ঋদ্ধ প্রকাশ Wriddho Prokash

ঋদ্ধ প্রকাশ Wriddho Prokash বইয়ের আলোয় হোন ঋদ্ধ...

22/05/2025

আমরা সবাই বাস করি অ্যানিমেল ফার্মে৷ ক্ষমতার পালাবদল হয়, কিন্তু আমাদের সাধারণ পশুদের ভাগ্য আর বদল হয়৷
সমাজ রাজনীতিকে ব্যঙ্গ করে লেখা মজার একটি বই অ্যানিমেল ফার্ম৷ যেখানে ফার্মের ব পশুপাখি মিলে একদিন মালিককে উচ্ছেদ করে দেয়৷ এরপর নতুন পাওয়া স্বাধীনতা নিয়ে চলতে থাকে গল্প৷ বইটি পড়তে গিয়ে যুগ যুগ ধরে পশুপাখিদের মাঝে অজান্তেই মানুষ নিজেদেরকে পেয়ে এসেছে৷ এখনো তার ব্যতিক্রম হয় না৷

অ্যানিমেল ফার্মের সেরা সচিত্র অনুবাদটি পেয়ে যাবেন মহিউল ইসলাম মিঠুর অনুবাদে, ঋদ্ধ প্রকাশ থেকে প্রকাশিত বইটিতে৷

ভূমিকা লিখেছেন বিদগ্ধ লেখক সুহান রিজওয়ান৷

কমেন্টে বইটি পড়ে দেখার লিংক দেয়া হলো৷ নিজে পড়ে যাচাই করে দেখতে পারেন অমর বইখানা৷

13/05/2025

চমৎকার রিভিউ দিয়েছেন Nishu pishuuu.
আশা করি অপবিবর্তন সবারই ভালো লাগবে৷ রিভিউয়ের জন্য অনেক ধন্যবাদ৷

ঋদ্ধ প্রকাশের প্রকাশক, প্রতিভাবান লেখক, অনুবাদক নেওয়াজ নাবিদকে জন্মদিনের অশেষ শুভেচ্ছা। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং তত্ত্ব...
07/05/2025

ঋদ্ধ প্রকাশের প্রকাশক, প্রতিভাবান লেখক, অনুবাদক নেওয়াজ নাবিদকে জন্মদিনের অশেষ শুভেচ্ছা। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং তত্ত্বাবধানে এগিয়ে যাচ্ছে অগ্রগামী এই প্রকাশনা সংস্থা।

তার জীবন আনন্দময় হোক, এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

07/05/2025

সফরনামা নিয়ে সাইকির বইকথন এর দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া৷ বই নিয়ে চমৎকার এবং আন্ডাররেটেড কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মাঝে যিনি অন্যতম৷ আশা করি রিভিউটা সবারই চমৎকার লাগবে৷

লিখেছেন Tamzid Rahman. অপবিবর্তন: পাঠ প্রতিক্রিয়ালেখক: রাফাত শামসপ্রকাশনী: ঋদ্ধ প্রকাশজনরা: টেকনো থ্রিলার, সাইফাই থ্রিলা...
06/05/2025

লিখেছেন Tamzid Rahman.

অপবিবর্তন: পাঠ প্রতিক্রিয়া
লেখক: রাফাত শামস
প্রকাশনী: ঋদ্ধ প্রকাশ
জনরা: টেকনো থ্রিলার, সাইফাই থ্রিলার

সুদীর্ঘ উপন্যাস বহু আছে। কিন্তু একই সাথে সুদীর্ঘ, গতিশীল, আর সুপাঠ্য উপন্যাসের তালিকাটা বোধকরি খুব বড় হবে না। আর এই ছোট তালিকায় একটা সংযোজন হতে পারে রাফাত শামস এর “অপবিবর্তন”। বহুদিন মোটা বই পড়া হয় না। আর যেগুলো পড়া হয় সেগুলো সাধারণত ইংরেজী বইয়ের ইপাব ভার্সন। কাজেই মোটা বই হাতে নিতে একটু ভয় লাগছিল। আগ্রহ-জাগানো ফ্ল্যাপ আর প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে প্রমিসিং লাগায় নিয়ে নিয়েছিলাম বইটা। কিন্তু পড়ার জন্য হাতে নিয়ে মনে হচ্ছিল - এত মোটা বই কীভাবে শেষ করবো? কিন্তু বই পড়তে গিয়ে বুঝলাম এই বিশাল আকারের “গল্পবাহনের” গতি ঘন্টায় ৩৭৯.৮৬২ মাইল! পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে কখন যে শত শত পৃষ্ঠা পার হয়ে গেছি – বুঝতেও পারিনি। ট্রু পেজ টার্নার যাকে বলে। এটা আসলে কোনও রিভিউ না। বইটা পড়ে আমার যেমন অনুভূতি হয়েছে – সেটাই ব্যক্ত করার প্রচেষ্টা।

