Universal Islamic Media

Universal Islamic Media It's for them, who wants to know pure Islam.....

অনেকে সীরাত মাহফিল করবেন এ মাসে, তাই নবীজি (স) আদর্শের উপর কিছু টিপস চেয়েছিলেন, সংক্ষেপে তার খিদমতে পেশ করলাম। বিশ্বনবী ...
09/09/2024

অনেকে সীরাত মাহফিল করবেন এ মাসে, তাই নবীজি (স) আদর্শের উপর কিছু টিপস চেয়েছিলেন, সংক্ষেপে তার খিদমতে পেশ করলাম।

বিশ্বনবী (স) এর আদর্শ

রসূলুল্লাহ (স) ছিলেন সকল প্রকার মানবিক গুণে গুণান্বিত এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। বন্ধু ও শত্রু সকলের মুখে সমভাবে তাঁর অনুপম চরিত্র মাধুর্যের প্রশংসা বর্ণিত হয়েছে। কঠোর প্রতিপক্ষ আবু সুফিয়ান সম্রাট হেরাক্লিয়াসের সম্মুখে অকুণ্ঠ চিত্তে তাঁর সততা, আমানতদারী ও সচ্চরিত্রতার উচ্চ প্রশংসা করেছেন।
(বুখারী হা/৭)

আল্লাহপাক নিজেই স্বীয় রাসূলের প্রশংসায় বলেন, وَإِنَّكَ لَعَلَى خُلُقٍ عَظِيْمٍ ‘নিশ্চয়ই তুমি মহান চরিত্রের অধিকারী’।
(ক্বলাম-৬৮/৪)।

রসূল (স) বলেন, بُعِثْتُ لأُتَمِّمَ مَكَارِمَ الأَخْلاَقِ ‘আমি প্রেরিত হয়েছি সর্বোত্তম চরিত্রের পূর্ণতা দানের জন্য’। তাই দেখা যায়, নবুঅত-পূর্ব জীবনে সকলের নিকটে প্রশংসিত হিসাবে তিনি ছিলেন ‘আল-আমীন’ (বিশ্বস্ত, আমানতদার) এবং নবুঅত পরবর্তী জীবনে চরম শত্রুতাপূর্ণ পরিবেশেও তিনি ছিলেন ধৈর্য ও সহনশীলতা, সাহস ও দৃঢ়চিত্ততা, দয়া ও সহমর্মিতা, পরোপকার ও পরমত সহিষ্ণুতা, লজ্জা ও ক্ষমাশীলতা প্রভৃতি অনন্য গুণাবলীর জীবন্ত প্রতীক।
মহান আল্লাহ বলেন,
لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ ٱللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُوا۟ ٱللَّهَ وَٱلْيَوْمَ ٱلْءَاخِرَ وَذَكَرَ ٱللَّهَ كَثِيرًا-
যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।
(আহযাব- ৩৩/২১)

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আরও বলেন,
Aal-e-Imran 3:31
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِى يُحْبِبْكُمُ ٱللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ-
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।

তাঁর অনুপম চরিত্রমাধুর্য ও অতুলনীয় বৈশিষ্ট্যসমূহ পূর্ণভাবে বর্ণনা করা ঐরূপ অসম্ভব, যেরূপ পূর্ণচন্দ্রের সৌন্দর্য বর্ণনা করা এবং খালি চোখে আকাশের তারকারাজি গণনা করা অসম্ভব।

বিদায় হজের ভাষণে বিশ্বনবী (স) বলেন,
وَعَن مَالك بن أنس مُرْسَلًا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا: كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ رَسُولِهِ- «. رَوَاهُ فِي الْمُوَطَّأ»
পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরাঃ
মালিক ইবনু আনাস (রাঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ তোমরা সে দু’টি জিনিস আঁকড়ে ধরে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পথভ্রষ্ট হবে না- আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রসূলের হাদীস।
[ইমাম মালিক মুয়াত্ত্বায় বর্ণনা করেছেন।]
হাসান: মুয়াত্ত্বা মালিক ১৫৯৪। [ইমাম মালিক মুয়াত্ত্বায় বর্ণনা করেছেন।]
এ হাদীসটি মুরসাল বরং মু‘যাল (অর্থাৎ- পর্যায়ক্রমে দু’জন রাবীর নাম উল্লেখ করা হয়নি) এজন্য য‘ঈফ বটে। তবে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে হাসান সানাদে ইমাম হাকিম-এর শাহিদ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আলবানী (রহঃ) বলেন, আমি ‘আত্তাজুল জামি‘উ লিল উসূলিল খামসাহ্’ নামক গ্রন্থে এর উভয় সানাদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এরপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আরও বলেন,
An-Nisa' 4:80
مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرْسَلْنَٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا-
যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।

