে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাই তাঁকে এই পদে নিয়োগের কারণ। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমিরের অনুপস্থিতিতে নায়েবে আমির দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও, ফয়ছল আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার কারণে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আমাদের সঙ্গে আলাপকালে সাবেক আমির এমাদুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বর্তমানে জেলা শুরা সদস্য ও জেলা টিমের সক্রিয় সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এমাদুল ইসলাম বলেন,
“দল আমাকে যেখানে রাখবে সেখান থেকে দলের জন্য কাজ করে যাবো।”

তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি দলের সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও আনুগত্যের সঙ্গে মেনে চলছেন।

#বড়লেখা #জামায়াতে_ইসলাম

26/08/2025

বড়লেখা আমির এমাদুল ইসলাম কে অপসারণ নিউজ নিয়ে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর ও প্রশ্ন রেখে আবারও আসছি খুব শীঘ্রই।

চেয়ারম্যান প্রার্থী সিলেকশনে অনিয়ম ও থানায় তদবিরের অভিযোগে বড়লেখার জামায়াত আমির এমাদুল ইসলাম অপসারিতভারপ্রাপ্ত আমির ইসলা...
25/08/2025

চেয়ারম্যান প্রার্থী সিলেকশনে অনিয়ম ও থানায় তদবিরের অভিযোগে বড়লেখার জামায়াত আমির এমাদুল ইসলাম অপসারিত
ভারপ্রাপ্ত আমির ইসলাম উদ্দিন

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ● বড়লেখা উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির এমাদুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। নতুন করে উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা ইসলাম উদ্দিনকে।

জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে এমাদুল ইসলামকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আমির অনুপস্থিত থাকলে নায়েবে আমির দায়িত্ব পালন করার নিয়ম থাকলেও এ ক্ষেত্রে নায়েবে আমিরকে পাশ কাটিয়ে সরাসরি ইসলাম উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জেলার নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এমাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় তদবিরের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সম্প্রতি তিনি বড়লেখা থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আওয়ামী লীগের ১০নং দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন শাখার দপ্তর সম্পাদক নাজিম আহমেদকে মুক্ত করাতে সরাসরি তদবির করেন। অভিযোগ রয়েছে, নাজিম আহমেদ তাঁর শ্যালক পরিচয়ে থানায় গিয়ে মুক্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন তিনি।

এছাড়া, বড় অঅভিযোগ উপজেলার দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিলেক্ট করার অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা জামায়াতের আমিরের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জেলা জামায়াতের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, শুধু এমাদুল ইসলাম নন, নায়েবে আমির ফয়সাল আহমদের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ জমা হয়েছে। খুব শিগগিরই তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

24/08/2025

প্রিয় বড়লেখা জামায়াতে ইসলাম আপনাদের জন্য Good news আসছে

বড়লেখায় শ্রমিক নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল: জামায়াতের দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ২৬ জুলাই বড়লেখা উপজেলার একটি শ্...
29/07/2025

বড়লেখায় শ্রমিক নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল: জামায়াতের দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

২৬ জুলাই বড়লেখা উপজেলার একটি শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তিন নম্বর বুথে ভোট চলাকালীন একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, জামায়াতের নায়েবে আমির ও শ্রমিক উপদেষ্টা ফয়সাল আহমদ এবং শ্রমিক সহকারী নির্বাচন কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ সুমন জাল ভোটে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটগ্রহণের সময় তিন নম্বর বুথের দরজা বন্ধ করে ভেতরে শিল মারার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, জামায়াত নেতা ফয়ছল আহমদ, জয়নাল আরও কয়েকজন ব্যক্তি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং সাধারণ ভোটারদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল।

একজন ভোটার জানান, “ভোটের সময় দরজা বন্ধ, ভেতরে কী হচ্ছে কেউ জানে না। আমরা বাইরে চেঁচামেচি করছি—দরজা খুলেন, এটা কী হচ্ছে!”

ভিডিওতে দেখা যায়, বুথের ভেতরে ৩–৪ জন যুবক ব্যালট পেপারে একের পর এক সিল মারছে, এবং পাশে দাঁড়িয়ে আছেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার শাহিন, যিনি জামায়াতপন্থী শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বড়লেখা শাখার সভাপতি।

জাল ভোটের বুথে ভোট গ্রহণ হয়েছে ফকির বাজার পূর্ব (১৬৫) ফকির বাজার পশ্চিম (১৭৬) কাজিরবন্দ (৫৩) বর্ণি পরতাচক (১৪) বর্ণি গোদাম বাজার (১৭) দাসের বাজার (৩১৯) সিএনজি স্ট্যান্ডগুলোর। মোট ভোটার: ৭৪৪ জন বুট কাস্ট: ৪৬৪ এর মধ্যে ৩২৭টি ভোট পেয়েছেন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ইকবাল (মোরগ প্রতীক)।

