এসো কুরআন ও হাদিসের পথে।

এসো কুরআন ও হাদিসের পথে। I created this page to spread the religion. It has to do with society. I will try to spread the message of Islam among the people through this page.

Permanently closed.
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم الكافرون - الماءدة:٤٤" আল্লাহর দেয়া বিধান অনুসারে যারা কাজ করেনা তারাই কাফের। " আল-ম...
02/11/2024

ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم الكافرون - الماءدة:٤٤

" আল্লাহর দেয়া বিধান অনুসারে যারা কাজ করেনা তারাই কাফের। " আল-মায়েদাহ : ৪৪

প্রত্যেকটি মানুষ তার জীবনের প্রত্যেকটি কাজের সময় যে ফয়সালা করে সেই ফয়সালার কথাই এখানে বলা হয়েছে।

কি ভয়ংকর কথা 🥲🥲 আমরা কি আমাদের জীবনের প্রতিটি ফয়সালা কুরআন -হাদিস অনুযায়ী করতে পারি?

আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন এবং হেফাজত করুন। আমিন

13/09/2024

রাসূল (স:) কে প্রেরণের উদ্দেশ্য

সুরা: আস-সফ
আয়াত নং :-9

هُوَ الَّذِیْۤ اَرْسَلَ رَسُوْلَهٗ بِالْهُدٰى وَ دِیْنِ الْحَقِّ لِیُظْهِرَهٗ عَلَى الدِّیْنِ كُلِّهٖ وَ لَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُوْنَ۠

তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি তাঁর রসূলকে হিদায়াত এবং ‘দ্বীনে হক’ দিয়ে পাঠিয়েছেন যাতে তিনি এ দ্বীনকে অন্য সকল দ্বীনের ওপর বিজয়ী করেন, চাই তা মুশরিকদের কাছে যতই অসহনীয় হোক না কেন।

তাফসীর :

মুশরিকদের জন্য অসহনীয় হলেও। অর্থাৎ যারা আল্লাহর দাসত্বের সাথে অন্যদের দাসত্বও করে থাকে এবং আল্লাহর দ্বীনের সাথে অন্য সব দ্বীন ও বিধানকে সংমিশ্রিত করে, শুধু এক আল্লাহর আনুগত্য ও হিদায়াতের ওপর গোটা জীবনব্যবস্থা কায়েম হোক তারা তা চায় না। যারা ইচ্ছামত যে কোন প্রভু ও উপাস্যের দাসত্ব করতে সংকল্পবদ্ধ এবং যে কোন দর্শন ও মতবাদের ওপর নিজেদের আকীদা-বিশ্বাস, নৈতিকতা এবং তাহযীব তামুদ্দুনের ভিত্তিস্থাপন করতে প্রস্তুত এমনসব লোকের বিরোধিতার মুখেও বলা হচ্ছে যে, তাদের সাথে আপোষ করার জন্য আল্লাহর রসূলকে পাঠানো হয়নি। বরং তাকে পাঠানো হয়েছে এ জন্য যে, তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে যে হিদায়াত ও জীবনব্যবস্থা এনেছেন তাকে গোটা জীবনের সব দিক ও বিভাগের ওপর বিজয়ী করে দেবেন। অবস্থা যাই হোক না কেন, তাঁকে এ কাজ করতেই হবে। কাফের ও মুশরিকরা তা মেনে নিক আর না নিক এবং এ বিরোধিতায় সর্বশক্তি নিয়োগ করলেও সর্বাবস্থায় রসূলের এ মিশন সফলকাম হবে এবং পূর্ণতা লাভ করবে। ইতিপূর্বে কুরআন মজীদের আরো দু’টি স্থানে এ ঘোষণা এসেছে এক, সূরা তাওবার ৩৩ আয়াতে । দুই, সূরা ফাতহের ২৮ আয়াতে । এ স্থানে তৃতীয়বারের মত এ ঘোষণার পুনরুক্তি করা হচ্ছে।

13/09/2024
02/03/2024

অবৈধ সরকারের অব্যবস্থাপনার জন্যই বেইলি রোডের মতো দুর্ঘটনা ঘটছে। সরকারের ব্যবস্থাপনা শুধুমাত্র ইসলামী আন্দোলন.....