* যা নিয়ে অপবিবর্তন:
বাংলা ভাষায় সুপার সোলজার নিয়ে খুব বেশি কাজ হয়েছে বলে আমার জানা নেই। মোটামুটি ”আন এক্সপ্লোর্ড টেরিটরি” বলা যায় (এইটার ভালো বাংলা এই মুহূর্তে মাথায় আসছে না। অচেনা জগত?)। আর সেই টেরিটরিতে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের একটা নতুন জগত দেখিয়েছেন রাফাত শামস। মনে করুন, ল্যাব এ্যাক্সিডেন্টের ফলে সৃষ্টি হওয়া হাল্ক কে পরিকল্পিত ভাবে সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া নিয়ে উপন্যাসটা। যেখানে একদল মানুষ অতি গোপনে মানব শিশুদের ওপর বিভিন্ন ধরনের জিনেটিক ও রাসায়নিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে তাদের মাঝে ভয়ঙ্কর সব ক্ষমতা সৃষ্টির প্রয়াসে লিপ্ত। সাধারণ মানুষের চেয়ে বহুগুণে শক্তিশালী, গতিশীল, বুদ্ধিমান, আর পরাক্রমশালী কিছু সৈনিক – যারা কোনও দেশ বা গোষ্ঠীর হয়ে যুদ্ধে নামলে প্রতিপক্ষের কোনও সুযোগই থাকবে না – এমন কিছু সুপার সোলজার তৈরী করার জন্য কাজ করে চলেছে কিছু অতি ক্ষমতাবান আর প্রভাবশালী মানুষ। গবেষণার এক পর্যায়ে একজন সোলজার হাতছাড়া হয়ে যায় গোপনে কার্যক্রম চালানো সেই প্রভাবশালীদের হাত থেকে। জড়িয়ে পড়ে পুলিশ আর প্রশাসন। সেইসাথে জীবন বদলে যায় কিছু সাধারণ মানুষের। এই সোলজারকে ফিরিয়ে আনতে ও বিষয়টার গোপনীয়তা রক্ষা করতে সেই প্রভাবশালী মানুষগুলো একের পর এক লা/শ ফেলতে দ্বিধা করে না। একটু একটু করে আত্মপ্রকাশ করে কয়েকটি পক্ষ – যাদের সবার লক্ষ্য সেই সুপার সোলজারের দখল নেয়া। এর মাঝে আবার কিছু পক্ষ হাজির হয় যাদের লক্ষ্য প্রতিশোধ অথবা সত্য উম্মোচন। এক ভয়ঙ্কর গতিশীল আর রক্তাক্ত অধ্যায়ের সূচনা হয়। পাঠককে নিয়ে যায় এক দম বন্ধ করা রোমাঞ্চকর যাত্রায়। দেশি ক্ষমতাধরদের ওপর ছড়ি ঘোরায় বিদেশী শক্তি, তাদের টেক্কা দিতে চায় ইগো ম্যানিয়াক মন্ত্রী। একের পর এক লাশের স্তুপ জমে, বিস্ফোরণের ঝলক আর ধোঁয়ায় ঝাপসা হয়ে আসে সবকিছু, বিশ্বাসঘাতকতা আর নিষ্ঠুরতার বাহুল্যে পৃথিবীটাকে মনেহয় নরক। কিন্তু এই নরকে থাকাটা আপনি উপভোগ করবেন, মনে হবে জীবনের চেয়ে এই নরকটা অনেক বেশি রোমাঞ্চকর।

অপবিবর্তন পড়ার অভিজ্ঞতাটা আসলে ঠিক বই পড়ার মতো ছিল না। বরং মনে হচ্ছিল একটা চরম গতিশীল আর রোমাঞ্চকর সিনেমা দেখছি। একটা টানটান উত্তেজনাপূর্ণ সিনেমায় যতগুলো ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করা হয় – তার প্রায় সবই ছিল এই উপন্যাসে। আর এই উপন্যাসের সিনেমাটিক হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বেশি যেটা কাজ করেছে, তা হলো লেখকের রাইটিং স্টাইল বা লেখনশৈলী। এটা নিয়ে একটু আলাদা করে বলতেই হয়।

*লেখনশৈলী:
ব্যক্তিগত ভাবে একটা গল্প বা উপন্যাস পড়ার পেছনে আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া থাকে ভালো লেখনশৈলী। সেটা হতে পারে গভীর কাব্যিক মাধুর্যে মন্ডিত, রসাত্মক, আগ্রহোদ্দীপক, গতিময় – ইত্যাদি। অপবিবর্তন যে ধরনের উপন্যাস সেখানে কাব্যিক মাধুর্য বা রসাত্মক হওয়ার দরকার নেই, সেটা বরং উপন্যাসের গতিকে টেনে ধরতো। এই উপন্যাসে যেটা দরকার ছিল তা হলো আগ্রহোদ্দীপকতা আর গতিময়তা – যা ছিল এই উপন্যাসের পরতে পরতে। বাক্য গঠনে কোনও বাহুল্য নেই – ঘটনা বুঝতে, চোখের সামনে দৃশ্যটা দেখতে, দৃশ্যের গতির সাথে তাল মেলাতে ঠিক যতটা দরকার ততটাই ব্যবহার করেছেন লেখক, যা সুদীর্ঘ উপন্যাসটিকে পরিনত করেছে দ্রুতগতির এক সুপাঠ্য আখ্যানে। এ্যাকশন দৃশ্যগুলো পড়তে গিয়ে মাঝে মাঝে মাসুদ রানা আবার মাঝে মাঝে হলিউডের এ্যাকশন সিনেমার কথা মনে পড়ছিল। শেষের দিকে রেস্টুরেন্টে একটা গোলাগুলির দৃশ্য পড়তে গিয়ে হঠাৎ খেয়াল করেছিলাম, আমি দম আটকে রেখেছি!

