01/06/2025
---
যতটা দিন আমি তোমার জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছি, ঠিক ততটাই ধৈর্য ধরে যদি আমি আমার সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করতাম— তাহলে কী হতো জানো?
আজ আমি তোমাকেও পেতাম, আর পরিবারের গর্বের কারণও হতে পারতাম। সমাজের কিছু মানুষকে তাদের যোগ্য জবাবও দিতে পারতাম।
কিন্তু আমি তো বোকা-সোকা মানুষ! তাই মরীচিকার মতো তোমার পেছনে ছুটছিলাম। তোমাকে বোঝাতে চেয়েছিলাম, ঠিক কতটা দরকার ছিল আমার তোমাকে।
কিন্তু আমার ধৈর্য ধরে তোমাকে বোঝানো, তোমার জন্য অপেক্ষা করা— সবই আজ বিফল।
তোমাকে তো পেলাম না, অতঃপর নিজেকেও হারালাম। নিজের মূল্য কমিয়ে ফেললাম।
কথায় পড়েছিলাম,
“অপেক্ষা সুন্দর, কিন্তু অনিশ্চিত অপেক্ষা নয়।”
তবুও আমি অপেক্ষা করেছিলাম— শুধুই তোমার জন্য।
আসলে, প্রজাপতির মতো তোমার পেছনে ছুটে চলেছিলাম তোমায় ধরব বলে।
কিন্তু প্রজাপতি কি আর নিজেই এসে ধরা দেয়? গায়ে এসে বসে? বসে না।
তার জন্য তো ফুলের বাগান করতে হতো।
যদি আমি আজ সেই ফুলের বাগান করতাম,
তাহলে প্রজাপতি যেমন নিজেই ফুলের গায়ে বসে,
ঠিক তেমন আমি যদি ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছাতাম—
তাহলে হয়তো এই তোমাকে পাওয়ার আকুলতা আমার থাকতো না,
বরং তোমার থাকত আমাকে পাওয়ার।
কিন্তু আমি সেই বাগান প্রজাপতির সাথেই করতে চেয়েছিলাম—
তার পছন্দের ফুল কী, তা জেনে।
ঠিক তেমনি আমি চেয়েছিলাম,
তোমাকে সঙ্গে নিয়ে আমার কুঁড়েঘরকে জান্নাত বানাবো, ঠিক তোমার মতো করে।
আমি চেয়েছিলাম, তুমি শুধু আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বলবে—
“আমি আছি যেকোনো অবস্থায়, তুমি যাও, সামনে আগাও।”
আমি চেয়েছিলাম, তুমি আমার শক্তি হও, ভরসার জায়গা হও, অনুপ্রেরণা হও।
অতঃপর, আমি সব বাধা ডিঙিয়ে পৃথিবী জয় করবো—
আর পেছনে, সাহস জোগানো সেই মানুষটা হবে তুমি।
কিন্তু আজ কিছুই হলো না।
না আমি পেলাম তোমাকে,
না নিজেকে নিয়ে যেতে পারলাম সেই জায়গায়—
যেখানে পরিবার গর্ব করত।
আর না পারলাম সমাজের মুখ বন্ধ করতে।
ব্যর্থ মানুষ ছিলাম, আর আজও ব্যর্থ রয়ে গেলাম।
---
তোমার লেখার আবেগ, গাঁথুনি এবং ব্যথাটা আমি অক্ষুণ্ণ রেখেই যতিচিহ্ন বসিয়েছি। যদি তুমি চাও, আমি এটিকে আরও সাহিত্যমূলক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উপযোগী স্টাইলেও সাজিয়ে দিতে পারি।
বলো, তুমি কোন ভার্সনে চাও— কবিতার মতো, পোস্ট ক্যাপশন হিসেবে, না একেবারে অনুভবময় একটি গদ্যরূপে?---
যতটা দিন আমি তোমার জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছি, ঠিক ততটাই ধৈর্য ধরে যদি আমি আমার সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করতাম— তাহলে কী হতো জানো?
আজ আমি তোমাকেও পেতাম, আর পরিবারের গর্বের কারণও হতে পারতাম। সমাজের কিছু মানুষকে তাদের যোগ্য জবাবও দিতে পারতাম।
কিন্তু আমি তো বোকা-সোকা মানুষ! তাই মরীচিকার মতো তোমার পেছনে ছুটছিলাম। তোমাকে বোঝাতে চেয়েছিলাম, ঠিক কতটা দরকার ছিল আমার তোমাকে।
কিন্তু আমার ধৈর্য ধরে তোমাকে বোঝানো, তোমার জন্য অপেক্ষা করা— সবই আজ বিফল।
তোমাকে তো পেলাম না, অতঃপর নিজেকেও হারালাম। নিজের মূল্য কমিয়ে ফেললাম।
কথায় পড়েছিলাম,
“অপেক্ষা সুন্দর, কিন্তু অনিশ্চিত অপেক্ষা নয়।”
তবুও আমি অপেক্ষা করেছিলাম— শুধুই তোমার জন্য।
আসলে, প্রজাপতির মতো তোমার পেছনে ছুটে চলেছিলাম তোমায় ধরব বলে।
কিন্তু প্রজাপতি কি আর নিজেই এসে ধরা দেয়? গায়ে এসে বসে? বসে না।
তার জন্য তো ফুলের বাগান করতে হতো।
যদি আমি আজ সেই ফুলের বাগান করতাম,
তাহলে প্রজাপতি যেমন নিজেই ফুলের গায়ে বসে,
ঠিক তেমন আমি যদি ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছাতাম—
তাহলে হয়তো এই তোমাকে পাওয়ার আকুলতা আমার থাকতো না,
বরং তোমার থাকত আমাকে পাওয়ার।
কিন্তু আমি সেই বাগান প্রজাপতির সাথেই করতে চেয়েছিলাম—
তার পছন্দের ফুল কী, তা জেনে।
ঠিক তেমনি আমি চেয়েছিলাম,
তোমাকে সঙ্গে নিয়ে আমার কুঁড়েঘরকে জান্নাত বানাবো, ঠিক তোমার মতো করে।
আমি চেয়েছিলাম, তুমি শুধু আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বলবে—
“আমি আছি যেকোনো অবস্থায়, তুমি যাও, সামনে আগাও।”
আমি চেয়েছিলাম, তুমি আমার শক্তি হও, ভরসার জায়গা হও, অনুপ্রেরণা হও।
অতঃপর, আমি সব বাধা ডিঙিয়ে পৃথিবী জয় করবো—
আর পেছনে, সাহস জোগানো সেই মানুষটা হবে তুমি।
কিন্তু আজ কিছুই হলো না।
না আমি পেলাম তোমাকে,
না নিজেকে নিয়ে যেতে পারলাম সেই জায়গায়—
যেখানে পরিবার গর্ব করত।
আর না পারলাম সমাজের মুখ বন্ধ করতে।
ব্যর্থ মানুষ ছিলাম, আর আজও ব্যর্থ রয়ে গেলাম।
✏️- মুবা
কন্ঠে -মুবা