Chayabaji

Chayabaji সবার আগে সব খবর পেতে সাথেই থাকুন

অসহায়ত্ব কাউকে জানান দিতে নেই। কিছু জিনিস নিভৃতে খুব অন্তরালে নিজের কাছে রেখে দিতে হয়, অসহায়ত্বও তেমন!বিরক্ত লাগছে? আকাশ...
27/07/2025

অসহায়ত্ব কাউকে জানান দিতে নেই। কিছু জিনিস নিভৃতে খুব অন্তরালে নিজের কাছে রেখে দিতে হয়, অসহায়ত্বও তেমন!
বিরক্ত লাগছে? আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকুন। চাইলে তার কাছে জমানো কথাগুলো বলে দিতেই পারেন।
অসহ্য লাগছে চারপাশের সবকিছু? ঘর অন্ধকার করে বালিশে মুখ গুঁজে থাকুন। প্রয়োজনে অনেকখানি কেঁদে নিন। কাঁদলে যে মন হালকা হয় অনেকটা।
মন খারাপ থাকলে এক কাপ চা বানাতে চলে যান। চায়ে চিনি দেওয়ার আগেই দেখবেন কিছুটা ঠিকঠাক লাগছে। তারপর তৃপ্তি নিয়ে যখন চায়ে চুমুক দিবেন তখন একদম ফ্রেশ!
বই পড়ুন; কবিতা ভালো লাগলে আবৃত্তি, গান ভালো লাগলে প্রিয় গান, ধর্মীয় সুন্দর লাইন শুনুন; পোষা প্রাণী থাকলে তার সাথে সময় কাটান। দেখবেন নিজেকে আর নিঃস্ব লাগছে না।
জানেন তো, নিজের দুঃখ সময়ে অন্যের সাথে কাটানোর চাইতে নিজের সাথে কাটানোই ভালো। হয়তো সময় লাগবে কিন্তু একটা সময় পরে দেখবেন কেমন স্বস্তি লাগছে!
বলছি না মানুষের সাথে মেশা বন্ধ করে দিন। মিশবেন, হাসবেন, কথা বাড়াবেন কিন্তু নিজের অসহায়ত্বের কথা কখনো বুঝতে দিবেন না। কারণ আপনার অসহায়ত্ব আপনি ছাড়া কেউ কখনো বুঝবে না কিংবা বুঝতে চাইবে না। আর বুঝলে তারা তার সুযোগ নিয়ে আপনাকে চরমভাবে ভেঙে দিবে। হ্যাঁ, এটাই তিক্ত সত্য।

পৃথিবী নিজেকে কেন্দ্র করে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১৬৭৫ কিলোমিটার স্পিডে পশ্চিম থেকে পুর্ব দিকে ঘুরছে । শুধু তাই নয়, একই সাথে ...
27/07/2025

পৃথিবী নিজেকে কেন্দ্র করে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১৬৭৫ কিলোমিটার স্পিডে পশ্চিম থেকে পুর্ব দিকে ঘুরছে । শুধু তাই নয়, একই সাথে পৃথিবী সুর্যকেও প্রদক্ষিণ করছে । এই ঘুর্ননের ফলে পৃথিবীর কোথাও দিন হচ্ছে , এবং কোথাও হচ্ছে রাত । পৃথিবী যদি কখনো না ঘুরতো তাহলে পৃথিবীর যে অংশটা সুর্যের দিকে থাকতো সেখানে সারা জীবন দিন থাকতো এবং উলটা দিকে থাকতো রাত ।
এখন আসি আমাদের মূল বিষয়ে । আমাদের আজকের বিষয় হলো , পৃথিবী যদি হঠাৎ করে ঘোরা বন্ধ করে দেয় , অর্থ্যাৎ পৃথিবী যদি হুট করে থেমে যায় তাহলে কি হবে !!
ভিডিওর মূলপর্বে যাওয়ার আগে অনুরোধ করবো আপনি যদি আমাদের চ্যানেলের নতুন ভিজিটর হয়ে থাকেন তাহলে এখুনি সাবস্ক্রাইব করে বেল বাটনে প্রেস করুন ।
মনে করেন আপনি একটা বাসে উঠলেন যেটা ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলছে । হঠাৎ করে বাসটা কসে ব্রেক করলে কি হবে? সবাইকে একই সাথে সামনের দিকে ঝুকে পরতে হবে । যদি বাসটা ব্রেক না দিয়ে রাস্তার পাশে একটা আস্ত গাছের সাথে ধাক্কা লেগে একেবারে ইন্সট্যান্ট থেমে যায় তবে কি হবে। সবাই এত জোরে ছিটকে যাবে যে কেউই বেচে থাকার মতন থাকবে না । সামান্য একটা বাস, যার গতি ঘন্টায় ৮০ কিঃমিঃ, সেই বাস হঠাৎ থেমে গেলে যদি এত ভয়ানক ঘটনা ঘটে তাহলে ঘন্টায় ১৬৭৫ কিমি স্পিডে চলা পৃথিবী হঠাৎ করে থেমে গেলে কি হতে পারে সেটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন ।
তবুও চলুন বিস্তারিত জেনে আসি ।
১) প্রথম মুহুর্তেই পৃথিবীর পৃষ্ঠতলে থাকা সকল কিছু একই সাথে ঠিক পশ্চিম দিকে উড়তে শুরু করবে । সকল কিছু বলতে সকল কিছুই উড়তে থাকবে । বিশাল সব বিল্ডিং, রাস্তা ঘাট, কল কারখানা এমনকি পাহাড় পর্বতগুলো মাটি থেকে উপরে গিয়ে উড়তে শুরু করবে । এবং সেই উড়ে যাওয়ার স্পিড হবে প্রায় ঘন্টায় ১০০০ কিলোমিটার এর মত । কোন কিছুই সোজা হয়ে দাড়িয়ে থাকতে পারবে না। কারন ওই বাসের মত পুরো পৃথিবীতে হঠাৎ করে যে প্রচন্ড ধাক্কা লাগবে তা সামলাতে পারবে না কোনো কিছু । সেটা মাউন্ট এভারেস্ট হোক আর আমাদের তিন তালা বিল্ডিংই হোক , সব কিছুই পশ্চিম দিকে উড়তে থাকবে ।
২) একটা পিস্তল থেকে বুলেট বের হলে যেই স্পিডে বের হয় ঠিক সেই ভাবে মানুষ উড়তে থাকবে এবং কিছুক্ষনের মধ্যে নিশ্চিন্হ হয়ে যাবে । কারন হঠাৎ করে আপনি যদি প্রতি সেকেন্ডে ১২০০ ফিট গতিতে উড়তে শুরু করেন তবে আপনার শরিরে প্রতিটি হাড় থেকে মাংস এবং শিরা উপশিরা আলাদা হয়ে যাবে । এর কারন হচ্ছে বাতাসের সাথে শরিরের যে মারাত্মক স্পিডে ঘর্ষন হবে তা সহ্য করার মত ক্ষমতা আমাদের নেই ।
৩) তবে প্রথম কয়েক সেকেন্ডে দুই স্থানে থাকা মানুষ বেচে যাবে। প্রথমত বেচে যাবে আকাশে প্লেনে উড়তে থাকা এবং একেবারে উত্তর ও দক্ষিন মেরুতে থাকা লোকেরা। কিন্তু সেটা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য । এরপর শুরু হবে প্রবল ধুলো ঝড় ও বজ্রপাত পাত । বজ্রপাতের ফলে আকাশে উড়তে থাকা বিমান গুলো মুহুর্তেই ভস্ম হয়ে যাবে ।
৪) মেরু অঞ্চলে যারা থাকবে তারা প্রথমে হয়ত বেচে যাবে কিন্তু হঠাৎ করে থেমে যাওয়ার কারনে ,পারমানবিক বোমা বেষ্ফোরিত হলে হঠাৎ করে যেমন প্রচন্ড শক ওয়েভের সৃস্টি হয় ঠিক তেমনি অসম্ভব ভয়ানক একটা শক ওয়েভের ধাক্কা গিয়ে মেরু গুলোতে আঘাত করবে । এতে সেখানে বসবাসকারিরা একেবারে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।
৫) মহাকাশ যান বা রকেট যখন মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে পড়তে থাকে তখন তার বহিরাবরনে আস্তে আস্তে গরম হতে হতে প্রায় আগুন লেগে যাওয়ার উপক্রম হয় বাতাসে ঘর্ষনের কারনে। তো বাতাস যদি ১৭০০ কিমি গতিতে প্রতি ঘন্টায় বইতে শুরু করে তবে কি হবে জানেন? পুরো পৃথিবীর সমস্ত স্থলভাগ এবং সমুদ্র সহ সবকিছুতে আগুন লেগে যাবে। এত ভয়ানক আগুন লাগবে যে সমুদ্রে পানি শুকিয়ে যাওয়া শুরু করবে। আর এই আগুনের জ্বালানি হবে অক্সিজেন। যে অক্সিজেন আমাদের বাচিয়ে রেখেছে সেটাই পুরো পৃথিবী ধংস্বের জন্য কাজে লাগবে।
৬) সমুদ্রের পানির কি হবে? বলে রাখি ২০০৪ সালে শ্রিলংকাতে ভয়ানক সুনামি হয়েছিল সামান্য একটা ভুমিকম্পের কারনে। কিন্তু পৃথিবী যখন এই মাত্রর একটা ঝাকি দেবে সাথে সাথে বিশাল সব ঢেউ এর সুনামি শুরু হবে।