লেখনশৈলীর আরেকটা বিষয় যা চোখে পড়েছে, তা হলো গল্পের প্রয়োজনে অনেক বৈজ্ঞানিক ও টেকনিক্যাল শব্দ বা টার্ম ব্যবহার করা হলেও সেগুলো লেখক ব্যাখ্যা করেছেন সুদক্ষ সাবলীলতার সাথে। ব্যাপারটা ইনফো-ডাম্পিং মনে না হয়ে, মনে হয়েছে যে, এটা না থাকলেই বরং গল্পটা অসম্পূর্ণ হতো। অনেক বইয়ে দেখেছি লেখক নিজের জ্ঞান জাহির করার জন্য জটিল জটিল বিষয় সামনে নিয়ে আসেন, কিন্তু তার কোনও ব্যাখ্যা দেন না। পাঠককে নিজ দায়িত্বে তা বুঝে বা খুঁজে নিতে হয়। অপবিবর্তনে সেই কষ্টটা করতে হয়নি। অপ্রলিত বা অপরিচিত টার্ম থাকলেও সাবলীল ভাবে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করার কারণে, পড়তে গিয়ে হোঁচট খাওয়ার বদলে অন্যরকম তৃপ্তি দিয়েছে।

*চরিত্রায়ণ:
অপবিবর্তনের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা আমার মনে হয়েছে এর চরিত্রগুলো। প্রতিটা চরিত্রের একাধিক পরত রয়েছে, যা তাদের ‘মানুষ’ করে তুলেছে। প্রতিটা চরিত্রের আছে নিজস্ব একটা গল্প, নিজস্ব দর্শন আর মোটিভ। একটা জিনিস দেখে অবাক লেগেছে – এতগুলো চরিত্রকে আলাদা আলাদা গল্প আর দর্শন দেয়ার কাজটা করতে গিয়ে লেখক খুব বেশি জায়গা নষ্ট করেননি – কিন্তু অল্প পরিসরেই তারা নিজের মতো করে ফুটে উঠেছে, সেই সাথে মূল প্লটও এগিয়ে গেছে সমান তালে। চরিত্রের ‘ব্যাক স্টোরি’ গল্পের গতিতে বাধ সাধেনি।

অপবিবর্তন আপনাকে মানব চরিত্রের সব অন্ধকার দিকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। বিশেষ করে সমাজের এমন কিছু মানুষ যারা ভদ্রলোকের মুখো শপরে থাকে কিন্তু আড়ালে সাক্ষাৎ শয়তান – তাদের বেশ কয়েকজনের দেখা পাবেন এখানে। বিশেষ করে, হাই প্রোফাইল রাজনীতিবিদদের একদম উ’ল’ঙ্গ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপবিবর্তন পড়তে গেলে এদের প্রতি আপনার সহজাত ঘৃ/ণা কয়েক পরত উপরে উঠতে বাধ্য। ”ওপরমহল” নামে একটা চরিত্র আছে – যার সাথে সময় কাটানো পর আপনার ইচ্ছা করবে, ‘যাই, রান্নাঘরের মরিচ কাটা ছুরিটায়ে একটু লবণ দিয়ে ব্যাটার বিশেষ অঙ্গটা কেটে নিয়ে আসি’। আরেকটা চরিত্র আমার মনে ভালো দাগ কেটেছে, সেটা হলো রাত্রি। একজন মার্সিনারি। রাত্রিকে নিয়েই একটা আলাদা উপন্যাস হতে পারে। অপবিবর্তনের যদি পরবর্তী কোনও খন্ড আসে, আমি চাইব রাত্রিকে নিয়ে যেন আরও কাজ হয়। এছাড়া স্মার্ট ও কৌতুহলী ওসি প্রদীপ কুমার সাহা একটা দারুন চরিত্র। ভাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞায় নরক নামিয়ে আনা সাবেক সেনাকর্মকর্তা আহনাফ, বাবার খোঁজে মরিয়া হয়ে থাকা আমেরিকা ফেরত নাজিয়া, অথবা সেই লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যান থেকে পালিয়ে যাওয়া সুপার সোলজার ছেলেটা – প্রতিটা চরিত্র নিয়েই আলাদা করে কথা বলা যায়। তবে বেশি কথা বলতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে। শুধু এটুকুই বলি, প্রতিটা চরিত্রকেই অনেক যত্ন নিয়ে তৈরী করা হয়েছে, যাদের প্রত্যেকের নিজস্ব গল্পটা আপনাকে তাদের প্রতি আলাদা অনুভূতির জন্ম দেবে। আর সবচেয়ে মজার বিষয়টা হলো, কে-যে নায়ক আর কে-যে খলনায়ক – এটা বের করতে করতেই আমার ”খবর” হয়ে গিয়েছিল।

