23/11/2025
দেশ ও রাজনীতি: ক্ষমতা প্রকৃতির মত পরিবর্তনশীল:এম শাহীন আলম শাহীন
দেশ রাজনীতি ও ক্ষমতাও যে প্রকৃতির মত পরিবর্তনশীল, বিষয়টি যেমন সত্য। তেমনই বলা যেতে পারে, স্বচ্ছ রাজনীতি সভ্যতার জনক?
অর্থাৎ দেশের রাস্ট্রীয় কাঠামো ব্যবস্থা আছে,তবে প্রয়োগ নাই, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো যদি এমন হয়? তাহলে দূর্নীতি বাসা বাঁধবে স্বাভাবিক বিষয়।
জনগণ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে? জনগণ নানান রকম অব্যবস্থাপনার শিকার হবে? এক শ্রেণির সুবিধা ভোগিরা সুবিধা নিতে অসৎ উদ্দেশ্যে লেনদেন করবেন!
দেশের রাস্ট্রীয় কাঁঠামোতে ঘুনে ধরে, ফলে দেশের নাগরিকদের সরকার কতৃক কর, মিছ ইউজ হয়!
যা বছর শেষে হাজার কোঁটি টাকা বিদেশে পাঁচার হয়ে যায়?
দেশের উন্নয়নের গতিপথ বাঁধাগ্রস্ত হয়। দেশ বিদেশি বিনিয়োগের কাছে ঋণগ্রস্থ হয়। ঋণে বোঝা বৃদ্ধি পেতে থাকে!
অর্থাৎ, দেশ পিছিয়ে পড়ার প্রধান অস্ত্র হচ্ছে দেশের রাস্ট্র কাঠামো ব্যবস্থায়, অব্যবস্থাপনা!
একটি অনউন্নত দেশের তালিকায় থেকে যায় দেশ। রাজনীতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়! নেগেটিভ চেতনার আর্বিভাব ঘটে।
বিশেষ করে, কোন সরকার কোন ভাবে স্বৈরশাসক হয়ে উঠলে তো খেলা ফাইনাল হয়ে যায়? সরকারের দেশের নাগরিকের প্রতি জবাব দিহিতা থাকে না।
সরকার, সরকারের বাহিনী দিয়ে একনায়কতন্ত্র শাসন কার্য চালায়। এর ফলে জবাবদিহিতার মত গুরুত্বপূর্ণ স্পেস নরভরে হয়ে যায়।
ইতিপূর্বে যারা স্বৈরশাসক হয়েছে তাহারা সব সময় মনতান্ত্রিক অস্বস্তিতে ভোগেন? সময়ের সাথে সাথে হিংস্র হয়ে উঠেন। ক্ষমতার লোভ পেয়ে বসেন জন জনসম্পৃক্ততা দূরে সরে গিয়ে নিজস্ব বাহিনীকে শক্তিশালী করে তুলতে মোহে মহিমান্বিত হয়ে উঠেন। চালান, হরিলুট প্রক্রিয়া, নিজস্ব বাহিনীকে ভোগবিলাসের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া? দূর্নীতিবাঁজরা সেই সুযোগ ব্যবহার করে অবৈধ পন্থায় টাকা উপার্জন করে বিদেশে অর্থপাঁচারের মহাৎসবে লিপ্ত হয়? টাকার লোভে দেশ প্রেম স্বাধীনতার স্বার্ভভূমত্য ভুলে গিয়ে নিজের মাতৃভূমিকে ফেলে প্রবাস জীবনের পথ বেঁচে নাই।
জন্ম আমার ধন্য হলো, মাগো... যে দেশাত্মবোধক গানটিতে দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও দেশ প্রেম, বুঝানো তা শুধু বিথা? আমি বলবো না?
কারণ সকলে এক চরিত্রের নয়। এখনও অনেক দেশ প্রেমিক আছেন যারা দেশ মাতৃকার জন্য ন্যায়ের জন্য নিজের জীবন দিয়ে দিবেন তবুও দেশ মাতৃকার অসম্মান মেনে নেবেন না।
এবং হাজার কোটি ডলার অবৈধ অর্থদিয়ে সারাজীবনের নির্বাসন তারা মেনে নিতে পারবেন না। তারও অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে আমাদের সকলের মোটামুটি জানা।
আলোচনার মূল বিষয়ে আসি ফিরে আসি?
