23/10/2025
বিরলে অবৈধভাবে ৪০টি বড়ই গাছ কর্তনের অভিযোগ
বিরলে বায়নাকৃত সম্পত্তিতে থাকা ৪০টি বড়ই গাছ অবৈধভাবে কর্তন। থানায় অভিযোগ দায়ের।
উপজেলার ৪নং শহরগ্রাম ইউনিয়নের রতনৌর গ্রামের মোঃ নজমুল হক এর ছেলে মোঃ আব্দুল মতিন (৪৫) লিখিত অভিযোগে জানান, একই গ্রামের মৃত. আবুল হোসেন এর ছেলে মোঃ নজমুল হক (৭০), নজমুল হক এর ছেলে মোঃ মোফাজ্জল হোসেন (৪৫), মোঃ ইসমাইল হোসেন (৪০), ওকড়া গ্রামের মোঃ জালাল হোসেন এর ছেলে মোঃ ফজলুল হক (৪০), একই গ্রামের মোঃ বারী (৪২), মোঃ ফজলুল হক এর স্ত্রী মোছাঃ রোজিনা খাতুন (৩০) এবং রতনৌর গ্রামের মোঃ মোফাজ্জল হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ আঞ্জুয়ারা বেগম (৪০), মোঃ ইসমাইল হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ হাছিনা বেগম (৩৫) গণ গত ২১ অক্টোবর-২০২৫ মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় পরষ্পর যোগসাজশে ও কু-পরামর্শক্রম হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দা, কুড়াল, হাসুয়া, কোদাল ইত্যাদি নিয়ে বায়নাকৃত সম্পত্তিতে থাকা বড়ই বাগানে অনধিকার প্রবেশ করে ৪০টি বড়ই গাছ কাটে। আমি দেখতে পেয়ে তাদেরকে বড়ই গাছ কাটতে বাঁধা নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে। তখন আমি বিবাদীগণ মৌখিকভাবে গালি গালাজ করতে বাঁধা নিষেধ করা মাত্র নাজমুল হক এর হুকুমে মোফাজ্জল হোসেন ও ইসমাইল হোসেন তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দ্বারা আমাকে এলোপাতারী মার-ডাং করে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফুলা কালোশিরা জখম করে। সেই সময় আমার স্ত্রী মোছাঃ নুরেছা বেগম (৩৫) আমাকে রক্ষা করতে আসলে তাকেও মারডাং করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফুলা রক্তাক্ত কালোশিরা জখম করে। এক পর্যায়ে মোফাজ্জল হোসেন ও ইসমাইল হোসেন আমার স্ত্রীর পরনের কাপড় চোপড় ধরে টানা হেচড়া, ছিড়ে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং আমার স্ত্রীর নাকে থাকা স্বর্ণের নাক ফুল জোরপূর্বক ছিড়ে নেয়। সেই সময় আমার ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম (২২) আমাদেরকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে সকলে একজোট হয়ে আমার ছেলেকে এলোপাতারী কিলঘুষি, লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সেই সুযোগে উউল্লেখিতগণ আমার বড়ই বাগান কর্তন করে। আমার ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে এবং তারা সকলে ঘটনাস্থল হতে চলে যেতে বললে বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে বলে যে, আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে রাস্তা ঘাটে কোথাও একাকী পেলে খুন জখম করবে মর্মে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে।
এ বিষয়ে নজমুল হক বলেন- আব্দুল মতিন আমার জামাই মোঃ ফজলুল হককে পিটিয়ে আহত করেছে। আমরা কেউ মতিন এর গায়ে হাত দেইনি। ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক মোঃ ফজলুল হক। আব্দুল মতিন বায়নাকৃত সম্পত্তির কথা বলে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছেন। কারণ আমি তার কাছে কোন টাকা গ্রহণ করিনি এবং আমি তাকে কোন বায়নানামা দলিলও দেইনি।