
10/05/2025
পৃথিবী যখন নিরক্ষরতা, বর্বরতা এবং পাশবিকতার নিশ্ছিদ্র আঁধারে নিমজ্জিত ছিল, তখন বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মাদ )ﷺ( ঐশী জ্ঞানের মশাল জ্বেলে মানবজাতিকে আলোকিত পথের দিকে আহ্বান জানিয়েছেন। মাত্র তেইশ বছরে তিনি যে বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন, এই জ্ঞানই ছিল তার নেপথ্য শক্তি। তিনি এক অথর্ব, যাযাবর ও নিরক্ষর জাতিকে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন।
জাগতিক বিদ্যার প্রতিও তার মনোযোগ কম ছিল না। তার পৃষ্ঠপোষকতায় ভাষাবিজ্ঞান; হিসাববিজ্ঞান; সমরনীতি; চিকিৎশাস্ত্রসহ নানাবিধ জ্ঞানের ব্যাপক চর্চা হতে শুরু করে। তিনি শিক্ষার বিনিময়ে বদরযুদ্ধে বন্দিদের মুক্তি দিয়েছেন। আশআরী সম্প্রদায় তাদের প্রতিবেশীদের শিক্ষাদানের ব্যাপারে উদাসীনতা করলে তিনি তাদের শাস্তির আওতায় আনার হুমকি দিয়েছেন। কুসংস্কার ও ভ্রান্ত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
তিনি যেমন রাসূল হিসেবে আগমন করেছেন, তেমন তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক। কেমন ছিল তার পাঠদান পদ্ধতি? কীভাবে তিনি শিক্ষার্থীদের শাসন করেছেন? কীভাবে তাদের মেধা যাচাই করেছেন? কীভাবে তাদের মতামত মূল্যায়ন করেছেন? বক্ষমাণ বইটিতে যেন তা সচিত্র পরিস্ফুটিত হয়েছে।
অনুরূপ নববী আদর্শের একজন শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য, শিষ্টাচার, নিয়মানুবর্তিতা, অভিনিবেশ, অধ্যবসায় এবং একনিষ্ঠতা কেমন হওয়া উচিত, সেটি বইটিতে প্রতিভাত হয়েছে।
বইঃ প্রিয় নবীজির জ্ঞানচর্চা
লেখকঃ ড ইউসুফ আল কারযাবী
অনুবাদঃ মামূনুর রশীদ
পৃষ্ঠাঃ ১৬৪
নির্ধারিত মূল্যঃ ১৭৫