Ziaul 551

Ziaul 551 মানব মানবীর জন্য,
তুমি হও সেবিকা আমি হব সেবক,
তবেই প্রেম।

01/09/2025

📱 মোবাইলে জিমেইল মেমোরি ফাঁকা বা ডিলিটকরার উপায় ⏬
---

1️⃣ Google Photos অ্যাপ খুলুন

📲 মোবাইলের অ্যাপ লিস্ট থেকে Google Photos আইকনে ক্লিক করুন।

---

2️⃣ বড় ছবি ও ভিডিও খুঁজুন

🔍 সার্চ বারে লিখুন:

videos 👉 শুধু ভিডিও দেখাবে

larger:10MB 👉 ১০ এমবি’র বেশি সাইজের ফাইল দেখাবে

---

3️⃣ অপ্রয়োজনীয় ফাইল সিলেক্ট করুন

👉 যেসব ছবি/ভিডিও দরকার নেই সেগুলো চেপে ধরে ✔️ সিলেক্ট করুন।

---

4️⃣ ডিলিট করুন

🗑️ উপরে থাকা Delete (Dustbin Icon) চাপুন।
👉 এবার ফাইলগুলো Bin/Trash এ চলে যাবে।

---

5️⃣ Bin খালি করুন

➡️ Google Photos অ্যাপে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

📂 Library → 🗑️ Bin

উপরে → Empty Bin চাপুন

⚠️ একবার খালি করলে আর রিস্টোর হবে না, তাই দরকারি কিছু যেন না মুছেন।

---

6️⃣ Free up space ব্যবহার করুন

⚙️ Settings → Free up space
👉 এতে মোবাইল থেকে আগে থেকেই ব্যাকআপ হওয়া ছবি/ভিডিও মুছে যাবে, ফলে ফোন ও Gmail স্টোরেজ খালি হবে।

---

7️⃣ Storage saver চালু করুন (ভবিষ্যতের জন্য)

⚙️ Settings → Backup & Sync → Storage Saver (High Quality) সিলেক্ট করুন।
📌 এতে ছবি/ভিডিওর সাইজ ছোট হবে কিন্তু কোয়ালিটি ভালো থাকবে → স্টোরেজ কম ব্যবহার হবে।

---

✨ এখন আপনার Gmail / Google Drive / Google Photos এর স্টোরেজ অনেকটা খালি হয়ে যাবে।

20/08/2025

➡️🌏 #পৃথিবীতে মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় ১৭টি আমলঃ ⤵️
📖 #কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মৃত মা-বাবা জন্য কী ধরনের আমল করা যাবে এবং যে আমলের সওয়াব তাদের নিকট পৌছবে তা উল্লেখ করা হলো:

মা-বাবা ছোট শব্দ, কিন্তু এ দুটি শব্দের সাথে কত যে আদর, স্নেহ, ভালবাসা রয়েছে তা পৃথিবীর কোন মাপযন্ত্র দিয়ে নির্ণয় করা যাবে না। মা-বাবা কত না কষ্ট করেছেন, না খেয়ে থেকেছেন, অনেক সময় ভাল পোষাকও পরিধান করতে পারেন নি, কত না সময় বসে থাকতেন সন্তানের অপেক্ষায়। সেই মা বাবা যাদের চলে গিয়েছেন, তারাই বুঝেন মা বাবা কত বড় সম্পদ। যেদিন থেকে মা বাবা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন সেদিন থেকে মনে হয় কী যেন হারিয়ে গেল, তখন বুক কেঁপে উঠে, চোখ থেকে বৃষ্টির মত পানি ঝরে, কী শান্তনাই বা তাদেরকে দেয়া যায়! সেই মা বাবা যাদের চলে গিয়েছে তারা কী মা-বাবার জন্য কিছুই করবে না? এত কষ্ট করে আমাদের কে যে মা-বাবা লালন পালন করেছেন তাদের জন্য আমাদের কী কিছুই করার নেই? অবশ্যই আছে।

১. বেশী বেশী দু‘আ করা
মা-বাবা দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার পর সন্তান মা-বাবার জন্য বেশী বেশী দু‘আ করবে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে দু‘আ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কী দু‘আ করবো তাও শিক্ষা দিয়েছেন।
আল-কুরআনে এসেছে,
﴿ رَبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ٢٤ ﴾ [الاسراء: ٢٤]
‘‘হে আমার রব, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন’’ [সূরা বানী ইসরাঈলঃ ২৪]
﴿رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ ٤١﴾ [ابراهيم: ٤١]
‘‘হে আমাদের রব, রোজ কিয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করে দিন’’ [সুরা ইবরাহীম ঃ৪১]। এছাড়া আলস্নাহ রাববুল আলামীন পিতা-মাতার জন্য দূ‘আ করার বিশেষ নিয়ম শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেনঃ
﴿ رَّبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيۡتِيَ مُؤۡمِنٗا وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۖ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارَۢا ٢٨ ﴾ [نوح: ٢٨]
‘হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি যালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না ’[সূরা নুহ: ২৮] ।

মা-বাবা এমন সন্তান রেখে যাবেন যারা তাদের জন্য দোয়া করবে। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ ».
অর্থ: মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে ৩ টি আমল বন্ধ হয় না-১. সদকায়ে জারিয়া ২. এমন জ্ঞান-যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ৩. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দু‘আ করে [সহিহ মুসলিম: ৪৩১০]

মূলত: জানাযার নামায প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ স্বরূপ।

২. দান-ছাদকাহ করা, বিশেষ করে সাদাকায়ে জারিয়াহ প্রদান করাঃ
মা-বাবা বেচে থাকতে দান-সাদকাহ করে যেতে পারেন নি বা বেচে থাকলে আরো দান-সদকাহ করতেন, সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে সন্তান দান-সদকাহ করতে পারে। হাদীসে এসেছে,
অর্থ: আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেনঃ ‘‘জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল আমার মা হঠাৎ মৃতু বরণ করেছেন। তাই কোন অছিয়ত করতে পারেন নি। আমার ধারণা তিনি যদি কথা বলার সুযোগ পেতেন তাহলে দান-ছাদকা করতেন। আমি তাঁর পক্ষ থেকে ছাদকা করলে তিনি কি এর ছাওয়াব পাবেন ? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হ্যাঁ, অবশ্যই পাবেন।’’ [সহীহ মুসলিম: ২৩৭৩]
তবে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে সাদাকায়ে জারিয়া বা প্রবাহমান ও চলমান সাদাকা প্রদান করা। যেমন পানির কুপ খনন করা, (নলকুপ বসানো, দ্বীনী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, কুরআন শিক্ষার জন্য মক্তব ও প্রতিষ্ঠান তৈরী করা, স্থায়ী জনকল্যাণমূলক কাজ করা। ইত্যাদি।

৩. মা-বাবার পক্ষ থেকে সিয়াম পালনঃ
মা-বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় যদি তাদের কোন মানতের সিয়াম কাযা থাকে, সন্তান তাদের পক্ষ থেকে সিয়াম পালন করলে তাদের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
«مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صِيَامٌ صَامَ عَنْهُ وَلِيُّهُ»
অর্থ: ‘‘যে ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করল এমতাবস্থায় যে তার উপর রোজা ওয়াজিব ছিল। তবে তার পক্ষ থেকে তার ওয়ারিসগণ রোজা রাখবে’’ [সহীহ বুখারী: ১৯৫২]। অধিকাংশ আলেমগণ এ হাদীসটি শুধুমাত্র ওয়াজিব রোযা বা মানতের রোযার বিধান হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে নফল সিয়াম রাখার পক্ষে দলীল নাই।

