Truth Mission সত্য মিশন

Truth Mission সত্য মিশন দেশ ,স্বাধীনতা, ইসলাম, রাজনীতি,অর্থনীতি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক, সব খবর সবার আগে!
(1)

07/10/2025

এমনভাবে হাজারো প্রবাসী ভাই! দালালদের মাধ্যমে হয়রানি হচ্ছে! তাই প্রত্যেকে সাবধান থাকবেন কেউ দালালের ধোঁকায় পড়বেন না!

ঢাকা, সোমবার, ৭ অক্টোবরশাপলার ইতিহাসে চিকিৎসা সেবার দৃষ্টান্ত—ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হসপিটাল পেল শাপলা স্মৃতি সংসদের বি...
07/10/2025

ঢাকা, সোমবার, ৭ অক্টোবর

শাপলার ইতিহাসে চিকিৎসা সেবার দৃষ্টান্ত—ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হসপিটাল পেল শাপলা স্মৃতি সংসদের বিশেষ সম্মাননা।।

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঐতিহাসিক আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হসপিটালকে শাপলা স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়েছে।

আজ (৭অক্টোবর ) সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হসপিটালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. হাফিজুর রহমান, এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাপলা স্মৃতি সংসদের চেয়ারম্যান মাওলানা মা /মুনুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মা /মুনুল হক বলেন, শাপলা চত্বরের ইতিহাস বাংলাদেশের শত বছরের বাঁকবদলকারী ইতিহাস। ২০১৩ সালে ইসলামের ইতিহাস মুছে দিয়ে বিজাতীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল, তার নামই শাপলা চত্বরের ইতিহাস। সেই জাগরণই বাংলাদেশে নাস্তিক্যবাদের উত্থান রুখে দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, শাপলার ইতিহাস শুধু একটি আন্দোলনের গল্প নয়; এটি একটি ঈমানি চেতনার নাম। সেই চেতনা ও শহীদদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা শাপলা স্মৃতি সংসদ গঠন করেছি, যাতে শাপলার ইতিহাস ও শহীদদের পরিবার চিরকাল স্মরণে থাকে। আজ ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হসপিটালকে সম্মাননা জানিয়ে আমরা মূলত শাপলার শহীদদের প্রতিই শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

মাওলানা মামুনুল হক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান- যেভাবে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হসপিটাল তখন ঝুঁকি নিয়ে আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তেমনি ভবিষ্যতেও যেন তারা শাপলার শহীদদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের অন্যতম পরিচালক শাহিন আহমদ খান, প্রশাসন ইনচার্জ ও সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুল আজিজ রিয়াদ, শাপলা স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন, হাসপাতালের সিনিয়র কর্মকর্তা এবং শাপলা স্মৃতি সংসদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলনকে সামনে রেখে পীর সাহেব মধুপুর হাফি. সঙ্গে জমিয়ত নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ.... আজ (০...
07/10/2025

আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলনকে সামনে রেখে পীর সাহেব মধুপুর হাফি. সঙ্গে জমিয়ত নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ....

আজ (০৭ অক্টোবর ২০২৫) মঙ্গলবার খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুহতারাম সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ্ ফারুক সাহেবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমীর হজরত পীর সাহেব মধুপুর হাফি. সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা জোনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মুফতী শেখ মুজিবুর রহমান, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া।
আরো উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা উবায়দুল্লাহ্ কাসেমী, কেন্দ্রীয় দাঈ মাওলানা আবু ইউসুফ প্রমূখ।

জমিয়ত নেতৃবৃন্দ আগামী ১৫ ই নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে পীর সাহেব মধুপুর হাফি. কে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন, এবং বহির্বিশ্বের আন্তর্জাতিক ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে বৈঠক সমাপ্ত হয়।

বার্তা প্রেরক
রশিদ আহমাদ
কেন্দ্রীয় দাঈ, খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ

ইসলামী রাজনীতি: পথ ও পন্থা--মাওলানা আবু সাবের আব্দুল্লাহ মুসলমান সমাজের উপর কোনো কাফেরের শাসক হবার অধিকার নেই। তেমনি যে ...
07/10/2025