৭) এবার আসি সুর্যের ভূমিকায় । পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে ঘোরার পাশাপাশি সুর্যকেও প্রদক্ষিণ করে । কিন্তু পৃথিবী যখন থেমে যাবে , তখন পৃথিবীর যে অংশ সুর্যের দিকে থাকবে সেই দিকে দিন থাকবে এবং অপর দিকে রাত থাকবে । পৃথিবীর যে অংশে দিন থাকবে সেই অংশের পরিনতি আগে জেনে আসি । একই স্থানে দাড়িয়ে যাওয়ার কারনে পৃথিবীর কেন্দ্রে যে প্রচন্ড উত্তপ্ত ধাতব কোরটি আছে যা পুরো পৃথিবীকে একটা আস্ত ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে রেখেছে সেটিও থেমে যাবে। (এই ম্যাগনেটিক ফিল্ডটি আমাদের ওজন স্তরকে ধরে রেখেছে যেই ওজন স্তর আমাদেরকে সুর্যথেকে আসা ক্ষতিকারক তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলো থেকে রক্ষা করে) ম্যাগনেটিক ফিল্ড ধংস হয়ে যাওয়ার ফলে ওজন স্তরও থাকবে না আর সুর্য পৃথিবী পৃষ্ঠকে এই সব তেজস্ক্রিয় রশ্মি দ্বারা এতটাই গরম করে ফেলবে যে কোনো জিবিত মানুষকে সেখানে দাড়া করালে কয়েক সেকেন্ট এর মধ্যে তাদের মাথা পুড়ে গিয়ে মস্তিস্ক গলে যেতে থাকবে । যদিও তার আগেই মানুষ বাতাসের ঘর্ষনেই ভস্ম হয়ে যাবে ।
৮) এখন জেনে নেয়া যাক পৃথিবীর বাকি অর্ধেক অংশের কথা, যেখানে স্থায়ি ভাবে রাত হয়ে গিয়েছিল সেটির কি হবে তাহলে?? খুবই সহজ, টানা কয়েক মাস রাত চলার পরে ওই পুরো অর্ধেকটা জমে পুরোপুরি বরফ হয়ে যাবে। মানে একদিকে পুরতে থাকবে আর একদিকে প্রচন্ড ঠান্ডায় জমিয়ে ফেলবে।
অসম্ভব মজার বিষয় হচ্ছে পবিত্র কোরআনে এই পুরো বিষয়টি সুরা যিলযালে মাত্র চারপাচটা লাইনের মাধ্যমে বর্ননা করা হয়েছে । ইসলাম ধর্ম এই জিনিষটাকে কেয়ামত হিসাবে বর্ননা করছে। এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, পৃথিবী যদি থেমে যায় , তাহলে কি হবে । এর এক কথায় উত্তর হলো, কেয়ামত শুরু হয়ে যাবে ।

কফি: শুধুই পানীয় নয়ক্লান্তির সময়ে এক কাপ কফির জুড়ি মেলা ভার। অনেক সময় দেখা যায় বাসায় কফি কিনে অথবা উপহার পেয়ে ফেলে রাখা ...
27/07/2025

