Life of Tanver

Life of Tanver Travel with Tanver Islam Rezvy Business queries- [email protected] Hi everyone! I am Tanver Islam Rezvy.

I am a travel vloggerer. I explore the world and make video content for youtube. For business collaboration contact this mail - [email protected]

২০২৫ এ এসে পোল্যান্ড higher studies জন্য choose করা উচিত? - হ্যা/না এটা নিয়ে বিস্তর ভাবে আপডেটেড একটা ভিডিও দিলে কেমন হ...
12/07/2025

২০২৫ এ এসে পোল্যান্ড higher studies জন্য choose করা উচিত?
- হ্যা/না

এটা নিয়ে বিস্তর ভাবে আপডেটেড একটা ভিডিও দিলে কেমন হয়?

এই পোস্ট এর কমেন্টে আপনাদের সবার প্রশ্ন করতে পারেন। যথা সম্ভব চেষ্টা করব নেক্সট ভিডিও তে সব তুলে ধরার!

09/07/2025

কোমলমতি ভাই ও বোনেরা স্কলারশিপ আর প্রফেশনাল স্কিল ছাড়া বিদেশ, রিফিউজিদের জীবন সেই সব স্টুডেন্টদের চেয়ে ভালো। হয় এস্পার না হয় ওস্পার!
বাচ্চারা উরাধুরা ielts দেয়ার আগে নিজের শক্তি, সামর্থ্য, মনোবল, pros & cons নিয়েও ভাবো!
তারপর জার্মান, মেন্ডারিন, কোরিয়ান যেই ভাষা লাগে শেখো। এর পর ছড়াই যাবা না ছিটাই যাবা, সিদ্ধান্ত তোমার।

