আওয়ামের আওয়াজ

আওয়ামের আওয়াজ মুক্তির লক্ষ্যে জনতার কণ্ঠ

🐍 টাইফন: পরিচয় ও উৎসনাম:   (Τυφῶν), কখনো Typhoeus বা Typhaon নামেও পরিচিতউৎস: পৃথিবী (Gaia) এবং টার্তারাস (Tartarus) — ক...
23/04/2025

🐍 টাইফন: পরিচয় ও উৎস
নাম: (Τυφῶν), কখনো Typhoeus বা Typhaon নামেও পরিচিত

উৎস: পৃথিবী (Gaia) এবং টার্তারাস (Tartarus) — কিছু বর্ণনায় Hera নিজেও সৃষ্টি করেছেন Zeus ছাড়া।

পরিবার:

সঙ্গী: Echidna (অর্ধ নারী, অর্ধ সাপ)

সন্তান: বহু দানবের জনক — যেমন:

Cerberus (তিনমাথা কুকুর)

Hydra (বহুমাথা বিশাল সাপ)

Chimera, Sphinx, Nemean Lion, ইত্যাদি

⚔️ দেবতাদের সঙ্গে যুদ্ধ: Titanomachy পরবর্তী বিশাল সংঘর্ষ
Typhon এর যুদ্ধ Zeus-এর নেতৃত্বাধীন অলিম্পিয়ান দেবতাদের বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ সংঘর্ষের স্মারক। যুদ্ধটি ছিল অলিম্পাস পাহাড় থেকে শুরু করে বহু ভূমি জুড়ে।

যুদ্ধের বিবরণ:
Typhon ছিল বিশাল আকৃতির — তার মাথা ছিল সাপের, চোখ থেকে আগুন বের হতো, হাতের বদলে ছিল শত শত সাপ।

সে Olympus আক্রমণ করে এবং দেবতাদের বেশিরভাগকে পরাজিত বা ভয় পাইয়ে দেয়।

তার বিরুদ্ধে লড়াই করেন বজ্র দিয়ে।

এক পর্যায়ে Typhon Zeus-এর সিনা কেটে ফেলে এবং একটি গুহায় লুকিয়ে রাখে।

পরে Hermes এবং Pan Zeus-এর সিনা ফিরিয়ে এনে তাকে মুক্ত করে।

Zeus অবশেষে Typhon-কে আঘাত করে Etna পর্বতের নিচে বন্দি করে রাখেন।

🌋 প্রতীক ও মিথের তাৎপর্য

দিক ব্যাখ্যা
🌌 বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসের প্রতীক Typhon হচ্ছে প্রকৃতি ও বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিশৃঙ্খল শক্তির প্রতীক
⚡ Zeus-এর বিজয়ের মাধ্যম Zeus-এর চূড়ান্ত কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয় এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে
🌋 ভূতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা অনেক গ্রিক বিশ্বাস করত, Mount Etna (সিসিলি) থেকে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হয় কারণ Typhon সেখানে বন্দি
🧬 দানবদের জনক মিথে যত বড় বড় দানব, প্রায় সব Typhon-এর সন্তান
🎨 কল্পনাপ্রসূত চিত্রায়ন:
Typhon-কে সাধারণত এভাবে কল্পনা করা হয়:

বিশালদেহী, মানুষের মতো মুখ

সারা শরীরে সাপ

দুই পায়ের বদলে সাপের কুন্ডলী

হাত থেকে আগুন নির্গত হচ্ছে

ডানায় ঢাকা আকাশ

🔚 সারসংক্ষেপে:
Typhon গ্রিক পুরাণে এমন এক শক্তি, যা শুধুমাত্র Zeus-এর বিজয় দ্বারা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি "প্রকৃতি বনাম সভ্যতা", "বিশৃঙ্খলা বনাম নিয়ম" — এই দ্বৈততার মধ্যে বিশৃঙ্খলার প্রতীক।

বাণী চিরন্তন
21/04/2025

বাণী চিরন্তন

18/04/2025

দাবি করা হচ্ছে যে, এটাই মীর মুগ্ধের নিহত হওয়ার ভিডিও। আমরা জেনে এসেছি, মুগ্ধের গুলি লেগেছিল কপালের সামনে, বের হয়েছে তীর্যকভাবে ডান কানের পিছন দিয়ে। এই বিষয়টি এবং ভিডিওটি দিয়ে Chat GPT-বলা হয়েছিল একটা ফরেনসিক শ্যুটিং অ্যানালাইসিস রিপোর্ট বানিয়ে দিতে। চ্যাট জিপিটির বানানো রিপোর্টটি নিচে দেওয়া হলো। বাকিটা আপনারা বুঝে নিন।

📝 Forensic Shooting Analysis Report: Case of Mugdha

1. Incident Summary
Victim Name: Mugdha

Incident Location: Road divider beside a street (exact coordinates unknown).

