21/07/2025
হোমিওপ্যাথির একটি গুরুত্বপূর্ণ কঠিন ও দুরারোগ্য রোগ নিরাময়ের ওষুধ হচ্ছে "আর্সেনিক এল্বাম" যা,বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নির্বাচিত করোনা রোগ প্রতিরোধের একমাত্র ঔষধ। আসুন এই ওষুধটির একজন চিকিৎসক বনে যাই।
ডাক্তার আব্দুল্লাহ মোতালেব
অধ্যক্ষ
নাঙ্গলকোট হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
উপযোগিতা:- দীর্ঘকাল ম্যালেরিয়া রোগের প্রকোপে থাকার ফলে অত্যন্ত দুর্বলতা এবং রক্তশূন্যতাযুক্ত পুরাতন রোগীর পক্ষে, উপযুক্ত আহার পায়নি- এরূপ রোগীর পক্ষে এবং সিফিলিস গ্রস্থ রোগীর পক্ষে এটি বিশেষ উপযোগী ওষুধ। (ডাঃ কেন্ট)
কারণ:- পঁচা জিনিস হতে বিষাক্ততা, কীটদংশন, শব ব্যবচ্ছেদকালে কেটে যাওয়া, তামাক চিবানোর মন্দফল, পঁচা জৈব অথবা উদ্ভিজ্জ খাদ্য গ্রহণ, পঁচা জিনিসের গন্ধ হইতে পীড়া, প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে ফিরিয়া আসে; এরূপ রোগের ক্ষেত্রে আর্সেনিককে স্মরণ করিবে। বিষাক্ত জীবজন্তুর দংশনের কুফল, অগ্নিদগ্ধ হইবার কুফল। শাক শবজি, তরমুজ অপরাপর জলীয় ফল খাওয়ার মন্দ ফলে উৎপন্ন পীড়া, বরফ আইসক্রিম ও ঠান্ডা ফলমূল খাইয়া রোগ। পঁচা মাছ মাংসের বিষাক্ততা, মদ পান, বিষ সংক্রমন, সমুদ্র স্নান, পর্বতারোহন জনিত রোগ। উদ্বেগ, উৎকন্ঠা, শোক, ভয় ও মানসিক আঘাত জনিত রোগ। অনেক বছর ধরে বাসি খাবার থেকে যে বিষক্রিয়া হয় তার জন্য আর্সেনিক ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে।
মানসিক লক্ষণ:- মানসিক ভীতিপূর্ণ উৎকণ্ঠা ও অত্যধিক অস্থিরতা এবং শারীরিক অতিদ্রুত দারুণ দুর্বলতাÑ উক্ত তিনটির একত্র সমাবেশ আর্সেনিক এলবাম ছাড়া অন্য কোন ঔষধে দেখা যায় নাÑ এগুলো এ ঔষধের স্বভাবগত লক্ষণ। আর্সেনিকের রোগী সদা শৌখিন মানুষ। শৃঙ্খলাবদ্ধ, পরিচ্ছন্ন, ছিমছাম মানসিকতার ব্যক্তি। ফিটফাট, পরিচ্ছন্ন থাকতেই খুব পছন্দ করে। পরিস্কার জামাকাপড়ে ভালভাবে সেজেগুজে বাইরে বের হওয়া আর্সেনিকের লক্ষণ। স্বভাবতই খুঁতখুঁতে ও নাক উঁচু স্বভাবের, সহজে কোন জিনিস তার পছন্দ হয় না, আরো ভাল, তার চেয়েও ভালো জিনিস প্রত্যাশা করে। বাজারে জিনিস কিনতে গেলে একনজরে তার কোন জিনিস পছন্দ হয় না। জিনিস ঘাঁটে, এটা দেখে, ওটা দেখে। পরিতৃপ্তির বড় অভাব বোধ, সহজে খুশি হতে পারে না।