08/07/2025

গত ১/২ মাসে জাপান,জার্মানি মিলিয়ে ৩ জন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট আত্নহত্যা করে জীবন বিসর্জন দিয়ে দিল। আহারে জীবন! হাজার মাইল দূর দেশে বসে এমন আত্নাহুতি ভুক্তভুগি পরিবার এর জন্য যেমন কষ্টদায়ক তেমনই সেইসব দেশের কমিউনিটির জন্যও একটা বিব্রত অবস্থার কারণ!
যারা বিদেশ আসে সেটা হোক student কিংবা work purpose যেভাবেই আসুক বিদেশ কখনোই অতিসুখের জায়গা না।
যে লোক বলবে বিদেশ অনেক সুখে শান্তিতে থাকার দেশ, ielts দিয়ে আপনারা চলে আসেন। সেইসব বাটপার দের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবেন। কারণ দিন শেষে তারাও হায় হুতাশ করে কিন্তু সহজে কাউকে প্রকাশ করে না।
বিদেশ আসলেই আপনি প্রথমে কালচারাল শক খাবেন, ড্রাগস এলকোহল সহজলভ্য হওয়াতে সহজেই এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে হবেনই, ইংলিশ স্পিকিং কান্ত্রী না হলে যুক্ত হবে ভাষাগত সমস্যা, ভিন্নধারার পড়াশুনার ব্যবস্থার সাথে এডজাস্ট করতে না পারা, আর স্কলারশিপ ছাড়া আসলে টিউশন ফি-এর প্রেসার, বন্ধু পরিজন ছাড়া একাকিত্ব, সাথে যুক্ত হয় নিজের ফ্যামিলির আর্থিক চাপ!
আমাদের বাঙ্গু সমাজ বিদেশ মানেই বুঝে টাকার পাহাড়! কারণ হিসাব করেই ১ ডলার/ইউরো মানে ১৫০ টাকা,
এটাতে আসলে আপনি কাউকে দোষারোপ করতে পারবেন না। তাছাড়া আমাদের আসে পাশের এমন অনেক বাপ মা আছে তারা এসে আপনার বাবা মা কে অহংকার এর সুরে, বড়াই করার জন্য বলবে “আমার ছেলে/মেয়ে মাসে ৫/৬ লাখ টাকা কমায়” এর পর এই কথায় বাবা মা সহজে প্রভাবিত হয় আর মনে করে বিদেশ মানেই টাকা আর টাকা।
এখন আমাকে অনেকেই গালমন্দ করতে পারেন যে “আপনি বিদেশ গেছেন দেখে বড় বড় কথা বলতেছেন”
সত্যি বলতে আমাকে গালমন্দ করলেও আমি বলব বিদেশ সুখ শান্তির জায়গা না। আর ইহুদি খ্রিস্টানদের দেশে তো আরও নয়!
আমি কখনোই কাউকে বিদেশে আসার জন্য উদ্ভুদ্ব করি না। অনেক ভুইফোড় so called Content creator আছে যারা সস্তা ভিউ ব্যবসার জন্য যা না তাই ভিডিওর মাধ্যমে পাবলিক কে গেলানোর চেষ্ঠা করে।
নাম মেনশন করব না তবে কেউ কেউ তো বলে ielts দাও আর দেশ ছাড়ো, বিদেশ আসলে ভাতের অভাব হবে না, আজকে দেশে না খেয়ে থাকলে কেউ খোজ নিবে না, বিদেশ এসে ইউরো ডলার কামাও আর নিজের জীবন সাজাও! এগুলা ডাহা মিথ্যা কথা!
বরঞ্চ বিদেশ আসলে আপনার ভাতের অভাব হবে, এক বেলা খেয়ে দুই বেলা না খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হবে, আপনি এক বেলা না খেয়ে থাকলে কেউ ফিরেও দেখবে না আপনি খেয়েছেন কিনা, টিউশন ফি এর চিন্তায় রাতে ঘুম হবে না এমনকি বাধ্য হয়ে কেউ কেউ সেমিস্টার ড্রপ করে! এটাই মেক্সিমাম বিদেশ আসা মানুষের চিত্র! কেউ প্রকাশ করে কেউ করে না!
অথচ আপনি দেশে আর যাই হোক ভাতের অভাবে আপনি মরবেন না! কিছু না করতে পারলেও আপনার পাশে দাঁড়ানোর মানুষের অভাব হবে না। একটা না একটা গতি আপনার হবেই। অন্তত আপনি আত্নহত্যা করতে গেলেও আপনাকে বাধা দেয়ার মতো একজন হলেও পাবেন।