কফি: শুধুই পানীয় নয়
ক্লান্তির সময়ে এক কাপ কফির জুড়ি মেলা ভার। অনেক সময় দেখা যায় বাসায় কফি কিনে অথবা উপহার পেয়ে ফেলে রাখা হয়েছে, মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এতগুলো কফি নষ্ট হয়ে গেল ভেবে আপনার খারাপ লাগছে, অথচ মেয়াদোত্তীর্ণ কফি পানীয় হিসেবে ব্যবহার পারছেন না। পানীয় ছাড়াও কফির যে ব্যবহারগুলো আছে সেগুলো জানলে আগামীবার আপনার কফিগুলো চমৎকার কাজে দেবে।
আঁকিবুঁকি
কফি দিয়েও যে চিত্রকর্ম করা যায়, আকিয়েদের জন্য সেটা বেশ খুশির সংবাদ। বাসায় রঙ নেই, চিন্তা কেন? কফি হালকা অথবা গাঢ়, নিজের ইচ্ছেমতো ছোপে রাঙিয়ে তুলতে পারেন আপনার সৃজনশীলতাকে। রঙে থাকা রাসায়নিক উপাদানের কারণে অনেকে বাচ্চাদের হাতে রঙ দিতে ভয় পান, এক্ষেত্রে কফি হতে পারে বিশ্বস্ত সমাধান। কাপড় রঙ করার কাজেও কফি ব্যবহার করা যায়। সাদা সুতা বা উলকে কফি দিয়ে রাঙিয়ে বুনতে পারেন নিজের ইচ্ছামতো কিছু।
কম্পোস্ট সার
আজকাল শখের বাগানে অনেকেই রাসায়নিক সার না ব্যবিহার করে সবজির খোসা দিয়ে ঘরেই কম্পোস্ট সার তৈরি করেন। এর মাঝে মিশিয়ে দিতে পারেন কফি। কফিতে থাকা নাইট্রোজেন আপনার গাছগুলোকে সাহায্য করবে যাতে তারা সূর্যের আলোকে শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে। এছাড়া এতে থাকে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্রোমিয়াম।
কফি দিয়ে তৈরি কম্পোস্ট অন্যান্য কম্পোস্টের তুলনায় বেশি সমৃদ্ধ হয় বলে গবেষণায় দেখা যায়। একটি পরীক্ষায় একই সবজির খোসা দিয়ে তৈরি কম্পোস্টের উপাদানকে চার ভাগ করে যথাক্রমে ০ শতাংশ, ১০ শতাংশ, ২০ শতাংশ ও ৪০ শতাংশ ব্যবহৃত কফির দানা ব্যবহার করা হয়। কম্পোস্ট তৈরি হওয়ার পর দেখা যায়, ৪০ শতাংশ কফি ব্যবহার করা সারটির ব্যবহারে ফসল সবচেয়ে ভালো হয়েছে। কম্পোস্টে ঘাস, পাতা, বাকল, সংবাদপত্রের টুকরা, ভেষজ পাতা, ডিমের খোসা, রুটি, ফল ও শাকসবজির খোসা ব্যবহার করা ভালো। মাংস, মাছের অংশ, দুগ্ধজাত দ্রব্য, পোকাধরা গাছ, তেল ও চর্বি অবশ্যই পরিহার্য।
কফির গন্ধ আপনার গাছের চারা থেকে কিছু ক্ষতিকর পোকামাকড়কেও দূরে রাখবে। শুধু মাটিতে ছড়িয়ে দিয়েও সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
স্ক্রাবার হিসেবে
বাজার থেকে কিনে আনা স্ক্রাবার তো আর চোখের সামনে বানায় না, ফলে আপনি জানতেও পারছেন না এত দাম দিয়ে কিনে গায়ে কী দিচ্ছেন। বরং কফি, নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল আর তার সাথে একটু চিনি মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন স্ক্রাবার। সপ্তাহে একবার নিশ্চিন্তে এই জাদু আপনি সারা গায়ে ব্যবহার করতে পারেন গোসলের সময়। কফিতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যাফেইন ত্বকের জন্য উপকারী। মৃত কোষ তাড়ানোর পাশাপাশি এটা আপনাকে দেবে কফির হালকা সুবাস। সব ধরনের ত্বকে এটা নিশ্চিন্তে ব্যবহারযোগ্য।
এয়ার ফ্রেশনার
কফির গন্ধ খুব ভালোবাসেন? কফি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন এয়ার ফ্রেশনার। পুরোনো মোজায় কফির দানা ঢেলে রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকে দিন। ঘরের যেকোনো কোনায় রাখলে সারা ঘর জুড়ে থাকবে আপনার প্রিয় কফির সুবাস। একইভাবে এটাকে গাড়িতে, জুতায় ব্যবহার করা যায়। রান্না করার পর হাতের দুর্গন্ধ এড়াতে অল্প কিছু কফি দিয়ে হাত ধুয়ে নিলে গন্ধ চলে যাবে।
কফি দিয়ে সুগন্ধি মোমবাতিও তৈরি করা যায়। এতে করে যতক্ষণ মোম জ্বলবে, ততক্ষণ সুবাস ছড়াবে। ফ্রিজের গন্ধ যদি পছন্দ না হয়, তবে ছোট একটা বাটিতে কফির গুঁড়ো রাখে দিন ফ্রিজের এক কোনায়। বেসিনে যদি দুর্গন্ধ হয়, তবে গরম পানিতে কফি গুলিয়ে ঢেলে দিন। দুর্গন্ধের হাত থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি মিলবে!

রান্নার কাজে
মাংস ম্যারিনেট বা নরম করার ক্ষমতা আছে কফির, কারণ এটা কিছুটা অম্লীয়। দানাদার কফি, যেটা কফি বানানোর পর থেকে যায়, সেটাকে ঠান্ডা করে মাংস রান্নার দু’ঘন্টা আগে মাংসের গায়ে ঘষলে মাংস নরম হয়ে যায়, রান্নায় ব্যতিক্রমী স্বাদও আসে। মিল্কশেক বা স্মুদির কথা বাদই দিলাম, চকোলেট কেকের গোলায় একটু কফি যোগ করলে সেটাও বেশ সুন্দর, সুস্বাদু গন্ধ আনে।
মাথার ত্বক ও চুলে
বাজার থেকে কেনা রাসায়নিক শ্যাম্পু পরিবর্তনের জন্য কখনো কফির দানা স্ক্রাবার হিসেবে মাথায় ব্যবহার করা যায়। এতে করে মৃত কোষ দূর হবে, চুলে ভ্যাপসা গন্ধ থাকলে সেটাও চলে যাবে। গবেষণায় দেখা যায়, কফিতে থাকা ক্যাফেইন আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। শুধু পানীয় হিসেবেই নয়, বরং এর বাহ্যিক ব্যবহারও বেশ কাজের। চুল রাঙাতে যে পণ্যের ব্যবহার করা হয়, তাতে শত শত রাসায়নিক উপাদান থাকে। এদের কোনো কোনোটি ক্যান্সার পর্যন্ত বয়ে আনতে পারে। কফি যদিও কৃত্রিম রঙের মতো কার্যকর নয়, তবু চুলের রঙকে সে আরো গাঢ় করে তুলতে পারে। মেয়াদোত্তীর্ণ কফি হতে পারে এতদিন চলে আসা বিষাক্ত রঙের প্রাকৃতিক বিকল্প।
মাশরুম চাষে
মাশরুম চাষ সহজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন হয় নির্দিষ্ট পরিবেশ, মাটি ও সার। তারা সাধারণ মাটিতে জন্মায় না। বিশেষভাবে সেই মাটি তৈরি করে নিতে হয়। মাশরুম চাষ শখের বশে শুরু করতে যাচ্ছেন এমন মানুষদের জন্য কফি বেশ সহজ সমাধান। ব্যবহৃত কফির দানা দিয়ে এ ধরনের মাটি তৈরি করা যায়, কারণ মাশরুমের বেড়ে ওঠার জন্য যে পুষ্টি দরকার কফিতে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। তাছাড়া কফি জ্বাল দেওয়ার সময় দানাগুলো ফুটন্ত পানিতে জীবাণুমুক্তও হয়ে যায়।
আশেপাশের কফির দোকানে চাইলে তাদের ব্যবহৃত কফি পাওয়া যেতে পারে। সেরকম কফির আড়াই কেজি কাগজে বা শুকনা জায়গায় ছড়িয়ে অল্প পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে নিন। আধা কেজি মাশরুমের স্পোর ও মাটি মিলিয়ে দিন এতে। যে ব্যাগে মাশরুম জন্মাবেন, সেখানে পরিমাণ মতো মিশ্রণ দিয়ে ভর্তি করুন। ব্যাগ হলে ৫ মি.মি. করে ছিদ্র করে দিন। খোলা পাত্রে করলে উপরে সেলোফেন দিয়ে আটকে ছিদ্র করতে হবে। মাঝে মাঝে প্রয়োজনে পানি দিতে হবে। এর তিন-চার সপ্তাহ পর মাশরুম দেখা দিলে তা চাষ করার উপযুক্ত বলে ধরা হবে।
পোষা প্রাণীর গায়ের পোকা তাড়াতে
বাড়িতে পোষা প্রাণী থাকলে প্রায়ই দেখা যায় তাদের গায়ে ছোট কালো পোকা। এই পোকা তাড়ানোর অনেক ওষুধ বাজারে পাওয়া গেলেও সেগুলো যেমন বিষাক্ত, তেমনি তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ক্ষতিকর। পোষা প্রাণীর পোকা ছাড়ানো একইসাথে ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সৌভাগ্যবশত, এই পোকাগুলো কফির ঘ্রাণ পছন্দ করে না। প্রাণীর গায়ের পশম শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে তাতে কফির দানা ঘষে পরে ভালো মতো ধুয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে। কফি রাসায়নিক ওষুধের মতো কার্যকরী কখনোই হবে না। কিন্তু এটা ব্যবহার করে পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায় প্রাকৃতিকভাবে। বিড়াল, কুকুর কফি খেয়ে ফেললে সেটা তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই পোষা প্রাণীর জন্য কফি ব্যবহারে পশু চিকিৎসকের মতামত নেওয়া এবং সতর্ক থাকা উচিৎ।
কফির ভিন্নধর্মী ব্যবহারগুলো যে শুধু আপনাকে অপচয়ের হাত থেকে বাঁচাবে তা-ই নয়, বরং আপনাকে সুবাসিত উপকারে ঋণী করে রাখবে আপনাকে!

