13/10/2025
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-এর পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত ‘গ্লোবাল স্পেস চ্যালেঞ্জ ২০২৫’-এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর শিক্ষার্থীদের দল। প্রতিযোগিতাটির সিনিয়র (হাইস্কুল ও সমমান) ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়ে ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৯.৮ স্কোর করেছে তারা। পাশাপাশি ‘বেস্ট টিম ভিডিও’ ক্যাটাগরিতেও বিজয়ী হয়েছে দলটি।
৪ অক্টোবর অনলাইনে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতা সাত দিনব্যাপী চলে এবং গত শুক্রবার এর সমাপনী ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়। আয়োজক প্রতিষ্ঠান ছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্পেস টিমস একাডেমি, যেখানে এলিমেন্টারি, মিডল স্কুল ও সিনিয়র/হাইস্কুল—এই তিন বিভাগে ১৫টির বেশি দেশের ৪০টির বেশি দল অংশগ্রহণ করে।
চুয়েট থেকে অংশ নেওয়া দলের নাম ‘টিম ASRRO’, যা চুয়েট-এর অ্যান্ড্রোমিডা স্পেস অ্যান্ড রোবোটিকস রিসার্চ অর্গানাইজেশন ক্লাবের প্রতিনিধি। দলের সদস্যরা হলেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সজীব কুমার কর ও শুভ আহমেদ, কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আদিল মুবাশশার, এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষের সুদীপ্ত বণিক।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা প্ল্যানেটারি সায়েন্স, স্পেসক্রাফট ডিজাইন, অরবিটাল মেকানিকস, রিমোট সেন্সিং, এন্ট্রি-ডিসেন্ট-ল্যান্ডিং, এক্সট্রা টেরেস্ট্রিয়াল হ্যাবিট্যাটস, হিউম্যান অ্যান্ড রোবোটিক এক্সপ্লোরেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করেছে।
চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য এবং ক্লাব সভাপতি সজীব কুমার কর বলেন, “এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, কারণ এর রেজিস্ট্রেশন ফি প্রায় ১,১০০ ডলার। অধ্যাপক সজল চন্দ্র বণিক ও অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম স্যারের সহায়তায় MIT-এর মিজানুর চৌধুরী এবং তার প্রতিষ্ঠান STEMX 365 পুরো ফি প্রদানে সাহায্য করেছেন। প্রতিযোগিতার সময়টা কঠিন ছিল, পূজার ছুটি ও পরীক্ষা চলছিল, তবুও দলের প্রচেষ্টার ফলে আমরা এই অর্জন করতে পেরেছি। ভবিষ্যতেও দেশের প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্য আমাদের।”
উপদেষ্টা এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সজল চন্দ্র বণিক প্রথম আলোকে বলেন, “এটি নিঃসন্দেহে চুয়েট-এর জন্য বড় অর্জন। শিক্ষার্থীরা নিরলস পরিশ্রম করেছে, রাত জেগে কাজ করেছে। এই অর্জন আমাদের জন্য অনেক গর্বের।”