কিন্তু বিদেশে আসলে কেউ করো না। প্রত্যেকে যার যার জীবনে স্ট্রাগল করতেছে। চাইলেও আপনাকে দেখার মতো সময় করো হবে না। এমনকি আপনার নিজেরও হবে না কাউকে দেখার সময়। কারণ আজকে আপনি করো জন্য একটা দিন ব্যয় করা মানে আপনার পরের সপ্তাহের উপর্জনের হিসাব খাতায় ধার দেনা যুক্ত হবে।
হ্যাঁ বিদেশে আসলেই অনেক টাকা। কিন্তু সেটা বাংলাদেশের টাকায়। কিন্তু সেই দেশের তুলনায় ওই টাকা কিছুই না।
মোস্ট অফ দ্য ইউরোপিয়ান দেশে আপনি ৭০০/৯০০ ইউরো ইনকাম করতে পারবেন এতে কোন সন্দেহ নাই। টাকার হিসেবে লাখ টাকা! শুনতে অনেক মুখরোচক লাগে কিন্তু সেই দেশের তুলনায় এই টাকা কিছুই না। কারণ যে দেশে আপনি ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করবেন সে দেশে আপনার বাসা ভাড়া, খাওয়ার খরচ, যাতায়াত খরচ, ইনসুরেন্স খরচ, মোবাইল বিল ৬০/৭০ হাজার টাকা! তো পকেটের বাকি ২০/৩০ হাজার টাকা আপনি দেশে পাঠাবেন নাকি টিউশন এর জন্য জমাবেন। সেই কুল কিনারা করতে পারবেন না।এত কিছুর পরেও আপনি সারভাইভ করে যাবেন হয়তো কিন্তু সব শেষে আপনার ঘাড়ে চেপে বসবে একাকিত্ব! এটার কোন অল্টারনেটিভ আপনি পাবেন না।
অনেকে এডজাস্ট করতে না পেরে দেশেও ফিরতে পারে না। কারণ আমাদের নোংরা সমাজ! সমাজ বলবে “বিদেশ এর সুন্দর জীবন ছেড়ে চলে আসছো এত বড় গর্ধব আর কেউ হয় না”
সবার কথা বাদ দিলেও নিজের পরিবার মানতে চাইবে না। ঠিক এই কারণে অনেকেই নীরবে সব সয়ে যায়, কেউ টিকে যায় কেউ টিকে না।
এগুলো নিয়ে কেউ কখনোই খোলাখুলি ভাবে কথা বলে না। কারণ পাছে লোকে না আবার বলে বসে বিদেশ গিয়ে এমনে ফকিন্নির মতো থাকো কেন। তাই সব সময় দেখবেন বিদেশ আসা মানুষেরা মেক্সিমাম সময় লাক্সারিস একটা লাইফ লিড করার ভাব ধরে সোস্যাল মিডিয়াতে। জাস্ট ফর সোস্যাল স্ট্যাটাস ধরে রাখার জন্য ।
আপনি বিদেশ আসলে আপনাকে অবশ্যই বাবা দাদার টাকার ব্যাকআপ নিয়ে আসতেই হবে নয়তো বিদেশ আসলে টাকা ঠিকই কামাবেন কিন্তু পেটে ভাতে চলতে হবে আর পড়াশুনা তো কবেই স্থফা দিতে হবে সেটা বলার অবকাশ নাই।
এর পর কি করে সবাই?
বছর চারেক রেস্টুরেন্টের থালা বাসন মেজে আর নয়তো ফ্যাক্টরিতে গায়ে গতরে খেটে কিছু টাকা পয়সা জমাবে।
এটা আপনি বিদেশ আসা আপনার কোন কাছের বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেন আমার সাথে দ্বিমত করবে না। আমি লিখে দিতে পারি! হ্যাঁ হাতে গোনা ভাগ্য গুনে কেউ কেউ ভালো অবস্থান বানায় নেয় তবে সেটাও তার একান্ত ব্যক্তিগত স্ট্রাগল এর কারণে। সবাই সেটা পারে না!
হ্যাঁ বিদেশ তাদের জন্য সুন্দর যাদের পারিবারিক আর্থিক সামর্থ্য ভাল, স্কলারশিপ নিয়ে আসছে, ভালো কোন প্রফেশনাল জব নিয়ে আসছে।
কিন্তু আমাদের দেশের মেক্সিমাম মানুষ ধার-দেনা, লোন করে বিদেশ এসে জীবন কে জাহান্নাম বানায় ফেলে।
জীবন তো একটাই, নিজ হাতে নষ্ট কইরেন না, বিদেশ এ টিকতে না পারলে দেশে চলে জান। দেশের মাটিতে মরলেও মাটি দেয়ার লোকের অভাব হবে না, বিদেশ বাড়িতে মরলে আপনার মৃত দেহ মর্গে পড়ে থাকবে দিনের পর দিন, দেখারও কেউ থাকবে না!

