Voice of Enthusiastic - VOE

Voice of Enthusiastic - VOE Voice of Enthusiastic shares news, stories & creative content that connects and empowers communities.

24/06/2025

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কম্পিউটার ব্যবসায়ী আলী আজম মানিকের ওপর হামলার ঘটনা মুহূর্তে ভাইরাল!
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়া (৪৫) প্রকাশ্যে আক্রমণ চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীর উপর।
ভুক্তভোগী ইতোমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রশ্ন উঠছে, আসামি এখনো কেন গ্রেপ্তার হলো না? ন্যায়বিচার কি শুধুই অপেক্ষার খেলায় পরিণত হয়েছে?

#মানিকগঞ্জসংবাদ
#ঘিওরহামলা
#ন্যায়বিচারচাই

04/06/2025

"HAMZA CHOUDHURY SCORES HIS FIRST GOAL FOR BANGLADESH 🇧🇩
A Historic Moment in Dhaka!" Premier League star turned Bangladeshi hero! Hamza Choudhury heads in his debut international goal just 6 minutes into the match vs Bhutan — off a brilliant corner from Jamal Bhuyan.
Pride, passion, and history made at the National Stadium, Dhaka. ⚽️

Watch this iconic moment that’s winning hearts across the football world.

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের গুমের অভিযোগ এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।নিজের গুম হওয়ার অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে...
03/06/2025

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের গুমের অভিযোগ এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

নিজের গুম হওয়ার অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার, ৩ জুন বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তিনি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন এবং চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এর আগেও সালাহউদ্দিন ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর গুম কমিশনে নিজের গুম হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন তিনি। দীর্ঘ ৬২ দিন পর, ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলং শহরে তাকে অপ্রস্তুত অবস্থায় খুঁজে পায় স্থানীয় পুলিশ। ভারতের পুলিশের ভাষ্যমতে, “সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাফেরা করছিলেন, তখন স্থানীয়দের ফোন পেয়ে তাকে আটক করা হয়।”

সেই সময় মেঘালয় পুলিশ তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা করে। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। যদিও ২০১৮ সালে তিনি ওই মামলায় খালাস পান, ভারত সরকার আপিল করায় তাকে দেশে ফেরার সুযোগ হয়নি। অবশেষে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন, এবং আদালত তাকে দেশে ফেরানোর নির্দেশ দেয়।

দেশে ফেরার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ৮ মে তিনি আসাম রাজ্য সরকারের কাছে ভ্রমণ অনুমোদনের আবেদন করেন। সেই আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, “২০১৫ সাল থেকে আমি ভারতে আটকে আছি। মামলায় খালাস পেলেও পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাইনি। অনুমতি পেলে দেশে ফিরে পরিবার ও জনগণের সঙ্গে মিলিত হতে চাই।”

দেশে ফেরার সুযোগ পেয়ে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ১১ আগস্ট তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশে গুমের শিকার মানুষদের ন্যায়বিচার পাওয়ার দাবিকে নতুন মাত্রা দিলো। আপনার মতে, সালাহউদ্দিন আহমেদের এ অভিযোগ বিচারিক প্রক্রিয়ায় কতটা গুরুত্ব পাবে? মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।

#সালাহউদ্দিনআহমেদ #গুম #বাংলাদেশরাজনীতি #আন্তর্জাতিকট্রাইব্যুনাল

Photo: Collected

বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে নতুন এক যুগের সূচনা হলো। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এখন স...
03/06/2025

বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে নতুন এক যুগের সূচনা হলো। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এখন সফলভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে — যা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার ইতিহাসে এক গৌরবময় মাইলফলক। ২ জুন ২০২৫, বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন চালুর মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করেছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি (PGCB)। এই লাইনটি প্রায় ১৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৪১৪টি টাওয়ারে গঠিত, যার মাধ্যমে প্রতিটি লাইনে ২০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিবাহিত হতে পারবে।