*প্লট ও গল্পের গাঁথুনি:
অপবিবর্তন পড়তে গিয়ে একটা কথাই বার বার মনে হচ্ছিল, এটা কোনও বই না, এটা একটা সিনেমা। ধুন্ধুমার এ্যাকশন, প্রতিটা চরিত্র অল টাইম দৌড়ের উপর, কখন কার কী হয়ে যায় কিছুই বলা যায় না। একদম পয়সা উসুল ইন্টারটেইনমেন্ট যাকে বলে। একটা পিওর সাইফাই টেকনো থ্রিলার যেখানে পদে পদে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে বিপদ আর মৃত্যু। মাথায় হাত তোলার মতো বিরাট কোনও টুইস্ট আমার চোখে না পড়লেও গল্পের গাঁথুনি আপনাকে আটকে রাখবে ঘন্টার পর ঘন্টা। এরপর কী হবে? কোথায় যাচ্ছে ওরা? পরের অধ্যায়ে কী আছে? – এইসব প্রশ্নের পর প্রশ্ন জাগিয়ে আপনাকে ধরে রেখে আপনার সব হিসাব উল্টে যাবে পরিনতিতে গিয়ে।

*আরো যা থাকতে পারতো:
এতো ভালোর ভিড়ে তিনটা জিনিস আমার মনে হয়েছে আরেকটু থাকতে পারতো। এক. দৃশ্যগুলোর স্থানের বর্ণনা যদি আর একটু বেশি থাকতো, তাহলে কল্পনা করাটা আরো সুবিধা হতো । দুই. চরিত্রগুলোর অনুভূতির বর্ণনা যদি আরেকটু দীর্ঘ হতো, আর তিন. কিছু কিছু অধ্যায়ে দু’টো চরিত্র ও স্থানের আলাদা আলাদা ঘটনার প্রেজেন্টেশন একটু অগোছালো লেগেছে – একটু ডিটেইল বাড়ালে আমার মনেহয় পড়তে আরও মজা লাগতো। তবে, এগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত চাওয়া। এগুলা থাকলে হয়তো গল্পের এই গতিতে ভাটা পড়তো, যা এই উপন্যাসের অন্যতম শক্তির জায়গা।

শেষ কথা:
ওরা চলে যাচ্ছে কেন? আরেকটু থাকুক। আহ, শেষ হয়ে গেল! – শেষ পৃষ্ঠা পড়ার পর এগুলো আমার অনুভূতি। গল্প শেষ হলেও ইচ্ছা করছিল ঘটনাগুলোর সাথে থাকি। দেখি এরপর কী হয়, কী করে ওরা। ৪০০ পৃষ্ঠার একটা বই শেষ করার পর এমন অনুভূতি দিতে পারা একটা সার্থক গল্পের চিহ্ন বহন করে। দিন শেষে তাই পড়াটা সার্থক বলতে হবে। লেখকের জন্য শুভকামণা। পরের খন্ড যদি আসে, আশা করি রাত্রির চরিত্রটাকে আরও খানিকটা জায়গা দেবেন।

লিখেছেন মো.আবদুল কায়েম৷ মাঝে মাঝে অতীতের স্মৃতি মানুষের জীবনকে এমনভাবে বদলে দেয় যে, যে জীবন স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিলো সে ...
05/05/2025

লিখেছেন মো.আবদুল কায়েম৷

মাঝে মাঝে অতীতের স্মৃতি মানুষের জীবনকে এমনভাবে বদলে দেয় যে, যে জীবন স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিলো সে জীবন বিষাদ আর হতাশায় ভরে উঠে। সেই হতাশা আর বিষাদ মাঝে মাঝে অতীতের মানুষগুলোকে জীবনে আবারও ফিরিয়ে এনে আরো তীব্র করে তুলে, তখন ব্যাথাটাও আরো বেড়ে যায়।
রুদ্র, আরশাদ আর সিজার তেমনই এক সিলেটের কালডাঙার ভয়াল রাতের অতীতকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে বহুবছর ধরে। এক রহস্যময় ডায়েরি তাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলো সেই ভয়াল রাতের অন্ধকারের সত্তার সামনে। তিন বন্ধু সেই দিনের কথা নিজেদের সাথে ভুলে থাকার অভিনয় করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু বহুবছর পর একটা রাত বদলে দিলো সবাইকে। অতীত ফিরে আসতে যাচ্ছে আবারও, এ যেনো কিয়ামতের দিন ঘনিয়ে আসছে।