৪. হজ্জ বা উমরাহ করাঃ
মা-বাবার পক্ষ থেকে হজ্জ বা উমরাহ করলে তা আদায় হবে এবং তারা উপকৃত হবে। ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত হাদীসে এসেছে
অর্থ: ‘‘ জুহাইনা গোত্রের একজন মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আগমণ করে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা হজ্জ করার মানত করেছিলেন কিন্তু তিনি হজ্জ সম্পাদন না করেই মারা গেছেন। এখন আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করতে পারি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তুমি তোমার মায়ের পক্ষ থেকে হজ্জ কর। তোমার কি ধারণা যদি তোমার মার উপর ঋণ থাকতো তবে কি তুমি তা পরিশোধ করতে না ? সুতরাং আল্লাহর জন্য তা আদায় কর। কেননা আল্লাহর দাবী পরিশোধ করার অধিক উপযোগী’’ [সহীহ বুখারী: ১৮৫২] । তবে মা-বাবার পক্ষ থেকে যে লোক হজ্জ বা ওমরাহ করতে চায় তার জন্য শর্ত হলো সে আগে নিজের হজ্জ-ওমরাহ করতে হবে।

৫. মা-বাবার পক্ষ থেকে কুরবানী করাঃ
মা-বাবার পক্ষ থেকে কুরবানী করলে তার ছাওয়াব দ্বারা তারা উপকৃত হবে। এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে,
অর্থ: আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি শিংযুক্ত দুম্বা উপস্থিত করতে নির্দেশ দিলেন, যার পা কালো, চোখের চতুর্দিক কালো এবং পেট কালো। অতঃপর তা কুরবানীর জন্য আনা হলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বললেন, হে আয়েশা! ছুরি নিয়ে আস, তারপর বললেন, তুমি একটি পাথর নিয়ে তা দ্বারা এটাকে ধারালো কর। তিনি তাই করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছুরি হাতে নিয়ে দুম্বাটিকে শুইয়ে দিলেন। পশুটি যবেহ্ করার সময় বললেন, বিসমিল্লাহ, হে আল্লাহ তুমি এটি মুহাম্মাদ, তাঁর বংশধর এবং সকল উম্মাতে মুহাম্মাদীর পক্ষ থেকে কবুল কর”। এভাবে তিনি তা দ্বারা কুরবানী করলেন।
[ সহীহ মুসলিম: ৫২০৩] ।

৬. মা-বাবার ওসিয়ত পূর্ণ করা
মা-বাবা শরীয়াহসম্মত কোন ওসিয়ত করে গেলে তা পূর্ণ করা সন্তানদের উপর দায়িত্ব। রাশীদ ইবন সুয়াইদ আসসাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
অর্থ: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা একজন দাসমুক্ত করার জন্য ওসিয়ত করে গেছেন। আর আমার নিকট কালো একজন দাসী আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে ডাকো, সে আসল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রশ্ন করলেন, তোমার রব কে ? উত্তরে সে বলল, আমার রব আল্লাহ। আবার প্রশ্ন করলেন আমি কে ? উত্তরে সে বলল, আপনি আল্লাহর রাসুল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে মুক্ত করে দাও; কেন না সে মু’মিনা [সহীহ ইবন হিববান: ১৮৯]

৭. মা-বাবার বন্ধুদের সম্মান করা
মা-বাবার বন্ধুদের সাথে ভাল ব্যবহার করা, সম্মান করা, তাদেরকে দেখতে যাওয়া,তাদেরকে হাদিয়া দেয়া। এ বিষয়ে হাদীসে উল্লেখ আছে,
অর্থ: আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার রাদিয়াল্লাহু আনহু আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, একবার মক্কার পথে চলার সময় আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর এক বেদুঈন এর সাথে দেখা হলে তিনি তাকে সালাম দিলেন এবং তাকে সে গাধায় চড়ালেন যে গাধায় আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা উপবিষ্ট ছিলেন এবং তাঁর (আব্দুল্লাহ) মাথায় যে পাগড়িটি পরা ছিলো তা তাকে প্রদান করলেন। আব্দুল্লাহ ইবান দীনার রাহেমাহুল্লাহ বললেন, তখন আমরা আব্দুল্লাহকে বললাম: আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুক! এরা গ্রাম্য মানুষ: সামান্য কিছু পেলেই এরা সন্তুষ্ট হয়ে যায়-(এতসব করার কি প্রয়োজন ছিলো?) উত্তরে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তার পিতা, (আমার পিতা) উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বন্ধু ছিলেন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি “পুত্রের জন্য পিতার বন্ধু-বান্ধবের সাথে ভাল ব্যবহার করা সবচেয়ে বড় সওয়াবের কাজ’’ [সহীহ মুসলিম:৬৬৭৭]।
মৃতদের বন্ধুদের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমলও আমাদেরকে উৎসাহিত করে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
«إِذَا ذَبَحَ الشَّاةَ فَيَقُولُ « أَرْسِلُوا بِهَا إِلَى أَصْدِقَاءِ خَدِيجَةَ »
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই কোন বকরী যবেহ করতেন, তখনই তিনি বলতেন, এর কিছু অংশ খাদীজার বান্ধবীদের নিকট পাঠিয়ে দাও [সহীহ মুসলিম: ৬৪৩১]

৮. মা-বাবার আত্নীয়দের সাথে সম্পর্ক রাখা
সন্তান তার মা-বাবার আত্নীয়দের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَصِلَ أَبَاهُ فِي قَبْرِهِ ، فَلْيَصِلْ إِخْوَانَ أَبِيهِ بَعْدَهُ»
‘যে ব্যক্তি তার পিতার সাথে কবরে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে ভালবাসে, সে যেন পিতার মৃত্যুর পর তার ভাইদের সাথে সু-সম্পর্ক রাখে’ [সহীহ ইবন হিববান:৪৩২]

৯. ঋণ পরিশোধ করা
মা-বাবার কোন ঋণ থাকলে তা দ্রুত পরিশোধ করা সন্তানদের উপর বিশেষভাবে কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঋণের পরিশোধ করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«نَفْسُ الْمُؤْمِنِ مُعَلَّقَةٌ بِدَيْنِهً حَتَّى يُقْضَى عَنْهُ».
অর্থ: ‘‘মুমিন ব্যক্তির আত্মা তার ঋণের সাথে সম্পৃক্ত থেকে যায়; যতক্ষণ তা তা তার পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয়”। [সুনান ইবন মাজাহ:২৪১৩]
ঋণ পরিশোধ না করার কারণে জান্নাতের যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়; এমনকি যদি আল্লাহর রাস্তায় শহীদও হয় । হাদীসে আরো এসেছে,
«مَا دَخَلَ الْجَنَّةَ حَتَّى يُقْضَى دَيْنُهُ»
অর্থ: যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দার ঋণ পরিশোধ না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। [নাসায়ী ৭/৩১৪; তাবরানী ফিল কাবীর ১৯/২৪৮ মুস্তাদরাকে হাকিম ২/২৯]

