তন্বি চৌধুরী

তন্বি চৌধুরী I will come up with fun, educational, and entertaining videos on various topics from time to time.
(2)

😍নিজের দুর্বলতাগুলো মেনে নিন এবং নিজেকে সম্মান করুন🙀অন্যের অনুমোদনের উপর নির্ভর না করে নিজের মতো হন🥰🫶
09/10/2025

😍নিজের দুর্বলতাগুলো মেনে নিন এবং নিজেকে সম্মান করুন🙀অন্যের অনুমোদনের উপর নির্ভর না করে নিজের মতো হন🥰🫶

07/10/2025

❤️​লোভের ফল❤️🫶🙀​প্রথী ছিল অসম্ভব রূপবতী, কিন্তু তার মনের ভেতরে ছিল এক ভয়ংকর অন্ধকার—তা হলো সীমাহীন লোভ। গ্রামের সবাই জা...
03/10/2025

❤️​লোভের ফল❤️🫶🙀
​প্রথী ছিল অসম্ভব রূপবতী, কিন্তু তার মনের ভেতরে ছিল এক ভয়ংকর অন্ধকার—তা হলো সীমাহীন লোভ। গ্রামের সবাই জানত, প্রথীর চোখ সবসময় অন্যের জিনিসপত্রের ওপর থাকে। তার নিজের ভালো জিনিস থাকলেও সে অন্যেরটা দেখে ঈর্ষায় জ্বলে উঠত, আর মনে মনে সেটা পাওয়ার ফন্দি আঁটত। তার লোভের যেন কোনো শেষ ছিল না, যেন এক অতৃপ্ত আগুনের মতো তা কেবলই গ্রাস করতে চাইত।
​একদিন প্রথী তার প্রতিবেশী মীরাকে দেখল। মীরা ছিল খুব সাধারণ মেয়ে, কিন্তু সেদিন সে তার মায়ের দেওয়া একটি পুরনো কিন্তু কারুকার্য করা রূপার হার পরেছিল। হারটি দেখতে অসাধারণ না হলেও, মীরার মুখে এক অদ্ভুত আনন্দ এনে দিয়েছিল। প্রথীর চোখ পড়ল সেই হারের ওপর। সঙ্গে সঙ্গে তার লোভের আগুন জ্বলে উঠল। "এ হার তো আমার কাছেই মানায়," মনে মনে ভাবল প্রথী, "মীরার মতো সাদামাটা মেয়ের গলায় এটা বেমানান।"
​সেদিন থেকে প্রথীর খাওয়া-ঘুম উবে গেল। মীরার হারটি সে যেকোনো মূল্যে পেতে চাইল। প্রথমে সে মীরার সাথে খুব বন্ধুত্ব দেখাল। মিষ্ট কথায় মীরার মন জয় করল। সরল মীরা প্রথীর ছল বুঝতে পারেনি। একদিন সুযোগ বুঝে প্রথী মীরাকে বলল, "তোমার হারটা একটু দেবে? আমি শুধু একবার দেখব আর পরব।"
​মীরা দ্বিধা করল, কারণ হারটি তার মায়ের শেষ স্মৃতি ছিল। কিন্তু প্রথীর পীড়াপীড়িতে সে হারটি খুলতে বাধ্য হলো। প্রথী হারটি হাতে নিতেই তার চোখ চকচক করে উঠল। পরমুহূর্তেই সে হারটি নিজের আঁচলে লুকিয়ে ফেলল।
