শখের প্রবাস,

শখের প্রবাস, যাদের ক্যাপশন পছন্দ তারা আমার এই ছোট্ট পেজটি ফলো লাইক করুন
(4)

20/08/2025

একটা মধ্যবিত্ত ছেলের অপুর্ণ স্বপ্নের গল্প

আমার এই ছোট্ট জীবনের কিছু গল্প আছে কিছু না বলা কষ্ট আছে কিছু ত্যাগ আছে কিছু স্বপ্ন আছে।

আমি একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে, সাথে একটা ছোট বোন। ছোট থেকেই দেখেছি সংসারের অবস্থা তেমন ভালো না। যত বড় হচ্ছিলাম, তত বুঝতাম আমাদের পরিবারের সুখটা হয়তো কপালে লেখা ছিল না।
বাবাকে দেখেছি দিনের পর দিন পরিশ্রম করতে, মায়ের চোখে দেখেছি লুকানো অশ্রু।

পড়াশোনা করছিলাম, কিন্তু এক সময় বুঝলাম, শুধুই বইয়ের পাতায় ডুবে থেকে সংসারের এই দুঃখ ঘুচবে না। তাই বাবাকে বললাম,
বাবা, আমি বিদেশে যেতে চাই… আমাদেরও একটু ভালো থাকা দরকার।

কিন্তু যাওয়ার পথে ছিল একের পর এক কাঁটা, একের পর এক আঘাত।
আমার বাবা চার ভাইয়ের মধ্যে বড়। অথচ এই পরিবারে কখনোই মিল ছিল না।
যে গল্পটা এখনো বুকের ভেতর পাথরের মতো জমে আছে, সেটার শুরু আমার ফুফুর বিয়ে থেকে।

আমার ফুফুর বিয়ে হয়েছিল অন্য জায়গায়। জামাইয়ের একটু মানসিক সমস্যা ছিল। তখন আমার দাদী জোর করছিলেন ফুফুকে ডিভোর্স করাতে। কিন্তু বাবা বলেছিলেন,
মানুষ কি বলবে, মা? ডিভোর্স না দিলেও চলবে।
কিন্তু বাবার কথা শোনেননি দাদী। ডিভোর্স হলো।
সেই দিন থেকে বাবার প্রতি দাদীর ঘৃণা শুরু।
তারপর থেকে সংসারের প্রতিটা সমস্যার দায় বাবার ঘাড়ে।

তারপর বড় হতে হতে দেখলাম, আমার দুই চাচ্চু বিদেশ চলে গেল। তখন ভেবেছিলাম, একদিন হয়তো আমাকেও নিয়ে যাবে। কিন্তু না
যখন তারা দাদীর কাছে আমার কথা বললো, তখন দাদী সরাসরি বলে দিলেন,
রফিককে বিদেশ নিতে হবে না, নিলে তো তোমাদের থেকে উঁচু পর্যায়ে চলে যাবে।

ভাবুন একবার। নিজের দাদীর মুখে এই কথা।
তারপর এক চাচ্চু সরাসরি বলে দিলেন,
যেতে চাইলে রফিকের মায়ের বংশের মাধ্যমে যা, আমরা নিয়ে যাব না!

সেই দিন বুকটা যেন হিম হয়ে গিয়েছিল।
বাবাকে বললাম,
আমি তাদের কাছে কিছু চাই না। আপনি যেভাবেই পারেন, আমাকে বিদেশে পাঠান।

তারপর বাবার এক সম্পর্কে মামার সাথে যোগাযোগ হলো।
পাসপোর্ট করলাম, মেডিকেল করলাম, কলিং লেটার এলো, ভিসাও হয়ে গেল।
মনে হচ্ছিল, স্বপ্নটা হয়তো সত্যি হতে চলেছে।

বিদেশ যাওয়ার আগে কিছু কেনাকাটা করতে হবে। দাদীর কাছে গেলাম, বললাম,
দাদী, আমি বিদেশ যাচ্ছি। কয়েকদিন পর ফ্লাইট, কিছু টাকা দিলে মার্কেট করতে পারি।
কিন্তু দাদী সাহায্য তো করলেনই না, উল্টো আমার ফুফুর জামাইকে নিয়ে টিপ্পনী কাটলেন,
আমার মেয়ের জামাই বিদেশ যাচ্ছে, তার টাকা নেই।
কথাগুলো আজও কানে বাজে।