এটি শুধু একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, বরং দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে একটি দীর্ঘমেয়াদী ও পরিবেশবান্ধব সমাধান। পারমাণবিক শক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত এই বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য এবং কার্বন নিঃসরণবিহীন, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রথম ইউনিটের কমিশনিং কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এটি পূর্ণ উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ শুধু বিদ্যুৎখাতেই নয়, দেশের প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের দিক থেকেও একটি বড় অর্জন হিসেবে চিহ্নিত হবে। এটি আমাদের আত্মনির্ভরশীলতার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নাটকীয় পালাবদলে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT) রবিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরু...
02/06/2025

বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নাটকীয় পালাবদলে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT) রবিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অভিযোগ উঠেছে, ২০২৪ সালের শেষের দিকে ছাত্র আন্দোলন দমনকালে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা চালিয়ে প্রায় ১,৪০০ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলাগুলো ছিল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের চূড়ান্ত উদাহরণ, যেখানে নারী-শিশু থেকে শুরু করে অসংখ্য সাধারণ মানুষ নির্মমভাবে নিহত হন।

শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে নির্বাসিত রয়েছেন এবং তার সঙ্গে অভিযুক্ত রয়েছেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন। আগামী ১৬ জুন তাদের আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালটি এমন এক সময়ে এ পদক্ষেপ নিলো, যখন দেশে অস্থায়ী সরকার এবং শান্তিপূর্ণ রাজনীতির প্রত্যাবর্তন নিয়ে চলছে আন্তর্জাতিক আলোচনা। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এই ট্রাইব্যুনালই ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা নিজেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যুদ্ধাপরাধ বিচারের লক্ষ্যে, আর এখন সে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে তাকেই।

এই ঘটনার পরই রাজনৈতিক পটভূমি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে পুনরায় রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে এই বিচারকে ঘিরে চলছে নানা প্রতিক্রিয়া ও বিশ্লেষণ। অনেকেই বলছেন, এটি শুধুই একটি আইনি লড়াই নয়—এটি একটি জাতির আত্মপরিচয় পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম।

প্রায় আড়াই বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবারও পর্দায় ফিরছে দেশের জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। প্রথম চারটি সিজ...
02/06/2025

প্রায় আড়াই বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবারও পর্দায় ফিরছে দেশের জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। প্রথম চারটি সিজনে তরুণ প্রজন্মের মন জয় করে নেওয়া এই সিরিজের পঞ্চম সিজন নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। নতুন সিজনের যাত্রা শুরু হবে আসন্ন ঈদুল আজহার রাতেই, আর শুরুতেই থাকছে দর্শকদের জন্য বড় চমক — একসঙ্গে প্রচারিত হবে নতুন ৮টি পর্ব!

তবে এবার দেখা যাবে ভিন্ন এক প্ল্যাটফর্মে। ইউটিউব নয়, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫’-এর প্রথম ঝলক দেখা যাবে শুধুমাত্র বঙ্গ অ্যাপে, মাত্র ৪০ টাকার সাবস্ক্রিপশনে। যারা একটু ধৈর্য ধরতে পারবেন, তারা একমাস পর থেকে বিনামূল্যেও উপভোগ করতে পারবেন এই সিজনের এপিসোডগুলো। জুলাই মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গ অ্যাপে আরও ৮টি পর্ব রিলিজ হবে। একইসঙ্গে বুম ফিল্মসের ইউটিউব চ্যানেলেও মুক্তি পাবে প্রথম এপিসোড এবং চ্যানেল আইয়ের পর্দায় রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সম্প্রচারিত হবে।

প্রতিটি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার রাত ৯টায় বুম ফিল্মসের ইউটিউবে এবং ৯টা ৩০ মিনিটে চ্যানেল আইতে পর্যায়ক্রমে দেখা যাবে নতুন এপিসোডগুলো। এর ফলে দর্শকরা পাবেন ধারাবাহিক বিনোদনের অভিজ্ঞতা, যেখানে পুরনো চরিত্র পাশা, কাবিলা, হাবু ভাই নতুন গল্পে ফিরবেন আরও মজার, আবেগঘন ও চমকপ্রদ সব ঘটনার মধ্য দিয়ে।