​"ওহ, কী হলো? আমি তোমায় হারটা দিয়ে দিলাম! তুমি অমন করে লুকোলে কেন?" অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল মীরা।
​প্রথী এবার তার আসল রূপ দেখাল। সে তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলল, "এখন থেকে হারটা আমার। তোমার আর দরকার নেই। পারলে কেড়ে নাও!"
​মীরা কেঁদে ফেলল, কিন্তু প্রথীর একগুঁয়েমির কাছে সে হার মানতে বাধ্য হলো। সবাই প্রথীর এমন কাজে ছি ছি করল, কিন্তু প্রথীর তাতে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। হারটি পেয়ে তার আনন্দ আর ধরে না।
​রাতে প্রথী হারটি পরে আয়নায় নিজেকে দেখছিল। তার চোখে-মুখে এক বিজয়ীর হাসি। হঠাৎ তার মনে হলো, হারটি যেন তার গলায় চেপে বসছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তার। সে তাড়াতাড়ি হারটি খোলার চেষ্টা করল, কিন্তু পারল না। হারটি যেন তার গলার সাথে আঠার মতো সেঁটে গেছে।
​ভয়ে প্রথীর শরীর কাঁপতে লাগল। সে দেখল, হারটির কারুকার্যগুলো যেন কিলবিল করে উঠছেন। হারটি এখন আর শুধু রূপার নয়, যেন অজস্র ছোট ছোট লোভের প্রতীক দিয়ে গড়া এক জালের মতো, যা তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এই হারটি মীরার মায়ের স্মৃতি হলেও, প্রথীর নোংরা লোভের স্পর্শে তা এক অভিশাপের রূপ নিল। যত সে ভয় পেল, তত হারটি শক্ত হতে লাগল।
​পরদিন সকালে গ্রামের লোকজন প্রথীর ঘরে এসে তাকে দেখল। প্রথী মেঝেতে নিথর হয়ে পড়ে আছে। তার গলায় সেই রূপার হারটি এমনভাবে চেপে বসেছিল যে তা ত্বক ভেদ করে ভেতরের দিকে চলে গেছে। প্রথীর মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল, শেষ মুহূর্তে সে কী ভয়ানক যন্ত্রণায় ভুগেছে।
​প্রথীর লোভের ভয়াবহ পরিণতি দেখে গ্রামের সবাই শিক্ষা পেল। লোভ কেবল বাইরের জিনিস চায় না, তা ধীরে ধীরে ভেতরের মানুষকেও শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলে। মীরার হার হয়তো সাধারণ ছিল, কিন্তু প্রথীর সীমাহীন লোভ তাকে এমন এক ভয়াবহ পরিণতি দিল, যা কেউ কখনো ভুলতে পারেনি। লোভের সেই আগুনের ফলস্বরূপ, প্রথীকে তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস—তার জীবনটাই—দিয়ে তার দাম শোধ করতে হলো❤️🫶🙀