স্বৈরশাসক ও নাগরিক অধিকার নিয়ে আলোচনা করতেছিলাম? স্বৈরশাসক হওয়ার ফলে দেশের নাগরিক হারায় নাগরিক অধিকার। সরকার তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন ধরণের অপকৌশলে লিপ্ত হয় সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা? বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সরকারে কঠোরহস্তে দমনে হুশিয়ারি সহ সরকারের বাহিনী দিয়ে কঠোর পন্থায় হলেও নিয়ন্ত্রণ করেন। অর্থাৎ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার পথে অন্যের অধিনস্থতার মত রাস্ট্র ব্যবস্থা থেকে যায়!
ক্ষমতা যে প্রকৃতির মত পরিবর্তনশীল তা মানুষ ২৪ এর আন্দোলন প্রত্যক্ষ। এটা জাতীয় জুলাই আন্দোলন হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছে অন্তর্বতী কালীন সরকার দেশের ইতিহাসে বিরল কাব্য হয়ে থাকবে বিষয়টি।
ক্ষমতা যে প্রকৃতির মতই পরিবর্তনশীল ২৪ এর ঘটনা বেশি দূরে নয় মাত্র ২০২৫ চলমান। কেমন করে হেনেস্থা হয়ে সরকার থেকে সরে যেতে বাধ্য হলো
জবরদস্তি নাগরিক অধিকার হরণ করে কেউই বেশিদিন টিকতে পারেনি। তার প্রমাণ পেয়েছি তবে দেশের ব্যাপক ক্ষতিও হয়েছে। এমন পরিস্থিতি সামনে আর দেখতে না হয় এমন উদাহরণ ঘটার মত দেশে সেই পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
স্বৈরাচার পতনের পর অর্ন্তবর্তী কালীন সরকার গঠন হলো দেশে অরাজ্যকর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হলেও জনমনে রহস্যময় ভিতি কাছ করেছে,ডাকাতি, চুরি ছিন্তাই নিত্য ঘটনা রূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। থানায় পুলিশ নেই শৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্থানীয় বাসিন্দারা ছোট ছোট টিম গঠন করে পহারায় ছিল। পরে কিছুটা হলেও স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়।
প্রতিকার: নাগরিক অধিকার সমন্বিত থাকলে সরকারের জবাব দিহিতা থাকবে? রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে কে বেশি স্বচ্ছ, কে বেশি জবাব দিহিতা দিবে বায়োডাটা নিয়ে নাগরিকের অধিনস্থ হবে। দেশের সেবা করা সম্মানের সওয়াবের কাজ মনে করে নিঃস্বার্থ সেবা দিয়ে মানুষের কাছে ও সৃষ্টি কর্তার আনুগত্য মনে করে দেশ সেবার দায়িত্ব নিতে হবে।
আর সরকার প্রধান চাইলে অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এরজন্য দূর্নীতি চাঁদাজির বিরুদ্ধে যা আইন আছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনের প্রকৃত প্রয়োগ যাতে হয় তার দিকে বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে। রাজা ছেলে আর প্রজার ছেলে হোক বিচারিক ব্যালেন্স স্বতন্ত্র রাখতে হবে? তবে আগামীর সচ্ছতা আশা করা যায়।
স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বাংলাদেশের সুফল কোথায়? বাংলাদেশের জনশক্তি ছোট রাস্ট্র হিসেবে বর্হির বিশ্বে অন্যতম স্থান রয়েছে। জনশক্তি দেশের উন্নয়নে কর দিয়ে থাকেন? সেগুলো যদি, মিছ ইউজ হয় তাহলে স্বপ্ন ছুয়া সম্ভব নয়? জনগণের কাছে সরকারের জবাব দিহিতা থাকতে হবে তবেই না দেশ থেকে দূর্নীতি নিয়ন্ত্রণ আশা করা যায়।
বর্হিঃবিশ্বে অনেক উদাহরণ রয়েছে? সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া'র ইতিহাস কমবেশি সবার জানা। তাহলে আমরা কেন এতোটা পিছিয়ে।
আমরা স্বাধীন হয়েছি ৫৪ বছর আগে তবুও কেন আমার দেশ পিছিয়ে এর প্রধান কারণ আমার দেশ আমার সরকার অব্যবস্থাপনা রোধ করতে ব্যর্থ!