১০. কাফফারা আদায় করা
মা-বাবার কোন শপথের কাফফারা,ভুলকৃত হত্যাসহ কোন কাফফারা বাকী থাকলে সন্তান তা পূরণ করবে। আল-কুরআনে বলা হয়েছে,
﴿وَمَن قَتَلَ مُؤۡمِنًا خَطَ‍ٔٗا فَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖ وَدِيَةٞ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦٓ إِلَّآ أَن يَصَّدَّقُواْۚ ﴾ [النساء: ٩٢]
অর্থ: যে ব্যক্তি ভুলক্রমে কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তাহলে একজন মুমিন দাসকে মুক্ত করতে হবে এবং দিয়াত (রক্ত পণ দিতে হবে) যা হস্তান্তর করা হবে তার পরিজনদের কাছে। তবে তারা যদি সদাকা (ক্ষমা) করে দেয় (তাহলে সেটা ভিন্ন কথা)
[ সূরা আন-নিসা: ৯২]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
« مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِهَا وَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهِ ».
অর্থ: ‘‘ যে ব্যক্তি কসম খেয়ে শপথ করার পর তার থেকে উত্তম কিছু করলেও তার কাফফারা অদায় করবে’’
[সহীহ মুসলিম: ৪৩৬০] ।
এ বিধান জীবিত ও মৃত সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। দুনিয়ার বুকে কেউ অন্যায় করলে তার কাফফারা দিতে হবে। অনুরূপভাবে কেউ অন্যায় করে মারা গেলে তার পরিবার-পরিজন মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কাফফারা প্রদান করবেন।

১১. ক্ষমা প্রার্থনা করাঃ
মা-বাবার জন্য আল্লাহর নিকট বেশী বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করা গুরুত্বপূর্ণ আমল। সন্তান মা-বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় আল্লাহ তা‘আলা তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। হাদীসে বলা হয়েছে,
«عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : تُرْفَعُ لِلْمَيِّتِ بَعْدَ مَوْتِهِ دَرَجَتُهُ . فَيَقُولُ : أَيْ رَبِّ ، أَيُّ شَيْءٍ هَذِهِ ؟ فَيُقَالُ : وَلَدُكَ اسْتَغْفَرَ لَكَ»
অর্থ: আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মৃত্যুর পর কোন বান্দাহর মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। তখন সে বলে হে আমার রব, আমি তো এতো মর্যাদার আমল করিনি, কীভাবে এ আমল আসলো ? তখন বলা হবে, তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় এ মর্যাদা তুমি পেয়েছো’’ [আল-আদাবুল মুফরাদ:৩৬]।
মা-বাবা দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পর তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার বিষয়ে উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
অর্থ: উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর তার কবরের পার্শ্বে দাঁড়ালেন এবং বললেন ‘‘তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং তার জন্য ঈমানের উপর অবিচলতা ও দৃঢ়তা কামনা কর, কেননা এখনই তাকে প্রশ্ন করা হবে’’ [মুসনাদুল বাজ্জার: ৪৪৫]।
তাই সুন্নাত হচ্ছে, মৃত ব্যক্তিকে কবরে দেয়ার পর তার কবরের পার্শ্বে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তার জন্য প্রশ্নোত্তর সহজ করে দেয়া, প্রশ্নোত্তর দিতে সমর্থ হওয়ার জন্য দো‘আ করা।

১২. মান্নত পূরণ করা
মা-বাবা কোন মান্নত করে গেলে সন্তান তার পক্ষ থেকে পূরণ করবে। ইবন আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
«أَنَّ امْرَأَةً نَذَرَتْ أَنْ تَصُومَ شَهْرًا فَمَاتَتْ فَأَتَى أَخُوهَا النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- فَقَالَ :« صُمْ عَنْهَا ».
অর্থ: কোন মহিলা রোজা রাখার মান্নত করেছিল, কিন্তু সে তা পূরণ করার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করল। এরপর তার ভাই এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলে তিনি বলরেন, তার পক্ষ থেকে সিয়াম পালন কর। [সহীহ ইবন হিববান: ২৮০]

১৩. মা-বাবার ভাল কাজসমূহ জারী রাখা
মা-বাবা যেসব ভাল কাজ অর্থাৎ মসজিদ তৈরী করা, মাদরাসা তৈরী করা, দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরীসহ যে কাজগুলো করে গিয়েছেন সন্তান হিসাবে তা যাতে অব্যাহত থাকে তার ব্যবস্থা করা। কেননা এসব ভাল কাজের সওয়াব তাদের আমলনামায় যুক্ত হতে থাকে। হাদীসে এসেছে,
«مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ »
‘‘ভাল কাজের পথপ্রদর্শনকারী এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ সাওয়াব পাবে’’। [সুনান আততিরমীযি : ২৬৭০]
«مَنْ سَنَّ فِى الإِسْلاَمِ سُنَّةً حَسَنَةً فَلَهُ أَجْرُهَا وَأَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا بَعْدَهُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَىْءٌ»
যে ব্যক্তির ইসলামের ভাল কাজ শুরু করল, সে এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ সাওয়াব পাবে। অথচ তাদেও সওয়াব থেকে কোন কমতি হবে না’’ [সহীহ মুসলিম: ২৩৯৮]।

১৪. কবর যিয়ারত করা
সন্তান তার মা-বাবার কবর যিয়ারত করবে। এর মাধ্যমে সন্তান এবং মা-বাবা উভয়ই উপকৃত হবে। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَقَدْ أُذِنَ لِمُحَمَّدٍ فِى زِيَارَةِ قَبْرِ أُمِّهِ فَزُورُوهَا فَإِنَّهَا تُذَكِّرُ الآخِرَةَ»
অর্থ: আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম,অত:পর মুহাম্মাদের মায়ের কবর যিয়ারতের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখন তোমরা কবর যিয়রাত কর, কেননা তা আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয় [সুনান তিরমীযি: ১০৫৪]।
যিয়রাত কর, কেননা তা আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয় [সুনান তিরমীযি: ১০৫৪]।
কবর যিয়ারত কোন দিনকে নির্দিষ্ট করে করা যাবে না। কবর যিযারত করার সময় বলবে,
«السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ ، نَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ».
অর্থ: কবরবাসী মুমিন-মুসলিম আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক । নিশ্চয় আমরা আপনাদের সাথে মিলিত হবো। আমরা আল্লাহর কাছে আপনাদের এবং আমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। [সুনান ইবন মাজাহ: ১৫৪৭]

১৫. ওয়াদা করে গেলে তা বাস্তবায়ন করা
মা-বাবা কারো সাথে কোন ভাল কাজের ওয়াদা করে গেলে বা এমন ওয়াদা যা তারা বেচে থাকলে করে যেতেন, সন্তান যথাসম্ভব তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে,

﴿وَأَوۡفُواْ بِٱلۡعَهۡدِۖ إِنَّ ٱلۡعَهۡدَ كَانَ مَسۡ‍ُٔولٗا ٣٤ ﴾ [الاسراء: ٣٤]
অর্থ: আর তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ কর, নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। [ সূরা বনী ইসরাঈল:৩৪]

১৬. কোন গুনাহের কাজ করে গেলে তা বন্ধ করা
মা-বাবা বেচে থাকতে কোন গুনাহের কাজের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তা বন্ধ করবে বা শরীয়াহ সম্মতভাবে সংশোধন করে দিবে। কেননা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلاَلَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا ».
এবং যে মানুষকে গুনাহের দিকে আহবান করবে, এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ গুনাহ তার আমলনামায় যুক্ত হতে থাকবে। অথচ তাদের গুনাহ থেকে কোন কমতি হবে না’’ [সহীহ মুসলিম:৬৯৮০]।

