ঘোরাঘুরি A to Z

ঘোরাঘুরি A to Z দেশ, বিদেেশ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরব,ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো তোমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব
(1)

10/07/2025

ট্রেনের নাম কক্সবাজার এক্সপ্রেস 8️⃣1️⃣3️⃣🔹8️⃣1️⃣4️⃣

টিকিটের মূল্য:
✅ ঢাকা টু কক্সবাজার শোভন চেয়ার ভাড়া 6️⃣9️⃣5️⃣ টাকা

✅ স্নিগ্ধাতে (এসি চেয়ার) ভাড়া 1️⃣3️⃣2️⃣5️⃣ টাকা
(একই কক্সবাজার থেকে)

✅ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম: স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) ভাড়া 8️⃣9️⃣5️⃣ টাকা

শোভন চেয়ার ভাড়া 4️⃣5️⃣0️⃣ টাকা

✅ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার (শোভন চেয়ার) ভাড়া 2️⃣5️⃣0️⃣ টাকা।

✅ স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) ভাড়া 4️⃣7️⃣0️⃣ টাকা
(একই কক্সবাজার থেকে)

➡️ সময় টেবিল: কক্সবাজার রেলওয়ে ষ্টেশন অভিমুখী কক্সবাজার এক্সপ্রেস 8️⃣1️⃣4️⃣ ঢাকা কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায়।
রাত 1️⃣1️⃣🔹0️⃣0️⃣ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে পরদিন সকাল 0️⃣7️⃣🔹2️⃣0️⃣ মিনিটে।

কক্সবাজার এক্সপ্রেস 8️⃣1️⃣3️⃣ কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
দুপুর 1️⃣2️⃣🔷3️⃣0️⃣ মিনিট ঢাকায় পৌঁছাবে রাত 0️⃣9️⃣🔷0️⃣0️⃣ মিনিট

⛔ ঢাকা থেকে কক্সবাজার অভিমুখী 8️⃣1️⃣4️⃣ সাপ্তাহিক ছুটি সোমবার রাতে।

⛔ কক্সবাজার থেকে ঢাকা অভিমুখী 8️⃣1️⃣3️⃣ সাপ্তাহিক ছুটি মঙ্গলবার দিন।

জানালার পাশের (Window Seat):
✅ শোভন চেয়ারে উইন্ডো নাম্বার সমূহঃ ০১, ০২, ০৪, ০৫, ০৮, ০৯, ১২, ১৩, ১৬, ১৭, ২০, ২১, ২৪, ২৫, ২৮, (২৯, ৩২, ৩৩, ৩৬), ৩৭, ৩৯, ৪১, ৪৪, ৪৫, ৪৭, ৪৯, ৫১, ৫৩, ৫৬, ৫৭, ৫৯, ৬০৷ () টেবিল সিট।

✅ স্নিগ্ধা শ্রেণীর উইন্ডো নাম্বার সমূহঃ ০১, ০৩, ০৪, ০৭, ০৮, ১১, ১২, ১৫, ১৬, ১৯, ২০, ২৩, (২৪, ২৭, ২৮, ৩১) ৩২, ৩৫, ৩৬, ৩৯, ৪০, ৪৩, ৪৪, ৪৭, ৪৮, ৫১, ৫২, ৫৪, ৫৫। () টেবিল সিট৷

সিট:শোভন চেয়ার/S_Chair:
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত 6️⃣0️⃣🔹3️⃣3️⃣ সোজা বা যাত্রা অভিমুখী আসন এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা 0️⃣1️⃣🔹3️⃣2️⃣ সোজা বা যাত্রা অভিমুখী আসন হবে।

এসি চেয়ার/Snigdha:
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত 5️⃣5️⃣🔹2️⃣8️⃣ সোজা বা যাত্রা অভিমুখী আসন এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা 0️⃣1️⃣🔹2️⃣7️⃣ সোজা বা যাত্রা অভিমুখী আসন হবে।

কক্সবাজার এক্সপ্রেস এবং পর্যটক এক্সপ্রেসের এসি সিট:

কক্সবাজার এক্সপ্রেস এবং পর্যটক এক্সপ্রেসের প্রতিটি কোচে মোট ০৭টা করে কেবিন থাকবে।

✅ দিনের বেলায় (এসি AC সিট) চারটি ডাবল কেবিন এবং তিনটা সিঙ্গেল কেবিন৷

✅ এসি ডাবল কেবিন এর সিট গুলো হলোঃ [১-২-৩] [৪-৫-৬] [৭-৮-৯] [১০-১১-১২] [২২-২৩-২৪] [২৫-২৬-২৭] [২৮-২৯-৩০] [ ৩১-৩২-৩৩]

✅ এসি সিঙ্গেল কেবিন এর সিট গুলো হলোঃ [১৩-১৪-১৫] [১৬-১৭-১৮] [১৯-২০-২১]

✅ এসি সিট এর মধ্যে জানালার পাশের সিট নাম্বার গুলো হলোঃ ১-৪-৭-১০-১৩-১৬-১৯-২২-২৫-২৮-৩১৷