শেষ পর্যন্ত আমার পাশে একমাত্র দাঁড়িয়েছিল আমার নানী।
সেই নানীই টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। তার দোয়া আর পরিশ্রমের জোরে একদিন প্লেনে চড়লাম।

এখন দুই বছর হয়ে গেছে এই পরবাসে।
কঠোর পরিশ্রম করেছি, লোন শোধ করেছি।
এই সময়ের মধ্যে আমার ছোট বোনের বিয়ে দিয়েছি, ভালো ঘর দেখে।
কিন্তু নিজের জন্য?
না এখনো নিজের জন্য কিছুই করতে পারিনি।
প্রতিটা রাত কাটে বুকের ভেতর হাজারো স্বপ্ন নিয়ে।
সবচেয়ে কষ্টটা হয় তখন, যখন সেই একই আত্মীয়রা,
যারা আমার বিদেশ যাওয়ার সময় এক গ্লাস পানি পর্যন্ত দেয়নি,
আজ আমার কাছে টাকা ধার চাইতে আসে।
তখন মনে হয়,
রক্তের সম্পর্ক শুধু কাগজে লেখা থাকে, বাস্তব জীবনে তার প্রমাণ মেলে না!

আজও বেঁচে আছি শুধু মায়ের দোয়ার বরকতে,
আজও লড়াই করছি শুধু পরিবারের জন্য,
আজও ঘুম ভাঙে শুধু একটা স্বপ্ন নিয়ে
একদিন হয়তো সব ঠিক হবে।

কিন্তু তার আগ পর্যন্ত
এই ভাঙা বুক, এই পরবাসের রাত,
এই নিঃশব্দ কষ্টই আমার সঙ্গী। 💔🙂

21/07/2025

বাংলাদেশে থাকতে হলে জাহান্নামের অনুভব আগে থেকেই পেয়ে যেতে হয়।
একটা ট্রেনিং, একটা অব্যবস্থাপনা আর কত প্রাণ যাবে এভাবে?
আজ যারা নেই, তারা কি এমন মৃত্যু চেয়েছিল?
নিহতদের কান্না, আহতদের আর্তনাদ এই দায়ভার কে নেবে?😅

07/06/2025

রাত যতই গভীর হয়, প্রবাসীর চোখ ততই ভিজে ওঠে। দেয়ালে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে চলে, কিন্তু তার সময় থেমে থাকে দেশের এক কোনায়-মায়ের অসুস্থ মুখ, বাবার নীরব দৃষ্টি, স্ত্রীর অভিমানী চোখ, সন্তানের ফেলে রাখা ছোট জুতোজোড়া। হাজার হাজার মাইল দূরে বসে সে শুধু একটাই প্রশ্ন করে নিজেকে-"এই জীবন কি শুধুই টাকার জন্য?"

একটা প্রবাসীর দিন শুরু হয় ভোরবেলা, ঠান্ডা বা উত্তপ্ত আবহাওয়ায় ক্লান্ত দেহ টেনে নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে সে। সারাদিন কাজ, ঝাড়পোঁছ, নির্মাণ, হোটেল, কিংবা কারখানার শব্দে কানে তালা লাগে। কেউ গালি দেয়, কেউ হুকুম দেয়। কিন্তু সে চুপচাপ সহ্য করে, শুধু পরিবারের কথা মনে করে।

প্রতিদিন সন্ধ্যায় তার চারপাশে ভিড় থাকে-অচেনা মুখের, অচেনা ভাষার। অথচ তার নিজের মনের চারপাশে থাকে নিঃসঙ্গতা, হাহাকার আর অনাহূত কান্না। দেশে ফোন করে যখন মায়ের কাঁপা গলা শোনে-"তুই খেয়েছিস রে বাবা?"-তখন বুকটা হুহু করে ওঠে। সন্তানের কণ্ঠে যখন শোনা যায়-"আব্বু, তুমি কবে আসবে?"-তখন নিজের চোখের জল লুকিয়ে বলে -"খুব তাড়াতাড়ি, বাবা!"