ইসলামী রাজনীতি: পথ ও পন্থা
--মাওলানা আবু সাবের আব্দুল্লাহ

মুসলমান সমাজের উপর কোনো কাফেরের শাসক হবার অধিকার নেই। তেমনি যে ব্যক্তি শরিয়া বাস্তবায়ন করে না, তারও শাসক হিসাবে বহাল থাকার অধিকার নেই। কোথাও দ্বীনী দাওয়াত, তালিম, তাযকিয়া ইত্যাদির মাধ্যমে এই পরিমাণ মানুষ যদি দ্বীন-শরিয়ত মেনে চলতে রাজি হয়ে যায়, যাদের নিয়ে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন ও পরিচালনা সম্ভব, তাহলে তাদের বসবাসের সেই ভূখণ্ড মুসলমানদের এবং সেই সংখ্যক মুসলামানের জন্য কোনো কাফেরের উপর নিজেদের রাজনীতি সোপর্দ করা বা তাকে সাগ্রহে মেনে চলা বৈধ নয়।

তাই মুসলমান সমাজ যেখানেই থাকবে, সামর্থ অনুসারে শরিয়ত মোতাবেক শাসিত হবার আশায় নিজস্ব ধর্ম-রাজনৈতিক আহলুল হল্লি ওয়াল আকদ চয়ন করবে, তানজিম-সংস্থা গড়ে তুলবে। (এর মাধ্যমে কাফের শাসকের সঙ্গে দেনদরবার করবে।) কারণ মুসলমানদের জন্য সরাসরি কোনো কাফের বেদ্বীনের শাসকত্ব আপন করে নেওয়া জায়েজ নয়। মুসলমান সমাজ অবশ্যই নিজস্ব পঞ্চায়েত-প্লাটফরম কায়েম করবে। সেই ফ্লাটফরম যত দুর্বলই হোক, সিয়াসতের ক্ষেত্রে সাধারণ মুসলমান তারই আনুগত্য করবে। যথাসম্ভব সরাসরি কাফেরদের আনুগত্য এড়িয়ে চলবে।

এভাবে সবখানে নিজস্ব আহলুল হল্লি ওয়াল আকদ ঠিক করবে। আহলুল হল্লি ওয়াল আকদ বা স্থানীয় মুসলিম নেতা অনেক হয়েগেলে তারা সবাই পরামর্শক্রমে একজনকে অপেক্ষাকৃত কেন্দ্রীয় নেতা বানাবে। তার যদি শামাল দেয়ার সামর্থ থাকে তাহলে মুসলিম পারিবারিক আইনসহ অন্যান্য সামাজিক বিধান বাস্তবায়ন শুরু করবে। আস্তে আস্তে ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

এমতঅবস্থায় কয়েকটি সুরত হতে পারে,
১. কোনো অঞ্চলে সুসংহত শাসক নেই, অরাজক পরিস্থিতি, ক্ষমতা দখলের লড়াই মোগালাবা চলছে। ইসলামপন্থীরা যুদ্ধ করে ক্ষমতা না নিলে নেফাজে শরিয়ত (শরিয়া আইন বাস্তবায়ন) হবে না, তাহলে মুমিনদের উপর যুদ্ধ রাজনীতি ফরজে কেফায়া। যাদের সামরিক সামর্থ আছে, তারা আমীর ঠিক করে কোনো অঞ্চলে আলাদা কেন্দ্র ঘোষণা করে যথাসম্ভব পার্শ্ববর্তী মুসলিম রাষ্ট্রের সাহায্য নিয়ে -জি@হাদ করবে। সশস্ত্র যুদ্ধই তখন রাজনীতি। যেমনটা রাশিয়া পরাস্ত হবার পর আফগান তালেবদের ক্ষেত্রে ঘটেছে। ইমামুল হারামাইন বলেন,
وَلَوْ سَعَى عِنْدَ شُغُورِ الزَّمَانِ طَوَائِفُ مِنْ ذَوِي النَّجْدَةِ وَالْبَأْسِ فِي نَفْضِ الطُّرُقِ عَنِ السُّعَاةِ فِي الْأَرْضِ بِالْفَسَادِ، [فَهُوَ] مِنْ أَهَمِّ أَبْوَابِ الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ، وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ
যখন কোনো সুসংহত শাসক নেই, তখন সামরিক সক্ষমতা ও সচ্ছলতা সম্পন্ন কোনো গোষ্ঠী যদি অন্যায়-অনাচার দমনে এগিয়ে আসে, তবে এটা আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকারের অনেক বড় আমল সাব্যস্ত হবে। --গায়াছী ৩৮৬
وَإِذَا لَمْ يُصَادِفِ النَّاسُ قَوَّامًا بِأُمُورِهِمْ يَلُوذُونَ بِهِ فَيَسْتَحِيلُ أَنْ يُؤْمَرُوا بِالْقُعُودِ عَمَّا يَقْتَدِرُونَ عَلَيْهِ مِنْ دَفْعِ الْفَسَادِ، فَإِنَّهُمْ لَوْ تَقَاعَدُوا عَنِ الْمُمْكِنِ، عَمَّ الْفَسَادُ الْبِلَادَ وَالْعِبَادَ.
যখন মানুষ আশ্রয় নেওয়ার মতো শাসক না পায়, তখন ফাসাদ বিদূরণের যতটুকু সামর্থ আছে, তা থেকেও বিরত থাকার কথা বলা অসম্ভব। যদি তারা সম্ভবপর কাজও না করে, তাহলে দেশ ও জাতি চরম ফাসাদের শিকার হয়ে যাবে। --গায়াছী ৩৮৭

