20/09/2025
ইলিয়াস হেসেনকে চটি সাংবাদিক বলা যায়। তার কথা বলার ধরন, শব্দচয়ন যতটা না সাংবাদিকের মত তার চেয়ে বেশি গুন্ডাদের মত। একজন সাংবাদিকের কাজ মূলত অবজেক্টিভ থাকা। তার কাজ খবর পরিবেশন করা, কোন উপসংহারে পৌছে যাওয়া না। কিন্তু ইলিয়াস এই কাজটিই করে থাকেন। মোটাদাগে তার বক্তব্যগুলোর ধরণ খুবই আক্রমণাত্মক। তবে মূল আপত্তির জায়গাটা আসলে তার নারীবিদ্বেষ আর চরিত্রহনন করার প্রবণতায়।
সম্প্রতি ডা. জাহেদ ইস্যুতে ইলিয়াস আবারও তার কদর্য রুপ প্রকাশ করে ফেলেছেন। তিনি গত ২ সপ্তাহ ধরে ডা. জাহেদের একটি ভিডিও নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন, যেখানে ডা. জাহেদের স্ত্রী বারবার এই বিষয়টি নিয়ে ইলিয়াস হোসেনকে কথা বলতে মানা করেছেন। মানুষের ব্যাক্তিগত ইস্যু নিয়ে যখন শক্ত প্রমাণ ছাড়া কথা বলাটা আসলে সাংবাদিকতার ভব্যতার মধ্যে পড়ে না। হ্যা, ডা. জাহেদ একজন পাবলিক ফিগার। কিন্তু যেই বিষয়টি নিয়ে তাকে হেনস্থা করছেন ইলিয়াস সেটা বেশ এলার্মিং।
হতে পারে, ডা. জাহেদের নৈতিক অধপতন হয়েছে। কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় স্টেক হোল্ডার তার স্ত্রী। তিনি যখন ইলিয়াসের মিথ্যাচার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলেছেন, ইলিয়াসের উচিত ছিল চুপ হয়ে যাওয়া। কিন্ত মানুষটা যে ইলিয়াস?যৌন সুড়সুড়ি থাকবে এমন কিছু হলে তার মাথা ঠিক থাক না। এমনিতেই তিনি কথায় কথায় বলেন, তিনি ’ভরে’ দিবেন। লাইভে এসে গালিগালাজ করেন। ডা. জাহেদের ঘটনায় তিনি স্বর্গসুখ পেয়েছেন। অন্যর অপমানের নেশা অনেক বড় নেশা। খেয়াল করে দেখবেন ইলিয়াসের ম্যাক্সিমাম গালি নারীকেন্দ্রীক।
ইলিয়াসের সাথে আদর্শগত, রাজনৈতিক কারণে ডা. জাহেদেরে সাথে দ্বন্দ ছিল। কিন্তু ইলিয়াস প্রতিদ্বন্দিতা আর শত্রুতারা মাঝে তফাত বোঝার মত নৈতিকতা, কমন সেন্স রাখেন না। শুয়োর যেমন শত্রুকে কাদায় ডেকে আনে গড়াগড়ি খাওয়ায় তেমনি ইলিয়াসে স্ট্যাটেজি হল মানুষকে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করে নিচে নামাতে চেষ্টা করা। একই কথা পিণাকি ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
তবে চারিত্রিকভাবে অন্ধ ইলিয়াসরা ভুলে যান যাদের আক্রমণ করেন তাদের পরিবার আছে। যেখানে সবচেয়ে বড় ভিক্টিম ডা. জাহেদের স্ত্রী তাকে থামাতে চেষ্টা করেছেন। অনুরোধ করেছেন কিন্তু ইলিয়াসের মনে মায়া হয়নি। তিনি সমানতালে তাকে নিয়ে যা তা পোস্ট করছেন। হতে পারে এভাবেই তিনি মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করেন। এটাকে কি সাংবাদিকতা বলে? ইলিয়াসের এই প্র্যাক্টিস একটা উগ্রতা সমাজে আর এদেশের সাংবাদিকতার জগতে ঢুকিয়ে দিয়েছে। ফলে টক্সিক সাংবাদিকতা আর চরিত্র হননের টুলে পরিণত হয়েছে। যেই প্যান্ডোরা বাক্স ইলিয়াস হোসেনরা খুলেছে, এই ভয়াবহ ট্রেন্ড আমাদের সামনের দিনগুলোতে আমাদের সবাইকে ভোগাবে। এমনকি ইলিয়াস, পিণাকীরাও ভুগবে!