02/05/2025
তানিয়া ও রিফাত — একে অপরকে ভালোবাসতো সাত বছর ধরে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা, বন্ধুত্ব, তারপর ধীরে ধীরে গাঢ় প্রেম। তানিয়া ছিলো একজন স্বপ্নবাজ মেয়ে, সাহসী ও স্বাধীনচেতা। রিফাত একটু চুপচাপ, তবুও তানিয়ার হাসিতেই তার পৃথিবী রাঙিয়ে উঠতো।
তাদের প্রেম ছিল নিঃস্বার্থ, কিন্তু জীবনের বাস্তবতা বড় নির্মম। রিফাতের পরিবার কখনোই তানিয়াকে মেনে নেয়নি, কারণ তানিয়ার পরিবার খুব সাধারণ। তানিয়া বলেছিল, “চলো পালিয়ে যাই, আমাদের ভালোবাসাই তো আসল।” কিন্তু রিফাত পারলো না — দায়িত্ব, ভয়, সমাজ সব একসাথে তাকে পিছিয়ে রাখলো।
একদিন হঠাৎ করেই রিফাত জানালো, তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে পরিবারের পছন্দে। তানিয়া ভেঙে পড়লো। কিছু না বলে সেদিন বিদায় নিলো, শুধু একটা চিঠি দিলো রিফাতকে, যেখানে লিখেছিলো:
“ভালোবাসা মানেই পাশে থাকা নয় রিফাত। কখনও কখনও ভালোবাসা মানে, কাউকে ছেড়ে দিয়ে তার সুখ কামনা করা। আমি জানি, তুমি সুখী হতে পারো। আমি যাচ্ছি, কিন্তু এই হৃদয়ে তুমি থাকবি, চিরকাল।”
সেই চিঠির পর আর কখনও তানিয়ার দেখা মেলেনি। রিফাত বিয়েটা করেছিল, কিন্তু প্রতিটি নিঃশ্বাসে অনুভব করেছিল তানিয়ার অনুপস্থিতি। সময় কেটে গেলো, কিন্তু "শেষ চিঠি"টা আজও তার ড্রয়ারে পড়ে থাকে, আর প্রতিদিন রাতে সে পড়ে— যেন তানিয়া ঠিক পাশেই আছে।