02/06/2025

২০২৫ সালে পোল্যান্ড কে আপনার ডেস্টিনেশন কান্ট্রি হিসেবে চুজ করা উচিত?

18/05/2025

পোল্যান্ড এ আজকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত পোল্যান্ড এর নাগরিক দের মধ্যে এন্টি-ইমিগ্রেশন মনোভাব বেড়েই যাচ্ছিল। যার ফল স্বরূপ ২০২৪ সাল থেকেই এক প্রকার ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ওয়ার্কারদের ইমিগ্রেশন law কঠোর ভাবে রেগুলেট করা শুরু করে। মোটামুটি ধরা যাচ্ছে যে নতুন সরকার ফর্ম করবে এবার তারা আরও এগ্রেসিভলি মাইগ্রেন্ট রুলস এন্ড রেগুলেশন ইম্পোজ করবে!

ব্যস্ততার কারণে তেমন একটা ভিডিও দেয়া হচ্ছিল না। তবে কিছু দিনের মধ্যে পোল্যান্ড রিলেটেড ভিডিও আপলোড করবো।

17/04/2025

নিয়ন বাতির আলোয়! Rahin Islam

Finally Reached the 100K USD club in Upwork!মার্চের ২৬/২৭ তারিখেই দুপুর বেলা এক সাথে দুইটা নিউজ পাই, একটা গুড নিউজ আরেকট...
14/04/2025

