01/11/2025
সূরা বাকারার ফযীলত সম্পর্কে অনেক সহীহ বর্ণনা পাওয়া যায়। ইমাম ইবনুল আরাবী (রহঃ) বলেন: সূরা বাকারাহ এক হাজার সংবাদ, এক হাজার আদেশ ও এক হাজার নিষেধ সম্বলিত একটি সূরা। (তাফসীর ইবনে কাসীর, আহকামুল কুরআন ইবনুল আরাবী, অত্র আয়াতের তাফসীর)
সাহাবী আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
لَا تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ مَقَابِرَ، وَإِنَّ البَيْتَ الَّذِي تُقْرَأُ فِيهِ البَقَرَةُ لَا يَدْخُلُهُ الشَّيْطَانُ
“তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত কর না। কেননা যে বাড়িতে সূরা বাকারাহ পাঠ করা হয় তাতে শয়তান প্রবেশ করে না।”(তিরমিযী হা: ২৮৭৭, সহীহ) সহীহ মুসলিম এর বর্ণনায় রয়েছে:
إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْفِرُ مِنَ الْبَيْتِ الَّذِيْ تُقْرَأُ فِيْهِ سُوْرَةُ الْبَقَرَةِ
“যে বাড়িতে সূরা বাকারাহ পাঠ করা হয় সে বাড়ি থেকে শয়তান পলায়ন করে।”(সহীহ মুসলিম হা: ৫৩৯)
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের মধ্যে কাউকে যেন এরূপ না পাই যে, সে এক পায়ের ওপর অন্য পা তুলে পড়তে থাকে, কিন্তু সে সূরা বাকারাহ তেলাওয়াত করে না। জেনে রেখ, যে ঘরে সূরা বাকারাহ তেলাওয়াত করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান দ্রুত পালিয়ে যায়। সবচেয়ে খালি ও মূল্যহীন সেই ঘর, যে ঘরে আল্লাহ তা‘আলার কিতাব (কুরআন) পাঠ করা হয় না। (নাসাঈ হা: ৯৬৩,
আযান
বাসা-বাড়িতে যেসব বিছানা সবসময় খালি থাকে সেসব বিছানাতে শয়তান আসন পাতে। তাই বাসা-বাড়িতে খালি বিছানা রাখা উচিত না। শয়তান দুপুরে ঘুমায় না, এমনকি বিশ্রামও নেয় না। শয়তান সবসময় বিশ্রাম নেয় আলো এবং ছায়ার মাঝে। অর্থাৎ শয়তানের শরীরের একটা অংশ থাকে রোদের আলোতে এবং আরেকটা অংশ থাকে ছায়াতে। এভাবে বসেই সে আরাম করে। তাই কোনো মানুষের এভাবে রোদে বসা উচিত নয়।
আযান দেওয়ার সময় শয়তান অনেক দূরে পালিয়ে যায়, যতদূর আযান শোনা না যায়। আযানের শব্দ শেষ হলে আবার সে ফিরে আসে। আবার আযানের আওয়াজ হলে একইভাবে সে দূরে পালিয়ে যায়। তাই আযানের সময় কুকুররা তাকে দেখতে পায় বলে তারা ডাকাডাকি করে। যখন নামাযের তাকবীর বলা হয় তখনো শয়তান দূরে পালিয়ে যায়। নামায শুরু হলে আবার সে ফিরে এসে মানুষের মনে ভুল-ভ্রান্তি ছড়ায়, নামাযে অমনোযোগী করে দেয়। রাতের অন্ধকার নেমে আসার সাথে সাথে শয়তান তার দলবল নিয়ে দুনিয়াতে বিভিন্ন জায়গায় নেমে আসে। সেজন্য সন্ধ্যায় মাগরিবের আযানের সময় বাচ্চাদের রাস্তায় কিংবা বাড়ির বাহিরে থাকতে নিষেধ করেছেন আমাদের নবী।
©️