✅ রাতে ভ্রমণের সময় [এসি বার্থ] পাঁচটি সিঙ্গেল কেবিন এবং দুইটি ডাবল কেবিন থাকবে৷

✅ রাতে ভ্রমণের সিঙ্গেল কেবিন গুলো হলো: [১-২] [৭-৮] [৯-১০] [১১-১২] [১৭-১৮]

রাতের ডাবল কেবিন গুলো হলোঃ [৩-৪-৫-৬] [১৩-১৪-১৫-১৬]

এসি বার্থ এর লোয়ার নাম্বার গুলো হলোঃ ১-২-৩-৫-৭-৯-১১-১৩-১৫-১৭ এবং ১৮

সুন্দরবনের সেরা ১০টি রিসোর্ট তালিকা ও মোবাইল নাম্বার নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো : 👇👇(১) জংগলবাড়ি রিসোর্ট সুন্দরবনমংলা পশু...
08/07/2025

সুন্দরবনের সেরা ১০টি রিসোর্ট তালিকা ও মোবাইল নাম্বার
নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো : 👇👇

(১) জংগলবাড়ি রিসোর্ট সুন্দরবন
মংলা পশুর নদীর তীরে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে জংগলবাড়ি রিসোর্ট। এই রিসোর্টের প্যাকেজের সাথে ২ দিন ১ রাত রিসোর্টে থাকা-খাওয়া, ক্যানেল ক্রুজিং, মংলা থেকে পিক-আপ এবং পিক ডাউন সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

জংগলবাড়ি রিসোর্টের প্যাকেজ বা ভাড়া
১ রাতের প্যাকেজ:
প্রতি রুমে ২ জন – জনপ্রতি ৬,০০০ টাকা
প্রতি রুমে ৩ জন – জনপ্রতি ৫,০০০ টাকা
প্রতি রুমে ৪ জন – জনপ্রতি ৪,৫০০ টাকা
২ রাতের প্যাকেজ:
প্রতি রুমে ২ জন – জনপ্রতি ১০,০০০ টাকা
প্রতি রুমে ৩ জন – জনপ্রতি ৮,৩৫০ টাকা
প্রতি রুমে ৪ জন – জনপ্রতি ৭,৫০০ টাকা
যোগাযোগ
ঠিকানা: ধাংমারী রোড, খুলনা, বাংলাদেশ
মোবাইল নাম্বার: 01711-762407
ইমেইল: [email protected]
ফেসবুক পেজ
ওয়েবসাইট

(২) বনবাস ইকো ভিলেজ
মংলা পশুর নদীর তীরে সুন্দরবনের নির্জন প্রকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে বনবাস ইকো ভিলেজ। এই রিসোর্ট মোট ৫টি প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির পৃথক কটেজ রয়েছে। কটেজে শুয়ে বসে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

BM Khalid Hasan Sujon
এছাড়া বনের মধ্যে ছোট খালে ডিঙ্গি নৌকায় ঘুরে বেড়ানো, বাঁশের তৈরি রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটা, বই বা ইনডোর গেম খেলে সময় কাটাতে পারবেন। এছাড়া সন্ধ্যায় বারবিকিউ পার্টি তো রয়েছে।

বনবাস ইকো ভিলেজ কটেজ প্যাকেজ বা ভাড়া
নীল কমল (এসি) ২ জন ৭,৫০০ টাকা
কোকিল মনি (এসি) ২ জন ৭,৫০০ টাকা
অন্ধর মানিক (নন-এসি) ২ জন ৬,০০০ টাকা
কাচি খালি (নন-এসি) ২ জন ৬,০০০ টাকা
দুবলার চর (নন-এসি) ২ জন ৬,০০০ টাকা
প্যাকেজ ১
সুপেরিওর ডুপ্লেক্স নন এসি (১ রাত)
৬ জনের শেয়ারিং রুম – ২,৭০০ টাকা (জন প্রতি)
৫ জনের শেয়ারিং রুম – ৩,০০০ টাকা (জন প্রতি)
৪ জনের শেয়ারিং রুম – ৩,৩০০ টাকা (জন প্রতি)
৩ জনের শেয়ারিং রুম – ৩,৮০০ টাকা (জন প্রতি)
২ জনের শেয়ারিং রুম – ৪,৭০০ টাকা (জন প্রতি)
প্যাকেজ ২
প্রিমিয়াম কাপল এসি (১ রাত)
৪ জনের শেয়ারিং রুম – ৩,৬০০ টাকা (জন প্রতি)
৩ জনের শেয়ারিং রুম – ৪,১০০ টাকা (জন প্রতি)
২ জনের শেয়ারিং রুম – ৫,২০০ টাকা (জন প্রতি)
রুমে অতিরিক্ত প্রতি ব্যাক্তি থাকার জন্য ৫০০ টাকা চার্জ প্রদান করতর হবে।