13/02/2024

হযরত আয়েশা (রা) বলেন - "জুলায়খাকে তিরস্কারকারীগণ যদি আমার নবীর কপালের দু'পাশের সৌন্দর্য দেখত, তাহলে তাড়া তাদের আংগুল না কেটে তাদের অন্তর কেটে ফেলত "

12/02/2024



আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মি’রাজের রাতে আমি এমন এক কওমের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম যাদের নখগুলো তামার তৈরী এবং তা দিয়ে তারা অনবরত তাদের মুখমণ্ডলে ও বুকে আচড় মারছে। আমি বললাম, হে জিবরীল ! এরা কারা? তিনি বললেন, এরা সেসব লোক যারা মানুষের গোশত খেতো (গীবত করতো) এবং তাদের মানসম্মানে আঘাত হানতো ।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৭৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

12/02/2024



ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন লোকদের উদ্দেশে একটি খুৎবাহ দিলেন। তিনি বললেনঃ হে লোক সকল ! আজকের এ দিনটি কোন্ দিন? সকলেই বললেন, সম্মানিত দিন। অতঃপর তিনি বললেনঃ এ শহরটি কোন শহর? তাঁরা বললেন, সম্মানিত শহর। অতঃপর তিনি বললেনঃ এ মাসটি কোন মাস? তাঁরা বললেন, সম্মানিত মাস। তিনি বললেনঃ তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ, তোমাদের ইয্যত-সম্মান তোমাদের জন্য তেমনি সম্মানিত , যেমন সম্মানিত তোমাদের এ দিনটি , তোমাদের এ শহরে এবং তোমাদের এ মাস। এ কথাটি তিনি কয়েকবার বললেন। পরে মাথা উঠিয়ে বললেনঃ হে আল্লাহ ! আমি কি (আপনার পয়গাম) পৌঁছিয়েছি ! হে আল্লাহ ! আমি কি পৌঁছিয়েছি? ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) বলেন, সে সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ , নিশ্চয়ই এ কথাগুলো ছিল তাঁর উম্মতের জন্য অসীয়ত। [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ ] উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে পৌঁছিয়ে দেয়। আমার পরে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে হত্যা করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না। (৭০৭৯) (আঃপ্রঃ ১৬১৯, ইঃফাঃ ১৬২৭)

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৭৩৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

12/02/2024

,,,,,,,,শরিফার গল্পের বাহিরে আরও ভয়াবহ তথ্য রয়েছে এবছরের পাঠ্যবইয়ে। ব্যাপক প্রচার করে ফি*ত*না মুকাবেলায় অংশ নিন।

#নবম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বই থেকে ইসলামের অকাট্য ফরজ বিধান জি*হা*দ পুরাই ডিলিট (বিলুপ্ত) করে দেয়া হয়েছে।

#বিশ্ব মানচিত্রের ছবি থেকে ফি*লি*স্তি*নের নাম ডিলিট। সেই জায়গায় অবৈধ ও স*ন্ত্রা*সী রাষ্ট্র
ই*স*রাইল এর নাম সংযুক্ত করা হয়েছে।
ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান। নবম শ্রেণী।

#ছেলেমেয়েদের বয়:সন্ধিকালীন স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে এমনভাবে তোলে ধরা হয়েছে, যাতে স্বভাবজাত লজ্জ্বা শরম কারো মাঝে থাকে না। দেখুন, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বই। ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণী।

#সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। শ্লোগান টি দৃশ্যত ভালো মনে হলেও, এর উদ্দেশ্য পুরোটাই খারাপ।

এক কথায় এটি একটি কু*ফু*রি শ্লোগান। এর মাধ্যমে ধর্মীয় পরিচয় কে বর্জন করা হয়েছে।
ইতিহাস এ সামাজিক বিজ্ঞান। নবম শ্রেণী পৃষ্ঠা ১০০

