Sufi Sadhaker Bangladesh - সূফী সাধকের বাংলাদেশ

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • Sufi Sadhaker Bangladesh - সূফী সাধকের বাংলাদেশ

Sufi Sadhaker Bangladesh - সূফী সাধকের বাংলাদেশ Sufi Sadhaker Bangladesh|| Stay tuned by liking and following our page for daily new Sufism Islamic content Thanks a lot.

আধ্যাত্মিক ইতিহাসের অনন্য দৃষ্টান্ত — “হযরত বাবা আদম শহীদ (রহ:)” বাংলার সূফী ইতিহাসে কাদেরিয়া তরিকার আলো জ্বালিয়ে যিনি...
25/09/2025

আধ্যাত্মিক ইতিহাসের অনন্য দৃষ্টান্ত — “হযরত বাবা আদম শহীদ (রহ:)”

বাংলার সূফী ইতিহাসে কাদেরিয়া তরিকার আলো জ্বালিয়ে যিনি ইসলাম প্রচারের পথে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন, তিনি হলেন মহান সাধক হযরত বাবা আদম শহীদ (রহ:)। ১২ শতকে হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ:)-এর খলিফা হিসেবে তিনি ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে দূর আরব থেকে আগমন করেন বঙ্গভূমিতে। খোরাসান ও বাগদাদের জ্ঞানের আলোয় নিজেকে সমৃদ্ধ করে তিনি শুরু করেন বাংলায় তাসাওউফের দাওয়াতি সফর — প্রতিষ্ঠা করেন প্রথম কাদেরিয়া খানকা, এবং ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন সর্বান্তকরণে।

কিন্তু সত্যের পথে চলতে গিয়ে তাঁকে সম্মুখীন হতে হয়েছিল রাজশক্তির অমানবিক নিপীড়নের। বিক্রমপুরের রাজা বল্লাল সেনের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে তিনি শাহাদাতের অমর মর্যাদায় ভূষিত হন ২০ সেপ্টেম্বর ১১৭৮ সালে। মৃত্যুর পর তাঁর পবিত্র দেহ দাফন করা হয় রিকাবী বাজার দীঘিরপাড়ে, যা আজ লক্ষ লক্ষ আশেকের চোখে এক আধ্যাত্মিক প্রেরণার কেন্দ্র — “বাবা আদম শহীদ (রহ:) মাজার শরীফ”।

---

“বাবা আদম শহীদ জামে মসজিদ” — স্মৃতির ইমারত, বিশ্বাসের প্রতীক

৮৮৮ হিজরির রজব মাসে (১৪৮৩ খ্রিষ্টাব্দ) সুলতান জালালউদ্দীন ফতেহ শাহের শাসনামলে মালিক কাফুরের তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠে বাবা আদম শহীদ জামে মসজিদ। শাহাদাতের স্মৃতিতে নির্মিত এই ঐতিহাসিক মসজিদটি আজও দাঁড়িয়ে আছে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিমে, ইতিহাস আর ঈমানের সাক্ষী হয়ে। ছয়টি পরপর বৃহৎ গম্বুজে ঘেরা এই স্থাপত্য নিদর্শন শুধু স্থাপনা নয়, এটি হলো প্রেম, ত্যাগ ও তাসাওউফের এক জীবন্ত নিদর্শন।

যে স্থানে রক্ত দিয়ে লেখা হয়েছে সত্যের ইতিহাস, সে স্থান আজও ডাকে সকল আশেককে — আসো, এই মসজিদের গম্বুজের ছায়ায় দাঁড়িয়ে নবীপ্রেমে ডুবে যাও, বাবা আদম (রহ:)-এর ত্যাগকে হৃদয়ে ধারণ করো।

---

📜 ‎অতি শীঘ্রই আসছে...
হযরত বাবা আদম শহীদ (রহ:) ও তাঁর জামে মসজিদের অজানা ইতিহাস, শাহাদাতের কাহিনি এবং বাংলায় সূফীবাদের বিস্ময়কর যাত্রা নিয়ে আমাদের একটি বিশেষ ডকুমেন্টারি সিরিজ।
সাথে থাকুন — ইতিহাসের পৃষ্ঠা থেকে উঠে আসা এক আধ্যাত্মিক অভিযাত্রার সাক্ষী হতে।