চেক-ইন করার সময় দুপুর ০১:০০ টা এবং চেক-আউট করার সময় সকাল ১১:০০ টা।

যোগাযোগ
ঠিকানা: পশ্চিম ধংমারী, মোংলা, বাংলাদেশ
মোবাইল নাম্বার: 01897-711274
ইমেইল: [email protected]
ফেসবুক পেজ

(৩) বনবিবি ফরেষ্ট রিসোর্ট
বনবিবি ফরেষ্ট রিসোর্টে মোট ৭ টি কটেজ রয়েছে। প্রত্যেক কটেজ ও বারান্দা থেকে সুন্দরবনের প্রকৃতিক ভিউ দেখতে পাবেন। এই রিসোর্ট থেকে সুন্দরবনের নির্জন প্রকৃতি, ডিঙি নৌকায় ক্যানেল ক্রুজিং, পশুর নদীতে বোট ট্রিপ করতে পারবেন। এছাড়া রিসোর্ট থেকে করমজল ভ্রমণ করতে পারবেন।

BM Khalid Hasan Sujon
বনবিবি ফরেষ্ট রিসোর্ট প্যাকেজ বা ভাড়া
প্যাকেজ: ১ রাত ২ দিন – প্রিমিয়াম কটেজ
১ রুমে ২ জন, জনপ্রতি ৫,০০০ টাকা
১ রুমে ৩ জন, জনপ্রতি ৪,১০০ টাকা
১ রুমে ৪ জন, জনপ্রতি ৩,৭০০ টাকা
প্যাকেজ: ১ রাত ২ দিন – প্রিমিয়াম ভিলা
১ রুমে ২ জন, জনপ্রতি ৬,০০০ টাকা
১ রুমে ৩ জন, জনপ্রতি ৪,৬০০ টাকা
১ রুমে ৪ জন, জনপ্রতি ৪,১০০ টাকা
যোগাযোগ
ঠিকানা: ধাংমারী বন অফিস, খুলনা বিভাগ, বাংলাদেশ, মংলা, বাংলাদেশ
মোবাইল নাম্বার: 01886-463232, 01869-649817
ফেসবুক পেজ
(৪) ইরাবতী ইকো রিসোর্ট এন্ড রিসোর্ট সেন্টার
মংলা সুন্দরবনের পশ্চিম পাশে ধাংমারীতে সুন্দরবনের গা ঘেঁষে গোল বাগানের মধ্যে গড়ে তুলেছে ইরাবতী ইকো রিসোর্ট এন্ড রিসোর্ট সেন্টার। আমার দেখা সুন্দরবনের সেরা রিসোর্ট গুলো মধ্যে একটি।

রিসোর্টের পাশে ধাংমারী খালটিকে ডলফিনের অভয়ারণ্য হিসাবে গণ্য করা হয়। খালের পাশে ১৫-২০ মিনিট বসে থাকলে দেখতে পাবেন ডলফিন মাছ। পানির উপরে একটু লাফ দিয়ে আবার পানির নিচে চলে যায়।

ইরাবতী ইকো রিসোর্ট প্যাকেজ বা ভাড়া
ডুপ্লেক্স কটেজ: জনপ্রতি প্রতিরাত ভাড়া ৩,২০০ টাকা
প্রিমিয়াম কটেজ: জনপ্রতি প্রতিরাত ভাড়া ৩,০০০ টাকা
ইকো কাপল কটেজ: জনপ্রতি প্রতিরাত ভাড়া ৩,৮৫০ টাকা
কোয়াড কটেজ: জনপ্রতি প্রতিরাত ভাড়া ২,৬৫০ টাকা
যোগাযোগ
ঠিকানা: ধাংমারী, বানিশান্তা, দাকোপ, খুলনা
মোবাইল নাম্বার: 01404-004400
ইমেইল: [email protected]
ফেসবুক পেজ
ওয়েবসাইট
(৫) বনলতা ইকো রিসোর্ট
সুন্দরবনের দাকোপ কৈলাশগঞ্জের বুড়ির ডাবর বাজারের পাশে বন লাউডোব ফরেস্ট অফিসের পাশে অবস্থিত বনলতা ইকো রিসোর্ট। বাঁশ, কাঠ ও গোলপাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই আধুনিক মানের রিসোর্টটি। এখানে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সুবিধা সহ এসি/নন-এসি সব ধরনের কটেজ পাবেন।

যারা সুন্দরবনের প্রকৃতিক সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে উপভোগ করতে চান তাদের জন্য আদর্শ স্থান। বাংলাদেশ ট্যুর গ্রুপ (বিজিবির) তত্বাবধানে এই ইকো রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছে।