রিসেন্ট ক্লিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দরী নায়িকা অপু বিশ্বাস।
26/07/2025

রিসেন্ট ক্লিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দরী নায়িকা অপু বিশ্বাস।

আমরা যারা দেখতে খুব একটা আকর্ষণীয় হই না, মেধা থাকে মিডিওকোর লেভেলের এবং আর্থিক সক্ষমতা থাকে টানাপোড়েনের মধ্যে, আমাদের মধ...
26/07/2025

আমরা যারা দেখতে খুব একটা আকর্ষণীয় হই না, মেধা থাকে মিডিওকোর লেভেলের এবং আর্থিক সক্ষমতা থাকে টানাপোড়েনের মধ্যে, আমাদের মধ্যে না কিছু বিষয় খুব কমন থাকে!!
আমরা দেখতে এত সাধারণ হই যে, কেউ কখনো দ্বিতীয়বার ঘুরে তাকায় না। আমরা রাস্তার ধারে নাকেমুখে তরমুজ মাখিয়ে খেলেও যেমন কারো চোখে পড়ি না, তেমনি কোন প্রোগ্রামের গেইটে সেজেগুজে রিকশা থেকে নামলেও কেউ পাত্তা দেয় না।
আমরা কখনো কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় টপ করি না। স্কুল কলেজে টপের দুই ধাপ নীচে থেকে থেকে পরিবার পরিজনের এক্সপেকটেশন বাড়াই শুধু। এরপর প্রতিযোগিতার আসল সমুদ্রে নামার পরে এক্সপেকটেশনের চাপে টুপ করে ডুবে হারিয়ে যাই। কিংবা মরে গিয়ে পেট উপরে জাগিয়ে ভেসে উঠি, বিষ ঢালা পুকুরের বোয়াল মাছের মত।
আমাদের আর্থিক সক্ষমতার গল্পগুলো হয় খুবই পীড়াদায়ক। ছোটবেলায় যখন আমাদের ২০ টাকার পেটিস খাওয়ার শখ হয়, তখন আমাদের কাছে থাকে ১৬ টাকা। মাঝবয়সে যখন আমাদের ২০ হাজার টাকার বাসায় থাকতে ইচ্ছে করে, তখন আমাদের কাছে থাকে ১৬ হাজার টাকা। শেষ বয়সে যখন ২০ লাখ টাকার গাড়িতে চড়তে ইচ্ছে করে, আমাদের ব্যাঙ্কে থাকে ১৬ লাখ।
এরকম দুই বা চারের ছোট্ট ফাঁকগুলো গলে বেরিয়ে যায় আমাদের সব স্বপ্ন, সাধ, আহ্লাদগুলো!!
আমরা কখনো গান গাইতে পারি না, কবিতা আবৃত্তি পারি না, ছবি আঁকতে পারি না, বিতর্ক পারি না, গল্পের জমজমাট আসরের মধ্যমণি হতে পারি না। এরপর একদিন আমরা হুট করে আবিষ্কার করে বসি, উপরওয়ালা আমাদেরকে কোন ধরণের বাড়তি গুণ দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান নি।
তিনি আমাদেরকে পাঠিয়েছেন শুধু অন্যের গিফটেড কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে হাততালি দিয়ে যাওয়ার জন্য, হাততালি পাওয়ার জন্য নয়!!
আমরা ভীড় তৈরী করি, কিন্তু কখনো ভীড়ের কারণ হতে পারি না। আমরা অন্যকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, কিন্তু নিজে কখনো কারো স্বপ্নের কারণ হতে পারি না। আমরা সবাইকে এপ্রিশিয়েট করে চলি, কিন্তু নিজেরা কখনো এপ্রিসিয়েশন পাই না।
ভীড় থেকে নিজেকে আলাদা করার চেষ্টা আমরা যারা করি, আমরা সবসময় হেরে যাই। দুটো হাততালি পাওয়ার আশায় আমরা হয়ে উঠি পিপল প্লিজার। ব্যতিক্রম কিছু হতে চেয়ে আমরা সবসময়ই হয়ে উঠি কাছের মানুষের উপহাসের পাত্র।
যাকে মুগ্ধ করতে চাই, তার চোখে দেখি করুণা। যার কাছে প্রায়োরিটি চাই, তার কাছে পাই অবহেলা। যাদের পায়ে দুনিয়াটা এনে দিতে চাই, তারা বলে, ইউ আর নট এনাফ!!
আমাদের কপালে দিনশেষে থাকলে শুধু মারই থাকে, পিঠ চাপড়ানোর মত...