এক রাতের শেষ প্রহরে নরক থেকে যেনো উঠে এসেছে বিভৎস সব বিড়াল, কুকুর আর ছাগল। ঘাড়ের পিছনে চোখের আকৃতির চিহ্ন ভেসে উঠেছে সবারই। চিহ্ন দেখে বুঝতে ভুল হলো না রুদ্রের, 'উই হ্যাভ বিন মার্কড'

এসআই রশীদ আর আদ্রিয়ানকে ফাঁকি দিয়ে মিলিয়ে যাওয়া সেই অবিনশ্বর মানবী যখন দৃশ্যপটে হাজির হলো, উঠে এলো বিস্মৃত এক ভয়াল ইতিহাস। যা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল সবার নশ্বর অস্তিত্বকেই। যে ইতিহাস একই সময়ে বদলে দেয়ার ক্ষমতা রাখে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ!

যে অভিশপ্ত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি থামানোর আপ্রাণ চেষ্টায় লড়ে গিয়েছিল রশীদ আর আদ্রিয়ান, তা কি আদৌ থামাতে পেরেছিল তারা! নাকি তা ছিল অনিঃশেষ আঁধারের প্রারম্ভ মাত্র, যার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে রুদ্র, সিজার আর আরশাদের জীবন! শুধুই কি ওদের জীবন, নাকি গোটা পৃথিবীর আয়ুরেখা!

আমাদের এই 'পৃথিবী' কি আদৌ একা! এই গল্প কি শুধুই আমাদের চির-পরিচিত এই পৃথিবীর? নাকি সমান্তরালে ছুটে চলা দুটো, তিনটে কিংবা অসংখ্য দুনিয়ার সলিল সমাধি হতে চলেছে কালের গহ্বরে! কৃষ্ণকায়া আপনাদের পরিচয় করাবে এক অনিঃশেষ, অন্তহীন জগতের, যেখানে প্রবেশের পরপর সম্মুখীন হবেন এক অমোঘ প্রশ্নের।
মৃত্যু নাকি অমরত্ব!

কৃষ্ণকায়া শেষ করার পর প্রথমেই আমার মাথায় এসেছে লেখক তার লেখা বইগুলোর মাঝে সবচেয়ে দুর্দান্ত বইটা লিখেছেন। ডার্ক মাল্টিভার্স ডাইমেনশন আর টাইম ট্রাভেলার্স সাথে এক্সট্রিম লেভেলের বিভৎসতার বর্ণনা এতো সুনিপুণভাবে দিয়েছেন যে মুগ্ধ হয়েছি আমি।

লেখক গল্পের শুরু থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত গল্পকে এমনভাবে টেনে নিয়েছেন যে, এখানে পাঠকের কোনো ধারণা করারও সুযোগ রাখেনি শেষটা কি হতে চলেছে। এবং কী গল্প বর্ণনায়ও সুনিপুণ দক্ষতা দেখিয়েছেন যে কোথাও একটুও আনাড়িপনা, অতিরঞ্জিত এবং মেদযুক্ত মনে হয়নি। তারপর গল্পের প্লট এতো জটিল, কল্পনাতীত বর্ণনা আর ইউনিক যে পড়ে দারুণ উপভোগ করেছি।

এ গল্পের সাথে অবিনশ্বরের সংযোগ থাকলেও এবার গল্পের মূল ভূমিকায় সেইসব চরিত্র খুব একটা ছিলো না বরং গল্প এগিয়েছে রুদ্রকে এবং অন্যান্য নতুন চরিত্রকে সামনে রেখে। এবার আদ্রিয়ান আর রশিদের ভূমিকা নেই বললেই চলে। তবে গল্প শেষে অনুমান করা যায় পরের খন্ডে এই চরিত্রগুলো দারুণ কিছু দেখাবে। গল্পে হিমু, মিসির আলী চরিত্রের বর্ণনা সাথে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কিছু ট্রাজেডি লেখক যেভাবে গল্পে ইনপুট দিয়েছেন এই বিষয়টা বেশ ভালো লেগেছিলো।

কৃষ্ণকায়ার গল্প, অবিনশ্বরকেও ছাড়িয়ে গেছে। তবে অবিনশ্বর যদি কেউ না পড়ে থাকে তাহলে তাঁর প্রথমেই কৃষ্ণকায়া পড়া উচিত নয়। এতে অবিনশ্বর বইটি পড়ে পড়লে যেমন উপভোগ্য লাগবে না আবার কৃষ্ণকায়া পড়ার সময় গল্পের ধারাবাহিকতা ধরতে সমস্যা হবে। এছাড়াও বিভৎস বর্ণনার ক্ষেত্রে লেখকের কল্পনাশক্তি প্রশংসানীয়, যা পড়ে কিছুটা হলেও থমকে যেতে হবে।