Relevant Video Evidence: Video shows "Mugdha" labeled in red, sitting on a road divider.

Movement:

Mugdha was initially sitting on the divider.

As police advanced from the victim's left side (video's right side), Mugdha stood up.

Mugdha was not running; remained stationary when shot.

2. Parties Involved
Police: Advancing from Mugdha’s left side (ground level, same plane as Mugdha).

Protesters: Moving opposite to the police (running away).

Unknown shooter (hypothetical): Potential elevated shooter or sniper.

3. Injury Details
Entry wound: Front of forehead (frontal area).

Exit wound: Behind the right ear (occipito-temporal region).

Trajectory: Front-to-back, slightly angled left-to-right.

4. Trajectory Analysis

Aspect Observations Conclusion
Shooter level Police and Mugdha on same ground plane Flat, direct shot expected if police fired
Injury path Angled trajectory (left front to right rear) Suggests diagonal, high-precision firing
Gait Mugdha was stationary Movement would distort trajectory otherwise
Police movement Running, mobile, handling crowd Less likely for a mobile shooter to cause precision shot
5. Logical Reconstruction
A ground-level, moving shooter (police) would likely cause:

Direct, less precise shots.

Body shots rather than a precise frontal headshot.

An elevated, stationary shooter (sniper) would likely cause:

A controlled, high-precision headshot.

A slightly downward, left-to-right bullet trajectory.

Thus, given the injury path and tactical positioning, the evidence favors the theory of an elevated shooter over ground-level police fire.

6. Key Factors Supporting the Sniper Hypothesis
Angled Entry and Exit: Not typical of same-plane direct shooting.

Mugdha's Stationary Position: Easier target for precision shooting.

Police Dynamics: Engaged in crowd dispersal, not focused shooting.

No Immediate Threat: Mugdha was passive, sitting or standing calmly — unlikely to be a deliberate ground-level police target at that instant.

7. Conclusion
Based on the video evidence, relative positioning, injury pattern, and logical forensic reconstruction, it is more probable that Mugdha was shot by a precision shooter (likely from an elevated position), not by the advancing ground-level police.

17/04/2025

"ঘুমন্ত সুরমা নয়, খরস্রোতা মনু চাই
সংসারের স্থবিরতা কখনো মানি না-
ক্ষত্রিয় যুবক আমি, প্রণাম জানি না।"


- সৌমিত্র দেব

17/04/2025

অস্ত্রের মুখে শিক্ষার্থীদের পিষে দেয়ার চেষ্টা:
কুমিল্লায় ইউনুস বাহিনীর তাণ্ডব

তবুও হবে না প্রতিবাদ!বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি রফিক আজাদের বাড়িটি ভেঙে দিয়েছে ইউনূসের লোকজন!
17/04/2025

তবুও হবে না প্রতিবাদ!
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি রফিক আজাদের বাড়িটি ভেঙে দিয়েছে ইউনূসের লোকজন!

17/04/2025

আওয়ামের নিরাপত্তা কোথায়?
ইউনূসের প্রশাসন কি এসব দেখে না?

২০১৪ সালে ইউক্রেনের আকাশে শুরু হয় ঘন অন্ধকারের খেলা। এক হাস্যকর কমেডিয়ান—ভলোদিমির জেলেনস্কি, নাটকের মঞ্চ থেকে নেমে এসে ...
17/04/2025

২০১৪ সালে ইউক্রেনের আকাশে শুরু হয় ঘন অন্ধকারের খেলা। এক হাস্যকর কমেডিয়ান—ভলোদিমির জেলেনস্কি, নাটকের মঞ্চ থেকে নেমে এসে বসে পড়ে দেশের সর্বোচ্চ সিংহাসনে। "Servant of the People" নামের এক নাটকে যেখানে তিনি অভিনয় করেছিলেন কাল্পনিক প্রেসিডেন্টের ভূমিকায়, বাস্তবে সেখানে রক্তাক্ত ইতিহাসের নির্মাতা হয়ে দাঁড়ালেন।