শ্রমিক নির্বাচন কমিশনের সদস্য আব্দুল কাদির পলাশ তার ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন,
“আমাদের উপদেষ্টা সহ সহকারী দু-একজন কমিশনের সদস্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেননি। আমি জানার পরই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, কিন্তু উনারা অস্বীকার করেন।”

পরাজিত প্রার্থী সেবুল আহমদ সবুজ জানিয়েছেন, তিনি শ্রম অধিকার আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং পুরো নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এ ঘটনার পর স্থানীয় ভোটার ও রাজনৈতিক সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, “শ্রমিক নির্বাচনেও এখন জামায়াতের জালিয়াতি! এটা শুধু নির্বাচনের অপমান নয়, শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে গড়া অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র।”

নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে ভিডিওটি ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তদন্তের দাবি জোরালো হচ্ছে।

বড়লেখা শ্রমিক নির্বাচনে, আওয়ামী লীগের জয়েই উল্লাস জামায়াতের-মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় অনুষ্ঠিত অটো-টেম্পু, সিএনজি সড়ক ...
27/07/2025

বড়লেখা শ্রমিক নির্বাচনে, আওয়ামী লীগের জয়েই উল্লাস জামায়াতের-

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় অনুষ্ঠিত অটো-টেম্পু, সিএনজি সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ও আওয়ামী লীগের আঁতাতের একটি নজির স্থাপিত হয়েছে। প্রকাশ্যেই আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট দুই নেতাকে জামায়াত প্যানেলের প্রার্থী করে এই নির্বাচনে অংশ নেয় এবং তাদের বিজয় নিশ্চিত করে।

জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আহিদ ও পৌর শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন আহমদ জামায়াত ঘোষিত প্যানেলের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং নির্বাচিত হন।
বিশেষ করে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী সুমন আহমদ বর্তমানে দুটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তবুও তার নামে জামায়াত প্রচার চালিয়ে বিজয় এনে দেয়, যা স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিস্ময় তৈরি করেছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১৩ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রকাশ্যে ঘোষণা করে নির্বাচনে অংশ নেয়। বিএনপির প্যানেল থেকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, প্রচার সম্পাদক ও দুইজন সদস্যসহ মোট পাঁচজন বিজয়ী হন।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াত বাস্তবে তারা আওয়ামী লীগের সহযোগী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। একদিকে বিএনপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, অন্যদিকে আওয়ামী নেতাকে নিজেদের প্রার্থী বানিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া—এটা জামায়াতের দ্বিমুখী রাজনীতির নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন, জামায়াতের এই ভূমিকা প্রমাণ করে তারা আদর্শ নয়, বরং সুবিধাবাদকেই প্রাধান্য দেয়। রাজনৈতিক প্রয়োজনে আদর্শ বিসর্জন দিয়ে জামায়াত এখন আওয়ামী লীগ নির্ভরতায় টিকে থাকতে চাইছে।

08/07/2025

তিন ইউনিয়নের মানুষকে "পাকিস্তান খ্যাত" বলে অপমান করে জামায়াত আবারও প্রমাণ করলো—
ওরা এখনো পাকিস্তানের মানসিক দাস!

তিনটি ইউনিয়নকে ‘পাকিস্তান’ বলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকাবাসী: জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে অপমানের অভিযোগমৌলভীবাজারের বড়লেখা উপ...
07/07/2025

তিনটি ইউনিয়নকে ‘পাকিস্তান’ বলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকাবাসী: জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে অপমানের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর একটি মতবিনিময় সভায় বিস্ফোরক ও অপমানজনক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল বাছিতের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বড়লেখা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নকে ‘পাকিস্তান খেয়া তো’ বলে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এই বক্তব্যে ইউনিয়নগুলোর সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান একটি ইতিহাস-জর্জরিত নাম—যাদের হাতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রায় ৩০ লক্ষ নিরীহ মানুষ শহীদ হন। সেই পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করে কোনো ইউনিয়ন বা জনগোষ্ঠীকে আখ্যা দেওয়া কেবল অমার্জনীয় নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবমাননার শামিল।

আব্দুল বাছিতের এই বক্তব্যকে বড়লেখা উপজেলার বহু মানুষ "ইতিহাস ও মানবিকতা বিরোধী" বলে আখ্যা দিয়েছেন। বক্তৃতায় তার এই কটূক্তির সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী আমিনুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি ওই বক্তব্যের কোনো প্রতিবাদ না করায় তাকে নিয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলেন,

