07/10/2025
🌙 উলামায়ে কেরাম —
আত্মসমালোচনার এখনই সময়
আজ আমাদের সমাজে ইসলামকে মানুষ যতটা শুনছে, ততটা বুঝছে না।
কারণ ইসলাম এখন ওয়াজের মঞ্চে সীমাবদ্ধ, বাস্তব জীবনের পরিবর্তনে নয়।
📢 প্রশ্ন হলো:
এই অগণিত ওয়াজ, অজস্র মাহফিল — সত্যিই কয়জন মানুষকে হেদায়েতের পথে আনছে?
নাকি ওয়াজ এখন কেবল টাকার বিনিময়ে আয়োজন করা এক বিনোদনমূলক ইভেন্টে পরিণত হয়েছে?
---
⚖️ উলামায়ে কেরামের প্রকৃত দায়িত্ব কি হওয়া উচিত ছিল—👇
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো আমাদের সম্মানিত ওলামায়ে কেরামগণ চিন্তাভাবনা করার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ।
1️⃣ ইসলামি রাজনীতিকে মেইনস্ট্রিম করা।
জনগণকে সৎ নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ করা, ইসলামী ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন করা।
কিন্তু বাস্তবতা হলো — তারা নিজেরাই দলাদলি, ফিতনা আর পারস্পরিক শত্রুতায় জড়িয়ে জনতাকে ইসলামবিমুখ করে তুলেছেন।
2️⃣ শিক্ষাব্যবস্থা ইসলামিকরণ করা।
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে বিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি সবই ইসলামি চেতনায় যুক্ত হবে।
কিন্তু আলিয়া–কওমি–হাফেজি–জেনারেল এই বিভাজন তৈরি করে তারা মূলধারার শিক্ষার বাইরে নিজেদের আলাদা জগত বানিয়ে ফেলেছেন।
3️⃣ মসজিদকে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা।
নারীরা যেন নিরাপদে, সম্মানের সঙ্গে মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেন — এটি ইসলামেরই শিক্ষা।
কিন্তু উলামায়ে কেরামের অনেকেই নারীদের মসজিদ থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন, যা ইসলামের ন্যায্যতা ও অন্তর্ভুক্তির চেতনার পরিপন্থী।
4️⃣ দাওয়াতি কোমল মনোভাব ধারণ করা।
রাসূলুল্লাহ ﷺ ছিলেন দাওয়াতের প্রতীক — ভালোবাসা, ধৈর্য ও কোমলতার মাধ্যমে মানুষকে বদলাতেন।
কিন্তু আজ অনেক ওয়াজে আমরা দেখি কঠোর ভাষা, হুমকি, ভয় ও ঘৃণার প্রচার। এতে মানুষ ইসলামকে নয়, ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
---
💔 বাস্তবতা হলো —
উলামায়ে কেরাম যদি “ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া” হন, তবে নবীদের মতো সমাজ পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেওয়া, শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার করা, জনগণের ঐক্য গঠন করা — এ দায়িত্ব তাঁদেরই।
আজ আমাদের প্রয়োজন এমন আলেম,
যিনি বক্তা নন — সংস্কারক।
যিনি মঞ্চে নয় — সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন।
যিনি বিভাজন নয় — ঐক্যের আহ্বান জানাবেন।
---
🌿 ইসলাম মঞ্চে নয়, মন ও ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনাই এখন সময়।