জনশক্তিতেও সরকারের কর আদায়ও বেশি। এরমধ্যে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে রেকর্ড ২৭ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন, যা দেশের জিডিপির প্রায় ৪.৮ শতাংশ।
এত পরিমাণে বাৎসরিক আয় সরকারের হয়? এর ফলে বাংলাদেশ এতোদিনে ২য় তলা বিশিষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা?
আমরা কেন পিছিয়ে?, আমাদের ব্যর্থতা কোথায়? আমরা নিজেরাও বুঝি না (অনেকেই আমাদের বলে থাকেন হুজগে বাঙালি) আবেগ প্রবণ জাতী হিসেবে বাঙালির একটি খ্যাতিও রয়েছে বেশ।
এরমধ্যে বলা যেতে পারে, (মজা মারে ফজা ভাই মধ্যে ঘুম কামাই) অর্থাৎ হুজুগ তুলে মাস্টার প্ল্যানে, হুজুগ উঠে দেশজুড়ে?
এই প্রবণতা থেকে বাহির হয়ে আসতে হবে? যোক্তিক দাবি নিরবে জানানো যায় দেশে যুদ্ধ বাঁধে নাই যে দেশ দখল হয়ে যাচ্ছে নিজেদের ভূমি রক্ষা করতে হবে এমন কিছু নয়। অর্থাৎ জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আবেগি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দাবিটা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ও যোক্তিক ভেবে স্মারকের মাধ্যম যুক্তি সহ দাবিটার গুরুত্ব উপস্থাপন করে দেশের সরকারের উপর আস্থা রেখে সময় দিতে হবে?
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে উপদেষ্টারাও সে দাবি গুলো কতটুকু যোক্তিক? দাবি পূরণে সরকারের সক্ষমতা অনুসারে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তাছাড়া আমরা প্রাথমিক পর্যায়েয় স্টিমলেভে চলে যায়। যেখান দেশের সম্পদ ক্ষতি ছাড়া সম্ভব হয় না।
দেশের সম্পদ নষ্ট করে লাভ কি? সেই আমাদের টাকা দিয়েই সংস্কার হবে আমাদের রির্জাভ খালি হবে।
যে কথা বলতে ছিলাম? একটি দেশ কিভাবে পিছিয়ে থাকে, কেন থাকে? বিষয়টি নিয়ে লেখার শুরুতেই আলোচনা করেছি যারা প্রথম থেকে পড়েছেন তারা তো অবশ্যই পড়েছেন?।
যদি কোন সরকার দেশের নাগরিক অধিকার দিয়ে দেশকে উন্নয়ন ও দূর্নীতি মুক্ত রাখতে চায়? তাহলে চেক এন্ড ব্যালেন্স করে?
সর্বপ্রথম দেশের গণমাধ্যম সংস্কার করতে হবে? একটি ঘরের চারটি খুটি যেমন ওই ঘরের ভিত্তি স্ট্রং রাখে ঠিক তেমনি দেশের প্রধান ভিত্তি হচ্ছে ৪টি? আইন, বিচার বিভাগ, নির্বাহী ও গণমাধ্যম।
দেশ ব্যালেন্সকারী শক্তি ৪-এর মধ্যে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন গণমাধ্যম। অর্থাৎ ডিটেকটিভ কৌশলে দেশের মালিকের কাছে উপস্থাপন করেন। লেখা ও ক্যামেরার শক্তি সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে।
দেশের ছোট বড় সকল মিডিয়া কর্মীদের বেতন ভুক্ত করে তুলতে হবে? মিডিয়া কর্মীদের নীতিমালার ভিতরে বাহিরে ওয়াস করতে হবে। ওয়াস শেষে ফ্রিডম নিয়ে কাজ করার অধিকার থাকতে হবে সরকারের বিরুদ্ধে লিখলেও যেন সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এতে সংবাদ শ্রমিক যদি ভুল তথ্য দিয়ে নিউজ করে তার বিরুদ্ধে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে?।
বিশেষ করে মফস্বলে সাংবাদিকদে ঝড়াঝৃর্ণ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে গোপনে টিম গঠন করে সাংবাদিকদের গতিবিধি নজরে রেখে তাদের কোন অপরাধ মূলক কাজে জড়িত পাওয়া গেলে ও ইচ্ছাকৃত ভুল না হলে ১ বার ওয়ার্নিং দিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া
এরপর ২য় বারেও যদি লোভ থেকে ইচ্ছাকৃত অপরাধ প্রমাণিত হয়? তাহলে দূর্নীতির শাস্তি মৃত্যুদন্ড আইন করে রায় বহাল করতে হবে!