বনলতা ইকো রিসোর্ট প্যাকেজ বা ভাড়া
ইকো প্রিমিয়াম (এসি) – জনপ্রতি ৩,০০০ টাকা
ইকো সুপার (এসি( – জনপ্রতি ৪,০০০ টাকা
ডুপ্লেক্স কটেজ (এসি) – ৬,০০০ টাকা
ইকো স্পেশাল (এসি) – ৫,০০০ টাকা
বিল্ডিং (এসি/নন-এসি) – ২,৫০০ টাকা
যোগাযোগ
ঠিকানা: কৈলাশগঞ্জ, দাকোপ, খুলনা
মোবাইল নাম্বার: 01913-811474, 01911-520625
ইমেইল: [email protected]
ফেসবুক পেজ
(৬) সুন্দরী ইকো রিসোর্ট
সুন্দরবনের পাশে গ্রামীন পরিবেশে এই ইকো রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। রিসোর্ট থেকে সুন্দরবনের নান্দনিক সৌন্দর্য ও বনের আশেপাশের সহজ-সরল মানুষ জীবন-যাপন, সংস্কৃতি, ধর্ম ও প্রথা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এই রিসোর্টে মোট ৭ টি রুম রয়েছে। এর মধ্যে ৬ টি রুম এসি এবং বাকি ১ টি রুম নন-এসি গ্রুপ নিয়ে থাকতে পারবেন। যারা বড় গ্রুপ নিয়ে যেতে যাচ্ছেন তাদের জন্য এই রিসোর্ট আদর্শ স্থান। বাঁশ, কাঠ ও গোলপাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই রিসোর্ট। নিরাপদে রাত্রিযাপন করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশে খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন।

সুন্দরী ইকো রিসোর্ট প্যাকেজ বা ভাড়া
রেইন ক্যাসেল – জনপ্রতি ভাড়া ৬,০০০ টাকা
ম্যানগ্রোভ – জনপ্রতি ভাড়া ৬,০০০ টাকা
ছায়া সুন্দরী – জনপ্রতি ভাড়া ৬,০০০ টাকা
ডিমের চর – জনপ্রতি ভাড়া ৬,০০০ টাকা
গোলপাতা – জনপ্রতি ভাড়া ৫,৫০০ টাকা
বন ময়ূরী – জনপ্রতি ভাড়া ৫,৫০০ টাকা
যোগাযোগ
ঠিকানা: ধাংমারী, দাকোপ, খুলনা
মোবাইল নাম্বার: 01765-986595
ইমেইল: [email protected]
ফেসবুক পেজ
(৭) গোল কানন ইকো রিসোর্ট
মংলা পশুর নদীর তীরে অবস্থিত গোল কানন ইকো রিসোর্ট। মংলা থেকে নদী পথে বানিসান্তা বাজার ঘাট হয়ে রিসোর্টে যেতে ২৫-৩০ মিনিটের মতো সময় লাগবে। রিসোর্টে পৌঁছানোর পর আপনাকে ওয়েলকাম ড্রিংক ও স্থানীয় ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে।

গোল কানন ইকো রিসোর্ট প্যাকেজ বা ভাড়া
১ রাতের প্যাকেজ – জনপ্রতি ভাড়া ৩,০০০ টাকা
২ রাতের প্যাকেজ – জনপ্রতি ভাড়া ৬,০০০ টাকা
যোগাযোগ
ঠিকানা: পশ্চিম ধাংমারী, মংলা, খুলনা
মোবাইল নাম্বার: 01810-011141
ফেসবুক পেজ
(৮) ম্যানগ্রোভ হ্যাভেন রিসোর্ট
সুন্দরবনে যত গুলো রিসোর্ট রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ম্যানগ্রোভ হ্যাভেন রিসোর্ট। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা ম্যানগ্রোভ হ্যাভেন রিসোর্টে রাত্রিযাপন করার জন্য ৩০ টি রুম রয়েছে। রিসোর্টের প্রত্যেকটি রুম সুন্দর ডেকোরেশন করা।

রিসোর্টে খাবার জন্য আলাদা রেস্টুরেন্ট, গাড়ি পাকিং সুবিধা, জঙ্গল ভিউ ক্যাফে, কনফারেন্স হল, বোট ট্রিপ করার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক রুমের সাথে ওয়াশরুম, ঠান্ডা ও গরম পানি, ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক, স্মার্ট টিভি, ফ্যান, এয়ারকন্ডিশন, সোফা, কিং সাইজের বিছানা রয়েছে।

ম্যানগ্রোভ হ্যাভেন রিসোর্ট প্যাকেজ বা ভাড়া
৩ জনের ডিলাক্স রুম ভাড়া ৭,০০০ টাকা
২ জনের সুপিরিয়র রুম ভাড়া ৫,৫০০ টাকা
২ জনের স্ট্যান্ডার্ড রুম ভাড়া ৪,২০০ টাকা
হানিমুন রিলাক্স রুম ভাড়া ৫,৫০০ টাকা
যোগাযোগ
ঠিকানা: কৈলাশগঞ্জ, দাকোপ, খুলনা
মোবাইল নাম্বার: 01764-190586, 01722-109670
অফিস: ১২৬, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫
মোবাইল নাম্বার: 01775-011208, 01403-102700
ইমেইল: [email protected]
ফেসবুক পেজ
ওয়েবসাইট
(৯) বাদাবন ইকো রিসোর্ট
মংলা দক্ষিণ চিলা সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে সম্পূর্ণ ইকো সিস্টেমে তৈরি করা হয়েছে বাদাবন ইকো রিসোর্ট। মংলা ফেরি ঘাট থেকে এই রিসোর্টের দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার। বুকিং করা থাকলে রিসোর্ট কতৃপক্ষ আপনাকে মংলা থেকে পিক-আপ এবং পিক-ড্রপ করবে।