২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর ১১৬তম পর্বের মাধ্যমে শেষ হয়েছিল সিজন ৪। তারপর থেকেই দর্শকদের মুখে মুখে ছিল প্রশ্ন— “কবে আসবে সিজন ৫?” অবশেষে সেই প্রত্যাশার অবসান ঘটিয়ে বুম ফিল্মসের প্রযোজনায়, চ্যানেল আইয়ের টিভি পার্টনারশিপে ও বঙ্গ-এর ডিজিটাল সহযোগিতায় আবার ফিরছে সবার প্রিয় ব্যাচেলর পয়েন্ট।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।...
02/06/2025

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। যা দেশের ৫৫তম জাতীয় বাজেট। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা—এবারের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। অর্থাৎ, দেশের ইতিহাসে প্রথমবার বাজেটের আকার কমেছে।

বাজেট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে—কোন কোন পণ্যের দাম বাড়বে আর কোনটির কমবে? কারণ, বাজেটে ভ্যাট, শুল্ক ও কর কাঠামোয় বড় পরিবর্তন এসেছে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলবে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়।

যেসব পণ্যের দাম বাড়বে তার কারণ ও বিশ্লেষণ:

১. প্লাস্টিক পণ্য:

প্রায় প্রতিটি ঘরে ব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্যে এবার ভ্যাট দ্বিগুণ করা হয়েছে।
➡️ আগের ভ্যাট হার: ৭.৫%
➡️ নতুন হার: ১৫%
এর ফলে টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, হাইজেনিক ও টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।

২. মোবাইল ফোন:

➡️ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও সংযোজিত মোবাইল ফোনে ভ্যাট সুবিধা আংশিকভাবে কমানো হয়েছে।
➡️ মেয়াদ: ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলেও আগের মতো করছাড় থাকছে না।
ফলে মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে।

৩. সিগারেট:

➡️ সিগারেট পেপারে সম্পূরক শুল্ক ১৫০% থেকে বাড়িয়ে ৩০০% করা হয়েছে।
এতে সিগারেটের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে এবং মূল্যও বৃদ্ধি পাবে।

৪. এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস:

➡️ এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট মওকুফ দেয়া হলেও সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত এলপিজি সিলিন্ডারে কর ছাড় নেই।
ফলে এই প্রয়োজনীয় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য।

৫. ওভেন, ওয়াশিং মেশিন:

➡️ স্থানীয়ভাবে তৈরি ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ভ্যাট ছাড় কমানো হয়েছে।
➡️ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। তবে ছাড় কমায় দাম বাড়বে।

৬. বিদেশি চকলেট:

➡️ ইউনিট প্রতি শুল্কায়ন মূল্য ৪ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে।
ফলে বিদেশি চকলেটের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।

৭. অনলাইনে পণ্য কেনা:

➡️ ই-কমার্সে বিক্রিত পণ্যের কমিশনের ওপর ভ্যাট ৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করা হয়েছে।
এতে উদ্যোক্তার খরচ বাড়বে, ফলে পণ্যের দামও বেড়ে যাবে।

৮. নির্মাণ খাত:

➡️ নির্মাণ সংস্থার সেবায় ভ্যাট ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১০% করা হয়েছে।
ফলে ফ্ল্যাট ও আবাসন নির্মাণ খরচ বাড়বে।

৯. কটন সুতা ও কৃত্রিম আঁশ:

➡️ কটন সুতায় সুনির্দিষ্ট কর: প্রতি কেজিতে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা
➡️ কৃত্রিম আঁশেও একই হারে বাড়ানো হয়েছে।
ফলে কাপড়ের দাম বাড়বে।

১০. ব্লেড:

➡️ উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫% থেকে ৭.৫% করা হয়েছে।
➡️ এর ফলে পুরুষদের শেভিং সামগ্রীর খরচ বাড়বে।

১১. ওটিটি প্ল্যাটফর্ম:

➡️ Netflix, Hoichoi, Chorki-এর মতো ওটিটি সেবায় ১০% সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
➡️ ব্যবহারকারীদের সাবস্ক্রিপশন ফি বাড়বে।