বর্তমান সময়কে বলা হয় বিজ্ঞানের যুগ । অনেক আগেই মানুষ চন্দ্র জয় করেছে এখন স্বপ্ন দেখছে মঙ্গলে বসবাস করার। আর মঙ্গলে বস...
26/07/2025

বর্তমান সময়কে বলা হয় বিজ্ঞানের যুগ । অনেক আগেই মানুষ চন্দ্র জয় করেছে এখন স্বপ্ন দেখছে মঙ্গলে বসবাস করার। আর মঙ্গলে বসবাস করবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে না এটা কেমন কথা। সমাজে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে, যেখানে মানুষ আছে সেখানে নাকি শত্রু ও আছে, তাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে, মাহা আকাশে কি গুলি চালানো সম্ভব !!
আপনার প্রশ্নের উত্তর হল “গুলি চালানো সম্ভব”। তবে গুলি চালানোর পরে কি হবে সেই বিষয়টা নিয়ে আমাদের আজকের মূলপর্বের আলোচনা ।
মহাকাশ এমন একটি জায়গা, যেখানে কোনো গ্রহের আকর্ষণ বল থাকে না বললেই চলে।এই আকর্ষণবিহীন জায়গায় যে কোনো বস্তু অনাহাসেই ভেসে বেড়াতে পারে। মহাকাশে সব কিছু পৃথিবীর মত ঘটে না। যেমন, আপনি পৃথিবীতে সহজেই জলকে পাত্রে করে খেয়ে নিতে পারলেও মহাকাশে সেটি করা সম্ভব হয় না। এরকমই অনেক কিছুই আছে, যেগুলো মহাকাশে করাটা অসম্ভব।
আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করবো, যদি মহাকাশে বন্দুক দিয়ে গুলি চালানো হয়, তাহলে কি কি ঘটতে পারে।
• ঘটনা ১
আমরা জানি মহাকাশে বায়ু মাধ্যম থাকে না।আর শব্দ কোনো জড় মাধ্যমের সাহায্য ছাড়া এক জায়গা থেকে অন্য জাইগায় যেতে পারে না। এজন্যই মহাকাশে যদি গুলি চালানো হয়, তাহলে কোনো শব্দ শুনতে পাওয়া যাবে না।
• ঘটনা ২
মহাকাশে যেহেতু কোনো রকম বায়ু থাকে না, তাই অক্সিজেন থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না।ফলে বন্দুকের মধ্যে যদি আলাদা ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে বন্দুকটি থেকে গুলো বের হবে না। কারণ অক্সিজেন না থাকালে আগুন জ্বলবে না, আর আগুন না জ্বললে গুলির ভিতরে থাকা বারুদের দহন হবে না। আর বারুদের দহন না হলে গুলিটি কাজ করবেই না।
• ঘটনা ৩
যদি আলাদা ভাবে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে বন্দুক থেকে গুলি বের করা যায়, তাহলে অন্য বিপদের মুখোমুখি হতে হবে। নিউটনের তৃতীয় গতিসুত্র অনুযায়ী, বন্দুকের গুলিটি যে গতিবেগ নিয়ে বন্দুক থেকে ছুটে বের হবে, আপনিও একই পরিমান গতিবেগ নিয়ে গুলির বিপরীত অভিমুখে ছুটে যাবেন। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন কি অবস্থা হতে পারে! তবে এই পরিস্থিতি তৈরি হবে, যদি আপনি মহাকাশে ভাসমান অবস্থাই গুলিটি নিক্ষেপ করেন, রকেট বা মহাকাশ স্টেশনের ভিতর থেকে গুলি ছুড়লে এতটা তীব্র প্রভাব আসবে না।
• ঘটনা ৪
গুলি তো আপনি ছুঁড়ে দিলেন, কিন্তু কাকে উদ্দেশ্য করে গুলিটি ছুঁড়লেন? যদি গুলিটি কোথাও বাঁধা না পায়, তাহলে গুলিটি পুরো মহাকাশ গোল করে ঘুরে এসে আপনার কাছেই আসবে, যদি আপনি একই জায়গায় থেকে থাকেন তাহলে গুলির আঘাতে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে!

মানবসভ্যতার সূচনালগ্নে সাম্য-মৈত্রী ও জীবননির্দেশনা নিয়ে পৃথিবীতে ধর্মের আগমন ঘটে। আল্লাহ প্রদত্ত বা আসমানি ধর্ম ছাড়াও প...
26/07/2025

মানবসভ্যতার সূচনালগ্নে সাম্য-মৈত্রী ও জীবননির্দেশনা নিয়ে পৃথিবীতে ধর্মের আগমন ঘটে। আল্লাহ প্রদত্ত বা আসমানি ধর্ম ছাড়াও পৃথিবীতে মানবরচিত অনেক ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে। তবে কালের বিবর্তনে টিকে আছে খুব অল্পসংখ্যক ধর্মই। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে বর্তমানে চার হাজার ৩০০ ধর্মের অস্তিত্ব রয়েছে; যদিও সব ধর্মের অনুসারী ও বিস্তৃতি সমান নয়। অনুসারীর সংখ্যা বিবেচনায় পৃথিবীর প্রধান ১০টি ধর্ম নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো ।
ভিডিওর মূলপর্বে যাওয়ার আগে অনুরোধ করবো আপনি যদি আমাদের চ্যানেলের নতুন ভিজিটর হয়ে থাকেন তাহলে এখুনি সাবস্ক্রাইব করে বেল বাটনে প্রেস করুন ।
(১০) শিন্তো
জাপানের স্থানীয় এবং অনানুষ্ঠানিক একটি রাষ্ট্রীয় ধর্ম শিন্তো। এটা এমন একটি ধর্ম, যার কোনো ঈশ্বর নেই, প্রচারক নেই, ধর্মগ্রন্থ নেই, পরকাল নেই, নেই কোনো বিধিবদ্ধ রীতিনীতি। শিন্তো ধর্মের মূলকথা হলো, সৃষ্টিকর্তা বলতে কেউ নেই, তবে কিছু স্বাধীন আত্মা বা স্বর্গীয় সত্তা আছেন, যাঁদের নাম ‘কামি’। এই কামিরা পৃথিবীর মানুষের কল্যাণকামী। যেকোনো ধর্মের মানুষই শিন্তো মন্দিরে যাতায়াতের অধিকার রাখে। ধারণা করা হয়, পৃথিবীর ৪০ লাখ মানুষ শিন্তো মতবাদে বিশ্বাস করে।
(৯) জৈন
সংস্কৃত শব্দ ‘জৈন’ অর্থ বিজয়ী। জৈন ধর্মের মূল বিশ্বাস হলো, পৃথিবীতে ২৪ জন ‘তীর্থঙ্কর’ বা বিজয়ী মহাপুরুষের আগমন ঘটেছিল, যাঁরা নিজ নিজ সময়ে মানবজাতির ত্রাণকর্তা ও শিক্ষক ছিলেন। এই ২৪ জনের মধ্যে সর্বপ্রথম পৃথিবীতে এসেছিলেন ঋষভ, যাঁর আগমন ঘটেছিল লাখ লাখ বছর আগে। সর্বশেষ ২৪তম তীর্থঙ্কর মহাবীরের আগমন ঘটে খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে। এটি একটি ভারতীয় ধর্ম। অহিংসা ও আত্মসংযমের মাধ্যমে জন্ম-মৃত্যু-জন্মের চক্র থেকে মোক্ষ তথা মুক্তিলাভই জৈন ধর্মের মূল সাধনা। ৪০ লাখ মানুষ জৈন ধর্মের অনুসারী, যাদের এক-তৃতীয়াংশের বসবাস ভারতে।