রাত হলেই শুরু হয় আসল যুদ্ধ। চারদিকে নিস্তব্ধতা, কিন্তু তার ভেতরটা তখন যেন ঝড়। খালি বিছানায় শুয়ে সে ঘুমাতে পারে না -কারণ ঘুম তার কাছে বিলাসিতা। চোখ বন্ধ করলেই ভেসে ওঠে পরিবারের অভাব, মা'র অসুস্থতা, সন্তানের স্কুল ফি, কিংবা স্ত্রীর দুঃখী মুখ। একসময় চোখের কোণ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে চুপচাপ একটা অশ্রু। কেউ দেখে না, কেউ জানেও না।
লোকেরা ভাবে প্রবাসীরা রাজা-ডলার-পাউন্ডে ভাসে তারা। কেউ জানে না, তারা কতটা না-পাওয়া নিয়ে বাঁচে। জীবনের সোনালি সময়টা অন্যের মাটিতে ফেলে আসতে হয় তাদের। জন্মভূমিতে মরে পড়ে থাকে শিকড়, আর তারা বেঁচে থাকে একটা অচেনা ভূখণ্ডে-চোখে নির্ঘুম রাত আর বুকে চাপা কান্না নিয়ে।

তবুও সে বাঁচে-পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর আশায়। হয়তো নিজের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিনগুলো সে খরচ করে দেয় নিঃশব্দে, অন্ধকারের গহীনে। কেউ না জানুক, প্রতিটি প্রবাসী জানে-এই পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ রাতগুলোর নাম নির্ঘুম

প্রবাসজীবন।

02/06/2025

"এবারো এই ঈদের নামাজের পর আম্মুর হাতে গরুর মাংস খাওয়া হবে না, বাবার মুখ দেখে ঈদের সালামি নেওয়া হবে না, কারণ আমি প্রবাসী।
এই ঈদে যেখানে আমি তাদের সাথে থাকবো না, অথচ মনে হচ্ছে সবকিছুই রেখে এসেছি—আমার ঈদ, আমার ঘর, আমার মানুষরা।
অনেক মিস করবো এবারো এই ঈদে তাদের, গরুর মাংসের চেয়ে বেশি মিস করবো সেই ভালোবাসার স্বাদ, যেটা শুধু আম্মু-বাবার হাতেই মেলে।
কুরবানির এই দিনে, ত্যাগের মানে আমার কাছে শুধু পশু কুরবানী না, বরং পরিবারের হাসির মাঝখানে না থাকা।
অগ্রীম ঈদ মোবারক, আম্মু-আব্বু, আমি দূরে থেকেও প্রতিটা দোয়া, প্রতিটা মাংসের গন্ধে তোমাদের পাশে আছি।"💔😅

02/06/2025

টাকা হয়তো শুধু একটা সংখ্যা, একটা ধাতব মুদ্রা বা কাগজের নোট। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এর ভেতরে কত না গল্প লুকিয়ে আছে। কারো প্রথম রোজগারের ঘ্রাণ, সন্তানের স্কুলের বেতন জোগানোর তৃপ্তি, মায়ের চিকিৎসার জন্য শেষ সম্বলটুকু-টাকা শুধু লেনদেন নয়, এ তো জীবন!

কখনও ভেবেছেন, একটা পুরনো পাঁচ টাকার নোট হাতে নিলে কত স্মৃতি ভিড় করে আসে? হয়তো সেই নোট দিয়ে প্রথমবার ফুচকা খেয়েছিলেন, কিংবা বাবার হাত ধরে মেলায় গিয়েছিলেন। টাকা তো শুধু সম্পদ নয়, এ তো স্মৃতির ঝাঁপি।

আবার দেখুন, কারো জমানো টাকা যখন বন্যার জলে ভেসে যায়, তখন শুধু আর্থিক ক্ষতি হয় না, ভেঙে যায় বেঁচে থাকার স্বপ্ন। টাকা তখন শুধুই একটা সংখ্যা থাকে না, ওটা হয়ে যায় চোখের জল, অসহায়তার প্রতিচ্ছবি।

আসলে টাকা নীরবে অনেক কথা বলে। কারো মুখে হাসি ফোটায়, কারো চোখে আনে জল। কারো অভাবের সংসারে একটুখানি আলো জ্বালে, আবার কারো প্রাচুর্যের মাঝেও এনে দেয় শূন্যতা। টাকা হয়তো সবকিছু নয়, কিন্তু জীবনের অনেক না বলা কথা লুকিয়ে থাকে এর সঙ্গেই, যা হয়তো আগে কেউ এভাবে অনুভব করেনি🙂

শোনো মায়াবতী তোমাকে আমি হাজার চেষ্টা করেও রাখতে পারিনি সে তুমি আমাকে গোপনে ঠকিয়েছো তুমি চেয়েছো তোমার স্বাধীনতা কিন্তু আম...
01/06/2025

