Ziaul 551

Ziaul 551 মানব মানবীর জন্য,
তুমি হও সেবিকা আমি হব সেবক,
তবেই প্রেম।

25/10/2025

আপনি জানেন কি⁉️ খাবার- পেটের কতটা স্তর ভেদ করে কীভাবে লিভার হয়ে রক্তে পৌঁছায়? 🛑 ভাবছেন খাবার সোজা রক্তে মিশে যায়? ভুল! আপনার খাবারের 'সিক্রেট' রুটটা জানুন!🥑

💝🪜Lumen → Mucosa (Villi) → Submucosa vessels → Portal vein → Liver→ Blood → 🫀

আমরা ভাবি, খাবার খেলাম, পেটে গেল, আর অমনি শক্তি পেয়ে গেলাম! ⚡
কিন্তু সত্যিটা আরও অনেক বেশি মজার আর গোছানো।

আপনি যে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করলেন বা ফলটা খেলেন, সেটা কিন্তু সোজা আপনার ব্রেইন বা মাসলে চলে যায় না।

ওটাকে আগে একটা হাই-সিকিউরিটি 'কোয়ালিটি কন্ট্রোল' (QC) গেট পার হতে হয়। আর সেই গেটের 'মেইন বস'-এর নাম হলো যকৃত (Liver) বা কলিজা!

আসুন, আজ দেখি খাবার হজম হওয়ার এই 'সিক্রেট টানেল' বা 'VIP জার্নি'টা আসলে কেমন।

খাবার থেকে লিভার: মূল ৫টি ধাপ☘️👇
আসুন, খুব সহজভাবে দেখি খাবার শোষিত হয়ে লিভার পর্যন্ত পৌঁছানোর এই ৫টি ধাপের যাত্রা।

ধাপ ১: খাবার → ক্ষুদ্রান্ত্রের ভেতরে (Lumen)☘️
প্রথমে, আমাদের খাবার পাকস্থলী পার হয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রে (Small Intestine) আসে। এই অন্ত্রের ভেতরের যে ফাঁকা পথ বা টানেল, তাকেই বলে 'লুমেন' (Lumen)। এই লুমেনেই খাবার ভেঙে হজম হয়ে একদম ক্ষুদ্র পুষ্টি কণা (যেমন: গ্লুকোজ, অ্যামিনো অ্যাসিড) তৈরি হয়।

ধাপ ২: ভিলি (Villi) দিয়ে শোষণ☘️
ক্ষুদ্রান্ত্রের ভেতরের দেয়ালে (যাকে বলে মিউকোসা লেয়ার) আঙুলের মতো লক্ষ লক্ষ ভাঁজ থাকে। এদের বলা হয় 'ভিলি' (Villi)। এরাই হলো পুষ্টি শোষণের 'প্রধান দরজা'। হজম হওয়া সব পুষ্টি এই ভিলি দিয়েই শোষিত হয়ে অন্ত্রের দেয়ালের ভেতরে ঢোকে।

ধাপ ৩: সাবমিউকোসা'র (Submucosa) রক্তনালীতে প্রবেশ☘️
ভিলি দিয়ে পুষ্টি শোষিত হওয়ার ঠিক পরেই, সেগুলো অন্ত্রের দেয়ালের পরবর্তী স্তরে (সাবমিউকোসা) চলে যায়। এই স্তরেই রয়েছে অসংখ্য কৈশিক জালিক বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্তনালী। পুষ্টি কণাগুলো সরাসরি এই রক্তনালীগুলোর ভেতরে ঢুকে পড়ে।

ধাপ ৪: পোর্টাল ভেইন (Portal Vein) এ যাত্রা☘️
অন্ত্রের এই হাজার হাজার ক্ষুদ্র রক্তনালী একসাথে যুক্ত হয়ে একটি বিশেষ এবং বড় শিরা বা রক্তনালী তৈরি করে। এর নাম হলো 'পোর্টাল ভেইন' (Portal Vein)। অন্ত্র থেকে শোষিত সমস্ত পুষ্টি এই পোর্টাল ভেইনে এসে জমা হয়।

ধাপ ৫: গন্তব্য → লিভার (Liver) বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং হাব☘️
এই পোর্টাল ভেইনের একটাই গন্তব্য—লিভার। এটি পুষ্টিতে ভরপুর সমস্ত রক্ত সোজা আমাদের লিভারে পৌঁছে দেয়।

[শরীরে শোষিত (প্রায়) সবকিছুই সবার আগে লিভারে যায়। লিভার সেই পুষ্টিগুলো পরীক্ষা করে, প্রক্রিয়াজাত করে (প্রসেস করে), ক্ষতিকর কিছু থাকলে তা ফিল্টার করে, এবং তারপর শরীরের বাকি অংশে প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করে।]
যেমন লিভার প্রশ্ন করে?:-
✅ "এটা কি বিষাক্ত (Toxic)? ফিল্টার করো!"
✅ "এটা গ্লুকোজ? শরীরে এখনই লাগবে? আচ্ছা, রক্তে পাঠাও।"
✅ "গ্লুকোজ বেশি হয়ে গেছে? আচ্ছা, পরে লাগবে। 'গ্লাইকোজেন' নামে স্টোর করে রাখো।"
✅ "এই ভিটামিনটা স্টোর করো।"

💥🛍️একটা মজার টুইস্ট! (আপডেট তথ্য):
সবাই কিন্তু এই 'পোর্টাল ভেইন' হাইওয়ে ব্যবহার করে না!
🥺আপনি যে ফ্যাট বা চর্বি খান (যেমন: ঘি, তেল), সে একটু বেশিই 'VIP'। সে এই রক্তনালীর পথে না গিয়ে, আলাদা একটা 'লাক্সারি লেনে' (লসিকা নালী বা Lymphatic System) দিয়ে যাতায়াত করে।
সে লিভারকে (প্রথমে) বাইপাস করে অন্য পথে গিয়ে রক্তে মেশে!