> “আমার বাবাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হত্যা করেছিল। আজ সেই ‘পাকিস্তান’ শব্দকে ব্যবহার করে আমাদের ইউনিয়নকে অপমান করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”

এলাকার তরুণ সমাজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আব্দুল বাছিত ও জামায়াতের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, জামায়াত আবারও প্রমাণ করলো যে তাদের হৃদয়ে আজও পাকিস্তানের প্রতি পক্ষপাতিত্ব রয়ে গেছে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং বক্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

জামিনের নামে প্রতারণা: জামায়াত নেতা ফারুক আহমদ গ্রেফতারমৌলভীবাজারে জামিনে মুক্তির প্রলোভন দেখিয়ে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নে...
02/07/2025

জামিনের নামে প্রতারণা: জামায়াত নেতা ফারুক আহমদ গ্রেফতার

মৌলভীবাজারে জামিনে মুক্তির প্রলোভন দেখিয়ে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জামায়াত নেতা ফারুক আহমদ (৪৯) গ্রেফতার হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বড়লেখা উপজেলার মুড়াউল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

কুলাউড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার ভাই রুহুল আমিন একাধিক মামলায় কারাবন্দি থাকাকালে ফারুক নিজেকে প্রভাবশালী পরিচয় দিয়ে জামিন করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ২০২৫ সালের ১৭ই মার্চ কুলাউড়া পৌরসভার নূরজাহান রেস্টুরেন্টে এক চুক্তিনামার ভিত্তিতে ফারুককে আড়াই লাখ টাকা দেওয়া হয়। শর্ত ছিল, তিনদিনের মধ্যে জামিন না হলে টাকা ফেরত দেবেন ফারুক। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জামিন না হয়ে ফারুক সময়ক্ষেপণ শুরু করেন এবং একপর্যায়ে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ভুক্তভোগীকে হুমকি দেন।

এছাড়া, একই কৌশলে ভুক্তভোগীর এক পরিচিত ব্যক্তিকে বিদেশ পাঠানোর নামে আরও ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন ফারুক আহমদ। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় অবশেষে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।

ফারুক আহমদ বড়লেখা উপজেলার পানিধারা এলাকার বাসিন্দা এবং জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। স্থানীয়রা জানান, অতীতেও নানা প্রলোভনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তিনি।

এ ঘটনায় মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বড়লেখায় জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমানের ঈদ পুনর্মিলনী: রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ, চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষবড়লেখা, মৌলভী...
09/06/2025

বড়লেখায় জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমানের ঈদ পুনর্মিলনী: রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ, চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

বড়লেখা, মৌলভীবাজার | বিশেষ প্রতিনিধি
ঈদের পরের দিন বড়লেখা উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ড. শফিকুর রহমানের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি বড়লেখা ইসলামী ব্যাংকের সামনে রাস্তার ওপর মঞ্চ স্থাপন করে অনুষ্ঠিত হয়। এতে করে বড়লেখা থেকে কুলাউড়া গামী প্রধান সড়কের একটি লেন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সমাবেশে বাঁশ ও ব্রেকেট ব্যবহার করে রাস্তা একতরফাভাবে দখল করে নেওয়া হয়। ফলে ঈদের ছুটির দিনে বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত মানুষজন, রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স এবং যানবাহন দীর্ঘ সময় ধরে যানজটে আটকে পড়ে। পথচারীদের ভাষ্যমতে, “পাশেই পিসি স্কুল মাঠ ও রেলওয়ে ফুটবল মাঠ খালি থাকার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে রাস্তায় মঞ্চ স্থাপন করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা হয়েছে।”

বড়লেখার রাজনৈতিক ইতিহাসে এভাবে জনগণের চলাচলের প্রধান সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করার নজির নেই বলেও অনেক প্রবীণ রাজনৈতিক নেতারা মন্তব্য করেছেন।

একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “জাতীয় পর্যায়ের একজন নেতার কাছ থেকে এমন দায়িত্বহীন আচরণ আশা করিনি। ঈদের সময় মানুষ যেখানে একটু স্বস্তি চায়, সেখানে এই ধরনের সিদ্ধান্ত শুধু দুঃখজনক নয়, অমানবিকও।”

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিএনপি ও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরাও প্রকাশ্যে সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, "রাজনৈতিক কর্মসূচি মানুষের দুর্ভোগ না বাড়িয়ে জনসেবার আদর্শে হতে হয়।"

তবে জামায়াতে ইসলামী বড়লেখা শাখার পক্ষ থেকে এই নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

30/05/2025

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Khobor Dhara - খবর ধারা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share