24/10/2025
আসসালামু আলাইকুম,নারী কখনো মা , কখনো বোন, কখনো স্ত্রী ,আবার কন্যা । কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীরা খুব ভয়ংকর হয়ে থাকে।শয়তানের ষড়যন্ত্র সব সময় দুর্বল থাকে, কিন্তু কোনো নারী যদি ষড়যন্ত্র করে তাহলে তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।১৯৯৬ সালে ৬ সেপ্টেম্বর স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহ্ রহস্যজনক ভাবে মারা যায় তার ভাড়া বাসায়। সেখানে তার স্ত্রী এবং তার বাসার তিনজন কাজের লোক ছিলো , আর কাজের মেয়ের ছেলে ছিলো।সালমান শাহ্ ভাইয়ার স্ত্রীর ভাষ্যমতে সে আত্ম…..করেছে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সে তার ড্রেসিং রুমে ঢুকে আত্ম….করেছে। কাজের মেয়ে ডলির ছেলে সালমান ভাইয়া কে বাবা বলে ডাকতো, সেই ওমর দরজায় গিয়ে বাবা বাবা বলে ডাকে তখন, কাজের মেয়ে সামিরা কে ডেকে নিয়ে আসে। সে লক চাবি দিয়ে খুলে খুলে দেখে সালমান ভাইয়া ফ্যানের সাথে ঝুলছে, তখন তারা বটি দিয়ে রশি কেটে তাকে নামায়। কোন প্রতিবেশী দেখেনি পুলিশ লাশ নামায়নি তাহলে সামিরা কিভাবে বলে আত্ম…। সালমান ভাইয়ার পাশের ফ্ল্যাটে আরো দুটো পরিবার থাকতো, তারা কেউ দেখেনি। সালমান ভাইয়া কে নামানোর পরে তাকে হাসপাতালে না নিয়ে তাকে গোসল করিয়ে, তার শরীরে তেল মালিশ করা হয়েছে। এখানে প্রশ্ন দিনের বেলার ঘটনা তাদের গাড়ি আছে, হাসপাতালে না নিয়ে কেন বাসায় রেখে তেল মালিশ করা হয়েছে? সামিরা কোন গ্রামের সাধারণ মেয়ে না, সে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া মেয়ে তার মা একজন চাইনিজ মহিলা গোসল করানো এবং তেল মালিশ করা এগুলো গ্রামের সাধারণ মানুষের কাজ।সামিরার ভাষ্যমতে চিত্র নায়িকা শাবনূর কে নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়েছিলো তাই সে সালমান শাহ্ মারা যাওয়ার আগে আড়াই মাস বাবার বাড়িতে ছিলো মারা যাওয়ার তিন দিন আগে বাসায় আসে, এই শর্তে সে আর শাবনূরের সঙ্গে ছবি করবে না।শাবনূরের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকলে তো আত্ম…. করার প্রশ্নই আসে না তাকে ডিভোর্স দিয়ে সাবনূর কে বিয়ে করার কথা, আর শোকে দুঃখে সামিরার …..কথা।সালমান শাহ্ ভাইয়া কে তার বাবা -মা এসে হাসপাতালে নিয়েছে, তাও লিফট বন্ধ করে রাখা হয়েছিলো। একজন স্বামী অসুস্থ হলে স্ত্রী কিভাবে হাসপাতালে না নিয়ে থাকতে পারে। মারা যাওয়ার পর তার দাফনে না গিয়ে থাকতে পারে এগুলো তে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে।সালমান ভাইয়ার মা অতুলনীয় একজন মানুষ, অসম্ভব রকমের সাহসী একজন মানুষ সে ৩০ বছরে ধরে তার সন্তান হ…..বিচার চেয়ে আসছে।আমারা সকল সালমান শাহ্ ভক্তরা চাই সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তার পরিবার ন্যায়বিচার পাবে ইনশাআল্লাহ্।আসামীরা যেন দেশের বাইরে চলে যেতে না পারে।মহান আল্লাহ্ সালমান ভাইয়ার সকল গুনাহ মাফ করে তাকে জান্নাতবাসী করুন আমিন।