
26/06/2025
াছে_সার_প্রয়োগ_পদ্ধতি
🌳 সামনের বছর ভালো ফলন পেতে হলে এখনই আম গাছের যত্ন নিন!
এবার বেশি আম ধরলে, পরের বছর কম ধরতে পারে – যদি এখন সঠিক পরিচর্যা না করেন🥭
আম গাছে ফলন বাড়াতে আম সংগ্রহ শেষে সঠিক পরিচর্যা নিন।
📌 আম সংগ্রহ শেষ হলে এখন যা করবেনঃ
✅ ১. ডাল ছাঁটাই করুন:
যেসব ডালে এ বছর আম ধরেছে, সেই ডালগুলো ও মরা ডাল কেটে ফেলুন। এতে গাছ হালকা হবে এবং নতুন কুঁড়ি বের হয়।
👉 ছাঁটাইয়ের পর কপার অক্সিক্লোরাইড গ্রুপের ছত্রাকনাশক স্প্রে করুন (প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম হারে )।
✅ ২. সার প্রয়োগ :
যদি আগে সার না দিয়ে থাকেন, তাহলে আম সংগ্রহের পর সার প্রয়োগ করুন। এতে গাছ শক্তি ফিরে পাবে ও নতুন ডাল-পালা গজাবে।
✅ ৩. পোকা দমন করুন:
নতুন কচি পাতায় পোকার আক্রমণ দেখা দিলে নাইট্রো বা ক্যারাটে জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করুন।
✅ সার কোথায় দেবেন?
সার কখনোই গাছের একেবারে গোড়ায় দেবেন না। গাছের শিকড় যতদুর ছড়িয়ে থাকে তত দুরত্বে সার দিতে হবে:
🔹 গাছের গোড়া থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে সার প্রয়োগ করুন।
🔸 ছোট গাছ: ৩০–৫০ সেমি দূরে
🔸 মাঝারি গাছ: ১.৫–২.০ মিটার দূরে
🔸 বড় গাছ: ২.৫–৩.০ মিটার দূরে
📊গাছের বয়স অনুযায়ী সার প্রয়োগের মাত্রা:
📅 ২-৪ বছর বয়সী গাছের জন্য:
গোবর: ১০-১৫ কেজি
ইউরিয়া: ২৫০ গ্রাম
টিএসপি: ২৫০ গ্রাম
এমপি: ১০০ গ্রাম
জিপসাম: ১০০ গ্রাম
জিংক সালফেট: ১০ গ্রাম
বোরিক এসিড: ৫ গ্রাম
ম্যাগনেশিয়াম সালফেট: ১০ গ্রাম
📅 ৫-৭ বছর বয়সী গাছের জন্য :
গোবর: ১৬-২০ কেজি
ইউরিয়া: ৫০০ গ্রাম
টিএসপি: ২৫০ গ্রাম
এমপি: ২০০ গ্রাম
(বাকি অনুপাত অনুরূপ...)
📅 ৮-১০ বছর, ১১-১৫ বছর, ১৬-২০ বছর, ২০ বছরের বেশি গাছের জন্য বিস্তারিত ডোজ আগের মতোই বাড়তে থাকে।
🛠️ সার দেওয়ার সঠিক নিয়ম:
🔹 ১. নালা পদ্ধতিতে সার দিন:
গাছের চারপাশে ৩০ সেমি চওড়া ও ১৫–২০ সেমি গভীর করে বৃত্তাকারে নালা কাটুন। সেখানেই সার দিন এবং পরে মাটি দিয়ে ঢেকে দিন।
✅ ২. ছিটানো পদ্ধতি:
দুপুর বেলায় গাছের ছায়া পড়া এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে সার ছিটিয়ে কোদাল দিয়ে মাটি ও সার মিশিয়ে দিন।
👉 মাটিতে রস না থাকলে সার দেওয়ার পরপরই সেচ দিন।
কৃষি সমস্যা ও সমাধান