15/07/2025
আজকে জামায়াতে ইসলামীর চাঁদাবাজীর গোমর ফাস করবো। এরা বাইতুলমালে এয়ানত তোলার নামে যে চান্দাবাজী করে তা না তুলে ধরে পারলাম না। দুদিন আগেই বলেছিলাম মাথায় জমে থাকা সত্য কথাগুলো বললে অনেকেরই মাথা ব্যথার কারন হবো। আজকে ভয়হীন ভাবে চাঁদাবাজী তুলে ধরলাম। আমার মতো একটা স্বল্প আয়ের লোকের থেকেও এই সংগঠন ২০২০ সাল থেকে আয়ের ৫% নেয়া শুরু করে। এরপরে শিবির, ছাত্রী সংস্থা, মহিলা সংগঠন কেও প্রতি মাসে চাঁদা দেই। এরপর প্রতিবছর নির্বাচনী, শহীদ ফান্ড, এককালীন কতো কী? এতো চাঁদা নেওয়ার নতুন পদ্ধতি তাই নয় কী? আসলে আপনি যা ভাবছেন তা মোটেও ঠিক নয়। কারন এ সংগঠনের প্রত্যেক জনশক্তি সেচ্ছায় তাদের আয়ের একটা অংশ দান করে। আল্লাহ তাআলা কুরআনের সূরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বললেন " আমি তোমাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময় কিনে নিয়েছি " জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের প্রতিটি কর্মী বা জনশক্তিরা আল্লাহর সাথে এক বিশেষ লেনদেনে চুক্তিবদ্ধ। আল্লাহ কোরআনে আরো বললেন " তোমরা যা দান করো তা আমি উত্তম ঋণ হিসেবে গ্রহণ করি " এই সুবর্ন সুযোগ অন্তত ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা হাতছাড়া করবে না। জামায়াতে ইসলামীর এমন একটি সংগঠন যারা শুধুমাত্র তাদের অধীনে সংঘবদ্ধ জনশক্তিদের সেচ্ছায় দেওয়া অর্থই গ্রহন করে। এটা কী চাঁদা
হিসেবে গন্য হবে? এখন পর্যন্ত কখনো শুনেছে কী এ সংগঠনের দায়িত্বশীল কোন দোকানপাটে চাঁদা চাওয়া, জমিদখল বা লুটপাটের সাথে জড়িত? আমি প্রতি মাসে সেচ্চায় আমার মাকে কিছু টাকা দেই, আবার মাঝেমধ্যে সে আমার কাছ থেকেও টাকা চেয়েও নেয় বিভিন্ন প্রয়োজনে তাহলে কী আমার মা-ও একজন চাঁদাবাজ? নিশ্চয়ই চাঁদাবাজ নয়। তেমনি আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজকে বেগবান করতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জনশক্তি যদি সেচ্চায় এয়ানত দেয় তাহলে সেটা কীভাবে চাঁদার সাথে তুলনা করা যায়? যারা শুধু ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য বায়তুলমালকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তাদের জন্য হৃদয় থেকে দোয়া রইলো। আশাকরি, এই পোস্ট পড়ার আপনি বায়তুলমাল ও চাঁদার পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন। আর যদি মনে করেন বুঝেও না বোঝার ভান করবেন তাহলে আপনারা আপনাদের মতো চাঁদা তুলুন আমরা আমাদের মতো এয়ানত তুলতে থাকি। ইনশাআল্লাহ কঠিন বিপদের দিন মুসিবতের সময় আপনি আরেকবার সত্যের মুখোমুখি হবেন যখন মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর মুখোমুখি হতে হবে। আপনার পথ যদি সত্য হয় তাহলে দোয়ায় সামিল রাখুন যাতে আমরাও আপনার মতো সত্য পথে যেতে পারি তবে আপনাদের জন্যও দোয়া রইলো। তবে শয়তান আল্লাহকে যে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলো আমাদের সকলকে জাহান্নামে নেওয়ার সেটা যেন না হয় এই চেষ্টা চলমান থাকবে।
লেখাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন সাধারণ কর্মী।