15/03/2025
🌿আহমদ ছফা🌿
আহমদ ছফা ৩০ জুন, ১৯৪৩ সালে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশি লেখক, ঔপন্যাসিক, কবি, চিন্তাবিদ ও গণবুদ্ধিজীবী।
জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ও সলিমুল্লাহ খান সহ আরো অনেকের মতে, মীর মশাররফ হোসেন ও কাজী নজরুল ইসলামের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি মুসলমান লেখক হলেন আহমদ ছফা।
তার লেখায় বাংলাদেশি জাতিসত্তার পরিচয় নির্ধারণ প্রাধান্য পেয়েছে।
জীবদ্দশায় অনেকে তাকে বিদ্রোহী, বোহেমিয়ান, উদ্ধত, প্রচলিত ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাহীন ও বিতর্কপ্রবণ বলে অভিহিত করেছেন।
🌼লেখক সংগ্রাম শিবির
• তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাকে স্বাধীন করার প্রত্যয়ে 'লেখক সংগ্রাম শিবির' গঠন করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা 'প্রতিরোধ' প্রকাশ করেন।
🍁• স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা 'প্রতিরোধ'।
• যার প্রকাশক, সম্পাদক, প্রচারক ছিলেন আহমদ ছফা।
🌼🍁ছফার উপন্যাস
✅• 'সূর্য তুমি সাথী' (১৯৬৭): এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস।
🌼'ওঙ্কার' (১৯৭৫): এটি ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমিতে লেখা। এ উপন্যাসের ঘটনাপ্রবাহ বর্ণিত হয়েছে একজন কথকের উক্তিতে। নায়কই কথক নায়কের বাবার সংকটকালে ধূর্ত মোক্তার আবু নসরের কুটচক্রে তার বোবা মেয়েকে বিয়ে করাতে হয়। আবু নসর মোক্তারের চক্রান্তে নায়কের বাবার ভিটেমাটি হাতছাড়া হয়েছিল। আবু নসর মোক্তারের সঙ্গে আইয়ুব খানের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। ফলে যেকোনো রকম অনাচার করা তার পক্ষে অসম্ভব ছিল না। এই বোবা মেয়ের পরিবর্তনকে বাঙালি জাতিসত্তার পরিবর্তনের রূপক মনে করা হয়েছে। বোবা মেয়ের ধ্বনিহীন জীবন যেন আইয়ুবের স্বৈরশাসনের নিস্তব্ধ বাংলাদেশের প্রতীক।
🌼'একজন আলী কেনানের উত্থান-পতন' (১৯৮৮): আইয়ুব খান থেকে শুরু করে শেখ মুজিব পর্যন্ত সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রচিত।
🌼'অলাতচক্র' (১৯৯৩): উপন্যাসটি মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতে অভিবাসী বাঙালিদের নিয়ে রচিত। প্রেমের কাহিনী হলেও এতে প্রকাশ পেয়েছে উদ্বাস্তু বাঙালিদের দৈন্যদশা। (অলাতচক্র অর্থ বহ্নিবলয়, অগ্নিগোলক)
🌼'গাভী বিত্তান্ত' (১৯৯৫): এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মের প্রেক্ষাপটে রচিত ব্যাঙ্গাত্মক রচনা। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত ভিসি মিঞা মোহাম্মদ আবু জোনায়েদ (প্রতীকী চরিত্র)।
🌼মরণ বিলাস (১৯৮৯)
🌼'অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী' (১৯৯৬): উপন্যাসটি 'প্রাণপূর্ণিমার চান' নামে সাপ্তাহিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় 'অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী'।
🍁প্রবন্ধ
🌿জাগ্রত বাংলাদেশ (১৯৭১)। [স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম গ্রন্থ]
🌿বাংলাদেশের রাজনৈতিক জটিলতা (১৯৭৭)
🌿বাঙালি মুসলমানের মন (১৯৮১)
🌿রাজনীতির লেখা (১৯৯৩)
🌿🍁যদ্যপি আমার গুরু (১৯৯৭)। জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক প্রসঙ্গে রচিত।
🌿শতবর্ষের ফেরারী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৯৭)
✍🏾প্রতিভা দাস