#পহেলা বৈশাখ, গায়ে হলুদ, জন্মদিন পালন, মুখেভাত অনুষ্ঠান ইত্যাদিকে আমাদের ঐতিহ্য ও সংষ্কৃতি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

অথচ এগুলোর ইতিহাস খুবই অল্পদিনের।
দেখুন শিল্প ও সংষ্কৃতি বই। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণী।

#মানুষের আত্মপরিচয়ের ক্ষেত্রে নাম, লিঙ্গ, বয়স, পছন্দের খাবার, পোশাক, খেলা শখ উল্লেখ থাকলেও ধর্মের পরিচয় সেখানে নেই।

ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ৭ম শ্রেণী পৃষ্ঠা ১৮

#একটি ছেলে বন্ধু তার মেয়ে বন্ধুকে স্পর্শ করাকে নিরাপদ স্পর্শ বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ষষ্ঠ শ্রেণি, পৃষ্ঠা ৯৬।

#একটি পাঠের শিরোনাম, চলো বন্ধু হই।
ছেলে ও মেয়ের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে প্রয়োজনে না বলি, কী চাই তা বলি, অনুভূতি প্রকাশ করি।

পুরো পাঠ পড়লে বুঝা যাবে, বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের দিকেই ইঙ্গি দিচ্ছে।
ষষ্ঠ শ্রেণী স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, পৃষ্ঠা ৮৯

#ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদের কোন অবদান নেই। শুধুমাত্র হিন্দুদের অবদান। ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান। নবম শ্রেণী পৃষ্ঠা ১১০

#ছেলেমেয়ে বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কে জড়ালে শাসন করা উচিৎ নয়। স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, সপ্তম শ্রেণী।

#তাছাড়া মাদরাসার বই সহ সকল বইয়ের প্রচ্ছদে বাদ্য-বাজনার ছবি, ভেতরে হিজাব বিহীন ছবি, কখনো মহিলাদের অশ্লীল ছবি তো আছেই।

সময় নিয়ে খুঁজলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে।

আসুন, নিজ নিজ অবস্থান থেকে সোচ্চার হই। প্রতিবাদ করি। সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানাই।

05/02/2024

সুরা: আন-নাস
আয়াত নং :-3

اِلٰهِ النَّاسِۙ

মানুষের প্রকৃত মাবুদের কাছে

তাফসীর :

এখানেও সূরা আল ফালাকের মতো ‘আউযু বিল্লাহ’ বলে সরাসরি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করার পরিবর্তে আল্লাহর তিনটি গুণের মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করে তাঁর আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, এ তিনটি গুণের মধ্যে একটি হচ্ছে, তাঁর রাব্বুন নাস অর্থাৎ সমগ্র মানবজাতির প্রতিপালক, মালিক ও প্রভু হওয়া। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, তাঁর মালিকুন নাস অর্থাৎ সমস্ত মানুষের বাদশাহ, শাসক ও পরিচালক হওয়া। তৃতীয়টি হচ্ছে, তাঁর ইলাহুন নাস অর্থাৎ সমগ্র মানবজাতির প্রকৃত মাবুদ হওয়া। (এখানে একথা সুস্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন যে, ইলাহ শব্দটি কুরআন মজীদে দুই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এক, এমন বস্তু বা ব্যক্তি যার ইবাদাত গ্রহণ করার কোন অধিকারই নেই কিন্তু কার্যত তার ইবাদাত করা হচ্ছে। দুই, যার ইবাদাত গ্রহণ করার অধিকার আছে এবং যিনি প্রকৃত মাবুদ, লোকেরা তার ইবাদাত করুক বা না করুক। আল্লাহর জন্য যেখানে এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে এ দ্বিতীয় অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে)।