🥲শহরের কোলাহলে এক অপ্রত্যাশিত দুঃস্বপ্ন🥲 😍তনুর দিন🙀😍❤️​শরতের মিষ্টি রোদ তখনও পুরোপুরি তেজ ছড়ায়নি। আজ শনিবার, ছুটির দিন...
03/10/2025

🥲শহরের কোলাহলে এক অপ্রত্যাশিত দুঃস্বপ্ন🥲
😍তনুর দিন🙀😍❤️
​শরতের মিষ্টি রোদ তখনও পুরোপুরি তেজ ছড়ায়নি। আজ শনিবার, ছুটির দিন। সপ্তাহভর অফিসের একঘেয়ে চাপ সামলে তনু আজ বেরিয়েছে একটু মুক্তির খোঁজে। হাতে বেশ কিছুটা সময় আছে, তাই সে ঠিক করেছে শহরের পুরনো বইয়ের দোকানগুলো একবার ঘুরে দেখবে। দরকারি কিছু বই কেনা হবে, আর হয়তো দু-চারটে দুর্লভ ক্লাসিকও খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
🙀​সকাল ৯টা নাগাদ তনু তার প্রিয় লাল রঙের ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে, চোখে হালকা কালো ফ্রেমের চশমা এঁটে বেরিয়ে পড়ল। ফোন, মানিব্যাগ, কিছু খুচরো টাকা, আর একটা জলের বোতল সবই ব্যাগের ভেতর সুরক্ষিত। উদ্দেশ্য, শহরের একটু ভেতরের দিকে, যেখানে পুরনো স্থাপত্য আর বইয়ের গন্ধ মিশে একাকার।
🙀​বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে চেপে মোটামুটি ঘণ্টাখানেকের যাত্রা। সে নামল অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত একটি এলাকায়, যেখানে ফুটপাতের দু’ধারে সারি সারি পুরনো বইয়ের দোকান। ভিড় খুব বেশি না হলেও মানুষের আনাগোনা ভালোই। তনু তন্ময় হয়ে বই দেখতে শুরু করল। একটা সময় সে পুরোপুরি ডুবে গেল একটি দুর্লভ কবিতার বইয়ের পাতায়।
🙀​ঘড়ির কাঁটা প্রায় এগারোটা ছুঁয়েছে। বই কেনা শেষ। মনটা ফুরফুরে। এবার একটা কফি শপে গিয়ে ঠান্ডা কফি খেতে ইচ্ছে করছে তার। ফুটপাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে সে মূল রাস্তার দিকে এগোচ্ছে।
​হঠাৎ করেই যেন চারপাশটা থমকে গেল।
​পিছন থেকে নিঃশব্দে আসা একটি মোটরসাইকেল তীব্র গতিতে তার পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল। মুহূর্তের ভগ্নাংশে তার কাঁধের ব্যাগটা যেটা সে শক্ত করে ধরেছিল বলে মনে হয়েছিল সেটা আর তার কাঁধে নেই!
​তনু কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটে গেল ঘটনাটা। সে দিশেহারা হয়ে হাতের ওপর চাপ অনুভব করল। পিঠে যেন কেউ একটা সজোরে ধাক্কা মেরে গেল। কিন্তু যখন সে বুঝতে পারল, ততক্ষণে বাইকটা প্রায় গলির মোড় পেরিয়ে গেছে।
​"আমার ব্যাগ! আমার সব কিছু!"অস্ফুটে আর্তনাদ করে উঠল তনু🥲
🙀​এক মুহূর্তের জন্য তার পায়ের নিচের মাটি সরে গেল। হতভম্ব হয়ে সে কেবল দেখতে পেল, দুজন লোক হেলমেট পরা অবস্থায় দ্রুতবেগে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। তাদের একজন তাকে লক্ষ্য করে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি ছুঁড়ে দিয়ে গেল, যা তনুর মনে কাঁটার মতো বিঁধল।
​আশপাশের লোকজন এসে ভিড় করল, অনেকে সহানুভূতি দেখাল, কেউ কেউ দ্রুত পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দিল। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার, তা হয়ে গেছে।
​শারীরিক আঘাত সামান্যই, কাঁধে সামান্য জ্বালা অনুভব হচ্ছে। কিন্তু মানসিক আঘাতটা ছিল ভয়াবহ। ভয়, রাগ, অসহায়তা সব মিলিয়ে এক মিশ্র অনুভূতি। মানিব্যাগে থাকা টাকা-পয়সা, আইডেন্টিটি কার্ড, ডেবিট কার্ড সব হারিয়েছে সে। কিন্তু সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো তার নতুন কেনা বইগুলো, আর তার মধ্যে রাখা মায়ের দেওয়া ছোট একটি রূপোর লকেট, যেটা ছিল তার কাছে অমূল্য।
​ছুটির দিনের আনন্দ, নতুন বইয়ের নেশা সব এক নিমেষে ফিকে হয়ে গেল। তনুর চোখে তখন আর রোদের ঝলকানি নেই, আছে কেবল এক মর্মান্তিক শূন্যতা। সেদিনের পর থেকে রাজধানীর রাস্তা যেন তনুর কাছে আর কেবল কংক্রিটের পথ থাকেনি, তা যেন এক অনিরাপদ, ভয়ের প্রতীক হয়ে গিয়েছিল।
🙀​তনু নিঃশব্দে এক রিকশা ডেকে বাড়ির দিকে রওনা হলো। শহরের কোলাহল তখনও ছিল, কিন্তু সেই শব্দগুলোর মধ্যে তনু শুনতে পাচ্ছিল শুধু তার হারানো ব্যাগ আর হৃদয়ের ক্ষতচিহ্নের প্রতিধ্বনি। একটা সাধারণ ছুটির দিন যে এমন দুঃস্বপ্নে শেষ হবে, তা সে কল্পনাও করেনি🥴
চলবে,,,,

