Joy Bangla

Joy Bangla Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Joy Bangla, News & Media Website, 23 Bongohbondhu Avenue, Dhaka.

১৫ আগস্টজাতীয় শোক দিবস মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ...
14/08/2025

১৫ আগস্ট
জাতীয় শোক দিবস

মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

রোগী মরে রাস্তায়ওদের চলে "আন্দোলন"দেশের মানুষ পস্তায় বিচার করবে জনগণ।
01/08/2025

রোগী মরে রাস্তায়
ওদের চলে "আন্দোলন"

দেশের মানুষ পস্তায়
বিচার করবে জনগণ।

শুল্ক ছাড়ের বিনিময়ে সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়েছে ড. ইউনুস--- বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ই...
01/08/2025

শুল্ক ছাড়ের বিনিময়ে সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়েছে ড. ইউনুস
---
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির নামে একটি বিতর্কিত সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার ওপর গভীর প্রশ্নচিহ্ন তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর বিনিময়ে বাংলাদেশকে একাধিক কঠিন শর্ত মেনে নিতে হয়েছে, যা বিশ্লেষকরা ‘জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস’ এবং ‘সার্বভৌমত্ব বিসর্জন’ হিসেবে অভিহিত করছেন। এই চুক্তির শর্তাবলি দেশের অর্থনীতি, সামরিক নীতি, তথ্যপ্রযুক্তি এবং কৌশলগত খাতে মার্কিন প্রভাব বৃদ্ধির পথ সুগম করেছে।

চুক্তির শর্তাবলি: সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে বাংলাদেশকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মার্কিন শর্ত মেনে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শর্তগুলো হলো:

১. চীনা সামরিক প্রযুক্তি বর্জন ও মার্কিন অস্ত্র ক্রয়: বাংলাদেশ চীন থেকে সামরিক প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। এর পরিবর্তে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

২. বোয়িং বিমান ও এলএনজি বাজার: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে মার্কিন বোয়িং বিমান ও যন্ত্রাংশ ক্রয়ে বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়া, এলএনজি আমদানিতে মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি বাজার নিশ্চিত করা হয়েছে।

৩. খাদ্য ও তেল আমদানিতে মার্কিন একাধিপত্য: মার্কিন গম ও সয়াবিন তেল আমদানি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই আমদানির সংরক্ষণ অবকাঠামো গড়ে তুলতে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে অংশীদার করা হয়েছে।

৪. তথ্যপ্রযুক্তি ও লজিস্টিক নিয়ন্ত্রণ: চীনা সফটওয়্যার নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং শিপিং খাতে মার্কিন মান অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সরবরাহ করতে হবে।

৫. মার্কিন আইনের প্রতিফলন: বাংলাদেশের রপ্তানি আইনে মার্কিন আইন ও দণ্ডবিধির প্রতিফলন ঘটানোর শর্ত আরোপ করা হয়েছে, যাতে মার্কিন সংস্থাগুলো আইন প্রয়োগে অংশ নিতে পারে।

৬. সাইবার নিরাপত্তা ও ডেটা নীতি: ডেটা প্রটেকশন ও সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা তৈরিতে মার্কিন সরকার ও বেসরকারি খাতের মতামত গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

৭. নজরদারি ও এনক্রিপশন: ২০২১ সালের ওটিটি নীতিমালা সংশোধন করে মার্কিন সংস্থাগুলোর নজরদারি সহজ করা হয়েছে এবং এনক্রিপশন দুর্বল করা হয়েছে।

৮. ফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গ: ৬০০-৭০০ MHz তরঙ্গ মার্কিন প্রযুক্তির জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

৯. মার্কিন পণ্যে শুল্ক ছাড়: মার্কিন পণ্যের উপর কাস্টমস, সাপ্লিমেন্টারি ও রেগুলেটরি ডিউটি কমিয়ে বাজারে সহজ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

১০. স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ: মার্কিন সংস্থাগুলোর সনদ ছাড়া হালাল সার্টিফিকেশনসহ স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে।

১১. আমদানি লাইসেন্স বাতিল: মার্কিন কৃষি পণ্য আমদানিতে পূর্বানুমতির প্রয়োজনীয়তা তুলে দেওয়া হয়েছে।