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে?
সাংবাদিকদের জন্য আইন এতো কঠিন? আর সবাই দুয়া তুলসি পাতা?। উত্তর একটায় না। সকলের জন্য একই আইন করে নিয়ন্ত্রণ করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে? এমন প্রশ্ন আশাটা স্বাভাবিক নয় কি?
এখানে যুক্তি আছে? দেশ সংস্কার করতে যে সকল উদ্যোগ গুলো গ্রহণ করতে তার মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের সরকারে উদ্যোগে ৯ম গ্রেডের সম্মানির ব্যবস্থা করতে হবে?। এবং পেশারই মান বৃদ্ধি করতে হবে। গণমাধ্যম দেশ চালিকা শক্তি,? এ পেশায় যুক্ত হওয়ার আগেই সততা সচ্ছতা নিয়ে কমিটমেন্ট করে যোগ্যতার ভিত্তিতে মহান পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ তবে করতে হবে।
তখন সে তো স্মার্টলি সম্মানি পাবেন। তার আর অনিয়ম দুর্নীতির মধ্যে না থাকলেও সে হ্যাপী থাকবে। তিনি তার কাজের প্রতি দায়িত্বশীল থেকে বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরতে পিঁছু পা হবেন না, শুধু সরকারের চাপ থাকা যাবে না সরকার চাপ তৈরি করলে গণমাধ্যম থমকে দাঁড়ায়!
কোন সংবাদ কর্মী, কোন রকমের অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকলে ভুল হলে ক্ষমা যোগ্য হলে ওয়ার্নিং দিয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া?
২য় বারে যদি লোভ থেকে অপরাধমূলক কাজ করার সাহস দেখায় তাহলে যে শাস্তির বিধান রয়েছে?। এর ফলে কেউ লোভ থেকেও কেউ মৃত্যু সাহস দেখাবে না কারণ আইন কঠিন ।
এরপরও যদি কেউ এমন ভুল করে এরমধ্যে ১ টাকে ফাঁসিতে জুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর বিধান প্রয়োগ করলে? আর গুলো একাই ঠাঁন্ডা হয়ে যাবে।
এমন প্রশ্ন আসতে পারে? শুধু কি সাংবাদিকদের জন্যই এতো কঠিন আইন এমন নয়?
প্রতিটা পেশাজীবি সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য একই আইন থাকতে হবে। দেশ শুদ্ধিকরণ আইন প্রয়োগ করতে। এর জন্য দেশের মানুষের সমর্থণ লাগবে সবার আগে। সরকার প্রধানকে হতে হবে? হযরত ওমর (রা) মত ন্যায়ের প্রতি বিনয়ী ও মানবিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠিন বিচারক যার হুংকারে দূর্নীতিগস্থরা ভীত হয়ে দুর্নীতির কথা কেউ চিন্তাও করবে না।
নাগরিক অধিকার থাকবে সকলের জন্য সমান তার হাত ধরেই দূর্নীতি মুক্ত দেশ গড়া সম্ভব, আশা করা ভুল হবে কি?।
আমাদের দেশে হবে,
সেই ছেলে কবে?
কথায় না বড় হয়ে
কাজে বড় হবে?