তবে একটা জায়গায় আরশাদ সিজার রুদ্ররা, তানজীরের সাথে আদ্রিয়ানের বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে হামিদা বেগমের দরজা খুলে দেওয়ার ব্যাপারটা ঠিক বোধগম্য হয়নি। যারা অবিনশ্বর পড়েছেন তারা ব্যাপারটা ধরতে পারবেন। তাছাড়া আরো অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে, আশাকরি শীঘ্রই লেখক সেসব প্রশ্নের উত্তর দিবেন পরের খন্ডে। বইটির প্রোডাকশন, সম্পাদনা, বানান বিন্যাস বেশ চমৎকার হয়েছে। প্রচ্ছদটাও বই পড়ার পর মনে হয় মানানসই।

বই: কৃষ্ণকায়া
লেখক: সাজ্জাদ সিয়াম
প্রচ্ছদ: পরাগ ওয়াহিদ
প্রকাশক: ঋদ্ধ প্রকাশ
মূল্য: ৫০০৳
পৃষ্ঠা: ৩২০

রিভিউটি লিখেছেন Zakaria Minhaz.    233জিয়ৎনিস্তরঙ্গ জীবন কাটাচ্ছিল শব্দল নামক অজপাড়াগাঁ- এর মানুষগুলো। হঠাৎ খুন হয়ে গেল ...
04/05/2025

রিভিউটি লিখেছেন Zakaria Minhaz.

233

জিয়ৎ

নিস্তরঙ্গ জীবন কাটাচ্ছিল শব্দল নামক অজপাড়াগাঁ- এর মানুষগুলো। হঠাৎ খুন হয়ে গেল সেখানের এক সাধারণ ভ্যান চালক। এর দুদিন বাদেই নিখোঁজ হয়ে গেল এলাকার এক ব্যবসায়ীর ছেলে। তদন্তে নামলেন শখের গোয়েন্দা মশিউর রহমান। এরপর শব্দলের নদীতে ভেসে উঠল ১২ ফুট সাইজের এক মানুষের লাশ! এদিকে ঢাকাতেও নিখোঁজ হচ্ছে অল্প বয়সী তরুণীরা। সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সি শ্যাডোতে চিঠি পাঠাল নাইট অফ দ্য ফলেন স্টার নামের এক কাল্ট৷ হুমকি দিল দেখে নেবে পুরো দেশের সিস্টেমকে। ওদিকে এসবকিছুর সাথে বারবার উঠে আসছে শত বছরের মিথ হিসাবে টিকে থাকা মহাস্থানগড়ের জিয়ৎকুণ্ডের কথা। কারা করছে এতকিছু? এই দুই জায়গার ঘটনাবলীর সূত্রটাই বা কোথায়?

দু'দিন আগে সর্বেসর্বার রিভিউতে লিখেছিলাম কোনো নতুন লেখকের পক্ষেও এত বাজে কিছু লেখা সম্ভব না। কথাটা যে ভুল কিছু নয় তার প্রমাণ এই বইটা। নতুন লেখক, বড় উপন্যাস; অথচ কী দূর্দান্ত একটা জার্নি গেল বইটার সাথে। সত্যি বলতে একেবারেই জিরো এক্সপেক্টেশন নিয়ে বইটা পড়তে বসেছিলাম। এমনকি ব্লার্বটাও পড়িনি এর আগে কখনো। ভেবেছিলাম যেখানে দেশের নামকরা মৌলিক থ্রিলার লেখকদের বই পড়েই সহজে সন্তুষ্ট হই না, সেখানে অচেনা অজানা এক লেখক কীই- বা আর লিখবে!! কিন্তু আশ্চর্য হয়ে আবিষ্কার করলাম আমি দুইদিনের দুই বসাতে ৩৩৬ পেইজের এই বইটা পড়ে শেষ করে ফেলেছি। যেখানে এখন নামকরা লেখকরাও বইয়ের কলেবর ছোট করার দিকে ঝুঁকেছেন, সেখানে একজন আনকোরা লেখক প্রমাণ সাইজের একটা থ্রিলার লিখে ফেলেছে যেটা রীতিমতো পেইজ টার্নার এবং যেখানে আদর্শ থ্রিলারের সকল উপাদান ভালোভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে। অবাক হওয়ার মতোই ব্যাপার!