আকাশের ছোট অনলাইন বুটিকটি (Online Boutique) বেশ ভালো চলছিল। রাত জেগে সে ওয়েবসাইট সাজাতো, কাস্টমারদের প্রশ্নের উত্তর দিত ...
02/10/2025

আকাশের ছোট অনলাইন বুটিকটি (Online Boutique) বেশ ভালো চলছিল। রাত জেগে সে ওয়েবসাইট সাজাতো, কাস্টমারদের প্রশ্নের উত্তর দিত এবং পার্সেল প্যাক করত। অল্প সময়েই তার ব্যবসার সুনাম ছড়াতে থাকে, যার ফলে তার একটি ছোট সঞ্চয়ও তৈরি হয়। আকাশ স্বপ্ন দেখত—এক দিন এই ব্যবসা আরও বড় হবে, সে একটি ছোট দোকান দেবে।
​একদিন, আকাশ তার ইমেইল (Email)-এ একটি লোভনীয় অফার দেখল: "আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপনের খরচ ৫ গুণ কমিয়ে দিন! এখনই এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।" অফারটি দেখে আকাশের মনে হলো, যেন তার স্বপ্ন পূরণের পথ আরও সহজ হয়ে গেল। দ্বিধা না করে সে ফিশিং (Phishing) লিঙ্কটিতে ক্লিক করে এবং তার ব্যবসার পেমেন্ট গেটওয়ের (Payment Gateway) লগইন তথ্যগুলো একটি নকল ফর্মে (Fake Form) দিয়ে দেয়। সে বুঝতেও পারেনি যে এটা একটি ফাঁদ।
​পরের দিন সকালে, যখন আকাশ দেখল তার ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা উধাও, তখন তার পায়ের তলার মাটি সরে গেল। সাইবার অপরাধীরা নিমিষেই তার সব সঞ্চয় হাতিয়ে নিয়েছে। তার ব্যবসার সব ডেটা (Data) ও কাস্টমারদের ব্যক্তিগত তথ্যেরও (Personal Information) অপব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হলো।
​আকাশ দিশেহারা হয়ে তার বন্ধু দিশা-কে ফোন করল। দিশা সব শুনে শান্তভাবে বলল, "আকাশ, এটা একটা ফিশিং অ্যাটাক। তোর অ্যাকাউন্টে যে টাকা ছিল, সেটা তো গেছেই, তার চেয়েও বড় ক্ষতি হলো তোর ব্যবসার প্রতি মানুষের বিশ্বাস। এই অপরাধীরা শুধু টাকা চুরি করেনি, তোর স্বপ্নগুলোও চুরি করেছে।"
​আকাশের চোখে জল। সে বলল, "দিশা, আমি সামান্য একটা ভুলের জন্য সর্বস্বান্ত হলাম! কেন আমি আরও সতর্ক হলাম না?"
​দিশা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, "কারণ অপরাধীরা সবসময় আমাদের লোভ বা উদ্বেগকে কাজে লাগায়, আকাশ। তোর মতো অনেকেই এভাবে শিকার হয়। আর এই অপরাধীরা দেশের সীমানা মানে না, তাই এদের ধরাও খুব কঠিন।"
​সাইবার অপরাধের এই আঘাত আকাশকে শুধু অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে দেয়নি, মানসিকভাবেও ভেঙে দিয়েছিল। তাকে নতুন করে শুরু করতে হলো, কিন্তু তার চোখে তখন সেই পুরনো স্বপ্নের ঔজ্জ্বল্য আর ছিল না। সে বুঝতে পারল, ডিজিটাল যুগে বিশ্বাস এবং সতর্কতা—এই দুটোই তার সবচেয়ে বড় সম্পদ ছিল, যা সে এক নিমেষেই হারিয়েছে।

❤️🙀😍বাঙালি সংস্কৃতিতে খাদ্য হলো ভালোবাসা এবং আতিথেয়তার প্রতীক। একে অপরের বাড়িতে দাওয়াত দেওয়া মানে শুধু খাবার পরিবেশন...
02/10/2025