Finally Reached the 100K USD club in Upwork!
মার্চের ২৬/২৭ তারিখেই দুপুর বেলা এক সাথে দুইটা নিউজ পাই, একটা গুড নিউজ আরেকটা ব্যাড নিউজ!
Bad news was FB id suspended !
Good news was my life time earnings in Upwork reached 100k USD!
২০১৫/২০১৬ সালে যখন ফ্রিলানিং ক্যারিয়ার শুরু করি তখন দেখতাম কমিউনিটির বড় বড় ভাই ব্রাদাররা ১০০/২০০/৩০০k এর ক্লাবে। তখন ভাবতাম ইনশাআল্লাহ আমিও একদিন 100k ক্লাব রিচ করব! যদিও unofficially এটা অনেক আগেই হয়ে গেছিল কিন্তু একজন ফ্রিলান্সার হিসেবে একটা নির্দিষ্ট মার্কেটপ্লেসে অফিসিয়ালি রিচ করতে পারাটাও আমার কাছে অনেক বড় কিছু!
তবে Delhi এর আগ্রা তাজমহল থেকে Madrid এর রোমান রয়েল ক্যাসেল, Mirpur স্টেডিয়াম থেকে Bercelona এর ক্যাম্প ন্যু কিংবা ঢাকার হাতিরঝিল থেকে Switzerland এর Luzern অব্দি পৃথিবীর যতগুলা দেশ ঘুরে দেখার এচিভমেন্ট আনলক করছি সব গুলাই অপূর্ণ অপূর্ণ লাগছিল! কারণ আমার ব্যক্তিগত আয়রোজগার দিয়েই আমি দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াই।
জীবনে তেমন বড় কোন এচিভমেন্ট নাই তবে কেউ জিজ্ঞেস করলে আমি বলব আমার ১০ বছর ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ারের এচিভমেন্ট এর লিস্টে সবার উপরে থাকবে আমার upwork এর লাইফ টাইম আর্নিং 100K USD!
আজকের এই জায়গায় আসাটা আমার জন্য মোটেও সহজ কোন কাজ ছিল না। শুনতে যতটা মুখরোচক মনে হলেও। জীবনের এই স্টেজে সত্যিই সবাইকে অনেক স্ট্রাগল করতে হয়! আমরা শুধু সফলতার গল্প গুলাই শুনি। কিন্তু এর পিছনে কত শত নির্ঘুম রাত হতাশা ব্যর্থতা ছিল তা কেউ শুনে না বা শুনতে চায় না!
কেউ যখন বলে আমি ফ্রিলান্সিং করব আমাকে শেখান আমি কাউকে মোটিভেট করি না। এর সব থেকে বড় কারন-
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন educated person এর একাডেমিক ক্যারিয়ার শেষ করে প্রফেশনাল ফিল্ডে এসে এক্সপেক্টিং স্যালারি থাকে ২০/৩০ হাজার আর এই ২০/৩০ হাজার টাকা আয়ের জন্য সময় ব্যয় হয় on an average 15 বছর।
আর মাত্র ৩ মাসের একটা ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে আপনি এক্সপেক্ট করেন ঘরে বসে লাখ টাকা ইনকাম! এটা সম্ভব না।
আমিও এমনটা কোনদিন ভাবি নাই।
পোস্টের প্রতিটা ছবি আর তার ক্যপ্সহন সাক্ষী আমার এই গত হওয়া ১০ টা তা বছরের।
আমি এই দিন গুলা প্রায়ই মনে করে নিজেকে নিজের অণুপ্রেনা দেই। আমি সব সময় বলতাম নিজের চাইতে বড় মোটিবেশন কেউ হতে পারে না। ইটস ট্রু!!!
সাল যখন ২০১৫ স্কুল জীবন শেষ করে সবাই কলেজ লাইফে তখন আমার সামনে আসে ভয়াবহ এক সংকট।
সংকট এতটাই প্রকট ছিল আমাকে বেছে নিতে হতো একটা অপশন হয় পরাশুনা নয়তো দায়িত্ব।
আমার ওই বয়সী সবাই বলা যায় উরন্চণ্ডী হয়ে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু আমার বেলায় একটু ভিন্ন ছিল। সম্ভব ছিল না।
নটর ডেম কলেজ, ময়মনসিংহ শাখায় এডমিশন পাই। কিন্তু যেতে পারিনি কারণ আমার ফ্যামিলি তখন দুই ভাগ এর খরচ বহন করতে হবে বাবার।
স্যাক্রিফাইস করে দিলাম তাদের দিকে তাকিয়ে দেশে সনামধন্য কলেজ নটরডেম।
বন্ধুর মামা Ashikur Rahman Mohin পরামর্শে চলে গেলাম Technical Education ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ নিজের পছন্দের সাবজেক্ট Architecture এ পড়ার জন্য। মানতে কস্ট হলেও মেনে নিয়েছিলাম তখন।
