বাঁশেরকেল্লা "Basherkella"দুবাই

বাঁশেরকেল্লা "Basherkella"দুবাই বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।
We are Bangladeshi. We are brave,We are energetic. We must stand for truth and justice for our nation and for the humanity.

We have another page named basherkella. But unfortunately due to our honesty in sharing what is going on in Bangladesh, it has been taken off in Bangladesh. We are still visible in other part of the world,,.We musilema,,, we annotated canvas goodbye, Islam's dbada it


বাঁশেরকেল্লা ''Basherkella'' দুবাই -বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ঘটনাবলির উপর বিশ্লেষণমূলক সংবাদ ও ভিডিও চিত্র প্রচার করে থাকে । এছাড

়াও দুবাই অবস্থানরত বাংলাদেশী কমুনিটির রাজনৈতিক চিন্তাধারা ও বিচার বিশ্লেষণকেও প্রচারের মাধ্যমে সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কয়াজ করে যাচ্ছে ।

Basher Kella Dubai - A Dubai based page that analyse current issues in Bangladesh from Video Footage and other media sources to make a community awareness. We try hard to keep people updated with very latest news .

02/10/2024
থাকতেন একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া। পেশায় ছিলেন আয়কর উপদেষ্টা (আয়কর আইনজীবী)। রাজনীতিতে সর্বদা সক্রিয় থাকায় পেশায় মনোযোগী হতে...
31/08/2024

থাকতেন একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া। পেশায় ছিলেন আয়কর উপদেষ্টা (আয়কর আইনজীবী)। রাজনীতিতে সর্বদা সক্রিয় থাকায় পেশায় মনোযোগী হতে পারেননি। আয়ও তেমন ছিল না। কখনো কখনো বাসা ভাড়া দিতেও হিমশিম খেতেন। অথচ এখন কি নেই তার। বিলাসবহুল ছয় তলা বাড়ি, একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি, বাড়িভরা স্বর্ণ, শহরে কয়েকটি বাড়ি। সরকারি, ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ি, জমি দখলেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত পটু। তিনি হবিগঞ্জের সাবেক সংসদ-সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু জাহির।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, শহরে অসংখ্য বাড়ি, জমি সাবেক এমপি আবু জাহির দখল করেছেন। সরকারি, ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো জায়গা তিনি ছাড়েননি। স্কুলের বাসা, মার্কেট পর্যন্ত দখল করেছেন। যে ব্যক্তি ভাড়া বাসায় থেকে ঠিকমতো ভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি তিনি এখন কয়েকশ কোটি টাকার মালিক। ছয় তলা বিশিষ্ট বাড়ি করেছেন। বিলাসবহুল কয়েকটি গাড়ি কিনেছেন। প্রায় আড়াইশ ভরি স্বর্ণ কিনেছেন। শাহজাহান মিয়া নামে একজন বলেন, হবিগঞ্জের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে আবু জাহিরের জায়গা বা বাসা নেই। তিনি অসংখ্য বাসা দখল করেছেন। অলিপুরে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের একটি জায়গা দখল করেছেন। টাকা পাচার করেছেন বিদেশে। মো. আবু জাহির টাউন হল রোডে একটি পুকুরের জমি বিক্রি করে দেওয়ার শর্তে মালিক তাকে ৮.৫ শতাংশ জমি দান করেন। মাটি ভরাট করে এখানে বাসা নির্মাণ করেন ২০০১ সালের দিকে। একতলা বাসায় থাকতেন। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বৈদ্যের বাজারে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় আহত হন। এরপরই তার কপাল খুলে যায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন এমপি মো. আবু জাহির হবিগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি হন। তখনই তিনি স্কুলের ভবন এবং মার্কেট নিজের আয়ত্তে নেন। স্কুলের প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ করে ভবন এবং মার্কেট সংস্কার করে এগুলো নিজের ভাইকে ভাড়া হিসাবে দেন। ভাড়া ধার্য করা হয় বাসা এবং দুটি দোকান সব মিলিয়ে ৯ হাজার টাকা। অথচ এগুলোর বাজার মূল্য হিসাব করলে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা একেকটির ভাড়া হওয়ার কথা। টানা সাড়ে ১৫ বছর এমপি থাকার সুবাধে শহরের সার্কিট হাউজ রোডে শায়েস্তানগর এলাকায় একজন প্রবাসীর প্রায় ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি বাসা দুজনের বিরোধের সুযোগে সালিশ করে দেওয়ার নামে দখল করে নেন মো. আবু জাহির। তেঘরিয়া পিডব্লিউডি অফিসের পাশে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আরেকজনের ৩০ শতাংশ জমি দখল করেছেন। ওই জমির মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা। হবিগঞ্জ হাইস্কুলের কোয়ার্টার, মার্কেট প্রভাব খাটিয়ে দখল করেছেন। পুরাতন খোয়াই নদীর কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল করে সেখানে সেলুনপট্টি করেছেন।