❤️🙀😍বাঙালি সংস্কৃতিতে খাদ্য হলো ভালোবাসা এবং আতিথেয়তার প্রতীক। একে অপরের বাড়িতে দাওয়াত দেওয়া মানে শুধু খাবার পরিবেশন করা নয়, এটি আত্মীয়তার সম্পর্ককে আরও মজবুত করার একটি সুন্দর উপায়। বছরের পর বছর ধরে এই প্রথা আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে যোগাযোগ এবং আন্তরিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে❤️🙀😍

শহরের প্রান্তে পাশাপাশি বাস করত দুই বন্ধু—আকাশ ও বিক্রম। দু'জনই অত্যন্ত সরল, কিন্তু আকাশ কোনোদিনই স্কুলের চৌকাঠ পেরোয়নি,...
01/10/2025

শহরের প্রান্তে পাশাপাশি বাস করত দুই বন্ধু—আকাশ ও বিক্রম। দু'জনই অত্যন্ত সরল, কিন্তু আকাশ কোনোদিনই স্কুলের চৌকাঠ পেরোয়নি, আর বিক্রম প্রাথমিক শিক্ষাটুকুও শেষ করেনি।
​এক শীতের সকালে, বিক্রম তার ছোট ভাইয়ের জন্য গুরুতর অসুস্থতার কারণে স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে একটি শিশিতে প্যারাসিটামল সিরাপ নিয়ে এলো। দোকানদার তাকে বোতলের গায়ে লেখা পরিমাণ দেখে দিনে তিনবার দিতে বলেছিল। কিন্তু বিক্রম অক্ষরজ্ঞানহীন হওয়ায় ভুল করে বোতলের গায়ে ইংরেজিতে লেখা '৫ মি.লি.' চিহ্নের পাশে থাকা একটি 'বিষ' (Poison) লেবেলযুক্ত অন্য একটি তরলকে সিরাপ মনে করে নিয়ে আসে।
​বাড়ি ফিরে সে আকাশকে দেখালো। আকাশও অক্ষরজ্ঞানহীন হওয়ায় ভুল ধরতে পারল না। সে কেবল দেখল তরলটি সিরাপের মতো দেখতে।
​বিক্রম যখন তার ভাইকে সেই ভুল তরলটি প্রথমবার খাওয়ানোর জন্য তৈরি হচ্ছিল, ঠিক তখন তাদের প্রতিবেশী স্কুলশিক্ষক ম্যাডাম রেখা সেদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি কৌতুহলবশত বিক্রমের হাতে শিশিটি দেখতে চাইলেন।
​শিশিটি হাতে নিয়েই রেখা ম্যাডামের চোখ গেল গাঢ় লালে প্রিন্ট করা 'Poison! For External Use Only' লেখাটির দিকে। তিনি আতঙ্কে শিউরে উঠলেন। এটি ছিল তীব্র ক্ষতিকারক একটি কেমিক্যাল, যা ভুলবশত বিক্রমের হাতে এসেছে এবং সামান্য পরিমাণ পান করলেও জীবনহানি ঘটতে পারত।
​ম্যাডাম রেখা সাথে সাথেই চিৎকার করে বিক্রমকে থামালেন এবং তাদের ভুলের ভয়াবহতা ব্যাখ্যা করলেন।
​বিক্রম ও আকাশ হতবাক হয়ে গেল। সামান্য অক্ষরজ্ঞান আর সতর্কতার অভাবে তারা কত বড় ভুল করতে চলেছিল! প্রকৃত শিক্ষার অভাব কেবল অজ্ঞতাই নয়, তা যে জীবনে কী ভয়ানক দুর্ঘটনা ডেকে আনতে পারে, সেদিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেল দুই বন্ধু। তাদের ছোট ভাইয়ের জীবন অল্পের জন্য রক্ষা পেল।
​শিক্ষা: সামান্য অক্ষরজ্ঞান এবং সঠিক শিক্ষার অভাবে জীবনে কত বড় বিপর্যয় বা ভুল সিদ্ধান্ত নেমে আসতে পারে, এই গল্পটি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