04/09/2025

প্রিয় নবিজী ﷺ-এর পবিত্র দেহ মোবারকের নূরানী অংশবিশেষ।

আমাদের প্রিয় নবিজীর ﷺ- অনন্য জীবনদর্শন ও দীক্ষার আলোকে আমরা চাই সর্বদা আলোকিত হতে।
পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী ﷺ- উপলক্ষে সূফী সূফী সাধকের বাংলাদেশ - এর পক্ষে হতে সকল আশেকে রসূল ﷺ- এর জন্য উপহার স্বরূপ।

ভালোবাসি নবিজীকে ﷺ- আর অনুসরণ করি তাঁর অমলিন পথকে ।

03/09/2025

ইনশা-আল্লাহ আগামীকাল পুরো ভিডিও রিলিজ হবে!
দেখতে চোখ রাখুন–সূফী সাধকের বাংলাদেশ পেইজে 🎬

প্রিয় নবিজী ﷺ-এর পবিত্র দেহ মোবারকের নূরানী অংশবিশেষ।আমাদের প্রিয় নবিজীর ﷺ- অনন্য জীবনদর্শন ও দীক্ষার আলোকে আমরা চাই স...
01/09/2025

প্রিয় নবিজী ﷺ-এর পবিত্র দেহ মোবারকের নূরানী অংশবিশেষ।

আমাদের প্রিয় নবিজীর ﷺ- অনন্য জীবনদর্শন ও দীক্ষার আলোকে আমরা চাই সর্বদা আলোকিত হতে।
পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী ﷺ- উপলক্ষে সূফী সাধকের বাংলাদেশ থেকে আসছে এক বিশেষ ভিডিও,ইনশাআল্লাহ।

📌 ভিডিওটি প্রকাশিত হবে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী ﷺ- এর আগেই।

আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ রইলো হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে।

ভালোবাসি নবিজীকে ﷺ- আর অনুসরণ করি তাঁর অমলিন পথকে ।

08/08/2025

আত্মার প্রশান্তি মেলে যেখানে…
“সূফী সাধকের বাংলাদেশ”–এর সফরে আজ আমরা উপস্থিত সেই দরবারে —
যেখানে নেমে আসে নীরব নূরের ফোয়ারা,
যেখানে হযরত হাজী খাজা শাহবাজ খান (রহ.)
তাঁর আধ্যাত্মিক মহিমায় আজও জাগ্রত…

🕌 ১৭শ শতকের মোগল আমলে ইয়েমেন থেকে কাশ্মীর হয়ে আসা এই মহাপুরুষ
শুধু ব্যবসা নয়, বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেকে দীনের খিদমতে।
তাঁর নির্মিত মসজিদ ও মাজার আজও ঈমানী আলো ছড়ায় রমনার বুকে।

📍সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে, এক পবিত্র নিদর্শন
📖 ইতিহাস, লোককথা আর ভালবাসার স্পর্শে মোড়ানো এক অলৌকিক স্থান…

🕊️ আসুন, জানি তাঁর কথা, ছড়িয়ে দেই পবিত্র বার্তা...
🔔 শেয়ার করুন এই আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা

#সূফীসাধকেরবাংলাদেশ
#রমনারআত্মিকঘ্রাণ




07/08/2025

প্রিয় দর্শকবৃন্দ, কিছু সিস্টেমেটিক ত্রুটির কারণে আমাদের আপলোড করা ভিডিওটি সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইনশাআল্লাহ, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভিডিওটি পুনরায় সম্পাদনা করে আপলোড করা হবে।
আপনাদের অনুরোধ— চোখ রাখুন সূফী সাধকের বাংলাদেশ’র পেইজে আমাদের সাথেই থাকুন।

ধন্যবাদ আপনার আগ্রহ ও ভালোবাসার জন্য।
#সূফী_সাধকের_বাংলাদেশ #নতুন_ভিডিও #শিগগিরই_আসছে