২. দ্বিতীয় হলো সুসংহত ক্ষমতার অধিকারী শাসক আছে, বাকি সে সুষ্পষ্টভাবে মুর্তাদ-কাফের হয়েগেছে, বা দেশীয় কোনো কাফের ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। তাকে শান্তিপূর্ণভাবে সরানো না গেলে ভিন্ন আমীর ঠিক করে, যথাসম্ভব পার্শ্ববর্তী মুসলিম শাসকের সাহায্য নিয়ে কোনো অঞ্চলে আলাদা কেন্দ্র গড়ে সশস্ত্র আন্দোলনের আয়োজন করবে, যাতে সামরিক বেসামরিক মানুষ আলাদা করা যায়, পক্ষ-বিপক্ষ তমিজ করা যায়। সামর্থসাপেক্ষে বিদ্রোহই তখন রাজনীতি। যেমন কাছাকাছি উদাহরণ হলো-- ১৪১৪ থেকে ১৪১৮ ঈসায়ী সনে বাংলার মুসলিম শাসনাধীন একজন হিন্দু অমাত্য-জমিদার রাজা গণেশ অবৈধভাবে শাসন-ক্ষমতা দখল করে নেয়। তখন সূফি শায়খ নূর কতুবে আমল রহ. বিদ্রোহ করেন এবং পার্শবর্তী জৌনপুরের স্থানীয় শাসক ইবরাহীম শাহ শর্কীকে নিয়মতান্ত্রিক জি৳হা+দের জন্য আহ্বান করেন এবং রাজা গণেশকে পদচ্যুত করে জালালুদ্দীন মুহাম্মাদ শাহকে শাসক নিয়োগ করেন। -বাংলাপিডিয়া

৩. তৃতীয় সুরত হলো, কোনো ভিনদেশী কাফের হামলা করেছে বা মুসলিম দেশ দখল করে ফেলেছে। তার বিরুদ্ধেও ভিন্ন আমীর ঠিক করে, যথসম্ভব পার্শ্ববর্তী মুসলিম শাসকের সাহায্য নিয়ে কোনো অঞ্চলে আলাদা কেন্দ্র গড়ে যুদ্ধ করা ফরজ। বৃটিশ আমলে সৈয়দ আহমদ শহীদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি যেমনটা করেছিলেন। শাইখুল হিন্দ রহ. উসমানী শাসক ও আফগান শাসকদের সাহায্য নিয়ে সীমান্ত প্রদেশকে কেন্দ্র করে রেশমি রুমাল $জি&হা÷দের ছক তৈরি করে ছিলেন।

তবে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সুরতে যুদ্ধ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়, লড়াইয়ে লিপ্ত থাকলে অন্যান্য ফারায়েজ বিলুপ্তির আশংকা হয়, কাংক্ষিত ফল লাভের আসা সুদূরপরাহত হয়ে যায়, তাহলে কার্যত যুদ্ধ কত কাল অব্যাহত থাকবে, তা নির্ধারণ করবে উলুল আমর মুরুব্বিগণ। যেমন তায়েফ অবরোধ যখন দীর্ঘ হয়ে যায়, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবরোধ উঠিয়ে ফিরে আসেন।
মূতার যুদ্ধে খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ রা. অসহনীয় ক্ষয়ক্ষতি থেকে সাহাবায়ে কেরামকে বাঁচানোর জন্য শত্রæবাহিনীর পশ্চাদ্ধাবন না করে বাহিনী ফিরিয়ে আনেন। একই কারণে শাইখুল হিন্দ মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রহ. মাল্টা থেকে ফেরার পর সশস্ত্র সংগ্রামের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-মোজাহাদার পথ অবলম্বন করেন।

