04/07/2025
ড. আব্দুল বারী :
এক দীপ্ত মানবিক আলোর দীপ্তিমান প্রদীপ ছিলেন।
জ্ঞান, নেতৃত্ব ও সাহসিকতা—এই তিন গুণে অনন্য এক ব্যক্তিত্বের নাম ড. আব্দুল বারী। যিনি শুধু একজন প্রশাসকই নন, ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান শিক্ষাবিদ, নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক ও মননশীল মানবতাবাদী। তার জীবন মানেই আদর্শের ছায়ায় গড়া একটি অধ্যায়। শিক্ষা ও গবেষণার নীরব সাধনায়, তিনি যেমন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন; তেমনি দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকেও করেছেন আলোকিত ও গতিশীল।
ড. আব্দুল বারী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নিষ্ঠা, সততা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে। এই বিশাল প্রতিষ্ঠানটিকে তিনি কেবল প্রশাসনিক কাঠামোতেই নয়, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তার আমলে শিক্ষার মানোন্নয়ন, কারিকুলাম সংস্কার, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় হয়ে থাকবে।
এর আগে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাঙ্গনটি তাঁর হাতে পেয়েছিল নতুন রূপ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও ক্যাম্পাস সংস্কৃতির উন্নয়নে নিবেদিত ছিলেন সর্বান্তকরণে। তার সময়েই প্রতিষ্ঠা পায় গবেষণা জার্নাল, ডিজিটাল লাইব্রেরি, আন্তর্জাতিক সেমিনারসহ নানা যুগোপযোগী উদ্যোগ।
ড. আব্দুল বারী তার জীবনভর ছিলেন একজন নীতিবান ও দৃঢ়চেতা মানুষ। শিক্ষা প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে কখনও আপস করেননি। তার নেতৃত্ব ছিল বিচক্ষণতায় ভরপুর, কিন্তু হৃদয়ের উষ্ণতায়ও পরিপূর্ণ। তিনি শুধু একজন উপাচার্য ছিলেন না—তিনি ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সহকর্মীদের প্রেরণার বাতিঘর।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন পাঠ, চিন্তা ও সৃজনশীলতায় নিমগ্ন। তাঁর জ্ঞানের আলো, সততার পাঠ ও নেতৃত্বের উদাহরণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পথ দেখাবে বারবার।
ড. আব্দুল বারীর মতো গুণীজন সমাজে বিরল। তার কর্মের কথা যত বলা যায়, কমই বলা হয়। শিক্ষা জগতে তাঁর অবদান অম্লান থাকবে যুগ যুগ ধরে।তিনি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার পলাশ বাড়ি ইউনিয়নের আটরাই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
゚