17/09/2025
টুটুলের কাছে পাওনাঃরোকসানা ও আজাদ সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন।। আত্মহত্যার হুমকি.
ঠিক আছে, আমি আপনার লেখাটিকে আরও আবেগপূর্ণ ও হৃদয়ছোঁয়া করে দিলাম—
⸻
প্রবাসের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রোকসানা মির্জা আর তার স্বামী রিয়েলটর আজাদ সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে ফেটে পড়লেন। তাদের একমাত্র দাবি—পাওনা সাড়ে ৬ লাখ ডলার ফেরত।
চোখের জলে ভেসে তারা বর্ণনা করলেন পারিবারিক ভাঙন, সামাজিক লজ্জা, ব্যবসার ধ্বস আর অসহনীয় অর্থকষ্টের চিত্র। কান্নাজড়িত কণ্ঠে দু’জনেই বলেন—
“আসেফ বারী টুটুলের সাথে কাজ করতে গিয়ে আমরা সব হারিয়েছি। হারিয়েছি ব্যবসা, হারিয়েছি সুনাম, হারিয়েছি ঘরের সুখ-শান্তি।”
রোকসানা মির্জা কাঁদতে কাঁদতে বলেন—
“আমার গয়না বিক্রি করে বারির কাজের জন্য অর্থ জোগাড় করেছি। অথচ আজ আমরা নিঃস্ব।”
আজাদ ভেঙে পড়া কণ্ঠে বলেন—
“অর্থকষ্টের যন্ত্রণা এতটাই অসহনীয় যে মাঝে মাঝে মনে হয় ১৪ তলা ভবনের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ি। এ জীবন আর বহন করতে পারছি না।”
গত শনিবার কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, ২০২১ সালে বারি হোম কেয়ারের মালিক আসেফ বারী টুটুলের ব্রঙ্কস ও ব্রুকলিনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে অবস্থিত দুটি ভবনের কাজ করেন আজাদ। সব মিলিয়ে তার কাছে পাওনা সাড়ে ৬ লাখ ডলার। শতবার তাগাদা দিয়েও অর্থ পাননি। প্রতিশ্রুতি দিয়েও চারটি বছর কেটে গেছে। এমনকি হজ থেকে ফিরে এসে অর্থ ফেরত দেবেন বলেও কথা দিয়েছিলেন বারী—কিন্তু আজও দেননি।
আজাদের কথায় ক্ষোভ আর বেদনা মিলেমিশে—
“আমার পাওনা আটকে দিয়ে তিনি শুধু ক্ষ্যান্ত হননি, বরং আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে আমাকে হেয় করেছেন। এতে আমার ব্যবসা ভেঙে পড়েছে, সুনাম ধূলিসাৎ হয়েছে।”
আদালতে মামলা করেও আজাদ আরও নিঃস্ব হয়ে পড়েন। এক বছরের মামলা চালাতে গিয়ে খরচ হয়েছে ৭০ হাজার ডলার, দ্বিতীয় বছরে আরও ২০ হাজার দাবি করেন আইনজীবী। অর্থনৈতিক ধ্বস নামায় তিনি মামলা চালিয়ে যেতে পারেননি।
আজাদ ভাঙা গলায় বলেন—
“আমার স্ত্রীর সঞ্চিত অর্থ আর গয়না বিক্রি করে বারির জন্য কাজ করেছি। অথচ তিনি সব টাকা আটকে দিলেন। আমার বাড়ি চলে গেল ব্যাংকের কাছে, সংসার ভাঙার উপক্রম হলো। ক্ষুধা আর অভাবে আমি মাঝেমধ্যে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এর জন্য একমাত্র দায়ী বারী।”
শেষে আবেগে কণ্ঠ রুদ্ধ করে তিনি ঘোষণা দেন—
“যতদিন আমার পাওনা টাকা ফেরত না পাবো, ততদিন আমি প্রতিবাদ চালিয়ে যাবো। রাস্তায় নেমে মাইক হাতে নিয়ে চিৎকার করে বলবো—বারী, আমার টাকা ফেরত দাও!