৪. চতুর্থ সুরত হলো, মুসলমানের দেশ আছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা মুসলমানের হাতে, সুসংহত শাসক আছে, আইন-শৃঙ্খলা ঠিক আছে। পৃথিবীর অন্য সকল জাতি এই দেশকে মুসলিম দেশ হিসাবে বিবেচনা করে। সে দেশ আন্তর্জাতিক মুসলিম সংঘের সদস্য। ফতুয়া অনুসারে দেশটি দারুল ইসলাম বলে গণ্য। সে দেশে কিছু শাআয়ের দ্বীন রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিপালন হয়। অন্যান্য শাআয়ের মুসলমানদের মাঝে চালু আছে। কিন্তু মোটের উপর দেশের আইনে ইসলামকে দাবিয়ে রাখা হয়েছে। শরিয়া আইন নেই বা খুবই কম। কিন্তু ব্যক্তি শাসক বা ক্ষমতাসীন অধিকাংশ লোকজনকে অকাট্ট কাফেরও বলা যাচ্ছে না, তাদের তা√কফী∆রের বিষয়টি জমহুর আলেম-উলামার নিকট সুষ্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়নি। --এই সুরতে নেফাজে শরিয়তের লক্ষ্যে নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অস্ত্র ধারণ করা বৈধ নয়। কারণ জি #হাদ হয় সুষ্পষ্ট কাফেরের বিরুদ্ধে, ‘মূজিবে কিতাল’ (জি@হাদ ওয়াজিব হওয়ার শর্ত) ও ‘শুরুতে কিতাল’ (জি€হাদ শুরু করার শর্ত)) পাওয়গেলে। শুধু ‘সিয়াদতে শরিয়ত’ (শরিয়া আইনের সুপ্রিমিসি) না থাকা মূজিবে কিতাল নয়।

এ অবস্থায় দরকার শুধু নেফাজে শরিয়ত। এর জন্য শাসককে বোঝানো, দাওয়াত দেওয়া, জনমত তৈরি করে চাপ সৃষ্টি করা কর্তব্য। তাতেও কাজ না হলে ক্ষমতা পরিবর্তনের শান্তিপূর্ণ পথ এখতিয়ার করা। ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি বিবেচনা করে কাজ করা। এমন দেশ আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকারের ক্ষেত্র। এখানে নেফাজে শরিয়তের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও রাজনীতিই কাম্য।

বর্তমান পৃথিবীতে অনেক মুসলিম রাষ্ট্রে এই চতুর্থ সুরত বিরাজ করছে। এমতঅবস্থায় নেফাজে শরিয়তের জন্য যোগ্য লোক তৈরী করা এবং জনমত গঠন করা জরুরি। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমান যদি এ কাজে অংশ গ্রহণ করে তাহলে বাকিরা ফরযে কেফায়ার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবে। আর সামর্থ সত্তে¡ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমান এ দায়িত্ব পালন না করলে সকলে গোনাহগার হবে।

প্রকৃত ইসলামী রাষ্ট্রে উত্তরণের কর্মকৌশল

কোনো সামাজিক দর্শনই রাজনীতি-নিরপেক্ষ নয়। একটি বড়সড় সমাজ কোনো দর্শনের দ্বারা প্রভাবিত হবে, আর ঐ দর্শনে বিশ্বাসী ব্যতীত অন্য কেউ সে সমাজের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে, এটা প্রায় অসম্ভব। আর ইসলামের মতো সর্বব্যাপী সামাজিক দর্শনের রাজনীতি-নিরপেক্ষতা কল্পনাই করা যায় না।

ইসলামের দাওয়াত, তালিম, তাযকিয়া ইত্যাদির সাথে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি জড়িত। এজন্যই মুসা আলাইহিস সালামের নিরীহ দাওয়াতকেও ফেরআউন তার রাজনীতির জন্য হুমকি হিসাবে নিয়ে ছিলো। ফেরআউন ও তার সভাসদ বলে ছিলো,
أَجِئْتَنَا لِتَلْفِتَنَا عَمَّا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا وَتَكُونَ لَكُمَا الْكِبْرِيَاءُ فِي الْأَرْضِ وَمَا نَحْنُ لَكُمَا بِمُؤْمِنِينَ
আমরা আমাদের পৃতৃপুরুষদের যে জীবনরীতির উপর পেয়েছি, তা থেকে তুমি আমাদের সরাতে এসেছো এবং এদেশে তোমাদের দুজনের দাপট প্রতিষ্ঠা করতে চাও। আমরা তোমদের মোটেও বিশ্বাস করি না। Ñসূরা ইউনুস ৭৮