১৭. মা-বাবার পক্ষ থেকে মাফ চাওয়া
মা-বাবা বেচে থাকতে কারো সাথে খারাপ আচরণ করে থাকলে বা কারো উপর যুলুম করে থাকলে বা কাওকে কষ্ট দিয়ে থাকলে মা-বাবার পক্ষ থেকে তার কাছ থেকে মাফ মাফ চেয়ে নিবে অথবা ক্ষতি পূরণ দিয়ে দিবে। কেননা হাদীসে এসেছে,
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কি জান নিঃস্ব ব্যক্তি কে? সাহাবীগণ বললেন, আমাদের মধ্যে যার সম্পদ নাই সে হলো গরীব লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে সে হলো গরীব যে, কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাত নিয়ে আসবে অথচ সে অমুককে গালি দিয়েছে, অমুককে অপবাদ দিয়েছে, অন্যায়ভাবে লোকের মাল খেয়েছে, সে লোকের রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে। কাজেই এসব নির্যাতিত ব্যক্তিদেরকে সেদিন তার নেক আমল নামা দিয়ে দেয়া হবে। এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। [সুনান আততিরমিযি: ২৪২৮]
সুতরাং এ ধরনের নিঃস্ব ব্যক্তিকে মুক্ত করার জন্য তার হকদারদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়া সন্তানের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
অল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে মা বাবার জন্য আমলগুলো করার তাওফীক দিন। আমীন!
وصلى الله على نبينا محمد وعلي اله وأصحابه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين- وأخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين


🎙️🇧🇩 অনুবাদক :শাইখ ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া (হাফিজাহুল্লাহ্)

১. শান্ত থেকে কথা বলুন বাচ্চা জেদ করলে চিৎকার না করে শান্তভাবে বলুন, “আমি তোমার কথা বুঝতে চাই, কিন্তু আগে একটু শান্ত হও।...
18/08/2025

১. শান্ত থেকে কথা বলুন
বাচ্চা জেদ করলে চিৎকার না করে শান্তভাবে বলুন, “আমি তোমার কথা বুঝতে চাই, কিন্তু আগে একটু শান্ত হও।”
এতে বাচ্চাও ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়।

২. মনোযোগ দিয়ে শুনুন
তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলুন, “তুমি কি কিছু বলতে চাও?”
সে বুঝবে, তার অনুভূতি আপনি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।

৩. অন্য বিকল্প দিন
সে যদি আইসক্রিম চায়, আপনি বলুন, “আইসক্রিম নয়, কিন্তু তুমি ফল বা দই পেতে পারো, কোনটা খাবে?”
এতে বাচ্চা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সে নিজেকে সিদ্ধান্তের অংশ মনে করে।

৪. নিয়ম তৈরি করুন, শাস্তি নয়
আগে থেকেই বলুন, “টিভি দেখার সময় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত, এরপর আর নয়।”
এতে সে জানবে কোন কাজ কখন করতে হবে।

৫. জেদের পেছনের কারণ বুঝুন
হয়ত সে ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত বা ঘুমাচ্ছে না। এমন সময় সহজেই জেদ বাড়ে।
তার আবেগ ও শারীরিক অবস্থা বুঝে প্রতিক্রিয়া দিন।

৬. ভালো আচরণের প্রশংসা করুন
সে শান্তভাবে খেলছে? বলুন, “তুমি আজ অনেক ভালো behaved করছো, খুব গর্ব হচ্ছে!”
এতে ভালো আচরণ বাড়ে, জেদ কমে।

৭. ধৈর্য ধরে সময় দিন
সে জেদ করলে কিছুক্ষণ একা থাকতে দিন বা বলুন, “আমরা পরে আবার কথা বলব।”
একা থাকলে সে নিজে ঠান্ডা হতে শিখে।

৮. আদর দিয়ে বোঝান
বকা না দিয়ে জড়িয়ে ধরুন আর বলুন, “আমি তোমায় খুব ভালোবাসি, কিন্তু এইভাবে জোরে চিৎকার করা ঠিক না।”
এতে সে ভালোবাসা থেকে শিখে, ভয় থেকে নয়।

৯. খেলনার মাধ্যমে শেখান
পুতুল বা গাড়ি দিয়ে নাটক করে শেখান: “এই পুতুলটা খুব জেদ করত, কিন্তু সে বুঝে গেছে কথা শুনলে কত ভালো হয়।”
শিশুরা খেলতে খেলতে সবচেয়ে বেশি শিখে।

১০. নিজে ভালো উদাহরণ দিন
আপনি রেগে না গিয়ে ধৈর্য ধরলে, বাচ্চাও শেখে কিভাবে শান্ত থাকতে হয়।
বাচ্চা সব সময় আপনাকে অনুকরণ করে।

এই কৌশলগুলো ধীরে ধীরে প্রয়োগ করলে বাচ্চার জেদ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।

#বিচিত্র
#লাইক

রোগীকে কখন কোন স্যালাইন দিতে হয়?IV fluid: Intravenous /parenteral (সরাসরি রক্ত নালিকা vein যে fluid বা সেলাইন দেয়া হয়)এখ...
18/08/2025

রোগীকে কখন কোন স্যালাইন দিতে হয়?

IV fluid: Intravenous /parenteral (সরাসরি রক্ত নালিকা vein যে fluid বা সেলাইন দেয়া হয়)

এখন প্রশ্ন হল কেন fluid (স্যালাইন) দেব.?

----> প্রথমত, রোগী যদি মুখে প্রর্যাপ্ত পরিমানে খেতে পাড়ে তাহলে IV fluid দেয়ার দরকার নেই

----> কোন কারনে রোগীর Fluid Volume কমে দেহ্যদ্রাতিওন (পানিশূন্যতা) হয় তখন IV. Fluid (স্যালাইন) দেয়া হয়। এটার অনেক কারন আছে। সেদিকে না যাই।

চলুন যেনে নেই কি ধরনের IV স্যালাইন বাজারে পাওয়া যায়।

1) NS (Normal Saline):

----> কি এট?

0.9% Nacl + DW (Distilwater) হল Narmal Saline অথাৎ 100mL DW এর সাথে ০.৭ mg Nacl বা লবন থাকবে। বাংলা কথায় লবণ পানি তাহলে ৫০০ml কতটুকু লবণ থাকবে.? আশা করি বুঝেছেন

---> প্যাকেটের রং.?

হলুদ

--->কেন দিব.?

* Fluid Volume কম থাকলে

*Hypotension (রক্তচাপ কমে যাওয়া) থাকলে (Nacl incresae the BP) অনেক আছে বড় করবো না।

2).CS(Cholera Saline)

--->এটা তে কি আছে.?

★Na+: 39/L

★CL: 3.59/L

★K+ :0.59/L

★Acetate: 2.59/L

--->প্যাকেটের রং

লাল

---->কেন দিব.?

সাধারনত Dehydration correction (পানিশূন্যতা নিরাময়) এর জন্য

3) 5%DA (Dextrose in Aqua) Dextrose মানে "গ্লুকোজ" Aqua মানে "পানি "

5% DA মানে 100ml Water মধ্যে 59 glucose.