১২. সাবান ও শ্যাম্পু:

➡️ স্থানীয় কাঁচামালের ওপর ভ্যাট ছাড় আংশিকভাবে কমিয়ে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
➡️ ফলশ্রুতিতে দাম বাড়বে সাবান ও শ্যাম্পুর।

১৩. MS প্রোডাক্ট:

➡️ উৎপাদন পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট কর প্রায় ২০% বাড়ানো হয়েছে।

🔻 যেসব পণ্যের দাম কমবে যেসব স্বস্তির খবর:

১. আইসক্রিম:

➡️ সম্পূরক শুল্ক কমেছে ১০% থেকে ৫%।
➡️ এর ফলে আইসক্রিমের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

২. স্যানিটারি ন্যাপকিন:

➡️ স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি।
➡️ এটি নারীদের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

৩. তরল দুধ:

➡️ প্যাকেটজাত দুধের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ।
➡️ সাধারণ মানুষের জন্য দুধের দাম কমবে।

৩. বলপয়েন্ট কলম:

➡️ স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ছাড় দেয়া হয়েছে।
➡️ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি স্বস্তির সংবাদ।

৪. ফ্রিজ, এসি:

➡️ ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনারের উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতি ২০২৮ পর্যন্ত।
➡️ ফলে দাম কমে আসবে এই প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক পণ্যের।

৫. কম্পিউটার মনিটর:

➡️ ভ্যাট অব্যাহতি ২২ ইঞ্চি থেকে বাড়িয়ে ৩০ ইঞ্চি স্ক্রিন পর্যন্ত করা হয়েছে।
➡️ দাম কমবে বড় স্ক্রিনের মনিটরের।

৬. ই-বাইক:

➡️ স্থানীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫% ভ্যাট মওকুফ ২০৩০ সাল পর্যন্ত।
➡️ পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী যানবাহনে উৎসাহ বাড়বে।

৭. ঔষধ:

➡️ ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ ও অন্যান্য ওষুধ শিল্পের কাঁচামালে শুল্ক মওকুফ।
➡️ এর ফলে ওষুধের দাম হ্রাস পাবে।

৮. হাসপাতালের বেড ও আইসিইউ

➡️ স্থানীয়ভাবে বেড, খুচরা যন্ত্রাংশ ও অ্যাম্বুলেন্সে ভ্যাট ছাড় ২০৩০ পর্যন্ত।
➡️ চিকিৎসা খাতে কিছুটা স্বস্তি আসবে।

সার্বিক মূল্যায়ন মূল্যায়ন করলে, এই বাজেট পরিবর্তনগুলো সাধারণ মানুষের আয়-ব্যয়ের উপর স্পষ্ট প্রভাব ফেলবে। একদিকে যেমন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন প্লাস্টিক, সাবান, গ্যাস ও মোবাইলের দাম বাড়বে, অন্যদিকে কিছু স্বস্তির খাতও রয়েছে যেমন আইসক্রিম, দুধ, ওষুধ ও এসি।

এই বাজেট কি আপনার পরিবারের খরচে ভার চাপাবে, নাকি কিছুটা স্বস্তি দেবে?
আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।

#বাংলাদেশ_বাজেট #পণ্যের_দাম #ভ্যাটওশুল্ক

আজ, ২ জুন ২০২৫, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে উপদেষ...
02/06/2025

আজ, ২ জুন ২০২৫, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বিশাল বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে। সকাল ৯:৩০ থেকে দুপুর ১২:৩০ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা। বাজেটের আনুষ্ঠানিক উপস্থাপন হবে আজ বিকেল ৩টায়।

এই বাজেটের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ও রাজস্ব ঘাটতি মোকাবিলা। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) থেকে আসবে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা, অ-কর রাজস্ব থেকে ৪৬ হাজার কোটি এবং অ-NBR কর থেকে ১৯ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি পূরণে সরকার নির্ভর করবে অভ্যন্তরীণ ঋণ (১.৫৩ লাখ কোটি) ও বৈদেশিক ঋণ (৭৩ হাজার কোটি) উপর।