Advertisement

হবিগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনের পুকুরের ১৮ শতাংশ জমি নিজের স্ত্রীর নামে করেছেন। বাল্লা সীমান্তে স্ত্রী আলেয়া আক্তার, ছেলে ইফাদ জামিল, ভাই বদরুল আলম, ভাতিজা সাইদুর রহমান এবং নিজের পিএস সুদ্বীপ দাসের নামে ২শ শতাংশ জমি কিনেছিলেন শতকোটি টাকা মূল্যে। বাল্লা স্থলবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হলে চারগুণ মূল্যে সরকারের কাছে এ জমি বিক্রি করেন। শহরের রেলওয়ে বাইপাস সড়কে ঈদগার পাশে এক কানাডা প্রবাসীর ৩০ শতাংশ জমি দখল করেন। ওই জমির মূল্য অন্তত ১০ কোটি টাকা।

বন্যাদুর্গত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ফ্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম...
22/08/2024

বন্যাদুর্গত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ফ্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম...

ভারত কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরক...
22/08/2024

ভারত কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

৪ ডিসেম্বর ২০১৩ নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে আন্দোলনে উত্তাল সারা দেশ। তখন ঢাকায় র‌্যাব ১-এর অধিনায়ক ক...
19/08/2024

৪ ডিসেম্বর ২০১৩ নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে আন্দোলনে উত্তাল সারা দেশ। তখন ঢাকায় র‌্যাব ১-এর অধিনায়ক কিসমত হায়াতের নেতৃত্বে এক রাতের অভিযানে তুলে নেওয়া হয় বিএনপি ও ছাত্রদলের ৮জন নেতাকর্মীকে। দিনটি ছিল ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর। আজ ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু তাদের সন্ধান এখনো মিলছে না। পরিবার এখনও আছেন অপেক্ষায়। তবে র‌্যাব-১ এর তৎকালীন কমান্ডিং অফিসার কিসমত হায়াত চাকুরি থেকে অবসর নিয়ে আরাম আয়েশে জীবনযাপন করছেন। তার তত্ত্বাবধানেই মানবতাবিরোধী জঘন্য এই কাজ সম্পন্ন করে ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া র‌্যাব।

অথচ, মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত এই সেনা অফিসারের নামটাই এখন মানুষ ভুলে গেছেন। কিন্ত ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা কি আর ভুলতে পারেন সেই নাম!

গুমের শিকার এই ৮ ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য থেকে উঠে এসেছে কিসমত হায়াতের নাম।

এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য, একরাতে ৮ জনকে তুলে নিয়ে গুম করা হলেও আওয়ামীপন্থী মিডিয়া সেই খবরটি তখন তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি। বরং ঘটনা ধামাচাপা দিতেই দেখা যায় আওয়ামীপন্থী পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেল গুলোকে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সহায়ক র‍্যাবের এই মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত অফিসারদের বিষয়ে আওয়ামী মিডিয়াও নীরব। আওয়ামী মিডিয়া এসব খুনি ও মানবতা বিরোধী অপরাধী অফিসারদের নাম নিতে যেন লজ্জা পায়। এই গুম-খুনের জন্য আওয়ামী মিডিয়া গুলো কম দায়ী নয়। অনেক মিডিয়া জেনে শোনে এসব গুমের ঘটনাকে এড়িয়ে গেছেন অথবা খুবই লো প্রোফাইলে প্রকাশ করেছে, যাতে মানুষের চোখে না পড়ে।

আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের দালালি করার জন্য অনেক সাংবাদিককে গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা ও ব্যবসা-পাতি দেওয়ার ফলে সামনের কাতারের অনেক সাংবাদিক এখন আওয়ামী লীগের অনুগত দলদাসে পরিণত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের দলদাস হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক নামধারী এই লোক গুলো প্রকৃত গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করছে। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম ও তথাকথিত ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচারে হত্যা করে চলেছে।

যেভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাদেরকে:

ঢাকা মহানগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩৪) ছিলেন বিএনপির অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। নিজ দলের কাজ ছাড়াও এলাকার সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে ছুটে যেতেন নি:স্বার্থভাবে। সাজেদুলের বাসা শাহীনবাগ এলাকায়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জীবনের সংশয়ে নিজ বাসা ছেড়ে আশ্রয় নেন বসুন্ধরায় এক আত্মীয়ের বাসায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সাজেদুল ইসলাম সুমনের মা হাজেরা বেগম (৭৬) বলেন, নির্বাচনের আগে জীবননাশের শঙ্কায় সাজেদুল বিভিন্ন আত্মীয়ের বাসায় থাকতেন। যে রাতে তাকে র‍্যাব ধরে নিয়ে যায়, সেই রাতে সে বসুন্ধরার আই-ব্লকে খালার বাসায় ছিলেন। ওই খালার একটি ভবনের নির্মাণকাজ চলছিল।

মা হাজেরা বেগম বলেন, ওই ভবনের নিচে ২০১৩ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে সাজেদুল, তার খালাতো ভাই জাহিদুলসহ ছয়জন মুড়ি ও চানাচুর খাচ্ছিলেন। তখন সেখানে এসে থামে র‍্যাব-১ এর একটি গাড়ি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, র‍্যাব-১ লেখা তিনটি গাড়ি এসে থামে। সাথে ছিল আরো কয়েকটি গাড়ি। সবার পরনে ছিল কালো পোশাক। অস্ত্রধারীদের কয়েকজন ভবনটির সামনে এসে সশব্দে জানতে চায় ‘তোমাদের মধ্যে কার নাম সুমন?'

এ সময় সাজেদুল ইসলাম সুমন নিজের পরিচয় দেন। সাথে সাথে সুমন, তার খালাতো ভাই জাহিদুল করিম ওরফে তানভীরসহ (৩০) ছয়জনকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায় ওই বাহিনী।
বাকি চারজন হলেন পূর্ব নাখালপাড়ার বাসিন্দা আবদুল কাদের ভূঁইয়া ওরফে মাসুম (২৪), পশ্চিম নাখালপাড়ার মাজহারুল ইসলাম ওরফে রাসেল (২৪), মুগদার আসাদুজ্জামান ওরফে রানা (২৭) ও উত্তর বাড্ডার আল আমিন (২৬)।

এর কয়েক ঘণ্টা পর রাত দুইটার দিকে শাহীনবাগের বাসা থেকে একই বাহিনী তুলে নিয় যায় এএম আদনান চৌধুরী (২৮) নামের আরেকজনকে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পরিবার জানিয়েছে, আদনানকে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরনের কালো পোশাকের ওপর ‘র‍্যাব’ লেখা ছিল।

যদিও বসুন্ধরা থেকে উঠিয়ে নেওয়া ছয়জনের বিষয়ে সেই সময় গণমাধ্যমকে কিসমত হায়াৎ বলেছিলেন যে, র‍্যাব-১-এর কেউ এতে জড়িত নয়।

পরে অবশ্য সাজেদুল ইসলাম সুমনের বৃদ্ধা মা হাজেরা বেগমের কাছে সুমনকে তুলে আনার কথা স্বীকার করেছিলেন কর্নেল জিয়াউল আহসান। একই রাতে রাজধানী থেকে গুম হন বিএনপি কর্মী কাওসার আহমেদ।

