BDC times

22/04/2025

জুলাই অভ্যুত্থানে অংশীদারদের নিয়ে গঠিত ছাত্রদের নতুন দল ' ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ' এর সংগঠক আসমাউল হুসনার বক্তব্যের সাথে আপনি একমত?

09/04/2025

বারিধারা মাদ্রাসা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুককে। যা নিয়ে সামাজ যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা। অনেকের মনে হয়ত কৌতূহল জেগেছে আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক সম্পর্কে বিস্তারিত জানার।কাজেই আজ জানবো দেশের বিদগ্ধ এই আলেমের পরিচয়।
মাওলনা উবায়দুল্লাহ ফারুকের জন্ম ১৯৪৭ সালের ৯ আগষ্ট সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আকুনি গ্রামে। বংশের দিকে তিনি শিকদার। তাঁর পিতা শায়খুলহাদিস এবং শায়খে তাফসির আল্লামা শফিকুল হক আকুনি (র.)। তাঁর দাদা মাওলানা ইবরাহিম আলী (র.)। ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
শৈশব থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী এবং লেখাপড়ায় খুব মনোযোগি ছিলেন। তিনি তাঁর পিতা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাজাহিরুল উলূম আকুনি মাদরাসায় প্রাথমিক থেকে (মিশকাত) পর্যন্ত পড়েন। এরপর হাটহাজারি মাদরাসায় ভর্তি হয়ে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ‘তাকমিল ফিল হাদিস’ সম্পন্ন করেন। অতঃপর ঈমানের মেহনতে দাওয়াত ও তাবলিগে এক বছর সময় দেন।
১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে তিনি সিলেটের ফাতেহপুর মাদরাসায় শিক্ষকতায় যোগ দেন। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষকতার জন্য চলে যান আসাম প্রদেশের নোয়াগাং মাদরাসায়। সেখান থেকে তিনি আরও উচ্চতর শিক্ষার জন্য ভর্তি হন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ-এ। সেখানে তিনি ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দু বছর লেখাপড়া করে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ফরিদাবাদ মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঢাকার জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি চলে আসেন তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত মাজাহিরুল উলূম আকুনি মাদরাসায়। এখানে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন।
১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসায় নিয়ে আসেন মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী (র.)। মধ্যখানে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০০১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ঢাকার মাহমুদ নগরে অবস্থিত জামিয়া সুবহানিয়ায় ছিলেন। অতঃপর ২০০১ খ্রিস্টাব্দে শায়খুল হাদিস হিসাবে আবার ফিরে আসেন জামিয়া মাদানিয়া বারিধারায় এবং ৮ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
শায়খুল হাদিস উবায়দুল্লাহ ফারুক ছোটবেলা থেকেই বাবা ও দাদার কারণে পারিবারিক বলয়ে আকাবিরদের সহবতপ্রাপ্ত হয়ে উঠেছিলেন। তার সম্মানিত মায়ের বর্ণনা মতে, বুঝমান হওয়ার পর থেকে কখনো তিনি নামাজ কাজা করেননি। জীবনে তিনি পেয়েছেন অনেক বুজুর্গের সহবত। তবে তিনি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আধ্যাত্মিক সাধনা শুরু করেন দেওবন্দে অবস্থানকালে শায়খুল ইসলাম সৈয়দ হোসাইন আহমদ মাদানী (র.)-এর সুযোগ্য সাহেবজাদা ফেদায়ে মিল্লাত সৈয়দ আসআদ মাদানী (র.) এর সাথে ইসলাহী সম্পর্ক স্থাপন করে। তিনি ফেদায়ে মিল্লাতের সাথে ঐতিহাসিক ছাত্তা মসজিদে দীর্ঘ আঠারো বছর রমজানে ই’তেকাফ করেন। ফেদায়ে মিল্লাতের ইন্তিকালের পর শায়খুল হাদিস উবায়দুল্লাহ ফারুক বায়াত গ্রহণ করেন খলিফায়ে মাদানী শায়েখ আব্দুল মুমিন ইমামবাড়ি (র.)-এর হাতে। পরবর্তীতে তিনি শায়েখ ইমামবাড়ি (র.)-এর খিলাফতি লাভ করেন।
মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ইতিহাস, দর্শন এবং ভূগোলের একজন ভালো পাঠক। তাঁর বক্তব্য শোনলেই যে কেউ তা বুঝতে পারে।
সেই সাথে তিনি একজন বিদগ্ধ রাজনীতিবিদও বটে তাছাড়া লেখালেখিতেও বেশ অবদান রয়েছে দেশের শীর্ষ এই আলেমের।

সংগ্রহীত(পরিমার্জিত)

08/04/2025

বিমানবন্দরে চিঠি পাঠিয়ে শায়খুল হাদিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুককে ‘অব্যাহতি’ দিয়েছেন রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার প্রিন্সিপাল মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমী।
তবে ঠিক কী কারণে উবায়দুল্লাহ ফারুককে বারিধারা মাদ্রাসা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে কোনও পক্ষই মুখ খুলছে না। এমনকি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা বলতে পারছেন না, কেন তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিন্সিপাল মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অব্যাহতি দিয়েছি বললে কেমন লাগে, এটা অব্যাহতি নিয়েছেন, বললে সুন্দর হয়।’
কেন অব্যাহতির প্রসঙ্গ, এমন প্রশ্নে মনির হোসাইন বলেন, ‘কোনও বনিবনাতে হয়তো সমস্যা হচ্ছিল। এগুলো ছড়াছড়ি হওয়া ভালো না। আর এক জায়গায় তো সবাই থাকে না, পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক।’
এ বিষয়ে আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুককে কল করা হলেও তিনি কথা বলেননি। তবে বারিধারা মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শিক্ষকতা করছেন। প্রয়াত মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীসহ প্রবীণ কয়েকজন আলেম আশির দশকে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন।
উবায়দুল্লাহ ফারুকের অব্যাহতির খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচিত হচ্ছে ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। সমালোচকদের দাবি, বারিধারার বর্তমান প্রিন্সিপাল মনির হোসাইন কাসেমী রাজনৈতিকভাবে ও আর্থিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করেছেন।