সেই সাথে শুরু হইল জীবন যুদ্ধ।
আমি কখনোই নিজের অতীত ভুলি না। আজকের আমি এই আমি এমনি এমনি হয়ে যাই নাই। আমাকে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজের পোড়াইতে হইছিল।
যেই সময়টা আমার দিনের শুরু হতো টিউশন দিয়ে আর দিনের শেষ হতো টিউশন দিয়ে। দিনের মধ্য ভাগের অল্প সময় টুকুতে করতাম নিজের কলেজ।
আমার মনে পড়ে ঘর্মাক্ত আমি সন্ধায় কলেজ শেষে করে। কলেজ থেকে বের হয়ে ফিরতি পথে শার্ট চেঞ্জ করে চলে যেতাম টিউশন এর বাসায়। বের হয়ে বাসায় আসতে আসতে রাত ১১টা বেজে যেত।
নিজেকে বসবার ফুরসত দিতাম না।
নিজের ইনকাম এর টাকায় ব্রডব্যান্ড কানেকশন নিয়েছিলাম। টার্গেট ছিল নিজেকে কিছু একটাতে স্কিল ডেভলপ করতেই হবে।
সারাদিনের স্ট্রেস,ক্লাস, টিউশন শেষে সেই রাত ১১/১২ টা থেকে শুরু করে মধ্য রাত অব্দি চলত। দিনের পর দিন রাতের পর রাত নিজেকে ডেভলপ করি একটু একটু করে।
তবে এসব এর জন্য যেটা হয় আমি আমার বন্ধু-পরিজন সব ত্যাগ করে দেই। কোন প্রকার ফ্যামিলি ফাংশনে যাইনি। কত গুলা ভাই বোনের বিয়েতেও যাই নিই। ফলে যেটা হয় অনেকের থেকে দূরে সরে যাওয়া। দীর্ঘদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি বা আউটিং এ না যাওয়াতে যেটা হয় বন্ধুদের মাঝেও আমার দূরত্ব হয়। সবাই ঘুরতে যায় আমি যেতাম না।সব দেখতাম আর ভাবতাম সময় একদিন ভালো আসবে।
সাল ২০১৬ তে আমি প্রথম কাজ পাই 5$ এর অস্ট্রেলিয়ান ক্লাইন্ট।
আমি কাউকে চিনতাম না জানতাম না ফেসবুকে তখন।কোন কমিউনিটি চিনতাম না। একটু যে হেল্প নিব তারও কোন সুযোগ ছিল না।
সমস্যা বাধে আউট অফ সিলেবাস প্রশ্ন আশায়। আমার কোন অভিজ্ঞতা ছিল না প্রিন্টিং এর ব্যাপারে। কিন্তু কাজ ছিল প্রিন্ট মিডিয়ার। সেই কাজ ডেলিভারি করতে আমার সময় লেগেছিল ৭ দিন। ক্লাইন্ট ভদ্রলোক অসম্ভব ভালো বিধায় আমাকে সময় দিয়েছিল এবং আমাকে সাপোর্ট করছিল খুব। এর পর সেই থেকে শুরু!! কোথাও থেমে থাকতে হয় নি। alhamdulillah
সময় এর সাথে সাথে একটু একটু করে সামনে আগাতে থাকি কিন্তু তখনো পুরাপুরি মাইলফলক ছুতে পারি নি। নিজের পড়াশুনার দায় দায়িত্ব এতো কিছুর পরেও আমি বসে থাকি নি। একই ধরে পড়াশুনা নিজের ডেভেলপমেন্ট টিউশন গুলা ধীরে ধীরে কমিয়ে দিয়ে একটা AD agency তে জবের অফার পাই ডিজাইনার হিসেবে। সাল তখন ২০১৭!
সেখানে শুরু হয় নতুন চ্যালেঞ্জ! আমি নিজেকে কখনোই আরাম প্রিয় অবস্থায় রাখি নাই। নিজেকে জানার নিজেকে আরও বেশি করে গ্রো করার জন্য job তা নিয়েই নেই। তবে সেটা পার্ট টাইম ছিল। ছবিতে আমার সেই মুহূর্তের অবস্থা গুলা ক্যাপশন সহ দেয়া আছে।
আমি জানি প্রতিদিন ভাতের বাটি হাতে নিয়ে ঢাকার রাস্তায় একটা প্রাইভেট জব হোল্ডার এর মানুষ এর কী নিদারুণ স্ট্রিম রোলার চলে শরীর এর উপর দিয়ে।
৬ মাসের সেই job তা ছেড়ে দিলাম সেইসময় কারণ ততদিনে আমি পুরুদুস্থর ফ্রিল্যান্সিং এ মন দেই বলে লেভেল ২ এর সেলের হয়ে যাই Fiverr এ। তা ছাড়া ইজ্রাইলি কোম্পানি হয়াতে সেই মারকেটপ্লেস এক মুহূর্তেই ছেড়ে দেই!
২০১২ সালের বিল্ড করা ডুয়েল কোর এর পিসি আর মনিটর এর ডিসপ্লে ইস্যু নিয়ে সেই অবস্থাতেই ধ্বজভঙ অবস্থাতে মাসে ৫/৬ ডিজিট এর ইনকাম জেনারেট করতেছিলাম। এর পর যখন আমার পুরা পিসি ICU তে গেল নতুন করে পিসি বিল্ড করি ১ লাখ টাকায়। এইসব কিছুই নিজের টাকায় সম্ভব হচ্ছিল। সাল তখন ২০১৭ এর শেষ দিকে।