শব্দলে শব্দহীন ঘটনার ঘনঘটা

বইয়ের বেশ বড় একটা অংশ দুইটা ভিন্ন জায়গায়, আলাদা আলাদা ঘটনা, ভিন্ন চরিত্র এবং পৃথক তদন্ত নিয়ে এগিয়ে চলে। যার একটা অংশ শব্দল নামক এক গ্রামকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। উপরের কাহিনি সংক্ষেপে যা যা বলেছি মোটামুটি সেগুলাই এই অংশের ঘটনা। এখানে মূখ্য বিষয় হলো লেখকের চরিত্রদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ব্যাপারটা। প্রচুর চরিত্র এই বইয়ে। এবং লেখক অদ্ভুত দক্ষতায় প্রতিটা চরিত্রকে স্বতন্ত্র রাখতে পেরেছেন। যেমন শব্দলে রয়েছে শখের গোয়েন্দা মশিউর রহমান, তার সাগরেদ হাসান, পুত্রসম ফরহাদ। ওদিকে পুলিশে রয়েছে এসআই শফিক এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার উৎস। এই অংশে আরো চরিত্র থাকলেও এই ৫ জনের ভূমিকা বেশি। এবং প্রতিটা চরিত্রকে আলাদা করে চেনা যায় তার কর্মপদ্ধতি, চিন্তাভাবনা ও বাচনভঙ্গি থেকে। এমনকি আঞ্চলিক ভাষাকেও চমৎকারভাবে ব্যবহার করেছেন লেখক। এই অংশের তদন্ত প্রক্রিয়া আসলে কিছুটা ধীর, কিছুটা অনুমান নির্ভর। তবে এতবার দৃশ্যপটে এত ধরণের পরিবর্তন ঘটে যে পাতার পর পাতা উলটে যেতে ক্লান্তি আসে না। এই অংশে সবুজ নামের এক ছেলেকে গ্রেফতারের সিকুয়েন্স আছে। ওই অংশটা আমার ক্ষেত্রে একটা বড় চমক হয়ে এসেছে। এ ধরণের ক্ষেত্রে অন্যান্য থ্রিলার বইতে যেমনটা দেখা যায় কিংবা এমনকি এই বইটার গল্পও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল, সেই তুলনায় ঘটনপ্রবাহ একেবারেই ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন লেখক। ওই জায়গাটুকু পড়েই মনে হয়েছে, ধরে রাখতে পারলে বেশ ভালো একজন লেখক পেতে যাচ্ছি আমরা।

নাইট অফ দ্য ফলেন স্টার

বইয়ে স্পাইস যুক্ত করতে চাইলে একটা সংঘ বা কাল্টের উপস্থিতি থাকা দরকার। লেখক এই কমন ফ্যাক্টরটাকে ধরেছেন। তবে উপস্থাপন করেছেন নিজস্ব ভঙ্গিতে। এখানের মূল চরিত্র শ্যাডো এজেন্ট ফারাবি ও আকিব। তবে এই জায়গাতেও চরিত্রের অভাব নেই। এখানের তদন্ত প্রক্রিয়া শব্দলের তুলনায় অনেক গুছানো এবং যৌক্তিক৷ একটার পর একটা সূত্র খুঁজে, একেকবার একেক জায়গায় হানা দেয়া, সেখানে ব্যর্থ হয়ে আবারও নতুন সূত্র খোঁজা এসব ব্যাপারগুলো ভালোভাবেই গল্পে এনেছেন লেখক। তবে এই অংশে নাটকীয়তার পরিমাণও একটু বেশি ছিল। যদিও তাতে আমার সমস্যা মনে হয় না। ফিকশন পড়িই তো এসব নাটকীয়তার জন্য।

তবে একটা ব্যাপার না বললেই না, বিভিন্ন পরিস্থিতির বর্ণনায়, সংলাপে কিংবা জিজ্ঞাসাবাদের অংশে লেখক বাস্তবতার যে ছোঁয়া রেখেছেন তা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। থানায় গেলে পুলিশের আচরণ, একটা ঘটনায় আশেপাশের মানুষের আচরণ৷ অভিযুক্ত বা সাধারণ মানুষদের প্রতি পুলিশের মনোভাব কিংবা পুলিশের প্রতি মানুষের মনোভাব সবকিছুই অতি স্বাভাবিক লেগেছে। লেখকের গদ্যশৈলী অতি চমৎকার। বর্ণনায়ন, সংলাপ এবং ঘটনাপ্রবাহের মাঝে চমৎকার ব্যালেন্স করেছেন। যে কারনে একটাবারের জন্যও গল্পের গতি ব্যহত হয়নি। একটানা পড়ে যাওয়া গিয়েছে।

বইয়ের সবটাই কি ভালো?

কিছু খামতি তো অবশ্যই রয়েছে। প্রথমেই বলতে হয় অ্যাকশন দৃশ্যের কথা। আমার কাছে সেগুলা দূর্বল বলে মনে হয়েছে। গতানুগতিক এবং ভিজ্যুয়ালাইজ করার মতো ওয়েল ডিটেইলড মনে হয়নি। ফারাবির কর্মকাণ্ড যদিও তার চরিত্রের সাথে ভালোভাবে মানিয়ে যায়, তবে কিছু জায়গায় সেগুলা অতিরঞ্জিত লেগেছে। লিখনশৈলী ভালো হলেও, শেষে এসে দূর্বলতাগুলো প্রকট হয়েছে। শেষের দিকে তাড়াহুড়োর ছাপ সুস্পষ্ট।

প্রচুর থ্রিলার পড়ার কারনে শেষের টুইস্টটা আগেই বুঝে ফেলেছিলাম। তবে তাতে করে আমার কোনো অসুবিধাই হয়নি। আর এটাই আমি মনে করি একজন লেখকের স্বার্থকতা। অনেক লেখক টুইস্ট দিতে গিয়ে শেষে এসে লেজেগোবরে করে ফেলেন। এখানে তেমনটা হয়নি। যৌক্তিক টুইস্টই দিয়েছেন। তবে যে ঘটনার উপর ভিত্তি করে পুরো গল্পটা এগিয়েছে সেই ঘটনাটা আরো অন্য রকমভাবে উপস্থাপন করে যেত বলে আমার মনে হয়েছে।

