09/04/2025
নগরকান্দায় সুমি নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
মোহাম্মদ আসাদ খাঁন
নগরকান্দা উপজেলা (প্রতিনিধি)
ফরিদপুর জেলা, নগরকান্দা উপজেলা, কাইচাইল ইউনিয়নের জিয়াখুলী গ্ৰামের সামিরা আক্তার সুমি নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
সুমির পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে বিষপানে হত্যা করা হয়েছে।
সুমির বাড়ি সুতারকান্দা গ্রামে গেলে তার ছোট ভাই ফয়সাল মোল্লা অভিযোগ করেন, আমার বোনকে তার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদ মিলে জোর করে বিষপান করিয়ে হত্যা করে, গত রবিবার ৬ এপ্রিল ভোর আনুমানিক ৬টায় নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের জিয়াখুলী গ্ৰামে রবিন মোল্লা বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
সুমি আক্তার সুতারকান্দা গ্রামের কাইয়ুম মোল্লার মেয়ে, তিনি পাশে গ্রামের রবিন মোল্লার মিয়ার ছেলে কানন মোল্লার স্ত্রী, এ ঘটনায় নিহতের মা করিমুননেছা তারিন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দায়ের করেন, সুমির মা করিমুননেছা জানান গত ২০১৮ সালে ৮ লাখ টাকা যৌতুকের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়, পুনরায় তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিলে সুমির পরিবার যৌতুক দিবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়,
গত ৬ এপ্রিল স্বামী (পুলিশ সদস্য) কানন মোল্লার সাথে সুমির মোবাইল-ফোনে কথা কাটাকাটি হয়, পরে কানন মোল্লা তার পরিবারকে সুমিকে হত্যা করতে নির্দেশ দেয়, নির্দেশ পেয়ে
সুমির শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদ মিলে হাত পা ধরে রেখে গলায় বিষ ঢেলে দেয়, সুমির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে আমাদেরকে জানায় সুমি বিষ খেয়েছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি আপনারা রাস্তায় এগিয়ে আসুন,
খবর পেয়ে প্রথমে আমার মেয়েকে নগরকান্দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পুনরায় ঢাকা স্থানান্তর করে ইষ্ট ওয়েষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, ডাক্তার গতকাল ৮ এপ্রিল ২০২৫, সকাল ১০ টার দিকে সুমিকে মৃত ঘোষণা করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সুমির শ্বশুর বাড়ি জিয়াখুলী গ্রামের গেলে
কানন মোল্লার মা বিলকিস বেগম জানান আমাদের বাড়িতে আমার ছেলের বউ ছিলো-ই না, তার বাপের বাড়িতে ছিলো।
কানন মোল্লার দাদী নিহার বেগম বলেন, আমাদের বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে নাই আর যৌতুকের বিষয়টি সত্য নয়।
সুমির ননদ দোলা আক্তার জানান আমাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
তবে কাইচাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল মোল্লার মাধ্যমে জানা যায়, ঈদের দুইদিন পরে নিহত সুমি সালিসের মধ্যস্থতায় তার স্বামীর বাড়িতে গিয়েছিল।
নগরকান্দা, সালথা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান খাঁন শাকিল জানান
অভিযোগের বিষয় তদন্ত চলছে।