বাদাবন ইকো রিসোর্ট প্যাকেজ বা ভাড়া
১ রাতের জন্য জনপ্রতি ৩,৫০০ টাকা
২ রাতের জন্য জনপ্রতি ৭,০০০ টাকা
যোগাযোগ
ঠিকানা: দক্ষিণ চিলা, মংলা, বাগেরহাট
মোবাইল নাম্বার: 01736-331515, 01926-943608
ইমেইল: [email protected]
ফেসবুক পেজ

(১০) বনমালী ম্যানগ্রোভ রিসোর্ট
খুলনা দাকোপ উপজেলার পশ্চিমে ধাংমারী গ্রাম, যা সুন্দরবনের বিপরীত পাশে অবস্থিত। এই গ্রামে নান্দনিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে বনমালী ম্যানগ্রোভ রিসোর্ট। যদিও এই রিসোর্টের অবস্থান খুলনায় কিন্তু মংলা থেকে আসা-যাওয়া সহজ।

বনমালী ম্যানগ্রোভ রিসোর্ট প্যাকেজ বা ভাড়া
১ রাতের জন্য জনপ্রতি ৩,৫০০ টাকা
২ রাতের জন্য জনপ্রতি ৬,৫০০ টাকা
যোগাযোগ
ঠিকানা: পশ্চিম ধাংমারী, দাকোপ, খুলনা
মোবাইল নাম্বার: 01991-505070

#সুন্দরবন

Vlog liading
06/07/2025

Vlog liading

01/07/2025

Buffet longe uttara

28/06/2025

কিছু মানুষ চিতাবাঘ দেখতেই শুরু করে দিছে,
অমুক পাহাড়ে, অমুক রিজার্ভে দেখা গেছে!
বলতে বলতে তারা বুঝেই না-
শিকারির হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে!

এরপর? কয়েকদিন পর আর কেউ দেখবে না ।
🔴 বাঘটা আছে কি না,
🔴 খোঁজও পাওয়া যায় কি না,
শুধু নিস্তব্ধ বন আর একখানা পোস্ট পড়ে থাকবে!

একটুখানি খ্যাতি, লাইকের নেশা আর কল্পিত “বড় সংবাদদাতা” হতে গিয়ে আপনি নিজেই একজন প্রাণঘাতী হয়ে উঠছেন।

আপনার পোস্টই হয়ে যায় তাদের নিশানা ধরার GPS!
দেখিয়ে দিচ্ছেন তার মৃত্যুর পথ।
জানেন না তো? শিকারিরা ফেসবুক চেক করে, হুবহু জায়গা শনাক্ত করে, আর রাতের অন্ধকারে গুলি করে।

মাথা আছে তো? তাহলে বুঝুন:

❌ লোকেশন শেয়ার মানে “ভালো কাজ” না
✅ লোকেশন গোপন রাখা মানেই প্রকৃতির প্রতি দায়িত্ব

চিতাবাঘ বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী
আপনি একটা পোস্ট দিয়ে তাকে হত্যা করছেন, বুঝেও করছেন, না বুঝে করছেন?

সোশ্যাল মিডিয়ায় হাত চালানোর আগে একটু বিবেক চালান!

Wildlife And Snake Rescue Team in Bangladesh-WSRTBD
“আমরা বাঘ বাঁচাতে এসেছি, তাকে খুঁজে মারার রাস্তা দেখাতে না!”
এই বার্তাটাই আমরা ছড়াতে চাই, কড়া হলেও বাস্তব - কারণ "ভদ্রভাবে" বহু প্রাণী হারিয়ে গেছে।

26/06/2025

টাংগুয়ার হাওর হাউজ বোড এর তালিকা ও মোবাইল নাম্বার সহ নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো :👇👇

🟩 ব্ল্যাক পার্ল হাউস বোট (Black Pearl Houseboat)

ব্ল্যাক পার্ল হাউস বোট খরচ ও প্যাকেজ প্রাইস
রিজার্ভ ১২-১৪ জন জনপ্রতি ৮,০০০ টাকা
২ জনের রুম জনপ্রতি ৭,৫০০ থেকে ৮,০০০ টাকা

যোগাযোগ
বাড়ি # ৩৯ (২য় তলা), রোড # ০৫,
জনতা কো-অপারেটিভ হাউসিং সোসাইটি
মোহাম্মদপুর রিং রোড, ঢাকা- ১২০৭
মোবাইলঃ 01305-321843
pagePage

🟩দ্যা ক্যাপ্টেন (The Captain)

দ্যা ক্যাপ্টেন হাউসবোটে ২-৪ জন প্রতি কেবিনে) জন প্রতি খরচ হবে ১০,৫০০ থেকে ১২,৫০০ টাকা।
এছাড়া কাপল কেবিন এটাচ ওয়াশরুম (হাই কমোড) জনপ্রতি খরচ হবে ৭,৫০০ থেকে ৯,৫০০ টাকা।