রাজনীতি কখনো ক্লাউনদের জন্য ছিল না। রাজনীতি ছিল রাষ্ট্র রক্ষার জন্য, জাতির ভবিষ্যতের জন্য। কিন্তু জেলেনস্কি প্রমাণ করলেন—এক জোকারই পারে একটি দেশকে ভিক্ষার থালা হাতে তুলে দিতে। আজ ইউক্রেনের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খালি, ঋণের পাহাড় মাথায়, শহরগুলো মৃত্যুপুরী।

আর আমেরিকা? ৬৫.৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে হাসছে তাদের রক্তাক্ত বিজয়ে!

এখন বাংলাদেশও দাঁড়িয়ে ঠিক সেই একই ফাঁদে।

যখন ষড়যন্ত্রকারীরা খুঁজছিল "শেখ হাসিনার বিকল্প" কিন্তু পাচ্ছিল না, তখন গভীর ষড়যন্ত্রের নিঃশব্দ বাতাসে আগুন ছড়ায় আমেরিকা। "অপারেশন বিডি" নামে কোটি কোটি ডলার ঢেলে, ২০২৪ সালে ঘটানো হয় আরেকটি কালার রেভলিউশন। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে এনে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এক পুতুল সরকার—যার নাম ইউনূস।

জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে, সংবিধানকে দলিত করে, ইতিহাসকে অপমান করে আজ তিনি নিজেকে ঘোষণা করছেন "Lord of the Bay of Bengal"! চূড়ান্ত বেহায়াপনার পরিচয় দিয়ে স্বপ্ন দেখেন "Lord of the Indian Ocean" হওয়ার! অথচ বাস্তবে এক নিধিরাম সর্দার—যার হাতে জাতির অস্তিত্ব আজ ঝুঁকির মুখে।

এই পুতুল সরকার ক্ষমতায় এসেই শুরু করে ভারতকে হুমকি: "সেভেন সিস্টার্স খাবো!" ভারতের জবাব আসতেই লেজ গুটিয়ে ইলিশের বাক্স নিয়ে দাদার দরবারে হাজির। পরে চীনের কাছে গিয়ে দেশের বন্দর আর আকাশপথ বিক্রি করতে লাল কার্পেট বিছায়। বিনিময়ে কী পেল বাংলাদেশ? ভারত বন্ধ করে দিলো ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা, বাংলাদেশ হয়ে গেলো কার্যত ল্যান্ডলকড।

যারা একসময় শেখ হাসিনাকে ‘দেশ বিক্রেতা’ বলে গালি দিত, আজ প্রমাণ হলো, কারা আসলে দেশের স্বার্থকে নিলামে তুলেছে। শুধু ট্রানশিপমেন্ট বন্ধেই বছরে ২ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ যোগ হয়েছে, বন্ধ হয়েছে ৫৬৪০ কোটি টাকার রপ্তানি সম্ভাবনা।

ইতিহাস কি আবার নিজেকে পুনরাবৃত্তি করতে যাচ্ছে?
এক জোকারের হাতে ইউক্রেন ধ্বংস হয়েছে। আরেক জোকারের হাতে বাংলাদেশও আজ ধ্বংসের মুখে।

ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর মাত্র কয়েক মাসেই ৭১% বিনিয়োগকারী বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে। ২০০-র বেশি আন্তর্জাতিক কোম্পানি গুটিয়ে ফেলেছে তাদের ব্যবসা। আমেরিকা বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের উপর চাপিয়েছে ৩৭% শুল্ক।

শ্রমিকরা ঈদে বেতন-বোনাস পায়নি। সাত হাজারেরও বেশি কারখানা আজ বন্ধের মুখে। ৫০ লক্ষের বেশি শ্রমিকের চোখে আজ শুধুই অনিশ্চয়তা আর ক্ষুধার প্রতিচ্ছবি।

এক নোবেলে মিয়ানমার শেষ, আরেক নোবেলে বাংলাদেশ শেষের পথে।
এক জোকারে ইউক্রেন হয়ে গেল ভিক্ষুক রাষ্ট্র,
আরেক জোকারে বাংলাদেশ নামবে অপমানের অতল গহ্বরে।

এবার ইতিহাস রক্তে লিখবে —
"একটি জাতি ধ্বংস হয়, যখন কমেডিয়ানরা নেতৃত্বের ভান করে আর গাধারা তালি বাজায়।"