কেমন লাগলো আপনার পেটের ভেতরের এই 'ডেলিভারি সিস্টেম'? 🤩 মজার না?🌿

©️ তথ্য গবেষণা ও সংকলনে—
Muhammad Nasim Hossain
Natural Lifestyle & Naturopathy Coach
(Asad Holistic Health Center)
ঢাকা: ২১-অক্টোবর ২০২৫

সমস্যা: আমি ভিডিও বানাতে পছন্দ করি নাসমাধান: Vheer.comসমস্যা: আমি ছবি এডিট করতে জানি নাসমাধান: Gemini.google.comসমস্যা: ...
13/10/2025

সমস্যা: আমি ভিডিও বানাতে পছন্দ করি না
সমাধান: Vheer.com

সমস্যা: আমি ছবি এডিট করতে জানি না
সমাধান: Gemini.google.com

সমস্যা: ভাইরাল পোস্ট আইডিয়া মাথায় আসে না
সমাধান: Threadmaster.ai

সমস্যা: আমার ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাঙ্ক করতে পারছে না
সমাধান: Ranked.ai

সমস্যা: আমি Cold ইমেইল লিখতে পছন্দ করি না
সমাধান: Instantly.ai

সমস্যা: আমার কোনো প্রফেশনাল হেডশট নেই
সমাধান: FastPhoto.io

সমস্যা: প্রেজেন্টেশন বানাতে ফরম্যাটিংয়ে অনেক সময় নষ্ট হয়
সমাধান: SlidesAI.io

সমস্যা: আমি আমার ব্র্যান্ডের জন্য AI Avatar বানাতে চাই
সমাধান: Heygen.com

সমস্যা: ছোট ভিডিও এডিট করতে অনেক সময় চলে যায়
সমাধান: Submagic.co

সমস্যা: আমি কোড করতে জানি না
সমাধান: Manus.im

No signup required, unlimited generations. Vheer is not just a free online image generator, but all-in-one AI toolkit that allows you to create stunning images from text or photos.

রক্তে IgE (ইমিউনোগ্লোবুলিন E) একটি প্রোটিন যা শরীরে এলার্জির প্রতিক্রিয়া নির্দেশ করে। IgE-এর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া সাধার...
23/09/2025

রক্তে IgE (ইমিউনোগ্লোবুলিন E) একটি প্রোটিন যা শরীরে এলার্জির প্রতিক্রিয়া নির্দেশ করে। IgE-এর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া সাধারণত এলার্জি, অ্যাজমা, বা বিভিন্ন সংবেদনশীলতা (allergic hypersensitivity) সম্পর্কিত সমস্যার কারণে হয়। যদি আপনার IgE লেভেল ৬৭২ থাকে, এটি বেশ উচ্চ এবং সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন। নিচে এর কারণ, প্রতিকার এবং চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

IgE-এর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাব্য কারণসমূহ:

1. এলার্জি সংক্রান্ত কারণ:
• খাবারের এলার্জি (যেমন গরুর দুধ, বাদাম, গম, চিংড়ি ইত্যাদি)।
• ধূলা, পরাগরেণু, পশুর লোম ইত্যাদির কারণে অ্যালার্জি।
• ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
2. অ্যাজমা বা অটোইমিউন রোগ:
• IgE উচ্চ হলে এটি শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
3. পরজীবী সংক্রমণ (Parasitic Infections):
• কিছু প্যারাসাইট যেমন হুকওয়ার্ম বা রাউন্ডওয়ার্ম শরীরে IgE বৃদ্ধি করতে পারে।
4. অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস:
• চর্মরোগের কারণে অনেক সময় IgE বেড়ে যায়।

IgE কমানোর উপায়:

১. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা:

• অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ:
এলার্জি প্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য হিটামিন ব্লকার ওষুধ (যেমন লোরাটাডিন, সিট্রিজিন) কার্যকর হতে পারে।
• ইমিউনোথেরাপি (Allergy Shots):
ক্রমান্বয়ে অ্যালার্জেনগুলোর সাথে শরীরের সংবেদনশীলতা কমানোর জন্য ইমিউনোথেরাপি প্রয়োগ করা হয়।
• স্টেরয়েড থেরাপি:
গুরুতর ক্ষেত্রে স্টেরয়েড ওষুধ (মলম বা ইনহেলার) প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
• বায়োলজিক থেরাপি (Biologic Therapy):
• Omalizumab নামে একটি ওষুধ IgE নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।

২. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:

• অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবার চিহ্নিত করুন এবং এড়িয়ে চলুন।
• অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার খান (যেমন হলুদ, আদা, লেবু)।
• প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার (যেমন দই) শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৩. পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ:

• ঘরে ধূলা-ময়লা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
• পোষা প্রাণী থাকলে তাদের লোম বা খুশকি থেকে দূরে থাকুন।
• এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন।

৪. লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট:

• মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। স্ট্রেস এলার্জি প্রতিক্রিয়া বাড়াতে পারে।
• নিয়মিত ব্যায়াম করুন যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৫. প্যারাসাইট চেক করুন:

• যদি প্যারাসাইট সংক্রমণের সন্দেহ থাকে, তাহলে ডাক্তার প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করে সঠিক চিকিৎসা দেবেন।

জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা:

যদি আপনার IgE বৃদ্ধি গুরুতর শারীরিক সমস্যা তৈরি করে, যেমন:
• শ্বাসকষ্ট,
• তীব্র চুলকানি বা র‍্যাশ,
• বারবার সংক্রমণ,
তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

উপসংহার:

IgE মাত্রা নিয়ন্ত্রণ একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এলার্জি পরীক্ষা (allergy test) এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিন। পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার উন্নতি করলে IgE ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।

আপনার যদি কোনো নির্দিষ্ট রিপোর্ট থাকে বা অতিরিক্ত তথ্য প্রয়োজন হয়, তাহলে জানাতে পারেন।

21/09/2025
জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আমাদের ইউপি সদস্যের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে পায়ের সেন্ডেল ক্ষয় হয়।এখন আর ওনাদের পেছনে ঘুরতে হবে না, দেশ...
21/09/2025

জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আমাদের ইউপি সদস্যের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে পায়ের সেন্ডেল ক্ষয় হয়।
এখন আর ওনাদের পেছনে ঘুরতে হবে না, দেশে এখন ডিজিটাল ইউ‌নিয়ন সেন্টার, অনলাইন সার্ভিস, চালু করা হয়েছে।
দোকানে বা নিজ মোবাইলে ঘরে বসে আপনি আপনার নিজের বা শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন। আর নয় ঘুরাঘুরি সেবা পাবে নিজ পরিবার✌️, নিচের লিংক গুলোতে ক্লিক করুন, আপনার প্রয়োজনীয় সেবা নিন।

★ নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
http://bdris.gov.bd/br/application

★ জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন
http://bdris.gov.bd/br/correction

★ জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনুসন্ধান
http://bdris.gov.bd/br/search

★ জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা
http://bdris.gov.bd/br/application/status

★ জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
http://bdris.gov.bd/application/print

★জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রন
http://bdris.gov.bd/br/reprint৥

#জন্ম #জন্মনিবন্দন

• প্রসাবের সাথে রক্ত গেলে = Hematuriya.• ২৪ ঘন্টায় ২.৫ লিটারের বেশি প্রসাব হলে = Paleuria.• ২৪ ঘন্টায় প্রসাব না হলে বা...
19/09/2025

• প্রসাবের সাথে রক্ত গেলে = Hematuriya.

• ২৪ ঘন্টায় ২.৫ লিটারের বেশি প্রসাব হলে = Paleuria.

• ২৪ ঘন্টায় প্রসাব না হলে বা ১০০ ml এর কম প্রসাব হলে = Anuria.

• ২৪ ঘন্টায় ৪০০ ml এর কম প্রসাব হলে = Oliguria

• রাতের বেলায় ঘন ঘন প্রস্রাব হলে = Nocturia.

• প্রসাবের সময়ে ব্যথা/জ্বালাপোড়া করলে = Dysuria.

• প্রসাবের সাথে প্রোটিন নির্গত হলে = Proteinurea.

• কালো রংয়ের পায়খানা হলে = Melena. ( it's refer to bleeding in upper gastointestinal tract).

• লাল রঙের পায়খানা হলে = Hematochezia. (it's refer to bleeding in lower gastrointestinal tract).

• নাক দিয়ে রক্ত পড়লে = Epistaxis.

• কফের সাথে রক্ত বের হলে = Hemoptysis.

• বমির সাথে রক্ত বের হলে/রক্তবমি হলে = Hematemesis.

• পিরিয়ডের সময় জ্বালাপোড়া/ব্যথা হওয়া = Dysmenorrhea.

• প্রথম পিরিয়ড হওয়া = Menarche.

• পিরিয়ড সাময়িক বন্ধ থাকা = Amenorrhea.

• পিরিয়ড সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যাওয়া = Menopause.

• প্রথম গর্ভধারণ/Concept করলে = Primigravida.

• ২৮ সপ্তাহের আগে গর্ভের শিশু মারা গেলে = Stillbirth.

• ৩৭ সপ্তাহের আগে শিশু জন্মগ্রহণ করলে = Prematurity.

• ৪২ সপ্তাহের পরে শিশু জন্মগ্রহণ করলে = Post maturity.

• রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে = Hypercalcemia.

• রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে = Hypocalcemia.

• রক্তে লবণের মাত্রা বেড়ে গেলে = Hypermetrmia.

• রক্তে লবণের মাত্রা কমে গেলে = Hyponatremia.

• রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে = Hypercalcinia.

• রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে = Hypocalcemia.

• রক্তে ইউরিয়ার মাত্রা বেড়ে গেলে = Uremia.

• রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে = Anemia.

• টিস্যু বা কলায় অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে = Hypoxia.

• রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে = Hypoxemia.
________________________________________________

• Pharyngitis: Inflammation of the pharynx.

• Meningitis: inflammation of meninges

• Hepatitis: Inflammation of the liver.

• Laryngitis: Inflammation of the larynx.

• Colitis: Inflammation of the colon.

• Myelitis: Inflammation of the spinal cord.

• Nephritis: Inflammation of the kidney.

• Glossitis: Inflammation of the tongue.

• Blepharitis: Inflammation of the eyelids.

• Cholelithiasis: Stone in the gall bladder.

• Nephrolithiasis: Stone in the kidney.

• Osteomalacia: Softening of bones through calcium or D vitamin deficiency.

• Adenoma: Benign tumor of glandular tissue.

• Myoma: Tumor of muscle.

• Diplopia: Double vision.

• Thrombosis: Formation of a blood clot.

• Pyloromyotomy: Incision of pyloric sphincter muscle.

• Hydrophobia: Fear of water (Rabies in humans).

• Neuroplasty: Surgical repair of nerves.

• Hemiplegia: Paralysis of one side of the body.

• Leucorrhoea: Whitish vaginal discharge.

• Menorrhoea: Menstrual bleeding.

• Haemorrhage: Escape of blood from a vessel.

• Arrhythmia: Any deviation of normal rhythm of heart.

• Cholestasis: Diminution in the flow of bile.

• Arthritis: Inflammation of a joint.

• Neurasthenia: Nervous debility.

• Cystostomy: Surgical opening made in the bladder.

• Cystotomy: Incision in the urinary bladder.

• Hypertrophy: Increase in the size of tissues.

• Haematuria: Blood in the urine.

• Albuminuria: Presence of albumin in the urine.

• Eupnoea : Normal breathing.

• Apnea : Absence of breathing.

• Dyspenia : Difficulty in breathing.