তাই দ্বীনী দাওয়াত, ধর্মীয় শিক্ষা, আত্মশুদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যমে কোনো ভূখণ্ড যদি এই পরিমাণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায় যে, তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ আলাদা রাষ্ট্র গড়তে পারে, রাষ্ট্র হলে সে রাষ্ট্র টিকতে পারবে, তাহলে তাদের জন্য কাফেরদের অধীনে থাকা শোভনীয় নয়। তারা স্বাধীনতা অর্জনের কোশেশ শুরু করবে এবং মুসলিম রাষ্ট্রের সাথে বিশেষ ভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলবে। তারা ভিন্ন একটি জাতি। আর যে কোনো জাতির জন্য স্বাধীন সত্তায় বিকশিত হবার অধিকার সর্বজন স্বীকৃত।

বর্তমানে বিভিন্ন মতবাদের লোকজন ক্ষমতা দখল করে তাদের মতবাদ জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়, মানুষ রাজি থাকুক আর না থাকুক। অর্থাৎ তাদের মতবাদ জবরিÑ জবরদস্তিমূলক। কিন্তু ইসলাম اقناعي স্বতঃস্ফূর্ততাকামী। সুতরাং যে জিনিস জোর পূর্বক চাপিয়ে দেওয়া হবে, সমাজে ঐ জিনিস সরিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো না কোনো সময় বিরোধী শক্তি সক্রিয় হয়। কিন্তু اقناعي স্বতঃস্ফূর্ততার তরিকা গ্রহণ করা হলে সরানোর মতো বিরোধী শক্তি থাকে না।

ইসলাম প্রথমে অন্তরে আসতে হয়। মানুষের দিলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুফল হিসাবে ইসলামে শাসন ক্ষমতা লাভের প্রক্রিয়া শুরু হয়। শাসন ক্ষমতার নতিজা ইসলাম নয়, ইসলাম অন্তরে কবুল হওয়ার নতিজা রাষ্ট্র। শাসনক্ষমতা এসেগেলো, কিন্তু মানুষের দিলে দ্বীন নেই, তাহলে এই শাসন টেকানো মুশকিল। প্রথমে মানুষের দিলে দ্বীন এলো, এর পর রাষ্ট্রক্ষমতা এলো, তবে এই ক্ষমতা স্থায়ী হবে।

মদিনায় রাষ্ট্রগঠনের নববি তরিকা থেকে নিয়ে আধুনিক পৃথিবীর বাস্তবতা সামনে রাখলে ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের যে সম্ভাব্য কর্মকৌশল হতে পারে তা এমন--
প্রথমে দ্বীনী দাওয়াত ও তালিমের মাধ্যমে একটি অঞ্চলের বড় সড় এক মানবগোষ্ঠিকে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসবে। সুনির্দিষ্ট অঞ্চল টার্গেট করবে। সাথে সাথে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাদেরকে দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামী ইমারত/রিয়াসত মান্য করার জন্য প্রস্তুত করবে। প্রথমে যথাসম্ভব কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে শাসিত হবার আশায় সিয়াসি আহলুল হল্লি ওয়াল আকদ ঠিক করবে। ইমারতে শরইয়্যাহ, স্থানীয় পঞ্চায়েত, মুসলিম কাউন্সিল ইত্যাদি গঠন করবে। নিজেরা যথাসম্ভব ইমারত ও কাউন্সিলের ফায়সালা মেনে চলবে। ইমারত ও কাউন্সিল এমনভাবে কাজ করবে যেন রাষ্ট্রের সাথে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি তৈরি না হয়। সুতরাং একান্ত জরুরত না হলে ঐ সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ বা কুফুরি আদালতে মামলা রুজু করবে না।

ঐ অঞ্চলের প্রশাসন, অর্থনীতি, শিক্ষা ও মিডিয়াকে নিজেদের প্রভাব বলয়ে আনার সর্বাত্মক কোশেশ করবে।