গুম হওয়া অন্যদের পরিচয়:

কিসমত হায়াৎ বাহিনীর হাতে গুম হওয়া জাহিদুল করিম ওরফে তানভীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজেদের নির্মাণাধীন ভবনের কাজ দেখাশোনা করছিলেন।

আবদুল কাদের ভূঁইয়া ওরফে মাসুম ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্র।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে সদ্য স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন মাজহারুল ইসলাম ওরফে রাসেল। তিনি ৩৪তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আইন বিষয়েও পড়াশোনা করছিলেন গুম হওয়া এই তরুণ।

আসাদুজ্জামান ওরফে রানা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকুরি খুঁজছিলেন।

আল আমিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সম্মান শেষ করার পর অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছিলেন।

আর গুম হওয়া আদনান উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

নিখোঁজ আদনানের বাবা রুহুল আমিন তখন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন যে, ৪ঠা ডিসেম্বর রাত দুইটার দিকে শাহীনবাগের বাসার মূল ফটকে কয়েকজন জোরে জোরে আঘাত করেন। তিনি দরজা খুলে দেন। দেখতে পান যে ১৪-১৫ জন কালো পোশাকধারী লোক অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে। তাদের সাথে একটি সাদা ও একটি ছাই রঙের মাইক্রোবাস দাঁড়ানো। তারা প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে জোর করে বাসার ভেতরে ঢোকে এবং আদনানকে খুঁজতে থাকেন। আদনান তার কক্ষ থেকে বের হলে তারা তাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়।

আদনান গুম হওয়ার পর রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে আরো বলেছিলেন যে, কালো পোশাকধারীরা সবাই হাফ হাতা জ্যাকেট পরা ছিল। কোমর বরাবর জ্যাকেটে হলুদ রঙে ‘র‍্যাব’ লেখা ছিল।

কিসমত হায়াৎ বাহিনীর হাতে বিএনপির এই আট তরুণ ছাড়াও অনেক নিরপরাধ মানুষ গুম হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তথাকথিত ক্রসফায়ারে হত্যাও করা হয়েছে অনেককে। কিন্তু, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখার পুরস্কার হিসেবে প্রমোশনও জুটেছে তার ভাগ্যে। এমনকি র‍্যাবে দায়িত্ব পালন শেষ তিনি ফিরেও গেছে নিজ বাহিনীতে।

কিন্তু, তার হাতে গুম হওয়ারা আজও ফেরেনি নিজ বাসায়। এখনও তাদের অপেক্ষায় রয়েছেন বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা। নিখোঁজদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা হয়তো কোনোদিনই আর জানা যাবে না।
র‍্যাব ধরে নিয়ে যাওয়ার পর গুম করা এই মানুষদের পরিবার আজো অপেক্ষায়। আপনজনরা পথ চেয়ে আছেন, ফিরবেন তারা। কিন্তু তাদের কোন হদিস নেই কোথাও।

২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে রেখে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে তখন দেশব্যাপী তুমুল আন্দোলন চলছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে উত্তাল সারা দেশ। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছিল, আন্দোলনের তীব্রতাও বাড়ছিল তখন। পুরো দেশ অচল বলা চলে। এর মাঝেই শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে। বাকী ১৪৬ আসনে ভোটের আয়োজন চুড়ান্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার। ১৬৪ আসনে প্রহসনের আয়োজন করা হয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে।

নির্বাচন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী প্রহসন ও তামাশা সম্পন্ন করতে নির্লজ্জভাবে সহায়তা করে পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী। সারাদেশে তখন শুরু হয় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন, নির্যাতন ও নিপীড়ন। খোদ রাজধানী ঢাকাতে বিরোধী জোটের ওপর নেমে আসে নিষ্পেষণ। বিএনপি’র মহাসচিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব থেকে শুরু করে সিনিয়র নেতারা অনেকেই আটক হয়ে কারাগারে। হামলা-মামলা দিয়ে দমন করার অপচেষ্টা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের।