বাজেটে বরাদ্দের খাতভিত্তিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ: প্রায় ৯৫ হাজার কোটি টাকা, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ: প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে: ১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

ট্যাক্স কাঠামো ও শুল্কে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আয় করমুক্ত সীমা ৩.৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩.৭৫ লাখ টাকা, ২০ লাখ টাকার বেশি বার্ষিক আয়ের ওপর সর্বোচ্চ করহার ৩০% পুনর্বহাল, ভ্যাট ও শুল্ক বেড়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্যে—সিমেন্ট, রড, প্লাস্টিক, অনলাইন পণ্যসেবা। ভ্যাট কমানো হয়েছে তরল দুধ, বলপয়েন্ট কলম, বেবি ডায়াপার ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে।

প্রশাসনিক কাঠামোয় বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই বাজেটের অন্যতম আলোচিত দিক হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) ভেঙে দুটি আলাদা বিভাগ গঠন:

1. Revenue Policy Division

2. Revenue Management Division

এর ফলে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও কর ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়বে বলে আশা করছে সরকার। তবে এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন ও ফল নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অর্থনীতিবিদদের মাঝে।

মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। যদিও সরকার বাজেটকে "জনকল্যাণমুখী" বলে উল্লেখ করেছে, কিন্তু পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা, বাড়তি ভ্যাট, ঋণের বোঝা, ও আয়–ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতা নিয়ে সাধারণ নাগরিক ও বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে যাদের আয় সীমিত, তাদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কঠিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে জাতির উদ্দেশ্যে এক বার্তায়, প্রফেসর ইউনুস বলেন, “এই বাজেট শুধু অর্থের হিসাব নয়, এটি জাতির স্বপ্ন ও সংকল্পের প্রতিফলন। আমরা চাই এটি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় থাকুক।”

আপনি কি মনে করেন, এই বাজেট দেশের ভবিষ্যৎ ঘুরিয়ে দিতে পারবে, নাকি আবারো জনগণের ঘাড়েই পড়বে করের বোঝা?
মতামত দিন কমেন্টে – আপনার কণ্ঠই Voice of Enthusiastic!

#বাংলাদেশবাজেট২০২৫ #বাজেট২০২৬ #প্রধানউপদেষ্টা #করনীতিনতুন #মধ্যবিত্তসংকট

অবশেষে বহুল আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় হাইকোর্ট চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন। চার বছর ধরে চলা এই মামলায় অ...
02/06/2025

অবশেষে বহুল আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় হাইকোর্ট চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন। চার বছর ধরে চলা এই মামলায় অবসান ঘটিয়ে আদালত আজ ঘোষণা করেছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে। একই সঙ্গে মামলার অপর ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে। এই রায় শুধু একটি মামলার নিষ্পত্তি নয়, বরং এটি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো—যেখানে প্রভাবশালী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পর গোটা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় এবং পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ পায়। ওই সময় সাধারণ মানুষ, সেনাবাহিনী, এবং সরকারের বিভিন্ন স্তর থেকে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার দাবি ওঠে। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অবশেষে আজ হাইকোর্ট এই বহুল প্রতীক্ষিত রায় ঘোষণা করল।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে বিচার বিভাগের সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অন্যদিকে, এই রায় ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনের সময় অতিরিক্ত ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে বিরত রাখবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তবে আসামিপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আপিল করবেন। ফলে মামলাটি এখন সর্বোচ্চ আদালতের দিকে এগিয়ে যাবে।

সিনহার পরিবারের সদস্যরা রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, তারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তবে তারা চান, এই রায় যেন ভবিষ্যতে কোনো নিরীহ মানুষের জীবনে আরেকটি ‘সিনহা ঘটনা’ ঘটার পথ রুদ্ধ করে দেয়।

#সিনহাহত্যাকাণ্ড #বিচারহোকনিরপেক্ষ #বাংলাদেশবিচারব্যবস্থা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট এবার এসেছে এক অন্তর্বর্তী সরকারের হাত ধরে—যেটি রাজনৈতিক নয়, বরং টেকনোক্র্য...
02/06/2025

