08/12/2025
আমাদের দেশের বেসামরিক মানুষ এবং বাঙালি সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যার ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তান।
— এই পূর্ববর্তী পটভূমি জেনে আমাদের কাছে অস্ত্র ধরে যুদ্ধ করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।
শেষ উপায় হিসেবে আমি বিশ্বকে জানাতে চেয়েছিলাম কী ঘটছে।
তাই সন্ধ্যায় আমি বেতারে ভাষণ দিই এবং স্বাধীনতা ঘোষণা করি।
রেডিওতে আমার ঘোষণা শুনে অন্যান্য ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস এবং পুলিশ বাহিনীও বিদ্রোহ করে।"
- লেঃ জেনারেল জিয়াউর রহমান (১৯৩৬-১৯৮১)
১৯৫৫ সালে ১২ পিএমএ' লং কোর্সে কমিশনপ্রাপ্ত এই প্যারাট্রুপার ও কমান্ডো ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব "হিলাল-ই-জুরাত" অর্জন করেন।
১৯৭১ সালের মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার (১, ১১) ও জেড ফোর্সের ব্রিগেড কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাঁকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
জীবনকালে তিনি বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, প্রধান সামরিক শাসক এবং রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।