তরুণ রোগে সে মৃত্যু ভয়ে অত্যন্ত কাতর হইয়া পড়ে, উদ্বেগ ও আশংকায় ক্রমাগত ছটফট করিতে থাকে, আত্মীয় পরিজনকে কাছে বসিতে বলে। ওষুধ খাইতে চায়না, ভাবে তাহাতে কোন ফল হইবে না, মুত্যু অনিবার্য। সবসময় ক্যান্সার হবার ভয়ে ভীত থাকে। সন্দিগ্ধ, কৃপন। পুরাতন রোগে রোগী মনে করে সে খুন করিয়াছে এবং পুলিশ তাহাকে ধরিয়া লইয়া যাইবে। হত্যা করিবার ইচ্ছা বা আত্মহত্যা করিবার ইচ্ছা। সিফিলিস জনিত উন্মাদভাব স্বল্প বিরাম জ্বরের বিকার অবস্থায় বলে সে ভালো আছে। কলেরা ভীতি; কলেরার নাম শুনিলে ভয় পায় বুঝি তাহাকে আক্রমণ করিবে, (খধপযবংরং, অপরফ হরঃ)। কোলে থাকিতে চাওয়া শিশুরা দাঁত উঠার সময় ক্রুদ্ধভাবে ক্রমাগত ক্রন্দন করিতে থাকে এবং কোলে চড়িয়া বেড়াইতে চায়। কেহ তাহার দিকে তাকাইলেও সে তাহা সহ্য করিতে পারে না। আর্সেনিক স্বার্থপর মানুষ। তবে নিপাট বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব। তার প্রতিটি বিচক্ষণ পদক্ষেপের মধ্যে স্বার্থপরতার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। স্বার্থপরতার সাথে লোভ আর্সেনিকের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। আর্সেনিক সব সময় নিতে ও পেতেই পছন্দ করে। কাকেও খুব একটা কিছু দিতে চায় না। আর্সেনিকের মধ্যে মালিক হবার প্রবৃত্তি লক্ষ্য করা যায়, অর্থ চায়, বিষয় - আশয় চায়, প্রভুত্ব চায়। তার চারপাশে যারা থাকে তাদের কাছ থেকে সমর্থন চায়। তাকে সব ব্যাপারে সমর্থন করলে সে খুব খুশি হয়। আর্সেনিক তাই মোসাহেব রাখনে পছন্দ করে। অবশ্য লাইকোর মত অত স্বৈরাচারী নয়। বাসনা সুপ্ত রেখে পথ চলতে ভালবাসে।
চরিত্র নির্দেশক লক্ষণ:-
i. যে কোন রোগ হোক না কেন, রোগী অতি দ্রুত অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েÑ রোগ ভোগকালে এরূপ দুর্বলতা না থাকলে আর্সেনিক এলবাম নির্বাচন করা ঠিক নয়।
ii. উৎকন্ঠা, অস্থিরতা, অবসন্নতা, জ্বালা এবং দুর্গন্ধ এর প্রধান চরিত্রগত লক্ষণ (ডাঃ কেন্ট)। ইহাই আর্সেনিকের চাবি।
iii. অস্থিরতা, জ্বালা, অবসন্নতা এবং মধ্যরাতে বৃদ্ধি এর প্রধান সিদ্ধিপ্রদ লক্ষণ। (ডাঃ ন্যাস)
iv. মানসিক ভাবে অস্থির কিন্তু দৈহিক ভাবে এত দুর্বল যে, নড়াচড়া করতে পারে না। অবিরত স্থান পরিবর্তন করে। এক শয্যা হতে আর এক শয্যায় যেতে চায়, একবার এখানে আর একবার সেখানে শুয়ে থাকতে চায়। (ডাঃ এলেন)
v. উৎকন্ঠাযুক্ত মৃত্যু ভয়, মনে করে আর ওষুধ খেয়ে লাভ নেই, তার রোগ আরোগ্য হবার নয়, সে নিশ্চয় মৃত্যুর দিকে চলেছে। একাকী থাকলে অথবা শয্যায় শুলে মৃত্যুভয় (ডাঃ এলেন)। রোগ যাই হোকনা কেন যদি এই অবিচলিত অস্থিরতা এবং বিশেষত যদি অতিশয় দুর্বলতা বর্তমান থাকে তাহলে আর্সেনিককে ভুলনা।
vi. জ্বালাকর বেদনা, আক্রান্ত দেহাংশ আগুনের ন্যায় জ্বালা করে, মনে হয় যেন আক্রান্ত স্থানের উপর জ্বলন্ত কয়লা রেখে দিয়েছে। উত্তাপে, গরম পানীয়ে, উষ্ণবাহ্য প্রয়োগে উপশম। (অদ্ভুত লক্ষণ)