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট এবার এসেছে এক অন্তর্বর্তী সরকারের হাত ধরে—যেটি রাজনৈতিক নয়, বরং টেকনোক্র্যাটদের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রশাসন। এ সরকারের ওপর রাজনৈতিক দায়দায়িত্বের চাপ নেই, তাই বাস্তবতাকে সামনে রেখে সাহসী কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আছে তাদের হাতে। এরই কিছু ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান।

যদিও মূল্যস্ফীতি এখনও উচ্চ, তবুও তা কিছুটা নিম্নমুখী; বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ধস থেমেছে, ব্যাংক খাতে দেখা যাচ্ছে কিছুটা চাঞ্চল্য। বছরের প্রথম দশ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ, দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ডলারে। একই সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১০ শতাংশের মতো। সরকার রাজস্ব আদায়ে শৃঙ্খলা আনতে, শুল্ক সংস্কার এবং রাজনৈতিক প্রভাব কমাতে উদ্যোগী হচ্ছে—যা ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে ইতিবাচক বার্তা।

তবুও এই বাজেট কোনো রাজনৈতিক ভিশন বাস্তবায়নের কল্পনার নকশা নয়। বরং এটি অর্থনীতির নড়বড়ে কাঠামোয় জরুরি মেরামতের প্রয়াস। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্থবিরতা, জ্বালানি নিরাপত্তার সংকট, কমে যাওয়া প্রবৃদ্ধি এবং দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতির মতো সমস্যাগুলো ক্রমশ জটিল হচ্ছে। মানুষের জীবনে এই চাপ এখন আর শুধু সংখ্যার হিসাব নয়—এটি বাস্তব ক্ষোভ, ক্লান্তি ও হতাশায় রূপ নিয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ এখন কেবল অর্থ নয়, বরং কঠিন শর্তে বাঁধা একটি চুক্তি। কর রাজস্বের হার বাড়ানো, ভর্তুকি কমানো—এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সরকার চাপের মুখে, অথচ এখনো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, সেই পুরনো করদাতাদের ওপরেই বাড়তি চাপ দেওয়া হচ্ছে।

এই বাজেট বাস্তবতার সঙ্গে সমঝোতার একটি প্রয়াস—এটা বড় স্বপ্ন নয়, বরং অর্থনীতির হাল ধরার আন্তরিক চেষ্টা। দেশের নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অভিজ্ঞ অর্থনৈতিক পরামর্শদাতারা এই প্রশাসনের অংশ হওয়ায় অনেকেই আশাবাদী। তবে তাঁদের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে—এই সরকার রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত নয়, তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ নেই।

অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন সুনির্দিষ্ট করে বলেন, “মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাজস্ব ও মুদ্রানীতিতে শৃঙ্খলা জরুরি, তবে অতিরিক্ত কড়াকড়ি প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে।” অন্যদিকে ড. সেলিম জাহান পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা বলেন—অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছ রাজস্ব ব্যয়, নিয়ন্ত্রিত প্রবৃদ্ধি, চলমান প্রকল্প সম্পন্ন করা এবং বাস্তববাদী ঋণ-ভর্তুকি ব্যবস্থাপনা।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুর্শিদ সরাসরি বলেন, “এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।” তিনি বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতি, জ্বালানি সংকট, শ্রমিক অসন্তোষ, এবং ব্যাংক ঋণ-এলসি জটিলতাকে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেন। তাঁর উদ্বেগের কেন্দ্রে রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা—যেকোনো অস্থিরতা হতে পারে অর্থনীতির জন্য বড় বিপদ।

অন্যদিকে, বাস্তবতার মাঠে দাঁড়িয়ে শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রতিশ্রুতি নয়, দরকার কাজের ফল। লিটল স্টার স্পিনিং মিলস লিমিটেডের এমডি মো. খোরশেদ আলম হতাশ স্বরে বলেন, “আমার বড় বড় প্রতিশ্রুতির দরকার নাই, প্রথমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাই।” তাঁর ডিজিটাল কারখানা বিদ্যুৎ ছাড়া অচল হয়ে পড়ে—এটাই দেশের শিল্পাঞ্চলের বাস্তব চিত্র।