মহানবী হজরত মুহম্মাদ (স) ছিলেন সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য এক অনুপম আদর্শ। তিনি ছিলেন শিশুর আদর্শ, যুবকের আদর্শ, সৈনিকের আদর্শ, সেনাপতির আদর্শ, স্বামীর আদর্শ, পিতার আদর্শ, নানার আদর্শ, ব্যবসায়ীর আদর্শ, শিক্ষকের আদর্শ ও রাষ্ট্রনায়কের আদর্শ। পৃথিবীর অন্যকোনো মহামানবের ভেতরে এমন অপুর্ব দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে না, যার সমাহার ও সংমিশ্রণ শুধু এই মহামানবের জীনাদর্শেই বিদ্যমান। তাঁর অনুসরণ-অনুকরণ করার মধ্যে মানব জীবনের ঐকান্তিক সফলতা নিহিত।

রসুল (স) পৃথিবীতে আগমন করেছেন সচ্চরিত্রের বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে। রসুল (স) বলেছেন, ‘আমাকে সচ্চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের নিমিত্তই প্রেরণ করা হয়েছে।’
(জামেউল আহাদিসঃ ৬৭২৯)

মানব জাতির আদর্শঃ
রসুল (স) ছিলেন সৃষ্টির সেরা মানুষ। নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকরাও অকপটে স্বীকার করেছেন যে মুহাম্মাদ (সা.) সর্ব কালের, সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ মহামানব।

রসুল (স)-এর চরিত্র সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।’
(সুরা কালাম, আয়াতঃ ৪)
অর্থাৎ নৈতিক চরিত্রের সর্বোচ্চ মানের ওপর আপনি অধিষ্ঠিত। রসুলুল্লাহ (স)-এর নৈতিক চরিত্রের মান নিয়ে মক্কার মুশরিকদেরও অভিযোগ ছিল না।
তাঁর বিশ্বস্ততা ও উন্নত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তাদের ছিল না কোনো দ্বিমত। রসুলুল্লাহ (স)-এর নৈতিক চরিত্রের সর্বোত্তম সংজ্ঞা দিয়ে হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘কুরআনই ছিলো তাঁর চরিত্র।’ রসুলুল্লাহ (স) দুনিয়ার তাবৎ মানুষের সামনে শুধু কোরআনের শিক্ষাই পেশ করেননি। বরং তিনি নিজেকে কোরআনের জীবন্ত নমুনা হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। কুরআন মজিদে যে নৈতিক গুণাবলীকে উৎকৃষ্ট কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব গুণে তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ গুণান্বিত।

ক্ষমা ও মহানুভবতাঃ
প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ও ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি চরম শত্রুকেও ক্ষমা করে দিতেন। মক্কা বিজয়ের দিনে রসুল (স) মক্কার লোকদের উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, ‘হে কুরাইশরা! তোমরা আমার কাছ থেকে আজ কেমন ব্যবহার আশা করো?’ তারা বলল, সম্মানিত ভাই ও ভ্রাতুষ্পুত্রের মতো! তিনি বললেন, ‘তোমরা চলে যাও! আজ তোমরা মুক্ত!’ যারা একসময় তাঁকে অনেক অত্যাচার-নির্যাতন, সামাজিকভাবে বয়কট করা এমনকি হত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিল, অথচ তিনি তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিলেন! এভাবেই সহনশীলতা তাঁর চরিত্রকে নিয়ে গিয়েছিল এক অনন্য উচ্চতায়। রসুল (স) একবার সাহাবিদের সঙ্গে মসজিদে বসা ছিলেন। এমন সময় একজন বেদুঈন এসে সেখানে পেশাব করা শুরু করলে সাহাবিরা তাকে ধমক দিয়ে থামতে বললেন। রসুল (স) বললেন, ‘তাকে ছেড়ে দাও; বাধার সৃষ্টি করো না।’ তারপর তিনি লোকটিকে ডেকে বললেন, ‘এটা মসজিদ, এ স্থান অপবিত্রতা কিংবা পেশাব পায়খানার জন্য উপযুক্ত নয়।’ অতঃপর রসুল (স) একজনকে বললেন, তুমি পানি ভর্তি একটা বালতি নিয়ে আসো। এরপর এর ওপর ঢেলে দাও। তিনি বালতিতে পানি এনে তার ওপর ঢেলে দিলেন।
(মুসনাদে আহমাদঃ ১২৯৮৪)

পেশাব আটকে রাখলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে, এই চিন্তা থেকে রসুল (স) লোকটিকে পেশাবের মাঝে বাঁধা দিতে নিষেধ করেন। এবং মসজিদে পেশাব করার সাময়িক অনুমতি দেন। যারা উগ্র মানসিকতা সম্পন্ন, তাদের জন্য এটি একটি শিক্ষণীয় ঘটনা। ভিন্নমতাবলম্বী মানুষের সঙ্গে ইসলাম কী ধরনের ব্যবহার করতে বলেছে, তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এখানে বিদ্যমান।

খাইরুল ইসলাম,
সভাপতি, তা'লিমুল কুরআন বিভাগ ও সহঃ সভাপতি, বাংলাদেশ উলামা পরিষদ, চিরিরবন্দর উপজেলা, দিনাজপুর।

22/08/2024

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা পূজায় তাদের সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হলে মুসলিমদের মাসজিদের বার্ষিক মাহফিলে ও ঈদগাহ ময়দানেও সরকারি বরাদ্দ দিতে হবে।