vii. এই ওষুধে সর্বত্র জ্বালা; একে এর একটা বিশেষ পরিষ্ফুট সাধারণ লক্ষণ বলা হইয়া থাকে। এতে মস্তিষ্কের মধ্যে জ্বালা আছে, সে ক্ষেত্রে সে ঠান্ডা জলে মাথা ধুইতে চায়, কিন্তু যখন মস্তকত্বক এবং বাইরের পেশীগুলোকে পীড়িত করে, সে ক্ষেত্রে জ্বালা উত্তাপ প্রয়োগে উপশম হয়।
viii. আর্সের যাবতীয় স্রাব ক্ষতকর, অঙ্গগুলোকে ক্ষত করিয়া ফেলে। জ্বালা উৎপন্ন করে। নাক ও চোখের স্রাবের চারিদিকে লালাভা তৈরী করে। অন্য সকল দার-পথের স্রাবগুলো সম্বন্ধেও এই একই কথা। আর্সের যাবতীয় স্রাবে পঁচা গন্ধ থাকে।
ix. আর্সে রক্তস্রাবও আছে। রোগীর সহজে রক্তপাত হতে পারে। শরীরের বিভিন্ন দ্বার থেকে রক্তস্রাব হয়। শরীরের যে যে স্থানে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি আছে সেখান থেকে রক্তস্রাব হতে পারে। ফলে রক্তস্রাব এবং স্রাবে দুর্গন্ধ থাকে।
x. আর্সের অন্যতম লক্ষণ হইতেছে একটা নির্দিষ্ট অসুখের নির্দিষ্ট সময়ে আবির্ভাব। অনেক ক্রনিক অসুখে রয়েছে যেগুলো নির্দিষ্ট একটা সময়ে আসে এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ছাড়া এগুলো সারে না, এটা সর্বজন বিদিত।
xi. আর্সের রোগগুলো যখনই প্রকাশ পাক না কেন, কিন্তু মধ্যরাত বা মধ্য দিনে অর্থাৎ রাতের ১২টা হইতে ৩টা, দিনের ১২টা হইতে ৩ টার মধ্যে বৃদ্ধি পাইয়াছে; সেখানে একবার আর্সের কথা মনে করিব। মধ্যরাত বা মধ্য দিনে বৃদ্ধি আর্সের বিশিষ্ট লক্ষণ।
xii. প্রবল পিপাসা সত্ত্বেও ক্ষণে ক্ষণে অল্প অল্প পানি পান এবং পানি পান মাত্রই বমি। সে মনে করে- এক কলসী পানি সে খাইয়া ফেলিবে, কিন্তু পানি তাহার মুখে পড়িতে না পড়িতেই পিপাসা তাহার তখনকারের মত মিটিয়া যায়, পরক্ষণেই কিন্তু তাহার পিপাসা পুনরায় ফিরিয়া আসে এবং অতি প্রচন্ড ভাবেই ফিরিয়া আসে, রোগী পুনরায় মনে করে সে এক কলসী পানি খাইয়া ফেলিবে, কিন্তু এক ঢোক দুই ঢোক খাইতে না খাইতেই তাহার পিপাসা মিটিয়া যায়। এইরূপ ক্ষণে ক্ষণে একটু একটু করিয়া জল পান আর্সের বিশিষ্ট পরিচয়।
xiii. যখন কোন রোগী নির্দিষ্টকাল ব্যবধানে বমিসহ শিরঃপীড়ায় আক্রান্ত হয় এবং শিরঃপীড়া চলে গেলেই রোগী সন্ধিসমুহের বাতরোগে ভুগতে থাকে তখন সে উত্তাপে বা গরমে উপশম বোধ করে।
xiv. পুরাতন রোগে আর্সেনিক প্রায়ই পিপাসাহীন এবং তরুণ রোগেও অবস্থা বিশেষে তাহাকে পিপাসাহীন দেখায়।
xv. আর্সের রোগী খাদ্যদ্রব্যের গন্ধও সহ্য করিতে পারে না ।
xvi. রোগের পর্যায়শীলতা। নির্দিষ্ট সময় অন্তর রোগাক্রমন ।