প্রাচীন সূফী সাধকের নিদর্শন — রমনার হযরত হাজী খাজা শাহবাজ খান (রহ.) মাজার ও মসজিদ১৭শ শতকে ইয়েমেন থেকে কাশ্মীর হয়ে আগত এ...
06/08/2025

প্রাচীন সূফী সাধকের নিদর্শন — রমনার হযরত হাজী খাজা শাহবাজ খান (রহ.) মাজার ও মসজিদ
১৭শ শতকে ইয়েমেন থেকে কাশ্মীর হয়ে আগত এই ব্যবসায়ী শুধু দুনিয়ার নয়, আখিরাতের আলো ছড়াতেও নিজেকে বিলিয়ে দেন।
মোগল আমলে নির্মিত এই মসজিদ ও মাজার আজও ইসলামি ঐতিহ্য, আধ্যাত্মিকতা ও মানুষের বিশ্বাসের অন্যতম কেন্দ্র।

📍রমনা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে অবস্থিত এই পবিত্র স্থান

📚 ইতিহাস ও লোককথার মিশেলে এটি আজও কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু

ইনশাআল্লাহ, আগামীকালই আসছে এই পবিত্র মাজার ও মসজিদ ভ্রমণের সম্পূর্ণ ব্লগ ভিডিও।

চোখ রাখুন 👉সূফী সাধকের বাংলাদেশ পেইজে
আপনিও জানুন ইতিহাস, তরিকত ও ভালোবাসায় মোড়া এই পবিত্র স্থান সম্পর্কে!

🔔 শেয়ার দিন, ছড়িয়ে দিন পবিত্র বার্তা।
#সূফীসাধকেরবাংলাদেশ #রমনা #হাজীখাজাশাহবাজ #মাজার #মসজিদ #ইতিহাস #ভ্রমণ

শুভ জন্মদিন প্রিয় ইমরান হুসাইন তুষার💐আজ সূফী সাধকের বাংলাদেশ —এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও সম্মানিত কো-অর্ডিনেটর ইমরান হুসাই...
04/08/2025

শুভ জন্মদিন প্রিয় ইমরান হুসাইন তুষার💐

আজ সূফী সাধকের বাংলাদেশ —এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও সম্মানিত কো-অর্ডিনেটর ইমরান হুসাইন তুষার ভাইয়ের জন্মদিন। টিমের প্রতিটি পদক্ষেপে যাঁর নিষ্ঠা, নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেছে নতুন স্বপ্ন ও অর্জনের পথে।

দোয়া করি— তাঁর জীবন হোক সুস্থতা, শান্তি ও সফলতায় পরিপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালা যেন তাঁর প্রচেষ্টা কবুল করেন এবং আমাদের একসাথে কল্যাণের পথে এগিয়ে দেন।

সূফী সাধকের বাংলাদেশ'র পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।“সূফী সাধকের বাংলাদেশ”–এর নিয়মিত আয়োজনে আজ আমরা উপস্থিত হয়েছি রমনা এলাকায় অবস্থিত...
03/08/2025

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
“সূফী সাধকের বাংলাদেশ”–এর নিয়মিত আয়োজনে আজ আমরা উপস্থিত হয়েছি রমনা এলাকায় অবস্থিত এক মহান সূফী সাধকের দরবারে — হযরত হাজী খাজা শাহবাজ খান (রহ.) এর মাজার প্রাঙ্গণে।

আত্মিক প্রশান্তি ও ইতিহাসসমৃদ্ধ এই পুণ্যস্থান নিয়ে তৈরি বিশেষ ব্লগটি দেখতে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া আধ্যাত্মিক এক ভ্রমণে আমাদের সঙ্গে থাকুন...
#সূফীসাধকেরবাংলাদেশ #রমনা #শাহবাজখানরহ #আধ্যাত্মিক_ভ্রমণ #ইতিহাসেরবাংলাদেশ

