28/05/2025
"চোখে চোখে লুকোনো ভালবাসা"
স্কুলটা ছিল ছোট, তবে তার মাঝেও কিছু মুহূর্ত বিশাল হয়ে থাকত মনে।
তারা দুজন ছিল এক ক্লাসে—কখনো সরাসরি কথা না হলেও, একটা চুপচাপ বন্ধন গড়ে উঠেছিল।
সে ছেলেটা, সাধারণ একটা ছেলে।
তাকে কেউ খুব একটা চোখে পড়ার মতো ভাবত না।
কিন্তু তার চোখ—সেই চোখে এক মেয়ের জন্য এত মায়া, এত কথা ছিল,
যা সে কোনোদিন বলে উঠতে পারেনি।
মেয়েটা ছিল একটু গম্ভীর, একটু আলাদা।
সে কারো সাথে খুব বেশি মিশত না,
তবু মাঝে মাঝে ক্লাসে হঠাৎ চোখে চোখ পড়ে যেত দুজনের।
একটা কাঁচের মতো অনুভূতি তৈরি হতো—ভেঙে গেলে শব্দ হতো না, শুধু কাঁপন ছড়াতো মনজুড়ে।
ছেলেটা ধীরে ধীরে বুঝে গেল—সে মেয়েটাকে ভালোবাসে।
তবুও চুপ ছিল।
ভয় ছিল—যদি বলে ফেলে, সেই চোখে চোখ পড়ার জাদুটাও হারিয়ে যায়।
স্কুল শেষ হলো।
জীবন সবাইকে টেনে নিল আলাদা পথে।
কতদিন হয়ে গেল দেখা নেই।
কিন্তু মন থেমে থাকেনি।
ভালোবাসা জমে ছিল চুপচাপ।
একদিন সাহস করে সে মেয়েটির কাছে তার মনের কথা পাঠায়।
প্রত্যুত্তরে আসে শান্ত এক শব্দ:
"আমি রাজি না।"
ছেলেটা কিছুই বলে না।
ভাঙে না, কাঁদে না—শুধু একরকম শূন্যতায় ডুবে যায়।
ভাবতে থাকে—এই কি তবে তার ভালবাসার শেষ?
দিন যায়, মাস পেরোয়।
কখনো কখনো মেয়েটির ছবি দেখে সে,
সেই হাসি এখন অন্য কারো জন্য।
তবে সে এসব দেখে মন খারাপ করে না।
কারণ তার ভালোবাসা ছিল একরকম নীরব আর পবিত্র—
যেটা প্রত্যাখ্যানেও ছোট হয়ে যায় না।
সে এখন নিজের জীবন গড়ে চলেছে—চোখে স্বপ্ন আর হৃদয়ে সেই স্মৃতি।
ভালোবাসা পেল না, কিন্তু ভালোবাসতে পেরেছিল—
এটাই তো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সাহস।