ব্যাংক ঋণ ও করনীতি নিয়েও সতর্কতা আসছে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, “গণমাধ্যমে অগ্রিম আয়কর নিয়ে যেসব প্রস্তাব দেখেছি, তা প্রায় সব খাতে ব্যয় বাড়াবে।” বিদ্যমান করদাতাদের ওপর পুনঃচাপ প্রয়োগ করে প্রকৃত করভিত্তি বাড়ানো সম্ভব নয় বলেও মত তাঁর।

অবশেষে, সাধারণ মানুষের কাছে বাজেট মানে কেবল নতুন আরেকটি বোঝা। মাসে মাত্র ২০ হাজার টাকা আয় করা রিকশাচালক মাসুদ রানা বলেন, “প্রতি মাসের ২০ তারিখেই বেতন শেষ হয়ে যায়।” কিংবা দিলু রোডের মুদি দোকানি কবির হোসেন, যিনি বলেন, “আগে যেসব সাপ্লায়ার বাকিতে দিত, এখন নগদ ছাড়া দেয় না। সবাই ভয় পায়।”

বাজেট নীতির কাগজপত্রে যে সমস্ত দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্লেষণ লেখা থাকে, তা যদি বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত না হয়—তবে সেটি কেবলই কল্পনার খসড়া হয়ে রয়ে যায়। আজকের এই কঠিন বাস্তবতায়, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পরিমাপ হবে রপ্তানি আয় নয়, বরং ঘরের চুলায় হাঁড়ি চড়ে কিনা, কারখানার চাকা ঘোরে কিনা, দোকানের শেলফে পণ্য উঠে কিনা—সেখানেই এই বাজেটের সার্থকতা।

#বাংলাদেশবাজেট২০২৫ #অর্থনৈতিকস্থিতিশীলতা #ভবিষ্যতেরবাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা এখনো প্রকট। ২০...
02/06/2025

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা এখনো প্রকট। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী, ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে প্রায় ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য, যেখানে আগের বছরে তা ছিল প্রায় ৯৪৯ কোটি ডলার। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ভারতে রপ্তানি করেছে প্রায় ৫৬২০ রকমের পণ্য, অথচ রপ্তানির আর্থিক পরিমাণ মাত্র ১.৮–১.৯ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে ভারত বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে প্রায় ১০১২ ধরনের পণ্য।

এই তথ্য স্পষ্টভাবে বোঝায় যে, পণ্যের বৈচিত্র্যে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে থাকলেও রপ্তানির আর্থিক ভলিউম অনেক কম, ফলে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯.৪ বিলিয়ন ডলার, যা ভারতের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ বেশি আমদানি নির্ভরতা নির্দেশ করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘাটতির মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পণ্যের মান, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা, জটিল শুল্কনীতি এবং পরিবহন অবকাঠামোর দুর্বলতা। যদিও দুই দেশের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন ও বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মতো কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, বাস্তবায়নের ধীরগতির কারণে এর সুফল এখনও পুরোপুরি আসেনি।

এছাড়া, ভারতের পক্ষ থেকে আরোপিত বিভিন্ন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা (যেমন: চাল, পেঁয়াজ, সোনা ইত্যাদি) বাংলাদেশে বাজার অস্থিরতার সৃষ্টি করছে এবং অনেক সময় চোরাচালানের সুযোগ তৈরি করছে। এতে বৈধ বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং দুই দেশের সরকারই রাজস্ব হারাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের উচিত কৌশলগতভাবে রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানো, পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং নতুন বাজারের সন্ধান নেওয়া। পাশাপাশি ভারতের সাথেও আরও সুদৃঢ় নীতিনির্ধারণী আলোচনা প্রয়োজন, যাতে দুই দেশের মধ্যে সত্যিকারের ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য গড়ে ওঠে।

#বাংলাদেশভারতবাণিজ্য
#অর্থনীতিরখবর

#রপ্তানিআমদানিরহালচিত্র

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Voice of Enthusiastic - VOE posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share