04/05/2025
বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ অভিভাবকদের কাছে মনে হয় অনলাইন গেম তথা পাব্জি,ফ্রী-ফায়ার একটি অনলাইন আসক্ত গেম যার মাধ্যমে তার সন্তান ভুল পথে যাত্রা করে।কিন্তু আদও কি তারা জানে এই ই-স্পোর্টস সম্পর্কে?প্রতিটি জিনিসের ভালো খারাপ ২টি দিক বিদ্যমান। কয়েকটি পয়েন্ট যদি বিশ্লেষণ করে দেখি তাহলে দেখা যায়,,,,
১/যারা এই গেমে আসক্ত তারা বেশির ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক নয় এবং তাদেরকে অইভাবে গাইড লাইন দেওয়া হচ্ছে না পরিবার থেকে যার ফলে তারা আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।
২/তারাই এই সেক্টরটিকে নষ্ট করছে যারা ই-স্পোর্টসকে বুঝে না। কথায় আছে না যারা খারাপ তাদের সামনে যত ভালোই জিনিস রাখা হোক না কেন তারা খারাপটাকেই বেছে নিবে।
এখন আসি কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে
১/ই-স্পোর্টস এমন একটি প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা। বাহিরের দেশ গুলোতে এই দিকটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় যার জন্য সেই দেশ গুলো তাদের পরিচিতি লাভে ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১ধাপ করে এগিয়ে রয়েছে।
২/আমরা সাধারণত জানি ক্রিকেট বা ফুটবল টুর্নামেন্ট গুলোতে জাতীয় পর্যায় প্রাইজ মানি থাকে সর্বোচ্চ ১০০/২০০কোটি টাকা???কিন্তু এই ই-স্পোর্টস সেক্টরে প্রাইজমানি সম্পর্কে কি কারো ধারনা আছে?যদি এইবারের world series এর কথাই বিবেচনা করি সেখানে প্রাইজমানি হিসেবে থাকছে ৭০০কোটি টাকা।
৩/এছাড়া শুধু একজন খেলোয়াড় হয়ে নয় একজন ব্রডকাস্টার,কাস্টার,গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়েও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব। যা ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
আমাদের সকলের উচিত ই-স্পোর্টসকে সঠিকভাবে বোঝা,সঠিকভাবে জ্ঞান অর্জন করে সঠিক উপায়ে সামনের দিকে আগানো। তাহলে ১% হলেও আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।
সর্বোশেষ দীর্ঘ ৪বছর পর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে FFBC 2.0 যার প্রাইজমানি থাকছে ৬০লক্ষ্য টাকা। চ্যাম্পিয়ন টিম কোয়ালিফাই করবে world series এ।