সেই সাথে Upwork এও পুরোদুস্থর কাজ শুরু করি।
১০০০০ ডলার যখন ইনকাম ক্রস করি তখন ছোট টেবিল থেকে তখন বিশাল ৫ ফিতের কাস্টমাইজ টেবিল বানাই, পোর্টেবিলিটির জন্য গেমিং ল্যাপটপ কিনি দেড় লাখ টাকায়।
২০১৮ সালে কাজ করতে করতে পা রাখলাম upwork top rated এর ক্লাবে। সাথে পেলাম বিশাল এক মিলিয়ন ডলার এর কমিউনিটি গ্রুপ। যেখানে আমি ছিলাম সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশু কারণ আমার আগেও মিলিয়ন ডলার কামানো মানুষ আছে সেই গ্রুপে।এই মানুষ গুলার সানিধ্যে এসে নিজেও অনেক লাকি ফিল করি মাঝে মাঝে।
তবে সব কিছুর পরেও আমার এই জার্নির শুরুর দিকে যে মানুষটা ছিল যার হাতে আমি ডিজাইন শিখি তিনি ছিলেন Emrul Kaesh ভাই। ভাই জানেন কত কত রাত হতাশা ভর করত। হাতিরঝিলের প্রতিটা ব্রিজ জানে ভাই এর সাথে পরামর্শ নিতে নিতে কত কত বার হাটসি আমি ভাই এর সাথে। কৃতজ্ঞ ভাই 💙
সাথে ছিল আরো দুইটা মানুষ বন্ধু Abid Zaman আর একটা গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিল যাকে সবাই জানে অনলাইন জগতের “ফাহিম” সে এখন দুনিয়াতে নাই। এখনো মনে পড়ে কত কত রাত দুইজন মিলা স্কিল ডেভেলপ নলেজ শেয়ার করতাম। এখন এখন দুনিয়াতে নাই তবে তার জন্য আমার মন থেকে দোয়া থাকে সব সময়
এত কিছুর পরেও আর্কিটেকচার এর মতো একটা রিচ সবজেক্টে নিজের সময় দিয়ে ডিপ্লোমাও শেষ করে আসি ২০১৯/২০ সালে।
কাজের সুবাদে দিনকে দিন নিজের আপগ্রেড এর সাথে সাথে কাজেরও ধরন বদলে যাচ্ছিল দেখে আমাকেও আমার গ্যাজেড আপগ্রেড করত হচ্ছিল। নিয়ে নিলাম একটা ২ লাখ টাকার workstation laptop.
Nomads life lead করার স্বপ্ন ছিল অনেক আগ থেকেই, তাই করোনার সময় থেকেই নিজেকে গুছানো শুরু করি একটু একটু করে।
দেশ ছেড়ে দেশের বাহিরে যাব। দুনিয়া দেখতে। এই সাহস তা আসলে নেয়ার পিছনে আমার পিছনে ফেলে আসা বছর গুলা আমার অনুপ্রেরণা ছিল বলতে গেলে। কারণ এক হাতে নিজের পরিবার অন্য হাতে নিজের ক্যারিয়ার সব সামলিয়ে এই স্টেপটা আমার জন্য তো নই আমার বয়সী কোন পরিবার এর বড় সন্তান নেয়ার সাহস করবে না। কিন্তু সেই সাহস তাও নিয়ে ফেলি!
আল্লাহ সহায়ও ছিলেন বলা যায় ইউরোপের মাটিতে পা দেয়ার টিকেট পেয়ে গেলাম। চলে আসলাম পড়াশুনার জন্য ইউরোপে।
এর পর ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের আজকে অব্দি একে একে ইন্ডিয়া, সুইডেন ,পোল্যান্ড,জার্মানি,পর্তুগাল,স্পেন,
ইতালি, সুইজ্যারল্যান্ড ঘুরে ফেলি!!
জীবন সুন্দর অনেক। এই বিশাল জার্নিতে অনেক মানুষ সাথে ছিল, কেউ কেউ থেকে গেছে কেউ কেউ ছেড়ে গিয়েছে। যারা ছেড়ে গিয়েছে তাদের জন্য কৃতজ্ঞতা আর যারা এখনো পাশে আছেন তাদের জন্য অবিরাম ভালোবাসা।
এখনো প্রতিটা মুহূর্ত নিজেকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এর মাঝে দিয়ে যেতে হয়, হচ্ছে, হবে।
এই কথাগুলা যখন বলছি তখন আমি ইউরোপের একটা দেশ পোল্যান্ড থেকে বলছি। বছরের একেকটা মাস আমি এখন একেক দেশে ঘুরে বেড়ায়ে কাটাই আর Travel Vlogging করে বেরাই Life of Tanver
তবে alhamdulillah সব কিছুর পরেও নিজের আর বাবা মায়ের প্রতিটা স্বপ্ন পূরণ করতে পারছি!