একমত থাকলে সবাই আওয়াজ তুলুন ও শেয়ার করুন।

আসসালামু আলাইকুম। চিরিরবন্দর উপজেলার ৭ নং আউলিয়াপুকুর ইউপিতে জামায়াতে ইসলামীর ১ম সমাবেশ মাসজিদ থেকে শুরু। এরপর খোলা মাঠে...
16/08/2024

আসসালামু আলাইকুম।

চিরিরবন্দর উপজেলার ৭ নং আউলিয়াপুকুর ইউপিতে জামায়াতে ইসলামীর ১ম সমাবেশ মাসজিদ থেকে শুরু। এরপর খোলা মাঠে হবে শীঘ্রই ইংশা-আল্লাহ।

অনেক দিন পর মন খুলে কথা বলা ও শোনা হল।

প্রধান অতিথি ছিলেন,
আফতাব উদ্দিন মোল্লা, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, , চিরিরবন্দর, দিনাজপুর।

অন্তর্বতীকালীন সরকারে থাকছেন যারা, শপথ গ্রহণ শেষ। ০৮/০৮/২০২৪প্রধান উপদেষ্টাঃ ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টাঃ১. সালেহ উদ্দিন ...
08/08/2024

অন্তর্বতীকালীন সরকারে থাকছেন যারা, শপথ গ্রহণ শেষ।
০৮/০৮/২০২৪

প্রধান উপদেষ্টাঃ
ড. মুহাম্মদ ইউনূস

উপদেষ্টাঃ
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ড. আসিফ নজরুল
৩. আদিলুর রহমান খান
৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন
৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান
৭. মো. নাহিদ ইসলাম
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন-
১০. সুপ্রদিপ চাকমা
১১. ফরিদা আখতার
১২. বিধান রঞ্জন রায়
১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান
১৪. নুরজাহান বেগম
১৫. শারমিন মুরশিদ
১৬. ফারুকী আযম

26/07/2024

আজকের খুতবা
২৬/০৭/২০২৪

সমস্যা আসার কারণ ও প্রতিকারঃ
পার্থিব সমস্যা বা মহামারি ইত্যাদি যেগুলো আমাদের মাঝে প্রায়ই দেখা দেয়, এর কারণ প্রসঙ্গে
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
Ar-Rum 30:41
ظَهَرَ ٱلْفَسَادُ فِى ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِى ٱلنَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ ٱلَّذِى عَمِلُوا۟ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ-
‘স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের কারণে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদের তাদের কর্মের শাস্তি ভোগ করাতে চান; যাতে তারা ফিরে আসে।’
(সুরা রুমঃ ৪১)
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
Al-A'raf 7:168
وَقَطَّعْنَٰهُمْ فِى ٱلْأَرْضِ أُمَمًاۖ مِّنْهُمُ ٱلصَّٰلِحُونَ وَمِنْهُمْ دُونَ ذَٰلِكَۖ وَبَلَوْنَٰهُم بِٱلْحَسَنَٰتِ وَٱلسَّيِّـَٔاتِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ-
আর আমি তাদেরকে বিভক্ত করে দিয়েছি দেশময় বিভিন্ন শ্রেনীতে, তাদের মধ্যে কিছু রয়েছে ভাল আর কিছু রয়েছে অন্য রকম! তাছাড়া আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছি ভাল ও মন্দের মাধ্যমে যাতে তারা ফিরে আসে।
(সূরা আ'রাফঃ১৬৮)

সন্তানের প্রতি লুকমান আ. এর উপদেশঃ
یٰبُنَیَّ اَقِمِ الصَّلٰوۃَ وَ اۡمُرۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ انۡهَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ اصۡبِرۡ عَلٰی مَاۤ اَصَابَکَ ؕ اِنَّ ذٰلِکَ مِنۡ عَزۡمِ الۡاُمُوۡرِ
হে আমার প্রিয় বৎস, সালাত কায়েম কর, সৎকাজের আদেশ দাও, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং তোমার উপর যে বিপদ আসে তাতে ধৈর্য ধর। নিশ্চয় এগুলো অন্যতম দৃঢ় সংকল্পের কাজ।
(৩১ সূরা লুকমানঃ ১৭)

সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ না করার পরিণতিঃ
عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتَأْمُرُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ أَوْ لَيُوشِكَنَّ اللَّهُ أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عِقَابًا مِنْهُ ثُمَّ تَدْعُونَهُ فَلاَ يُسْتَجَابُ لَكُمْ"
হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই তোমরা সৎকাজের জন্য আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজের প্রতিরোধ করবে। তা না হলে আল্লাহ তা’আলা শীঘ্রই তোমাদের উপর তার শাস্তি অবতীর্ণ করবেন। তোমরা তখন তার নিকট দুআ করলেও তিনি তোমাদের সেই দু’আ গ্রহণ করবেন না।
(তিরমিজিঃ ২১৬৯, মিশকাতঃ ৫১৪০)

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
Al-Baqarah 2:65
وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ ٱلَّذِينَ ٱعْتَدَوْا۟ مِنكُمْ فِى ٱلسَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ كُونُوا۟ قِرَدَةً خَٰسِـِٔينَ-
তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘণ করেছিল। আমি বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও।
Al-Baqarah 2:66
فَجَعَلْنَٰهَا نَكَٰلًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهَا وَمَا خَلْفَهَا وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ-
অতঃপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি।