17/08/2024
17/08/2024

৫ আগস্ট যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো হাসিনা সরকার
সুশীল বনে যাওয়া স্বৈরাচারীর সমর্থকদের কি বলার আছে এ প্রতিবেদন দেখার পর। কেন পুলিশের উপর এতোটা ক্ষিপ্ত ছিল মানুষ। এ মানুষগুলোর ট্যাক্সের টাকায় কেনা বুলেট তার নিজেকেই বিদ্ধ করেছে।
বিবেক আর কতো বন্ধক দিয়ে রাখবেন। মনে রাখবেন আপনার এ অন্ধ সমর্থনই আয়নাঘর তৈরি করতে সহযোগিতা করেছে।

17/08/2024

১৬ বছর যাদের কোন লজ্জা শরম ছিল না, বিবেক-বুদ্ধি ছিল না, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হওয়া নিয়ে আফসোসও ছিল না, হাজার হাজার মানুষকে গু*ম-খু*ন নিয়ে যাদের মাথা ব্যাথা ছিলো না তারা এখন দেখি সবকিছুতেই লজ্জিত, এখন এত লজ্জা আসলো কোথা থেকে ?

নিচের ছবিটি মেজর বজলুল হুদার, যাকে শেখ হাসিনা নিজ হাতে জবাই করেছিলেন। আই রিপিট এগেইন, মেজর বজলুল হুদাকে শেখ হাসিনা নিজ হ...
17/08/2024

নিচের ছবিটি মেজর বজলুল হুদার, যাকে শেখ হাসিনা নিজ হাতে জবাই করেছিলেন। আই রিপিট এগেইন, মেজর বজলুল হুদাকে শেখ হাসিনা নিজ হাতে জবাই করে হত্যা করেছিলেন।

মেজর বজলুল হুদাকে চিনে নাও প্রজন্ম, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পাকিস্থান বন্দি শিবির থেকে যে কয়জন অফিসার পালিয়ে এসে বাংলাদেশে যুদ্ধ করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম এই মহান বীর মেজর বজলুল হুদা।

মেজর বজলুল হুদার আরো একটি পরিচয় হল, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট একদল বীর সেনানী জাতিকে দিয়েছিলো এক ‘ডিভাইন জাস্টিস’। জাতিকে মুক্ত করেছিলো এক রাহুগ্রাস থেকে। মেজর বজলুল হুদা তাদের মধ্যে অন্যতম।

মানব থেকে দানবে পরিনত শেখ মুজিবকে হত্যার অপরাধে
২৮শে জানুয়ারী ২০১০ এ মেজর (অব.) বজলুল হুদা সহ মোট ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাত ১১টায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব আব্দুস সোবহান শিকদার, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকার জেলা প্রশাসক জিল্লার রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অমিতাভ সরকার, ডিএমপি কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক, ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. মুশফিকুর রহমানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ১১টা ২০ মিনিটে পাঁচটি কফিন বক্স কারাগারের ভেতরে ঢোকানো হয়।

রাত ১১:৪০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আশেপাশের ও কারাগারের অভ্যন্তরের সব বিদ্যুৎ একসাথে চলে যায় (কয়েকটা পত্রিকায় এটা এসেছিলো তখন)। ঠিক তখন দুইটা কালো টিল্টেড গ্লাসের পাজেরো জীপ ঢূকে কারা অভ্যন্তরে। এর একটা পাজেরোতে ছিলো শেখ হাসিনা স্বয়ং। হাসিনা নিজে সেদিন ফাঁসির মঞ্চের সামনে উপস্থিত ছিলো ৪ জনের ফাঁসি নিজ চোখে দেখার জন্য। শুনে অবাক লাগছে? অনেক পত্রিকায় আসছিলো যে দুইটা ফাঁসির মঞ্চে দু’জন করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিলো। এবং এও এসেছিলো যে মেজর বজলুল হুদাকে প্রথম ফাঁসি দেওয়া হয়েছিলো!