15/03/2025

শাহবাগ কেড়ে নিয়েছিল এদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব ধরনের মৌলিক মানবাধিকার। কেড়ে নিয়েছিল স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারিক হত্যাকাণ্ডসহ যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিল শাহবাগ।’
‘এই শাহবাগীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় বিগত পনেরো বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদেরই সমর্থনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতার মসনদে টিকে ছিল। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ পরিচালিত হয়েছিল দেশের সার্বভৌমত্বের বিরোধী ও আওয়ামী সুবিধাভোগী কিছু বামপন্থির মাধ্যমে। তারা স্বৈরাচার সরকারের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধের বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে আইনবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। তাদেরই চাপে একজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তকে ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য সরকার আইন পরিবর্তন পর্যন্ত করে তাকে ফাঁসি দিয়েছিল। তাদেরই প্ররোচনায় সরকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আলেম-ওলামাদের নির্বিচারে হত্যা করেছিল। দেশের মুসলমানদের ধর্মীয় অনূভুতির উপর ব্যপক আঘাত এসেছে এই শাহবাগ থেকে। সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ সা. এর চরিত্রের উপর কালিমা লেপনের চেষ্টা চলছিল শাহবাগের কথিত গনজাগরণ মঞ্চ থেকে।

সংক্ষেপে বলতে, তাদের মিশন হলো, বাংলা জাতীয়তাবাদের নামে দেশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা।
বাক স্বাধীনতার নামে, ইসলামের বিরোধিতা করা।
নারী স্বাধীনতার নামে নারীকে তার নারীত্ব থেকে বঞ্চিত করা ও পুরুষত্বহীন এক সমাজ উপহার দেওয়া।
শিক্ষার নামে ধর্মহীনতা প্রতিষ্ঠা করা।
উন্নতির নামে পশ্চিমের বিকৃত কালচার আমদানি করা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশের মানুষকে পার্শবতি রাষ্ট্রের গোলামীর শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা।
আর এসব কারণেই শাহবাগীদেরকে দেশের মানুষ ঘৃণা করে।

13/03/2025

হাসানাত সারজিসকে লাইভ চলাকালীন শু*য়োর বলে গালি দিলো এখন টিভির এক অসভ্য উপস্থাপিকা!
আসিয়ার জানাজায় লাইভ টেলিকাস্ট চলাকালীন উপস্থাপিকা সাউন্ড মিউত করতে ভুলে যাওয়াতে এই কন্ঠ লাইভেই এসে যায়।
সচেতন মহল বলছেন, এই শাহবাগীদের মিডিয়া থেকে সমূলে উৎখাত করতে না পারলে আরেকটা শাহবাগ জন্ম দিবে।
কিছু নেটিজন এই উপস্থাপিকা সম্পর্কে বলছে, আগে যে কাস্টমারদের বিছানা গরম করত। কাস্টমারগুলা বিদেশে পালাতক! সামনে ঈদ টাকা পয়সা নাই। উপস্থাপিকার মাথা গরম। তাই এমন আচরণ করছে সে।

12/03/2025

ধানের শীষে ভোট দেয়ায় সুবর্ণচরের গৃহবধূকে ছাত্রলীগের সংঘবদ্ধ ধ/র্ষ/ণের খবর এখনো দেশের মানুষের গায়ে কাটা দেয়।

11/03/2025

বিগত ফ্যাসিবাদের দোসর শাহবাগী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত এক পুলিশ বলেন, 'আমি রোজা রাখছি, ভাঙ্গা যাবে না; এজন্য হাসপাতালে যাচ্ছি না'।

07/03/2025

মাগুরায় শিশুকে ধর্ষণ ; তাওহিদি জনতার বিক্ষোভ মিছিল।

05/03/2025

গ্রেফতার হওয়া সেই ধার্মিক যুবক বলেন, আমি জোহরের নামাজ পড়ে বের হলাম। দেখি কয়েকটা মেয়ে উড়না ছাড়া হাঁটতেছে! দেইখা খারাপ লাগছে। মাথা নিচু করে জাস্ট বলছি, এইভাবে চইলেন না। উড়না গায়ে দিবেন।"
এতটুকু কথা বলার অপরাধে লোকটাকে তাৎক্ষণিক পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করাইছে, লোকটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সহকারী-বাইন্ডার পোস্টে চাকরি করতো, সেখান থেকে চাকুরীচ্যুত করেছে ।

সচেতন মহলের প্রশ্ন, বোরকার কারণে এ দেশে যেসব নারী হেনস্থা হয়েছেন, তাদের কেউ কি প্রতিকার পেয়েছেন?
এই অপরাধে কারো চাকরি গিয়েছে?
অথচ যুবকটি ক্ষমা চাওয়ার পরও চাকরিচ্যুত হলো!
কেন এক দেশে দু আইন?

05/03/2025

02/02/2025

ডাস্টবিনে হাসিনার ছবি; প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিমনি, শাওন, মিলি সুলতানা।