দাউদ (আ) এর সময় আল্লাহ তায়ালা শনিবার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এরপরও কিছু মানুষ সীমালঙ্ঘন করেছিল।
তাফসীরে আসছে, ৩ ভাগে লোক ভাগ হয়েছিল।
১। সত্তর হাজার লোক মাছ ধরেছিল।
২। সত্তর হাজার লোক নিষেধ না করে চুপ ছিল।
৩। সত্তর হাজার লোক নিষেধ করেছিল।
যারা মাছ ধরেছিল ও চুপ থেকেছিল, তারা ঘৃনিত বানরে পরিনত হয়েছিল।
আর যারা নিষেধ করেছিল তারা এ আযাব থেকে রেহাই পেয়েছিল।
সুতরাং আমাদেরও সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করতেই হবে সামর্থ্য অনুযায়ী।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন,
আমী-ন

তাকবিরে তাশরিক কী?৯ই জিলহজ্জ ফজর থেকে ১৩ই জিলহজ্জ আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরজ সলাতের পর তাকবীর পাঠ করা ওয়াজিব। অর্থাৎ ...
15/06/2024

তাকবিরে তাশরিক কী?

৯ই জিলহজ্জ ফজর থেকে ১৩ই জিলহজ্জ আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরজ সলাতের পর তাকবীর পাঠ করা ওয়াজিব।
অর্থাৎ আগামীকাল রবিবার ফজর থেকে বৃহস্পতিবার আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরজ সলাতের পর তাকবীর পাঠ করা ওয়াজিব।
এছাড়াও ইচ্ছেমতো আরও তাকবীর পাঠ করা যাবে।

তাকবিরে তাশরিকের ফজিলতঃ
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন,
Al-Hajj 22:28
لِّيَشْهَدُوا۟ مَنَٰفِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا۟ ٱسْمَ ٱللَّهِ فِىٓ أَيَّامٍ مَّعْلُومَٰتٍ عَلَىٰ مَا رَزَقَهُم مِّنۢ بَهِيمَةِ ٱلْأَنْعَٰمِۖ فَكُلُوا۟ مِنْهَا وَأَطْعِمُوا۟ ٱلْبَآئِسَ ٱلْفَقِيرَ-
যাতে তারা তাদের কল্যাণের স্থান পর্যন্ত পৌছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করে তাঁর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ করার সময়। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার কর এবং দুঃস্থ-অভাবগ্রস্থকে আহার করাও।
(সুরা হজ, আয়াতঃ ২৮)
সুতরাং বুঝা গেল, এখানে আল্লাহ তায়ালা কয়েকটা দিনকে উদ্দেশ্য করেছেন, তাই বলেছেন তিনি,
‘যেন তারা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে’।

বিখ্যাত সাহাবি মুফাসসির ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, এখানে ‘নির্দিষ্ট দিন বলতে ‘আইয়ামে তাশরিক’ ও ‘আল্লাহর স্মরণ’ বলতে তাকবিরে তাশরিক বোঝানো হয়েছে।
(বুখারি, অধ্যায় দুই ঈদ)
এখানে নির্দিষ্ট দিনসমূহ দ্বারা আইয়ামে তাশরিক উদ্দেশ্য এবং জিকির দ্বারা তাকবিরে তাশরিক উদ্দেশ্য।
(ইবনে কাসির)

জিলহজের গুরুত্বপূর্ণ আমলজিলহজের প্রথম দশ দিনের বিশেষ আমলঃজিলহজের প্রথম দশ দিনের বিশেষ আমল; এই দিন এই সময় মহান আল্লাহ তা...
07/06/2024

জিলহজের গুরুত্বপূর্ণ আমল

জিলহজের প্রথম দশ দিনের বিশেষ আমলঃ

জিলহজের প্রথম দশ দিনের বিশেষ আমল; এই দিন এই সময় মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন এবং বিভিন্ন ভাবে বিন্যস্ত করেছেন। বছর ,মাস, সপ্তাহ,দিন ,রাত, ইত্যাদি তিনিই সাজিয়েছেন। আর তিনিই আপন হিকমতে ও কুদরত বলে বছরের কিছু মাস, মাসের কিছু দিন এবং দিনের কিছু অংশকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য মন্ডিত করেছেন। যিলহজ মাস সেগুলোর অন্যতম। এ মাসটি হজ্বের মাস। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ এ মাসের সাথে জড়িত। জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০দিনের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। সূরা ফাজরে আল্লাহ তাআলা বলেন-
والفجر وليال عشر-

শপথ ফজরের, শপথ দশ রাতের।
(সূরা ফজর ০১ ও ০২)

হযরত ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হযরত ইবনে জুবায়ের রাযিআল্লাহ তা’আলা আনহুও হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখ মুফাসসির সাহাবী ও তাবেয়ীর মতে দশ রাত বলতে জিলহজ মাসের প্রথম দশ রাতকে বোঝানো হয়েছে।
(তাফসীরে ইবনে কাসির ৪/৫৩৫)

এছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদিস দ্বারা আরো স্পষ্ট হয়ে যায় এভাবে যে, হযরত ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ مَا الْعَمَلُ فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ أَفْضَلَ مِنَ الْعَمَلِ فِي هَذِهِ ‏”‏‏.‏ قَالُوا وَلاَ الْجِهَادُ قَالَ ‏”‏ وَلاَ الْجِهَادُ، إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ يُخَاطِرُ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ بِشَىْءٍ ‏”‏‏.‏

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত; নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন; যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ‘আমলের চেয়ে অন্য কোন দিনের ‘আমলই উত্তম নয়। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও কি (উত্তম) নয়? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন; জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তির কথা ছাড়া যে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়েও জিহাদে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৯৬৯, শরহু মুসকিলিল আছার হাদিস নং ২৯৭০)

বিশেষ ০৪ আমল কখনো ছাড়তেন নাঃ
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে ৪টি আমল নিয়মিত করতেন, তা কখনো ছাড়তেন না; তাহলো-

১. প্রতিদিন ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়া।

২. প্রত্যেক আরবি মাসের মধ্যবর্তী ৩দিন (আইয়ামে বিজের) রোজা রাখা।

৩. প্রতি বছর মহররম মাসে ১০ তারিখ ‘আশুরার রোজা’ রাখা।

৪. প্রত্যেক হিজরি বছরের শেষ মাস জিলহজের প্রথম দশকের রোজা রাখা।
(মুসনাদে আহমাদ)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, প্রতিদিন ফজরের সুন্নাত নামাজ আদায় করা। কেননা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো ফজরের সুন্নাত এবং বিতরের নামাজ ছাড়তেন না। প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজের রোজা রাখা। মহররম মাসে আশুরার রোজা রাখা এবং জিলহজ মাসের প্রথম দশক রোজা রাখা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত ৪টি আমল যথাযথভাবে আদায় করে সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণে নিজেদের রাঙানোর তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। (আমীন)

জিলহজ মাসের প্রথম দশকের বিশেষ কিছু আমলঃ

এক
জিলহজ্ব মাসের চাঁদ ওঠার আগেই চুল, মোচ এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের পশম পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ফেলা। তেমনি ভাবে হাত পায়ের নখ কেটে ফেলা। অতঃপর কোরবানির দিন কোরবানি আদায় করার পর তা পরিষ্কার করে ফেলা। মধ্যবর্তী সময়ে এগুলো কাটা থেকে বিরত থাকা। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদীসে ইরশাদ করেছেন;

وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو اللَّيْثِيُّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ أُكَيْمَةَ اللَّيْثِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يَقُولُ سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو اللَّيْثِيُّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ أُكَيْمَةَ اللَّيْثِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يَقُولُ سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَانَ لَهُ ذِبْحٌ يَذْبَحُهُ فَإِذَا أُهِلَّ هِلاَلُ ذِي الْحِجَّةِ فَلاَ يَأْخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ وَلاَ مِنْ أَظْفَارِهِ شَيْئًا حَتَّى يُضَحِّيَ ‏”‏ ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন; যে লোকের কাছে কুরবানীর পশু আছে সে যেন যিলহাজ্জের নতুন চাঁদ দেখার পর ঈদের দিন থেকে কুরবানী করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে।
(ই.ফা. ৪৯৫৯, ই.সে. ৪৯৬৫, সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫০১৫,জামে তিরমিযি হাদিস নং ১৫২৩, সুনানে নাসাঈ হাদিস নং ৪৩৬১,৪৩৬৩, সুনানে আবু দাউদ হাদিস নং ২৭৯১, মুসনাদে আহমদ হাদিস নং ২৬৪৭৫, আসসুনানুল কুবরা লিল ইমাম বায়হাকী ১৯০৪৩)

এছাড়া যারা কুরবানী করবে না তারাও উক্ত আমলটি করলে আশা করা যায় তারাও উক্ত ফজিলত প্রাপ্ত হবে অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা একটি কুরবানির সওয়াব দান করবেন।

দুই
বেশী নফল ইবাদত করা; নফল ইবাদত যেকোনো ইবাদত হতে পারে নামাজ, রোজা, তাসবিহ-তাহলীল ইত্যাদি।
একটি হাদিসে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন-
، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ مَا الْعَمَلُ فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ أَفْضَلَ مِنَ الْعَمَلِ فِي هَذِهِ ‏”‏‏.‏ قَالُوا وَلاَ الْجِهَادُ قَالَ ‏”‏ وَلاَ الْجِهَادُ، إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ يُخَاطِرُ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ بِشَىْءٍ ‏”‏‏-

ইব্‌নু ‘আব্বাস(রাঃ) থেকে বর্ণিত; নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন; যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ‘আমলের চেয়ে অন্য কোন দিনের ‘আমলই উত্তম নয়। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও কি (উত্তম) নয়? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন; জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তির কথা ছাড়া যে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়েও জিহাদে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৯৬৯, শরহু মুসকিলিল আছার হাদিস নং ২৯৭০)