৩য় শ্রেণীর বাংলা বইয়ে কবিতা " আদর্শ ছেলে" কবিতাটি আমরা সকলেই কমবেশি পড়েছি?
কবির মনের ভাব থেকে কি বুঝাতে চেয়েছে তা স্পষ্ট বুঝা যায়?। যা খুব সজেই বিশ্লেষণ করা যায়। কবিতাটার বিষয়ে পরে একদিন আলোচনা করা যাবে।
"আদর্শ ছেলে" কবিতার লেখক, কবি:কুসুম কুমারী দাসের সেই স্বপ্নের পুরুষ, স্বপ্নের ছেলে, একদিন আসবে আমাদের মাঝে আশা করি সকল অনিয়ম দুর্নীতি মুছে যাবে ইনশাআল্লাহ।
সরকার প্রধান সহ আইনপ্রণেতা, দেশের বুদ্ধিজীবি কবি সাহিত্যক সহ সুলিশ শ্রেণির সৎ ব্যক্তিদের সৎইচ্ছা থাকলে এমন পরিবর্তনও সম্ভব ও আশা করা যায় এবং করা উচিৎ বলে মনে করি। আপনি এমপি মন্ত্রী সর্ব প্রথম আপনি তো এ দেশের নাগরিক? দেশ ও দেশের নাগরিক আপনার আমার সত্ত্বা।
আগামীর বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত গড়ে তুলতে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করতে কঠোর হস্তে নীতিবান শাসককে দেশ পরিচালার দায়িত্ব দিতে হবে।
দেশের দূর্নীতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে যা কন্টোল করা সম্ভব নয় এমন পরিস্থিতি?
তবে অসম্ভব নয়?
কয়লার ভিতর থেকেই হিরার জন্ম বিষয়টি যেমন সত্য? তেমন খারাপের মধ্যেও ভাল থাকতে পারে।
সরকারের সৎইচ্ছা থাকলে এ পরিবর্তনও সম্ভব আশা করা যায়।
শুদ্ধি অভিযানে দুর্নীতি ব্যবস্থাপনা ধ্বংস করে দিতে হবে চাঁদাবাজি সন্ত্রাস নির্মুল করতে করতে হবে। দুর্নীতি নামক আবর্জণা ধূয়েমুছে পরিস্কার করতে হবে?
প্রথমে ত্যাগ শিকার করতে হবে? স্বতন্ত্র ন্যায়পরায়ন শাসক হতে হবে। ক্ষমতাসিন শাসকের সন্তানও যদি একই অপরাধে অপরাধী হয়ে থাকেন? তারও বিচার দেশের প্রচলিত আইননুসারে করতে হবে। এক কথায় ত্যাগ শিকার করতে হবে। ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর ভরসা রেখে সৎইচ্ছায়, দেশ ও দেশের নাগরিক এর প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় ও আল্লাহর বিধান ফলো করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তাহলে আমার দেশ ও দেশের জনগণের সভ্যতায় প্রবেশ করবেন ইনশাআল্লাহ।
এখন প্রশ্ন হলো, সাংবাদিকরা কিভাবে দূর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে?
সরকার দিকনির্দেশনা দিবেন সচ্ছতার ভিত্তিতে দেশ চলবে ওই অনুপাতে যে সকল পরিবর্তন আগে প্রয়োজন তার মধ্যে গণমাধ্যম অন্যতম। গণমাধ্যম সকল ইস্যু প্রকাশ করবে
সরকারের আদর্শ ও ভিশন প্রচার করবে ও দুর্নীতি অনুসন্ধান করে দুর্নীতিবাজ চাঁদাবাজির তথ্যসহ সংবাদ প্রকাশ করবেন। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সংবাদের সত্যতা যাচাই করে যথাযথ আইনের প্রয়োগ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সাংবাদিকতা একটি সেবামূলক প্রফেশন। সংবাদকর্মীদের পেশাজীবি হিসেবে গণ্য করা হয়। সমাজের আয়না সরূপ কাজ করেন গণমাধ্যম। আয়নায় যেমন, নিজের চেহারা পরিস্কার দেখা যায়?
