
08/10/2025
আফগানিস্তান সহজ জয়ে দেখিয়ে দিল, দুই দলের ওয়ানডে পার্থক্য কতটা স্পষ্ট। তারা র্যাংকিংয়ে সাতে, আমরা দশে—কারণটা মাঠেই পরিষ্কার। এই ম্যাচ হারের পরেও সিরিজ ২-১ এ জিতলেও বাংলাদেশ র্যাংকিংয়ে দশেই থাকবে।
২০২৩ সালে ঘরের মাঠে, ২০২৪ সালে আমিরাতে আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। এবারও ২০২৫ সালে একই পথে হাঁটার আশঙ্কা জাগছে। প্রশ্ন হচ্ছে—বাংলাদেশ আদৌ ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জেতার মতো সক্ষমতা দেখাতে পারবে কি?
ব্যাটিং লাইনআপের প্রতিটি ধাপে—ওপেনার, মিডল অর্ডার, লোয়ার মিডল—আফগানিস্তানের থেকে আমরা পিছিয়ে। শান্তর ব্যর্থতা (মাত্র ২ রান) ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।
বোলিং আক্রমণেও ভরসা নেই। তানজিম সাকিব একমাত্র উজ্জ্বল, মিরাজও ঠিকঠাক করেছেন। কিন্তু তাসকিন ছন্দে নেই, হাসান মাহমুদ প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ, তানভীর ইসলাম ভালো শুরু করেও শেষ করতে পারেননি। এবার ভাবুন, এই আক্রমণের বিপরীতে আফগানিস্তানের রাশিদ খান ১০ ওভার বল করেন—যেখানে টি২০-তে তিনি মাত্র ৪ ওভার করেন। এই অতিরিক্ত ৬ ওভারই বাংলাদেশকে তছনছ করার জন্য যথেষ্ট।
২২১ রান এই ফরম্যাটে প্রতিযোগিতামূলক নয়। ব্যাটিংয়ের ভঙ্গুরতা ওয়ানডে ক্রিকেটের সঙ্গে মানায় না। নতুন প্লেয়ার না থাকলে বর্তমানদের দ্রুত উন্নতি করতে হবে, নাহলে এই ফরম্যাটে ভরাডুবি চলতেই থাকবে।