১২. অর্থ পাচার ও পুনঃবিমা: মার্কিন কোম্পানিগুলোর মুনাফা নির্বিঘ্নে সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবং রি-ইন্স্যুরেন্স শর্ত বাতিল করা হয়েছে।

১৩. কৌশলগত খাতে মার্কিন মালিকানা: তেল, গ্যাস, টেলিকম ও ইনস্যুরেন্স খাতে মার্কিন মালিকানা বৃদ্ধির শর্ত মানা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের সমালোচনা: সার্বভৌমত্বের আপস

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আলী হোসেন বলেন, “এই চুক্তি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। মার্কিন শর্তগুলো মেনে নেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার স্বাধীন নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হারাচ্ছে। চীনা প্রযুক্তি বর্জন, মার্কিন অস্ত্র ক্রয় এবং কৌশলগত খাতে মার্কিন মালিকানা দেশকে একটি নির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করছে।” তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই চুক্তি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতি ও স্বাধীনতার জন্য ক্ষতিকর।”

অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা রহমান বলেন, “শুল্ক ছাড়ের নামে বাংলাদেশকে মার্কিন পণ্যের বাজারে পরিণত করা হয়েছে। খাদ্য, তেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মার্কিন একাধিপত্য দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে সংকুচিত করছে। এই শর্তগুলো মেনে নেওয়া মানে আমাদের বাজার ও নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা মার্কিন হাতে তুলে দেওয়া।”

জনমনে ক্ষোভ

সামাজিক মাধ্যমে এই চুক্তি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ড. ইউনূস শুল্ক ছাড়ের নামে দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করে দিয়েছেন। এটা কোনো কূটনৈতিক সাফল্য নয়, এটা জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।” আরেকজন লিখেছেন, “চট্টগ্রাম বন্দর, সেন্ট মার্টিন, এলএনজি—সবকিছু আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এটা কি বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা?”

তদন্ত ও স্বচ্ছতার দাবি

#শুল্ক #চায়না #এনসিপি #ইউনূস

ফ্রিল্যান্সার নেতা, চান্দা ভাই এখনো ভোটার হননি!
28/07/2025

ফ্রিল্যান্সার নেতা, চান্দা ভাই এখনো ভোটার হননি!

স্কুল ছাত্রদের দুরন্তপনা রুখে দেওয়ার সাধ্য কার? জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হবে বাংলাদেশের সব স্কুল। জেগে ওঠো ছাত্রসমাজ। জয়...
28/07/2025

স্কুল ছাত্রদের দুরন্তপনা রুখে দেওয়ার সাধ্য কার?

জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হবে বাংলাদেশের সব স্কুল।

জেগে ওঠো ছাত্রসমাজ।
জয় বাংলা

#জয়বাংলা

গণআন্দোলনে কোনো স্বৈরশাসকের পতন ঘটলে, সেই পতিত স্বৈরাচার আর ফিরে আসে না—এ কথাটি ঐতিহাসিকভাবে সত্য।কিন্তু বাস্তবতা হলো—শে...
28/07/2025

গণআন্দোলনে কোনো স্বৈরশাসকের পতন ঘটলে, সেই পতিত স্বৈরাচার আর ফিরে আসে না—এ কথাটি ঐতিহাসিকভাবে সত্য।

কিন্তু বাস্তবতা হলো—শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে, না তিনি স্বৈরশাসক ছিলেন, না গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাঁর পতন ঘটেছে।

এই কথাটি বলার কারণ হলো—যারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার বলতে চান এবং গণআন্দোলনের মুখে তাঁর পতন ঘটেছে বলে দাবি করেন, তাদের বলি—শেখ হাসিনা কোনো বিবেচনাতেই স্বৈরাচার ছিলেন না। ফ্যাসিস্ট শাসক হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। রাজনীতি বিজ্ঞানের কোনো সংজ্ঞাতেই শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট হিসেবে সংজ্ঞায়িত করার সুযোগ নেই।

কাজেই আপনারা নিশ্চিত থাকুন, শেখ হাসিনা ফিরবেন—শুধু ফিরবেন না, তিনি এদেশের জনগণের ভোটের মাধ্যমে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন এবং এতেই প্রমাণিত হবে যে, শেখ হাসিনা প্রকৃত অর্থেই জননেত্রী এবং দেশরত্ন।

