26/10/2025
নারীকে ভালোবাসার মানে কী?
নারীকে ভালোবাসতে হলে তাকে নারীর মতো করেই ভালোবাসতে হয়। কারণ নারীরা ফুলের মতো—যত্নে থাকলে প্রস্ফুটিত হয়, অবহেলায় ধীরে ধীরে গুটিয়ে যায়। তাদের কাছে পৌরুষত্ব মানে অর্থ-সম্পদ নয়, বরং দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা। একজন পুরুষ যখন তার সঙ্গিনীর ক্লান্তি ভাগ করে নেয়, তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে, “আমি আছি, তুমি ভয় পেয়ো না”, তখনই নারী নিজেকে নিরাপদ আশ্রয়ে আবিষ্কার করে।
ধন-সম্পদ, গাড়ি-বাড়ি কিংবা বিলাসবহুল জীবন কখনোই কোনো নারীকে দীর্ঘদিনের জন্য ধরে রাখতে পারে না। কিন্তু যে পুরুষ নিজের সঙ্গিনীকে আগলে রাখে, তার ছোট ছোট কষ্টে পাশে দাঁড়ায়, তাকে সম্মান দেয়—নারী তার হাত ছেড়ে চলে যেতে পারে না।
নারীকে খুশি রাখতে বড় আয়োজনের প্রয়োজন নেই। তাদের আনন্দ লুকিয়ে থাকে সহজ মুহূর্তে। সন্ধ্যার হাওয়ায় নদীর ধারে হাঁটা, খোলা আকাশের নিচে কিছুক্ষণ গল্প করা, কিংবা এক প্লেট ফুসকা খাওয়াই তাদের চোখে সুখের আলো জ্বালায়। কয়েকটি বেলি ফুলের মালা বা হাতে ধরা একটি গোলাপই তাদের মুখে এমন হাসি ফোটায়, যা হাজার সম্পদ দিয়েও পাওয়া যায় না।
নারী খোঁজে যত্ন, নিরাপত্তা আর সমতা। তারা চায় না শুধু দায়িত্বের নামে অধিকার ফলাতে। বরং তারা খুঁজে পায় শান্তি তখনই, যখন একজন পুরুষ আন্তরিকভাবে খেয়াল রাখে, সম্মান দেয়, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিশেষ দিনগুলোতে দামি উপহারের চেয়ে বেশি খুশি দেয় একটি চকলেট, একটি চিঠি বা শুধু আন্তরিক ভালোবাসা দিয়ে সাজানো সময়।
প্রত্যেক নারীর কাছে বাবা হলো প্রথম ভরসা, প্রথম নিরাপত্তার প্রতীক। কিন্তু জীবনের পথে যখন তারা এমন একজন পুরুষকে খুঁজে পায়, যে বাবার মতোই আগলে রাখে, রক্ষা করে, বোঝে, তখনই তারা তাকে আপন মনে করে নেয়। নারীর ভরসা জাগে সেই পুরুষের প্রতি, যে শুধু ভালোবাসতে জানে না, দায়িত্ব নিতেও জানে।
নারীকে ভালোবাসা মানে তাকে কেবল সম্পর্কের নামে আটকে রাখা নয়; বরং তাকে সম্মান করা, আগলে রাখা, তার ভেতরের কোমলতাকে বোঝা। একজন নারী যখন বুঝতে পারে সে একা নয়, তখনই সে নিজেকে নতুনভাবে বাঁচতে শেখে। আর এটাই সত্যিকারের ভালোবাসার সবচেয়ে সুন্দর সংজ্ঞা। 🌹
✍️