05/04/2025
ছাত্রনেতারা ও ইসলামি দলগুলো কেন বিএনপিকে অঘোষিতভাবে বয়কট করে একঘারে করলো?
৫ আগষ্টের পর ইসলামি দলগুলো যখন দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপির সাথে ঐক্য করে, জাতীয় সরকার গঠনের চেষ্টা করছিল।
ঠিক ঐ একই সময় সেনাপ্রধান ওয়াকারের মধ্যস্ততায় বিএনপির প্রতিনিধি দল ভারতে গিয়ে নিজেদের সেকুলার অস্প্রদায়িক দল দাবি করে। সাথে অগণতান্ত্রিক ভাবে হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার দায়চাপায় উগ্র ছাত্র-জনতা ও উগ্র ইসলামি দলগুলোর উপর এবং ঐ আন্দোলনে বিএনপির ভুমিকা জানতে চাইলে বিএনপি বলে,বিএনপি গনতন্ত্রে বিশ্বাসী দল,গতকয়েকটি নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ায় নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ধরে রাখা সম্ভব হয়নি, কৌশলগত কারণেই শেষ মুহূর্তে এসে যুক্ত হতে হয়েছে । তবে বিএনপি সরকার গঠন করলে এসব উগ্রবাদী ইসলামি দল ও বিচ্ছিন্নবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করার প্রতিশ্রুতি দেয় বিএনপি।
ফলে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ছাত্রনেতা ও ইসলামি দলগুলোর সাথে বিএনপি এক বিশাল দুরত্ব তৈরী করে। আহত ছাত্রদের চিকিৎসা ও নিহত ছাত্রদের ক্ষতিপুরন উভয় ক্ষেত্রেই আমলা জটিলতার দোহাই দিয়ে বিএনপির নিয়োগকৃত উপদেষ্টারা সরাসরি বাঁধা দেয়। আহত ছাত্ররা চিকিৎসার জন্য আন্দোলন শুরু করলে ড. ইউনূস মিডিয়ায় এসে সরাসরি অকপটে তা স্বীকার করে এবং আজও আহত ও নিহত ছাত্ররা সরকারের প্রতিশ্রুত ক্ষতি পুরন পায়নি।
একটু চিন্তা করেন এরা কতটা নিকৃষ্ট জাতের মানুষ?
শুরু হয় নতুন মিশন, ভারতের সেনাপ্রধান,আওয়ামীলীগের সেনাপ্রধান ও বিএনপি যৌথভাবে দাবি তোলে দ্রুত এক্সক্লুসিভ নির্বাচন চাই। খবর বাতাসে ছড়িয়ে পড়লে সর্বপ্রথম ইলিয়াস ও পিনাকী দা প্রতিবাদ করে এবং বলে বিএনপি এখন আওয়ামীলীগ নাম্বার ২ । মেলায় হারিয়ে যাওয়া দুই ভাই। এতএব ইসলামি দল ও ছাত্রনেতারা সাবধান।
ফলে ছাত্রনেতারা ও ইসলামি দলগুলো পারলো চিন্তায় তারা বুঝতে পারলো,
বিএনপি যদি ক্ষমতা পায়, তবে ভারত গত ১৬ বছর এদেশকে যেভাবে তাদের কলোনী বনিয়ে রেখেছিল, র দিয়ে যেভাবে টার্গেট কিলিং করেছিল,গুম করেছিল এবং গনহত্যা করেছিল ঠিক তেমনি করবে এটা নিশ্চিত। ভারতের নির্দেশ মানা আর চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি দূর্নীতি লুটপাট বিদেশে টাকা পাচার করা ছাড়া তখন বিএনপি দেশের জন্য কিছুই করতে পারবে না। কারণ বিএনপিও আওয়ামী লীগের মতো একই পথে হাঁটবে। দেশের সার্বভৌম ও জাতীয় স্বার্থ যাবে ভারতের অধীনে।
আর এই মূহুর্তে যদি ইসলামি দলগুলো ক্ষমতা পায় তবে ভারত ঝাপিয়ে পড়বে সাথে পশ্চিমারাও যোগ দিবে, এবং মির্জা ফখরুলরাও মির্জাফরের ভুমিকা অবতীর্ণ হবে।
এতএব ড. ইউনূসকে সমর্থন দেওয়াই এখন ছাত্রজনতা ও ইসলামি দলগুলোর জন্য বেশি নিরাপদ।
আর যদি বিএনপি সঠিক রাস্তায় এসে ড. ইউনূসকে সাথে নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যানে জাতীয় সরকার গঠনের ডাক দেয় তবে ভালো কথা।
নয়তো ড.ইউনূসের সরকার এভাবেই চলাবে ৫, ১০ বছর। বিএনপি ভারত ও আমেরিকায় গিয়ে লবিং, করুক আর দেশের ভিতর মিটিং মিছিল করতে করতে জনবিচ্ছিন্ন হউক। আর না হয় বিএনপি আওয়ামী লীগকে এনে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়ে নির্বাচন করুক। আমরা নির্বাচনে যাবো না। বয়কট বিএনপি।
আশাকরা যায়, ড.ইউনূসের পাশে থাকায় ছাত্রসমাজ ও ইসলামি দলগুলো দেশে বিদেশে আরো বেশি আস্থা বিশ্বাস অর্জন করবে এবং আরও বেশি জনপ্রিয় হবে ইনশাআল্লাহ
(বাশের কেল্লা থেকে কপি)