ষড়যন্ত্রকারীরা খুব ভালোভাবে জানেন এবং অন্যদেরকেও জানিয়ে রাখি—কোনো রকম গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতন ঘটেনি, বরং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠী ও সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্যু ঘটিয়ে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে।

অতএব, তিনি ফিরবেন, আবারও ফিরবেন—ইনশাআল্লাহ।
জয় বাংলা।

— মোহাম্মদ আলী আরাফাত

১৭ দেশে আবেদনে ৭টিরই ভিসা পাননি কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাদিরইউনুস ম্যাজিক কাজ করছেনা 😁
28/07/2025

১৭ দেশে আবেদনে ৭টিরই ভিসা পাননি কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাদির
ইউনুস ম্যাজিক কাজ করছেনা 😁

বাংলাদেশকে গিলে খেতে চায় এরা!
14/07/2025

বাংলাদেশকে গিলে খেতে চায় এরা!

হটাও ইউনুসবাঁচাও দেশ
14/07/2025

হটাও ইউনুস
বাঁচাও দেশ

গত ১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন এবং ৪১০৫ ধর্ষণ! এর দায় বিএনপি জামায়াত বা এনসিপির উপর দায় দিয়ে লাভ নাই। তারা সরকার চালায় না। এর দায় স...
14/07/2025

গত ১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন এবং ৪১০৫ ধর্ষণ! এর দায় বিএনপি জামায়াত বা এনসিপির উপর দায় দিয়ে লাভ নাই। তারা সরকার চালায় না। এর দায় সুদি অবৈধ ড. ইউনুসের।

আরো একটি ইউনুসের ম্যাজিক : বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সৌদি আরবের ‘ওয়ার্ক ভিসা’ স্থগিত!সৌদি আরব বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক ভ...
02/06/2025

আরো একটি ইউনুসের ম্যাজিক : বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সৌদি আরবের ‘ওয়ার্ক ভিসা’ স্থগিত!

সৌদি আরব বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক ভিসা বন্ধ করেছে। শুনতে হয়তো একটা কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত মনে হয়—কিন্তু আসলে এটা হলো একটা আন্তর্জাতিক চপেটাঘাত। এবং এই চড়টি খাওয়া হয়েছে মোহাম্মদ ইউনুসের সেই তথাকথিত ‘অন্তর্বর্তী সরকার’-এর গালে, যারা এনজিওর চায়ের টেবিল থেকে উঠে এসে রাষ্ট্র চালাতে নেমেছে।

তারা ভাবছে, “কর্মসূচি” আর “ফান্ডিং” দিয়েই একটা দেশ চালানো যায়। বাস্তবতা হলো—রাষ্ট্র হলো হাড়ভাঙা বাস্তবতা, এখানে মিটিংয়ে বসে প্রজেক্ট প্রপোজাল বানানোর মতো কিছুই চলে না।

একটা সরল মনের প্রশ্ন : যদি এনজিও চালানো আর দেশ চালানো একই হতো, তাহলে দুনিয়ার সব দেশেই মোহাম্মদ ইউনুসের মতো “নোবেলপুষ্ট” এনজিও ডনদের দিয়ে সরকার গঠন হতো। কেন হয় না? কারণ সবাই জানে, এনজিওর আদর্শ রাষ্ট্রের রূপরেখা হতে পারে না।

এনজিওরা ত্রাণ দিতে পারে, টাকায় স্কুল বানাতে পারে, মহিলাদের গ্রুপ মিটিং করাতে পারে—কিন্তু রাষ্ট্র কূটনীতি, রাজনীতি, সামরিক ভারসাম্য, অর্থনৈতিক গ্লোবাল পজিশনিং, শ্রমবাজার কৌশল—এই ভয়ানক জটিল বাস্তব জিনিসগুলো সামাল দেওয়া এক অতিমানবীয় কাজ।

আর ইউনুস? তিনি এখনো প্রেস কনফারেন্সে “ইনোভেশন” আর “সোশ্যাল বিজনেস” নিয়ে ব্লা ব্লা করেন। সৌদি ওয়ার্ক ভিসা বাতিল করল? তিনি বলবেন—“এটা একটা ট্রানজিশনাল পিরিয়ড, আমরা একটা প্রক্রিয়ায় আছি।”