তবে যেসব খামতির কথা উল্লেখ করলাম তা আসলে সমালোচকের দৃষ্টি থেকে দেখেছি বলেই নজরে পড়েছে। বইটা এতটাই ভালো যে এগুলা আসলে ইগনোর করে অনায়াসে পড়ে যাওয়া যায়। সব মিলিয়ে আমি অতি অবশ্যই স্যাটিসফাইড। পড়া শুরু করার পর একটাবারও আমার মনে হয়নি সময় নষ্ট হচ্ছে। আর এই অনুভূতিটা বই শেষ করার পরেও টিকে ছিল।

ব্যক্তিগত রেটিং: ০৮/১০ (মাঝের ছোট দুইটা চ্যাপ্টারে পরশুরামের জিয়ৎকুণ্ডের বর্ণনায় কিছু ঐতিহাসিক অংশ এনেছেন লেখক। খুবই দূর্দান্ত হয়েছে সেই জায়গাটুকু। লেখকের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করার জায়গাই রাখেননি। কথা হলো এবার নিজের এই দক্ষতাকে উনি আরো কত শাণিত করতে পারেন সেটাই দেখার অপেক্ষায় রইলাম)

⛺ লেখক: তাসিন আহমেদ
⛺ প্রকাশনী: ঋদ্ধ প্রকাশ
⛺ প্রচ্ছদ: পরাগ ওয়াহিদ
⛺ পৃষ্টা সংখ্যা: ৩৩৬
⛺ মূদ্রিত মূল্য: ৫৫০ টাকা

চমৎকার ছবিটি তুলেছেন তা রা৷ ধন্যবাদ তাকে৷ কৃষ্ণকায়া এখনো প্রতিনিয়ত পাঠকের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছে৷ মৌলিক থ্রিলারে এত দ্রুত...
03/05/2025

চমৎকার ছবিটি তুলেছেন তা রা৷ ধন্যবাদ তাকে৷

কৃষ্ণকায়া এখনো প্রতিনিয়ত পাঠকের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছে৷ মৌলিক থ্রিলারে এত দ্রুত বিক্রি হতে থাকে বই খুব দুর্লভ৷ আশা করি অবিনশ্বর এবং কৃষ্ণকায়ার সাফল্যযাত্রা অব্যাহত থাকবে৷

একইসাথে ঋদ্ধ প্রকাশের হাত ধরে মৌলিক থ্রিলারের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

চমৎকার ছবিটি তুলেছেন Boikotha Read n Discuss. রাফাত শামসের ধারালো লিখনশৈলীতে ধুন্ধুমার অ্যাকশন প্যাকড বইটি পড়ে দারুণ সময়...
02/05/2025

চমৎকার ছবিটি তুলেছেন Boikotha Read n Discuss.

রাফাত শামসের ধারালো লিখনশৈলীতে ধুন্ধুমার অ্যাকশন প্যাকড বইটি পড়ে দারুণ সময় কাটাতে পারেন আপনিও৷

অবিনশ্বর তৃতীয় মুদ্রণ চলে এসেছে বাংলাবাজার৷ সবাই দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলুন বইখানা৷ আশা করি অবিনশ্বর পাঠকদের মুগ্ধ করে যাবে ...
26/04/2025

অবিনশ্বর তৃতীয় মুদ্রণ চলে এসেছে বাংলাবাজার৷ সবাই দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলুন বইখানা৷ আশা করি অবিনশ্বর পাঠকদের মুগ্ধ করে যাবে সবসময়৷

25/04/2025

Tasin Ahmed Jim এর জিয়ৎ বইয়ের চমৎকার রিভিউ দিয়েছেন Lincoln Hasan.
যারা বইটি পড়তে আগ্রহী, তারা দেখতে পারেন৷

সময়ের অন্যতম সেরা অনুবাদক অয়ন ইসলামকে (Auyon Islam) ঋদ্ধ প্রকাশের পক্ষ থেকে জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা।পরিবারের সাথে তার...
23/04/2025

সময়ের অন্যতম সেরা অনুবাদক অয়ন ইসলামকে (Auyon Islam) ঋদ্ধ প্রকাশের পক্ষ থেকে জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
পরিবারের সাথে তার সময় আনন্দময় কাটুক এবং তিনি আরো প্রচুর লিখে যান অনুবাদ এবং মৌলিক উভয় শাখায় এই প্রত্যাশা থাকল।

তার অনূদিত দুর্দান্ত রোমাঞ্চকর বই হাউন্ডেড সংগ্রহ করুন প্রিন্ট আউট হবার আগেই। অল্প কিছু কপি বাকি আছে এখনও।

Address

117 Gias Garden Complex, Banglabazar
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঋদ্ধ প্রকাশ Wriddho Prokash posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category