(৮) বাহাই
বাহাই ধর্মাবলম্বীরা পৃথিবীর অষ্টম বৃহৎ ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। ঊনবিংশ শতাব্দীতে মির্জা হুসাইন আলী তথা বাহাউল্লাহ তৎকালীন পারস্যে (বর্তমান ইরান) এই ধর্মের প্রচার করেন। অনেকেই একে ধর্ম না বলে একটি বিশেষ বিশ্বাস হিসেবেও উল্লেখ করেন। ‘কিতাবুল আকদাস’ এই ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ। মানবজাতির ঐক্য ও মেলবন্ধনই এই ধর্মের মূল লক্ষ্য। বিশ্বের দুই শরও বেশি দেশে ৭০ লাখের বেশি মানুষ বাহাই মতবাদে বিশ্বাস করে।
(৭) ইহুদি
অনুসারীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের সপ্তম বৃহৎ ধর্ম ইহুদি। এই ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা এক কোটির বেশি, যার ৪৩ শতাংশই ইসরায়েলে বসবাস করে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বাস করে আরো ৪৩ শতাংশ ইহুদি। বাকিরা লাতিন আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ায় বসবাস করে। এই ধর্মের ইতিহাস তিন হাজার বছরেরও পুরনো। ব্রোঞ্জ যুগে মধ্যপ্রাচ্যে এই ধর্মের আবির্ভাব হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তাদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাত, যাকে হিব্রু বাইবেল ও তানাখও বলা হয়।
(৬) শিখ
অনুসারী বিবেচনায় শিখ ধর্মের অবস্থান ষষ্ঠ। বিশ্বজুড়ে আনুমানিক তিন কোটি মানুষ শিখ ধর্মে বিশ্বাস করে। একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী এই ধর্মানুসারীদের নেতাকে বলা হয় গুরু। শিখ শব্দটির অর্থই শিষ্য। শিখরা বিশ্বাস করে, পৃথিবীতে প্রচলিত কোনো ধর্মই পরম সত্য নয়, কিংবা কোনো ধর্মই পূর্ণাঙ্গ মিথ্যা নয়।
(৫) হান
জনসংখ্যায় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ চীনের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সম্প্রদায় হলো হানজু বা হান সম্প্রদায়। তারা চীনা লোকধর্ম বা হান ধর্মে বিশ্বাসী। পঞ্চম বৃহৎ এই ধর্মকে অনেকে হান জাতি-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যের পরিবর্তিত সংস্করণ বলে থাকে। বর্তমানে এই ধর্মের অনুসারী ৪০ কোটির কাছাকাছি।


(৪) বৌদ্ধ
পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ ধর্ম বৌদ্ধ। আনুমানিক ৫১ কোটি মানুষ এই ধর্মে বিশ্বাস করে। ভারতবর্ষের একজন সাধক পুরুষ গৌতম বুদ্ধ এই ধর্মের প্রবর্তক। তাঁর প্রচারিত বিশ্বাস ও জীবনদর্শনই বৌদ্ধ ধর্মের ভিত্তি। এই ধর্মের উপাসনালয় মঠ নামে পরিচিত আর প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস চীনে। তা ছাড়া থাইল্যান্ড, জাপান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
(৩) হিন্দু
পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ ধর্ম হিন্দু বা সনাতন ধর্ম। ১২০ কোটি মানুষ এই ধর্মের অনুসরণ করে। তাদের প্রায় সবাই ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাস করে। হাজার বছরের প্রাচীন এই ধর্মের সংগঠিত ও সমন্বিত যাত্রা শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ বছর আগে। বেদ, পুরাণ, উপনিষদ, গীতা হলো এই ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। মন্দির হিন্দু ধর্মের উপাসনালয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান অংশ বহু-ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করে। প্রচলিত আছে, হিন্দু ধর্মে দেব-দেবীর সংখ্যা ৩৩ কোটি। হিন্দুদের প্রধান তিনজন দেবতা হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব।
(২) ইসলাম
আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, মুহাম্মদ (সা.) তাঁর প্রেরিত রাসুল—এটি ইসলাম ধর্মের মূল বিশ্বাস। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলামের অনুসারীদের মুসলিম বলা হয়। বর্তমানে পৃথিবীতে ১৮০ কোটি মুসলিম রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে পৃথিবীর দ্রুত প্রসারমাণ ধর্ম ইসলাম। সাম্প্রতিক অনেক গবেষণায় বলা হচ্ছে, খ্রিস্ট অধ্যুষিত ইউরোপ অর্ধশতাব্দীকাল পর মুসলিমপ্রধান অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। পৃথিবীর ৫০টি দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। কোরআন ইসলামের মূল ধর্মগ্রন্থ। ইসলামের মূল স্তম্ভ পাঁচটি—ঈমান, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত। মুসলমানের উপাসনালয়ের নাম মসজিদ। মক্কা-মদিনা মুসলিমদের পবিত্র তীর্থ। মুসলমানরা বিশ্বাস করে, ইসলাম আল্লাহর মনোনীত চূড়ান্ত ধর্ম, কোরআন সর্বশেষ ধর্মগ্রন্থ এবং মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ নবী।


(১) খ্রিস্ট
যিশুখ্রিস্টের জীবন ও শিক্ষাকে কেন্দ্র করে বিকশিত হয়েছে খ্রিস্ট ধর্ম। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে, যিশুখ্রিস্ট ঈশ্বরের পুত্র এবং তিনি মানবজাতির ত্রাণকর্তা। পৃথিবীর বৃহত্তম এই ধর্মের অনুসারীসংখ্যা পৃথিবীজুড়ে প্রায় ২৫০ কোটি। বাইবেল তাদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। খ্রিস্টানদের উপাসনালয়কে চার্চ বা গির্জা বলা হয়।

ছায়াবাজির এই পর্বের আয়োজন এখানেই শেষ করছি । আমাদের ভিডিওটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে এখনি লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করে আমাদের সাথেই থাকুন । পরবর্তিতে কোন বিষয়ের উপর ভিডিও দেখতে চান সেটা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না । এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ।

কমবয়সিদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে কেন?কমবয়সিরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ব্রেন স্ট্রোকে। কারণটা ঠিক কী? সম্প্রতি মার্কিন...
26/07/2025