কৃতজ্ঞতা: লুসিড ড্রিম














এত শক্তি কোথায় পেলেন আপা ⁉️ আপনার কি ভয় লাগে না ⁉️লেখক: ফয়সাল খলিলুর রহমানকর্মকর্তা, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়প্রকাশ: ২৪/...
15/04/2025

এত শক্তি কোথায় পেলেন আপা ⁉️ আপনার কি ভয় লাগে না ⁉️
লেখক: ফয়সাল খলিলুর রহমান
কর্মকর্তা, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ: ২৪/১১/২০১৮ ইং

শেখের বেটি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা হবে, সামনাসামনি কথা বলার সুযোগ পাব—এই খবর পাওয়ার পর সবকিছু যেন অন্যরকম হয়ে গেল। নাওয়া-খাওয়া ভুলে, অসুস্থ শরীর নিয়েই ছুটে এলাম সিলেট থেকে ঢাকা। ঢাকা শহরটা সবসময়ই আমার কাছে এক অগোছালো জাদুঘরের মতো মনে হয়—অপ্রয়োজনীয়ভাবে হর্ন বাজানো গাড়ি, এলোমেলো ভবন, ছটফটে কোলাহল। তবে এই শহরের কয়েকটি জায়গা—বঙ্গভবন, সংসদ ভবন আর গণভবন—কল্পনায় সবসময়ই আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে। আর আজ, আমি যাচ্ছি সেই গণভবনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে!

সকালে ঘুম ভাঙতেই গা ঝাড়া দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমার ছোট ভাই রাহিম গণভবনের গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিলো। ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)’-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে ১৫০ জন তরুণ। আমি গর্বিত যে তাদের একজন হতে পেরেছি।

বেলা ১২টায় চার স্তরের কড়া নিরাপত্তা পার হয়ে গণভবনের ভেতরে প্রবেশ করলাম। বাবা নতুন কিনে দেওয়া সবুজ শার্ট ও লাল টাই পরে এসেছিলাম, কিন্তু এসএসএফ-এর ঘষাঘষিতে সব এলোমেলো হয়ে গেছে। গেটের বাইরে তখন যশোরের কোনো এক এমপি মনোনয়ন না পেয়ে তার সমর্থকরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে চারদিক কাঁপিয়ে দিচ্ছিল। কবিতার মতো স্লোগান। থিয়েটার মুরারীচাঁদের ইয়াকুবের সঙ্গে আমি মূল প্রাঙ্গনের দিকে হাঁটতে লাগলাম।

একটা বড় প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে—প্রথমে বুঝিনি এটা কী! পরে জানলাম, ১৫০ জনের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা এখানে। হালকা বিরিয়ানি, কিন্তু আয়োজন বিশাল।

ক্যামেরা নিষিদ্ধ, তবে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করা গেল। তাই নিরাপত্তাকর্মীরা চোখ ফিরালেই অনেকেই দ্রুত ছবি তুলে নিচ্ছেন। বগুড়ার নাট্যকর্মী এঞ্জেল ভুল করে বঙ্গভবনে চলে গিয়েছিল, শেষমেশ ঠিকঠাক ঢুকতে পেরে আমাদের আনন্দ আরও বেড়ে গেল।

খাবার শেষে ঢুকলাম মূল ব্যাঙ্কুয়েট হলে। মাথার উপরে ঝলমলে ঝাড়বাতি, ঝলকে ঝলকে আলো ঝরছে। সেট সাজানো ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানকে ঘিরে। সঞ্চালক ডা. নুজহাত চৌধুরী—শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর কন্যা। তাঁর আবেগী বক্তৃতা আগেও ইউটিউবে শুনে চোখ ভিজে গিয়েছিল আমার।

তিনি বললেন, "পরীক্ষার আগে যেমন সবার মধ্যে টেনশন থাকে, প্রশ্নপত্র হাতে পেলেই তা কেটে যায়। আজকের এই টক-এ ঘটনা উল্টো—প্রশ্ন তোমাদের, উত্তর দেবেন প্রধানমন্ত্রী।"

আমি শুধু একনাগাড়ে দরজার দিকে তাকিয়ে থাকি। কখন আসবেন শেখ হাসিনা? হঠাৎ মাইক থেকে ঘোষণা এলো—প্রধানমন্ত্রী দশ মিনিটের মধ্যে উপস্থিত হবেন। ছবি তুলতে চাইলে মোবাইল বের করা যাবে, তবে সিট ছেড়ে উঠা যাবে না।