Note: 10%DA, 25% DA 50%DA শুধু পানির সাথে গ্লুকোজ এর ঘনত্বের পার্থক্য।

----> প্যাকেটের রং

এটার Blue রং এর ব্যাগ

--->কেন দিব??

যেসব রোগী প্রর্যাপ্ত খেতে পাড়ে না। Parental Nutrition হিসেবে। মোট কথা মুখে খাবার বন্ধ থাকলে।

4)5%DNS (Dextrose in Normal Saline) অথাৎ Normal

Saline + glucose

কোনটা কতটুকু নিশ্চই বুঝতে পাড়ছেন

---> প্যাকেটের রং কি.?

সবুজ রং এর ব্যাগ

---> কেন দিব.?

NS+ 5%DA দেখুেন

5) HS (Hartman's Solution)

----> এটা কি.?

একজন বিজ্ঞানীর নামে এর নাম করন করা হইছে।

Combination:

NaOH 1.5g/L

NaCL 6.0g/L

KCL. 0.40g/L

Cacl2: 0.279/L

Lactid Acid: 2.40ml

----> প্যাকেটের রং? কোন নির্দিষ্ট নেই

---> কেন দিব?

Volume maintain (ভারসাম্য নিওন্তন) Dehydration (পানিশূন্যতা) Burn (পূড়ে যাওয়া)

এগুলো ছাড়া বাজারে কিছু Nutritional, plasma Fluid essential amino acid পাওয়া যায় (CLinosol / clinosol gold)

গুলো সাধারনত Nutrition maintain করার জন্য ব্যবহার হরা হয়।

বিদ্র: অযথা FLuid দিলে Fluid overload হতে পাড়ে। তাতে HTN, HF, pulmonary oedema, Electrolyte imbalances (Hypernatrimaemia, Hyperkalaemia) হতে পাড়ে। তাই অযথা fuild (স্যালাইন) দেয়া বন্ধ করুন। ধন্যবাদ সবাইকে

বাচ্চাদের সাধারণত আমরা কি কি টিকা দিয়ে থাকি✅✅EPI Schedule মনে রাখার সহজ টেকনিক :-  Mnemonics : DPT হাঁটি হাঁটি পা পা MRT...
17/08/2025

বাচ্চাদের সাধারণত আমরা কি কি টিকা দিয়ে থাকি✅✅
EPI Schedule মনে রাখার সহজ টেকনিক :-
Mnemonics : DPT হাঁটি হাঁটি পা পা MRT
D = Diphtheria
P = Pertussis
T = Tetanus

হাঁটি (H) = Hepatitis B
হাঁটি (H) = Hemophilus Influenza B
পা (P) = Pneumococcal Pneumonia
পা (P) = Poliomyelitis

M = Measles
R = Rubella

T = Tuberculosis

🖊️ কখন কোন টিকা দেওয়া হয়?

Mnemonics : DPT হাঁটি হাঁটি পা পা MRT
D = Diphtheria
P = Pertussis
T = Tetanus
হাঁটি (H) = Hepatitis B
হাঁটি (H) = Hemophilus Influenza B
N.B: এই পাঁচটি Vaccine কে একত্রে Pentavalent Vaccine বলা হয়।

রোগের নাম : ডিফথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টাংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি
টিকার নাম : পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা (ডিপিটি, হেপাটাইটিস-বি, হিব)
ডোজ : 0.5 এমএল
ডোজের সংখ্যা : 3
ডোজের মধ্যে ন্যূনতম বিরতি : 4 সপ্তাহ
টিকা শুরু করার সঠিক সময় : 6 সপ্তাহ,১০ সপ্তাহ, ১৪ সপ্তাহ
টিকাদানের স্থান : উরুর মধ্যভাগের বহিরাংশে (On upper & outer part of mid thigh - Left side)
টিকার প্রয়োগ পথ : মাংসপেশী (Intramuscular-IM)

🖊️ পা (P) = Pneumococcal Pneumonia
রোগের নাম : নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া
টিকার নাম : পিসিভি টিকা (PCV)
ডোজ : 0.5 এমএল
ডোজের সংখ্যা : 3
ডোজের মধ্যে ন্যূনতম বিরতি : 4 সপ্তাহ
টিকা শুরু করার সঠিক সময় : 6 সপ্তাহ, 10 সপ্তাহ, 14 সপ্তাহ
টিকাদানের স্থান : উরুর মধ্যভাগের বহিরাংশে (On upper & outer part of mid thigh -Left side)
টিকার প্রয়োগ পথ : মাংসপেশী (Intramuscular - IM)

🖊️ পা (P) = Poliomyelitis
রোগের নাম : পোলিওমাইলাইটিস
টিকার নাম : ওপিভি (OPV)
ডোজ : 2-3 ফোঁটা অথবা নির্দেশনা অনুসারে
ডোজের সংখ্যা : ৪
ডোজের মধ্যে ন্যূনতম বিরতি : 4 সপ্তাহ
টিকা শুরু করার সঠিক সময় : 6 সপ্তাহ, 10 সপ্তাহ, 14 সপ্তাহ
টিকাদানের স্থান : মুখে
টিকার প্রয়োগ পথ : মুখে

🖊️ M = Measles
R = Rubella
রোগের নাম : হাম ও রুবেলা
টিকার নাম : এমআর টিকা
ডোজ : 0.5 এমএল
ডোজের সংখ্যা : 1
ডোজের মধ্যে ন্যূনতম বিরতি :
টিকা শুরু করার সঠিক সময় : হামের টিকা 9 মাস বয়স পূর্ণ হলে এবং রুবেলার টিকা ১৫ মাস বয়স পূর্ণ হলে দেয়া হয়।
টিকাদানের স্থান : উরুর মধ্যভাগের বহিরাংশে-ডান উরুতে ( Upper & outer part of right mid thigh - Right side)
টিকার প্রয়োগ পথ : চামড়ার নীচে (Subcutaneous)

🖊️ T = Tuberculosis
জন্মের সময়: জন্মের সময় সাধারণত বিসিজি টিকা দেওয়া হয়, যা যক্ষ্মা রোগ থেকে রক্ষা করে।

রোগের নাম : যক্ষা (Tuberculosis)
টিকার নাম : বিসিজি (BCG)
ডোজ : 0.05 এমএল
ডোজের সংখ্যা : 1
ডোজের মধ্যে ন্যূনতম বিরতি : -
টিকা শুরু করার সঠিক সময় : জন্মের পর থেকে
টিকাদানের স্থান : বাম বাহুর উপরের অংশে
টিকার প্রয়োগ পথ : চামড়ার মধ্যে (Intra-dermal)

টিকা নেওয়ার গুরুত্ব
1. টিকা বাচ্চাদের মৃত্যুহার কমাতে সাহায্য করে।
2. টিকা বাচ্চাদেরকে মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে।
3. টিকা বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে সাহায্য করে।

সাধারণত স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অনেক বেসরকারি হাসপাতালে বাচ্চাদের টিকা দেওয়া হয়।
সময়মত টিকা নিন,আপনার সন্তানের সুন্দর জীবন উপহার দিন,ধন্যবাদ।

শাসন নাকি আদর?নিউরোসায়েন্স অনুযায়ী, শিশুদের ব্রেইন চিৎকার (নেগেটিভ স্টিমুলাস) এবং আদর (পজিটিভ স্টিমুলাস) — এই দুই ধরনে...
09/08/2025

শাসন নাকি আদর?