না স্যার, এটা প্রক্রিয়া না, এটা জাস্ট ডাহা ফেল মারা।

যে রাষ্ট্র কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ করতে পারে না, বিদেশি বন্ধুদের ধরে রাখতে পারে না, তাদের পক্ষে শ্রমবাজার ধরে রাখা তো দূরের কথা—নিজেদের অস্তিত্বই টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়।

সৌদি ওয়ার্ক ভিসা বন্ধের ঘটনা এমন এক সময় এলো, যখন বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় প্রবাসী শ্রমবাজার ছিল সৌদি। লাখ লাখ তরুণ সেখানে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। অনেকে ইতিমধ্যে দালালের হাতে টাকা দিয়ে বসে আছে, কেউ ধার করেছে, কেউ বসতভিটে বিক্রি করেছে।

কিন্তু তথাকথিত সরকার কী করছে? মুখে শব্দ নেই। কারণ এই সরকার অবৈধ, দায়িত্ববোধহীন, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এনজিও চালানো মানে কী?
বিদেশি ডোনারদের খুশি করা, রিপোর্ট বানানো, সেমিনারে বসে সুন্দর ইংরেজিতে বুলি আওড়া।
রাষ্ট্র চালানো মানে?
মাটিতে দাঁড়িয়ে, রক্ত-মাটি-পরিস্থিতির হিসাব করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

মোহাম্মদ ইউনুস এবং তাঁর 'শুভানুধ্যায়ী'রা আসলে এখনো বুঝতেই পারছেন না, তাঁরা কোথায় এসে পড়েছেন।

তাঁরা ভাবছেন, দেশ চালানো মানে কোনো এক ‘গভর্ন্যান্স মডেল’ বা ‘ডেভেলপমেন্ট থিওরি’ বাস্তবায়ন করা।

না ভাই, রাষ্ট্র চালানো মানে হচ্ছে জবাবদিহিতা, দায়, আস্থা অর্জন—দেশি ও আন্তর্জাতিক দুই জগতেই।

আপনারা সে জায়গায় নেই। আর দুনিয়া আপনাদের পুঁছেও না।

আজ সৌদি ভিসা বন্ধ করেছে, কাল হয়তো মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার—সবাই একে একে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ করে দেবে। কারণ তারা জানে, এখন বাংলাদেশে যেটা চলছে, সেটা কোনো সরকার না—এটা একটা সমঝোতা-চক্রে গঠিত ক্ষমতাসীন এনজিও ক্যাম্প।

প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে চলা অর্থনীতি আজ এই ‘শোভন পরিবর্তনের’ খপ্পরে পড়ে কাঁপছে।

আর এই সময়ে তথাকথিত নেতারা ইউরোপের শহরে গলা পরিষ্কার করে বক্তৃতা দিচ্ছেন—“ডেমোক্রেসি উইল বি রিবিল্ট”—আরে ভাই, আগে রাষ্ট্রটা টিকিয়ে রাখেন! নিজের লুঙ্গির গিঁঠের ঠিক নাই, আপনি আছেন চুলে কলপ কোনটা ভালো হবে সেটা নিয়ে!

ক্ষমতা দখল করলেই সরকার হওয়া যায় না — এটা দুনিয়া দেখিয়ে দিল ইউনুসকে———চীন চুপ। কাতার নিরুত্তর। আমিরাত শুধু কাঁধে হাত রেখে...
02/06/2025

ক্ষমতা দখল করলেই সরকার হওয়া যায় না — এটা দুনিয়া দেখিয়ে দিল ইউনুসকে
———

চীন চুপ। কাতার নিরুত্তর। আমিরাত শুধু কাঁধে হাত রেখেই ক্ষান্ত। সৌদি কেবল কূটনৈতিক সৌজন্যে সীমাবদ্ধ। কেউই টাকা দিচ্ছে না। কেউই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। অথচ ঢাকায় বসে এক দখলদার নামিয়ে ফেলেছে দেশের সর্বশেষ গণতান্ত্রিক অবকাঠামো, আর এখন বিশ্বসভায় নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান সাজিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একটা নির্লজ্জ তামাশা চলছে—নিয়মতান্ত্রিকতার মুখোশে, অবৈধতার মহড়া। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে পা ফেলতেই বুঝে ফেলেছেন—দুনিয়া হাসছে, কেউ পাশে নেই।