এভাবে যখন উলুল আমর শক্তিশালী হয়ে যাবে, তখন সবাই উলুল আমরের নেতৃত্বে প্রচলিত রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতেও অংশন নেবে এবং ইসলাম ও মুসলমানদের অধিকার সংরক্ষণ ও নেফাজে শরিয়তের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে থাকবে।
এরপর ঐ অঞ্চল যদি ভৌগোলিকভাবে কোনো প্রদেশের সমান হয়ে যায়, তাহলে প্রথমে সেখানে নেফাজে শরিয়তের দাবি তুলবে।

এভাবে আরও অগ্রসর হয়ে মুসলিম অঞ্চলে সুষ্পষ্ট প্রভাব-প্রতিপত্তির অধিকারী হতে পারলে স্বায়ত্ব শাসনের উপযোগী অঞ্চলে স্বায়ত্ব শাসন লাভের চেষ্টা করবে। আর পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ আলোচ্য প্রদেশের রাজনীতির সাথে যুক্ত করে তাদের সমর্থন সাহায্য লাভের চেষ্টা করবে। এভাবে যদি ঐ প্রদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করলে বিজয়ী হওয়ার বাস্তবসম্মত সম্ভনা তৈরি হয় আর বাস্তবেই ঐ প্রদেশ স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হওয়ার মতো প্রাকৃতিক সুবিধা সম্বলিত হয়, তবে স্বাধীনতা ঘোষণা করবে এবং বাধা আসলে সামর্থ হলে জি&হাদে দিফাঈ (আত্মরক্ষমূলক ধর্মযুদ্ধ) শুরু করবে।

ধৈর্যের সাথে মেহনত চালিয়ে যেতে হবে। কারণ এই পুরো কর্মকৌশলের কোনো ধাপই বেকার নয় বরং ইসলাম ও মুসলমানের জন্য প্রভূত কল্যাণকর। পুরো প্রসেস বাস্তবায়নে লম্বা সময় লাগতে পারে। নেফাজে শরিয়ত ও খেলাফত অনেক বড় নেয়ামত। এর জন্য শত বছরের চেষ্টাও বেশি নয়।

+জি*হাদে দিফাঈ কামিয়াব হলে রাষ্ট্র সংরক্ষণ, অবিচার বিদূরণ এবং এলায়ে কালিমাতুল্লাহর জন্য সামর্থ সাপেক্ষে প্রতিযোগিতামূলক সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও ইকদামি ^জি=হাদ (সুরক্ষামূলক যুদ্ধ) এর আয়োজন করবে।

(উৎকলন: কোরআন সুন্নাহর আলোকে রাষ্ট্র ও রাজনীতি/ ঈষৎ পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত)

জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে জনমত গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।।জুলাই সনদ...
06/10/2025

জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে জনমত গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে জনমত গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা আজ (৬ অক্টোবর) পুরানা পল্টনস্থ দারুল খিলাফাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা সানাউল্লাহ আমিনীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ রাকীবুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই সনদ কেবল একটি রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র নয়; এটি দেশের ইসলামপ্রেমী জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়ের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। যারা জনগণের ভোট ও অধিকারকে পায়ের নিচে পিষ্ট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে এই সনদই হবে আগামী দিনের রক্ষা-কবচ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী বলেন, দেশের মানুষকে আজ দিকভ্রান্ত করার চক্রান্ত চলছে। জুলাই সনদ অবিলম্বে বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবি পূরণ হলে দেশে ন্যায়বিচার, শিক্ষা, অর্থনীতি ও প্রশাসনে প্রকৃত নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল বলেন, আমরা জনতার দরবারে যাচ্ছি—প্রত্যেক এলাকায় গিয়ে জুলাই সনদের পক্ষে গণজাগরণ তৈরি করতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমিন খান, হাফেজ শামসুল আলম, মাওলানা আবু হানিফ নোমান এবং যুব মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও ইসলামী নীতিনিষ্ঠ রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তারা আরও বলেন, এ দেশ আল্লাহর দান; এর শাসনতন্ত্রও হতে হবে আল্লাহপ্রদত্ত নীতির ভিত্তিতে।

সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ৫ দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী প্রচার ও জনমত গঠনের কর্মসূচি গ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অপূর্ব পালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি শাল্লার তৌহিদী জনতার উল্লেখ্য যে এড. শিশির মনির এর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শাল্লার...
06/10/2025