কমবয়সিদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে কেন?
কমবয়সিরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ব্রেন স্ট্রোকে। কারণটা ঠিক কী? সম্প্রতি মার্কিন বিজ্ঞানীদের একটা গবেষণা বলছে, রক্তের গ্রুপ যদি ‘এ’ (A) হয়, তাহলে ব্রেন স্ট্রোকের (Brain Stroke) আশঙ্কা আছে। যদি লাইফস্টাইলে অনিয়ম বাড়তেই থাকে তাহলে এই রক্তের গ্রুপের লোকজনদের কম বয়সেই স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মানুষের শরীরে চার প্রকার রক্তের গ্রুপ (Blood Group) দেখতে পাওয়া যায়। এ, বি, এবি এবং ও। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই রক্তের গ্রুপের গুরুত্ব অপরিসীম। এই মূল বিভাগগুলি ছাড়াও বেশ কিছু বিরল রক্তের গ্রুপও দেখা যায়। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এই চার বিভাগের মধ্যে ‘এ’ এবং ‘ও’ গ্রুপের মানুষজনের স্ট্রোক হতে পারে। তার মধ্যে এ গ্রুপের লোকজন হাইরিস্কে রয়েছেন।
নিউরোলজি’ জার্নালে এই গবেষণার খবর ছাপা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘এ’ রক্তের গ্রুপ হলে কমবয়সে স্ট্রোকের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ, আর ‘ও’ রক্তের গ্রুপ হলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা ১২ শতাংশ।
মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন হলেই স্ট্রোক হয়। কোনও কারণে মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর পথ সংকীর্ণ হয়ে বা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, তখন অক্সিজেনের অভাবে ব্রেন কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তখন যে শারীরিক অবস্থা তৈরি হয় তাকে স্ট্রোক বলে।
আগে বয়স্ক লোকেদেরই বেশি হত। এখন লাইফস্টাইলে বদল, অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে কমবয়সিরাই বেশি আক্রান্ত। এখন বয়স বাছবিচার করে স্ট্রোক (Stroke) হয় না। বরং ডাক্তাররা আগে স্ট্রোকের কারণ খুঁজে বের করেন।
পাঁচ রকমের উপসর্গ দেখলে বোঝা যাবে স্ট্রোক হয়েছে
১) বডি ব্যালান্স। যে লোকটা কিছুদিন আগে অবধিও সুস্থ-সচল ছিল, সে যদি আচমকা চলতে ফিরতে গেলে ব্যালান্স হারিয়ে ফেলে, শরীর বারে বারে টাল খায়, তাহলে বুঝতে হবে স্ট্রোক হয়েছে।
২) চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে এলেও সতর্ক হতে হবে। যদি দৃষ্টি ক্ষীণ হতে শুরু করে, ডবল ভিশন হয় তাহলে সেটা অ্যালার্মিং।
৩) মুখটা একদিকে বেঁকে গেলে সতর্ক হতে হবে।
৪) হাত-পা দুর্বল হয়ে যায়, শক্তি হারিয়ে ফেলাও স্ট্রোকের লক্ষণ।
৫) কথা বলতে অসুবিধে হয় অথবা ঢোক গিলতে সমস্যা হয় তখন সাবধান হতে হবে।

আমাদের কিভাবে মাইন্ডসেট ঠিক করা উচিত ? মাইন্ডসেট হলো আমাদের চিন্তাধারার একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন, যা আমাদের জীবনের প্রতি...
25/07/2025

আমাদের কিভাবে মাইন্ডসেট ঠিক করা উচিত ?
মাইন্ডসেট হলো আমাদের চিন্তাধারার একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন, যা আমাদের জীবনের প্রতিটি দিককে প্রভাবিত করে। একটি ইতিবাচক মাইন্ডসেট আমাদেরকে সফলতা অর্জন করতে, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং সুখী জীবন যাপন করতে সাহায্য করে।
Clear Goal নির্ধারণ করুন
আপনি জীবনে কী অর্জন করতে চান তা পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করুন।
আপনার লক্ষ্যগুলি ছোট এবং অর্জনযোগ্য অংশে ভাগ করুন।
পজিটিভ চিন্তা ও বিশ্বাস তৈরি করুন
নিজেকে বলুন, " I can do it" নিজেকে সবসময় Positive ভাবে অনুপ্রাণিত করুন।
নেতিবাচক চিন্তাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
প্রতিটি ব্যর্থতা থেকে কিছু না কিছু শিখুন। ব্যর্থতা কোনো শেষ নয়; এটি সফলতার একটি ধাপ।
নতুন knowledge এবং skills অর্জনে আগ্রহী হোন।
একটি রুটিন তৈরি করুন যা আপনার Goal পূরণে সহায়ক।
Time management শিখুন এবং প্রতিদিনের কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করুন।
প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে আগামীকালের কাজগুলো নোট করে রাখুন।
প্রতিদিন নিজেকে রিভিউ করুন
দিনের শেষে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন: আজ আমি কি শিখলাম?
আজকের কাজ কতটুকু এগুলো?
ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনের পরিকল্পনা করুন।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
মানসিক শান্তি বজায় রাখতে মেডিটেশন বা প্রার্থনা করুন।
NB: Read, Read and Read everyday

রাতের আকাশে তাকালে আপনি আপনার চারদিকেই তারকারাজি দেখতে পাবেন। যাতে আপনার মনে হবে আপনিই বুঝি মহাবিশ্বের কেন্দ্রে আছেন। কি...
25/07/2025