যোগাযোগ
মোবাইলঃ 01601-351113
page

🟩বজরা (Bojra The Houseboat)

২ দিন ১ রাতের সুনামগঞ্জ টু সুনামগঞ্জ জনপ্রতি প্যাকেজ এ খরচ হবে ৭,৫০০ টাকা থেকে ৯,৫০০ টাকা। এছাড়া
এটাচ বাথসহ কেবিন নিতে খরচ হবে ৮,৫০০ টাকা জনপ্রতি।

যোগাযোগ
সাহেববাড়ি ঘাট, সুনামগঞ্জ
মোবাইলঃ 01610-563902
ই-মেইলঃ [email protected]
page

🟩হৈমন্তী (Hoimonti The Luxury Water Villa)

ভাড়া: ৫,০০০ টাকা থেকে ৭,০০০ টাকা।
এছাড়া ইকোনমি স্টুডেন্ট কেবিনে ৫-৬ জন এর গ্রুপ হলে ৪,০০০ টাকা জনপ্রতি খরচ হবে।

যোগাযোগ
মোবাইলঃ 01792-545656
page

🟩ফ্যালকন (Falcon – The Iconic Houseboat)

ফ্যালকন হাউসবোট এ কেবিন নিতে খরচ হবে জনপ্রতি ৮,৫০০ টাকা থেকে ১০,৫০০ টাকা

যোগাযোগ
৭৬৩, মার্স প্যালেস, স্বর্গলেন
শেওড়াপাড়া, মিরপুর
মোবাইলঃ 01897-984008, 016 80548768
page

🟩নবাব (Nabab The Haor Villa)

“নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা” ১ কেবিনে ২ জন এ জনপ্রতি খরচ হবে ৬,৫০০ টাকা থেকে ৮,৫০০ টাকা।

যোগাযোগ
রিভারভিউ ঘাট, সুনামগঞ্জ
মোবাইলঃ 01674948668 ,01701050001
ই-মেইলঃ [email protected]
page

🟩 হাওরের সুলতান (Haworer Sultan)

৪ জনের কেবিন জনপ্রতি ৫০০০ টাকা
৩ জনের কেবিন জনপ্রতি ৫৫০০ টাকা
২ জনের / কাপলদের জন্য কেবিন জনপ্রতি ৬০০০ টাকা থেকে ৭০০০ টাকা

যোগাযোগ
মোবাইলঃ 01616-534477, 01601-632795
page

আকাশের দুই মাস্টার: প্রকৃতি আর প্রকৌশলের অবিশ্বাস্য মিলভাবুন তো, আকাশপথের দুই অধিপতি একসঙ্গে উড়ছে! একদিকে পেরেগ্রিন ফ্যা...
24/06/2025

আকাশের দুই মাস্টার: প্রকৃতি আর প্রকৌশলের অবিশ্বাস্য মিল

ভাবুন তো, আকাশপথের দুই অধিপতি একসঙ্গে উড়ছে! একদিকে পেরেগ্রিন ফ্যালকন, প্রকৃতির দ্রুততম শিকারি, অন্যদিকে F-22 বা B-2 স্টিলথ জেট, আধুনিক সামরিক প্রকৌশলের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। অথচ, এত ভিন্ন উৎস থেকে জন্ম নিয়েও দুটির ওড়ার ভঙ্গিমায় রয়েছে চমকপ্রদ মিল।

পেরেগ্রিন ফ্যালকন নিঃশব্দে ছুটে যায়, ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে। তার পানির ফোঁটার মতো আকৃতি বাতাস ভেদ করে যায় নিখুঁতভাবে। আর স্টিলথ জেট? শত্রুর চোখ ফাঁকি দিতে এর গঠন কোণাকৃতির, যেন রাডার তরঙ্গ প্রতিফলিত না হয়। কিন্তু এই আকৃতিও তাকে দেয় অতুলনীয় গতি।

ফ্যালকনের পালক এমনভাবে তৈরি যে, ডাইভের সময় বাতাসে আওয়াজ প্রায় থাকে না। এদিকে স্টিলথ বিমানে ব্যবহৃত হয় রাডার তরঙ্গ-শোষণকারী আবরণ ও তাপ নিয়ন্ত্রণকারী ডিজাইন, যা কমিয়ে দেয় শব্দ ও তাপের অস্তিত্ব- দুটোই আক্রমণ করে প্রায় অদৃশ্য হয়ে।

শিকারের মুহূর্তে ফ্যালকন ডানার কোণ সামান্য বদলে আনে ভারসাম্য, নিয়ন্ত্রণ আর নিখুঁত আঘাত। তেমনি স্টিলথ বিমানে থাকে fly-by-wire সিস্টেম, যা তাকে দেয় সুপাসসনিক স্পিডেও স্থির থাকার গুণ।