এ তিনটি গুণের কাছে আশ্রয় চাওয়ার মানে হচ্ছেঃ আমি এমন এক আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি, যিনি সমস্ত মানুষের রব, বাদশাহ ও মা’বুদ হবার কারণে তাদের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব রাখেন, যিনি নিজের বান্দাদের হেফাজত করার পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন এবং যথার্থই এমন অনিষ্টের হাত থেকে মানুষের রক্ষা করতে পারেন, যার হাত থেকে নিজে বাঁচার এবং অন্যদের বাঁচাবার জন্য আমি তাঁর শরণাপন্ন হচ্ছি। শুধু এতটুকুই নয় বরং যেহেতু তিনিই রব, বাদশাহ ও ইলাহ, তিনি ছাড়া আর কেউ নেই যার কাছে আমি পানাহ চাইতে পারি এবং প্রকৃতপক্ষে যিনি পানাহ দেবার ক্ষমতা রাখেন।

25/01/2024



ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ সব পুরুষকে লা’নত করেছেন যারা নারীর বেশ ধরে এবং ঐসব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধরে। (আ.প্র. ৫৪৫৭, ই.ফা. ৫৩৫৩)
‘আমরও এরকমই বর্ণনা করেছেন। আমাদের কাছে শু‘য়বা এ সংবাদ দিয়েছেন।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৮৮৫



ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষ হিজড়াদের উপর এবং পুরুষের বেশধারী মহিলাদের উপর লা’নত করেছেন। তিনি বলেছেনঃ ওদেরকে ঘর থেকে বের করে দাও। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অমুককে বের করেছেন এবং ‘উমার (রাঃ) অমুককে বের করে দিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৪)

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৮৮৬

সুরা: আন-নিসা
আয়াত নং ১১৯

وَّ لَاُضِلَّنَّهُمْ وَ لَاُمَنِّیَنَّهُمْ وَ لَاٰمُرَنَّهُمْ فَلَیُبَتِّكُنَّ اٰذَانَ الْاَنْعَامِ وَ لَاٰمُرَنَّهُمْ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلْقَ اللّٰهِ١ؕ وَ مَنْ یَّتَّخِذِ الشَّیْطٰنَ وَلِیًّا مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِیْنًاؕ

আমি তাদেরকে পথভ্রষ্ট করবো। তাদেরকে আশার ছলনায় বিভ্রান্ত করবো। আমি তাদেরকে হুকুম করবো এবং আমার হুকুমে তারা পশুর কান ছিঁড়বেই। আমি তাদেরকে হুকুম করবো এবং আমার হুকুমে তারা আল্লাহর সৃষ্টি আকৃতিতে রদবদল করে ছাড়বেই। যে ব্যক্তি আল্লাহকে বাদ দিয়ে এই শয়তানকে বন্ধু ও অভিভাবক বানিয়েছে সে সুস্পষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

তাফসীর :

আরববাসীদের বহুতর কুসংস্কারের মধ্যে একটির দিকে এখানে ইশারা করা হয়েছে। তাদের নিয়ম ছিল, উটনী পাঁচটি বা দশটি বাচ্চা প্রসব করার পর তার কান চিরে তাকে তারা নিজেদের দেবতার নামে ছেড়ে দিতো এবং তাকে কোন কাজে ব্যবহার করা হারাম মনে করতো। এভাবে যে উটের ঔরশে দশটি বাচ্চা জন্ম নিতো তাকেও দেবতার নামে উৎসর্গ করা হতো। পশুর কান চিরে দেয়া দেবতার নামে উৎসর্গ করার আলামত হিসেবে বিবেচিত হতো।