তেমনই বাস্তবতার নিরিখে গণমাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের চরিত্র আয়না মত পরিস্কার তুলে ধরা যায়। আধুনিক যুগে বিশ্বের রূপ আমরা গণমাধ্যমেই দেখি থাকি? চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে আপনি দেশ ও জনগণের সামনে আমাকে আপনাকে গণমাধ্যম পরিবেশন করে থাকে।
একজন গণমাধ্যম কর্মীর দায়িত্ব রিপোর্টিং করা সত্যকে উপস্থাপন করা? ভাল গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হলে যেমন প্রকাশিত হয় তেমনই খারাপ সংবাদ প্রকাশিত হয়। সাংবাদিক সংবাদ বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন করেন দেশের মানুষের কাছে সহজ উপস্থাপন করে থাকেন।
সম্পাদক সম্পাদনা করেন লিডারশীপের দায়িত্ব পালন করেন।
এভাবে একদিন দেশ থেকে অনিয়ম দুর্নীতি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি বন্ধ হবে ইনশাআল্লাহ এবং পরিবর্তন আশা করা যায়।
খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত? মানবিকতার সফলতা অর্জিত হলে?
ধন ধন্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা, কবিতাটির লেখকে, সোনার বাংলা সত্যিকার অর্থেই নীড় ফিরে পাবে? দেশ হবে মানবিকতার সচ্ছতার ।
প্রতিযোগিতা থাকবে প্রজেটিভ? কে কি পরিমাণে সচ্চতা ও জবাব দিহিতায় এগিয়ে এগুলো নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে।
সকলেই সকলের মত করে নিজ দায়িত্ব পালন করবেন সংবাদ কর্মী বৈচিত্র্যময় প্রতিবেদন থেকে শুরু করে উন্নয়নমূলক প্রতিবেদনের কাজ করবে। আমি একজন ক্ষুদ্র গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে বলতে পারি? এমন একটি সময় আসবে যখন অনিয়ম দূর্নীতি কোন সংবাদ প্রকাশিত হবে? মানুষ তা আশ্চর্য হয়ে জানতে চাবে? দুর্নীতি চাদাবাজি করা লোকটি কি মানুষ? মানুষ হলে দেখতে কেমন ইত্যাদি। আমার ছোট সময়ের "চুর" গল্পের চুরের সিং দেখতে চাওয়া বালক আমি। চুর যে সিঁদ খুরছে তাহলে মনে হয় চুরের সিং আছে সিং দেখতে কেমন?।
যা বর্তমান সময়ে কোন বিষয় নয়? ঘোষ খাওয়াটা মনে করেন অধিকার?
,এমনও দেখেছি আমি? ঘোষকে হালাল রুজি মনে করেন। নায়ুজুবিল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।
দেশে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ সকল নাগরিকের অধিকার। দেশ চালিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ গণমাধ্যম? কমীরা প্রতিবেদনের কাজ করবে, সত্য জাতি ও বহিঃবিশ্বে প্রকাশি হবে।
কারণ আগে যে কারণে প্রতিবেদন বাঁধাগ্রস্থ হত ওই পরিবেশ থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
তখন কেউ প্রতিবেদন লেখা থেকে বিরত থাকবে না? তখন সকল পেশাজীবীদের মিলন মেলা হবে কাজের মাধ্যমে। একে অপরের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে ভাল কাজের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। কোন দপ্তর ভাল সাফল্য দেখাতে পারলেন? কোন দপ্তর ফেয়ারনেস প্রতিযোগিতা থাকবে।
কে কত % সচ্ছতার মধ্যে ফেয়ারনেস অর্জণ করতে পারলেন তা নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী ফেয়ারনেস প্রতিযোগিতায় % হার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করবেন। তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে দেশের জন্য। প্রতিযোগিতা হবে গণমানুষের অধিকারের জন্য।
জনমনে দেশ প্রেম বৃদ্ধি পাবে, মানুষের মাঝে, দেশ প্রেমের চেতনা জাগ্রত হবে। স্লোগান হবে একাটায় সবার আগে বাংলাদেশ।
লেখক: এম শাহীন আলম শাহীন
একজন গণমাধ্যম কর্মী।