চীনে গেছেন, কাতার গেছেন, দুবাই গেছেন—সবখানে করমর্দন, সম্মেলন, বৈঠক হয়েছে। কিন্তু হাত পাতার পর ভরার কিছু নেই। কেবল শুনতে পেয়েছেন “আমরা দেখছি”, “আমরা ভাবছি”, “আমরা মূল্যায়ন করছি”। এসব কথার অর্থ একটাই—“তোমাকে আমরা সরকার হিসেবে মেনে নিইনি। আপাতত শুধু দেখছি তুমি কতটুকু ঠিকে থাকতে পারো”। এই অবহেলার বুলেটগুলো সুসজ্জিত রাজকীয় কফিনেই পোঁতা হয়েছে। টাকা নেই, প্রতিশ্রুতি নেই, কারণ আস্থার খাতা শূন্য।

যে সরকার নিজের দেশের জনগণের অনুমোদন ছাড়া ক্ষমতায় বসে, দুনিয়া তাকে কতটুকু পাত্তা দেয় সেটা আর বলার প্রয়োজন পড়ে না। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হিসাবেই তো লেখা আছে—চীন কোনো ঋণ দেয়নি। মধ্যপ্রাচ্য দিয়েছে বটে, তবে এতটাই নগণ্য যে সেই ঋণকে তালিকার ভেতরে স্থান দেয়া হয়নি। এরচেয়ে বড় অপমান আর কী হতে পারে?

এখন প্রশ্ন হলো—কেন দিচ্ছে না? চীন তো একসময় ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে কৌশলগত অংশীদার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বহু বছর ধরেই বাংলাদেশে বিপুল অর্থ প্রবাহিত করে এসেছে। তাহলে এখন কেনো তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? কারণ তারা জানে, এই সরকার টেকসই নয়। এই সরকার বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই সরকার অবৈধ।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির সবচেয়ে মৌলিক নীতিগুলোর একটি হলো—নাগরিক-সমর্থনহীন সরকারের সঙ্গে বড় চুক্তি করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এ সরকার যেকোনো সময় উড়ে যেতে পারে, যেকোনো সময় ইতিহাসের গর্তে চাপা পড়ে যেতে পারে। তাই চীন, কাতার, আরব আমিরাত কেউই টাকা ঢালার ঝুঁকি নিচ্ছে না। সৌজন্য রক্ষা করে মুখে বলছে "সমর্থন করছি", কিন্তু কার্যত কিছুই করছে না।

আর এই তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্ররা এখন কেবল অপেক্ষায়—কবে চীন বা কাতার কিছু বলবে, কবে একটা চিঠি আসবে, কবে কেউ বলবে “হ্যাঁ, নিচ্ছি তোমাদের সিরিয়াসলি।” কিন্তু এমন কোনো দিন আর হয়তো আসবে না। কারণ বিশ্ব জানে, জনগণের অনুমোদন ছাড়া গড়ে তোলা যে কোনো কাঠামো—তাতে পেরেক মেরে লাভ নেই। ওটা টিকবে না।

আজ এই সরকারের আন্তর্জাতিক বেইজ্জতির হিসাবটা শুধু অর্থনৈতিক নয়—এটা রাজনৈতিক, এটা নৈতিক। ক্ষমতায় বসার ছক কষে যারা মনে করেছিল বিদেশি শক্তি তাদের কাঁধে হাত রাখবে, আজ তারাই সবচেয়ে বেশি চুপচাপ, কারণ সেই হাত আসেনি। কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। দুনিয়া দেখছে, বুঝছে, কিন্তু বলছে না। তারা শুধু কাজের মাধ্যমে বলে দিচ্ছে—"আমরা পেছনে নেই।"

শেষ কথা একটাই—বিশ্ব যখন চুপ করে দেয়, বুঝে নিতে হয়—তোমাকে তারা মেনে নেয়নি। যত কাগজে-কলমে ক্ষমতা থাক, যত পতাকা সামনে উড়ুক—বিশ্বাস আর সমর্থন ছাড়া কিছুই টিকে না। এই সরকার শুধু দেশের ভেতরে নয়, বাইরেও আজ নগ্ন, একা, অবহেলিত। এটা তাদের বানানো ইতিহাসেরই উপযুক্ত ফল।

Address

23 Bongohbondhu Avenue
Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Joy Bangla posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share