xvii. কুকুর কুন্ডলী হয়ে শয়ন করে উঁচু বালিশে মাথা রেখে শুইতে ভালোবাসে।
xviii. আর্সের রোগী অত্যন্ত খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয় এবং সর্বদাই বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকিতে ভালোবাসে। যত কঠিন ভাবেই সে শয্যাশায়ী হইয়া থাকুক না কেন, ময়লা বিছানা সে পছন্দ করেনা। ঘরের কোন স্থানে ময়লা সে দেখিতে পারে না। এমনকি দেওয়ালের ছবিগুলি যদি ঠিক যথাযথ ভাবে সাজান না থাকে তাহা হইলেও সে বিরক্ত হয়। রাস্তায় চলিবার সময় তাহার জুতায় কাদা লাগিলে যতক্ষণ না তাহা ধুইয়া মুছিয়া পরিষ্কার করিয়া লইতে পারে ততক্ষণ সে যেন মহা অশান্তি ভোগ করে। সে অন্যের কাজ পছন্দ করে না। সময় সময় সে নিজেই মনের মত করিয়া কাজ করে। আর্স নিজে সেজেগোজে থাকে, ঘর-দরজা, জিনিসপত্র সবকিছু সাজাইয়া গোছাইয়া রাখে।
xix. আর্সের রোগগুলোর দুটো অবস্থা থাকে; পূর্ববর্তী অবস্থা পরবর্তী অবস্থার সাথে মিশে যায়। যেমন তরুণ অবস্থায় সে প্রচন্ড পিপাসিত কিন্তু পুরাতন রোগে আর্সেনিক পিপাসাহীন, তরুণ অবস্থায় গরমকাতর পুরাতন অবস্থায় শীতকাতর। উম্মাদ রোগের পক্ষেও ঐ একই কথা; পুরাতন অবস্থায় রোগী শান্ত কিন্তু পূর্ববর্তী অবস্থা আর্সেনিকের রোগী হলে তাকে নিশ্চয়ই অস্থিরতা, উৎকন্ঠা এবং ভয়ের মধ্যে দিয়ে আসতে হয়েছে।
xx. সিস্টাইটিস পীড়ায় যদি প্র¯্রাবের যথেষ্ট বেগ থাকা সত্ত্বেও বহু কষ্টে অতি অল্প পরিমাণ ফোঁটা ফোঁটা প্র¯্রাব হয় এবং প্র¯্রাব ত্যাগকালে ভয়ানক জ¦ালা যন্ত্রণা থাকলে আর্সেনিক এলবামকে ভুলবেন না।
xxi. কালো বর্ণ আর্সেনিকের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য- কালো ¯্রাব, কালো বমি, কালো মল, কালো রক্ত, কালো জিহ্বা, কালো ঠোঁট, চর্মে কালো উদ্ভেদ ও উদ্ভেদের আশ-পাশ কালো, আক্রান্ত স্থান কালো ইত্যাদি লক্ষণে আর্সেনিক এলবাম একটি চমৎকার ঔষধ (সিকেলি-কর ঠান্ডায় আরাম)।
বিশেষ লক্ষণ:-
i. মাথার ভিতরের যন্ত্রণা বা উপসর্গ ঠান্ডায় উপশম কিন্তু মাথার বাহ্যিক লক্ষণসহ আর্সের অপর সকল লক্ষণ গরমে উপশম।
ii. প্রত্যেক আবহাওয়ার পরিবর্তনে পুনঃপুনঃ হাঁচি হতে থাকে, সে সর্বদাই শীতার্ত, সর্বদাই যেন শীত জমতে থাকে।
iii. বুক ধড়ফড়ানি: গায়ের ঘাম বা চর্মরোগ চাপা পড়ে বুক ধড়ফড়ানি, চিৎ হয়ে শুইলে বৃদ্ধি পায়।
iv. হাঁপানী: শ্বাস কষ্টের জন্য রোগী শুইয়া থাকিতে পারে না। উঠে সম্মুখ ভাগে ঝুঁকিয়া বসিতে বাধ্য হয়। ক্রুদ্ধ হইবার পর, ঠান্ডা লাগার পর, পরিশ্রম করার পর বৃদ্ধি। বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই বা ঘড় ঘড় শব্দ। ডান দিকে শয়নে কাশির উপশম।