Abroad কি কি স্কিল শিখে আসা উচিত একজন স্টুডেন্ট এর?ইউরোপের প্রায় প্রতিটা দেশেই একটা ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যারিয়ার থাকে। এইজন্য...
14/04/2025

Abroad কি কি স্কিল শিখে আসা উচিত একজন স্টুডেন্ট এর?

ইউরোপের প্রায় প্রতিটা দেশেই একটা ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যারিয়ার থাকে। এইজন্য প্রথম প্রথম দেশের বাহিরে আসার পর প্রায় প্রত্যেকেই odd job গুলি করা শুরু করে কুইক মানির জন্য,ফুড ডেলিভারি , রেস্টুরেন্টে কিংবা ওয়ারহাউসে।
এই সমস্ত কাজ করা কোন দোষের কিছু না তবে সমস্যা হচ্ছে এইসব কাজে খুবই মিনিমাম স্যালারি হয় , কখনও কখনও দিন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা হয়। অনেক ক্ষেত্রে নতুন দেশ, নতুন ধারার পড়াশুনা সব মিলিয়ে সেই জব করারও সময় হয় না। ফলাফল পড়ালেখা ছেড়ে দেয় অনেকে এবং ইলিগ্যাল হয়ে জব করে শুধু ।

এইজন্য আমি সব সময় বলি দেশ হোক বা বিদেশ সময় সুযোগ হলেই যেকোন নির্দিষ্ট একটা স্কিল ডেভেলপ করা উচিত।

আমাদের দূর্ভাগ্য যে অনেকে ঠিক ঠাক মতো গুগলে কিছু স্পেসিফিক জিনিস কিভাবে খুঁজে বের করতে হয় জানি না।

ইউরোপের মেক্সিমাম দেশে যেহুতু লায়ঙ্গুয়েজ একটা ব্যারিয়ার সেক্ষেত্রে আমি প্রায় সবাইকে সাজেস্ট করি

1. Web development
2. Graphics Design
3. Seo
4. Digital Marketing
5. Ui/UX design
6. Video Editing

এই জিনিস গুলার যেকোন একটার উপর নিজের স্কিল ডেভেলপ করে আসা উচিত। সব থেকে বেস্ট অপশন Web Development! কারণ সারা পৃথিবীর ভাষা ভিন্ন হলেও প্রোগ্রামিং এর ল্যাঙ্গুয়েজ সব দেশেই এক। আর ইউরোপে Web Development,Programming এগুলার HUB বলা যায়!

ডেইলি শত শত জব পোস্ট হয় লিংকডিন এ।

আর স্টুডেন্ট অবস্থায় আপনি যদি এই স্কিল নিয়ে ইউরোপে আসেন আপনার জীবনের প্রায় ৯০% সমস্য/ স্ট্রেস / টেনশন কমে যাবে।

আমাকে করা সব থেকে কমন প্রশ্ন গুলির মধ্যে কিছু প্রশ্ন এমন।

- আপনি কি পড়াশুনার পাশাপাশি জব করেন?

- আপনি কি জব করেন!

- আপনার জব এর ইনকাম দিয়ে লিভিং কস্ট টিউশন ফি দিতে পারেন?

উত্তর- আমি upwork এ একজন টপ রেটেড ফ্রিলান্সার। পড়াশুনার পাশাপাশি ফ্রিলান্সিং করি আজকে ২০১৫ সাল থেকে সাথে সাথে একটা ডিজিটাল এজেন্সিও চালাই পড়াশুনার ফাকে ফাকে। যেটা দিয়ে আমার লিভিং কস্ট, টিউশন ফি, পরিবার এর এক্সপেন্সএস সব কিছুই আলহামদুলিল্লাহ ম্যানেজেবল।

তাই আমার পরামর্শ থাকবে।

আপনি যদি দেশের বাহিরে পড়াশুনা করতে আসার সপ্ন দেখেই থাকেন তাহলে পাশাপাশি একটা নির্দিষ্ট স্কিলের উপর নিজের স্কিল ডেভলপমেন্ট করা শুরু করে দেন এখন থেকেই।

ঈদ মুবারক ✨
30/03/2025

ঈদ মুবারক ✨

29/03/2025

To whom it may concern!
Unfortunately 3 days ago My 14+ years old facebook ID has been compromised and Suspended!
Trying to recover the account!
Till then Im active in Instagram!

Advanced Eid Mubarak to All!

Worst part of being international student in abroad!Ramadan Kareem to all of my fellow Muslim brothers & Sisters 🌙
19/03/2025

Worst part of being international student in abroad!
Ramadan Kareem to all of my fellow Muslim brothers & Sisters 🌙

20/02/2025

Ask anything!

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Life of Tanver posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category