❤️গোবিন্দ ছিল সুনীতা ও তার তিন সন্তানের পৃথিবী, তাদের জীবনের একমাত্র অবলম্বন। প্রতিদিন ভোরে, সে তার নড়বড়ে কাঠের নৌকা নিয়...
01/10/2025

❤️গোবিন্দ ছিল সুনীতা ও তার তিন সন্তানের পৃথিবী, তাদের জীবনের একমাত্র অবলম্বন। প্রতিদিন ভোরে, সে তার নড়বড়ে কাঠের নৌকা নিয়ে নিচের দিকে ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে মাছ ধরতে যেত। তাদের বাড়িটি, কাদা ও খড়ের তৈরি একটি কুঁড়েঘর, বসেছিল ভারতের সুন্দরবনের একটি বিশাল নদীর তীরে। জায়গাটা একদিকে যেমন সুন্দর, অন্যদিকে তেমনি ভয়ঙ্কর—বাঘ এবং লবণাক্ত জলের কুমিরদের (Salties) রাজত্ব।
​সেদিন, বাতাসে ছিল এক ধরনের অস্থির আর্দ্রতা। গোবিন্দ অন্যান্য দিনের মতোই সুনীতার কাছ থেকে বিদায় নিল, প্রতিশ্রুতি দিল তাদের প্রিয় এক ধরনের চিংড়ি মাছ নিয়ে ফিরবে। সে চলে যাওয়ার পর, সুনীতা ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, বিশেষ কিছু খেয়াল করল না।
​সন্ধ্যার সময়, যখন সূর্য রক্তিম রঙ নিয়ে দিগন্তে ডুবে গেল, নদীর তীরে শুধু গোবিন্দের খালি নৌকাটি ফিরে এল। নৌকাটির সামনের অংশ ভাঙা, পাশে ছিল গভীর আঁচড়ের চিহ্ন। তারপর, প্রতিবেশীরা ভারাক্রান্ত মুখ আর চাপা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে সেই ভয়ঙ্কর খবরটি নিয়ে এল: একটা বিশাল কুমির, যাকে স্থানীয়রা 'কালো ছায়া' বলত, গোবিন্দ যখন জাল তুলছিল, তখন তাকে আক্রমণ করেছে। ঘোলা জলে শুধু ভাঙা দাঁড়ের একটি টুকরো খুঁজে পাওয়া গেল।
​সুনীতার জগৎ পুরোপুরি ভেঙে পড়ল। কুমিরটি কেবল একজন মানুষকেই খায়নি, সে একটি পরিবারের ভবিষ্যতকেই গিলে ফেলেছে।
​ভয়ংকর বাস্তবতা এবং বেঁচে থাকার সংগ্রাম
​পরের দিনগুলোতে, কুঁড়েঘরটিকে এক হিমশীতল নীরবতা গ্রাস করল। সুনীতা যেন এক জীবন্ত লাশ হয়ে গেল। বাচ্চারা, যাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটটির বয়স মাত্র চার, সারাক্ষণ জিজ্ঞেস করত: “বাবা কখন ফিরবে?” সে শুধু তাদের বুকে জড়িয়ে ধরত, চোখের জলে তাদের চুল ভিজিয়ে দিত।
​গোবিন্দকে হারানো মানে হারানো—খাবার, রোজগার এবং ন্যূনতম নিরাপত্তা। মাছ ধরা ছিল তাদের একমাত্র জীবনধারণের উপায়, কিন্তু সুনীতা একজন নারী হিসেবে একা সেই বিপজ্জনক ম্যানগ্রোভে যেতে পারত না।
​প্রথম শত্রু হয়ে দাঁড়াল ক্ষুধা। কিছু দিন পর, সুনীতা চোখের জল মুছে ফেলল। সে বুঝল, শোক সন্তানদের পেট ভরাবে না। সে ঘরের হাতে গোনা কয়েকটি তামার বাসন বিক্রি করে সামান্য চাল কিনল।
❤️​প্রথম আঘাত: আতঙ্ক ও বিচ্ছিন্নতা