অপূর্ব পালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
শাল্লার তৌহিদী জনতার
উল্লেখ্য যে এড. শিশির মনির এর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শাল্লার তৌহিদী জনতা দিন দিন পুষে উঠেন।
এরই অংশ বিশেষ ৬ অক্টোবর বাদ জোহর স্থানীয় তৌহিদী জনতার ব্যানারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে স্থানীয় জামাত নেত্রীবৃন্দ শাল্লা জমিয়ত কার্যালয়ে মোঃ হাফিজুর রহমান,সেলিম আহমদ,মাহমমুদুল হাসান, আব্দুর রহিম মোহন, মেহেদী হাসান প্রমুখ এবং মোবাইলে এড. শিশির মনিরের ছোট ভাই ফারহান মনির ও ফারুক মিয়া উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতার সাথে আলোচনা করেন এবং বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের উপর দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি অচিরেই নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন।
পরিশেষে স্থানীয় আলেম উলামা ও তৌহিদী জনতা তিনটি শর্তের ভিত্তিতে এড. শিশির মনির বিষয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেন ।
শর্তাবলী
১.শাল্লা উপজেলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জামাত শিবিরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অনলাইন ও অফলাইনে কুরআন সুন্নাহ ও স্থানীয় উলামায়ে কেরামদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অসদাচরণ করবে না ।
২.জামাত ও শিবির নেতৃবৃন্দ এড. শিশির মনিরের পুজা চলাকালীন বক্তব্যের দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে আর এরকম হবে না বলে আশ্বস্ত করেন।
৩.এবং এড. শিশির মনির অচিরেই শাল্লা সদরে এসে স্থানীয় আলেম উলামা ও তৌহিদী জনতার সামনে নিজের বক্তব্যের খোলাচা করবেন এবং বিঞ্জ আলেমদের দিকনির্দেশনা মোতাবেক প্রদত্ত বক্তব্যের নিষ্পত্তি করবেন।

অতঃপর অপূর্বপাল কর্তৃক কুরআন পদদলিত করার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শাল্লার প্রধান সড়কঘরে প্রকিবাদ সভায় বক্তারা বলেন পবিত্র কোরআনের অবমাননা করে অপূর্ব পাল যে ন্যক্কারজনক, ঘৃণিত ও স্পর্শকাতর অপরাধ করেছে, তা শুধু মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয়, বরং এটি দেশব্যাপী শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা ও ধর্মীয় সহনশীলতাকে চরমভাবে ব্যাহত করবে।

তারা আরও বলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিযে অপূর্ব পালকে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এই ঘটনার পেছনে কারা ইন্ধন দিচ্ছে, তা খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ধরনের ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ ও জনসচেতনতা জোরদার করতে হবে।

জুলাই সনদ সহ ০৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে জনমত গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আলোচনা সভা অনুস্টিত।...
06/10/2025

জুলাই সনদ সহ ০৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে জনমত গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আলোচনা সভা অনুস্টিত।

মুহাম্মাদ আমিরুল ইসলাম
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

আজ বাদ এশা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতি আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফিজ সৈয়দ জয়নুল ইসলামের পরিচালনায় জুলাই সনদ সহ ০৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে জনমত গড়ার লক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুস্টিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা সভাপতি মাওলানা দিলওয়ার হুসাইন জেলা সহ-সভাপতি ডাক্তার আতাউর রহমান জেলা সহ-সাধারন সম্পাদক ও জগন্নাথপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুর রহমান সাজাওয়ার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা এনামুল হক সুনামগঞ্জ পৌর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সুলাইমান আহমদ জাবেরী সহ বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন শাখার দায়িত্বশীল বৃন্দ।

বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামান, এবং সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল্লাহ ...
06/10/2025

বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামান, এবং সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল্লাহ আশরাফ ও মাওলানা জাকির হোসাইন এক যৌথ বিবৃতিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কর্তৃক পবিত্র আল-কুরআন অবমাননার রাষ্ট্রদ্রোহী ও নিকৃষ্টতম ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

নেতৃবৃন্দ সুস্পষ্টভাবে বলেন যে, পবিত্র আল-কুরআন কেবল একটি ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, এটি দেশের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ের স্পন্দন ও জাতীয় চেতনার ভিত্তি। আল্লাহর কালামের এমন জঘন্য অবমাননা কোনোভাবেই কথিত ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’র নামে চলতে পারে না; বরং এটি দেশের আইন ও সংবিধানবিরোধী স্পষ্ট রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। এই ধৃষ্টতা দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্ব নষ্টের এক পরিকল্পিত রাজনৈতিক অপপ্রয়াস।

