20/08/2023
প্রতিদিনের মতো আজকেও টেবিলে রাখা নীল গোলাপটি নিজের ব্যাগে সযত্নে রেখে দিলাম। বিগত প্রায় এক বছর ধরে রোজ একটা গোলাপ এই টেবিলে রাখা থাকে আর আমি এভাবেই যত্ন সহকারে তা নিজের কাছে রেখেনি।
আষাঢ় মাসের মধ্যম সময় চলছে বিধায় প্রকৃতিতে সচারাচর বারিবর্ষণ প্রবর্তমান। তবে দুদিন যাবত কৃষ্ণমেঘ অম্বরের সহিত সাক্ষাৎ করেনি তাই চারিপাশে স্যাঁতস্যাতে ভাবটা কমেছে। পরিচ্ছন্ন চাঁদের আলোয় মাখামাখি হয়েছে রাত্রির আঁধারীয়া প্রহর। নদীর জলে রূপোলী আস্তরণ মনে করিয়ে দেয় নদীর ভালোবাসা এই বৃহৎ অন্তরীক্ষের প্রতি তাই তো সে নিজের বুকে আকাশের ছবি সযত্নে ধরে রাখে।
আমি বসে আছি নদীর তীরের কাছে থাকা এই নির্জন বসার জায়গায়। মুগ্ধ হয়ে দেখে চলেছি এই অকথিত ভালোবাসার ছবিটিকে। মাঝে মধ্যে নিজেই অবাক হই আমার এসব আজব ভাবনা চিন্তার ওপর। ভালোবাসার থেকে অনেক দূরে থাকা এক মেয়ে আমি, সত্যিই কি ভালোবাসার থেকে দূর? যাইহোক আপাতত আমার জীবনে একটা মাত্রই ভালোবাসা আর তা হলো "মায়াঁখির ভোজ আড্ডা"।
আমার পরিবার বলুন অথবা খুব কাছের কেউ সবই আমার এই ছোট্ট রেস্তোরা। এখন সেটি বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলাম কিন্তু কি মনে করে যেন এখানে চলে এলাম। হয়তো বা দু মুঠো শান্তির জন্য।
কখনো কখনো মনে হয় জীবনে আমার নিজের বলতে কেউ থাকলেও মন্দ হতো না। এই ব্যাপারখানা মস্তিষ্কে পৌঁছতেই মনে ভেসে ওঠে একটিমাত্র আদল কিন্তু পরমুহূর্তেই মনে পড়ে নাহ মানুষটা আজ নিশ্চয়ই অন্য কারোর। দ্বিধার মাঝে পিষ্ট হয়ে শেষ হই প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্ত।
জীবনের হিসেব নিকেশ করতে গিয়ে কখন যেন চোখের কোল ঘেঁষে অশ্রুকণা গড়িয়ে পড়ে। আমি সন্তপর্নে মুছে ফেলি এই দুর্বলতার প্রতীক চিন্হ। কেউ দেখে ফেললে আমাকে চিনে ফেলবে এবং সেখানেই নিহিত আমার সকল ভীতি।
তন্মধ্যেই ভেসে আসে পুরুষালি কণ্ঠস্বর,
-"নিজেকে আর কতো লুকাবেন মিস আঁখি?"
হঠাৎ পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনে হোচট খাই। ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে তাকাতেই সুঠাম দেহী পুরুষ অবয়ব চোখে পড়ে। শ্রুতির সাদা পাঞ্জাবী আঁটোসাটো হয়ে লেগে আছে তার বলিষ্ঠ সুবিশাল দেহে। আমি নিজের দৃষ্টি সংবরণ করে আবারও চোখ রাখি শিথিল নদীর পানে। বুঝলাম সে আমার পাশেই বসেছে। নিজের বিস্ময় কিছুটা প্রকাশ করেই বলি,
-"আপনি এখানে?"
গভীর ঘোরাচ্ছন্ন কণ্ঠে স্নিগ্ধ উত্তর দেয়,
-"আমার গন্তব্য এখানে তাই আমিও।"
আমার মনে হলো তার গন্তব্য হয়তো এই নদীটি সেহেতু আমিও আলতো হেসে বলে উঠি,
-"এত