এই অসাধারণ সাদৃশ্য আমাদের শেখায়- সবচেয়ে নিখুঁত প্রকৌশলও কখনো কখনো প্রকৃতির কাছ থেকেই শেখা যায়। আকাশের বুকে বিবর্তন ও উদ্ভাবন যেন মুখোমুখি, আবার সহযাত্রী। একদিকে প্রকৃতি, অন্যদিকে মানববুদ্ধি- উভয়ের সম্মিলনে তৈরি হয় এমন কিছু, যা শুধু ওড়েই না, অনুপ্রেরণাও জাগায়।

24/06/2025

০১. কোনো বন্ধুত্বই চিরস্থায়ী নয়। জীবনের পথে অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুও সময়ের সঙ্গে দূরে সরে যায়।(ব্যতিক্রম আছে খুব অল্প ক্ষেত্রে)

০২. নিজের সঙ্গে সম্পর্কই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই তো আত্মসম্মান ও মানসিক শান্তি বিশ্বের সব সম্পর্কের চেয়ে মূল্যবান।

০৩. কেউ পরিশ্রম দেখে না, সবাই শুধু ফলাফল দেখে। সফল হলে প্রশংসা, ব্যর্থ হলে সমালোচনা। তাই নিজের জন্যই পরিশ্রম করে যান।

০৪. হৃদয়ভঙ্গ ও ব্যর্থতা জীবনেরই অংশ। সুতরাং এগুলো এড়ানো নয় বরং শেখার সুযোগ হিসেবে দেখাই শ্রেয়।

০৫. বাড়ির মতো শান্তির কোনো জায়গা নেই। দুনিয়ার যেখানেই যান, মানসিক শান্তির ঠিকানা একটাই—নিজের ঘর।

০৬. পরিবার ও অর্থই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, বন্ধু - গ্ল্যামার বা সামাজিক মর্যাদা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু পরিবার ও অর্থ দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে আগলে রাখবে।

০৭. বই-ই সত্যিকার বন্ধু। বই কখনোই প্রতারণা করে না, বরং জ্ঞানের আলো দিয়ে পথ দেখায়।

০৮. শারীরিক ব্যায়াম চাপ কমায়। তাই শুধু ফিটনেসের জন্য নয়, মানসিক প্রশান্তির জন্যও ব্যায়াম জরুরি।

০৯. অনুশোচনা ও কান্নায় সময় নষ্ট নয়। বরং যা হয়ে গেছে, তা আর ফিরে আসবে না। সামনে এগোনোর দিকেই নজর দিন।

১০. আজ যা চাইছেন, কাল হয়তো তার মূল্যই থাকবে না। মানুষের চাহিদা বদলায়। তাই আবেগের বশে সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো।

১১. আপনার সিদ্ধান্তই জীবন গড়ে দেয়, ভাগ্য নয়। ভাগ্য নির্ধারিত নয় বরং আপনার সিদ্ধান্তই আপনার ভবিষ্যৎ তৈরি করে দেবে।

১২. শৈশবই জীবনের সেরা সময়। ভাবনাহীন, নির্মল আনন্দের সেই দিনগুলো আর কখনোই ফিরে আসে না।

22/06/2025

সিন্ধু নদ: ইতিহাসের সাক্ষী, জীবনের ধমনী


সিন্ধু শুধু একটি নদী নয়, এটি একটি সভ্যতার জন্মদাতা! প্রায় ৩,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী চীনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল তিব্বতের মানসরোবরের কাছ থেকে উৎপন্ন হয়ে পাকিস্তানের আরব সাগরে গিয়ে মিশেছে। সিন্ধু নদী যুগে যুগে অঞ্চলের সীমানা গড়েছে!

এই নদীর প্রায় ৮০% পাকিস্তানে প্রবাহিত, যেখানে এটি কৃষিক্ষেত্রের প্রান হিসাবে গণ্য হয়; ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে ১৫%, উৎসের গুরুত্ব বহন করে; এবং চীনের তিব্বতে ~৫%, যেখানে এই নদীর জন্ম। আফগানিস্তান শাখা নদী কাবুল নদীর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে জড়িত। হাজার হাজার বছর ধরে এই নদী এশিয়ার ইতিহাস গড়েছে, সংস্কৃতি লালন করেছে।

৫০০০ বছর আগে, এই নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল হরপ্পা ও মোহেনজোদারোর মতো সমৃদ্ধশালী প্রাচীন নগরী। এই সভ্যতা আমাদের শিখিয়েছে শহর পরিকল্পনা আর বাণিজ্যের প্রাচীন রূপ! হরপ্পা সভ্যতায় এটি সাংস্কৃতিক সীমানা তৈরি করেছিল, কোনও রাজ্যের নয়। এই নদী মৌর্য, কুষাণ, এবং মুঘল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক সীমানা নির্ধারণে সাহায্য করেছিল।

খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬-এ আলেকজান্ডারের ভারত অভিযানে সিন্ধু নদী ছিল মূল খেলোয়াড়! এর উপনদী ঝিলামে রাজা পুরুর সাথে হাইডাসপিসের যুদ্ধে আলেকজান্ডার জয়ী হন। সিন্ধু ছিল তার সেনার সরবরাহ পথ, নৌ-রুট, এবং সাম্রাজ্যের পূর্ব সীমানা। এখানে শহর প্রতিষ্ঠা করে গ্রিক-ভারতীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটায়।

১২২১ সালে সিন্ধুর তীরে চেঙ্গিস খানের সাথে খোয়ারেজমীয় সাম্রাজ্যের শেষ শাসক জালালউদ্দিন মঙ্গকানির মরণপণ লড়াই হয়েছিল। চেঙ্গিস খানের নেতৃত্বাধীন মঙ্গোল সাম্রাজ্য সেই যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল। যুদ্ধে জালালউদ্দিন তার সৈন্যদের সিন্ধু নদীর তীর ও পাহাড়ের কাছে সুবিন্যস্ত করেছিলেন। কিন্তু চেঙ্গিস খানের স্পেশাল একটি সেনাদের দল (আমেরিকার নেভী সিল টাইপ) জালালউদ্দিনের সৈন্যদের চোখের আড়ালে অন্য দিক থেকে নদী পার হয়ে, তাদের পাশ কাটিয়ে পিছন দিক থেকে আক্রমণ করে যুদ্ধ জয় নিশ্চিত করে। পরাজয় নিশ্চিত দেখে জালালউদ্দিন ঘোড়ায় চড়ে সিন্ধু নদীতে ঝাঁপ দেন এবং সাঁতরে পালিয়ে যান। চেঙ্গিস খান তার সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে গুলি করতে নিষেধ করেন। তবে, জালালউদ্দিনের বেশিরভাগ সৈন্য ও পরিবার নিহত হয়, এবং খোয়ারেজমীয় সাম্রাজ্যের পতন সম্পূর্ণ হয়।

সিন্ধু নদীর তীর ধরে আফগান-ব্রিটিশ যুদ্ধে (১৮৩৯-১৯১৯) কখনো আফগানরা, কখনো ব্রিটিশরা জিতেছে! প্রথম যুদ্ধে (১৮৩৯-৪২) আফগানরা ব্রিটিশদের কাবুল থেকে তাড়ায়। দ্বিতীয় যুদ্ধে (১৮৭৮-৮০) ব্রিটিশরা ক্ষমতা ধরে রাখে। তৃতীয় যুদ্ধে (১৯১৯) আফগানরা স্বাধীনতার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়। সিন্ধু ছিল এই যুদ্ধের নীরব সাক্ষী।

যেহেতু এই নদীর কৌশলগত ভূমিকা ব্রিটিশ রাজের জন্য অপরিহার্য ছিলো, যেখানে ব্রিটিশদের নৌ ঘাটি ছিলো, তাই তারা ১৮৯৩ সালে সিন্ধু নদীর পশ্চিমে পশতুন অঞ্চল ডুরান্ড লাইন বরাবর ভাগ করে নদীটি নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে, ১৯১৯ এ আফগানরা যখন স্বাধীনতা পায় তারা নদীটি হারিয়ে ফেলে। আফগানরা সিন্ধুর কাছাকাছি পেশোয়ার দাবি করলেও ব্রিটিশরা ছাড়েনি। ১৯৪৭ এ পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হলে নদীটির সিংহভাগ পাকিস্তান অঞ্চলে পরে।

২০০১-২০২১ সালের আমেরিকান-আফগান যুদ্ধে সিন্ধু নদী সরাসরি ভূমিকা না পালন করলেও, এর উপনদী কাবুল নদী এবং পাকিস্তানের সিন্ধু অববাহিকা ছিল কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পেশোয়ারের কাছে তালিবানের আশ্রয়স্থল, মার্কিন সরবরাহ রুট এর জন্য সিন্ধু ছিল অপরিহার্য।

বর্তমানে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধুর পানি নিয়ে চুক্তি থাকলেও, কাশ্মীর ও সীমান্ত বিরোধ এই নদীকে ভূ-রাজনীতির কেন্দ্রে রেখেছে। ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি (IWT) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পানি বণ্টন নিয়ন্ত্রণ করে। ২০২৫ সালের এপ্রিলে কাশ্মীরের পাহালগামে ২৬ জনের মৃত্যুর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত চুক্তিটি স্থগিত করে। পাকিস্তান এটিকে “যুদ্ধের কাজ” বলে আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। ভারত পানির প্রবাহ কমানোর পরিকল্পনা করছে, যা পাকিস্তানের ৮০% কৃষির জন্য হুমকি। তবে, ভারতের এখনই পানি বন্ধ করার অবকাঠামো নেই। এই উত্তেজনা কাশ্মীর বিরোধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের চাপে আরও জটিল হয়েছে।

সিন্ধু শুধু নদী নয়, এটি জীবন, ইতিহাস আর সংগ্রামের প্রতীক।

22/06/2025

Dhaka to Pabna Train Journey

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঘোরাঘুরি A to Z posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share