আসলে মেজর বজলুল হুদাকে ফাঁসির মঞ্চেই নেওয়া হয়নি। মেজর হুদাকে প্রশাসনিক ভবনের একটি রুমে রাখা হয়েছিলো। দু’জন করে চার জনের ফাঁসির কাজ সমাপ্তির পর হাসিনা যায় মেজর বজলুল হুদার সেই রুমে। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলো কাশিমপুর থেকে আনা এক হিন্দু জল্লাদ। যেভাবে কোরবানির গরু জবাই করা হয় ঠিক একই ভাবে চারজন মেজর হুদার শরীর চেপে ধরেছিলো আর হাসিনা মেজর হুদার বুকের উপর এক পা দিয়ে চেপে রেখেছিলো আর সেই হিন্দু জল্লাদ জবাই করেছিলো। প্রত্যক্ষ দর্শীর বর্ণনা থেকে জানতে পারি জবাইয়ের সময় কিছু রক্ত ফিনকি দিয়ে হাসিনার শাড়ির বেশকিছু অংশ ভিজে যায়।

হুদার লাশ পরেরদিন ১০টায় আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে নেওয়ার আগে কয়েক হাজার পুলিশ, বিডিআর ও র‍্যাব অবস্থান নিয়েছিলো। লাশ নেওয়ার সাথে সাথে র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ৫ মিনিটের মধ্যে লাশ দাফনের জন্য চাপ দিতে থাকে তার পরিবারের সদস্যেদের। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা ও কয়েক লক্ষ উপস্থিত মানুষের চাপের মুখে র‍্যাব কর্তারা পিছু হটে। কফিন খোলার পর দেখা যায় লাশ অর্ধেক ডুবে আছে রক্তের মধ্যে। আবার গোসল করানোর জন্য লাশ নামানোর পর দেখা যায় মেজর হুদার গলা কাটা যা জাল বোনার মোটা সুতা দিয়ে সেলাই করা।

ফাসিতে ঝুলিয়ে মৃত ব্যক্তির গলায় শেলাইয়ের কোন প্রয়োজন হয়না, মেজর হুদার হাত পা ও ঘাড়ের রগও কাটা ছিলো না, এই তথ্য জানা যায় যিনি মেজর হুদার শেষ গোসল করিয়েছিলেন তার মুখ থেকে।

প্রজন্ম, জানোনা এই শেখ পরিবার কতটা ভয়ংকর ছিলো। আজ যারা শেখের নামে শিন্নি খায় তারা জানেনা কত হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলো শেখের হুকুমে। আজ যারা শেখের জন্য মায়াকান্না করে তারা জানেনা শেখের তৈরি রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার সম্পর্কে। তারা কেহই জানেনা শেখ মুজিব দাম্ভিকতা ও ক্ষমতার লোভে মানব থেকে দানবে পরিনত হয়েছিলো। একদল চৌকস সেনা অফিসার তখন মানুষ শেখের হিংস্র থাবা থেকে রক্ষ্যা করে তাকে হত্যার মাধ্যমে।

প্রজন্ম আরও জেনে নাও, শেখ মুজিব নামের দানবকে হত্যার অপরাধে এক দল নিরপরাধ মুক্তিযোদ্ধা ও সাহসী সৈনিকদের হত্যা করা হয়। বেশ কয়েকজনকে দেশান্তরী করা হয়, যারা আর কোনদিন দেশে ফিরতে পারেন নি।

হে প্রজন্ম, মুজিব নামক সেই দানবের শুক্রাণু থেকেই জন্ম নিয়েছে হাসিনা নামের আরেক দানব, যাকে তোমরা সদ্যই দেশ থেকে বিতাড়িত করেছো হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। স্বাধীন করেছো দেশটাকে আরো একবার। তবে এই স্বাধীনতা তখনই সফল হবে যখন তোমরা খুনি হাসিনাকে তার অপকর্মের উপযুক্ত শাস্তি দিবে।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান গ্রে'প্তার
16/08/2024

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান গ্রে'প্তার

Address

Dhaka Paltan
Dhaka
1000

Website

http://www.ustream.tv/channel/basherkella-dubai

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাঁশেরকেল্লা "Basherkella"দুবাই posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বাঁশেরকেল্লা "Basherkella"দুবাই:

Share