তিনঃ
জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশকের যে সকল নফল ইবাদতের কথা এসেছে, তার মধ্যে রোজা অন্যতম। প্রথম দশ দিনে রোজা রাখা অর্থাৎ ঈদের দিন ব্যতীত বাকী নয় দিন রোযা রাখার কথা হাদিসে এসেছে।
হাদিসটি হল-
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻫﺎﺷﻢ ﺑﻦ اﻟﻘﺎﺳﻢ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﺇﺳﺤﺎﻕ اﻷﺷﺠﻌﻲ اﻟﻜﻮﻓﻲ، ﻗﺎﻝ: ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ ﻗﻴﺲ اﻟﻤﻼﺋﻲ، ﻋﻦ اﻟﺤﺮ ﺑﻦ اﻟﺼﻴﺎﺡ، ﻋﻦ ﻫﻨﻴﺪﺓ ﺑﻦ ﺧﺎﻟﺪ اﻟﺨﺰاﻋﻲ، ﻋﻦ ﺣﻔﺼﺔ، ﻗﺎﻟﺖ: ﺃﺭﺑﻊ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻳﺪﻋﻬﻦ اﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ: ﺻﻴﺎﻡ ﻋﺎﺷﻮﺭاء، ﻭاﻟﻌﺸﺮ، ﻭﺛﻼﺛﺔ ﺃﻳﺎﻡ ﻣﻦ ﻛﻞ ﺷﻬﺮ-

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোযা, যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা , এবং প্রত্যেক মাসের তিন রোযা কখনো ছাড়তেন না ।
(মুসনাদে আহমদ হাদিস নং ২৫৯২০)

চারঃ
বেশি বেশি তাসবীহ তাহলীল পড়াঃ
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﻔﺎﻥ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﻋﻮاﻧﺔ، ﻋﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺯﻳﺎﺩ، ﻋﻦ ﻣﺠﺎﻫﺪ، ﻋﻦ اﺑﻦ ﻋﻤﺮ، ﻋﻦ اﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ: ” ﻣﺎ ﻣﻦ ﺃﻳﺎﻡ ﺃﻋﻈﻢ ﻋﻨﺪ اﻟﻠﻪ ﻭﻻ ﺃﺣﺐ ﺇﻟﻴﻪ اﻟﻌﻤﻞ ﻓﻴﻬﻦ ﻣﻦ ﻫﺬﻩ اﻷﻳﺎﻡ اﻟﻌﺸﺮ، ﻓﺄﻛﺜﺮﻭا ﻓﻴﻬﻦ ﻣﻦ اﻟﺘﻬﻠﻴﻞ ﻭاﻟﺘﻜﺒﻴﺮ ﻭاﻟﺘﺤﻤﻴﺪ

হযরত ইবনে উমর রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আল্লাহ তায়ালা নিকট কোন দিনের নেক আমলই এ দশদিনের নেক আমল চেয়ে প্রিয় ও অধিক গুরুত্ব পূর্ণ নয়। সুতরাং তোমরা বেশি বেশি তাকবীর, তাহমীদ, ও তাহলীল পাঠ কর ।
(মুসনাদে আহমদ হাদিস নং৬১৬, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা হাদিস নং ১৩৯১৭)

পাঁচঃ
আরাফার দিনে রোজা রাখাঃ
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ এবং ভারসাম্যপূর্ণ দিন। বিভিন্ন বিধানের মধ্যে ইসলামের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। এরই একটি হল আরাফার দিনের বিধান। হাজীগণ যেহেতু আরাফার দিনে হজের গুরুত্বপূর্ণ আমল আরাফার ময়দানে অবস্থান করা- এ ইবাদতে লিপ্ত থাকবেন, তাই তাদের যেন উক্ত আমলে কোন কষ্ট বা ত্রুটি না হয় এজন্য তাদেরকে আরাফার দিনে রোজা রাখতে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন। এক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যক্তিরা যেহেতু তাদের উক্ত আমল নেই আর আরাফার দিন একটা ফজিলতপূর্ণ দিন, সেজন্য তাদেরকে রোজা রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিস বর্ণনা করেছেন-
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي قَتَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدِ اسْتَحَبَّ أَهْلُ الْعِلْمِ صِيَامَ يَوْمِ عَرَفَةَ إِلاَّ بِعَرَفَةَ-

আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি আল্লাহ্‌ তা’আলার নিকট আরাফাতের দিনের রোযা সম্পর্কে আশা করি যে, তিনি এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন।
(সুনানে ইবনু মাজাহ ১৭৩০, মুসলিম২৬৩৬)

আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা আবূ কাতাদা (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আরাফাতে অবস্থানরত ব্যক্তিদের ছাড়া অন্যদের জন্য এই দিনে রোযা পালন করাকে বিশেষজ্ঞ আলিমগণ মুস্তাহাব বলেছেন।
(জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৭৪৯)