​এই অঞ্চলের জীবন খুবই কঠিন। গোবিন্দের মৃত্যু কেবল আর্থিক বিপর্যয় আনেনি, এনেছিল এক গভীর মানসিক আতঙ্ক। কুমির কখন আবার আসবে? তারা কি আর কোনো দিন নদীর কাছাকাছি যেতে পারবে? সুনীতা প্রতি রাতে সামান্য শব্দেও চমকে উঠত, মনে করত কুমিরের শরীর ঘষটানোর শব্দ। এই ভয় তাকে চার দেয়ালের মধ্যে আটকে ফেলল, যা তার রোজগারের পথ আরও বন্ধ করে দিল।
❤️​সম্প্রদায়ের সামান্য উষ্ণতা
​সুন্দরবনে, প্রতিবেশীদের বন্ধনই হল জীবনরেখা। প্রথম দিনগুলোতে প্রতিবেশীরা কিছু মাছ আর চাল পাঠাল। গোবিন্দের ভাই, যদিও তার নিজের পরিবারও দরিদ্র, কিন্তু সে সুনীতার কুঁড়েঘরটি মেরামত করতে সাহায্য করল এবং তার দশ বছরের বড় ছেলেকে নিরাপদ কাজ শেখানোর প্রতিশ্রুতি দিল।
❤️​কঠোর সংগ্রাম🫶
​সুনীতা সিদ্ধান্ত নিল যে তাকে দাঁড়াতে হবে। সে মাছ ধরতে না পারলেও, মাছ শুকিয়ে বিক্রি করতে পারত। সে গ্রামের মহিলাদের একটি দলে যোগ দিল। এই মহিলারা নিরাপদ পুকুর বা নদীর অগভীর জায়গা থেকে ছোট মাছ কিনে আনত, তারপর সেগুলোকে কড়া রোদে শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করত।
​এটি ছিল কঠিন কাজ। প্রখর রোদে তার ত্বক আরও কালো হয়ে গেল, মাছের আঁশ পরিষ্কার করতে গিয়ে তার হাতে কড়া পড়ে গেল। লাভ ছিল খুবই সামান্য, কিন্তু যখনই সে দেখত বাচ্চারা একবেলা গরম ভাত খেতে পাচ্ছে, তখনই সে বেঁচে থাকার কারণ খুঁজে পেত। সে গ্রামে মানুষের ছেঁড়া জাল সেলাই করা এবং ছোটখাটো কাজও শুরু করল।
​ছায়ার মাঝে নতুন আলো
​সময় ধীরে ধীরে পার হতে লাগল। সুনীতা এখন আর সেই দুর্বল বিধবা নয়, বরং সে এখন একজন দৃঢ় 'রক্ষক'। তার বড় ছেলে, যদিও কমবয়সী, এখন নদীর ধারে মালপত্র বইতে সাহায্য করে, কিছু পয়সা রোজগার করে।
​জীবনের ক্ষত হয়তো কখনো সারবে না। যখনই নদীতে জোয়ার আসে, সুনীতার বুকটা কেঁপে ওঠে, যেন সে আবার শুনতে পায় সেই মারাত্মক জলের শব্দ। কিন্তু এখন, সে যখন তার সন্তানদের লেখাপড়া করতে, খেলতে ও বড় হতে দেখে, তখন তার চোখে এক নতুন জিনিস দেখা যায়—নির্মম ভাগ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সামান্য সুখের প্রতি গভীর মমতা।
​এই পরিবারটির জীবন চিরকালের জন্য কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেল, কিন্তু তারা আর একা নেই। তারা নদীর ধারের বুনো ঘাসের মতো, ঝড়ের মুখে নুয়ে পড়েও একে অপরের ভালোবাসা আর সম্প্রদায়ের উষ্ণতায় শক্তভাবে শিকড় গেঁড়ে আছে। গোবিন্দের মৃত্যু ছিল একটি সমাপ্তি, কিন্তু সুনীতার এই ভয়ংকর সংগ্রাম, একটি পরিবারের কঠিন নতুন জীবন শুরু।

Address

Dinajpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when তন্বি চৌধুরী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to তন্বি চৌধুরী:

Share