তারা আরো বলেন, দুঃখের বিষয় এই যে, দেশের কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ নাস্তিক্যবাদ ও ইসলামবিদ্বেষের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ইসলামবিদ্বেষী চক্র রাষ্ট্রযন্ত্রের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে। প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা প্রমাণ করে যে, এই অপরাধীরা রাষ্ট্রীয় বা কোনো প্রভাবশালী মহলের পরোক্ষ প্রশ্রয় পাচ্ছে। এমন আচরণ দেশে ভয়াবহ সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা ডেকে আনবে, যার সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।

তারা বলেন, আমরা সরকারের প্রতি চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে অবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দেশের প্রচলিত আইনে কঠিনতম ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন, “যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা দৃশ্যমান না হয়, তবে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস দেশের আপামর ঈমানদার তরুণ সমাজ ও তৌহিদী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে দেশব্যাপী দুর্বার ও কঠোরতম আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। কুরআন-এর মর্যাদা রক্ষায় আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত, কিন্তু এর অবমাননা কোনো মূল্যে বরদাশত করা হবে না।”

পরিশেষে, নেতৃবৃন্দ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন— আল্লাহর কিতাবের মর্যাদা রক্ষায় প্রতিটি নাগরিক

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিতমুহাম্মাদ আমিরুল ইসলাম সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ইসলামী...
06/10/2025

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মুহাম্মাদ আমিরুল ইসলাম
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা শহিদুল ইসলাম পলাশীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এর যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই)
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগীয়) হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (এল এল বি)
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগীয়) মোহাম্মদ আব্দুল মুসাব্বির রুনু
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি তোফায়েল আহমদ খান
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজ সৈয়দ জয়নুল ইসলাম ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুর রহমান সাজাওয়ার

এছাড়াও যুবশক্তি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দ একযোগে ঘোষণা দিন যে পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হবে না বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দায়িত্বশীলরা বলেন তারা উচ্চকক্ষকে পিআর পদ্ধতি চান পিয়ার পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন করলে আবার পুনরায় ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশের জন্মাতে পারে পিয়ার পদ্ধতি হলে জনগণের ভোট বৃথা যাবে না তাই পিয়ার পদ্ধতির বিকল্প কোন রাস্তা নেই।

কুরআন বুকে নিয়ে কুরআন অবমাননাকারীর ফাঁসীর দাবীতে রাজপথে যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখা।যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সুন...
06/10/2025

কুরআন বুকে নিয়ে কুরআন অবমাননাকারীর ফাঁসীর দাবীতে রাজপথে যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখা।

যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কর্তৃক মহাগ্রন্থ আল কুরআনের অবমাননার প্রতিবাদে আজ বাদ জুহর
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখা।

জামিয়া মাদানিয়া সুনামগঞ্জের সম্মুখ থেকে মিছিল শুরু হয়ে সুনামগঞ্জ আলফাত স্কয়ারে ( ট্রাফিক পয়েন্ট) এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা যুব জমিয়তের সভাপতি হাফিজ মাওলানা ত্বাহা হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ হেলাল আহমদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শায়খ মাওলানা আব্দুল বছীর,
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা রুকন উদ্দিন,
সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রফিক আহমদ উলাশনগরী,
অফিস সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ গাজিনগরী,
জেলা ছাত্র জমিয়তের সেক্রেটারি রিয়াজ উদ্দিন,
ছাত্র জমিয়ত মান্নারগাও ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি তরুণ আলেম মাওলানা সালিকুর রহমান,
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব জমিয়তের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আসআদ আহমদ সুজানগরী,
পাঠাগার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির,
অফিস সম্পাদক মাওলানা মঞ্জুর আহমদ,
পৌর যুব জমিয়তের সভাপতি হাফিজ দুলাল আহমদ,
যুব নেতা হাফিজ আনোয়ার হোসাইন,
আমিরুল ইসলাম,
মাওলানা আব্দুল করিম, মাওলানা খালেদ আহমদ, মাওলানা আব্দুল বাতিন, ছাত্র নেতা সুমন আহমদী, সাজ্জাদুর রহমান ও মুহিবুর রহমান প্রমুখ ।

06/10/2025

নর্থ সাউথ বিশ্ব বিদ্যালয়ে পবিত্র কুরআন অবমাননাকারী অপূর্ব রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল।

Address

Tamama
Dhaka
12271

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Truth Mission সত্য মিশন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share