28/06/2025
ড. ইউনূস, আমাদের দেশের শ্রমিকরা কত রিয়াল পায় জানেন?
আপনাকে এই খোলা চিঠি লিখছি স্যার, প্রবাসে থাকা লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক, যারা দিনশেষে একটি প্লাস্টিকের বিছানায় শুয়ে ভাবে, "বেতনটা এবার কি ঠিকমতো পাব? যারা দিন শেষে জুতা খুলে পায়ে পানি দেয়, কিন্তু মাস শেষে ঠিকমতো বেতন পায় না।
আমরা চিঠি লিখতে পারি না স্যার। আমরা প্রতিবাদ জানাতে পারি না। আমরা কেবল চোখ মুছতে পারি যা কেউ দেখে না।
আপনার কথা টিভিতে আসে। স্মার্ট কথাবার্তা। বিদেশি মুখগুলো হাসে। আমাদের মুখে হাসি থাকে না স্যার। কারণ, আমাদের দেশের সরকার এখনো সৌদি আরবের সঙ্গে এক লাইন চুক্তি করতে পারেনি যে, "বাংলাদেশি শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন এত টাকা হতে হবে।"
ফিলিপাইন পেরেছে।
ভারত পেরেছে।
নেপাল পেরেছে।
শ্রীলঙ্কা পেরেছে।
ইন্দোনেশিয়াও পেরেছে।
আমরা পারিনি। আমরা শুধু মানুষ পাঠাতে পেরেছি। এমন মানুষ, যাদের কাছে চুক্তিপত্র নেই, যাদের মাসে একবার বেতন আসে কিনা সন্দেহ, যাদের শরীর থাকে কর্মস্থলে, কিন্তু আত্মা আটকে থাকে ট্রান্সফারের আশায়।
আপনি স্যার Nobel পেয়েছেন। চমৎকার! কিন্তু এখন যদি বলতেন,
এই শ্রমিকদের জন্যও তো একটা সম্মান থাকা উচিত, তাহলে আমরা Nobel না পেয়ে Nobel এর মতো কিছু পেতাম।
আপনার মতো একজন যদি বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য স্পষ্ট ন্যূনতম বেতন চুক্তি করুন, তাহলে মন্ত্রণালয় নড়বে। একটা খসড়া উঠবে। দালাল চক্র একটু চিন্তায় পড়বে।
এই চিঠি আপনার হাতে পৌঁছাবে না হয়তো। কিন্তু আপনি তো বিশ্বাস করেন, একটি ক্ষুদ্র চিন্তা থেকেও বড় কিছু শুরু হতে পারে।”
আমরা ক্ষুদ্র। আপনি যদি একটু আমাদের পাশে দাঁড়াতেন,
তাহলে হয়তো বেতন পেতে দেরি হলেও সম্মান পেতে আর দেরি হতো না।
আমরা আপনার প্রশংসা চাই না। আমরা আমাদের অধিকার চাই।