নিউরোসায়েন্স অনুযায়ী, শিশুদের ব্রেইন চিৎকার (নেগেটিভ স্টিমুলাস) এবং আদর (পজিটিভ স্টিমুলাস) — এই দুই ধরনের অভিজ্ঞতার প্রতি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে রেসপন্স করে।

যখন শিশুকে চিৎকার করা হয় বা ভয় দেখানো হয়, তখন তার ব্রেইনে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়। এটি শিশুর অ্যামিগডালা (ভয়ের প্রসেসিং এরিয়া) কে অত্যন্ত সক্রিয় করে তোলে। ফলে শিশু আতঙ্কগ্রস্ত হয়, নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে এবং বারবার এমন অভিজ্ঞতা হলে ব্রেইনের এই অংশটি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এর ফলে ভবিষ্যতে শিশুর মধ্যে উদ্বেগ, আত্মবিশ্বাসহীনতা ও আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এ ছাড়া, ক্রমাগত নেতিবাচক অভিজ্ঞতা নিউরনগুলোর সংযোগ (synapse) গঠনে বিঘ্ন ঘটায়, যার ফলে শেখার সক্ষমতা কমে যেতে পারে।

অন্যদিকে, যখন শিশুকে ভালোবাসা, আদর বা সহানুভূতির সঙ্গে আচরণ করা হয়, তখন ব্রেইনে অক্সিটোসিন ও ডোপামিন নামক “feel-good” হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি ব্রেইনের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স (যেটি চিন্তা, বিচার, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি পরিচালনা করে) কে সক্রিয় করে।

এতে শিশুর মধ্যে নিরাপত্তা, আত্মবিশ্বাস, শেখার আগ্রহ এবং ইতিবাচক সামাজিক আচরণ তৈরি হয়। এমন ভালোবাসাময় পরিবেশে নিউরনের মাঝে বেশি বেশি সংযোগ তৈরি হয়, যেটা ব্রেইনের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চিৎকার শিশুর ব্রেইনে ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতা গেঁথে দেয়, আর আদর তাকে শেখে ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং আত্মনির্ভরতা— যার ভিত্তি তৈরি হয় আজীবন মানসিক বিকাশের জন্য। এজন্য সচেতন, স্নেহভরা এবং সহানুভূতিশীল আচরণই শিশুর ব্রেইনের স্বাস্থ্যকর বিকাশের মূল চাবিকাঠি।

আমারা অনেকেই ওদের অনেক আচরনে খুব বিরক্ত হই, চিৎকার করে ফেলি যা ঠিকনা, এখন থেকে সচেতন হবেন, ধৈর্যের বিকল্প কিছু নেই।

🛑 ভয়াবহ ভাইরাস জ্বর ছড়িয়ে পড়ছে — সতর্ক হোন, সচেতন থাকুন!এই মুহূর্তে একটি নতুন ধরনের ভাইরাস জ্বর চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।...
09/08/2025

🛑 ভয়াবহ ভাইরাস জ্বর ছড়িয়ে পড়ছে — সতর্ক হোন, সচেতন থাকুন!

এই মুহূর্তে একটি নতুন ধরনের ভাইরাস জ্বর চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি ডেংগু বা চিকুনগুনিয়া না হলেও এর লক্ষণগুলো বেশ ভয়াবহ, এবং অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন—বিশেষ করে শিশুরা।

🎗 বাবা-মায়েদের জন্য বার্তা: যদি আপনার সন্তান এই জ্বরে আক্রান্ত হয়, প্রথমেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়বেন না। কারণ আপনার শক্তিই আপনার সন্তানের সাহস। আপনি সুস্থ থাকলে সেবা ভালোভাবে করতে পারবেন।

🧠 অসুস্থ শিশুর সেবা করতে হলে তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে, কারণ খাবারের বিকল্প কোনো ওষুধ নেই।
⛔ তারা খাবার খেতে না চাইলে জোর করবেন না, অল্প অল্প করে বারবার দিন।
🤢 বমি করলে বমির ওষুধ দিয়ে সেটা নিয়ন্ত্রণ করুন।

📌 ভাইরাস জ্বরের সাধারণ লক্ষণ:

🔥 হঠাৎ করে জ্বর (১০৩°–১০৪°F)
😣 শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রচণ্ড ব্যথা (মাথা, চোখ, পিঠ, জয়েন্ট)
🥴 মাথা ঘোরা, দুর্বল লাগা
💔 রক্তচাপ কমে যাওয়া
🛌 জ্বর চলে যাওয়ার পরও দীর্ঘ সময় ধরে শরীর দুর্বল থাকছে

✅ কি করবেন? করণীয় ও পরামর্শ:

🍽️ খাবারে যা রাখবেন:

✔ ভিটামিন সি: মাল্টা, কমলা, পেয়ারা, আমলকি
✔ জিঙ্ক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: কলা, পাকা পেঁপে, ডিমের কুসুম
✔ প্রোটিন: সিদ্ধ ডিম, চিকেন স্যুপ, ডাল, খিচুড়ি, মাছ
💧 প্রচুর পানি পান করুন (দিনে অন্তত ৩ লিটার) – স্যালাইন বা লেবুর শরবত খেতে পারেন
⚠️ চিনি পরিহার করুন

🧊 ব্যথা ও জ্বর কমাতে:

✔ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল
✔ গরম পানির সেঁক বা ম্যাসাজ
✔ আদা, তুলসি, মধু দিয়ে হালকা গরম পানীয়

💆 জ্বরের পর শরীর ব্যথা কমাতে:

✔ গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে শরীর মুছানো
✔ হালকা স্ট্রেচিং বা ধীরে হাঁটা
✔ ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার: কলা, ভেজানো বাদাম
✔ নারকেল তেল বা পুদিনার তেল দিয়ে হালকা মালিশ

🚨 যখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন:
বারবার জ্বর আসছে,
রক্তচাপ খুব কমে যাচ্ছে,
খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বা অজ্ঞান ভাব,
হৃদস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা

🧘‍♀️ মনে রাখবেন:
জ্বর কমে গেলেও শরীর সম্পূর্ণরূপে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম, ভালো খাবার ও প্রচুর পানি–এই তিনটাই দ্রুত সেরে ওঠার মূলমন্ত্র।

🤝 আপনজন বা আশেপাশে কেউ আক্রান্ত হলে এই পোস্টটি শেয়ার করে তাকে সচেতন করুন।
©️

👉কোন প্রাণী কামড়ালে কি করবেন.?? জলাতঙ্ক + কুকুর-বিড়াল বা ইদুরের কামড় আথবা যারা কুকুরকে বাসায় পালেন ও আদর করে চুমু খান, ত...
07/08/2025

👉কোন প্রাণী কামড়ালে কি করবেন.??

জলাতঙ্ক + কুকুর-বিড়াল বা ইদুরের কামড় আথবা যারা কুকুরকে বাসায় পালেন ও আদর করে চুমু খান, তাদের জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ বা অশনী সংঙ্কেত!!!

আমাদের দেশে প্রতি বছর অনেক মানুষ কুকুর-বিড়াল ও ইদুর সহ বিভিন্ন প্রানির কামড়ে মারা যায়!! অনেকের-ই মনে প্রশ্ন, কি কি পশু কামড়ালে ভেক্সিন দিতে হয়? আজকে তুলে ধরছি তার আন্তপান্ত!"!

বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হওয়ার জন্য লেখাগুলো পড়ুন এবং নিন্মে দেওয়া ভিডিও দুটি ও ছবিগুলো ফলো করুন এবং জন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ও নিজের পরিচিত জনদেরকে জানানোর জন্য পোষ্টটি বেশি বেশি #শেয়ার করুন।।

র্যাবিস(Rabies) বা জলাতঙ্ক প্রতিরোধে প্রতিষেধকের (Anti rabis vaccine) বিকল্প নাই কারন র্যাবিস / জলাতঙ্ক হলে মৃত্যু অবধারিত। এবং যারা বাসা-বাড়িতে কুকুর / বিড়াল পালেন এবং আদর করে চুমু খান ও কোলে বা বুকে জড়িয়ে নেন, তাদের জন্য ও রয়েছে রেড সিগনাল!!🔫 তাদেরকে অনুরোধ ১ম ভিডিও টি গুরুত্ত্ব দিয়ে দেখুন এবং সাবধান হউন!!! আর গ্রামের যারা এই সকল প্রানী কামড়ালে ফকিরের কলা পড়া ও পানি পড়া খান ও বিশ্বাস করে, তারা দয়া করে ২য় ভিডিওটি দেখুন।।

জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া কি? কুকুর/বিড়াল/শিয়াল/বেজী/বানর/বাদুর/ইদুর/চিকা কামড়ালে করণীয় কি??

জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া মূলত একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক রোগ। এ রোগকে হাইড্রোফোবিয়া না বলে র‌্যাবিস’ও (Rabies) বলা হয়। র‌্যাবিস শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ পাগলামী করা। সাধারণত কুকুর, বিড়াল, বানর, চিকা, শেয়াল, বেজি ইত্যাদি প্রাণী জলাতঙ্কের বাহক। ভাইরাসজনিত র‌্যাবিস জীবাণু দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হলে যে রোগ-লক্ষণ প্রকাশ পায় তাকে জলাতঙ্ক বলা হয়। মূলত জলাতঙ্ক আক্রান্ত পশু বা রোগীর আচরণ থেকেই এই নামকরণের সূত্রপাত। এ রোগের প্রধান লক্ষণ জল দেখলেই ভয় পাওয়া, জল খাওয়া বা পান করার সময় খাদ্য নালীর উর্ধভাগের মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা ইত্যাদি।

জলাতঙ্ক একবার হলে রোগীকে বাঁচানো একটু কঠিন বা অনেক ক্ষেত্রে বাঁচানো সম্ভব হয় না। তবে বর্তমানে এ রোগের উন্নত চিকিৎসা আছে। কুকুরে কামড়ানোর সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ মত ভ্যাকসিন নেয়া শুরু করলে ভয়ের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। সাধারনত কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বানর, ইঁদুর, বেজি ইত্যাদি প্রাণী বিশেষ করে কুকুর, র‌্যাবিস জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে এবং মানুষকে কামড়ালে এ রোগ হয়। এসব প্রাণীর মুখের লালায় র‌্যাবিস ভাইরাস জীবাণু থাকে এবং এ লালা কামড় বা কোন পুরানো ক্ষতের মাধ্যমে বা আঁচড়ের মাধ্যমে রক্তের সংস্পর্শে আসলে রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়। সব কুকুরে কামড়ালেই কিন্তু জলাতঙ্ক রোগ হয় না। যদি কুকুরটির লালায় র‌্যাবিস জীবাণু না থাকে তাহলে কুকুরের কামড়ে এ রোগ হবে না। মূলত কুকুরের কামড়েই আমাদের দেশে শতকরা ৯৫ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয়। জলাতঙ্ক র‌্যাবিস এর অনেকগুলো লক্ষণের একটি। বাতাসভীতিও এ রোগের আরেকটি লক্ষণ।

জলাতঙ্ক আক্রান্ত মানুষের লক্ষণ
Rabies নামক এক প্রকার ভাইরাস জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া (Hydrophobia) রোগের জন্য দায়ী। কুকুর কামড়ানোর ১ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যে জলাতঙ্কের লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে। লক্ষণ প্রকাশের পূর্বেই অর্থাৎ কুকুরে কামড়ালেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে৷ Rabies ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুর কোন মানুষকে কামড়ালে, ভাইরাসটি সেই ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করে ও কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণের প্রকাশ ঘটায়। যেমন-

এর প্রধান লক্ষণ হল জল বা কোন তরল দেখে আতঙ্কিত হওয়া, পানি খেতে চায় না, পানি দেখলে ভয় পায়।
কামড়ের জায়গায় ব্যথা ও চিনিচিন করে আবার চুলকানি হতে পারে।
পেটে ব্যথা
স্নান করতে অনীহা ভাব
শরীরের পেশীতে টান লাগা
মুখ থেকে অতিরিক্ত থুতু বের হওয়া।
শ্বাস কষ্ট হওয়া
পানি পিপাসা থাকা
মুখ থেকে লালা পড়ে
মৃদু জ্বর, ঢোক গিলতে অসুবিধা
খিঁচুনি হতে পারে।
শান্ত অবস্থা থেকে হঠাৎ রেগে যাওয়া বা অতিরিক্ত উত্তেজনা
রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে এবং প্যারালাইসিস হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে মৃদু বায়ু প্রবাহেও রোগী ভয় পেতে পারে।
আবোল তাবোল কথা বলা।
অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত মানুষ অন্য আক্রান্ত প্রানির মতো অন্য মানুষকে কামরাতে চাইতে পারে।
কুকুর কামড়ালে কি করবেন?
লক্ষণ প্রকাশ পাবার পর এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই এবং রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনাই বেশি। তবে এই মারাত্মক রোগ সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধযোগ্য। কুকুর বা অন্য কোন প্রাণীর কামড়ের সাথে সাথে ক্ষতস্থান সাবান বা এনটিসেপটিক দ্বারা পরিস্কার করলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যাথাযথ ভেকসিন গ্রহন করলে সহজেই এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

প্রথমেই ক্ষতস্থানটি সাবান, পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণ, ৪০-৭০% অ্যালকোহল, পোভিডিন অথবা আয়োডিন যেকোনো একটি দিয়ে ক্ষতস্থানটিকে ভালো করে ভিজিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে। এতে ক্ষতিকর ভাইরাস ক্ষত স্থানে লেগে থাকলে তা নষ্ট হয়ে যাবে।
তারপর দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইঞ্জেকশান রাবিপুর
১ম দিন একটি
এর ৩ দিন পর একটি
এর ৭ দিন পর একটি
এর ১৪ দিন পর একটি
এর ২৮তম দিনে একটি,
এবং এরপর ৯০তম দিনে একটি,

সর্বমোট ৬টি টিকা দিতে মাংসপেশিতে নিতে হবে। আক্রান্ত কুকুর কামড়ানোর পরও টিকা নিলে অনেকটা নিরাপদ অবস্থায় থাকা যায়।