✍️ সকলের সুবিধার্থে জমির মাপ সংক্রান্ত তথ্য সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:-মনে করুন আপনি একটি ফিতা দিয়ে মাপার পর দেখলেন যে, দৈর...
18/09/2025

✍️ সকলের সুবিধার্থে জমির মাপ সংক্রান্ত তথ্য সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:-
মনে করুন আপনি একটি ফিতা দিয়ে মাপার পর দেখলেন যে, দৈর্ঘ্য 50 ফুট এবং 50 ফুট আর প্রস্থ 30 ফুট এবং 30 ফুট।

এখন একটু চিন্তা করে বলুনতো আপনার জমিটি কি আকৃতির ? উত্তর: অবশ্যই জমিটি একটি আয়তক্ষেত্র।

তাহলে এখন আমাদের প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে ক্ষেত্রফল বের করা। তো আমরা আয়তাকার ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফলের সূত্র লিখবো।

আয়তাকার ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল= (দৈর্ঘ্য * প্রস্থ)
= (50*30) বর্গফুট
=1500 বর্গফট / স্কয়ার ফুট

জমির হিসাব শতাংশে:
এখন আপনি যদি জানতে চান আপনার জমিটি কত শতক বা শতাংশ। শতক বা শতাংশ বের করার জন্য আমরা সবসময় ক্ষেত্রফলকে 435.6 দ্বারা ভাগ করবো। তার কারণ হচ্ছে 435.6 বর্গফুটে হচ্ছে এক শতাংশ।

শতক/ শতাংশ = (1500/435.60)
= 3.44 শতাংশ।

তাহলে আমাদের উপরের জমিটি হচ্ছে 3.44 শতক বা শতাংশ।

জমির হিসাব কাঠাতে:
এখন আপনি জানতে চান আপনার জমিটি কাঠার হিসাবে কত কাঠা। কাঠা বের করার জন্য আমরা সবসময় ক্ষেত্রফলকে 720 দ্বার ভাগ করবো। তার কারণ হচ্ছে 720 স্কয়ার ফিট বা বর্গফুটে হচ্ছে এক কাঠা।

কাঠা = (1500/720) কাঠা
= 2.08 কাঠা।

তাহলে আমাদের উপরের জমিটি কাঠার হিসাবে হচ্ছে 2.08 কাঠা।

যদি আপনার জমি বা প্লটটি এমন হয় তাহলে কীভাবে শতাংশ বা কাঠা বের করবেন।
জমির মাপ:
এখানে দৈর্ঘ্য 60 ফুট এবং 50 ফুট
আর প্রস্থ 40 ফুট এবং 35 ফুট।

এখানে আমাদের ক্ষেত্রফল বের করার আগে গড় দৈর্ঘ্য এবং গড় প্রস্থ বের করতে হবে।

গড় দৈর্ঘ্য এবং গড় প্রস্থ বের করার জন্য আমরা দুটি দৈর্ঘ্য আর দুটি প্রস্থ যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করবো।

তহলে গড় দৈর্ঘ্য = (60+50)/2 ফুট
= 110/2 ফুট
= 55 ফুট

গড় প্রস্থ = (40+35)/2 ফুট
= 75/2 ফুট
= 37.5 ফুট

এখন আপনি গড় দৈর্ঘ্য আর গড় প্রস্থ গুণ করে ক্ষেত্রফল বের করুন।

ক্ষেত্রফল = (55*37.5) বর্গফুট
= 2062.5 বর্গফুট

জমির হিসাব শতকে:
এখন আপনি জানতে চান আপনার জমিটি কত শতাংশ। তাহলে আমরা পূর্বের মত ক্ষেত্রফলকে 435.6 দ্বার ভাগ করবো।

শতাংশ = (2062.5/435.6)
= 4.73 শতাংশ

তাহলে আপনার জমি বা প্লটটি হচ্ছে 4.73 শতাংশ বা শতক।

এখন আপনি জানতে চান আপনার জায়গাটি কাঠার হিসাবে কত কাঠা। তার জন্য আমরা ক্ষেত্রফলকে 720 দ্বারা ভাগ করবো। তার কারণ হচ্ছে আমরা জানি 720 স্কয়ার ফিট বা বর্গফুটে হচ্ছে এক কাঠা ।

কাঠা = (2062.5/720) কাঠা
= 2.86 কাঠা।

আহলে আপনার জমিটি হচ্ছে 2.86 কাঠা।

01/09/2025

📱 মোবাইলে জিমেইল মেমোরি ফাঁকা বা ডিলিটকরার উপায় ⏬
---

1️⃣ Google Photos অ্যাপ খুলুন

📲 মোবাইলের অ্যাপ লিস্ট থেকে Google Photos আইকনে ক্লিক করুন।

---

2️⃣ বড় ছবি ও ভিডিও খুঁজুন

🔍 সার্চ বারে লিখুন:

videos 👉 শুধু ভিডিও দেখাবে

larger:10MB 👉 ১০ এমবি’র বেশি সাইজের ফাইল দেখাবে

---

3️⃣ অপ্রয়োজনীয় ফাইল সিলেক্ট করুন

👉 যেসব ছবি/ভিডিও দরকার নেই সেগুলো চেপে ধরে ✔️ সিলেক্ট করুন।

---

4️⃣ ডিলিট করুন

🗑️ উপরে থাকা Delete (Dustbin Icon) চাপুন।
👉 এবার ফাইলগুলো Bin/Trash এ চলে যাবে।

---

5️⃣ Bin খালি করুন

➡️ Google Photos অ্যাপে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

📂 Library → 🗑️ Bin

উপরে → Empty Bin চাপুন

⚠️ একবার খালি করলে আর রিস্টোর হবে না, তাই দরকারি কিছু যেন না মুছেন।

---

6️⃣ Free up space ব্যবহার করুন

⚙️ Settings → Free up space
👉 এতে মোবাইল থেকে আগে থেকেই ব্যাকআপ হওয়া ছবি/ভিডিও মুছে যাবে, ফলে ফোন ও Gmail স্টোরেজ খালি হবে।

---

7️⃣ Storage saver চালু করুন (ভবিষ্যতের জন্য)

⚙️ Settings → Backup & Sync → Storage Saver (High Quality) সিলেক্ট করুন।
📌 এতে ছবি/ভিডিওর সাইজ ছোট হবে কিন্তু কোয়ালিটি ভালো থাকবে → স্টোরেজ কম ব্যবহার হবে।

---

✨ এখন আপনার Gmail / Google Drive / Google Photos এর স্টোরেজ অনেকটা খালি হয়ে যাবে।

20/08/2025

➡️🌏 #পৃথিবীতে মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় ১৭টি আমলঃ ⤵️
📖 #কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মৃত মা-বাবা জন্য কী ধরনের আমল করা যাবে এবং যে আমলের সওয়াব তাদের নিকট পৌছবে তা উল্লেখ করা হলো:

মা-বাবা ছোট শব্দ, কিন্তু এ দুটি শব্দের সাথে কত যে আদর, স্নেহ, ভালবাসা রয়েছে তা পৃথিবীর কোন মাপযন্ত্র দিয়ে নির্ণয় করা যাবে না। মা-বাবা কত না কষ্ট করেছেন, না খেয়ে থেকেছেন, অনেক সময় ভাল পোষাকও পরিধান করতে পারেন নি, কত না সময় বসে থাকতেন সন্তানের অপেক্ষায়। সেই মা বাবা যাদের চলে গিয়েছেন, তারাই বুঝেন মা বাবা কত বড় সম্পদ। যেদিন থেকে মা বাবা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন সেদিন থেকে মনে হয় কী যেন হারিয়ে গেল, তখন বুক কেঁপে উঠে, চোখ থেকে বৃষ্টির মত পানি ঝরে, কী শান্তনাই বা তাদেরকে দেয়া যায়! সেই মা বাবা যাদের চলে গিয়েছে তারা কী মা-বাবার জন্য কিছুই করবে না? এত কষ্ট করে আমাদের কে যে মা-বাবা লালন পালন করেছেন তাদের জন্য আমাদের কী কিছুই করার নেই? অবশ্যই আছে।

১. বেশী বেশী দু‘আ করা
মা-বাবা দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার পর সন্তান মা-বাবার জন্য বেশী বেশী দু‘আ করবে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে দু‘আ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কী দু‘আ করবো তাও শিক্ষা দিয়েছেন।
আল-কুরআনে এসেছে,
﴿ رَبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ٢٤ ﴾ [الاسراء: ٢٤]
‘‘হে আমার রব, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন’’ [সূরা বানী ইসরাঈলঃ ২৪]
﴿رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ ٤١﴾ [ابراهيم: ٤١]
‘‘হে আমাদের রব, রোজ কিয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করে দিন’’ [সুরা ইবরাহীম ঃ৪১]। এছাড়া আলস্নাহ রাববুল আলামীন পিতা-মাতার জন্য দূ‘আ করার বিশেষ নিয়ম শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেনঃ
﴿ رَّبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيۡتِيَ مُؤۡمِنٗا وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۖ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارَۢا ٢٨ ﴾ [نوح: ٢٨]
‘হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি যালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না ’[সূরা নুহ: ২৮] ।

মা-বাবা এমন সন্তান রেখে যাবেন যারা তাদের জন্য দোয়া করবে। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ ».
অর্থ: মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে ৩ টি আমল বন্ধ হয় না-১. সদকায়ে জারিয়া ২. এমন জ্ঞান-যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ৩. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দু‘আ করে [সহিহ মুসলিম: ৪৩১০]

মূলত: জানাযার নামায প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ স্বরূপ।

২. দান-ছাদকাহ করা, বিশেষ করে সাদাকায়ে জারিয়াহ প্রদান করাঃ
মা-বাবা বেচে থাকতে দান-সাদকাহ করে যেতে পারেন নি বা বেচে থাকলে আরো দান-সদকাহ করতেন, সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে সন্তান দান-সদকাহ করতে পারে। হাদীসে এসেছে,
অর্থ: আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেনঃ ‘‘জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল আমার মা হঠাৎ মৃতু বরণ করেছেন। তাই কোন অছিয়ত করতে পারেন নি। আমার ধারণা তিনি যদি কথা বলার সুযোগ পেতেন তাহলে দান-ছাদকা করতেন। আমি তাঁর পক্ষ থেকে ছাদকা করলে তিনি কি এর ছাওয়াব পাবেন ? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হ্যাঁ, অবশ্যই পাবেন।’’ [সহীহ মুসলিম: ২৩৭৩]
তবে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে সাদাকায়ে জারিয়া বা প্রবাহমান ও চলমান সাদাকা প্রদান করা। যেমন পানির কুপ খনন করা, (নলকুপ বসানো, দ্বীনী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, কুরআন শিক্ষার জন্য মক্তব ও প্রতিষ্ঠান তৈরী করা, স্থায়ী জনকল্যাণমূলক কাজ করা। ইত্যাদি।

৩. মা-বাবার পক্ষ থেকে সিয়াম পালনঃ
মা-বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় যদি তাদের কোন মানতের সিয়াম কাযা থাকে, সন্তান তাদের পক্ষ থেকে সিয়াম পালন করলে তাদের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
«مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صِيَامٌ صَامَ عَنْهُ وَلِيُّهُ»
অর্থ: ‘‘যে ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করল এমতাবস্থায় যে তার উপর রোজা ওয়াজিব ছিল। তবে তার পক্ষ থেকে তার ওয়ারিসগণ রোজা রাখবে’’ [সহীহ বুখারী: ১৯৫২]। অধিকাংশ আলেমগণ এ হাদীসটি শুধুমাত্র ওয়াজিব রোযা বা মানতের রোযার বিধান হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে নফল সিয়াম রাখার পক্ষে দলীল নাই।

৪. হজ্জ বা উমরাহ করাঃ
মা-বাবার পক্ষ থেকে হজ্জ বা উমরাহ করলে তা আদায় হবে এবং তারা উপকৃত হবে। ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত হাদীসে এসেছে
অর্থ: ‘‘ জুহাইনা গোত্রের একজন মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আগমণ করে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা হজ্জ করার মানত করেছিলেন কিন্তু তিনি হজ্জ সম্পাদন না করেই মারা গেছেন। এখন আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করতে পারি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তুমি তোমার মায়ের পক্ষ থেকে হজ্জ কর। তোমার কি ধারণা যদি তোমার মার উপর ঋণ থাকতো তবে কি তুমি তা পরিশোধ করতে না ? সুতরাং আল্লাহর জন্য তা আদায় কর। কেননা আল্লাহর দাবী পরিশোধ করার অধিক উপযোগী’’ [সহীহ বুখারী: ১৮৫২] । তবে মা-বাবার পক্ষ থেকে যে লোক হজ্জ বা ওমরাহ করতে চায় তার জন্য শর্ত হলো সে আগে নিজের হজ্জ-ওমরাহ করতে হবে।