ঘটনা মজার হয়ে উঠলো। সবাই মোবাইল বের করে সেটের ছবি তুলছে, কেউ দাঁত কেলিয়ে সেলফি তুলছে। আমার পাশে বসা গ্রামীণফোনের এক আপু বললেন, “আপনি চাইলে আপনার একটা ছবি তুলে দিতে পারি।”

ঠিক তখনই এসএসএফ সদস্যরা সতর্ক করলেন। এর মধ্যেই হালকা আলোয় ভরে উঠলো পুরো হল। শান্তির এক মুগ্ধ আলোয় ঢুকলেন শেখ হাসিনা। কাঁচা-পাকা চুলের সঙ্গে মানানসই শাড়ি, প্রশান্তির হাসি মুখে। যেন সকালের রোদে স্নান করা কোনো শুভবার্তা।

তাঁকে জায়গায় বসিয়ে দিয়ে নাতি রেদওয়ান মুজিব ববি চুপিচুপি পেছনের সারিতে চলে গেলেন। শুরু হলো আলোচনার পর্ব।

প্রথমেই প্রশ্ন করা হলো—কেমন আছেন? শেখ হাসিনা মায়াভরা গলায় বললেন, “আর কেমন থাকবো বলো, এই বয়সে এত অত্যাচার!” কথাটা বলতেই আমার মায়ের মুখ ভেসে উঠলো চোখের সামনে। সত্যিই, বাংলার সব মায়েরা যেন এভাবেই কথা বলেন।

এরপর তিনি আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “তোমরা আমার নাতি-নাতনির মতো। তোমরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।”

এরপর একে একে উঠে এলো তাঁর শৈশব, কৈশোর, রাজনীতিতে আসা, সংগ্রামের দিনগুলোর গল্প। ছোটবেলায় তিনি জাল দিয়ে মাছ ধরতেন, খালে ঝাঁপ দিতেন, স্কুল পালিয়ে মিছিলে যেতেন। একবার হেডস্যারকে ফাঁকি দিয়ে স্কুলের ঘণ্টা চুরি করে ছুটি নিয়েছিলেন!

৬৬-তে যখন বঙ্গবন্ধু ৬ দফা পেশ করেন, তখন কলেজছাত্রী হাসিনা নির্বাচনে অংশ নিতে চান। মা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বলেন, “জিততে না পারলে মানুষ ভাববে ৬ দফা চায় না।” হাসিনা হাঙ্গার স্ট্রাইক শুরু করেন। শেষে দাদার সহায়তায় নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জয়ী হন।

একজন প্রশ্ন করলেন, “৭১ সালে আপনি কোথায় ছিলেন?”—তিনি বলেন, “তখন আমি গর্ভবতী। আমার পেটে ছিল জয়। বাবাকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়, আর আমাদের বন্দী করে রাখে। জয়কে নতুন কাপড় পর্যন্ত দিতে পারিনি। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও আমাদের মুক্তি দেওয়া হয় ১৭ তারিখ।”

সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত এলো ১৯৭৫-এর প্রসঙ্গে। জার্মানিতে থাকা স্বামীর অনুরোধে শেখ হাসিনা বিদেশ যান, বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা না করেই। পরে সেন্টু গেঞ্জি পড়া বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একটি মাত্র ছবি থাকে তার স্মৃতি হয়ে।

চোখে জল, মুখে দৃঢ়তা নিয়ে তিনি বলেন, “আমাকে বলেছিল—দেশে এলে মেরে ফেলবো। আমি জানতাম, আমার কাজ করতে হবে। আমি ভয় পাই না। আমার শক্তি তোমাদের মাঝেই।”

এই মানুষটার জীবনের গল্প শোনার পর একটাই প্রশ্ন মাথায় ঘুরছিল—
এত শক্তি কোথায় পেলেন আপা?
আপনার কি কখনও ভয় লাগে না?

আওয়ামের আওয়াজ কোন পথে বাংলাদেশ?দখলদার সরকারের অব্যবস্থাপনায় কমছে বেসরকারি বিনিয়োগ।
14/04/2025

আওয়ামের আওয়াজ

কোন পথে বাংলাদেশ?
দখলদার সরকারের অব্যবস্থাপনায় কমছে বেসরকারি বিনিয়োগ।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আওয়ামের আওয়াজ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share