একটি ভ্রান্তির নিরাশনঃ
হাদিসে আরাফার দিনে রোজা রাখার বিভিন্ন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, তাই অনেক মানুষই এদিনে বিভিন্ন এবাদতে লিপ্ত থাকতে চান। এখন প্রশ্ন হল আরাফার দিন সৌদি আরবে যেদিন হয়, আমাদের দেশে সেদিন জিলহজের ৮ তারিখ থাকে এখন আমরা যদি আরাফার দিনে রোজা রাখতে চাই বা অন্যান্য ইবাদত করতে চাই তাহলে আমরা কোন দিন ইবাদত করব?
এর সহজ উত্তর হল; আরাফার দিন নয়। “ইওমু আরাফা” হলো; একটি শরয়ী পরিভাষা। উদ্দেশ্য হলো জিলহজের ৯ তারিখ। তাই আমাদের দেশে কেউ যদি উক্ত দিনে আমল করতে চায় তাহলে সে তার দেশের ০৯ই জিলহজ্জ নয় তারিখে আমল করবে।
তবে বেশিরভাগ উলামা ও মুহাদ্দিসগন ০৮ ই জিলহজ্জ তথা যেদিন প্রকৃতপক্ষে ইয়াওমে আরাফাহ, হোক সেটা বাংলাদেশের ০৮ই জিলহজ্জ সেদিন সিয়াম পালন করবে।
এখানে তারিখ নয় দিবস শর্ত। কেননা এদিন আল্লাহ বান্দাদের ক্ষমা করে দেন, দুয়া কবুল করেন ও অনেক জাহান্নামিদের মুক্তি দেন।
তাই দিবসকে বোঝানো হয়েছে।

ছয়ঃ
আরাফার দিন বেশী বেশী দোয়া করাঃ আরাফার দিন নিম্নে হাদিসে বর্ণিত দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করা-
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ خَيْرُ الدُّعَاءِ دُعَاءُ يَوْمِ عَرَفَةَ وَخَيْرُ مَا قُلْتُ أَنَا وَالنَّبِيُّونَ مِنْ قَبْلِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ‏”‏ -
قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ-

‘আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) কর্তৃক পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদা থেকে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; আরাফাতের দিনের দু’আই উত্তম দু’আ। আমি ও আমার আগের নাবীগণ যা বলেছিলেন তার মধ্যে সর্বোত্তম কথা; “আল্লাহ ছাড়া কোন মাবূদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই, সার্বভৌমত্ব তারই এবং সমস্ত কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান”।
(জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫৮৫)

সাতঃ
আইয়ামে তাশরিকঃ
৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসরের নামাজের পর পর্যন্ত প্রতি ফরজ নামাযের পর একবার তাকবীরে তাশরীক পড়া ওয়াজিব।

তাকবীরে তাশরীক হলো-
اَللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أكْبَرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ وَلِله الحَمْدُ-
উচ্চারনঃ আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ৷
অর্থঃ আল্লাহ মহান ! আল্লাহ মহান ! আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, এবং আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
জামাতে হোক বা একাকী আদায় করা হোক সর্বাবস্থায়-ই এই তাকবীর পড়তে হবে। পুরুষগণ একটু আওয়াজ দিয়ে এবং মহিলাগণ আস্তে আস্তে পড়বে।

আটঃ
বেশি বেশি ইসতিগফার পাঠ করা।

নয়ঃ
বেশি বেশি সদাকাহ করা।

দশঃ
এরপর ১০ই জিলহজ্জ কুরবানী করা।
১০ তারিখে কুরবানি করবে। এ বিষয়ে আমাদের কুরবানীর ইতিহাস, গুরুত্ব এ ফযিলত প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা এসেছে।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে উক্ত দিনগুলোর সময়কে ভালো কাজে এবং নেক কাজে ব্যয় করার তৌফিক দান করুন এবং সকল প্রকার গুনাহ্ থেকে আমাদের হেফাজত করুন।
আমীন

25/05/2024

আলেম ও দাঈ ইলাল্লাহদের এই গুরুত্বপূর্ণ হাদিসটি ফলো করক উচিত একান্তভাবে।

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন,

فَبِمَا رَحْمَةٍ مِّنَ ٱللَّهِ لِنتَ لَهُمْۖ وَلَوْ كُنتَ فَظًّا غَلِيظَ ٱلْقَلْبِ لَٱنفَضُّوا۟ مِنْ حَوْلِكَۖ فَٱعْفُ عَنْهُمْ وَٱسْتَغْفِرْ لَهُمْ وَشَاوِرْهُمْ فِى ٱلْأَمْرِۖ فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَوَكِّلِينَ-
অর্থঃ
আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং কাজে কর্মে তাদের পরামর্শ করুন। অতঃপর যখন কোন কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করুন আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন।
(সূরা আলে ইমরানঃ ১৫৯)

হাদিসঃ
‎حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم"‏ يَسِّرُوا وَلاَ تُعَسِّرُوا، وَسَكِّنُوا وَلاَ تُنَفِّرُوا ‏"‏‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা নম্র হও এবং কঠোর হয়ো না। শান্তি দান কর, বিদ্বেষ সৃষ্টি করো না। অর্থাৎ মানুষকে সুসংবাদ শোনাও দুঃসংবাদ শোনাইও না।

সহীহুল বুখারী,
(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮১)

আসসালামু আলাইকুম। আজই রাতে সাহরি খেতে হবে। বুধ, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ৩ দিন আইয়ামে বীজ (চাঁদের) সিয়াম।
21/05/2024

আসসালামু আলাইকুম।
আজই রাতে সাহরি খেতে হবে। বুধ, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ৩ দিন আইয়ামে বীজ (চাঁদের) সিয়াম।

আজকের পেপার কাটিং,আমরা কি খাচ্ছি আসলে?
15/05/2024

আজকের পেপার কাটিং,
আমরা কি খাচ্ছি আসলে?