৫. মা-বাবার পক্ষ থেকে কুরবানী করাঃ
মা-বাবার পক্ষ থেকে কুরবানী করলে তার ছাওয়াব দ্বারা তারা উপকৃত হবে। এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে,
অর্থ: আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি শিংযুক্ত দুম্বা উপস্থিত করতে নির্দেশ দিলেন, যার পা কালো, চোখের চতুর্দিক কালো এবং পেট কালো। অতঃপর তা কুরবানীর জন্য আনা হলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বললেন, হে আয়েশা! ছুরি নিয়ে আস, তারপর বললেন, তুমি একটি পাথর নিয়ে তা দ্বারা এটাকে ধারালো কর। তিনি তাই করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছুরি হাতে নিয়ে দুম্বাটিকে শুইয়ে দিলেন। পশুটি যবেহ্ করার সময় বললেন, বিসমিল্লাহ, হে আল্লাহ তুমি এটি মুহাম্মাদ, তাঁর বংশধর এবং সকল উম্মাতে মুহাম্মাদীর পক্ষ থেকে কবুল কর”। এভাবে তিনি তা দ্বারা কুরবানী করলেন।
[ সহীহ মুসলিম: ৫২০৩] ।

৬. মা-বাবার ওসিয়ত পূর্ণ করা
মা-বাবা শরীয়াহসম্মত কোন ওসিয়ত করে গেলে তা পূর্ণ করা সন্তানদের উপর দায়িত্ব। রাশীদ ইবন সুয়াইদ আসসাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
অর্থ: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা একজন দাসমুক্ত করার জন্য ওসিয়ত করে গেছেন। আর আমার নিকট কালো একজন দাসী আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে ডাকো, সে আসল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রশ্ন করলেন, তোমার রব কে ? উত্তরে সে বলল, আমার রব আল্লাহ। আবার প্রশ্ন করলেন আমি কে ? উত্তরে সে বলল, আপনি আল্লাহর রাসুল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে মুক্ত করে দাও; কেন না সে মু’মিনা [সহীহ ইবন হিববান: ১৮৯]

৭. মা-বাবার বন্ধুদের সম্মান করা
মা-বাবার বন্ধুদের সাথে ভাল ব্যবহার করা, সম্মান করা, তাদেরকে দেখতে যাওয়া,তাদেরকে হাদিয়া দেয়া। এ বিষয়ে হাদীসে উল্লেখ আছে,
অর্থ: আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার রাদিয়াল্লাহু আনহু আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, একবার মক্কার পথে চলার সময় আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর এক বেদুঈন এর সাথে দেখা হলে তিনি তাকে সালাম দিলেন এবং তাকে সে গাধায় চড়ালেন যে গাধায় আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা উপবিষ্ট ছিলেন এবং তাঁর (আব্দুল্লাহ) মাথায় যে পাগড়িটি পরা ছিলো তা তাকে প্রদান করলেন। আব্দুল্লাহ ইবান দীনার রাহেমাহুল্লাহ বললেন, তখন আমরা আব্দুল্লাহকে বললাম: আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুক! এরা গ্রাম্য মানুষ: সামান্য কিছু পেলেই এরা সন্তুষ্ট হয়ে যায়-(এতসব করার কি প্রয়োজন ছিলো?) উত্তরে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তার পিতা, (আমার পিতা) উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বন্ধু ছিলেন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি “পুত্রের জন্য পিতার বন্ধু-বান্ধবের সাথে ভাল ব্যবহার করা সবচেয়ে বড় সওয়াবের কাজ’’ [সহীহ মুসলিম:৬৬৭৭]।
মৃতদের বন্ধুদের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমলও আমাদেরকে উৎসাহিত করে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
«إِذَا ذَبَحَ الشَّاةَ فَيَقُولُ « أَرْسِلُوا بِهَا إِلَى أَصْدِقَاءِ خَدِيجَةَ »
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই কোন বকরী যবেহ করতেন, তখনই তিনি বলতেন, এর কিছু অংশ খাদীজার বান্ধবীদের নিকট পাঠিয়ে দাও [সহীহ মুসলিম: ৬৪৩১]

৮. মা-বাবার আত্নীয়দের সাথে সম্পর্ক রাখা
সন্তান তার মা-বাবার আত্নীয়দের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَصِلَ أَبَاهُ فِي قَبْرِهِ ، فَلْيَصِلْ إِخْوَانَ أَبِيهِ بَعْدَهُ»
‘যে ব্যক্তি তার পিতার সাথে কবরে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে ভালবাসে, সে যেন পিতার মৃত্যুর পর তার ভাইদের সাথে সু-সম্পর্ক রাখে’ [সহীহ ইবন হিববান:৪৩২]

৯. ঋণ পরিশোধ করা
মা-বাবার কোন ঋণ থাকলে তা দ্রুত পরিশোধ করা সন্তানদের উপর বিশেষভাবে কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঋণের পরিশোধ করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«نَفْسُ الْمُؤْمِنِ مُعَلَّقَةٌ بِدَيْنِهً حَتَّى يُقْضَى عَنْهُ».
অর্থ: ‘‘মুমিন ব্যক্তির আত্মা তার ঋণের সাথে সম্পৃক্ত থেকে যায়; যতক্ষণ তা তা তার পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয়”। [সুনান ইবন মাজাহ:২৪১৩]
ঋণ পরিশোধ না করার কারণে জান্নাতের যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়; এমনকি যদি আল্লাহর রাস্তায় শহীদও হয় । হাদীসে আরো এসেছে,
«مَا دَخَلَ الْجَنَّةَ حَتَّى يُقْضَى دَيْنُهُ»
অর্থ: যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দার ঋণ পরিশোধ না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। [নাসায়ী ৭/৩১৪; তাবরানী ফিল কাবীর ১৯/২৪৮ মুস্তাদরাকে হাকিম ২/২৯]