আল্লাহর সৃষ্টি-আকৃতিতে রদবদল করার অর্থ বস্তুর সৃষ্টিকালীন কাঠামোও আকার-আকৃতির পরিবর্তন নয়। এ অর্থ গ্রহণ করলে তো সমগ্র মানব সভ্যতা-সংস্কৃতি শয়তানের অবৈধ হস্তক্ষেপের ফসল গণ্য হবে। কারণ আল্লাহর সৃষ্ট বস্তুতে মানুষের হস্তক্ষেপের নামই হচ্ছে সভ্যতা ও সংস্কৃতি। আসলে এখানে যে রদবদলকে শয়তানী কাজ বলা হয়েছে সেটি হচ্ছে, কোন বস্তুকে আল্লাহ‌ যে কাজের জন্য সৃষ্টি করেননি তাকে সেই কাজে লাগানো এবং যে কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন সে কাজে না লাগানো। অন্যকথায় বলা যায়, মানুষ নিজের ও বস্তুর প্রকৃতির বিরুদ্ধে যেসব কাজ করে এবং প্রকৃতির প্রকৃত উদ্দেশ্য উপেক্ষা করে যেসব পন্থা অবলম্বন করে তা সবই এই আয়াতের প্রেক্ষিতে শয়তানের বিভ্রান্তিকর আন্দোলনের ফসল। যেমন লূত জাতির কাজ, জন্ম শাসন, বৈরাগ্যবাদ, ব্রহ্মচর্য, নারী-পুরুষের বন্ধাকরণ, পুরুষদেরকে খোজা বানানো, মেয়েদের ওপর প্রকৃতি যে দায়িত্ব অর্পণ করেছে সে দায়িত্ব সম্পাদন করা থেকে তাদেরকে সরিয়ে রাখা এবং সমাজ-সংস্কৃতির এমনসব বিভাগে তাদের টেনে আনা যেগুলোর জন্য পুরুষদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব কাজ এবং শয়তানের শাগরিদরা দুনিয়ায় এ ধরনের আরো যেসব অসংখ্য কাজ করে বেড়াচ্ছে সেগুলো। আসলে এই অর্থ প্রকাশ করছে যে, তারা বিশ্ব-জাহানের স্রষ্টার নির্ধারিত বিধি-বিধান ভুল মনে করে এবং তার মধ্যে সংস্কার সাধন করতে চায়।

নারীরা কি বিবাহের অনুষ্ঠানে যেতে পারবে?প্রশ্নঃ আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মেয়েরা কি পদা করে ভাইয়ের বিয়েতে যেতে প...
17/12/2023

নারীরা কি বিবাহের অনুষ্ঠানে যেতে পারবে?

প্রশ্নঃ আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মেয়েরা কি পদা করে ভাইয়ের বিয়েতে যেতে পারবে বা অল্প মানুষ বউ আনতে যাব যেমন ১৫ জন সেখানে কি আমি বউদের বাসায় যেতে পারব বউ আনতে? মহিলাদের আলাদা বসার ঘর দেয় দিলে কি যাওয়া যাবে?

উত্তরঃ
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

সম্মানিত প্রশ্নকারী! ইসলামী শরিয়তে পর্দার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় কুরআন সুন্নাহয় এর বিধিবিধান ও সীমা উল্লেখ করা হয়েছে। কাজেই বিষয়টিকে আলাদা ভাবে বলার কিছু নেই। অনন্যোপায় অবস্থা ব্যতীত ইসলাম নারীকে পরপুরুষের সাথে সাক্ষাত করার বা কথা বলার অনুমতি দেয় না। কিন্তু আফসোসের সাথে বলতে হয়, আমাদের সমাজের অনেক মানুষ যারা ইবাদতের ব্যাপারে আলহামদুলিল্লাহ অনেক সচেতন। নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, দান-সদকা, পরহিতৈষ ইত্যাদী কাজে তারা অনেক অগ্রসরমাণ। কিন্তু পর্দার ব্যাপারে তারা অনেক গাফেল। এটাকে অনেকটাই অনাগ্রহভরে প্রত্যাখ্যান করে চলেন কিংবা কৌশলে পাশ কাটিয়ে যান। যা কখনোই প্রকৃত মুমিনের কাজ হতে পারে না।