v. জিহ্বায় দাঁতের ছাপ, মধ্যভাগের লাল রেখা সাদা লেপাবৃত।
vi. শিশু: শিশুরা দাঁত উঠার সময় প্রচন্ড রাগত ভাবে কান্না করিতে থাকে এবং কোলে চড়িয়া বেড়াইতে চায়, কেহ তার দিকে তাকাইলেও সে সহ্য করিতে পারে না।
vii. ক্ষত উৎপন্ন করে, এর প্রসার ক্রমশ বাড়তে থাকে। ক্ষতগুলো আগুনের ন্যায় জ্বালা করে। এমনকি নিদ্রা কালেও জ্বালা করে। স্রাব প্রচুর বা সামান্য, ক্ষতের তলদেশ নীল বর্ণ বা কালো বা চর্বির ন্যায়।
viii. কার্বাংকল জন্মে; এতে আগুনের ন্যায় জ্বালা, শীতল চর্ম শুষ্ক পার্চমেন্টের মত। তা থেকে বড় বড় মামড়ি খসে পড়তে পারে।
ix. গ্যাংগ্রিন এর স্থানগুলো কালো দেখায় এবং আগুনের মত জ্বালা করে। গ্যাংগ্রিন এর জ্বালা উত্তাপে উপশম (বিপরীত সিকেলি)
x. চর্ম পার্চমেন্টের ন্যায় শুষ্ক এবং শুল্কযুক্ত। প্রায় সর্বদাই জ্বালা করে। নানা প্রকার চর্মরোগে আর্সেনিক প্রয়োগ করতে হলে নি¤œলিখিত লক্ষণগুলো বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে- আক্রান্ত স্থানে অত্যধিক জ¦লাযুক্ত বেদনা ও চুলকানি এভং ঐ জ¦লাযুক্ত বেদনা গরমে বা গরম সেকে উপশম হয় এবং এর সাথে রোগীর সামান্য জ¦র, অস্থিরতা ও মৃত্যুভয় থাকে।
xi. এটা উদ্ভেদ বসে যাওয়া বা অবরুদ্ধ হওয়া জনিত এবং পুরাতন একজিমা প্রভূতি বিলুপ্ত হওয়া বশত উৎপন্ন রোগের একটা উৎকৃষ্ট ওষুধ।
হ্রাস:- উত্তাপে, মাথা উঁচু করে রাখলে, গরম পানিতে।
বৃদ্ধি:- বর্ষাকালে, মধ্য রাত্রের পর, ঠান্ডায়, ঠান্ডা পানিতে এবং ঠান্ডা খাদ্যে, সমুদ্র তীরে ও ডান দিকে।
মর্মবাণী:- উৎকন্ঠা, অস্থিরতা, অবসন্নতা, জ্বালা, দুর্গন্ধ এবং প্রচুর পিপাসা।
সতর্কতা:- এই ওষুধে শীত, উত্তাপ ও ঘর্ম সম্বন্ধে এত বেশী সংখ্যক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লক্ষণ আছে যে, তুমি যদি সাধারণ লক্ষণগুলো পরিত্যাগ করে ওই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লক্ষণগুলোই গ্রহণ কর, তাহলে এটা যে কোন শীতের রোগীকেই প্রযোজ্য বলে মনে হবে। অর্থাৎ তুমি হয়ত ভাববে যে তুমি ঠিকই করেছ, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তুমি বিফল হইবে, যদি না আর্সেনিককে চিহ্নিত করবার মত কতকগুলো সাধারণ লক্ষণ বর্তমান থাকে। সমুদয় রোগীটাকে আর্সেনিকের রোগী বলে চিনে নেয়া এক কথা এবং লক্ষণগুলোকে আর্সেনিকের লক্ষণ বলে মনে করা আর এক কথা। (ডাঃ কেন্ট)
ডাক্তার আব্দুল্লাহ মোতালেব
অধ্যক্ষ
নাঙ্গলকোট হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
যোগাযোগ 01817112692