১০. কাফফারা আদায় করা
মা-বাবার কোন শপথের কাফফারা,ভুলকৃত হত্যাসহ কোন কাফফারা বাকী থাকলে সন্তান তা পূরণ করবে। আল-কুরআনে বলা হয়েছে,
﴿وَمَن قَتَلَ مُؤۡمِنًا خَطَ‍ٔٗا فَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖ وَدِيَةٞ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦٓ إِلَّآ أَن يَصَّدَّقُواْۚ ﴾ [النساء: ٩٢]
অর্থ: যে ব্যক্তি ভুলক্রমে কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তাহলে একজন মুমিন দাসকে মুক্ত করতে হবে এবং দিয়াত (রক্ত পণ দিতে হবে) যা হস্তান্তর করা হবে তার পরিজনদের কাছে। তবে তারা যদি সদাকা (ক্ষমা) করে দেয় (তাহলে সেটা ভিন্ন কথা)
[ সূরা আন-নিসা: ৯২]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
« مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِهَا وَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهِ ».
অর্থ: ‘‘ যে ব্যক্তি কসম খেয়ে শপথ করার পর তার থেকে উত্তম কিছু করলেও তার কাফফারা অদায় করবে’’
[সহীহ মুসলিম: ৪৩৬০] ।
এ বিধান জীবিত ও মৃত সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। দুনিয়ার বুকে কেউ অন্যায় করলে তার কাফফারা দিতে হবে। অনুরূপভাবে কেউ অন্যায় করে মারা গেলে তার পরিবার-পরিজন মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কাফফারা প্রদান করবেন।

১১. ক্ষমা প্রার্থনা করাঃ
মা-বাবার জন্য আল্লাহর নিকট বেশী বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করা গুরুত্বপূর্ণ আমল। সন্তান মা-বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় আল্লাহ তা‘আলা তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। হাদীসে বলা হয়েছে,
«عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : تُرْفَعُ لِلْمَيِّتِ بَعْدَ مَوْتِهِ دَرَجَتُهُ . فَيَقُولُ : أَيْ رَبِّ ، أَيُّ شَيْءٍ هَذِهِ ؟ فَيُقَالُ : وَلَدُكَ اسْتَغْفَرَ لَكَ»
অর্থ: আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মৃত্যুর পর কোন বান্দাহর মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। তখন সে বলে হে আমার রব, আমি তো এতো মর্যাদার আমল করিনি, কীভাবে এ আমল আসলো ? তখন বলা হবে, তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় এ মর্যাদা তুমি পেয়েছো’’ [আল-আদাবুল মুফরাদ:৩৬]।
মা-বাবা দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পর তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার বিষয়ে উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
অর্থ: উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর তার কবরের পার্শ্বে দাঁড়ালেন এবং বললেন ‘‘তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং তার জন্য ঈমানের উপর অবিচলতা ও দৃঢ়তা কামনা কর, কেননা এখনই তাকে প্রশ্ন করা হবে’’ [মুসনাদুল বাজ্জার: ৪৪৫]।
তাই সুন্নাত হচ্ছে, মৃত ব্যক্তিকে কবরে দেয়ার পর তার কবরের পার্শ্বে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তার জন্য প্রশ্নোত্তর সহজ করে দেয়া, প্রশ্নোত্তর দিতে সমর্থ হওয়ার জন্য দো‘আ করা।

১২. মান্নত পূরণ করা
মা-বাবা কোন মান্নত করে গেলে সন্তান তার পক্ষ থেকে পূরণ করবে। ইবন আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
«أَنَّ امْرَأَةً نَذَرَتْ أَنْ تَصُومَ شَهْرًا فَمَاتَتْ فَأَتَى أَخُوهَا النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- فَقَالَ :« صُمْ عَنْهَا ».
অর্থ: কোন মহিলা রোজা রাখার মান্নত করেছিল, কিন্তু সে তা পূরণ করার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করল। এরপর তার ভাই এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলে তিনি বলরেন, তার পক্ষ থেকে সিয়াম পালন কর। [সহীহ ইবন হিববান: ২৮০]

১৩. মা-বাবার ভাল কাজসমূহ জারী রাখা
মা-বাবা যেসব ভাল কাজ অর্থাৎ মসজিদ তৈরী করা, মাদরাসা তৈরী করা, দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরীসহ যে কাজগুলো করে গিয়েছেন সন্তান হিসাবে তা যাতে অব্যাহত থাকে তার ব্যবস্থা করা। কেননা এসব ভাল কাজের সওয়াব তাদের আমলনামায় যুক্ত হতে থাকে। হাদীসে এসেছে,
«مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ »
‘‘ভাল কাজের পথপ্রদর্শনকারী এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ সাওয়াব পাবে’’। [সুনান আততিরমীযি : ২৬৭০]
«مَنْ سَنَّ فِى الإِسْلاَمِ سُنَّةً حَسَنَةً فَلَهُ أَجْرُهَا وَأَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا بَعْدَهُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَىْءٌ»
যে ব্যক্তির ইসলামের ভাল কাজ শুরু করল, সে এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ সাওয়াব পাবে। অথচ তাদেও সওয়াব থেকে কোন কমতি হবে না’’ [সহীহ মুসলিম: ২৩৯৮]।

১৪. কবর যিয়ারত করা
সন্তান তার মা-বাবার কবর যিয়ারত করবে। এর মাধ্যমে সন্তান এবং মা-বাবা উভয়ই উপকৃত হবে। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَقَدْ أُذِنَ لِمُحَمَّدٍ فِى زِيَارَةِ قَبْرِ أُمِّهِ فَزُورُوهَا فَإِنَّهَا تُذَكِّرُ الآخِرَةَ»
অর্থ: আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম,অত:পর মুহাম্মাদের মায়ের কবর যিয়ারতের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখন তোমরা কবর যিয়রাত কর, কেননা তা আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয় [সুনান তিরমীযি: ১০৫৪]।
যিয়রাত কর, কেননা তা আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয় [সুনান তিরমীযি: ১০৫৪]।
কবর যিয়ারত কোন দিনকে নির্দিষ্ট করে করা যাবে না। কবর যিযারত করার সময় বলবে,
«السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ ، نَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ».
অর্থ: কবরবাসী মুমিন-মুসলিম আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক । নিশ্চয় আমরা আপনাদের সাথে মিলিত হবো। আমরা আল্লাহর কাছে আপনাদের এবং আমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। [সুনান ইবন মাজাহ: ১৫৪৭]

