27/09/2025
যেসব যুবক সৌদি আলিমদের দরবারি বলে, তাদের ব্যাপারে নসীহত।
প্রশ্ন: কিছু যুবককে দেখতে পাওয়া যায়, তারা আলিমদের বিশেষ করে সৌদি আলিমদের ব্যাপারে খারাপ মন্তব্য করে। তাদের ব্যাপারে অপপ্রচার চালায়। বলে, আমরা তাদের ওপর আস্থা রাখি না। তারা দরবারি আলিম। তারা তাগুতের দালাল। তাদের এমন দাবি কতটুকু সঠিক?
জবাব: আমি নিজেও সরাসরি অনেকের মুখে আলিমদের ব্যাপারে এমন মন্তব্য শুনেছি। যারা আলিমদের শানে এমন অশোভনীয় আচরণ করে, আলিমদের তাগুতের দালাল বলে এবং বিভিন্ন অপবাদ আরোপ করে, তারা মূলত যুবক শ্রেণি। এসব যুবকদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা খারাপ মন্তব্য করতে পারি না। আমরা তাদের ইলমের ব্যাপারে খারাপ মন্তব্য করতে পারি। তাদের ইলমী সংকীর্ণতা রয়েছে।
সঠিক ইসলামী ফিকহ ও ইসলামী আদর্শের ব্যাপারে তারা মিসকীন। অথচ মুসলিম যুবকের অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্য হচ্ছে, সঠিক ইসলামী ফিকহ ও ইসলামী আদর্শে নিজেদের সুসজ্জিত করা। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, অধুনা যুবাশ্রেণি তা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত।
সঠিক কথা হচ্ছে, বর্তমানে এক চেতনা ও জাগরণ গড়ে উঠেছে যাকে বলা হচ্ছে, ইসলামী চেতনা ও জাগরণ। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, সেই চেতনা ও জাগরণ ইসলামী চেতনা ও জাগরণের সর্বোচ্চ তোরণে পৌঁছেছে মাত্র। হেরেমে পৌঁছা তো দূরের কথা, মধ্যরাস্তায় পৌঁছতেই এখনও সক্ষম হয়নি। দ্বিতীয়ত, এই জ্ঞানগত মনস্তাত্ত্বিক চেতনা ও জাগরণের সাথে ইসলামী আদর্শিক চেতনা ও জাগরণের কোনো সম্পর্ক নেই।
এ কারণে আমরা যুবকদের পরামর্শ দেব, তারা যেন প্রথমে জ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করে এবং একমাত্র আল্লাহর জন্য জ্ঞানার্জন অব্যাহত রাখে। এরপর নিজেদের সংশোধন করে, আত্মশুদ্ধির পথ অবলম্বন করে এবং ইসলামী আদর্শ নিজেদের মধ্যে লালন করে। তারা নিজেদের এভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হলে আলিম তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষের চরিত্র নিয়েই কথা বলারও সাহস পাবে না। তাদের সমালোচনায় কালক্ষেপণ করার ফুরসতও পাবে না।