শোনো মায়াবতী তোমাকে আমি হাজার চেষ্টা করেও রাখতে পারিনি সে তুমি আমাকে গোপনে ঠকিয়েছো তুমি চেয়েছো তোমার স্বাধীনতা কিন্তু আমি দেইনি তোমাকে। আটকে রেখেছি তুমি একদিন মিস করবে আমার এই কথাগুলো তুমি যেই সুখের জন্য আমাকে ছেড়ে গেছ তোমার সেই
সুখ যেন দীর্ঘস্থায়ী। হয় তুমি আমার চোখের সামনে আমাকে ঠকিয়েছো তোমার মত মানুষ আর কারো নাহ।
হোক তিলে তিলে তোমাকে গড়ে তুলছি পাঁচটা বছর তার থেকে নিজেকে পড়াশুনার।
মধ্যে রাখলে এগিয়ে যেতাম অনেক নিজ স্বার্থে অনেক কিছু করলে হয়তো আজকে সবার।
থেকে থেকে উপরে থাকতাম আমি হলাম প্রজন্মের পাখি।
সবার জন্য করে আমি নিজের জন্য কুকুর কুরে রাখি যেন সেই পুকুরে আমার মৃত্যু হয়।
ডুবে আমি কখনোই কারো কাছে স্বার্থের জন্য জাই নি।
তুমি আমার দীর্ঘস্থায় হয়েও তুমি আমাকে বুঝোনি কখনো বোঝার চেষ্টাও করনি।
আমি বুঝতে পারিনি তুমি যে আমাকে ব্যবহার করেছ আমি বুঝতে পারি নি
আজ না হয় কালকে যখন তার কাছে ঠকবে ঠিকই আমার কথা মনে পড়বে
যখন বুঝবা তীব্র যন্ত্রণা কাকে বলে
সবশেষে এটাই বলব তাকে নিয়ে তুমি খুশি থাকো আমি চেয়েছি শুধু তোমার কাছে ছোট ছোট আবদার।
গুলোতে গুরুত্ব আমি চেয়েছি তোমার সব কিছু পার্সনালটি আমার জন্য থাক।
কিন্তু তা হলো না।
তুমি নিজেকে প্রমাণ করে দিলে সত্যিকারের ভালোবাসা পা দিয়ে ঠেলে দিতে হয়।
যত্ন আর ভালোবাসা সবার কপালে থাকে না তুমি প্রমাণ করে দিলে।দেখা যাক তোমার সুখে দীর্ঘস্থায়ী থাকে কি নাহ তাও তোমাকে অনেক ভালোবাসি কিন্তু আর ফিরে পেতে চাই না।
তুমি ভালো করেই জানো আমি বুঝিয়ে বলতে পারিনা। তোমার সাথে পাঁচটা বছরের যেই স্মৃতিগুলো ছিল কিছু নেই আমার ফোন থেকে সবকিছু ডিলিট হয়ে গেছে এখন আমার আরো কুড়ে কুড়ে মরতে হবে কিন্তু তুমি পাঁচটা বছরের কোন
ফেলে আসা দিনগুলোর কথা আমাকে বলো না।
আমি প্রেমে পড়েছিলাম ঠিক আছে কিন্তু একটি প্রতারকের

