14/09/2025
আমার গায়ের রঙ ফরসা, উচ্চতাও ভালো, উচ্চতা অনুযায়ী ওজনও কম।
চেহারায় হয়তো একটু আদিবাসী ধরনের ভাব আছে🤣, কিন্তু আমি জানি আমি দেখতে আলহামদুলিল্লাহ এতটাও খারাপ না।
গত ৮–৯ বছর ধরে হরমোনাল সমস্যায় ভুগছি।
ফলে মুখে অনেক ব্রণ হতো, এখন তুলনামূলক কম হলেও সারা বছরই কম-বেশি থাকে।
ওজন আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে, চুল পড়ে প্রচুর, খাওয়াদাওয়াও ঠিক মতো করতে পারি না।আগে আমার ওজন একটু বেশি ছিল তাই সেটা নিয়েও মানুষ নেতিবাচক মন্তব্য করতো....এখন ওজন কমে গেছে তবুও কিন্তু মানুষের নেতিবাচক মন্তব্যের কমতি হয়নি।
তবে এতো সব পরিবর্তনের মধ্যে মানুষের চোখে পড়ে শুধু আমার মুখের দাগ।
আর সেখান থেকেই শুরু হয় আবার নেতিবাচক মন্তব্যের —
"এই মুখে বিয়ে হবে কেমনে?", " উল্টা পাল্টা জিনিস ব্যবহার করো এই জন্য এমন "," এটা ব্যবহার করে দেখো ঠিক হয়ে যাবে "
আরও কত কী…
আগে খুব কষ্ট পেতাম, লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতাম। তবে এখন এগুলো খুব একটা আমাকে প্রভাবিত করতে পারে না....কিন্তু যখন কাছের মানুষরাও এসব কথা বলে তখন নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনা,
যারা জানে যে আমার কেন এমন হচ্ছে—
তাদের মুখ থেকে এসব শুনে মনে হয়, " তারা আমাকে না, আমার মুখটাকেই ভালোবাসে হয়তো।" অনেকবার ভেবেছি হয়তো মরে গেলেই শান্তি…
কিন্তু না....আমি বুঝতে পেরেছি যে এগুলো আসলে মানুষের মানসিকতার সমস্যা.... যেখানে ২০২৫ এ দাঁড়িয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন সম্ভব হয়নি সেখানে ঐ মানুষগুলোর জন্য নিজেকে পরিবর্তন করার কিংবা নিজের অস্তিত্ব মুছে ফেলার কোনো মানে হয় না।
যেখানে আমি জানি, এটা আমার দোষ না।
আমি জানি যে, " আল্লাহ না চাইলে কিছুই ঠিক হবে না — আর তিনি চাইলে সব সম্ভব। "
যাই হোক,,,,সবশেষে এইটুকুই বলা যে—
" কারও মুখ দেখে যদি খারাপ লাগে , তাহলে দরকার হয় তাকাবেন না। "
কিন্তু দয়া করে সেই মানুষটার সামনে নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না। কারণ এসব শুনে কারও আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায়, কারও নিজেকে অপ্রয়োজনীয় মনে হয় কিংবা নিজেকেই নিজের ঘৃণা হয়।
আল্লাহ্ সবাইকেই সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন....তাই এখন আমাদের উচিত শুধু আমাদের মানসিকতাকে সুন্দর করা🙂।
☹️