কাজেই আপনি বিবাহের অনুষ্ঠানে যাবেন কিনা সেটা এখান থেকেই অনুধাবন করতে পারবেন। সেখানে গেলে যদি আপানর সম্পূর্ণ পর্দা রক্ষা হয়, ননমাহরামের সাথে কথা এবং সাক্ষাতের প্রয়োজন না হয় তাহলে যেতে পারেন। তবে আমাদের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি তা হলো, অত্যন্ত কঠোর দ্বিন পালনকারীগণও বিবাহশাদীতে পর্দা রক্ষা করতে পারেন না। এমনকি ইচ্ছা থাকলেও পারিপার্শিক প্রতিকূলতার কারণে সম্ভব হয় না। যার কারণে এজাতীয় অনুষ্ঠানে পর্দনিশীন নারীদের না যাওয়াই উত্তম।

এতে হয়তো সাময়িক অনন্দ বিসর্জন দিতে হবে।কিন্তু এর কারণে আল্লাহ তায়ালার কাছে আপনি অনেক বড় পুরস্কারের প্রত্যাশী হতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য বিষয়গুলো বুঝার এবং আমলে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে… মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

বাচ্চা ছেলেদেরকে রূপা বা সোনার অলঙ্কার ব্যবহার করা যাবে কি না?উত্তর :بسم الله الرحمن الرحيمছোট ছেলেদেরকেও স্বর্ণ ব্যবহার...
17/12/2023

বাচ্চা ছেলেদেরকে রূপা বা সোনার অলঙ্কার ব্যবহার করা যাবে কি না?

উত্তর :
بسم الله الرحمن الرحيم

ছোট ছেলেদেরকেও স্বর্ণ ব্যবহার করতে দেওয়া নাজায়েয। এতে তার অভিভাবকের গুনাহ হবে। হাদীসে এসেছে, আলী রা. বলেন,
إن نَبِي اللهِ صَلَى الله عَلَيهَ وَسَلم أَخَذَ حَرِيراً فَجَعَلَه فِي يَمِينِه، وَأَخَذَ ذَهَباً فَجَعَلَه فِي شِمَالِه، ثم قَالَ: إنَ هذَينِ حَرَامٌ عَلى ذُكُورِ أُمَتي.
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান হাতে রেশমি কাপড় আর বাম হাতে স্বর্ণ নিয়ে বললেন, এই দুটি আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪০৫৪; সুনানে নাসায়ী ৮/১৬০)

ফকীহগণ বলেন, উপরোক্ত হাদীসের নিষেধাজ্ঞাটি ছোটদেরকে পরানোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অতএব বড়রা পরালে তাদের গুনাহ হবে।

# আর রূপার বিষয়ে কথা হচ্ছে-
পুরুষগণ রুপার আংটি ছাড়া অন্য কোনো বস্তুর আংটি ব্যবহার করতে পারবে না। আর রুপার আংটিও এক মিছকাল তথা সাড়ে চার মাষা, যা গ্রামের ওজনে ৪.৩৭৪ গ্রাম হয়- এর কম হতে হবে। হাদীস শরীফে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেন-

أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ رَأَى عَلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، فَأَلْقَاهُ وَاتّخَذَ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ، فَقَالَ: هَذَا شَرّ، هَذَا حِلْيَةُ أَهْلِ النّارِ، فَأَلْقَاهُ، فَاتّخَذَ خَاتَمًا مِنْ وَرِقٍ، فَسَكَتَ عَنْهُ.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সাহাবীকে স্বর্নের আংটি পরিহিত অবস্থায় দেখে তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এরপর তিনি লোহার আংটি বানালেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটা তো আরো মন্দ। এটা তো জাহান্নামীদের অলঙ্কার। অতপর তিনি সেটিও ফেলে দিয়ে রুপার আংটি পরলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিরব রইলেন। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৬৫১৮

অবশ্য লোহা, তামা ইত্যাদির উপর যদি রুপার প্রলেপ থাকে তাহলে পুরুষগণ সে আংটি পরিধান করতে পারবে।

-ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৪১৩; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৩৫; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬০; মাজমাউল আনহুর ৪/১৯৭; মিরকাতুল মাফাতীহ ৮/৩৫৩

والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে… মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

Address

Quran And Hadis Jana
Faridpur

Telephone

+8801919489410

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when এসো কুরআন ও হাদিসের পথে। posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category