28/05/2025

আমরা অনেক গরিব ঘরের মেয়ে আমরা তিন বোন দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে আমি ছোট জন্মের পর থেকে আমার জীবনটা অনেক কষ্টের আমার বয়স ১৯ যে বয়সে সংসার সাজানোর কথা ছিল এই বয়সে আমার মায়ের সংসার দেখাশোনা করছি কারণ বাবা-মার অনেক বয়স হয়েছে সংসারের যত কাজ আমি একা করতাম শরীর ক্লান্ত হলেও মনে চিন্তা হতো না আমি সব সময় হাসি খুশি থাকতাম এভাবে অনেক দিন কাটার পর একটা ছেলের সাথে অনলাইনে পরিচয় হয়ে তার নাম সবুজ আমার নাম রুমা দেড় বছর সম্পর্ক প্রথমে যখন কথা বলি তখন চিন্তাভাবনা ছিল না তার সাথে আমি রিলেশনে যাব আস্তে আস্তে কথা বলতে বলতে তার প্রতি কি জানি একটা মায়া হয়ে গেল সে প্রবাসী সে অনেকক্ষণ ডিউটি করত হাজারো ব্যস্ততার মাঝে আমাকে সময় দিত এটা মনে হলে আমাকে অনেক ভালো লাগতো একটা ছেলে ১২ ঘন্টা ডিউটি করার পর আমাকে সময় দেয় আমার সব রাগ-অভিমান সহ্য করে আমার সব পাগলামি সহ্য করে তারপর মনে হল সে আমাকে ভালোবাসে তাইতো আমার এত পাগলামি রাগ সহ্য করে এক সময় আমিও তাকে পাগলের মত করে ভালবাসলাম সেও আমাকে পাগলের মত ভালবাসে তারপর আর বাসার কাজের মন বসত না সব সময় ফোনের দিকে চেয়ে থাকতাম কখন ফোন দিবে কখন কথা বলবো কোন কিছুতেই ভালো লাগতো না সে বলছিল এই পৃথিবী উলটপালট হয়ে যাবে তবু আমি কখনো পাল্টাবো না আমি তার এই কথা না তার মুখের প্রতিটা কথাই আমি বিশ্বাস করতাম অন্ধের মত অনেকদিন যাওয়ার পর আমাদের মাঝে একটা ঝামেলা লাগলো তার প্রতি আমার একটু অবিশ্বাস শুরু হল তারপর সে আল্লাহর কোরআন ছুয়ে ওয়াদা করলো বললো আমি তোমাকে বিয়ে করবো কোনদিন থাকবো না আমার এই শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমি তাকে ভুলে আরো বেশি ভালোবাসা শুরু করলাম কারণ সে সৌদি আরবে আছে আমার নবীর দেশে আশাকরি ঐখানে আল্লাহর কোরআন নিয়ে মিথ্যা কথা বলবে না যতদিন গেল তার জন্য আমি পাগল হয়ে গেলাম তারপরও কিছুদিন যাওয়ার পর আমি তাকে বাসায় আসতে বললাম সে বলল তুমি আরেকটু কষ্ট করো আমি এক বছরের মধ্যে চলে আসব কিছু কেনাকাটা করব তারপর চলে যাব তারপর ও যা কিছু কিন্তু সব আমাকে দেখাইতো আর বলতো এটা তোমার জন্য কিনেছি রুমা আমি বাসায় গিয়ে তোমাকে পরাই দিব তবে একটা কথা সে যে এত কিছু কেনাকাটা করছে এইসবে আমার কোন ফিলিংস নেই কেন জানি মনে হচ্ছিল ওর এসব কিছু আমার লাগবে না খালি ওরে আমার লাগবে কেন জানিনা সব সময় মনে হতো ওরে আমি হারিয়ে ফেলবো আর ও বলতো তুমি এত টেনশন করো না তো আমি ঠিক সবই ঠিক তোমাকে আমার কাছ থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না আমি বোকার মতো এই কথাটা বিশ্বাস করে গেছি অবশেষে তার কেনাকাটা হয়ে গেল সে ফাইনালি বাসায় চলে আসবে আমার কাছে ভিডিও ফোন দিয়েছে বলছে তুমি টেনশন করো না আমি তো বাসায় চলে আসছি এইমাত্র তোমার জন্য তোমাকে বিয়ে করে আমার করে বউ বানাবো তাই তো চলে আসছি আমি তখন পাগলের মত কান্না করছি আর বলছি তোমার দুইটা পা ধরি তুমি বাসায় এসে পাল্টাই যেও না আমি তোমাকে পাগলা মতো ভালোবাসি আমি তোমাকে ছাড়া যে বাঁচতে পারব না সে বলল তুমি কান্না করো না আমাকে হাসিমুখে বিদায় দেও যেন তোমার কাছে যেতে পারি তখন ছিল বুকের ভেতর হাহাকার যন্ত্রণা তাও চোখের পানি পুষে হাসিমুখে বলছি ঠিক আছে ভালোভাবে এসো মনে মনে হারানোর ভয় ছিল তাও যেন আমি অনেক খুশি ছিলাম মনে মনে ভাবছিলাম