আগে বলা হতো, কোনো কুকুর কামড়ালে সেই কুকুরকে ১০ দিন বেধে রেখে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং ১০ দিনের মধ্যে কুকুরটি যদি মারা না যায়, তাহলে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখন সে ধারণা সত্য নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে অর্থাৎ বাইরে থেকে আপাত সুস্থ দেখতে কুকুরের মধ্যেও জলাতঙ্কের জীবাণু থাকতে পারে। তাই কুকুরে কামড়ালে দেরি না করে অবশ্যই টিকা নিতে হবে। সেই সঙ্গে ইমিউনোগ্লোবিওলিন ইনজেকশনও দিতে হবে।
অপরদিকে যারা এসব প্রাণী নিয়ে কাজ করেন তারা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আগেই টিকা দিয়ে রাখতে পারেন।
জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া কি? কুকুর কামড়ালে করণীয়

জলাতঙ্ক প্রতিরোধে করনীয়

পোষা কুকুর বা বিড়ালকে নিয়মিত টিকা দিতে হবে।
বেওয়ারিশ কুকুর মেরে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।
যেসব প্রাণীর আঁচড় বা কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়, যেমন- কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি প্রাণী থেকে সাবধানে থাকতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের এসব প্রাণী থেকে দূরে রাখতে হবে।
পূর্ব প্রস্ততি হিসেবে কুকুরে না কামড়ালেও আগে থেকে এ টিকা দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ০, ৭, ২১ অথবা ২৮তম দিনে তিন থেকে চারটি টিকা দিতে হবে।
কুকুর কামড়ালে সাথে সাথে ক্ষতস্থান সাবান দিয়ে ভালভাবে ধুতে হবে। এরপর সেখানে পভিডন আয়োডিন দিতে হবে।

কামড়ানোর স্থান কোন কিছু দিয়ে ঢেকে রাখা যাবে না।
জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে এমন কুকুর বা অন্য পশু কামড় বা আঁচড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে টিকা নেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে
১ম দিন একটি
এর ৩ দিন পর একটি
এর ৭ দিন পর একটি
এর ১৪ দিন পর একটি
এবং এর ২৮তম দিনে একটি, সর্বমোট ৫টি টিকা দিতে হবে।

জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুরের লক্ষণ
কুকুর বা অন্য কোনো প্রাণী কামড়ালে দিশেহারা না হয়ে প্রাণীটিকে ধরে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। দংশিত প্রাণীটিকে হত্যা না করে ১০ দিন বেঁধে রেখে পর্যবেক্ষণ করে যদি নিম্নলিখিত লক্ষনসমূহ প্রকাশ পায় তবে বুঝতে হবে প্রাণীটি ভাইরাসে আক্রান্ত। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। লক্ষনসমূহ নিম্নরুপঃ

আক্রান্ত প্রাণী পাগলের মতো আচরন করে এবং সব কিছু কামড়ানোর প্রবনতা দেখা যায়।
উদ্দেশ্যহীন ভাবে ছোটাছুটি করতে পারে।
খাবার কিংবা জল গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া।
মুখ থেকে অত্যধিক হারে লালা নিঃসৃত হবে।
ঘন ঘন ঘেউ ঘেউ অথবা বিড় বিড় শব্দ করা।
হাপ টেনে শ্বাস নেওয়া।
এক পর্যায়ে গলার মাংস পেশিতে পক্ষাঘাত হওয়ায় আর ঘেউ ঘেউ করতে পারে না।
আবার কিছু ক্ষেত্র আক্রান্ত প্রানীর মধ্যে উত্তেজনা ভাব প্রকাশ না পেয়ে চুপচাপ থাকতে পারে।
কুকুরটি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার কারনে নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং কয়েক দিনের মধ্যে মারা যায়। সাধারণভাবে আক্রান্ত কুকুরটি ১০ দিনের মধ্যে মারা যায়।
পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে জলাতঙ্ক প্রতিরোধে করনীয়
যেহেতু জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম, তাই সতর্কতা অবলম্বন করা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করাই একমাত্র পথ। যেমন-

পোষা কুকুরটি গলায় ব্যাল্ট পরিয়ে রাখতে হবে।
রাস্তার বেওয়ারিস কুকুরগুলো মেরে ফেলতে হবে।
পোষা কুকুর-বিড়ালকে চিকিৎসকের মাধ্যমে জলাতঙ্কের টিকা দিতে হবে।
এ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন “রাবিপোর”
কুকুর কামড়ালে এখন আর নাভির চারদিকে ১৪টি ইঞ্জেকশন নিতে হয় না। দেশের সকল জেলাতেই এখন বিনামূল্যে এ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন রাবিপোর পাওয়া যায়। ৫টি ইঞ্জেকশনে এক ডোজ। প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জনের অধীনে একটি করে জলাতঙ্কের টিকাদান কেন্দ্র আছে, যেখান থেকে বিনামূল্যে এ টিকা সংগ্রহ করা যাবে।

সবশেষে
মোটামুটিভাবে বাংলাদেশে জীবজন্তুর কামড়ের ব্যাপকতা প্রতি এক হাজার জনে ১৩ জন। তার মধ্যে ৬ থেকে ১০ বছরের শিশু কিশোরের হারই সর্বাধিক অর্থাৎ ২৭.৬% এবং তারপরে ৪১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মানুষের হার ১৬.৩%। অর্থাৎ ১৫ বছরের নিচে শিশু কিশোর ও বয়স্ক মানুষ এ রোগের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, কারন- শিশুরা জীব জন্তু নিয়ে খেলা করে এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা জীব জন্তু প্রতিহত করার ক্ষমতা কম রাখে। আবার আক্রান্ত মানুষের মধ্যে শতকরা ৩৩.৩ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করে, ৬২.৫ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করে না এবং ৩.১ জন ভেকসিন সম্পর্কে জানেই না। দারিদ্রতা এবং অসচেতনতাই বেশিরভাগ মানুষ ভ্যাকসিন না নেয়ার অন্যতম প্রধান কারন। তাই, সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমেই জলাতঙ্ক প্রতিরোধ করা সম্ভব।

কথায় আছে – রোগ বালাই বলে কয়ে আসে না। কথাটা পুরোপুরি সত্য নয়। যেকোনো অসুখ মারাত্মক আকার ধারণ করার আগে নানা ধরণের উপসর্গ দেখা দেয়। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই সেসব উপসর্গকে গুরুত্ব সহকারে দেখি না। ফলে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়ানো যায় না। অথচ সামান্য একটু সচেতনতাই পারে যেকোনো অসুখ প্রকট আকার ধারণ করার আগে আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে সাহায্য করতে।

জলাতঙ্ক (Rabies) একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ, যা সাধারণত রোগাক্রান্ত প্রাণীর কামড়, আঁচড় বা লালার মাধ্যমে মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
যে সব প্রাণীর কামড়ে বা আঁচড়ে ভ্যাকসিন নিতে হয়-
১/ কুকুর
২/বিড়াল
৩/শিয়াল
৪/বেঁজি
৫/ বানর
৬/বাদুর
যে সব প্রাণীর কামড়ে বা আঁচড়ে ভ্যাকসিন নিতে হয় না -
১/ইদুর
২/ খরগোশ
৩/কাঠবিড়ালি
৪/গুইসাপ
৫/মানুষ
কুকুর কামড়ালে কি করবেন?
১/ আক্রান্ত জায়গা ১০-১৫ মিনিট প্রবাহিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
২/জেলা সদর হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাওয়া যায়, তা গ্রহণ করুন।
৩/ এলাকায় বা পোষা কুকুর বা বিড়ালকে ভ্যাকসিন দিন।

🌹"Motahar Mahmud"🌹

Address

Sadar
Dinajpur
5200

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ziaul 551 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share