02/08/2025

সূফী সাধকের বাংলাদেশ’র নিয়মিত আয়োজনে আজ উঠে আসছে বাংলার ইতিহাসে এক অনন্য নাম — মসনদ-এ আ'লা মুসা খাঁ।
তিনি শুধু একজন জমিদার বা বীর নন, ছিলেন একজন সত্যিকারের পথপ্রদর্শক, যিনি ইসলাম প্রচারে রেখেছেন অবিস্মরণীয় অবদান।

বাংলার বারোভুঁইয়াদের অন্যতম এই মহাপুরুষ নিজ ভূমিতে ইসলামের আলো ছড়িয়েছেন সূফী সাধকদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে।
তাঁর শাসন ছিল ন্যায়, জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয়—যেখানে ইতিহাস ও বিশ্বাস হাত ধরাধরি করে এগিয়ে গেছে।
আজও তাঁর খেদমত ও ঐতিহ্য বাংলার মাটি ও মানুষের হৃদয়ে জীবন্ত ইতিহাস হয়ে ধ্বনিত হয়।

ইসলামের ইতিহাস, আধ্যাত্মিক সাধনা ও বাংলার মাটি-মানুষের আত্মিক মেলবন্ধনের এই অনন্য অধ্যায় তুলে ধরা হচ্ছে আজকের পর্বে।

📍 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বারো ভূঁইয়াদের শেষ স্মৃতিচিহ্ন — ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আত্মার মেলবন্ধন!“সূফী সাধকের বাংলাদেশ” সিরিজে ...
02/08/2025

📍 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বারো ভূঁইয়াদের শেষ স্মৃতিচিহ্ন — ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আত্মার মেলবন্ধন!
“সূফী সাধকের বাংলাদেশ” সিরিজে এবার তুলে ধরা হয়েছে বাংলার বীর সন্তান বারো ভূঁইয়াদের চিহ্ন, যেখানে ইতিহাস কথা বলে, ঐতিহ্য প্রাণ পায়।
চলুন ঘুরে আসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে লুকিয়ে থাকা সেই অনন্য নিদর্শন থেকে — একটি ভিন্ন চোখে, একটি হৃদয়ের আবেগে।

সন্ধ্যায় আসছে সম্পূর্ণ ভিডিও!
থাকুন সঙ্গে, ডুব দিন বাংলার গৌরবময় অতীতে।


15/07/2025

সূফী সাধকের বাংলাদেশ’র নিয়মিত আয়োজন!
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (রহ.): ব্রিটিশ ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানে ইসলাম এবং তাসউফের নিবিষ্ট এক খাদমতগার ও নিবিষ্ট একজন সূফী সাধক।

ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্। একজন ভাষা সৈনিক, বহুভাষাবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপক। তিনি বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা। এই পরিচয়ের ঊর্ধ্বেও তাঁর আরো পরিচয় আছে। তিনি ব্রিটিশ ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের অনগ্রসর মুসলমানদের কল্যাণে নানামুখি অবদান রাখেন। তিনি ১৯২০ সালে ঢাকা ঐতিহ্যবাহী মশুরীখোলা দরবার শরীফের পীর সাহেব হযরত কেবলা শাহ মুহাম্মদ আহসানুল্লাহ্ (রহ.)কে সাথে নিয়ে আঞ্জুমান-ই-ইশা’আৎ-ই-ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। মশুরীখোলা হযরত কেবলা এই সংগঠনের সভাপতি এবং ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলা ও আসামে তরিকতের উজ্জল নকিব ফুরফুরা শরীফের একজন বিখ্যাত পীর মুজাদ্দিদে জামান মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকি (রহ.) হতে নকশেবন্দীয়া-মুজাদ্দেদীয়া তরিকায় খিলাফত লাভ করেন ১৯৩৬ সালে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ "নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (দ.)" শিরোনামে প্রিয় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনবদ্য জীবনী গ্রন্থসহ বহুগ্রন্থ রচনা ও বঙ্গানুবাদ করেন। এছাড়াও তিনি পীরানে পীর হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)’র জীবনী প্রবন্ধ লিখেন। যা ১৯৫৪ সালে ৮ ডিসেম্বর মাহে নও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯৫৬ সালে হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)’র শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কিত অমরকাব্য কাসিদায়ে গাউসিয়ার বঙ্গানুবাদ করেন। এছাড়াও তিনি পবিত্র কুরআনের সরল বাংলা অনুবাদ করেন। যদিও তা অপ্রকাশিত।
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বাঙালি মুসলমানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষ্যে ১৯২৮ সালে জশনে জুলুছ (আনন্দ মিছিল) আয়োজন করেন।
মাহযা হক ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ'র জ্যেষ্ঠ কন্যা মাহযা হক এ সম্পর্কে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবন গ্রন্থে লিখেন- “১৯২৮ সালে প্যারিস থেকে ফেরার পর তিনি নবীজী (সঃ)-র জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নেন। তার জন্যে ছাত্র সহকারে স্কুলে গিয়ে কলেজের শিক্ষক ছাত্রদের নবীজী (সঃ)-র জন্ম পালনে উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে জমায়েত হয়ে মিছিল আকারে শহরের সর্বত্র ঘুরে আসেন। এই মিছিল সফলকাম হয়েছিল।পূর্বে কখন বিশ্বনবী (সঃ)-র জন্ম দিন এভাবে পালিত হয়নি।”
তিনি শুধুমাত্র এই মিছিল আয়োজনই করেন নি। বরং তিনি মনেপ্রাণে চাইতেন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাঙালি মুসলমানের প্রধান উৎসবে পরিণত হউক। আর তিনি ১৯৩৭ সালের অক্টোবরে 'এক জাতি গঠন' প্রবন্ধে 'একজাতি হইতে গেলে জাতির সাধারণ পর্বদিন চাই' উল্লেখ করে মুসলমানদের তরফ থেকে মিলাদুন্নবীর উদযাপনকে 'জাতীয় উৎসব' হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন। মহররম, দুই ঈদ এবং শবে বরাত থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি বাঙালি-মুসলমানের তরফ থেকে মিলাদুন্নবীকেই প্রস্তাব করেছিলেন? মহররম উদযাপনে শিয়া-সুন্নীর ব্যাপার আছে, দুই ঈদ ও শবে বরাত মুসলমানদের ধর্মীয় রীতির পর্যায়ভূক্ত যা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা কখনোই মানবেন না; কিন্তু মিলাদুন্নবী উদযাপনে অন্যান্য ধর্মের লোকও আপত্তি না করে শরিক হয়, হবে- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একজন নবী, রাসুল হিসেবে না হলেও একজন মহাপুরুষ হিসেবে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই কার্পণ্য করেন না। ডক্টর শহীদুল্লাহ্'র এ সুদূরপ্রসারী চিন্তাধারাকে অনুধাবন করার সময় পেরিয়ে গেছে সেই কবে! এখন কাজা আদায় করা যায়।
ডক্টর শহীদুল্লাহ্ (রহ.) ১০ জুলাই ১৮৮৫ সালে পশ্চিম বঙ্গের চব্বিশ পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ১৩ জুলাই ইন্তেকাল করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল এবং কার্জন হলের মধ্যবর্তী স্থান তথা মুসা খা মসজিদের পশ্চিমে তাঁর মাযার শরীফ।

তথ্য সূত্র :
১. ইসলাম প্রসঙ্গ : ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মা্ওলা ব্রাদার্স, ২০১১।
২. ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ স্মারকগ্রন্থ: বাংলা একাডেমী, ১৯৮৫, ৩০৪ পৃষ্ঠা।
৩.বাংলা সাহিত্যে গাউছে পাক প্রসঙ্গ : মোহাম্মদ আবু সাইদ, বইসই, ঢাকা, ২০২১।
৪. বাঙালি মুসলমানের সাংস্কৃতিক পাটাতনে মিলাদুন্নবী : মুহাম্মদ আবু সাইদ, বইসই, ঢাকা, ২০২১।
৫. ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে: মাহয্যা হক, ধানমন্ডি, ঢাকা, ১৯৯১, ৪৮ পৃষ্ঠা।


Contract Info
Email : [email protected]
Mobile : 01926267003

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sufi Sadhaker Bangladesh - সূফী সাধকের বাংলাদেশ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share