আমাদের একটা সংসার হবে একটা ছেলে হবে কোন সময় ভাতের অভাব হবে না ভালোবাসা কোনদিন অভাব হবে না সারারাত খুশির খুশির ছোটে ঘুমাতে পারলাম না কারণ আমার সখের পুরুষ যে আছে আমার কাছে কত ছোট ছোট স্বপ্ন পূরণ হবে তার বুকে মাথা রেখে সারারাত পার করবো অনেক গল্প করব তার মাথার চুল টেনে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেবো তারপর আমি তার বুকে মাথা দিয়ে ঘুমাবো ইসরে এসব কথা মনে করলে আমার নিজের কাছে লজ্জা লাগতো তারপর সে বলছিল তোমাকে আমি শনিবারে নিয়ে আসব বিয়ে করবো আমি খালি ভাবতাম শনিবার কবে আসবে দিন যায় না কেন কারণ অপেক্ষা প্রহর শেষ হতে চায় না তারপর সে বাসায় পৌঁছে গেল ফ্রেশ হয়ে ফোন দিল তবে তার ফোনের অপেক্ষায় আমি ছিলাম মনে হচ্ছে কখন আমার শখের পুরুষ ফোন দিবে আমি চলে আসছি তারপর পাঁচ মিনিট কথা হওয়ার পর বলল রাতে কথা বলব এখন বাসায় অনেক মানুষ আমি এখন ঘুমাবো শরীরটা খারাপ করছে আমি বললাম ঠিক আছে তুমি ঘুমাও তারপর রাত ১ঃ০০ টার পর ফোন দিল আমি অনেকটাই রেগে ছিলাম আমি ফোন হাতে নিয়ে বসে আছি কখন ফোন দিবে কারণ সে তো এখন বাসায় প্রবাসে তো নেই যে কাজে ব্যস্ত থাকবে তারপর ভাবলাম যাই হোক প্রবাস থেকে তো বাসায় গেছে হয়তো বন্ধুদের সাথে একটু ঘুরছে আমি রাগ কন্ট্রোল করলাম আমি বললাম কি করলা এত রাত একটা বাজে এখন ফোন দিচ্ছ তুমি জানো না আমি তোমার ফোনের অপেক্ষায় বসে থাকি তোমার সাথে কথা না হলে আমি ঘুমাতে পারি না কিছু কথা বলার পর আমাকে হঠাৎ বলছে তুমি আমাকে ভুলে যাও আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না আমি তো এই কথা শুনে পাগল হয়ে গেছি আমি তাকে বললাম কেন আমাকে বিয়ে করবে না আমার অপরাধ সে বলল আমার ভাবি চায় না যে আমি তোমাকে বিয়ে করি আমি মনে করতাম একটা ছেলের সব সময় তার মা-বাবা বাধা হয়ে দাঁড়ায় কিন্তু সে বাংলাদেশের যাওয়ার পর তার ভাবী যা বলল সে তাই শুনলো আমি তারে ফোনে বুঝিয়েছি সে আমার কোন কথা শোনে না সে বলল আমার ভাবি যা বলবে তাই প্রবাসে থাকতে বলতো আমি মানুষের কথা কেনো শুনবো আমার বউকে আমি খাওয়াবো আমি পড়াবো ভাবিদের কথা আমি কোনদিন শুনবো না তুমি টেনশন করো না তো আমি তাকে অনেক বিশ্বাস করছি আর তাকে পাগলের মতো করে ভালোবেসেছি আমার মাথায় তো কোন কাজ করছে না আমি দেড় বছর অপেক্ষা করছি তার জন্য আমি তার পায়ে ধরে কান্না করছি আমাকে ছেড়ে যেও না তুমি যা বলবা আমি তাই শুনবো দরকার হলে সারা জীবন তোমার ভাবির পায়ের নিচে থাকবো খালি রাতে তোমার বুকে একটু আমার মাথা রেখে ঘুমাতে দিও সে আমার কোন কথা শুনে নাই আমার কান্না দেখে ওই বোনের পাখি ও কান্না করছে একটা কবুতরের বাচ্চা যেমন করে জবাই করে মাঠে ফেলে দে আর ছটফট করে আমিও বিছানায় এমন করে ছটফট করছি আমি পাঁচ দিন খাই নাই কোনরকম এক মট ভাত খেয়ে আমার জীবন বাঁচায়ে রাখছি ভাত খাওয়ার অনেক চেষ্টা করছি ভাতের প্লেটে কত যে আমার চোখের পানি পড়ছে ওই আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না ওহে আমার শখের পুরুষ তুমি তোমার ভাবের কথা শুনলা তোমার মায়ের কথা শুনলাম তোমার ভালোটা তুমি বুঝলা শুধু আমার কথাটাই একটু ভাবলা না💔😅

29/04/2023

~Ex এর SSC পরিক্ষা দোয়া করবেন সবাই....!🤲🌝🐸

Address

Dinajpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শখের প্রবাস, posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share