চিরিরবন্দর আয়েশা সিদ্দিকাহ মডেল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মাওলানা আমিনুল ইসলাম (হাফি) এর ছেলে দাখিল/এস এস সি পরীক্ষ...
13/05/2024

চিরিরবন্দর আয়েশা সিদ্দিকাহ মডেল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মাওলানা আমিনুল ইসলাম (হাফি) এর ছেলে দাখিল/এস এস সি পরীক্ষা/২৪ এ গোল্ডেন A+ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
তার সফলতার জন্য সকলের কাছে দুয়াপ্রার্থী।

03/05/2024

নবি করীম (স) ৫টি জিনিস এর ব্যাপারে সতর্ক করেছেনঃ
‎حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏ "‏ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ خَمْسٌ إِذَا ابْتُلِيتُمْ بِهِنَّ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ تُدْرِكُوهُنَّ لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا إِلاَّ فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ وَالأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلاَفِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا ‏.‏ وَلَمْ يَنْقُصُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ إِلاَّ أُخِذُوا بِالسِّنِينَ وَشِدَّةِ الْمَؤُنَةِ وَجَوْرِ السُّلْطَانِ عَلَيْهِمْ ‏.‏ وَلَمْ يَمْنَعُوا زَكَاةَ أَمْوَالِهِمْ إِلاَّ مُنِعُوا الْقَطْرَ مِنَ السَّمَاءِ وَلَوْلاَ الْبَهَائِمُ لَمْ يُمْطَرُوا وَلَمْ يَنْقُضُوا عَهْدَ اللَّهِ وَعَهْدَ رَسُولِهِ إِلاَّ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ فَأَخَذُوا بَعْضَ مَا فِي أَيْدِيهِمْ ‏.‏ وَمَا لَمْ تَحْكُمْ أَئِمَّتُهُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ وَيَتَخَيَّرُوا مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ بَأْسَهُمْ بَيْنَهُمْ ‏"‏ ‏.

আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও।
১। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।
২। যখন কোন জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বিপদ-মুসীবত
৩। যখন যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভু-পৃষ্ঠে চতুষ্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না।
৪। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়। ৫। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযীলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন।

হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
সহীহাহ ১০৬
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪০১৯
হাদিসের মানঃ হাসান

29/04/2024

★ বিশেষ সতর্কতা ★

৩০শে এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার বিগত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্রতর দাবদাহের সাক্ষী হতে যাচ্ছে সমগ্র বাংলা। দাবদাহের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ও বিপদজনক তাপপ্রবাহ দ্বারা আক্রান্ত হতে চলেছে সমগ্র বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গ। ভয়াবহ লাল তাপপ্রবাহ বলয় চক্কর সবচেয়ে বিপদজনক মাত্রায় পৌঁছাতে চলেছে মঙ্গলবার। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আগুনের হল্কা ভয়াবহ বিপদজনক লু হাওয়া প্রবল বেগে প্রবাহিত হবে। মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহের দ্বারা মৃত্যুর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন। ৩০ মিনিট থেকে ১ঘন্টা টানা রোদের মধ্যে থাকলে সানস্ট্রোক ও সংজ্ঞাহীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। বেশিক্ষণ রোদের নীচে থাকলে নাক মুখ দিয়ে রক্তপাত ও মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

আসুন জুমুয়ার দিনে দুয়া করি, বিশেষ করে আসর থেকে মাগরিব এ সময়। اللهم صيبا نافعا-আল্ল:-হুম্মা ছয়্যিবান না-ফিআ-।অর্থঃ হে আল্...
26/04/2024

আসুন জুমুয়ার দিনে দুয়া করি, বিশেষ করে আসর থেকে মাগরিব এ সময়।

اللهم صيبا نافعا-
আল্ল:-হুম্মা ছয়্যিবান না-ফিআ-।
অর্থঃ হে আল্লাহ ! আমাদের প্রতি উপকারী বৃষ্টি বর্ষন করুন।
আমী-ন !

তীব্র তাপদাহে ঢাকা মহানগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আলহামদুলিল্লাহ !
21/04/2024

তীব্র তাপদাহে ঢাকা মহানগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে,
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আলহামদুলিল্লাহ !

এখনই সতর্ক হওয়া অতি জরুরি !
17/04/2024

এখনই সতর্ক হওয়া অতি জরুরি !

সকলের প্রতি রইলো পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা!
10/04/2024

সকলের প্রতি রইলো পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা!

10/04/2024

ربنا تقبل صيامنا، و صلاتنا و زكوتنا و توبتنا و دعاءنا.......
انك انت السميع العلىم.

Address

Dinajpur
Dinajpur

Telephone

+8801718949685

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Universal Islamic Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Universal Islamic Media:

Share