রাতের আকাশে তাকালে আপনি আপনার চারদিকেই তারকারাজি দেখতে পাবেন। যাতে আপনার মনে হবে আপনিই বুঝি মহাবিশ্বের কেন্দ্রে আছেন। কিন্তু আসলে কি তাই? যদি তা না হয় তাহলে এই মহাবিশ্বের কেন্দ্র কোথায়?
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব । একারণে সাধারণ মানুষের ধারণা , মানুষের বসবাস করা পৃথিবী হয়তো মহাবিশ্বের কেন্দ্রে রয়েছে । আবার যারা কিছুটা জ্ঞানী , যারা পৃথিবী ছাড়াও আরো কিছু গ্রহ নক্ষত্রের হিসাব জানেন , তারা অনেকেই ধারণা করেন , পৃথিবী নয় , মহাবিশ্বের কেন্দ্রে রয়েছে সুর্য । মানে সুর্যকে কেন্দ্র করে এই মহাবিশ্ব চলছে । তবে এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞান আমাদের এই ধারনাকে বাস্তব রুপ দিতে পারেনি । এবং সেটা পারবেও না । কারণ মহাবিশ্বের কোনো কেন্দ্র নেই।
মনের ভেতর সন্দেহ না রেখে চলুন জেনে নেয় মহাবিশ্বের সৃষ্টির ইতিহাস । তাহলে ব্যাপারটা বুঝতে আমাদের সুবিধা হবে ।
প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগে বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ এর পর থেকে আমাদের এই মহাবিশ্ব প্রসারিত হয়ে চলেছে। এই মহা বিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে মহাবিশ্ব । কিন্তু বিগ ব্যাং বিশেষ কোনো বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘটেনি। বিগ ব্যাং এর সময় বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত কিছু অবিশ্বাস্যরকমভাবে গরম, সীমাহীন ঘন একটি ছোট্ট বস্তু কণার মধ্যে পিণ্ডীভুত হয়ে ছিল! এরপর সবদিকেই মহাবিশ্ব সমানভাবে প্রসারিত হতে থাকে। আজও মহাবশ্বি সেভাবেই প্রসারিত হয়ে চলেছে। এর কোনো উৎপত্তিগত বিন্দু নেই, নেই কোনো কেন্দ্র।
আমাদের মহাবিশ্ব হতে পারে সমতল কোনো স্তরের মতো যা ক্রমাগত বেড়ে চলা গতিতে প্রসারিত হয়ে চলেছে। অথবা হতে পারে বাঁকানো বেলুনের মতো, এবং সে ক্ষেত্রে একটা সময়ে গিয়ে হয়তো এর সম্প্রসারণ থেমেও যেতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত যেসব তাত্ত্বিক ধারণা গড়ে উঠেছে এবং যে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে তা থেকে আমাদের মহাবিশ্বকে সমতলই মনে হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন আমাদের মহাবিশ্ব সমতল নাকি এর বক্রতা এতই প্রশস্ত যা দেখে শুধু একে সমতলই মনে হয়। ঠিক যেভাবে গোলাকার পৃথিবীকে ভূপৃষ্ঠ থেকে আমাদের কাছে সমতলই মনে হয়।
পুরো ইতিহাসজুড়েই আমরা মানুষেরা ভুলভাবে ধারণা করে এসেছি যে আমরা হয়তো মহাবিশ্বের কেন্দ্রে বা কেন্দ্রের কাছাকাছি আছি। আর সে কেন্দ্র হতে পারে পৃথিবী, সূর্য বা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি।
কিন্তু আমরা মানুষেরা নিজেদেরকে যতটা গুরুত্বপূর্ণই ভাবি না কেন মহাবিশ্ব এই পর্যন্ত ঠিক তার উল্টোটাই দেখিয়ে এসেছে!

এই মানুষটাকে কে কে মিস করেন?
25/07/2025

এই মানুষটাকে কে কে মিস করেন?

মানুষের পর পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী কোনটি?বুদ্ধিমান কোনো প্রাণীর কথা এলে শিয়াল পণ্ডিতের নামটিই সবার আগে আসে। কিন...
25/07/2025

মানুষের পর পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী কোনটি?

বুদ্ধিমান কোনো প্রাণীর কথা এলে শিয়াল পণ্ডিতের নামটিই সবার আগে আসে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের চোখে পণ্ডিতমশাই এতটা বুদ্ধিমান না।

তাহলে প্রশ্ন হলো- মানুষের পর পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী কোনটি? অবিশ্বাস্য হলেও সত্য- বিজ্ঞান এ কথা প্রমাণ করেছে, মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির ডিএনএর মধ্যে ৯৪ ভাগ মিল আছে।

তবে তালিকার শীর্ষ অবস্থান নিয়ে মতভেদ আছে। কারো কারো মতে মানুষের পর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী অক্টোপাস আবার কারো কারো মতে ডলফিন।

অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার জন্য মানুষের পরেই সর্বাধিক পরিচিত প্রাণীটি হলো ডলফিন।
বিশেষ করে বোটলনোজ ডলফিন সামাজিক কাঠামো গঠন, পারস্পরিক যোগাযোগ এবং সমস্যা সমাধান করতে পারে। ডলফিনের বুদ্ধিমত্তার একটি আকর্ষণীয় দিক হলো তাদের হাতিয়ার ব্যবহার।

এই দক্ষতা তারা শুধু আত্মরক্ষায় ব্যবহার করে না; শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

প্রাণীদের মধ্যে আরেক বুদ্ধিমান এবং স্মার্ট প্রাণী হলো- অক্টোপাস। তারা ক্ষণস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী দুই ধরনের স্মৃতি ধারণ করে রাখতে পারে।

এমনকি তারা পানির ভেতর গোলক ধাঁধা থেকেও বের হয়ে আসতে পারে- একুরিয়াম থেকে বের হওয়ার মতো করে। অক্টোপাস অনেক সময় দুষ্টুমি করে জেলেদের নৌকা আটকে দেয়। এমনকি তারা কাঁকড়ার খোলস ছাড়িয়ে তাদের মাংস খেয়ে উদরপূর্তি করতে পারে। জার খোলার ব্যবস্থাও এ প্রাণীর জানা আছে।

জিন রহস্য আবিষ্কারের আগে ধারণা করা হতো, কেবল মানুষ খাবারের জন্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, শিম্পাঞ্জি এ কাজটি বেশ ভালোভাবে পারে।

শিম্পাঞ্জিরা একটি উচ্চমানের সমাজে বাস করে। তারা সুন্দর সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারে। একজন সঙ্গী মারা গেলে শোক এবং ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে। মানুষের মতো তারা ভাষা শিখতে না পারলেও সহজেই ভাবের আদান-প্রদান করতে পারে।

স্থলজ প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মস্তিষ্ক হলো হাতির। তাদের প্রায় ২৫৭ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে, যা মানুষের মস্তিষ্কের প্রায় তিনগুণ।

হাতির বুদ্ধিমত্তার একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো মৃত সঙ্গীদের জন্য শোক প্রকাশের ক্ষমতা। তারা মৃত পালের সদস্যের শরীর আলতো করে স্পর্শ বা আদর করে সান্ত্বনা দেয়। তারা হাতিয়ার ব্যবহার করে দূরের কোনো জিনিস নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে পারে। প্রতিকূল পরিবেশে নতুন কিছু শিখে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান পাখি হিসেবে কাককে বিবেচনা করা হয়। কাকের আইকিউ মানুষ, বানর, বনমানুষ ইত্যাদির কাছাকাছি। এরা খাদ্য পাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপাদান বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে। শুধু তাই নয়, কাক ভবিষ্যৎ ঘটনা সম্পর্কে ধারণা করতে পারে, বিশেষ করে তাদের নিজের সমস্যা সমাধানের জন্য। স্মৃতিশক্তিও খুব ভালো। কাক যে কোনো মুখ চিনে রাখতে পারে।

পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কোনো উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নেকড়ে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কৌশল করে শিকার করা এবং অভিযোজনের ক্ষেত্রে এদের জুড়ি মেলা ভার। এরা মূলত দলবদ্ধভাবে শিকার করে, যেখানে দলের প্রতিটি সদস্য একে অন্যকে বুঝতে পারে। শিকারকে অনুসরণ এবং ধরার জন্য এদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার

Address

Dhala

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Chayabaji posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Chayabaji:

Share