১৫. ওয়াদা করে গেলে তা বাস্তবায়ন করা
মা-বাবা কারো সাথে কোন ভাল কাজের ওয়াদা করে গেলে বা এমন ওয়াদা যা তারা বেচে থাকলে করে যেতেন, সন্তান যথাসম্ভব তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে,

﴿وَأَوۡفُواْ بِٱلۡعَهۡدِۖ إِنَّ ٱلۡعَهۡدَ كَانَ مَسۡ‍ُٔولٗا ٣٤ ﴾ [الاسراء: ٣٤]
অর্থ: আর তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ কর, নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। [ সূরা বনী ইসরাঈল:৩৪]

১৬. কোন গুনাহের কাজ করে গেলে তা বন্ধ করা
মা-বাবা বেচে থাকতে কোন গুনাহের কাজের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তা বন্ধ করবে বা শরীয়াহ সম্মতভাবে সংশোধন করে দিবে। কেননা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلاَلَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا ».
এবং যে মানুষকে গুনাহের দিকে আহবান করবে, এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ গুনাহ তার আমলনামায় যুক্ত হতে থাকবে। অথচ তাদের গুনাহ থেকে কোন কমতি হবে না’’ [সহীহ মুসলিম:৬৯৮০]।

১৭. মা-বাবার পক্ষ থেকে মাফ চাওয়া
মা-বাবা বেচে থাকতে কারো সাথে খারাপ আচরণ করে থাকলে বা কারো উপর যুলুম করে থাকলে বা কাওকে কষ্ট দিয়ে থাকলে মা-বাবার পক্ষ থেকে তার কাছ থেকে মাফ মাফ চেয়ে নিবে অথবা ক্ষতি পূরণ দিয়ে দিবে। কেননা হাদীসে এসেছে,
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কি জান নিঃস্ব ব্যক্তি কে? সাহাবীগণ বললেন, আমাদের মধ্যে যার সম্পদ নাই সে হলো গরীব লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে সে হলো গরীব যে, কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাত নিয়ে আসবে অথচ সে অমুককে গালি দিয়েছে, অমুককে অপবাদ দিয়েছে, অন্যায়ভাবে লোকের মাল খেয়েছে, সে লোকের রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে। কাজেই এসব নির্যাতিত ব্যক্তিদেরকে সেদিন তার নেক আমল নামা দিয়ে দেয়া হবে। এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। [সুনান আততিরমিযি: ২৪২৮]
সুতরাং এ ধরনের নিঃস্ব ব্যক্তিকে মুক্ত করার জন্য তার হকদারদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়া সন্তানের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
অল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে মা বাবার জন্য আমলগুলো করার তাওফীক দিন। আমীন!
وصلى الله على نبينا محمد وعلي اله وأصحابه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين- وأخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين


🎙️🇧🇩 অনুবাদক :শাইখ ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া (হাফিজাহুল্লাহ্)

১. শান্ত থেকে কথা বলুন বাচ্চা জেদ করলে চিৎকার না করে শান্তভাবে বলুন, “আমি তোমার কথা বুঝতে চাই, কিন্তু আগে একটু শান্ত হও।...
18/08/2025

১. শান্ত থেকে কথা বলুন
বাচ্চা জেদ করলে চিৎকার না করে শান্তভাবে বলুন, “আমি তোমার কথা বুঝতে চাই, কিন্তু আগে একটু শান্ত হও।”
এতে বাচ্চাও ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়।

২. মনোযোগ দিয়ে শুনুন
তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলুন, “তুমি কি কিছু বলতে চাও?”
সে বুঝবে, তার অনুভূতি আপনি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।

৩. অন্য বিকল্প দিন
সে যদি আইসক্রিম চায়, আপনি বলুন, “আইসক্রিম নয়, কিন্তু তুমি ফল বা দই পেতে পারো, কোনটা খাবে?”
এতে বাচ্চা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সে নিজেকে সিদ্ধান্তের অংশ মনে করে।

৪. নিয়ম তৈরি করুন, শাস্তি নয়
আগে থেকেই বলুন, “টিভি দেখার সময় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত, এরপর আর নয়।”
এতে সে জানবে কোন কাজ কখন করতে হবে।

৫. জেদের পেছনের কারণ বুঝুন
হয়ত সে ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত বা ঘুমাচ্ছে না। এমন সময় সহজেই জেদ বাড়ে।
তার আবেগ ও শারীরিক অবস্থা বুঝে প্রতিক্রিয়া দিন।

৬. ভালো আচরণের প্রশংসা করুন
সে শান্তভাবে খেলছে? বলুন, “তুমি আজ অনেক ভালো behaved করছো, খুব গর্ব হচ্ছে!”
এতে ভালো আচরণ বাড়ে, জেদ কমে।

৭. ধৈর্য ধরে সময় দিন
সে জেদ করলে কিছুক্ষণ একা থাকতে দিন বা বলুন, “আমরা পরে আবার কথা বলব।”
একা থাকলে সে নিজে ঠান্ডা হতে শিখে।

৮. আদর দিয়ে বোঝান
বকা না দিয়ে জড়িয়ে ধরুন আর বলুন, “আমি তোমায় খুব ভালোবাসি, কিন্তু এইভাবে জোরে চিৎকার করা ঠিক না।”
এতে সে ভালোবাসা থেকে শিখে, ভয় থেকে নয়।

৯. খেলনার মাধ্যমে শেখান
পুতুল বা গাড়ি দিয়ে নাটক করে শেখান: “এই পুতুলটা খুব জেদ করত, কিন্তু সে বুঝে গেছে কথা শুনলে কত ভালো হয়।”
শিশুরা খেলতে খেলতে সবচেয়ে বেশি শিখে।

১০. নিজে ভালো উদাহরণ দিন
আপনি রেগে না গিয়ে ধৈর্য ধরলে, বাচ্চাও শেখে কিভাবে শান্ত থাকতে হয়।
বাচ্চা সব সময় আপনাকে অনুকরণ করে।

এই কৌশলগুলো ধীরে ধীরে প্রয়োগ করলে বাচ্চার জেদ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।

#বিচিত্র
#লাইক

Address

Sadar
Dinajpur
5200

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ziaul 551 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share